hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ব্যক্তি ও সমাজ সংশোধনে ইসলামি দিক নির্দেশনা

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনূ

৬৮
যে সব গান শ্রবণ করা জায়েয
{গান সম্বন্ধে ইসলামের নির্ধারিত নীতিমালা আছে, যেসব গানে বাদ্য-বাজনা থাকবে তা সর্বাবস্থায় হারাম। আর বাদ্য-বাজনা যদি না থাকে তাহলে দেখতে হবে গানের কোথায় ইসলামি আকিদা ও আমল পরিপন্থী কোনো বক্তব্য আছে কি-না। থাকলে সে গানও না জায়েয। অনুরূপভাবে যেসব গানের মাধ্যমে নারী-পুরুষ একে অপরকে আকর্ষণ করা হয়, মনে কামনা-বাসনা সৃষ্টি হয়, সেসব গানও বৈধ নয়। যেসব গানে ইসলামের সুন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়। শ্রোতাদের ইসলাম, জিহাদ ও ভাল কাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, এর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়, সেসব গানের মাধ্যমে কোনোরূপ ফেতনার আশঙ্কা না থাকলে বাজনা-বাদ্য ছাড়া গাওয়া জায়েয আছে।}

ঈদের গান,

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত:

دَخَلَ رَسُولُ اللهِ صَلي الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا جَارِيَتَانِ تَضْرِبَانِ بِدَفَّيْنِ ( وَفِي رِوَايَةٍ عِنْدِي جَارِيَتَانِ تُغَنِّيَانِ ) فَانْتَهَرَهُمَا ابُوْبَكرٍ فَقالَ صَلي الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعْهُنَّ فَانَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيْدًا وَإنَّ عِيْدَنَا هَذا الْيَوْم ( رواه البخاري )

এক দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন তার ঘরে দুইটি বালিকা দফ বাজাচ্ছিল। অন্য রেওয়ায়েতে আছে গান করছিল। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের ধমক দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদের গাইতে দাও। কারণ প্রত্যেক জাতিরই ঈদের দিন আছে। আর আজকের দিনটি আমাদের ঈদের দিন । (বোখারি)

দফ বাজিয়ে বিয়ে-শাদি প্রচারের জন্য গান গাওয়া আর তাতে মানুষদের উদ্ধুদ্ধ করা। দলিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

فَصْلُ ما بَيْنَ الْحَلَالِ وَالْحَرامِ ضَرْبُ الدَّفِ وَالصَّوْتُ فِي النِّكَاحِ ( رواه أحمد )

বিবাহ-শাদিতে হারাম ও হালালের মধ্যে পার্থক্য হল দফ বাজানো ও আওয়াজ করা। (এই শব্দে বুঝা যায় যে, সেখানে বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে) ( বর্ণনায় আহমদ)

কাজ করার সময় ইসলামি গান শ্রবণ করা, যাতে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে যেসব গানে দোয়া থাকে। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে ইবনে রাওয়াহা রাদিয়াল্লাহু নামক সাহাবির কবিতা আবৃত্তি করতেন। আর সাথিদেরকে খন্দকের যুদ্ধের সময় পরিখা খনন করতে উদ্ধুদ্ধ করতেন এই বলে যে,

اللهم إن العَيْشَ عَيشُ الآخِرَه فَاغفرللأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِره

হে আল্লাহ আখেরাতের জীবন ও আরামই একমাত্র জীবন। সুতরাং আনসার ও মুহাজিরদের ক্ষমা করে দিন।

তখন আনসার ও মুহাজিরগণ উত্তর দিলেন:

نَحْنُ الَّذِيْنَ بَايَعْنَا مُحَمَّدًا عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِيْنَا أَبَدًا

আমরাই হচ্ছি সেসব ব্যক্তিবর্গ যারা মুহাম্মাদের নিকট বাইআত করেছি, জিহাদের জন্য যতদিনই আমরা জীবিত থাকিনা কেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের নিয়ে যখন খন্দক খনন করছিলেন, তখন ইবনে রাওয়াহা রাদিয়াল্লাহু আনহু নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করছিলেন:

والله لو لا الله ما اهتدينا ولا تصدقنا ولا صمنا

فأنزلن سكينة علينا وثبت الأقدام إن لاقينا

إن الألى قد بغوا علينا إذا أرادوا فتنة أبينا

আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ না থাকতেন তাহলে আমরা হেদায়াত পেতাম না। আর সদকা করতাম না, সিয়ামও পালন করতাম না।

তাই আমাদের উপর সাকিনা (শান্তি) নাযিল করুন। আর যখন শত্রুদের মুকাবিলা করব তখন আমাদের দৃঢ়পদ রাখুন।

মুশরিকরা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে, আর যদি তারা কোনো ফিৎনা সৃষ্টি করে, তবে আমরা তা ঠেকাবই।

এর সাথে তারা উচ্চ আওয়াজে বার বার ‘আবাইনা’ শব্দটি উচ্চারণ করছিলেন।

যেসব গানে আল্লাহর তাওহিদের কথা আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও তার শামায়েলের কথা আছে, জেহাদের উৎসাহ ও তাতে দৃঢ় থাকার কথা আছে, চরিত্রকে দৃঢ় করতে উদ্ধুদ্ধ করার কথা আছে, মুসলিমদের একে অন্যের প্রতি মহব্বত ও সম্পর্ক সৃষ্টির প্রতি আহ্বান আছে, যার মাধ্যমে ইসলামের মৌলিক নীতি বা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়। ব্যক্তি ও সমাজকে উপকৃত করে, দ্বীনি আমল ও উন্নত চরিত্র গঠনের দিকে আহ্বান করে এমন গান ইসলামে না জায়েয নয়।

ঈদ ও বিয়ের সময় কেবল মাত্র মহিলাদের জন্য তাদের নিজেদের মধ্যে দফ বাজানোর অনুমতি ইসলাম দিয়েছে। জিকিরের সময় দফ ব্যবহারের অনুমতি ইসলাম কখনই দেয়নি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিকিরের সময় কখনই তা ব্যবহার করেননি। তাঁর পর তাঁর সাহাবিদের কেউ কখনই তা করেননি। পরবর্তী যুগে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এসবের প্রচলন করেছে ভণ্ড সূফি ও পীরেরা । তারা জিকিরে দফ বাজানকে সুন্নত বলে প্রচারণা চালিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করেছে। সঠিক ইসলামি দৃষ্টিকোণে জিকিরে দফ বাজানো সুন্নত তো নয়ই বরং মারাত্মক বিদআত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

ايَّاكُمْ وَمُحْدَثاتِ الْاُمُوْرِ فاِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بدْعَة وكُلُّ بِدْعةٍ ضَلالَة ( رواه الترمذي )

তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন কোনো বিষয় সংযোজন করা হতে বিরত থেকো। কারণ, প্রতিটি নতুন সংযোজনই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী। (তিরমিজি)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন