hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

One Hadith a Day (সহীহ বুখারী থেকে ৩৬৫টি হাদীস ও শিক্ষা)

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৩৮৮
আমাদের সমাজে প্রচলিত ৩৬৫ টি জাল/দুর্বল হাদীস
১. আবু যার (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সর্বত্তোম কাজ হ’ল আল্লাহর জন্য ভালবাসা করা এবং আল্লাহর জন্য শত্রতা। করা। (যঈফ আবুদাউদ)

২. মুআয ইবনু জাবাল (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেন, জান্নাতের চাবি হচ্ছে “লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু’ বলে সাক্ষ্য দান। করা । (যঈফ আহমাদ)

৩. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে দুই রকমের লোক রয়েছে, তাদের জন্য ইসলামের কোন অংশ নেই; মুর্জিয়া ও কৃান্দারিয়া । (যঈফ তিরমিযী)

৪. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, আমি রসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে তাক্বদীর সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবে, কিয়ামতে তাকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সে সম্পর্কে আলোচনা করবে না তাকে প্রশ্নও করা হবে না। (যঈফ ইবনে মাজাহ)

৫. আবু সাঈদ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, কাফিরের জন্য কবরে নিরানব্বইটি সাপ নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো তাকে কিয়ামত পর্যন্ত কামড়াতে ও দংশন করতে থাকবে। যদি একটি সাপ যমীনে নিঃশ্বাস ফেলে, তাহলে যমীনে কখন তৃণ জন্মাবে না। (যঈফ। দারেমী, যঈফ তিরমিযী)

৬. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না, যে পর্যন্ত না তার প্রবৃত্তি আমি যা এনেছি তার অধীন না হয় । (যঈফ মিশকাত)

৭. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, একদিন রসূল (ﷺ) আমাকে বললেন, হে বৎস! তুমি যদি এরূপে সকাল-সন্ধ্যা কাটাতে পার যে, তোমার অন্তরে কারো জন্য হিংসা-বিদ্বেষ নেই, তবে তাই কর। অতঃপর রসূল (ﷺ) বললেন বাবা! ইহা তোমার সুন্নাতের অন্তর্গত এবং যে আমার সুন্নাতকে ভালবাসে সে আমাকে ভালবাসে, আর যে আমাকে ভালবাসিবে সে জান্নাতে আমার সহিত থাকবে । (যঈফ তিরমিযী)

৮. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিভ্রান্তির সময় আমার উম্মত আমার সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য একশত শহীদের সওয়াব রয়েছে। (যঈফ মিশকাত)

৯. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল খাবে এবং সুন্নাতের সহিত আমল করবে এবং যার অনিষ্ট হতে লোক নিরাপদ থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহর রসূল (ﷺ) এরূপ লোকতো আজকাল অনেক । রসূল (ﷺ) বললেন, আমার পরবর্তী যুগসমূহেও এরূপ লোক থাকবে । (যঈফ তিরমিযী)

১০. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা এমন যামানায় আছ, যে যামানা তোমাদের কেউ যদি তার প্রতি। নির্দেশিত বিষয়ের এক দশমাংশের সাথেও আমল করে সে মুক্তি পাবে। (যঈফ তিরমিযী)

১১. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, শরী'আতের বিষয় তিন প্রকারঃ

(১) যার হিদায়াত সম্পূর্ণ পরিষ্কার, সুতরাং তার অনুসরণ করবে

(২) যার গোমরাহী সম্পূর্ণ পরিষ্কার, সুতরাং তা পরিহার করবে এবং

(৩) যাতে মতানৈক্য রয়েছে। তাকে আল্লাহর উপর সোপর্দ করবে । (যঈফ মিশকাত)

১২. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, একদা রসূল (ﷺ) আমদের বললেন, (আমার পর) লোক তোমাদের অনুসরণকারী হবে। আর দিকদিগন্ত হতে লোক তোমাদের নিকট দ্বীনের জ্ঞান লাভ করার উদ্দেশ্যে আসবে। সুতরাং যখন তারা তোমাদের নিকট আসবে তখন তোমরা তাদের সদুপদেশ দিবে । (যঈফ তিরমিযী)

১৩. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, জ্ঞানের কথা জ্ঞানীর হারান ধন। সুতরাং যেখানে যার নিকটে পাবে সে-ই তার অধিকারী। (যঈফ তিরমিযী)

১৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, একজন ফক্বীহ শয়তানের পক্ষে এক হাজার আবেদ অপেক্ষাও মারাত্মক । (জাল তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

১৫. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, ইলম সন্ধান করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয এবং অপাত্রে ইলম স্থাপনকারী যেন শূকরের গলায় জহরত, মুক্তা বা স্বর্ণ স্থাপনকারী । (যঈফ ইবনে মাজাহ)

১৬. সাখবারা আযদী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলম সন্ধান করবে তার জন্য উহা পূর্ববর্তী পাপ সমূহের কাফফারা হয়ে যাবে । (জাল তিরমিযী)।

১৭. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, ইলম তিন ধরনের । মুহকাম আয়াত, প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত, ফরয আদেল এর বাহিরে যা রয়েছে তা অতিরিক্ত । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ ইবনে মাজাহ)।

১৮. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) রসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন যে, এমন সময় সমাগত প্রায় মানুষ ইলমের সন্ধানে দুনিয়া ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোথাও মদীনার আলেমের অপেক্ষা অধিক বিজ্ঞ আলেম পাবেনা। (যঈফ তিরমিযী)

১৯. হাসান বসরী (রহ.) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যার মৃত্যু এসে গেছে এমন অবস্থায়, যখন সে ইসলামকে জিন্দা করার উদ্দেশ্যে ইলম সন্ধানে মশগুল আছে, জান্নাতে তার ও নবীদের মধ্যে মাত্র এক ধাপের পার্থক্য থাকবে । (যঈফ দারেমী, যঈফ। মিশকাত)

২০. ওয়াছেলা ইবনু আসল্কা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলম সন্ধান করেছে এবং তা লাভ করতে পেরেছে, তার জন্য দুই গুণ সওয়াব রয়েছে। আর যদি তা লাভ করতে না পারে, তাহলে তার জন্য একগুণ সওয়াব রয়েছে। (যঈফ দারেমী, যঈফ মিশকাত)

২১. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রাতের কিছু সময় ইলমের আলোচনা করা পূর্ণ রাত্রি জাগরণ অপেক্ষা উত্তম। (যঈফ। দারেমী, যঈফ মিশকাত)

২২. আবু দারদা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) -কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রসূল ! ইলমের কোন্ সীমায় পৌছলে এক ব্যক্তি ফকীহ হতে পারে? উত্তরে রসূল (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনের ব্যাপারে ৪০টি হাদীস মুখস্থ করেছে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে ফক্বীহরূপে উঠাবেন। এছাড়া কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী ও সাক্ষী হব । (জাল বায়হাক্কী)

২৩. আমাশ (রহ.) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, ভুলে যাওয়া হচ্ছে ইলমের পক্ষে আপদস্বরূপ। ইলমকে নষ্ট করা হচ্ছে অনুপযুক্ত লোককে বলা । (যঈফ দারেমী, যঈফ মিশকাত)

২৪. আবু দারদা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, কিয়ামতের দিন মর্যাদার দিক দিয়ে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক মন্দ সে ব্যক্তিই হবে, যে তার ইলম দ্বারা উপকৃত হতে পারেনি। (যঈফ দারেমী, যঈফ মিশকাত)

২৫. হাসান বসরী (রহ.) বলেন, ইলম দুই প্রকার। এক প্রকার ইলম হচ্ছে আত্মীয়, আর এটাই হল উপকারী ইলম । আর এক প্রকার ইলম হচ্ছে। মুখে, তা হল মানুষের বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষে দলীল। (যঈফ দারেমী, যঈফ মিশকাত)

২৬. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেন, অচিরেই মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে তখন নাম ব্যতীত ইসলামের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, অক্ষর ব্যতীত কুরআনের কিছু বাকী থাকবে না। তাদের মসজিদ সমূহে আবাদ হবে কিন্তু তা হবে হিদায়াতশূন্য। তাদের আলেমরা হবে আকাশের নীচে সর্বনিকৃষ্ট লোক। তাদের নিকট থেকে ফিৎনা প্রকাশ পাবে। অতঃপর বিপর্যয় তাদের দিকেই ফিরে যাবে। (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)

২৭. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ইলম দ্বারা কারও উপকার সাধিত হয় না, উহা এমন এক ধন-ভাণ্ডারের ন্যায়, যা হতে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করা হয় না। (যঈফ দারেমী, যঈফ। মিশকাত)

২৮. জাবের (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, জান্নাতের চাবি হল সলাত । আর সলাতের চাবি হল পবিত্রতা। (যঈফ তিরমিযী)

২৯. বানী সুলাইম গোত্রের এক ব্যক্তি বলেন, একবার রসূল (ﷺ) এই পাঁচটি কথা আমার হাতে অথবা তাঁর নিজের হাতে গুণে গুণে বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা হল পাল্লার অর্ধেক আর ‘আলহামদুলিল্লাহ' বলা পূর্ণ করে উহাকে এবং আল্লাহু আকবার’ আসমান ও যমীনের মধ্যখানে যা আছে তাকে পূর্ণ করে । সিয়াম হল ধৈর্যের অর্ধেক এবং পবিত্রতা হল। ঈমানের অর্ধেক । (যঈফ তিরমিযী)

৩০. আব্দুল্লহ্ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় ওযূ সেই ব্যক্তির উপর ওয়াজিব যে কাত হয়ে ঘুমিয়েছে। কেননা যখন কেউ কাত হয়ে ঘুমায় তখন তার শরীরের বন্ধনসমূহ শিথিল হয়ে পড়ে। (যঈফ তিরমিযী)

৩১. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) যখন পায়খানায় যেতেন, নিজের আংটিটি খুলে রাখতেন। (মুনকার হিসেবে যঈফ আবুদাউদ, যঈফ তিরমিযী, যঈফ নাসাঈ)

৩২. আব্দুল্লাহ ইবনু সারজেস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন গর্তে পেশাব না করে । (যঈফ নাসাঈ)

৩৩. ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, একবার রসূল (ﷺ) আমাকে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, হে ওমর! দাঁড়িয়ে পেশাব করনা। অতঃপর আমি দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি। (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

৩৪. আবু আইয়ুব (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, চারটি বিষয় নবীদের সুন্নাত। (ক) লজ্জা করা। (খ) সুগন্ধি ব্যবহার করা (গ) মিসওয়াক করা ও (ঘ) বিবাহ করা। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

৩৫. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে সলাত মিসওয়াক করে আদায় করা হয় সেই সলাত মিসওয়াক করা বিহীন সলাতের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী নেকী হয় । (যঈফ বায়হাকী)

৩৬. উবাই ইবনু কা'ব (রাদিআল্লাহু আনহু) রসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, ওযুর জন্য একটি শয়তান রয়েছে, যাকে বলা হয় ‘ওলাহান'। সুতরাং পানির কুমন্ত্রণা হতে সতর্ক থাকবে । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ তিরমিযী)

৩৭. আব্দুল্লাহ ইবনু যায়েদ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) একদা ওযূ করলেন দুই দুইবার করে এবং বললেন, এটা এক নূরের উপর আর এক নূর । (জাল মিশকাত)

৩৮. আবু রাফে (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) যখন সলাতের জন্য ওযূ করতেন, তখন আপন আঙ্গুলে পরিহিত আংটিকে নেড়ে দিতেন। (যঈফ দারাকুত্রী, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৩৯. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত আছে, নবী কারীম (ﷺ) চারটি কারণে গোসল করতেন- নাপাকীর কারণে, জুম'আর দিনে, শিঙ্গা লাগানোর কারণে ও মুরদাকে গোসলদানের কারণে । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

৪০. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) নাপাকীর গোসল করতেন, অতঃপর আমাকে জড়িয়ে ধরে শরীর গরম করতেন আমার গোসল করার পূর্বেই । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

৪১. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, ঋতুবতী ও অপবিত্র ব্যক্তি কুরআনের কোন অংশ পড়বে না । (মুনকার তিরমিযী)

৪২. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, একদা রসূল (ﷺ) বললেন : এই সকল ঘরের দরজা মসজিদের দিক হতে (অন্য দিকে) ফিরিয়ে দাও। কারণ আমি মসজিদকে ঋতুবতী স্ত্রীলোক ও নাপাক ব্যক্তির জন্য জায়েয মনে করি না । (যঈফ আবুদাউদ)

৪৩. ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রৌদ্রে গরম করা পানি দ্বারা গোসল করিও না। কেননা, ইহা শ্বেত-কুষ্ঠা সৃষ্টি করে । (যঈফ দারাকুত্রী, যঈফ মিশকাত)

৪৪. মুগীরা ইবনু শো'বা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে নবী কারীম (ﷺ) -কে ওযূ করিয়েছি। তিনি মোজার উপর দিক ও উহার নীচের দিক উভয়ই মাসহে করেছেন। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ)।

৪৫. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, যখন আমি ঋতুবতী থাকতাম, তখন বিছানা হতে মাদুরে নেমে আসতাম। তখন আমরা তাঁর নিকট যেতেম না, যে পর্যন্ত না আমরা পবিত্র হতাম । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ। মিশকাত)।

৪৬. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রসূল (ﷺ) বলেছেন, হে আলী! তিনটি বিষয়ে বিলম্ব কর না। সলাত, যখন তার সময় আসে, জানাযা। যখন উপস্থিত হয়, স্বামীহারা নারী, যখন তুমি সমগোত্র ও সমশিল্প বর পাও। (যঈফ তিরমিযী)।

৪৭. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, সলাতের প্রথম সময় হচ্ছে আল্লাহ্র সন্তোষ এবং শেষ সময় হচ্ছে আল্লাহর ক্ষমা। (জাল তিরমিযী)

৪৮. সালমান (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রসূল (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ভোরে ফযরের সলাতের দিকে গেল, সে ঈমানের পতাকা নিয়ে গেল। আর যে ভোরে (সলাত না আদায় না করে) বাজারের দিকে গেল, সে শয়তানের পতাকা নিয়ে গেল । (যঈফ ইবনে মাজাহ)

৪৯. বেলাল (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) আমাকে বলেছেন, কোন সলাতই ‘তাসবীব’ করবে না ফযরের সলাত ব্যতীত । (যঈফ তিরমিযী)

৫০. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়তে সাত বছর আযান দিবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি নির্ধারিত। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৫১. আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, মুসলিমদের দুইটি বিষয় মুআযযিনদের ঘাড়ে ঝুলে বয়েছে। সিয়াম এবং তাদের সলাত। (যঈফ ইবনে মাজাহ)।

৫২. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) নিষেধ করেছেন সাত জায়গায় সলাত আদায় করতে, আবর্জনা ফেলার স্থানে, যবেহখানায়, কবরস্থানে, পথিমধ্যে, গোসলখানায়, উটশালায় এবং বায়তুল্লাহ্র ছাদে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৫৩. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, কোন কিছুই সলাত নষ্ট করতে পারে না, তথাপি বাধা দিবে সম্মুখ দিয়ে গমকারীকে তোমাদের সাধ্যানুযায়ী। নিশ্চয়ই উহা শয়তান। (যঈফ আবুদাউদ)

৫৪. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যদি তোমাদের কেউ জানত, সলাতের মধ্যে তার মুছল্লী ভাইয়ের সম্মুখ দিয়ে এলোপাতাড়ি গমনে কী ক্ষতি রয়েছে, তাহলে সে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকাকে উত্তম মনে করত। (যঈফ ইবনে মাজাহ)।

৫৫. জাবের ইবনু সামুরা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বৃহস্পতিবার দিবাগত সন্ধ্যায় মাগরিবের সলাতে ‘সূরা কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ও ‘সূরা কুল হুয়াল্লাহু আহাদ পড়তেন। (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ। মিশকাত)

৫৬. উরওয়া (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আবুবকর (রাদিআল্লাহু আনহু) একবার ফযরের সলাত পড়লেন এবং এর উভয় রাকআতেই সূরা বাক্বারা পড়লেন। (যঈফ মিশকাত)

৫৭. ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রসূল (ﷺ) -কে দেখেছি, তিনি যখন সিজদা করতেন, হাতের পূর্বে হাঁটু যমীনে রাখতেন এবং যখন উঠতেন তখন হাঁটুর পূর্বে হাত উঠাতেন। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ তিরমিযী, যঈফ নাসাঈ, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৫৮. আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, নবী কারীম (ﷺ) তর্জনী দ্বারা ইশারা করতেন যখন তাশাহহুদ পড়তেন, কিন্তু সেটাকে নাড়তেন না। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ নাসাঈ)।

৫৯. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) সলাতে ঠেস দিয়ে বসতে নিষেধ করেছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রসূল (ﷺ) হাতের উপর ভর দিতে নিষেধ করেছেন। (যঈফ আবুদাউদ)

৬০. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) প্রথম দুই রাকআতের পরের বৈঠক হতে এত তাড়াতাড়ি উঠতেন যেন তিনি উত্তপ্ত পাথরের উপর বসেছেন। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ তিরমিযী, যঈফ নাসাঈ)

৬১. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, যে ব্যক্তি নবী কারীম (ﷺ)-এর উপর একবার দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ। তার উপর ৭০ বার দুরূদ পাঠ করবেন। (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

৬২. রুওয়াইফে ইবনু ছাবেত আনছারী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের উপর দুরূদ পাঠ করবে এবং বলবে, “হে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাঁকে আপনি আপনার নিকট সম্মানিত স্থান দান করুন তার জন্য আমার শাফা'আত অবধারিত হবে । (যঈফ মিশকাত)

৬৩. সামুরা ইবনু জুনদুব (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) আমাদেরকে ইমামের সালামের উত্তর দিতে, অন্যকে ভালবাসতে ও সালাম দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

৬৪. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, একদা রসূল (ﷺ) বললেন, বৎস! সলাতের মধ্যে কখনও এদিক সেদিক দেখবে না। সলাতের মধ্যে এদিক সেদিক দেখা ধ্বংসের কারণ । একান্তই যদি দেখতে হয় তাহলে নফলে, ফরযে নয়। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

৬৫. আদী ইবনু ছাবেত (রাদিআল্লাহু আনহু) তার পিতার সূত্রে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, হাঁচি, তন্দ্রা ও হাই তোলা সলাতের মধ্যে আর হায়েয ও বমি আসা এবং নাক হতে রক্ত পড়া শয়তানের পক্ষ হতে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

৬৬. আবু যর গেফারী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ সলাতে দাঁড়ায় তখন সে যেন তার সম্মুখের কংকর মুছার চেষ্টা না করে। কারণ আল্লাহর রহমত তার সম্মুখীন রয়েছে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ আবুদাউদ, যঈফ নাসাঈ, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৬৭. উম্মু সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) আফলাহ নামক আমাদের এক যুবককে দেখলেন, সে যখন সিজদা করতে যায় ফুঁ দেয় তখন রসূল (ﷺ) বললেন, হে আফলাহ! তোমার মুখমণ্ডলে ধূলাবালি লাগতে দাও। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

৬৮. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আপন সলাতের শেষ দিকে সালামের পূর্বক্ষণে বসে বাতকর্ম করে, তাহলে তার সলাত হয়েছে। (যঈফ তিরমিযী)

৬৯. ইমরান ইবনু হুছাইন (রাদিআল্লাহু আনহু) নবী (ﷺ) তাদের ইমামতি করলেন এবং সলাতে ভুল করলেন। অতঃপর দুইটি সিজদা করলেন তারপর তাশাহহুদ পড়লেন এবং সালাম ফিরালেন। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ আবুদাউদ)।

৭০. জাবের ইবনু আব্দুল্লহ্ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, সলাত দেরী করে আদায় করবে না- খাওয়ার জন্য হোক অথবা অপর কোন আবশ্যকে । (যঈফ মিশকাত)

৭১. আবু মূসা আশআরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, দুই ব্যক্তি বা তদপেক্ষ অধিক সংখ্যক হলেই জামাআত হয় । (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

৭২. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ ‘সলাত’ পাঠান কাতারের ডান দিকের লোকদের প্রতি । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

৭৩. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, উত্তম লোকেরাই যেন তোমাদের আযান দেয় এবং তোমাদের ইমামতি যেন তোমাদের ক্বারীগণই করে । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৭৪. সালামা বিনতে হুর (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের আলামত সমূহের মধ্যে এটাও একটি। মসজিদে সমবেত মুছলীগণ একে অন্যকে ঠেলে দিবে; কিন্তু তাদের সলাত পড়াতে পারে এমন কোন উপযুক্ত ইমাম পাবে না। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৭৫. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) আছরের পূর্বে দুই রাক'আত (নফল) সলাত আদায় করতেন। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

৭৬. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে মাগরিবের পর ছয় রাক'আত সলাত পড়েছে, ঐ সময়ে ওদের মধ্যে সে কোন মন্দ বাক্য উচ্চারণ করেনি, তার সেই সলাত বার বছরের ইবাদতের সমান গণ্য করা হবে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

৭৭. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাকআত সলাত পড়েছে, আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একখানা ঘর তৈরী করবেন । (জাল তিরমিযী, মিশকাত)

৭৮. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) যখনই ইশার সলাত পড়ে আমার ঘরে প্রবেশ করতেন তখনই তিনি চার রাকআত অথবা ছয় রাকআত সলাত পড়তেন। (যঈফ আবুদাউদ)

৭৯. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) মাগরিবের পর দুই রাকআত সুন্নাতে ক্বিরাআত এত দীর্ঘ করতেন যে, ততক্ষণে সমস্ত লোক মসজিদ হতে বিদায় হয়ে যেত। (যঈফ আবুদাউদ)

৮০. হুযায়ফা (রাদিআল্লাহু আনহু) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি এটাও বলেছেন, রসূল (ﷺ) বলতেন, মাগরিবের পর দুই রাকআত তাড়াতাড়ি পড়বে। কেননা, উহা ফরযের সাথে উপরে উঠান হয় । (যঈফ বায়হাকী, যঈফ মিশকাত)।

৮১. বুরায়দা পবলেন, আমি রসূল (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, বিতর হক; সুতরাং যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর হক, সুতরাং যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর হক, সুতরাং যে বিতর পড়বে না সে আমাদের দলের অন্তর্ভুক্ত নয়। (যঈফ। আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

৮২. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বিতর তিন রাকআত পড়তেন যাতে মুফাছছাল সূরা সমূহের নয়টি সূরা পড়তেন। প্রত্যেক রাকআতে তিনটি করে যার শেষ সূরা ছিল ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ। (যঈফ তিরমিযী)

৮৩. আবু মূসা আশআরী (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রসূল (ﷺ) বলেছেন, অর্ধ শা'বানের রাত্রিতে আল্লাহ তা'আলা অবতীর্ণ হন এবং মাফ করে দেন তাঁর সকল সৃষ্টিকে মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তি ব্যতীত। (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)।

৮৪. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পূবাহের বার রাকআত সলাত পড়বে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

৮৫. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি যোহার দুই রাকআত সলাত পড়ার প্রতি লক্ষ্য রাখবে, তার গোনাহ মাফ করা হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয় । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৮৬. নাফে’ বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) তাঁর পুত্র ওবায়দুল্লাহকে সফরে নফল সলাত পড়তে দেখতেন, কিন্তু তাঁকে বাধা দিতেন না। (যঈফ মিশকাত)

৮৭. সামুরা ইবনু জুনদুব (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে বিনা ওযরে জুম'আর সলাত ছেড়ে দিয়েছে, সে যেন এক দীনার দান করে। যদি ততে সমর্থ না হয় তবে, অর্ধ দীনার । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ নাসাঈ)

৮৮. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) রসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আযান শ্রবণ করেছে তার উপর জুম'আর সলাত ফরয। (যঈফ আবুদাউদ)

৮৯. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রয়োজন ছাড়া জুমু'আর সলাত ছেড়ে দিল সে মুনাফিক বলে লেখা হয়েছে এমন কিতাবে, যার লিখা মুছিয়ে ফেলা যায় না এবং পরিবর্তন করাও হয় না। অপর বর্ণনায় আছে, তিনবার ছেড়ে দিয়েছে। (যঈফ দারাকুত্রী, যঈফ মিশকাত)

৯০. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে ইমামের খুৎবা দানকালে কথা বলে, সে হল গাধার ন্যায়, যে বোঝা উঠায় এবং যে তাকে বলে চুপ কর তার জন্যও জুমু'আ নেই । (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)।

৯১. বারা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, মুসলিমদের দায়িত্ব হল, তারা যেন জুমু'আর দিনে গোসল করে এবং তাদের প্রত্যেকে যেন আপন পরিবারে কোন সুগন্ধি থাকলে তা গ্রহণ করে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

৯২. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) নিষেধ করেছেন, আমরা যেন শিং ভাঙ্গা ও কান কাটা পশু দ্বারা কুরবানী না করি। (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ তিরমিযী)

৯৩. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) মদীনায় দশ বছর বছর অবস্থান করেছেন আর বরাবর কুরবানী করেছেন। (যঈফ তিরমিযী)

৯৪. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, নবীগণের মধ্যে এক নবী লোকদের নিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনায় বের হলেন। দেখলেন একটি পিঁপড়া নিজের পা দুইটি আকাশের দিকে উঠিয়ে রেখেছে। এটা দেখে নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা ফিরে যাও। এই পিঁপড়াটির কারণে তোমাদের প্রার্থনায় সাড়া দেয়া হয়েছে। (যঈফ। দারাকুত্রী, যঈফ মিশকাত)

৯৫. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে উত্তমরূপে ওযু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে তার কোন মুসলিম ভাইকে দেখতে যাবে, তাকে জাহান্নাম হতে ষাট বছরের পথ দূরে রাখা হবে। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)।

৯৬. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যখন কোন রোগীর নিকট যাবে, তার জীবন সম্পর্কে তাকে সান্ত্বনা দান করবে। ইহা নিয়তির কোন কিছু উল্টাতে পারবে না; কিন্তু তার মন সান্ত্বনা লাভ করবে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ)

৯৭. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন বান্দার গোনাহ অধিক হয়ে যায় এবং সে সকলের প্রায়শ্চিত্তের মত তার কোন নেক আমল না থাকে, আল্লাহ তা'আলা তাকে বিপদ ও চিন্তাগ্রস্ত করেন যাতে তার সে সকল গোনাহর প্রায়শ্চিত্ত করে দিতে পারেন। (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

৯৮. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, নবী কারীম (ﷺ) তিন দিনের পূর্বে কোন পীড়িতকে দেখতে যেতেন না । (যঈফ ইবনে মাজাহ)

৯৯, ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, সফরের মউত শাহাদত । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১০০. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে রুগ্নাবস্থায় মারা গেছে, সে শহীদ হয়ে মারা গেছে, তাকে কবর-আযাব হতে রক্ষা করা হবে এবং সকাল-সন্ধ্যা তাকে জান্নাতের রিযিক দেওয়া হবে । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১০১. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, মৃত্যু হল মুমিনের তোহফা । (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)

১০২. মা'কেল ইবনু ইয়াসার (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট ‘সূরা ইয়াসীন’ পড়বে । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ ইবনে মাজাহ)

১০৩. মুহম্মাদ ইবনু মুনকাদির (রহ.) বলেন, আমি সাহাবী জাবের ইবনু আব্দুল্লাহর নিকট পৌছলাম, তখন তিনি মুমূর্ষ অবস্থায়। আমি বললাম, রসূল (ﷺ) -কে আমার সালাম দিবেন। (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১০৪. উবাদা ইবনু ছামেত (রাদিআল্লাহু আনহু) রসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, উত্তম কাফন হচ্ছে হুল্লাহ এবং উত্তম কুরবানীর পশু হচ্ছে শিংওয়ালা দুম্বা । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১০৫. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের ভাল কার্যসমূহের উল্লেখ করবে এবং তাদের মন্দ কার্যসমূহের উল্লেখ হতে বিরত থাকবে। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ। তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১০৬. আবু মূসা আশআরী (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের নিকট দিয়ে কোন লাশ অতিক্রম করবে, ইহুদী, খৃস্টানের, মুসলিমের হোক, তোমরা তার জন্য দাঁড়াবে। কারণ তোমরা তার সম্মানে দাঁড়াচ্ছো না, দাঁড়াচ্ছে তার সাথে যে সকল ফিরিশতা রয়েছেন তাঁদের সম্মানার্থে । (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১০৭. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) -কে তাঁর মাথার দিক হতে কবরে নামানো হয়েছিল । (যঈফ মিশকাত)

১০৮. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, একবার নবী কারীম (ﷺ) একটি কবরে প্রবেশ করলেন রাতে । তাই তাঁর জন্য বাতি জ্বালান হল, অতঃপর তিনি মুর্দাকে কিবলার দিক হতে গ্রহণ করলেন এবং বললেন, আল্লাহ তোমায় রহম করুন! তুমি ছিলে বড় কোমল প্রাণ, বড় কুরআন তেলাওয়াতকারী। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১০৯. আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রসূল (ﷺ) –কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন মরবে, তাকে ঘরে আবদ্ধ রাখবে না তাড়াতাড়ি তাকে কবরে পৌছে দিবে। তার মাথার নিকট সূরা বাকারার প্রথমাংশ এবং পায়ের দিকে বাকারার শেষের দিক পাঠ করবে । (যঈফ বায়হাকী, যঈফ মিশকাত)

১১০. আবু রাফে’ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) সা'দ ইবনে মুআযকে কবরে নামিয়েছিলেন এবং তাঁর কবরের উপর পানি ছিটিয়ে ছিলেন। (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১১১. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) অভিশাপ দিয়েছেন বিলাপকারিণীকে ও শ্রবণকারিণীকে। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১১২. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান করে, তার বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির ন্যায় সওয়াব রয়েছে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১১৩. আবু বারযা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সন্তানহারা স্ত্রীলোককে সান্ত্বনা দান করবে, তাকে জান্নাতে একটি ডোরাদার কাপড় পরান হবে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)।

১১৪. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কারও জুতার ফিতা ছেড়ে যাবে, তখন সে যেন ‘ইন্নালিল্লা-হি’ পড়ে! কারণ ইহাও বিপদের অন্তর্ভুক্ত। (যঈফ বায়হাকী, যঈফ মিশকাত)

১১৫. মুহাম্মাদ ইবনু নু'মান (রহ.) নবী কারীম (ﷺ) -এর নাম করে বলেন যে, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমু'আর দিন আপন মাবাবা অথবা তাঁদের মধ্যে একজনের কবর যিয়ারত করবে, তাকে মাফ করে দেয়া হবে এবং মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহারকারী বলে লেখা হবে । (জাল বায়হাক্বী, মিশকাত)

১১৬. ইবনু ফেরাসী হতে বর্ণিত আছে, তার পিতা ফেরাসী বলেছেন, আমি একদা রসূল (ﷺ) -কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল (ﷺ) আমি কি কারও নিকট কিছু চাইতে পারি? নবী কারীম বললেন, যদি অগত্যা তোমার তা চাইতে হয়, তবে নেক ব্যক্তিদের নিকট চাইবে । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১১৭. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, কারও আপন জীবনকালে এক দিরহাম দান করা তার মৃত্যুকালে একশত দিরহাম দান করা অপেক্ষা অধিক উত্তম। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ। মিশকাত)

১১৮. আবু দারদা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে মৃত্যুকালে দান করে অথবা দাসদাসী মুক্ত করে, তার উদাহরণ সেই ব্যক্তির, যে পেট ভরে খাওয়ার পর হাদিয়া দেয়। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ। আবুদাউদ)

১১৯. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, এই দুইটি স্বভাব কোন মুমিনের মধ্যে একত্র হতে পারে না- কৃপণতা ও দুর্ব্যবহার । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)।

১২০. আবুবকর ছিদ্দীক (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, জান্নাতে প্রবেশ করবে না প্রতারক, কৃপণ এবং যে ব্যক্তি দান করে খোটা দেয় । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১২১. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা দানের ব্যাপার তাড়াতাড়ি করবে। কারণ বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না । (যঈফ মিশকাত)

১২২. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) রসূল (ﷺ) বলেছেন, দান আল্লাহ তা'আলার ক্রোধকে প্রশমিত করে এবং মন্দ-মৃত্যু রোধ করে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)।

১২৩. জাবের (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর নামে কিছু চাওয়া যায় না জান্নাত ব্যতীত । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১২৪. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, কোন ভুখ প্রাণীকে তৃপ্তি করে খাওয়ানোই হল শ্রেষ্ঠ দান। (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)

১২৫. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, যখন রমাদান মাস উপস্থিত হত, রসূল (ﷺ) সমস্ত কয়েদীকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক যাঞ্চাকারীকে দান করতেন। (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)

১২৬. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, তাঁর উম্মতকে মাফ করা হয় রমাদান মাসের শেষ রাতে। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রসূল ! এটা কি কদরের রাত্রি? রসুল (ﷺ) বললেন, না; বরং এই কারণে যে, কর্মচারীর বেতন দেয়া হয় যখন সে তার কর্ম শেষ করে । (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১২৭. মু'আয ইবনু যুহরা বলেন, নবী (ﷺ) যখন ইফতার করতেন বলতেন, আল্লাহ আমি তোমারই জন্য সিয়াম রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিকে সিয়াম খুলেছি। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১২৮. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) সিয়াম অবস্থায় তাঁকে চুম্বন করতেন এবং তার জিহ্বা চুসতেন। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১২৯. আমের ইবনু রবীআ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)-কে সিয়াম অবস্থায় অসংখ্যবার মিসওয়াক করতে দেখেছি। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১৩০. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে রমাদানের একটি সিয়াম ভেঙ্গেছে কারণ ও রোগ ব্যতীত, তার উহা পূরণ করবে না সারা জীবনের সিয়াম- যদিও সে সারা জীবন সিয়াম রাখে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ আবুদাউদ, যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১৩১. আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তিন জিনিস সায়েমদের সিয়াম নষ্ট করে না- শিঙ্গা লাগানো, বমি করা, স্বপ্নদোষ । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৩২. সালামা ইবনু মুহাব্বাক (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যার এমন বাহন রয়েছে যা তাকে আরামের সাথে সাথে ঘরে পৌঁছে। দিবে, সে যেন সিয়াম রাখে যেখানেই সে সিয়াম পায়। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১৩৩. আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, সফর অবস্থায় রামাদানের সিয়াম মুক্বীম অবস্থায় ইফতারকারীর ন্যায় । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১৩৪. নাফে’ আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, যে রমাদানের সিয়াম মাথায় রেখে মরে গেছে, তার পক্ষ হতে প্রত্যেক দিনের পরিবর্তে যেন একজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ান হয় । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১৩৫. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) এক মাসের শনি, রবি ও সোমবার সিয়াম রাখতেন আর অপর মাসের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৩৬. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে, রসূল (ﷺ) আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১৩৭. উম্মু সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) অপর দিনে সিয়াম রাখার চেয়ে শনি-রবিবারেই অধিক সিয়াম রাখতেন এবং বলতেন, এ দুইদিন মুশরিকদের পর্বের দিন। অতএব, এ ব্যাপারে আমি তাদের খেলাফ করাকে ভালবাসি। (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১৩৮. হাফছা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, চারটি বিষয় এমন যেগুলিকে নবী কারীম (ﷺ) কখনও ছাড়তেন না-আশুরার সিয়াম, যিলহজ্জের প্রথম দশকের সিয়াম, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের সিয়াম এবং ফযরের পূর্বের দুই রাকাত সুন্নত। (যঈফ নাসাঈ, যঈফ মিশকাত)

১৩৯. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) আইয়ামে বীযের সিয়াম সফরে ছাড়তেন না। (যঈফ নাসাঈ, যঈফ মিশকাত)

১৪০. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন রসূল (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের যাকাত রয়েছে এবং শরীরের যাকাত হল সিয়াম। (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১৪১. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে এক দিন সিয়াম রাখবে, আল্লাহ তা'আলা তাকে জাহান্নাম হতে দূরে রাখবেন একটি কাক বাচ্চা কাল। থেকে অতি বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা পর্যন্ত যতদূর উড়ে যেতে পারে ততদূরে । (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১৪২. আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, একবার রসূল (ﷺ) - কে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেন, উহা পূর্ণ রমাদানেই রয়েছে। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১৪৩. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, নবী কারীম (ﷺ) ইতিকাফ অবস্থায় হাঁটতে পথের এদিক সেদিক গিয়ে ও না দাঁড়িয়ে রোগীর অবস্থা জিজ্ঞেস করতেন। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১৪৪. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে যে, রসূল (ﷺ) ই'তিকাফকারী সম্পর্কে বলেছেন, সে গোনাহসমূহ হতে বেঁচে থাকে এবং তার জন্য নেকীসমূহ লেখা হয় ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে (বাহিরে থেকে) যাবতীয় নেক কাজ করে । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১৪৫. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে পেটে কুরআনের কোন অংশ নেই, তা শূন্য ঘরতুল্য। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ। মিশকাত)

১৪৬. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং সেটাকে মুখস্থ রেখেছে অতঃপর তার হালালকে। হালাল এবং হারামকে হারাম জেনেছে, তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তি সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন, যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়েছিল । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ ইবনে মাজাহ)।

১৪৭. আল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে সূরা হা-মীম আল-মুমিন-ইলাইহিল মাছীর এবং আয়াতুলকুরসী পড়বে, তার দ্বারা তাকে হিফাযতে রাখা হবে সন্ধ্যা পর্যন্ত আর যে তা সন্ধ্যায় পড়বে, তার দ্বারা তাকে হিফাযতে রাখা হবে সকাল পর্যন্ত। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৪৮, আবু দারদা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথমের তিন আয়াত পড়বে, তাকে দাজ্জালের ফিতনা হতে নিরাপদে রাখা হবে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)।

১৪৯. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি কৃলব রয়েছে, আর কুরআনের কলব হল ‘সূরা ইয়াসীন’ । যে সেটা পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার বিনিময়ে দশ বার কুরআন খতমের সওয়াব নির্ধারণ করবেন। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৫০. আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির এক হাজার পূর্বে সূরা ত্ব-হা’ ও ‘ইয়াসীন’ পাঠ করলেন। তখন ফিরিশতারা শুনে বললেন, ধন্য সেই জাতি, যাদের উপর এটা নাযিল হবে, ধন্য সেই পেট যে সেটা ধারণ করবে এবং ধন্য সেই মুখ যে সেটা উচ্চারণ করবে। (যঈফ মিশকাত)

১৫১. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ‘সূরা হা-মীম দুখান’ পড়ে সকালে উঠে এমতাবস্থায় তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন। (জাল তিরমিযী, মিশকাত)

১৫২. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে জুম'আর রাতে ‘সূরা হা-মীম দুখান’ পড়বে, তাকে মাফ করা হবে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৫৩. ইরবায ইবনু সারিয়া (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রসূল (ﷺ) শয়নের পূর্বে ‘মুসাব্বিহাত (হাদীদ, হাশর, ছফ, জুমুআহ, তাগাবুন) পাঠ করতেন এবং বলতেন, ঐ আয়াতগুলোর মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা হাজার আয়াত অপেক্ষাও উত্তম। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৫৪. আব্দুল মালেক ইবনু ওমায়র (রাদিআল্লাহু আনহু) মুরসালরূপে বর্ণনা করেন যে, রসূল (ﷺ) বলেছেন, সূরা ফাতিহায় সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে। (যঈফ বায়হাকী, যঈফ মিশকাত)

১৫৫. উসমান ইবনু আফফান (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা আলে ইমরানের শেষের দিক পড়বে, তার জন্য পূর্ণ রাত্রি সলাতে অতিবাহিত করার সওয়াব লেখা হবে । (যঈফ মিশকাত, যঈফ দারেমী)

১৫৬. কা'ব ইবনু মালেক (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রসূল (ﷺ) বলেছেন, জুম'আর দিন তোমরা সূরা হুদ পড়বে । (যঈফ মিশকাত, যঈফ দারেমী)

১৫৭. আতা ইবনু আবু রাবাহ্ (রহ.) বলেন, আমার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে একথা পৌছেছে যে, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনের প্রথম দিকে ‘সূরা ইয়াসীন’ পড়বে, তার সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে । (যঈফ দারেমী, যঈফ। মিশকাত)

১৫৮. মা’কেল ইবনু ইয়াসার মুযানী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে শুধু আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে ‘সূরা ইয়াসীন’ পড়বে, তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করা হবে, সুতরাং তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট সূরা ইয়াসীন পড়। (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)

১৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি শীর্ষস্থান রয়েছে, আর কুরআনের শীর্ষস্থান হল সূরা বাক্বারাহ এবং প্রত্যেক জিনিসের একটি সার রয়েছে, আর কুরআনের সার হর ‘মুফাছছাল’ সূরা সমূহ। (যঈফ দারেমী, যঈফ। তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৬০. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রসূল (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক জিনিসের একটি শোভা রয়েছে, আর কুরআনের শোভা হল ‘সূরা আর রহমান’ । (যঈফ মিশকাত)

১৬১. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াক্আি পড়বে, কখনও সে দারিদ্রে পতিত হবে না। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এটা পড়তে বলতেন। (যঈফ বায়হাকী, যঈফ মিশকাত)

১৬২. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) সূরা সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ’লাকে ভালবাসতেন। (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১৬৩. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, একদিন রসূল (ﷺ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি প্রত্যহ হাজার আয়াত পড়তে পারে না? সাহাবীগণ বললেন, কে প্রত্যহ হাজার আয়াত পড়তে পারবে? তখন তিনি বললেন, হতে কি তোমাদের কেউ প্রতিদিন সূরা ‘আলহাকুমুততকাছুর’ পড়তে পারে না? (যঈফ দারেমী, যঈফ মিশকাত)

১৬৪. আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল বলেছেন, দু'আ হল ইবাদতের মগজ। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৬৫. ইবনু মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নিকট অনুগ্রহ চাও। তিনি তাঁর নিকট চাওয়াকে পছন্দ করেন। আর মসীবত হতে মুক্তির অপেক্ষা করা শ্রেষ্ঠ ইবাদত । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৬৬, ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যার জন্য দু'আর দরজা খোলা, তার জন্য রহমতের দরজাই খোলা হয়েছে এবং আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা অপেক্ষা প্রিয়তর কোন জিনিসই চাওয়া হয় না। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৬৭. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য অনুপস্থিত ব্যক্তির দু'আই সত্বর কবুল হয় । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১৬৮. সায়েব ইবনু ইয়াযীদ আপন পিতা উয়াযীদ হতে বর্ণনা করেন যে, নবী কারীম (ﷺ) যখন হাত উঠিয়ে দু’আ করতেন, তখন হাত দ্বারা চেহারা মাসেহ করতেন। (যঈফ মিশকাত)

১৬৯. উম্মে হাবীবা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আদম সন্তানের প্রত্যেক কথাই তার পক্ষে ক্ষতিকর, কল্যাণকর নয় । সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজ হতে নিষেধ অথবা আল্লাহর যিকির ব্যতীত। (যঈফ। তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৭০. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর যিকির ছাড়া বেশী কথা বল না। কারণ আল্লাহর যিকির ছাড়া বেশী কথা অন্তর শক্ত হওয়ার কারণ। আর শক্ত দিল ব্যক্তিই হচ্ছে আল্লাহ হতে অনেক দূরে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৭১. যুবায়র (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, এমন কোন ভোর নেই যাতে আল্লাহর বান্দারা উঠেন, আর একজন ঘোষণাকারী এরূপ ঘোষণা না করেন, পবিত্র বাদশাহর পবিত্রতা বর্ণনা কর । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)।

১৭২. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, প্রশংসা করা হল সেরা কৃতজ্ঞতা। যে বান্দা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে তাঁর প্রশংসা করে না। (যঈফ বায়হাকী, যঈফ মিশকাত)

১৭৩. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন প্রথমে যাদেরকে জান্নাতের দিকে ডাকা হবে, তারা হবেন ঐ সমস্ত লোক যারা সুখে-দুঃখে সকল সময় আল্লাহর প্রশংসা করে। থাকেন। (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)।

১৭৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘সুবহা-নাল্লাহ’ হল পাল্লার অর্ধেক, ‘আলহামদু লিল্লাহ' উহাকে পূর্ণ করে এবং “লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু’ এর সম্মুখে কোন পদা নেই, যতক্ষণ না তা আল্লাহর নিকটে পৌছে। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৭৫. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হল নিরানব্বইটি রোগের ঔষধ, যাদের সহজটা হল চিন্তা। (যঈফ মুসতাদরাক, যঈফ মিশকাত)

১৭৬. ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সর্বদা ক্ষমা চায় আল্লাহ তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা হতে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা হতে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিযিক দান করেন এমন স্থান থেকে যা সে ভাবেইনি । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)।

১৭৭. আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, রসূল (ﷺ) বলতেন, হে আল্লাহ! আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা ভাল কাজ করে খুশী হয় এবং মন্দ কাজ করে ক্ষমা চায় । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ মিশকাত)

১৭৮. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ ভালবাসেন সেই মু'মিনকে যে পাপ করে তওবা করে । (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)।

১৭৯. আবু যর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাকে মাফ করে দেন, যাবৎ পর্দা না পড়ে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল ! পর্দা কী? তিনি বললেন, কোন ব্যক্তির মুশরিক অবস্থায় মরা। (যঈফ মিশকাত)

১৮০. আবু মালেক আল-আশআরী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে তখন সে যেন বলে, ‘আল্লাহ আমি তোমার নিকট আগম ও নির্গমনের মঙ্গল চাই। তোমার নামে আমি প্রবেশ করি। আমাদের রব্ব আল্লাহর নামে ভরসা করলাম। অতঃপর যেন আপন পরিবারের লোকদের প্রতি সালাম দেয়। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)

১৮১. ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) পাঁচটি বিষয় হতে পানাহ চাইতেন- কাপুরুষতা, কৃপণতা, বয়সের মন্দতা, অন্তরের ফিতনা ও কবরের আযাব হতে। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ নাসাঈ, যঈফ মিশকাত)

১৮২. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে, রসূল (ﷺ) বলতেন, “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট সত্যের বিরুদ্ধাচরণ, কপটতা ও চরিত্রের অসাধুতা হতে পরিত্রাণ চাই'। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ। নাসাঈ, যঈফ মিশকাত)

১৮৩. মু'আয (রাদিআল্লাহু আনহু) নবী কারীম (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাও লালসা হতে, যা মানুষকে দোষের দিকে নিয়ে যায় । (যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১৮৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর তার সন্তানদের মধ্যে যারা বালেগ তাদেরকে ইহা শিখিয়ে দিতেন, আর যারা বালেগ নয় কাগজে লিখে তাদের গলায়। ঝুলিয়ে দিতেন। (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৮৫. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, একটি দু'আ আমি রসূল (ﷺ) হতে স্মরণ করেছি, যা আমি কখনও ছাড়ি না । হে আল্লাহ! আমাকে এরূপ করুন যাতে আমি সম্মানের সাথে আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, বেশী করে আপনাকে স্মরণ করতে পারি, আপনার উপদেশ পালন। করতে পারি এবং আপনার হুকুম রক্ষা করতে পারি । (যঈফ মিশকাত)

১৮৬. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলতেন, হে আমি আপনার নিকটে স্বাস্থ্য, পবিত্রতা, আমানতদারী, উত্তম চরিত্র ও আপনার নির্দেশের উপর সন্তুষ্ট থাকার তাওফীক্ব কামনা করছি। (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)

১৮৭. উম্মে মা'বাদ (রাদিআল্লাহু আনহা) বলেন, আমি রসূল (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরকে কপটতা হতে, আমার কাজকে লোক দেখানো হতে, আমার যবানকে মিথ্যা হতে এবং আমার চক্ষুকে খিয়ানত করা হতে পবিত্র করুন। আপনি অবগত আছেন চক্ষুর লুকোচুরি ও অন্তরের কারসাজির ব্যাপারে । (যঈফ বায়হাক্বী, যঈফ মিশকাত)

১৮৮, ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমাকে রসূল (ﷺ) এই দু'আ শিক্ষা দিয়েছেন, তুমি বল, হে আল্লাহ! আপনি আমার ভিতরকে বাহির হতে উত্তম করুন এবং বাহিরকে পুন্যময় করুন। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট চাই তুমি যা মানুষকে ভাল দান করেছেন তা পরিবার, মাল ও সন্ত নি, যারা পথভ্রষ্ট বা পথভ্রষ্টকারী নয় । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৮৯, আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ পৌছার পথ খরচের মালিক হয়েছে, অথচ হাজ্জ করেনি, সে ইহুদী খ্রীস্টান হয়ে মারা যাক; এতে কিছু আসে যায় না। এজন্য যে, আল্লাহ বলেন, মানুষের প্রতি বায়তুল্লাহ্ হাজ্জ ফরয, যখন সে পর্যন্ত পৌছার সামর্থ্য লাভ করেছে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৯০. ইবনু ওমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন তুমি কোন হাজীর সাক্ষাৎ পাবে তখন তাকে সালাম করবে, মুছাফাহা করবে। প্রবেশের পূর্বে। কারণ হাজী হল গোনাহ মাফ করা পবিত্র ব্যক্তি। (যঈফ। আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১৯১. উমারা ইবনু খুযায়মা ইবনু ছাবেত তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নবী কারীম (ﷺ) যখন তালবিয়া হতে অবসর গ্রহণ করলেন, আল্লাহর নিকট তাঁর সন্তোষ প্রার্থনা করলেন ও জান্নাত চাইলেন। অতঃপর তাঁর নিকট জান্নামের আগুন হতে ক্ষমা চাইলেন তাঁর রহমতের উসীলায় । (যঈফ মিশকাত)।

১৯২. মুহাজেরে মাক্কী বলেন, একদা জাবের (রাদিআল্লাহু আনহু)-কে জিজ্ঞেস করা হল, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ দেখবে সে দুআয় হাত উঠাবে কি-না? উত্তরে তিনি বললেন, আমরা নবী কারীম (ﷺ) -এর সাথে হাজ্জ করেছি; কিন্তু এইরূপ করিনি। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)।

১৯৩. তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ ইবনু কারীয (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রসূল (ﷺ) বলেছেন, শয়তানকে কোনদিন এত অধিক অপমানিত, অধিক ধিকৃত, অধিক হীন ও অধিক রাগান্বিত দেখা যায় না আরাফার দিন। অপেক্ষা। যেহেতু সে দেখতে থাকে যে, বান্দাদের প্রতি আল্লাহর রহমত নাযিল হচ্ছে এবং তাদের বড় বড় পাপ মাফ করা হচ্ছে; কিন্তু যা দেখা গিয়েছিল বদরের দিনে; জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, বদরের দিন কী দেখা গিয়েছিল? উত্তরে তিনি বললেন, সেদিন সে নিশ্চিতরূপে দেখেছিল যে, জিবরীল (আ.) ফিরিশতাদেরকে সারিবন্দী করছেন। (যঈফ মালেক, যঈফ মিশকাত)

১৯৪. জাবের (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে, রসূল (ﷺ) বলেছেন, শিকারের গোশত ইহরামেও তোমাদের জন্য হালাল-যদি না তোমরা নিজেরা উহা শিকার কর অথবা তোমাদের জন্য শিকার করা হয়। (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ নাসাঈ)

১৯৫. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, হুদায়বিয়ার বৎসর তাঁরা যে পশু কুরবানী করেছিলেন (পরবর্তী বৎসরের) কাযা উমরায় তার পরিবর্তে অন্য পশু কুরবানী করতে । (যঈফ আবুদাউদ, যঈফ মিশকাত)।

১৯৬. আইয়াশ ইবনু আবু রবীয়া মাখযুমী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, এই উম্মত কল্যাণের সাথে থাকবে, যাবৎ তারা মক্কার এই সম্মান পূর্ণভাবে বজায় রাখবে । যখন তারা ইহা বিনষ্ট করবে ধবংস হয়ে যাবে । (যঈফ ইবনে মাজাহ, যঈফ আহমাদ, যঈফ মিশকাত)

১৯৭. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রসূল (ﷺ) বলেছেন, ইসলামী জনপদ সমূহের মধ্যে মদীনা সবশেষে ধবংস হবে । (যঈফ তিরমিযী, যঈফ মিশকাত)

১৯৮. জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ বাজালী (রাদিআল্লাহু আনহু) নবী কারীম (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা আমার প্রতি ওহী। করেছিলেন, এই তিনটির মধ্যে যেটিতেই আপনি অবতরণ করবেন সেটিই হবে আপনার হিজরতস্থল- মদীনা, বাহরাইন ও কিন্নাসরীন। (জাল তিরমিযী, মিশকাত)

১৯৯, মিসওয়াকসহ এক রাক'আত সলাত মিসওয়াক ছাড়া ৭০ রাকায়াতের চেয়ে উত্তম। (জাল হাদীস)

২০০. যে ব্যক্তি ওযূ থাকা অবস্থায় ওযু করে আল্লাহ তার আমলনামায় ১০টি নেকি লিখেন। (জাল হাদীস)

২০১. ওযূ যে করল এবং হাত দিয়ে ঘাড় মাসেহ করল, কিয়ামত দিবসে তার ঘাড়ে বেড়ী পড়ানো হবে না। (জাল হাদীস)

২০২. প্রচন্ড শীতে যে ওযূ করে তার জন্যে রয়েছে দ্বিগুণ প্রতিদান আর প্রচন্ড গরমে ওযূ করলে সে পাবে এক গুণ সওয়াব। (জাল হাদীস)

২০৩. কেউ ওযূ করে শোবার পর সে রাতে মারা গেলে সে শহীদ হিসেবে তার মৃত্যু গণ্য হবে। (জাল হাদীস)

২০৪. এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি সলাত ছেড়ে দিয়েছি। রসূল (ﷺ) বললেন, পরিত্যক্ত সলাতের কাযা আদায় কর। লোকটি বললো, কিভাবে কাযা পড়বো? রসূল (ﷺ) বললেন, প্রত্যেক সলাতের সাথে অনুরূপ (ওয়াক্তের) সলাত পড়ে নাও। লোকটি বললো? ওয়াক্তিয়া সলাতের পর নাকি আগে? রসূল (ﷺ) বললেন, না (বরং) আগে । (জাল হাদীস)

২০৫. মুয়াজ্জিনকে আযান দিতে এবং তালবীয়া পাঠকারীকে (হাজী) তালবীয়া পাঠ করা অবস্থায় কবর থেকে বের করা হবে এবং উচ্চস্বরে মুয়াজ্জিনকে ক্ষমা করা হবে । (জাল হাদীস)

২০৬. মুয়াজ্জিনের আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ বলার সময় তর্জনী আংগুলের উপরি পেট দিয়ে উভয় চক্ষু মাসেহ করা...। (জাল হাদীস)

২০৭. যে ব্যক্তি মসজিদে দুনিয়াদারীর কথা বলে আল্লাহ তার আমল নষ্ট করে দেন। (জাল হাদীস)।

২০৮. মসজিদে কথা বলা নেক আমলকে এমনভাবে খেয়ে ফেলে যেমন চতুষ্পদ জন্তু ঘাস তৃণলতা খেয়ে ফেলে। (জাল হাদীস)

২০৯. যে ব্যক্তি মসজিদে বাতি দেয় ৭০ হাজার ফিরিশতা সে বাতি নিভানো পর্যন্ত তার জন্যে দু'আ করে, আর যে ব্যক্তি মসজিদে বিছানা বিছিয়ে দেয় ৭০ হাজার ফিরিশতা সে বিছানা ছিড়ে না যাওয়া পর্যন্ত তার জন্যে দু’আ করতে থাকে । (জাল হাদীস)

২১০. যে ব্যক্তি ফরয আদায় করলো আল্লাহর কাছে তার দু’আ গ্রহণীয় । (জাল হাদীস)

২১১. সবচেয়ে সুন্দর চেহারা বিশিষ্ট লোকটি কওমের ইমামতি করবেন। (জাল হাদীস)

২১২. যে ব্যক্তি ফযর সলাত জামায়াতের সাথে আদায় করলো সে যেনো আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে ৫০টি হাজ্জ্ব করলো। (জাল হাদীস)

২১৩. সলাতের জন্যে ইকামত দিলে ফরয সলাত ছাড়া অন্য কারো সলাত নেই, তবে ফযরের দু'রাক'আত সুন্নত পড়া যাবে। (জাল হাদীস)

২১৪. আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর ফিরিশতাকুল জুমু'আর দিনে পাগড়ীসহ সলাত আদায়কারীর উপর রহমত বর্ষণ করেন। (জাল হাদীস)।

২১৫. যে এক বৎসর পর্যন্ত যত্নসহকারে আযান দেয় তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। হয়ে যায় । (জাল হাদীস)

২১৬. টুপীর উপর পাগড়ি পরিধান করা আমাদের ও মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্য চিহ্ন স্বরূপ। বিচার দিনে মাথায় বাঁধা পাগড়ির প্রতিটি ভাজে নূর দান করা হবে । (জাল হাদীস)

২১৭. রসূল (ﷺ) জুমুআর (দু'রাক'আতের) আগে ও পরে কোন বিরতি ছাড়া ৪ রাকআত করে সলাত পড়তেন। (জাল হাদীস)

২১৮. যে মসজিদে বাতি দেয় ঐ বাতিতে এক ফোঁটা তৈল থাকা পর্যন্ত ফিরিশতাগণ তার জন্যে দু'আ করতে থাকেন। (জাল হাদীস)।

২১৯. মদীনার মসজিদে জুমু'আর সলাত আদায় করা অন্য মসজিদে ১ হাজার সলাত আদায় করার সমান অথবা তথায় রমাদান মাসের ১ মাস সিয়াম। রাখা অন্য মাসের ১০০০ মাস সিয়াম রাখার সমান। (জাল হাদীস)

২২০. পাগড়ীসহ দু'রাকআত, পাগড়ী ব্যতীত ৭০ রাকআত সলাতের চেয়ে উত্তম । (জাল হাদীস)

২২১. আমি জান্নাতে প্রবেশ করে মর্মর পাথরের প্রাসাদ দেখলাম যার মাটি খামিরা হয়েছে মিশ দিয়ে। আমি জিব্রাইলকে (আলাইহিস সালাম) জিজ্ঞেস করলাম : এটা কার জন্যে তৈরী করা হয়েছে? তিনি বললেন - আপনার উম্মতের মুয়াযযিন ও ইমামদের জন্যে । (জাল হাদীস)

২২২. তিনি (রসূল) শুধুমাত্র সলাতের শুরুতেই হস্তদ্বয় উঠাতেন (রফেঈ ইয়াদাইন) তারপর তিনি আর এ কাজটি পুনরায় করতেন না। (জাল হাদীস)

২২৩. রমাদান মাসে তিনি (রসূল) ২০ রাক'আত এবং বিতর সলাত জামায়াত ছাড়া পড়তেন। (জাল হাদীস)

২২৪. যে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাতে জাগ্রত থাকে তার হৃদয় কখনও মৃত্যুবরণ করবে না অথচ সেদিন সকলের হৃদয় মরে যাবে । (জাল হাদীস)

২২৫. যে ব্যক্তি জুমুআর দিন রাতে রোগীদের সেবা করে, গরীবকে খাওয়ায় এবং জানাযায় শরীক হয়, ৪০ বৎসর পর্যন্ত তাকে গুনাহ স্পর্শ করবে না। (জাল হাদীস)

২২৬. যে সলাতে দুই হাত উপরে উঠায় (রফেঈ ইয়াদাইন) তার সলাত শুদ্ধ নয় । (জাল হাদীস)

২২৭. যে ইমামের পিছনে ইকতাদা করে ক্বিরাত পড়ে তার মুখ আগুন দিয়ে ভরে দেয়া হবে । (জাল হাদীস)

২২৮. সলাতুস তাসবীহ নামে সলাত আদায় করা। (জাল হাদীস)

২২৯, যে ব্যক্তি জুমু'আর দিন যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে দু'রাকআত। সলাতের ১ম রাকআতে ফাতিহা ও আয়াতুল কুরসী ১ বার, ফালাক ২৫ বার এবং ২য় রাক'আতেফাতিহা, ইখলাস ও নাস ২৫ বার পড়বে এবং সালামান্তে লা-হাওলা ওলা কুয়্যাতা- পড়বে সে স্বপ্নযোগে আল্লাহকে এবং জান্নাতে নিজের স্থান না দেখে মৃত্যুবরণ করবে না। (জাল হাদীস)

২৩০. যে ব্যক্তি আশুরার দিন যোহর ও আসরে মধ্যবর্তী সময় ৪ রাক'আত সলাত পড়বে। প্রত্যেক রাকআতেফাতিহা ১ বার আয়াতুল কুরসী ১০ বার ...। (জাল হাদীস)

২৩১. ঈদুল ফিতরের পর ১২ রাক'আত এবং ঈদুল আযহার পর ৬ রাক'আত সলাত পড়া সুন্নত। (জাল হাদীস)

২৩২. ঈদের রাতে ৬ রাক'আত সলাত পড়লে পরিবারের এমন লোকদের জন্যে শাফায়াত করা যাবে যাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল । তাকে ফিরাউনের স্ত্রী আসিয়ার মতো সওয়াব দান করবেন। (জাল হাদীস)

২৩৩. যে ব্যক্তি রমাদানের শেষ জুমুআর দিন রাতে ৫টি ফরয সলাত আদায় করবে তার পরিত্যক্ত সুন্নতগুলো আদায় হয়ে যাবে । (জাল হাদীস)

২৩৪. যে মুমিন বান্দা জুমার রাতে দু'রাক'আত সলাত প্রত্যেক রাকআতেফাতিহা এবং ২৫ বার ইখলাস পড়বে। তারপর সালামান্তে ১ হাজার বার দরুদ পাঠ করবে সে আমাকে স্বপ্নে দেখবে। আর যে আমাকে স্বপ্নে দেখবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দিবেন। (জাল হাদীস)

২৩৫. যে ব্যক্তি যোহরের আগের ৪ রাকআত সলাত সব সময় না পড়বে সে আমার শাফায়াত পাবে না । (জাল হাদীস)

২৩৬. রাতের প্রথম ভাগে বিতর পড়লে শয়তান অসন্তোষ হয় এবং শেষরাতে সেহরী খেলে (রহমান) আল্লাহ খুশী হন । (জাল হাদীস)

২৩৭. মাগরিবের প্রতি রাকআতে ৪০ বার ইখলাসসহ ১০ রাকআত সলাত আদায় করা। (জাল হাদীস)

২৩৮. যাকাত আদায় কর এবং এদ্বারা আহলে ইলমের অন্বেষণ কর, কেননা এটাই অধিক নেক ও তাকওয়ার নীতি। (জাল হাদীস)

২৩৯. শুল্ক ও উশর (এক দশমাংশ) উভয়ই মুমিনের উপর একত্রিত হয় না। (জাল হাদীস)

২৪০. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে : আর ঘরের যাকাত হলো আতিথেয়তা। (জাল হাদীস)

২৪১. সাহায্য প্রার্থনাকারীদের দান কর; যদিও সে ঘোড়ায় চড়ে আসে। (জাল হাদীস)

২৪২. মানুষের কাছে হাত পাতা গর্হিত কাজ; এর চেয়ে জঘন্য ও অশ্লীল আর কোনো কাজ নেই। (জাল হাদীস)

২৪৩. যার কাছে সদাকা করার মতো কিছু নেই সে যেনো ইহুদীকে ভৎসনা করে। কেননা এটাই তার জন্যে সদাকাহ। (জাল হাদীস)

২৪৪. যে ব্যক্তি তার ভাইকে উদর পূর্তি করে রুটী খাওয়াবে এবং তৃষ্ণা মিটায়ে পানি পান করাবে । আল্লাহ তার থেকে দোযখ ৭টি পরিখা পরিমাণ দূরে নিয়ে যাবে । একেকটি পরিখার দূরত্ব হবে ৫শ’ বৎসরের রাস্তায় সম পরিমাণ । (জাল হাদীস)

২৪৫. যদি তুমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে চাও এমতাবস্থায় যে তিনি তোমার উপর সন্তুষ্ট তাহলে তিনি যে রিক দান করেছেন তা খরচ করতে একটুও কৃপণতা করো না এবং কোনো সাহায্য প্রার্থীকেই বঞ্চিত করো না। (জাল হাদীস)

২৪৬. যে ব্যক্তি ক্ষুধার্তকে উদরপূর্তি করে খাওয়ায় এবং দোষকে গোপন রাখে। তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেয়া হয় । (জাল হাদীস)

২৪৭. যে ব্যক্তির ব্যবহার ভালো তার প্রতি আকর্ষিত হওয়া হৃদয়ের প্রকৃতি আর অসদাচারণ ব্যক্তির প্রতি স্বভাবতই বিদ্বেষ জন্মে। (জাল হাদীস)

২৪৮. যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের উপকার করার চেষ্টা করে তার আগে পরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয় । (জাল হাদীস)

২৪৯. সিয়াম রেখে সুস্থ্য থাকো। (জাল হাদীস)

২৫০. সিয়াম পালনকারীর প্রতিটি পশম আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে। প্রত্যেক সিয়াম পালনকারী নর-নারীর জন্যে কিয়ামত দিবসে আরশের নীচে স্বর্ণখচিত পাত্র রাখা হবে । (জাল হাদীস)

২৫১. তিন ধরনের লোকদের খানা-পিনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে না । সিয়াম পালন কারী, রাত্রি জাগরণকারী, আবেদ এবং মেজবান। তিন ধরনের লোকদের অসৎ চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। রোগী, সিয়াম পালনকারী এবং ন্যায়পরায়ণ ইমাম । (জাল হাদীস)

২৫২. যে ব্যক্তি সিয়াম পালনকারীকে হালাল খাদ্য ও পানীয় দ্বারা ইফতার করায় ফিরিশতাকুল তার জন্য মাগফিরাত কামনা করে থাকেন। (জাল হাদীস)

২৫৩. রজব মাস অবশ্যই মস্তবড় মাস। যে ব্যক্তি এ মাসে একটি সিয়াম পালন করলো তাকে সহস্র বৎসরে সিয়াম পালনের সওয়াব দেয়া হবে...। (জাল হাদীস)

২৫৪. আশুরার দিন চোখে সুর্মা দিলে তার চোখ কখনো খারাপ হবে না। (জাল হাদীস)

২৫৫. রমাদান মাসের প্রথম রাতে মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকেন। আর আল্লাহ তা'আলা যখন কোন বান্দার প্রতি দৃষ্টি দেন তাকে কখনই শাস্তি পেতে হবে না। আল্লাহ তা'আলা রমাদানের প্রতিরাতে হাজার হাজার ব্যক্তিকে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। (জাল হাদীস)

২৫৬. যে রমাদান মাসে ১০ দিনে ইতিকাফ করল সে যেনো দু'টি হাজ্জ ও দু'টি ওমরাহ আদায় করল । (জাল হাদীস)

২৫৭. প্রত্যেক দুর্বলের জন্যে হাজ্জ হলো জিহাদ। (জাল হাদীস)

২৫৮. যে ব্যক্তি বৃষ্টির দিনে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করে প্রত্যেক ফোঁটার বিনিময়ে তার একটি নেকী লেখা হয় এবং অন্য একটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয় । (জাল হাদীস)

২৫৯. (শয়তানকে) কংকর নিক্ষেপ ব্যতীত কারো হাজ্জ কবুল হয় না । (জাল হাদীস)

২৬০. হাজী সাহেব তার ঘর থেকে বের হলেই সে আল্লাহর হিফাজতে চলে যায় । সে তার হাজ্জ সম্পন্ন করার আগে মারা গেলে আল্লাহ তাআলা তার আগের পরের সব গুনাহ মাফ করে দেন। এ রাস্তায় একটি দিরহাম ব্যয় করা ৪০ হাজার দিরহাম ব্যয় করার সমান। (জাল হাদীস)

২৬১. হাজীদের ফযীলত সম্পর্কে যদি লোকেরা জানতো তাহলে তারা হাজীদের পা পর্যন্ত ধৌত করে দিত। (জাল হাদীস)

২৬২. যে হাজ্জ অথবা ওমরাহ আদায় করতে গিয়ে মারা যায়, তার কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না এবং হিসাব নিকাশ ও হবে না। তাকে বলা হবে। জান্নাতে প্রবেশ কর! (জাল হাদীস)।

২৬৩. যে ব্যক্তি মক্কা ও মদীনার কোনো এক জায়গায় মারা যাবে তার জন্যে আমার সুপারিশ করা ওয়াজিব হয়ে যায় এবং সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন শান্তিতে হাজির হবে । (জাল হাদীস)।

২৬৪. প্রতি বৎসর ৬ লাখ লোক হাজ্জ করার জন্যে আল্লাহ তা'আলা এই ঘরের সাথে ওয়াদা করেছেন। কম হলে আল্লাহ ফিরিশতা দ্বারা তা পূর্ণ করেন। (জাল হাদীস)

২৬৫. যে হাজ্জ করলো অথচ আমার যিয়ারত করলো না সে আমাকে খামুশ করে দিল । (হাদীসটি জাল)

২৬৬. যে আমার মৃত্যুর পর আমার যিয়ারত করবে সে যেন আমার জীবদ্দশায়ই যিয়ারত করলো। আর যে ব্যক্তি মক্কা কিংবা মদীনায় মৃত্যুবরণ করলো সে কিয়ামত দিবসে নিশ্চিন্তে উত্থিত হবে । (হাদীসটি জাল)

২৬৭. যে হাজ্জ করার আগে বিবাহ করবে সে (যেনো) গুনাহ করতে শুরু করলো। (জাল হাদীস)

২৬৮. পদব্রজে হাজ্জ আদায় কারীর ৭০ হাজ্জের সওয়াব আর যানবাহনে আরোহন করে হাজ্জ আদায়কারীর জন্যে রয়েছে ৩০ হাজ্জের সওয়াব । (জাল হাদীস)

২৬৯. যে হাজ্জ করে আমার মৃত্যুর পর আমার কবর যিয়ারত করলো সে যেনো আমার জীবিতাবস্থায় যিয়ারত করলো। (জাল হাদীস)

২৭০. যে আমার ও আমার পিতা ইব্রাহিমের কবর একই বৎসর যিয়ারত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে । (জাল হাদীস)

২৭১. তোমরা হাজ্জ কর; কেননা পানি দ্বারা ধৌত করার ন্যায় হাজ্জ গুনাহকে ধুয়ে মুছে দেয় । (জাল হাদীস)

২৭২. বাইতুল্লার সম্মান প্রদর্শন হলো তাওয়াফ করা। (জাল হাদীস)

২৭৩. কুরবানী দানকারী ব্যক্তির জন্য কুরবানীর জন্তুর প্রতিটি লোমের পরিবর্তে একটি সওয়াব রয়েছে। (জাল হাদীস)

২৭৪. যে হাজ্জ করল অথচ আমার কবর যিয়ারত করল না সে যেনো আমার সাথে রুঢ় ব্যবহার করলো। (জাল হাদীস)

২৭৫. নারী জাতির অস্তিত্ব না থাকলে পুরুষরা জান্নাতবাসী হতো। (জাল হাদীস)

২৭৬. যে কোন শিশুকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা পর্যন্ত লালন-পালন করবে, আল্লাহ তার কোন হিসাব নিবেন না। (জাল হাদীস)

২৭৭. তোমরা বিবাহ কর; তালাক দিও না। কেননা তালাক দিলে আরশ কেঁপে উঠে। (জাল হাদীস)

২৭৮. সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়া বাবার কর্তব্য। (জাল হাদীস)

২৭৯. তিন সন্তানের কারো একজনের নাম মুহাম্মাদ না রাখা হলে সেটা হবে চরম মুখতা । (জাল হাদীস)

২৮০. নবজাতক ছেলের ডানকানে আযান আর বাম কানে ইকামত দিলে প্রসূতির কোন ক্ষতির আশংকা থাকে না । (জাল হাদীস)

২৮১. তোমরা যখন কিছু লিখ তখন ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ লিখে সেটাকে উত্তম করে তোল; তাতে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়ে যাবে । (জাল হাদীস)

২৮২. ‘ইলম’ দু প্রকার ও শারীরিক বিদ্যা ও শরয়ী বিদ্যা। (জাল হাদীস)

২৮৩. জান্নাতবাসীগণ জান্নাতেও আলেমদের মুখাপেক্ষী হবেন...। (জাল হাদীস)

২৮৪. এক ঘন্টা ইলম তলব করা একরাত ইবাদতের চেয়ে উত্তম। আর একদিন তো তিনমাস সিয়াম রাখার চেয়েও ভালো। (জাল হাদীস)

২৮৫. ছাত্র উস্তাদের কাছে বসতেই আল্লাহ তাআলা তার জন্যে ৭০টি রহমতের দরজা খুলে দেন। (জাল হাদীস)

২৮৬. আল্লাহ কোনো বান্দাকে হীন করতে ইচ্ছা করলে তার ইলম ও আদব তাকে রক্ষা করে । (জাল হাদীস)

২৮৭. আলেমের দরবারে হাজির হওয়া হাজার আবেদের সলাত আদায় অপেক্ষা উত্তম । (জাল হাদীস)

২৮৮. আমার উম্মতের আলেমগণ বনী ইসরাইলের নবীগণের মতো। (জাল হাদীস)

২৮৯. নবী (ﷺ) লেখকের সামনে বলেছেনঃ তোমরা কলম কানে রাখো। কেননা তাতে বিস্তৃত বস্তুর স্মরণ হয়। (জাল হাদীস)

২৯০. আমার উম্মতের জন্য এমন একটা সময় আসবে যে সময় ফকীহগণ একে অপরকে ঈর্ষা করবে এবং ভদ্রলোকদের মতোই একে অপরের বিপরীতে তৎপর থাকবে । (জাল হাদীস)

২৯১. আলেমদের অনুসরণ কর; কেননা তারা দুনিয়ার আলো, আখিরাতের চেরাগ । (জাল হাদীস)

২৯২. সুদূর চীন দেশে যেতে হলেও জ্ঞান অন্বেষণ করো। (জাল হাদীস)

২৯৩. তোমার মতানুযায়ী ইজতিহাদ কর। কারণ, আল্লাহ যখন তোমার সঠিক রায় সম্পর্কে অবহিত হন তখন তিনি সত্য ও সঠিকতার জন্যে তোমার সাথে অনুকুল হোন। (জাল হাদীস)

২৯৪. আমার সাহাবীর এবং আমার আগে নবীগণের পক্ষ থেকে যারা খলীফারূপে পরিগণিত তাদের সম্পর্কে আমি কি তোমাদেরকে অবহিত করবো? তারা হলো : যারা আমার ও তাদের পক্ষ থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে কুরআন ও হাদীসসমূহ হিফজ করেছেন। (জাল হাদীস)

২৯৫. যে কেউ ইলম ও ইবাদতের অন্বেষণে মগ্ন থেকে বয়োবদ্ধি অবদি এ অবস্থায় অবস্থান করে আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামত দিবসে ৭২ জন। সিদ্দীকের সওয়াব দান করবেন। (জাল হাদীস)

২৯৬. ইলম অন্বেষণ ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ে প্রতিযোগিতা করা মু'মিন ব্যক্তির চরিত্র মাধুর্য হতে পারে না । (জাল হাদীস)

২৯৭. দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ কর। (জাল হাদীস)

২৯৮. কুরআন ছাড়া রোগমুক্তি কামনা করলেও আল্লাহ তাকে মুক্তি দিবেন না। (জাল হাদীস)

২৯৯, যে সূরায়ে ‘ইয়াসিন’ শ্রবণ করবে তার জন্যে রয়েছে বিশ দিনার আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব। যে তিলাওয়াত করবে সে পাবে ২০টি হাজ্জ করার পরিমাণ সওয়াব। আর যে লিখে পান করবে তার উদর পূর্তি হবে সহস্র ‘ইয়াকীন’ (বিশ্বাস), সহস্র নূর, সহস্র বরকত, সহস্র রিযক এবং সব ঈর্ষা দূর করে দেয়া হবে । (জাল হাদীস)

৩০০. যে সূরায়ে দুখান রাতে তিলাওয়াত করবে তার আগামীতে উপার্জনক্ষম গুনাহ মাফ করে দিবেন। (জাল হাদীস)

৩০১. যে ব্যক্তি সলাতের ওযূসহ সূরায়ে ফাতিহা দিয়ে আরম্ভ করে একশ’ বার কুল হু ওয়াল্লাহু আহাদ পড়বে আল্লাহ তাকে প্রতি অক্ষরে ১০টি নেকী দিবেন, ১০টি গুনাহ মাফ করে দিবেন, ১০টি মর্যাদা দান করবেন এবং জান্নাতে তার জন্যে একটি অট্টালিকা তৈরী করবেন । (জাল হাদীস)

৩০২. যে একশ’ বার কুল হু ওয়াল্লাহু আহাদ পড়বে তার জন্যে দেড় হাজার সওয়াব লেখা হবে; তবে ঋণের গুনাহ মাফ হবে না । (জাল হাদীস)

৩০৩. যে কুরআন হিফজ করবে বাবা-মায়ের আযাব লাঘব করার অভিপ্রায়ে (তাই হবে) যদিও তার বাবা-মা কাফির হয় । (জাল হাদীস)

৩০৪. বান্দা কুরআন খতম করলে ৬০ হাজার ফিরিশতা তার জন্যে রহমত কামনা করেন। (জাল হাদীস)

৩০৫. যে সূরায়ে ওয়াকিয়াহ প্রতিরাতে তিলাওয়াত করবে দারিদ্র তাকে কভু স্পর্শ করবে না। আর যে প্রতিরাতে লা ওকৃছিমু বিইয়াওমিল কিয়ামাহ সূরা পাঠ করবে সে আল্লাহর সাথে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল চেহারাসমূহ সাক্ষাৎ করবে। (জাল হাদীস)

৩০৬. যে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে এবং যাফরান রংয়ের সাহায্যে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের তালুতে সাতবার লিখে জিহবা দিয়ে চাটবে সে কখনো ভূলবেনা । (জাল হাদীস)

৩০৭. হে আলী! তোমার মাথা ব্যথা অনুভব করলে মাথায় হাত রেখে সূরায়ে হাশরের শেষাংশ পড়; সনদ দু'টির রাবীগণ অজ্ঞাত, অচেনা । প্রত্যেক বস্তুর নসব থাকে। আমার নসব হলো সূরায়ে ইখলাস। (জাল হাদীস)

৩০৮. গুনাহ করলে রিযক কমে না, নেক কাজে তা বাড়ে না। তবে দু’আ পরিত্যাগ করা গুনাহের কাজ। (জাল হাদীস)

৩০৯. কুরআনের দিকে চেয়ে থাকা ইবাদত, বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দৃষ্টি দেয়া ইবাদত, আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)- দেখাও ইবাদত। (জাল হাদীস)

৩১০. যে আল্লাহর যিকর বেশী পরিমাণে করে না, সে যেনো ঈমান থেকে মুক্ত হয়ে গেল । (জাল হাদীস)

৩১১. যখন তিনি কোন মজলিসে আসতেন এবং কিছু সময় অবস্থান করার ইচ্ছা করতেন তখন তিনি ১০ থেকে ১৫ বার আসতাগফিরুল্লাহ পড়তেন। (জাল হাদীস)

৩১২. যে ব্যক্তি জুমুআর দিন ৮০ বার আমার উপর দুরূদ পাঠ করবে তার ৮০ বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে । (জাল হাদীস)

৩১৩, আল্লাহর যিকর ও দরূদ পড়ে তোমাদের খাদ্য নরম করে খাও; খাদ্য সামনে রেখে ঘুমিও না। অন্যথায় তোমাদের হৃদয় শক্ত হয়ে যাবে। (জাল হাদীস)

৩১৪. প্রতিটি বস্তুর থাকে একটি হৃদয়। আর সূরায়ে ইয়াসীন হলো কুরআনের হৃদয় । যে একবার এ সূরা পড়ল সে যেনো ১০ বার কুরআন পাঠ করল। (জাল হাদীস)

৩১৫. এক ঘন্টা ফিকর (চিন্তা) করা ৬০ বৎসর ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (জাল হাদীস)

৩১৬. যে মৃত্যু শয্যায় শায়িত হয়ে ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’ পাঠ করবে তার কবরে কোন বিপদ হবে না, কবর চাপা থেকে নিরাপদ থাকবে । কিয়ামত দিবসে ফিরিশতাগণ তাকে বহন করতঃ তাদের পাখা দিয়ে পুলসিরাত থেকে জান্নাতে পৌছে দিবেন। (জাল হাদীস)

৩১৭. যে কাজের সূচনায় আল্লাহর তারিফ এবং আমার উপর দুরূদ পাঠ করা হয় না। তা অসম্পূর্ণ থাকে অর্থাৎ সব ধরনের বরকত থেকে কাজটি বঞ্চিত হয় । (জাল হাদীস)

৩১৮. যে আপনার উপর দিনে রাতে ১শ’ বার দুরূদ পড়বে আমি (আল্লাহ) তার উপর ২ হাজার রহমত দান করবো, সহস্র প্রয়োজন পূরণ করবো, তন্মধ্যে সবচেয়ে সহজ প্রয়োজন হলো জাহান্নামের আগুন থেকে নিষ্কৃতি দেয়া। (জাল হাদীস)

৩১৯. যে ব্যক্তি আমার কবরের কাছে এসে আমার উপর দুরূদ পাঠ করে আমি তা শুনি। আর দূর থেকে আমার উপর দুরূদ পড়লে তজ্জন্য একজন। ফিরিশতা মোতায়েন করা হয়, সে আমার কাছে সেই দুরূদ পৌঁছে দেয়। আমি যার জন্যে সাক্ষ্য কিংবা সুপারিশকারী হই তার ইহলোক ও পরলোকে এটাই যথেষ্ঠ । (জাল হাদীস)

৩২০. আমি সে সময়ের নবী যখন আদম, পানি, মাটি কিছুই ছিল না। আরো আছে- আরশের পার্শ্বে একটি নূর ছিল । নবী বললেন : হে জিব্রাঈল! আমি ছিলাম সে নূর । (জাল হাদীস)

৩২১. যখন আদম ভুল স্বীকার করলেন, তখন তিনি বললেন : ইয়া রব! আমি মুহাম্মদের ওসিলায় তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। (জাল হাদীস)

৩২২. নবী শবে মিরাজে ৯০ হাজার কালাম আল্লাহর পক্ষ থেকে লাভ করেন। তন্মধ্যে ৩০ হাজার জাহেরী যা আলেমগণ জানেন; আর ৬০ হাজার বাতেনী সেগুলো সম্পর্কে আলেমগণ অবগত নন; তবে ঐগুলো আলী (রাদিয়াল্লাহু)-র জানা। (জাল হাদীস)

৩২৩. নবী সিদরাতুল মুনতাহায় (মিরাজ রজনীতে) পৌছে গেলে জিব্রাইল (আলাইহিস সালাম) থমকে দাঁড়িয়ে বললেন : আর এক কদম পরিমাণ অগ্রসর হলে আমি জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যাব ।” (জাল হাদীস)

৩২৪. কথাটি যাকওয়ান কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, সূর্য ও চন্দ্র কিরণে রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দেহের ছায়া কখনো দেখা যেতো না। (জাল হাদীস)

৩২৫. আল্লাহ তা'আলা দুনিয়াকে বলেন : হে দুনিয়া! আমার ওলীদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে যাও কিন্তু তাদের মধ্যে প্রবেশ করোনা যাতে তারা ফিতনায় পতিত না হয় । (জাল হাদীস)

৩২৬. আল্লাহর ওয়াস্তে ১ রাত সীমান্ত প্রহরা দেয়া, পরিবার-পরিজনে বেষ্টিত হয়ে ১০০০ বৎসর সিয়াম সলাত আদায় করার চেয়ে উত্তম। ৩৬০ দিনে ১ বৎসর আর ১দিন ১০০০ বৎসরের সমান। (জাল হাদীস)

৩২৭. মুমিনের জন্য আল্লাহর হাদীয়া হলো : একজন ভিখারীকে তার দরজায় উপস্থিত করানোর নামান্তার । (জাল হাদীস)

৩২৮. যে ক্রোধ দমন করে আল্লাহ তার আযাব দূর করে দেন, যে তার মুখ সামলাতে সক্ষম হয়েছে আল্লাহ তার দোষ গোপন করেছেন; আর যে আল্লাহর কাছে ওজর করেছে তার ওজর আল্লাহ কবুল করেছেন। (জাল হাদীস)

৩২৯. তোমাদের চেহারা কমনীয় এবং চোখ হরিণী করা উচিত। কেননা আল্লাহ কমনীয় চেহারাকে আগুন দিয়ে শাস্তি দিতে লজ্জা পায় । (জাল হাদীস)

৩৩০. পীর মাশায়েখদের ইজ্জত কর। কেননা, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন আল্লাহর মহত্ব প্রকাশ করারই নামান্তর। (জাল হাদীস)

৩৩১. কম হেসে ও কম খেয়ে তোমাদের অন্তকরণ জীবন্ত রাখ । কৃচ্ছ সাধনায় হৃদয়কে পবিত্র কর; তাতে মন হবে উন্নত, প্রাণবন্ত। (জাল হাদীস)

৩৩২. ক্ষুধা-পিপাসার মাধ্যমে তোমরা নফসের সাথে জিহাদ কর। এর প্রতিদান আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত মুজাহিদের মতই। ক্ষুধা ও তৃষ্ণার চেয়ে বেশী আর কোন আমল আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় নয় । (জাল হাদীস)

৩৩৩. মুমিনের উচ্ছিষ্ট শিফা । (জাল হাদীস)

৩৩৪. হে লোক সকল! কুরবানী কর এবং কুরবানীর রক্তের মূল্যায়ন কর। কেননা রক্ত মাটিতে পতিত হতেই তা আল্লাহর দুর্গে পতিত হয়ে যায় । (জাল হাদীস)

৩৩৫. দেশপ্রেম ঈমানের অংগ । (জাল হাদীস)

৩৩৬. প্রতিটি জটিলতাই হারাম; আর দ্বীনের জন্যে কোনো জটিলতা নেই। (জাল হাদীস)

৩৩৭. পায়খানা, প্রস্রাবখানা, গোসলখানাকে তোমরা ভুতপ্রেতের প্রভাবিত জায়গা হিসেবে গ্রহণ কর; কেননা জ্বিনেরা সেখানে তোমাদের শিশুদের নিয়ে খেলা করে । (জাল হাদীস)

৩৩৮. ঋণ দ্বীন ও ইজ্জত কমিয়ে দেয় । (জাল হাদীস)

৩৩৯. যে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রাসাদ তৈরী করে কিয়ামত দিবসে প্রাসাদটি তাঁর কাঁধে বহন করতে তাকে বাধ্য করা হবে । (জাল হাদীস)

৩৪০. প্রতি ৪০ জনে একজন আল্লাহর ওলী থাকেন। (জাল হাদীস)

৩৪১. মুসলিমদের যে শিশু ১২ বৎসর পদার্পন করার আগে মারা গিয়েছে সে আরশের নীচে কিয়ামত দিবসে শাফায়াতকারী ও শাফায়াত অর্জনকারী রূপে গণ্য হবে। তের বৎসর পেঁৗছলে তার নিজের হিসাব নিজেই দিবে । (জাল হাদীস)

৩৪২. আমার সাহাবাগণ তারকার ন্যায়, যারাই তাদের অনুবর্তী হবে তারাই হিদায়াত প্রাপ্ত হবে । (জাল হাদীস)

৩৪৩. রসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যুবরণ করেননি। এমনকি তিনি (এখনো) পড়েন ও লেখেন । (জাল হাদীস)

৩৪৪. আমার উম্মতের মধ্যে ৩০ জন এমন লোক সব সময় থাকবে যাদের ওসীলায় জমিন টিকে থাকবে, বৃষ্টি হবে এবং সাহায্য লাভ করবে । (জাল হাদীস)

৩৪৫. আরাফাতের দিন সর্বোত্তম দিন। আর যদি এই দিবসটি জুমুআর দিন হয় তাহলে দিনটি ৭০টি হাজ্জের চেয়ে উত্তম। (জাল হাদীস)

৩৪৬. (রসূল) তিনি আলোতে যেমন দেখতেন, অন্ধকারেও অনুরূপ দেখতেন। (জাল হাদীস)

৩৪৭. আমি নবীগণের শেষ, আর হে আলী! তুমি হচ্ছো ওলীগণের শেষ । (জাল হাদীস)

৩৪৮. ওযূ করার সময় ঘাড় মাসেহ করতে হয় । (জাল হাদীস)

৩৪৯. হাটুর উপর কাপড় উঠলে ওযূ ভেঙ্গে যায় । (জাল হাদীস)

৩৫০. অযু অবস্থায় বাচ্চাকে স্তন পান করালে অযু নষ্ট হয়ে যায় । (জাল হাদীস)

৩৫১. রসূল (ﷺ) এর পথে এক বুড়ি কাঁটা বিছিয়ে রাখতো ... একদিন বুড়ির জ্বর হলো....রসূল (ﷺ) দেখতে গেলেন....। (জাল হাদীস)

৩৫২. রাসুল (ﷺ) ঈদগাহে যাচ্ছিলেন পথে এক বাচ্চাকে কান্নারত অবস্থায় পেলেন এবং তাকে বাড়ি নিয়ে মা আয়শার নিকট দিলেন এবং মা আয়শা তাকে গোসল দিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে দিলেন....। (জাল হাদীস)

৩৫৩. গাছের তলায় একদিন একটি হরিণ বাঁধা ছিল, হরীণ রসূল (ﷺ) কে বললেন আমাকে কিছুক্ষণের জন্য ছেড়ে দিন আমি আমার শিশুদেরকে দুধ পান করিয়ে আবার চলে আসবো....। (জাল হাদীস)

৩৫৪. হোসাইন (রাদিআল্লাহু আনহু) যেদিন শহীদ হন সেদিন “মা ফাতিমা কান্দিয়া কয় আজ বুঝি আমার হোসাইন কারবালাতে শহীদ হয়.....”। (জাল হাদীস)

৩৫৫. যে ব্যক্তি নিজেকে চিনল সে আল্লাহকে চিনল । (জাল হাদীস)

৩৫৬. আমি আরব, কুরআন আরবী, জান্নাতের ভাষা আরবী। (জাল হাদীস)

৩৫৭. জান্নাতের ভাষা আরবী, জাহান্নামের ভাষা ফার্সি। (জাল হাদীস)

৩৫৮. মাগরিবের পর ৬ রাকআত আওয়াবীনের সলাত আদায় করতে হবে। (জাল হাদীস)

৩৫৯. মহিলাদের বুককে উড়র সাথে লাগিয়ে আটোসাটো হয়ে সিজদা করতে হবে । (জাল হাদীস)

৩৬০. পনেরই শাবানে (সবেবরাতে) সিয়াম পালন করতে হবে । (জাল হাদীস)

৩৬১. কুরআন ৩০ পারা নয় ৯০ পারা । (জাল হাদীস)

৩৬২. আলেমদের মতবিরোধ রহমত স্বরূপ । (জাল হাদীস)

৩৬৩. মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা হারাম। (জাল হাদীস)

৩৬৪. একজন হাফিয ১০ জন ব্যক্তিকে জান্নাতে নিতে পারবে । (জাল হাদীস)

৩৬৫. আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, শহর ছাড়া জুম’আ ও তাশরীক নেই। (জাল হাদীস)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন