hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ব্যক্তি ও সমাজ সংশোধনে ইসলামি দিক নির্দেশনা

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনূ

আল্লাহ আরশের উপর আছেন
কোরআন, সহিহ হাদিস, সঠিক বুদ্ধি ও সহিহ অনুভূতি সমস্ত কিছুই উপরোক্ত বক্তব্যকে সমর্থন করে।

১। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা বলেন:

(আরবি)

পরম করুণাময় (আল্লাহ) আরশের উপর আছেন। (সূরা তাহা : ৫ )

সহিহ বোখারিতেও এমনটি বর্ণিত হয়েছে।

২। অন্যত্র বলেন:

(আরবি)

যিনি আসমানে আছেন, (অর্থাৎ আল্লাহ) তিনি তোমাদেরসহ জমিন ধসিয়ে দেয়া থেকে কি তোমরা নিরাপদ হয়ে গেছ... (সূরা মূলক: ১৬ )

ইবনে আব্বাস রা. এই আয়াতের তাফসিরে বলেন, তিনি আল্লাহ। (তাফসিরে ইবনুল জাওযি)।

৩। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:

(আরবি)

তারা তাদের উপরস্থ রবকে ভয় করে। (সূরা নাহল : ৫০ )

৪। আল্লাহ তাআলা নবী ঈসা আলাইহিস সালাম সম্বন্ধে বলেন:

(আরবি)

বরং তিনি (আল্লাহ) তাকে তাঁর নিকটে উঠিয়ে নিয়েছেন। (সূরা নিসা : ১৫৮ )

৫। তিনি আরও বলেন:

(আরবি)

আর তিনিই আল্লাহ যিনি আসমানে আছেন। (সূরা আনআম : ৩ )

এ সমস্ত আয়াতের তাফসিরে ইবনে কাসির রহ: বলেন: তাফসিরকারকগণ এ ব্যপারে একমত হয়েছেন যে, তারা আল্লাহ সম্বন্ধে সেভাবে বর্ণনা করবেন না যেমনটি করেছে জাহমিয়া সম্প্রদায় (এক গোমরাহ দল)। তারা বলে, আল্লাহ সবত্র আছেন। মহান আল্লাহ তাদের এ জাতীয় কথা হতে পবিত্র ও অনেক ঊর্ধ্বে।

তবে মহান আল্লাহ যে বলেছেন,

(আরবি)

তোমরা যেখানেই থাকনা কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন। (সূরা হাদীদ: ৪ )

তার ব্যখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা, যা বর্ণিত আছে তাফসিরে জালালাইন ও ইবনে কাসীরে। এই আয়াতের পূর্বের ও শেষের অংশ এই কথারই ব্যাখ্যা প্রদান করে।

৬। রাসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তম আসমানের উপর উঠান হয়েছিল, তাঁর রবের সাথে কথোপকথনের জন্য। আর সেখানেই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছিল। (বোখারি ও মুসলিম)।

৭। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

ألاَ تأمَنُونيِْْ وَأنا أمِينُ مَنْ فيِ السَّمَاء ( وهو اللهُ ) ( ومعني في السَّماء : علي السَّمَاء ) ( متفق عليه )

তোমরা কি আমাকে আমিন (বিশ্বাসী) বলে স্বীকার কর না? আমি তো সে জাতের নিকট আমিন বলে পরিগণিত যিনি আসমানের উপর আছেন। আল্লাহর নিকট। (বোখারি ও মুসলিম)।

৮। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন:

إرْحَمُوا مَنْ فيِ الارضِ يَرْحَمُكٌمْ مَنْ في السَّمَاء ( أي هو الله ) ( الترمذي وقال حسن صحيح )

যারা জমিনে আছে তাদের প্রতি দয়া কর, তবেই যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের দয়া করবেন। (তিরমিযী হাসান সহিহ)।

৯। অন্য হাদিসে এসেছে:

سأَلَ رَسُولُ الله صلي الله عليه وسلَّمَ : جَارِيَةً فَقَالَ لَهَا : أيْنَ اللهَ؟ فَقَالَتْ في السَّماءِ قَالَ مَنْ أنا؟ قَالَتْ أنْتَ رَسٌولُ اللهِ قَالَ : أعْتِقْهَا فإنَّها مُؤْمِنَةً . ( مسلم )

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রীতদাসীকে জিজ্ঞেস করলেন: বলত আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আসমানে। তারপর তিনি বললেন: বলত আমি কে? সে বলল: আপনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একে মুক্ত করে দাও, কারণ সে মুমিন। (মুসলিম)।

১০। অন্যতো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

وَالْعَرْشُ فَوْقَ الْمَاء وَاللهُ فَوْقَ عَرْشِهِ وَهُوَ يَعْلَمُ مَا انتُمْ عَلَيْهِ . ( حسن رواه أبو داود )

আরশ পানির উপর আর আল্লাহ আরশের উপর তৎসত্তেও, তোমরা কি করবা না কর তিনি তা জ্ঞাত আছেন। (আবু দাউদ হাসান)।

১১।আবু বকর রা. বলেছেন:

ومَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ فَانَّ اللهَ فيِ السماء حَيٌّ لا يمُوتُ ( رواه الدارمي في الرد غلي الجهمية باسناد صحيح )

যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করে (সে জেনে রাখুক) নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আসমানের উপর জীবিত আছেন, কখনই মৃত্যুমুখে পতিত হবেন না। (সুনানে দারেমি সহিহ সনদ) জাহমীয়াদের প্রতি উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

১২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারককে র. প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমরা কিভাবে আমাদের রব সম্বন্ধে জানতে পারব? উত্তরে বলেন: তিনি আসমানে আরশের উপর আছেন, সৃষ্টি হতে আলাদা হয়ে। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের জাত আরশের উপর আছেন, সৃষ্টি থেকে আলাদা হয়ে। তার ইই উপরে থাকা সৃষ্টির সাথে কোন সামঞ্জস্য নেই।

১৩। চার ইমামগণই এ ব্যাপারে একমত যে, তিনি আরশের উপর আছেন তিনি তাঁর কোন সৃষ্টির সাথে তুলনীয় নন।

১৪। মুসল্লী সিজদায় বলেন: (আমার মহান উচু রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। দোয়া করার সময় সে তার হস্তদয়কে আসমানের দিকে উত্তলন করে।

১৫। যখন বাজ্জাদের প্রশ্ন করা হয়, বলত আল্লাহ কেথায়? তখন তারা তাদের স্বভাবজাত প্রবৃত্তির বশে বলে: তিনি আসমানে।

১৬। সুস্থ বুদ্ধি, বিবেক, আল্লাহ যে আসমানে আছেন তা সমর্থন করে। যদি তিনি সর্বত্রই বিরাজমান হতেন তবে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জানতেন এবং সাহাবীদের শিক্ষা দিতেন। দুনিয়ার বুকে এমন অনেক নাপাক অপবিত্র জায়গা আছে যেখানে তাঁর থাকার প্রশ্নই উঠে না।

১৭। যদি বলা হয়, আল্লাহ পাক তার জাত সহকারে আমাদের সাথে সর্বস্থানে আছেন, তবে তার জাতকে বিভক্ত করতে হয়। কারণ, সর্বত্র বলতে বহু জায়গা বুঝায়। এটাই ঠিক যে আল্লাহ তাআলার পবিত্র জাত এককই। তাকে কোন অবস্থাতেই বিভক্ত করা যায় না। তাই ঐ কথার কোন মূল্য নেই, যে তিনি সর্বত্র বিরাজমান। আর এটা ছাবেত যে, তিনি আসমানে আরশের উপর আছেন। তাঁর শ্রবেনর, দেখার ও জ্ঞানের দ্বারা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন