hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মজলিসের সৌরভ

লেখকঃ তুরকী ইবন ইবরাহীম আল-খানীযান

৫১
সাওমের বিধান বিধান (১)
এ দারসে ইসলামের রুকনসমূহ হতে চতুর্থ রুকন রমযানের সাওম বিষয়ে আলোচনা করব।

- সাওম হলো: আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজর উদয় [ [কারো মুখে খাদ্য থাকা অবস্থায় যদি ফজর উদয় হয়ে যায় তখন তাকে অবশ্যই খাওয়া ফেলে দিতে হবে এবং সাওম পূর্ণ করবে, আর যদি সে খাদ্য গিলে ফেলে তাহলে তার সাওম বাতিল।]] হওয়া (অর্থাৎ ফজরের আযানের সময়) থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত (অর্থাৎ মাগরিবের আযানের সময়) পর্যন্ত খাওয়া, পান করা ও যাবতীয় সাওম ভঙ্গের কারণসমূহ হতে বিরত থাকা। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ [ البقرة : 183].

“হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববতীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” [আল-বাকারাহ : ১৮৩]

- রমযান মাসের মহা ফযীলত রয়েছে। যেমন,

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتْ الشَّيَاطِينُ» [ متفق عليه ].

“যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

«مَن صامَ رمضانَ إيمانًا واحتسابًا، غُفِرَ لَهُ ما تقدَّمَ من ذنبِهِ، ومَن قامَ ليلةَ القدرِ إيمانًا واحتِسابًا غُفِرَ لَهُ ما تقدَّمَ من ذنبِهِ» [ متفق عليه ].

“যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে সাওয়াবের প্রত্যাশায় রমযানের সাওম পালন করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে সাওয়াবের আশায় কাদর রাতে কিয়াম করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]

- সিয়ামের মর্যাদা সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ، الْحَسَنَةُ عَشْرُ أمْثَالِهَا إِلَى سَبْعمِائَة ضِعْفٍ، قال اللهُ تعالى : إِلا الصَّوْمَ، فَإِنَّهُ لِي وَأنَا أجْزِي بِهِ، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أجْلِي، لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ : فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ، وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ، وَلَخُلُوفُ فِيهِ أطْيَبُ عِنْدَ الله مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ» [ رواه البخاري ].

“আদম সন্তানের প্রতিটি কর্ম বর্ধিত করা হয়। একেকটি নেকি দশ গুণ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তবে সাওম ছাড়া, কেননা সাওম আমার জন্যে এবং আমিই তার প্রতিদান দিবো।’ সে তার প্রবৃত্তি ও পানাহার আমার জন্যই ত্যাগ করে। সিয়াম পালনকারীর জন্যে দু’টি আনন্দ রয়েছে, একটি আনন্দ তার ইফতারির সময় আরেকটি আনন্দ তার রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময়। আর নিঃসন্দেহে সিয়ামপালনকারীর মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে কস্তুরীর ঘ্রাণের চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।” [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন]

- মুসলিম, প্রাপ্ত বয়স্ক, বুদ্ধিসম্পন্ন ও সক্ষম ব্যক্তির ওপর রমযানের সাওম ফরয। আর যে এমন অসুস্থ যে, সিয়াম তার ওপর কষ্টকর হয় বা সে তার সিয়ামের কারণে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে বা সে মুসাফির- তখন তাদের জন্যে সিয়াম ভঙ্গ করা বৈধ। যখন তাদের ওযর চলে যাবে তখন তারা কাযা করবে। আর যার রোগ স্থায়ী হয় তা হতে ভালো হওয়া আশা করা যায় না, সে সাওম ভঙ্গ করবে এবং প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি বার্ধক্যের কারণে সাওম পালন করতে পারছে না।[ [গর্ববতী ও দুগ্ধপান কারিনীর জন্য রমযানে সাওম ভঙ্গ করা বৈধ। যদি তারা তাদের নিজেদের ওপর বা সন্তানের ওপর ভয় করে। আর তাদের ওপর কাযা ওয়াজিব।]]

- হায়েয ও প্রসূতি নারীর ওপর সাওম হারাম। পবিত্র হওয়ার পর তাদের ওপর সিয়াম কাযা করা ওয়াজিব।

- সায়েমের জন্য মুস্তাহাব: সেহরী খাওয়া এবং তা বিলম্বে খাওয়া। এমনিভাবে তার জন্য মুস্তাহাব হলো তাড়াতাড়ি ইফতার করা। তার ওপর ওয়াজিব হলো মৌখিক ও কর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন সব ধরনের গুনাহ থেকে বিরত থাকা। যদি তাকে কেউ গালি দেয় বা তার সাথে কেউ ঝগড়া করে সে যেন বলে আমি সাওম পালনকারী।

হে আল্লাহ আমাদেরকে রমযান পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করুন এবং আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন যারা ঈমানের ও সাওয়াবের প্রত্যাশার সাথে সাওম পালন ও কিয়াম করে। আজকের জন্য এত টুকু আলোচনা যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবতী দারসে আমরা যে সব কারণে সাওম ভেঙ্গে যায় বা বাতিল হয়ে যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন