hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মজলিসের সৌরভ

লেখকঃ তুরকী ইবন ইবরাহীম আল-খানীযান

৪২
ওযরগ্রস্তদের সালাতের বিধিবিধান
এ দারসে আমরা এমন সব মাসায়েল সম্পর্কে আলোচনা করব যা মাযুর তথা অপারগ লোকদের সালাতের সাথে সম্পৃক্ত। তারা হলো, অসুস্থ, মুসাফির এবং ভীত।

-সুতরাং অসুস্থ ব্যক্তি:

• যদি মসজিদে জামাতে সালাত আদায় করার দ্বারা কোনো ক্ষতি বা কষ্ট তাকে স্পর্শ করে বা তাতে উপস্থিত হওয়াতে রোগ সৃষ্টি বা রোগ বৃদ্ধি বা রোগ সারতে বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা করে তখন তার জন্যে তার ঘরে সালাত আদায় করা বৈধ রয়েছে।

• আর তার সক্ষমতা অনুযায়ী সে সালাত আদায় করবে। কারণ, আল্লাহ বলেন,

فَاتَّقُوا الله مَا اسْتَطَعْتُمْ [ التغابن : 16]

অতএব, তোমরা যথাসম্ভব আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর।”

[আত-তাগাবুন : ১৬]

এ ছাড়াও রয়েছে ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লহু আনহুর হাদীস তিনি বলেন, আমার হেমোরয়েড (অর্শ্বরোগ) ছিল, তাই আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন,

«صَلِّ قائمًا، فإن لم تستَطِع فقاعدًا، فإن لم تستَطِعْ فعلى جَنبٍ» [ رواه البخاري ].

দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর, তা না পারলে বসে; যদি তাও না পার তাহলে কাত হয়ে।” [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন]।

• যদি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে সক্ষম হয়; কিন্তু রুকু পর্যন্ত দাঁড়াতে সক্ষম নয়, তখন তার ওপর ওয়াজিব হলো সাধ্য অনুযায়ী দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে যখন ক্লান্ত হয়ে যাবে বসে যাবে।

অনুরূপভাবে যদি কেউ সেজদা করতে সক্ষম কিন্তু রুকু করতে অক্ষম তাহলে তার জন্য ওয়াজিব হলো শরয়ী পদ্ধতিতে সেজদা করবে আর বসে রুকু করবে। অথবা তার সক্ষমতা অনুযায়ী করবে। পূর্বের হাদীস ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর কারণে,

«وَمَا أَمَرْتُكُمْ بِهِ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ» [ متفق عليه ].

আর আমি তোমাদের যে আদেশ দিয়ে থাকি তা তোমরা সাধ্য অনুযায়ী পালন করো।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]

• আর যদি তার ওপর প্রত্যেক সালাত সময় মতো আদায় করতে কষ্টকর হয়, তখন তার জন্য যুহরকে আসরের সাথে ও মাগরিবকে এশার সাথে যে কোনো একটি ওয়াক্তে এক সঙ্গে আদায় করা বৈধ।

- মুসাফির ব্যক্তি [ [সফরে সালাত কসর করার শর্ত হলো তার নিজ শহরের ঘরবাড়ি ত্যাগ করা।]] :

• তখন সে চার রাকাত বিশিষ্ট সালাত-যুহর আসর ও এশা- দুই রাকাত আদায় করবে। কারণ, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীস, তিনি বলেন,

«فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ» [ متفق عليه ].

“মুকীম ও মুসাফির উভয় অবস্থায় সালাত দুই রাকাত দুই রাকাত করে ফরয করা হয়েছে। মুসাফিরের সালাত বহাল রাখা হয়েছে আর মুকীমের সালাত বাড়ানো হয়েছে।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]।

• মুসাফিরের জন্য যুহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশার মাঝে তাদের একটির ওয়াক্তে জমা করা বৈধ।

সা‘ঈদ ইবন যুবাইর ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন,

عن ابْنُ عَبَّاسٍ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم جَمَعَ بَيْنَ الصَّلَاةِ فِي سَفْرَةٍ سَافَرَهَا فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَجَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ قَالَ سَعِيدٌ : فَقُلْتُ : لِابْنِ عَبَّاسٍ مَا حَمَلَهُ عَلَى ذَلِكَ؟ قَالَ : أَرَادَ أَنْ لَا يُحْرِجَ أُمَّتَهُ» [ رواه مسلم ].

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুক যুদ্ধের সফরে সালাত একত্র করেন। ফলে তিনি যুহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করেন। সাঈদ বলেন, আমি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে জিজ্ঞাসা করলাম, এটি করার উদ্দেশ্য কি? তিনি বললেন, তিনি চেয়েছেন যে, তার উম্মাতের যেন কষ্ট না হয়। [মুসলিম এটি বর্ণনা করেছেন]। অর্থাৎ, উম্মতকে যাতে কষ্ট বা বিপদে না পড়তে হয়।

- আর ভীত ব্যক্তি: যেমন, আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদ। যখন তারা যুদ্ধের ময়দানে থাকেন এবং তারা তাদের ওপর কাফেরদের আক্রমণের আশঙ্কা করেন।

• তখন তাদের জন্য বৈধ হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদায়কৃত যেকোনো এক পদ্ধতিতে ভয়ের সালাত আদায় করা। আর যখন ভয় কঠিন হয়, তখন পায়ে হেঁটে অর্থাৎ চলন্ত অবস্থায় নিজ পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে ও তাদের সাওয়ারীর ওপর আরোহণ করে সালাত আদায় করবে। কিবলামুখ করে হোক বা না হোক। আর রুকু সেজদার জন্যে ইশারা করবে। কারণ, আল্লাহ বলেন,

فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا [ البقرة : 239].

আর যদি তোমরা ভয় করো তাহলে পায়ে হেঁটে বা বাহনে চড়ে।” [আল-বাকারাহ : ২৩৯]

• অনুরূপভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি যে তার নিজের ওপর ভয় করে সে তার অবস্থা অনুযায়ী সালাত আদায় করবে। আর সে দৌঁড়ে পালানো বা অন্য যা কিছু করার প্রয়োজন বোধ করবে তার সবকিছুই করবে। তবে যে হক তার ওপর আবশ্যক হয়েছে সে হক থেকে পলায়নকারী যেমন চোর ও তার মত ব্যক্তির জন্য সালাতুল খাওফ আদায় করা বৈধ নয়। কারণ, এটি একটি ছাড়, যা পাপ দ্বারা পাওয়া যায় না।

আল্লাহর কাছে দীনের সঠিক বুঝ প্রার্থনা করছি। এতটুকু আলোচনাতে যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী দারসে আমরা জুমুআর সালাতের বিধান সম্পর্কে আলোচনা করব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন