মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হে ঈমানদারগণ ! জুমু’আর দিনে যখন সালাতের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনা-বেচা ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে।” [আল-জুমুআ : ৯]
যে ব্যক্তি কোনো প্রকার উযর ছাড়া জুমুআর সালাত থেকে বিরত থাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
«لَيَنتهِينَّ أقوامٌ عن وَدْعِهم الجُمُعاتِ، أو لَيختمنَّ اللهُ على قلوبِهم، ثم لَيكونُنَّ مِنَ الغافلِينَ» [ رواه مسلم ].
“লোকেরা যেন জুমআ ত্যাগ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকে; নচেৎ আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দিবেন, অতপর তারা অবশ্যই উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে।” [মুসলিম এটি বর্ণনা করেছেন। ( وَدْعِهِمْ ) এর অর্থ ছেড়ে দেয়া, বিরত থাকা।
- এটি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক ও মুকীম পুরুষ যাদের কোনো অপারগতা নাই তাদের ওপর ওয়াজিব।
- যে ব্যক্তি জুমুআতে আসবে তার জন্য মুস্তাহাব হলো গোসল করা, খুশবু লাগানো, সুন্দর কাপড় পরিধান করা এবং তাড়াতাড়ি জুমুআর সালাতে উপস্থিত হওয়া। আর যখন মসজিদে প্রবেশ করবে তখন দুই রাকাত সালাত আদায় করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল হতে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে, অতঃপর বের হয় এবং দু’ জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, অতঃপর তার নির্ধারিত সলাত আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমু‘আহ হতে আরেক জুমু‘আহ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।” [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন]।
- জুমুআর রাতে এবং দিনে নবী সাল্লাল্লাহু আলা্ইহি ওয়াসাল্লামের ওপর বেশি বেশি সালাত পড়া মুস্তাহাব। কারণ, তিনি বলেছেন,
তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমার দিন। এ দিনে আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন, এ দিনে তার জান কবয করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে। এদিনই বিকট শব্দ করা হবে। সুতরাং ঐ দিনে তোমরা আমার উপর বেশী বেশী সালাত পাঠ কর। কেননা, তোমাদের পাঠ করা সালাত আমার কাছে পেশ করা হয়।” [আবূ দাউদ। আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন]।
- যে ব্যক্তি জুমুআর সালাতে উপস্থিত হবে তার জন্য ওয়াজিব হলো খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা এবং কোনোভাবে তার থেকে অমনোযোগী না হওয়া, যেমন, জায়নামায বা মোবাইল বা অন্য কিছু নিয়ে খেলা করা।
“জুম‘আর দিন ইমামের খুতবা প্রদানকালে যখন তুমি তোমার সাথীকে বললে, ‘চুপ করো’ তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,
«وَمَنْ مَسَّ الحَصَا فَقَدْ لَغَا» [ رواه مسلم ].
যে ব্যক্তি কংকর স্পর্শ করল সে অনর্থক কাজ করল।” [মুসলিম এটি বর্ণনা করেছেন]।
- ইমামের সাথে জুমুআর এক রাকাত পেলেই জুমুআর সালাত পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَن أَدْرَك ركعةً من الصَّلاة، فقد أدركَ الصَّلاة» [ متفق عليه ]
“যে ব্যক্তি সালাতের এক রাকাআত পাবে সে (জুমু‘আর) সালাত পাবে।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]
অতএব, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে রুকু পেল সে জুমুআ পেল। অন্যথায় সে যুহরের নিয়তে চার রাকাত আদায় করবে।
আল্লাহ আমাদেরকে জুমুআর দিনের ফযীলতকে গণীমত হিসেবে গ্রহণ করার তাওফীক দান করুন। এ পরিমাণ আলোচনায় যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী দারসে আমরা দুই ঈদের সালাতের বিধানাবলি সম্পর্কে আলোচনা করব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/586/43
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।