hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্য-পথের-কন্যারা

লেখকঃ Mrs. Carol. L. Anway M.S. Ed.

১৭
মুসলিম প্রতিবেশী বা পরিচিতদের দেখা
তরুণীদের কেউ কেউ এদেশে মুসলিমদের সাথে পরিচিত হয়েছেতারপর তাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন ও কাজকর্ম দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়েছে। তারা মুসলিমদের মাঝে এক ধরনের ব্যক্তিগত শক্তির পরিচয় পায়, যা তাদের বিশ্বাস উদ্ভূত বলে মনে হয়। অনেক সময় মুসলমানদের দেখে শেখাটা কেবল মৌখিক ব্যাপার- যখন তারা আগ্রহীদের কোন প্রশ্নের জবাব দিয়েছে, কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় উদাহরণ ছিল তাদের জীবন যাপন ও জীবন ধারণ ।

আমার বয়স যখন ১৫ বছর, তখন আমি ইসলাম সম্বন্ধে জানতে শুরু করি। একটা সৌদি পরিবার আমাদের প্রতিবেশী হয়ে আসে এবং তাদের ব্যবহার, পোশাক আশাক, ভাষা এবং ধর্মে মুগ্ধ হয়ে যাই। বাড়ির বৌ এবং আমি খুব কাছাকাছি চলে আসি, কিন্তু ধর্মান্তরিত হতে আমার ৪ বছর লেগেছিল। তারা আমাকে কখনো কোন কিছুর দিকে ঠেলে দেয়নি; তারা স্রেফ আমার প্রশ্নসমূহের উত্তর দিয়েছে এবং আমার প্রতি তাদের দয়া ও আতিথেয়তা দেখিয়েছে। যদিও আমি মুসলিম ছিলাম না, হাই স্কুলের গোটা সময়টাই আমি সব খারাপ কিছু থেকে দূরে থেকেছি। আমার সৌদি বন্ধুদের প্রভাবেই এমনটি হয়েছে । তাই আমি যখন ধর্ম বদলাই, তখন সত্যিকার অর্থে আমার কেবল বেশ-ভূষা আর অবসর বিনোদনের বিষয় যেমন- গান, সিনেমা, খেলাধূলা- এসবই বদলাতে হয়েছে।

মুসলিম হবার আগে আমি নাস্তিক ছিলাম এবং চার্চ ত্যাগী একজন ছিলাম। যাহোক, আমি ঈশ্বর এবং পৃথিবী সম্বন্ধে দীর্ঘ এবং গভীর আলোচনার দ্বার তাই বলে বন্ধ করে দেইনি। বহু বছরের সন্তোষজনক অথচ পোড় খাওয়া কর্মজীবনের পর আমি দক্ষিণ-মধ্য আমেরিকায় ঘুরতে শুরু করি এবং শেষ পর্যন্ত TEXAS-এ পৌছাই। এক মুসলিম জনসমষ্টি আমাকে স্বাগত জানায় অবস্থান করার জন্য এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত এবং শশাচনীয় অবস্থা থেকে সামলে ওঠার জন্য। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমাকে পথ দেখানো হয় মুসলিম হবার লক্ষ্যে পৌছাবার, শাহাদা গ্রহণ করার এবং বিবাহিত হবার। আমি জীবনে নতুন পরিচিতি এবং পরিস্থিতি লাভ করি কিন্তু আমাকে আমার আমি'কে হারাতে হয়নি।

আমার সাথে যখন পরিচয় হয় তখন, আমার স্বামী তার ধর্মের অনুশীলন করতো না, আর তাই বাচ্চাদের নিয়ে আমি যখন চার্চে যেতে চাই, তখন তার কোন আপত্তি ছিল না। একমাত্র ব্যাপার, যা সে আমাকে অনুরোধ করেছিলসেটা ছিল, আমরা শূকরের মাংস খাবো না। আমার বাবার ব্যবসার সূত্রে মিসর থেকে আগত মেহমানরা আমাকে ব্যবহারিক ইসলাম দেখার প্রথম সুযোগ দেয়। কেবল তখনই আমার স্বামী ভাবতে শুরু করলো যে সে ইসলামকে সত্যিকার অর্থে জীবনে স্থান দিতে চায়।

এরপর আমার ফুফু একজন মুসলিমকে বিয়ে করে এবং আমি তাদের কাছে ইসলাম সম্বন্ধে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে অনেক সময় কাটিয়েছি। ১৯৯০ সালে আমি চতুর্থ সন্তানের জন্ম দিই এবং নিজের অজান্তেই নিজের বিশ্বাসের কাছে ধরা দিই। আমি যা সত্যিই বোঝাতে চাই তা হচ্ছে- আমি সত্যিই জানতাম না যে আমি ইসলামে বিশ্বাস করি। কিন্তু এক রাতে আল্লাহ্ সত্যকে আমায় ধাক্কা দিতে বাধ্য করলেন। আমি পাথরের মতো বোধ করলাম নিজেকে এবং আমার প্রভুর প্রার্থনা লেখা প্লেটের দিতে তাকিয়ে আমার তিন সপ্তাহ বয়সের মেয়ের মতো কাঁদতে লাগলাম।

আমি আমার বিশ্বাসকে ২ সপ্তাহের জন্য গোপন রাখলাম, এমনকি আমার স্বামীর কাছ থেকেও। সে যখন একদিন আমার সাথে তার কর্মস্থল থেকে ফোনে কথা বলছিল, আমি তাকে ব্যাপারটা বললাম। সে সাথে সাথে আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে কেন আমি এমন করলাম। সে আমাকে বললো যে ব্যাপারটা খুবই গুরুতর এবং আমার হুজুগের মাথায় ঝাপিয়ে পড়া উচিত নয়। একজনের নিশ্চিত হওয়া উচিত, বাধ্য হওয়া নয়। আমার কথায় বাধা দিয়ে সে বললো- “আমি বাড়ি এসে এ সম্বন্ধে কথা বলবো’। পরে সে আমাকে বলেছিল যে, সে ফোন রেখে কেঁদেছিল আর আল্লাহকে শুকরিয়া জানিয়েছিল। সে একটা নতুন জীবন শুরু করার এবং ইসলামের পুরোপুরি অনুশীলন করার প্রতিজ্ঞা করলো। ঐ রাতে সে আমাকে বললো যে, সে আমাদের নবজাতিকার কানে আজানের ধ্বনি পৌছে দিয়েছিল- যা সে আমাদের অন্য বাচ্চাদের বেলায় করেনি।

১৯৮৩ সালে বন্ধুদের মাধ্যমে আমার একজন আরব মহিলার সাথে পরিচয় হয় এবং আমরা সবচেয়ে ভালো বন্ধুতে পরিণত হই। একদিন সে আমাকে জিজ্ঞেস করে যে আমি তার মেয়েদের দেখতে পারবো কিনা এবং আমি তাদের দেখে রাখি। একদিন বাচ্চারা ঘুমুতে যাবার আগে আমাকে তাদের প্রার্থনা শোনায় এবং আমাকেও শিখাতে চায়। পরদিন আমার বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করলোJESUS-কে আমি ঈশ্বরের ছেলে মনে করি কিনা। আমি বললাম, আমার সত্যিই কোন ধর্ম নেই, কিন্তু আমাকে তোমার ধর্ম ইসলাম সম্বন্ধে বলল। ঐ সময়ে থেকে শাহাদা গ্রহণ করতে আমার দুই বছর লেগেছিল।

আমি কিছু সৌদি মহিলাকে পড়াতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে যাই, যারা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজী শিখছিল। আমার কাছে ব্যাপারটা উট ছিল যে, ঐ মহিলারা একজন ছেলে শিক্ষকের কাছে পড়তে রাজী নয়। কিন্তু অনেক খোঁজখবর নিয়ে এবং ইসলামের ওপর স্কুল ও পাবলিক লাইব্রেরী থেকে অনেক বই পড়ে আমি কালোয় আচ্ছাদিত ঐসব রহস্যময় মহিলাদের বুঝতে শুরু করলাম। মেয়েরা আমার সাথে ক্রমেই আরো ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করলো এবং আমাকে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালো, আর ইসলাম সম্বন্ধে আমার জ্ঞানও ক্রমেই প্রস্ফুটিত হতে লাগলো। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হতে দেখে আমি সত্যিই ধর্মটাকে শ্রদ্ধা করতে লাগলাম।

১৯৮৮ সালের বসন্তে আমি সত্যি সত্যি ধর্ম পালন করতে শুরু করলাম। আমি স্থানীয় ইসলামিক এসোসিয়েশনের সাথে যোগাযোগ করলাম এবং অন্য বোনদের সাথে একটা কোরআন শিক্ষা দলে যোগ দিলাম। ওখানে আমার সাথে এমন সব বোনদের পরিচয় হয় যারা আমার জন্য জলজ্যান্ত উদাহরণ এবং দিকনির্দেশক শক্তি ছিল এবং আজো রয়েছে।

খৃস্টান ধর্মে চার্চ প্রতিষ্ঠার বা ঘটনের যে নীতি- অর্থাৎ বেশীর ভাগ মানুষই কারো প্রভাবে চার্চ এবং CHRIST-কে গ্রহণ করতে একটা চার্চে যেতে শুরু করে। এই মেয়েদের বেলায়, অন্য ধার্মিক এবং উৎসর্গীকৃত প্রাণ মুসলিমদের দেখাটা একই ধরনের প্রভাব তাদের উপর বিস্তার করে। এই মেয়েরা অনুভব করেছিল যে মুসলিম হিসেবে জীবন ধারণ করাতে ঐ সমস্ত মানুষের এক ধরনের আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতা ছিল, আর তা দেখে তারা নিজেরাও সত্যিকার মুসলিম হয়ে ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ করতে চেয়েছিলো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন