মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মেয়েদের অন্য একটা ধর্ম গ্রহণ করতে দেখে, পরিবারের কিছু সদস্যের এমন একটা অনুভূতি হতে পারে যে, একটা গভীর অথচ অদৃশ্য ফাটল যেন তাদের আলাদা ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। এই বিচ্ছিন্নতার বা বিভক্তির ধারণাটা ভাই, বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী, খালা-ফুফু, মামা-চাচা বা বন্ধু-বান্ধব অনেকেই হয়তো অনুভব করেছে, যদিও মানিয়ে নেয়ার এবং মেনে নেয়ার ব্যাপারে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের মাত্রা বিভিন্ন হতে দেখা যায়। কেউ সাথে সাথেই হয়তো মেনে নিয়েছে, আবার অন্যরা হয়তো আদৌ খোলা মনের হতে পারেনি।
ভাই বোনেরা, নিজেদের জনসমক্ষে বোনের সাথে দেখা যাওয়াটাকে হয়তো বিব্রতকর মনে করেছে। কারণ তাদের বোনের নতুন ধরনের পোশাক-আশাক ও ঢেকে চলা। দাদা-দাদী হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি, তাদের আদরের নাতনীটি কিতাবে এমন একটা ব্যাপার বেছে নিতে পারে, কিন্তু তারাই হয়তো তার সাথে একটা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন যেমন বৃহত্তর পরিবারের আর কেউও তা করে থাকতে পারে।
কিছু পরিবার আশঙ্কা করেছে যে, তাদের মেয়ে JESUS-কে অস্বীকার করার জন্য নরকে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। তারা তাদের মেয়ের জন্য খৃস্টান মতবাদের পরিত্রাণের (SALVATION) বিষয়টি ভেবে দেখেছে এবং তারা এ ব্যাপারে একটা পরিতৃপ্তিকর স্বস্তির জন্য চেষ্টা করে গেছে।
আমার পরিবারের সবাই আমার ধর্মান্তরিত হওয়াকে সহজেই মেনে নিয়েছে, কেবল আমার মা ছাড়া। আজ পর্যন্ত আমার মনে হয় আমি ধর্মান্তরিত হয়েছি বলে তার মাঝে আমার বিরুদ্ধে এক ধরনের আক্রোশ রয়ে গেছে। আমি আশা করি, ইনশাআল্লাহ, একদিন তিনি আমার জীবনধারাকে সম্পূর্ণভাবে মেনে নিতে এবং গ্রহণ করতে পারবেন। গত ৪ঠা জুলাই আমরা বনভোজনে গিয়েছিলাম, যা একটা বিশ্রী পরিণতিতে পৌছায় যখন রাজনীতি এবং WORLD TRADE CENTRE-এর ঘটনা নিয়ে কথা ওঠে এবং তা শেষ পর্যন্ত খৃস্টধর্ম বনাম ইসলামের বিতর্কে পরিণত হয়। আমি ঐ অবস্থার অবসান এভাবে ঘটাই- আমি মাকে বলি, তিনি যদি আমাকে ইসলাম ত্যাগ করার বার্তা পৌছানোর চেষ্টা করে থাকেন, আমি আর কখনো তার সামনে আসবো না। মা স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন, কিন্তু আমার মনে হয় না সেটা তার আসল অভিব্যক্তি ছিল ।
আমার পরিবার খুবই ছোেট, এক বোন কেবল। মায়ের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই- আমার বাবাই আমার বোনকে এবং আমাকে বড় করেছেন। আমার বোন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিতা এবং সে ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছে। তাই সে আমার ধর্মান্তরিত হওয়া এবং এক আরব মুসলিমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণভাবে মেনে নিয়েছে।
আমার বাবার এসব মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে। আমি যখন চার্চ ছেড়ে দিই তার আগে থেকেই বাবা চার্চে যেতেন না। কিন্তু তিনি চান আমি যেন একজন আমেরিকানের মতো চলাফেরা করি। অন্য সবার মতো করে কাপড়-চোপড় পরি, সবার মতো যেন বড়দিন উদযাপন করি- মোট কথা অন্যদের চেয়ে যেন ভিন্ন না হই। কিন্তু তিনি মুসলিম হিসেবে আমার জীবন যাপনকে এবং মুসলিম হিসেবে আমার মেয়েকে বড় করার ধারণাকে মেনে নিতে শুরু করেছেন।
আমার পরিবার সব সময়ই মনে করতো যে, আমার মাথায় কিছু পাগলামি রয়েছে, তাই আমি যখন তাদের আমার নতুন ধর্ম সম্বন্ধে বললাম, তখন তারা কেবল চেয়ে দেখেছে এবং আমি কখন আমার উৎসাহ হারিয়ে ফেলি, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করেছে। বেশ ক'বছর পরে আমি যে বদলে গিয়েছিলাম, সে নিয়ে আমার মা মন্তব্য করেছে এবং যে ধর্মে আমি বড় হয়েছিলাম (যদিও আমরা কেবল EASTER-এ চার্চে যেতাম), সে ধর্মে আমার না থাকা সম্বন্ধে আক্ষেপ করেছেন। তিনি এবং আমার বাবা এটাকে গ্রহণ করেছেন, তবে আমার মনে হয় মার আকাঙক্ষা, আমি আবার ফিরে যাবো। কাজে যাওয়ার বিপরীতে আমার বাড়িতে থাকাটা তারা বিশেষভাবে অপছন্দ করেন, যদিও বাড়িতে স্কুল চালানোর চেষ্টা তাঁরা সমর্থন করেন। আমার বাবা মা বেশ উদারই বলতে হবে। আমার নামের পরিবর্তন (মুসলিম নাম গ্রহণ) তারা খুব সহজেই নিয়েছেন।
আমার বাবাকেই অবশ্য বেশী গ্রহণেচ্ছ মনে হয়, এমনকি সায় দিচ্ছেন বলেও মনে হয়। বাবা আমার বেশভূষা পছন্দ করেন (মা যদিও ব্ৰিত বোধ করেন) এবং এমনকি আমার কিছু বইও তিনি পড়েছেন।
আমার মা-বাবা যখন প্রথম আমার ধর্ম পরিবর্তনের কথা জানতে পারলেন, তখন তারা খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। আমার মনে হয়, তাঁরা আশা করছিলেন যে, ওটা পরিবর্তনশীল মনের এক দশা’ এবং এটা পার হয়ে আমি এক সময় আবার ঠিক হয়ে যাবো। আমার বাবা গোটা কোরআন পড়েছেন, আর মা তার চার্চে ইসলাম সম্বন্ধে একটা কোর্স নিয়েছিলেন- তাই তারা দু'জনেই এ সম্বন্ধে অনেক জেনেছেন এবং এখন এ নিয়ে আগের চেয়ে বেশী স্বস্তিবোধ করেন। আমি মনে করি না তারা কখনো মুসলিম হবেন, কিন্তু আমি চাই তারা যেন হোন। আমার বোন একজন মৌলবাদী খৃস্টান এবং এ সম্বন্ধে সে কোন কথাই বলতে চায় না। সে বেশ চিন্তিত যে, মারা গেলে আমি তো নরকে যাবো আর সে জন্য সব সময়ই আমার জন্য প্রার্থনা করে। এছাড়া আমাদের সম্পর্ক অবশ্য ভালো, আর এটা আমাদের ভালই জানা আছে- ঝগড়া করতে না চাইলে, আমাদের কেউ কখনো ধর্মের প্রসঙ্গ টানবো না।
আমার বাবা-মার সঙ্গে আমার সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমার ধর্মান্তরিত হবার ব্যাপারটা বেশ বোঝেন আর তারা খুব খোলা মনের। আমার নানী আমার মুসলমান হবার ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা খুশী নন। স্থানীয় একটা খবরের কাগজ আমার মুসলিম হবার খবর ছাপালে তিনি তা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন যে, এটা একটা ভুল ছিল, আর আমি তাকে বললাম, তা ভুল ছিল না। আমি আশা করি, আমার নানী, কখনো আমার মুসলিম হবার বাসনাকে বুঝতে পারবেন। পরিবারে একমাত্র অস্বস্তিটা আমার তার ব্যাপারেই। আমি তার সাথে আমার বিশ্বাসের ব্যাপারে আরো খোলামেলা হতে চাই। আমার বাবা-মার সাথে আমার কোন অসুবিধা নেই। আমি বাবা-মার কাছে বেড়াতে যেতে পছন্দ করি, এমনকি আমার নানীর সাথে কথা বলাটাও বেশ মজার- যদি ধর্মটাকে আমরা কথোপকথনের-এর বাইরে রাখি।
তাঁরা প্রথমে খুবই বিচলিত হয়ে যান, তবে এখন ধীরে ধীরে না পারতে এক রকমের মেনে নিচ্ছেন। আমার বাবা খুবই রেগে যান, আমার বাহু মুচড়ে দেন এবং হিজাব সম্বন্ধে বলেন, ঐ বস্তুটা খুলে ফেললা, কারণ জনসমক্ষে এভাবে তোমার সাথে আমাকে কেউ দেখুক আমি তা চাই না।'। এটা ছিল ১৯৮৩ সালের কথা।
আমি তাদের কাছাকাছি থাকতে চাই। কিন্তু, আমি মুসলিমরা যেখানে থাকে অর্থাৎ মুসলিম বসতির মাঝেও থাকতে চাই- যা আমাদের অনেক মাইল দূরে পৃথক অবস্থায় রাখবে। আমি জানি, ইসলাম রক্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার বিরুদ্ধে বলে (কোরআনে কবীরা গুনাহ্ হিসেবে বর্ণিত)। আমি সত্যিই আমার মা-ভাই-বোেনদের ভালোবাসি।
যে মেয়েটি তার বাবা-মায়ের পথ ত্যাগ করেছে এবং যে এখন অতি পরিবর্তিত একজন তার সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার গ্রহণযোগ্য উপায় বের করতে গিয়ে, সম্পর্ককে নানাভাবে খাপ খাওয়ানোতে একটা প্রবল পরিশ্রমের ব্যাপার রয়েছে। বিভক্তিটা বেশ গভীর ও বিস্তৃত। যা সম্পর্কের ব্যাপারে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক প্রভাব ফেলে। প্রাথমিকভাবে মেয়ের পথ পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করতে চাইলেও, ধীরে ধীরে গ্রহণ করার এবং দূরত্ব কমিয়ে আনার ঘটনা দেখা যায়। পরিবারের প্রতি মেয়ের তীব্র ভালোবাসার প্রয়োজন আর মেয়ের প্রতি পরিবারের, তাকে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত করার প্রয়োজন- এসব থেকেই দূরতুটা যে কমে আসে, তা বলাই বাহুল্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/633/25
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।