hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মজলিসের সৌরভ

লেখকঃ তুরকী ইবন ইবরাহীম আল-খানীযান

আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান
এ পাঠে ঈমানের রুকনসমূহ হতে প্রথম রুকন অর্থাৎ, আল্লাহর প্রতি ঈমান নিয়ে আলোচনা করব। এটি চারটি বিষয়কে অর্ন্তভূক্ত করে-

১। আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা। শরীআতের অসংখ্য দলীল ছাড়াও জ্ঞান, বুদ্ধি ও স্বভাব সবই আল্লাহর অস্তিত্বের ওপর প্রমাণ বহন করে। পূর্ব-গবেষণা ও শিক্ষা ছাড়াই প্রতিটি সৃষ্টিকে তার স্রষ্টার প্রতি ঈমানের ওপর সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلا يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ ، أَوْ يُنَصِّرَانِهِ ، أَوْ يُمَجِّسَانِهِ» [ متفق عليه

“সব শিশুই ফিতরাতের ওপর (মুসলিম হয়ে) জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু তার পিতা মাতা তাকে ইয়াহুদী অথবা নাসারা বা অগ্নিপুজক বানায়।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)] আল্লাহর অস্তিত্বের ওপর ‘আকলী (যৌক্তিক) দলিল হলো, আল্লাহ তা‘আলার বাণী,

أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ [ الطور : 35]

“তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?” [আত-তূর : ৩৫] অর্থাৎ. এসব মাখলুককে কোনো স্রষ্টা ছাড়া এমনিতেই সৃষ্টি করা হয়নি, যেমন সে নিজে নিজেকে সৃষ্টি করেনি। সুতরাং এটি স্বীকার করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই যে, এগুলো প্রজ্ঞাবান ক্ষমতাধর আল্লাহর কুদরাতে সৃষ্টি করা হয়েছে। যিনি সৃষ্টি ও সুসম করেন। আর যিনি নিরূপণ করেন অতঃপর পথ দেখান।

২। আল্লাহর প্রতি ঈমান তার রুবূবিয়্যাতের প্রতি ঈমানকে অর্ন্তভুক্ত করে। অর্থাৎ এ কথার প্রতি বিশ্বাস করা যে, এক আল্লাহই হলো রব, প্রতিটি বস্তুর স্রষ্টা, সবকিছুর তিনিই মালিক, সব বিষয়ের তিনি পরিচালক। যেমন, রিযিক দান করা, জীবন দান করা, মৃত্যু দান করা, আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন,

أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ تَبَارَكَ الله رَبُّ الْعَالَمِينَ [ الأعراف : 54].

“জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব।” [আল-আরাফ : ৫৪]

৩। অনুরূপভাবে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা তার উলুহিয়্যাতের প্রতি ঈমান আনাকে অর্ন্তভুক্ত করে। আর তা হলো, ইবাদতে আল্লাহকে একক সাব্যস্ত করা। ফলে ইবাদাতের কোনো অংশকে গাইরুল্লাহর জন্য সোপর্দ করব না। তিনি ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, তাদের থেকে মুক্ত থাকবো। আর এটিই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-এর সাক্ষ্য দানের দাবি।

যে সব ইবাদত কেবল এক আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা ওয়াজিব, সেগুলো অর্ন্তভুক্ত করে- এমন সব প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কথা ও কর্মকে যা আল্লাহ ভালোবাসেন এবং যার প্রতি তিনি খুশি হন। ফলে এটি সালাত, দুআ, জবেহ করা, মান্নত করা, সাহায্য চাওয়া, আশ্রয়া চাওয়া, ভয় করা, আশা করা ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করে।

- আর তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ, যাকে তাওহীদুল ইবাদাহ নামকরণ করা হয়। তাই হচ্ছে সকল আসমানী পয়গামে মূল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا الله وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ [ النحل : 36]

“আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং পরিহার কর তাগূতকে।” [আন-নাহল ৩৬]

ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘তাগুত অর্থ হলো, বান্দা যে উপাস্য বা অনুকরণীয় বা অনুসরণীয় সত্ত্বাকে নিয়ে সীমালঙ্ঘন করে তাই।’

ইমাম মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহহাব রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘তাগুত অসংখ্য। আর তাদের প্রধান হলো পাঁচজন: অভিশপ্ত ইবলিস, যার সম্মতিতে তার ইবাদত করা হয়, যে মানুষকে তার নিজের ইবাদাতের দিকে আহ্বান করে, যে গাইবী ইলমে দাবী করে আর যে আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে বাদ দিয়ে বিচার ফায়সালা করে।’ [ [ইমাম মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহহাব রচিত ছালাছাতুল উসূলি ওয়াআদিল্লাতুহা।]]

৪। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ এবং তাঁর মহৎ গুণসমূহের প্রতি ঈমান আনাকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর তা হলো, আল্লাহ তাঁর নিজের জন্য এবং তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যে সব নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন, তাতে কোন প্রকার বিকৃতি, অর্থহীন করা, পদ্ধতি বর্ণনা করা এবং সদৃশ্য সাব্যস্ত করা ছাড়া তাঁর মর্যাদা অনুযায়ী তাঁর প্রতি বিশ্বাস করা।[ [তাহরীফ ( التحريف ) হলো, শব্দটি যে অর্থ প্রদান করে দলীল ছাড়াই সেই অর্থ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া। আর তা তা‘তীল ( التعطيل ) হলো, আল্লাহর সিফাত অথবা নামসমূহ অসাব্যস্ত করা। আর তাকয়ীফ ( التكييف ) হলো, এ কথা বিশ্বাস করা যে, বিবেক যেমন ধরন চিন্তা করে সেই ধরন অনুযায়ী আল্লাহর সিফাতসমূহ বিশ্বাস করা। আর তামসীল ( التمثيل ) হলো, আল্লাহর সিফাতসমূহকে মাখলুকের সিফাতসমূহের মত মনে করা।]] মহান আল্লাহ বলেন,

لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ [ الشورى : 11]

“তাঁর মতো কিছু নেই, আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [আশ-শূরা : ১১]

সুতরাং, সদৃশ ও ধরন নিষিদ্ধ করা হয়েছে আল্লাহর বাণী ( لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ ) দ্বারা আর বিকৃতি ও অর্থহীন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে আল্লাহর বাণী ( وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ ) দ্বারা।

দানশীল মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন ঈমান দ্বারা আমাদের অন্তরসমূহকে পূর্ণ করে দেন। বিশ্বাসের দ্ধারা অটুট রাখেন এবং ইখলাসের দ্বারা সজ্জিত করেন। এতটুকুতে যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী পাঠে বড় গুনাহ যার দ্বারা আল্লাহর নাফরমানী করা হয়েছে- সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আর তা হলো শির্ক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন