hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ব্যক্তি ও সমাজ সংশোধনে ইসলামি দিক নির্দেশনা

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনূ

১২
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কছু আদব ও নম্রতার বর্ণনা
তিনি সর্বোচ্চ দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর সাহাবিদের সর্বদা দয়া ও সম্মান করতেন। যদি তাদের বসার স্থান সঙ্কুচিত হত তখন তাকে প্রশস্ত করতে সচেষ্ট হতেন। করো সাথে সাক্ষাত হলে তিনিই প্রথমে সালাম দিতেন। কারো সাথে মুসাফাহা করলে, উক্ত ব্যক্তি হাত টেনে না নেয়া পর্যন্ত নিজে হাত গুটাতেন না। তিনি অত্যাধিক নম্র ও ভদ্র ছিলেন। যখন কোনো কওমের নিকট গমন করতেন, তখন মজলিসের যেখানেই খালি পেতেন সেখানেই বসতেন এবং সেভাবে বসতে অন্যদের হুকুম করতেন। আর তাঁর নিকট যারা বসতেন, তাদের প্রত্যেকের কথা উত্তমভাবে শ্রবণ করতেন। ফলে তাদের কেউ এতটুকুও ধারণা পোষণ করত না যে অমুক আমার থেকে রাসূলের নিকট অধিক সম্মানীয়। যদি কেউ তাঁর নিকট বসা থাকত, তবে সে না উঠা পর্যন্ত তিনি দন্ডায়মান হতেন না। যদি বিশেষ কোনো কারণে ঐ স্থান ত্যাগ করতে হত, তবে তিনি তার অনুমতি নিয়ে নিতেন। তাঁর সম্মানে দন্ডায়মান হওয়াকে তিনি অপছন্দ করতেন। আনাস ইবনে মালেক রা. বর্ণনা করেন, সাহাবিগণের নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অধিক সম্মানী আর কেউ ছিলেন না। তথাপি তাঁকে দেখলে তারা কেউ দন্ডায়মান হতেন না, কারণ তারা জানতেন যে, এ কাজকে তিনি অপছন্দ করেন। (সহিহ, বর্ণনায় আহমদ ও তিরমিজি)

ব্যাখ্যা: তবে কেউ কারো সাথে দেখা করতে কারো বাড়ী গেলে বাড়ীওয়ালা ঐ মেহমানের সম্মানে দাড়াতে পারেন। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেহমানের সম্মানে এমনটি করতেন। অনুরূপভাবে কেউ সফর থেকে ফেরত আসলে, তার সাথে কোলাকুলি করার জন্যও দাড়ানো জায়েয। কারণ রাসূলুল্লাহর সাহাবিরা এমনটি করতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে কারো দিকে তাকাতেন না, যা সে অপছন্দ করত। রোগীদের দেখতে যেতেন। গরিব মিসকিনদের ভালবাসতেন। তাদের সাথে একত্রে বসতেন। তাদের জানাযায় অংশগ্রহণ করতেন। দরিদ্রকে তার দ্ররিদ্রতার কারণে হীন দৃষ্টিতে দেখততেন না। আর রাজা-বাদশাহকে তার রাজত্বের কারণে ভয় পেতেন না। যে কোনো ক্ষুদ্র নেয়ামত হলেও তার সম্মান করতেন। কোনো অবস্থাতেই কখনও কোনো খাদ্যের দোষ বের করতেন না। পছন্দ হলে গ্রহণ করতেন, না হলে হাত গুটিয়ে থাকতেন। খাদ্য গ্রহণ ও পান করতেন প্রথমে বিসমিল্লাহ বলে ডান হাতে আর খাবার শেষে বলতেন আলহামদু লিল্লাহ। সুগন্ধি (আতর) খুবই পছন্দ করতেন। দুর্গন্ধযুক্ত জিনিসকে অপছন্দ করতেন। যেমন কাঁচা পিয়াজ, রসুন কিংবা এই জাতীয় খাদ্য। এসব জিনিসকে দুর্গন্ধের কারণে অপছন্দ করতেন।

হজ্জ আদায় কালে বললেন:

اللهمَّ هذه حجَّة لاَ رِيَاءَ فِيْهَا وَلَا سُمْعَة ( صحيح رواه احمد والترمذي )

হে আল্লাহ এই হজ্জের মধ্যে কোনো রিয়াও নেই এবং নাম ও খ্যাতি কুড়ানোর উদ্দেশ্যও নেই। (সহিহ, বর্ণনায় আহমদ ও তিরমিজি)

তিনি বসার ব্যাপারে কিংবা পোষাকের ব্যাপারে তার সাহাবিগণ হতে আলাদা কিছু করতেন না। ফলে গ্রাম থেকে আগত লোকজন মজলিসে এসে প্রশ্ন করত, তোমাদের মধ্যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে? তার নিকট সর্বোত্তম পোষাক ছিল কামিজ (টাখনুর মাঝামাঝি পর্যন্ত লম্বা পোষাক) খাদ্য গ্রহণ বা পোষাকের ব্যাপারে কোনো বাড়াবাড়ি করতেন না। মাথায় টুপি ও পাগড়ি পরিধান করতেন আর ডান হাতের অনামিকায় রুপার আংটি পরিধান করতেন। তাঁর দাঁড়ি ছিল লম্বা ও প্রশস্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন