hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্য-পথের-কন্যারা

লেখকঃ Mrs. Carol. L. Anway M.S. Ed.

৩৭
১নং গল্প ও উদ্বিগ্ন অবস্থায় মেনে নেয়া
এই ঘটনার কন্যা প্রায় সাড়ে চার বছর যাবত মুসলিম। সে বড় হয়েছে CATHOLIC হিসেবে। কিন্তু কলেজের শেষের দিকে নিজের ধর্মের খোঁজ করতে শুরু করে। সে খুব তাড়াতাড়ি অন্য দুটো খৃষ্টান মত ধরে এবং পরিত্যাগও করে। তার মা, যিনি এই গল্পের বর্ণনাকারী, বলেছেন যে, প্রথমে ধর্মান্তরিত হবার ব্যাপারে তার অনুভূতির সূচক ছিল ১, কিন্তু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় পর্যন্ত তা বেড়ে ৬-এ এসেছে।

আমার মেয়ে আমাদের বাড়ির কাছের একটা দোকানে একজন মুসলিম লোকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে শুরু করেছিল এবং ঐ লোকের ধর্মে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা জানি সে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছিল, কিন্তু ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারটা সে আমাদের কাছে গোপন রাখে, যে পর্যন্ত না ঐ ধর্মের কিছু মেয়েরা তাকে একটি ফুলের তোড়া পাঠায়। আমি আমার বাচ্চাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে কখনো নাক গলাইনি, কিন্তু এক্ষেত্রে আমি ঠিক করলাম কার্ডটাতে কি আছে দেখবো- দেখলাম লেখা আছে- “মুসলিম হওয়াতে মোবারকবাদ। আমরা তখন তাকে কিছুই বলিনি। আমি আশা করেছিলাম, সে আমাদের কাছে সব খুলে বলবে। তারপর সে একদিন বললো যে, সে কি একজন মানুষকে আমাদের সাথে দেখা করাতে নিয়ে আসতে পারে কিনা। লোকটা একটা মুসলিম দেশের ছিল। সে আমাদের মেয়ের সাথে বিয়ের উদ্দেশ্যে দেখা সাক্ষাৎ করতে চায়। সে ব্যাখ্যা করলো যে, বাগদত্তা না হলে তার ধর্ম তাকে আমার মেয়ের সঙ্গে একা হবার অনুমোদন দেয় না। আমরা দুজনেই (আমি ও আমার স্বামী) হতবাক হয়ে যাই। কারণ ৩০ মিনিট আগেও আমরা তার অস্তিত্ব সম্বন্ধে জানতাম না। মেয়ের বাবা ঐ লোকের মুখের উপরই তার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন এই বলে যে, ঐ সম্প্রদায়ের মেয়েদের ‘নিকৃষ্ট' হিসেবে দেখা হয় এবং জোর করে পুরনো দিনের জোব্বা পরানো হয় অথচ ছেলেরা যা খুশী পরে বেড়ায়। আমি ভদ্র থাকলেও আমার স্বামীর মতই আহত বোধ করছিলাম। আমার ধারণা ছিল, আমার মেয়েরা আমার কাছে তাদের মনের কথা খুলে বলতে ভয় পাবে না, যেমন আমি পেতাম না আমার মায়ের কাছে আর সে জন্য আমার কষ্টটা বেশী হচ্ছিল। সে ইতিমধ্যেই দুটো ধর্ম পার হয়ে এসেছে। আর আমার ভয় হচ্ছিল সে হয়তো বিয়ে করবে এবং তারপর দেখবে, সে এই ধর্মের সাথেও একমত নয়।

তার বিদেশী বিয়ে করার ব্যাপার নিয়ে আমার তেমন রাগ হয়নি। তারা হয়তো তাদের (ছেলের) দেশে গিয়ে থাকবে এবং আমি NOT WITHOUT MY DAUGHTER-এ যে রকম গল্প দেখানো হয়েছে, তেমন ঘটনার কথা শুনেছি। ইসলাম সম্বন্ধে আমি কিছু পড়েছি এবং তাদের বিশ্বস্ততা আমাকে বেশ সপ্রশংস একটা দৃষ্টি দিয়েছে। আমি সব সময়েই জেনেছি ‘আল্লাহ’ এবং আমার স্বর্গীয় পিতা একই। আমি মেয়ের হবু স্বামীকে তাও বললাম। আমর মেয়ে যেহেতু ২৫ বছর বয়স্কা, আমরা অনুমোদন না করে পারি না, আর এই লোকটা যদি তাকে ঠিকমতো আদর যত্ন করে, তবে সে আমার জন্য ঠিকই হবে- যেমন মনে হচ্ছে সে আমার মেয়ের জন্য সঠিক। আমরা সত্যি সত্যি মেয়ের ঐ সময়ের মানসিক অবস্থা নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলাম, তার জীবনের আরো অনেক ধরণের ব্যবহার এবং অসঙ্গতির জন্য।

সে ছিল আমাদের মেয়ে। আমরা তাকে ভালোবাসতাম এবং চাইতাম অব্যাহতভাবে আমরা যেন তার জীবনের একটা অংশ হয়ে থাকি। আমি বিশ্বাস করতাম, সবারই ঈশ্বরের সাথে নিজের মতো করে সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার রয়েছে এবং রয়েছে নিজের মতো করে নিজের জীবন যাপনের অধিকার। যে পর্যন্ত আমরা মৌলিকভাবে সন্তুষ্ট হয়েছি, সে পর্যন্ত আমরা তর্ক করেছি, চিৎকার করেছি, চিঠি লেখালেখি করেছি। ওটা ছিল আমার জন্য একটা পরীক্ষার সময়। আমার নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতি হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, আমার সবচেয়ে বিশ্রী আশঙ্কাগুলো যেন বাস্তবায়িত হলো। আমি একজন ডাক্তারের কাছে গেলাম এবং আমাকে স্নায়ু চিকিৎসার ৬ মাসের ঔষধ দেয়া হলো।

এখন আমাদের মাঝে বেশ ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কথা বলি, কিন্তু আমার মেয়ে যা বলে এবং করে তার অনেক কিছুর সাথেই আমি একমত হই না। বোরখা পরার মতো প্রথা আমাকে পীড়া দেয়। আমার মনে হয় ইসলামিক পুরুষরা তাদের যৌনতা নিয়ে এতোই ভীত যে নারীদের উপর তাদের সংযমে সাহায্য করার বোঝা অর্পিত হয়। আমার মেয়ের বোনদের একজন তাকে অপহরণ করে আবার নতুন করে তার মগজকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। এক ভাইয়ের তাকে নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই, কিন্তু অন্যটির রয়েছে। তার সব ভাই-বোনই তাকে ভালোবাসে, কিন্তু তারা মনে করে সে মানসিকভাবে অবিন্যস্ত।

ধর্মের পার্থক্যই (JESUS, MUHAMMAD), আমাদের মাঝের প্রধান বিরোধের বিষয়, আর তার সাথে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পার্থক্য। আমরা এক সাথে খেতে বসি না, কারণ সে চাচাতো ভাই বা দুলাভাইদের সাথে একরুমে থাকতে পারে না (Note : এটা অন্য গল্পসমূহের তুলনায় একটা অস্বাভাবিক নিষেধাজ্ঞা বলে মনে হয়)।

কোন কিছু উদ্যাপন বা ছুটির দিনে আমরা তাকে নিমন্ত্রণ করি না কারণ সে আমাদের বিশেষ দিনগুলোকে, এমনকি জন্মদিনকেও স্বীকার করে না। তার জন্মদিনেও সে আমার সাথে বাইরে খেতে যাবে না, কারণ সে চিন্তিত থাকে, তাতে উদযাপন করা হয়ে যায় কিনা। সত্যি কথা বলতে কি, আমি এ ব্যাপারটা একদমই পছন্দ করি না। পাঁচটি ছেলেমেয়ের সকলকে নিয়ে ছবি তুলতে চাইলে সে এমনকি আমাদের বাসায় আসবেও না, কারণ তার বোনের স্বামী সেখানে থাকবে। আমার। মনে হয় এটা একটা নির্বোধ নিয়ম এবং এটা ধর্মীয় ব্যাপারের চেয়ে বরং একটা বিশেষ সামাজিক আচরণ। মেয়ের বাবা ভাবেন, মেয়ের স্বামীরও কিছু বদলানো উচিত, শুধু মেয়েরই সব কিছু করতে হবে, তা হওয়া উচিত নয়। তার স্বামী ও বাবার প্রায়ই তর্ক হয়।

পুরুষ বন্ধু বা আত্মীয় না থাকার ব্যাপারটা কষ্টকর। একবার আমরা ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছিলাম। তার স্বামী ছাড়া বাকী সব পুরুষরা শেষ পর্যন্ত মেয়েদের সাথে বসবার ঘরে একত্রিত হয়। কিন্তু আমি আমাদের মেয়ের সঙ্গ পছন্দ করি এবং আমি সত্যিই ওর স্বামীকে পছন্দ করি, অস্বস্তিকর বিষয়গুলো সত্ত্বেও।

মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রায় সবটাই এসেছে তার যে মানসিক অবস্থা আমি দেখেছি তা থেকে, তার ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে নয়। সে আমাদের বলেছে যে, আমরা জাহান্নামে যাবো। আমরা তাকে ভুল বিশ্বাসে (ধর্ম) বড় করেছি, আর তাকে ভুল খাবার খেতে দিয়েছি। তাই আমার মনে হয়, সমস্যার একাংশের উদ্ভব হয়েছে, তার তারুণ্যের জটিলতা থেকে (এটা অবশ্য আমার মত, তার নয়)। সে ডাক্তারদের অবিশ্বাস করতে শুরু করে- ঔষধ, কৃত্রিম ভিটামিন, সুষম দুধ ইত্যাদি সবই অবিশ্বাস করতে শুরু করে। আমরা যার সম্মুখীন হচ্ছিলাম, তা আসলে আমাদের প্রতিক্রিয়া থেকে উদ্ভূত, তার ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে নয়। আমার মনে হচ্ছিল সে যৌনতা নিয়ে ভীত, কাজ নিয়ে ভীত, জীবন নিয়ে ভীত এবং সে ইসলামের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমি এখনও মনে করি, এই ধরণের কিছুর সম্ভাব্যতা খুবই বেশী। কিন্তু তাকে সুখী মনে হয়, মনে হয় সে তার স্বামীকে এবং নিজের জীবন ধারাকে ভালোবাসে।

তাই আমাকে মেনে নিতে হয় এবং আশা করতে হয় যে, সে তার জন্য সম্ভব সবচেয়ে সুন্দর জীবনই যাপন করবে। আমি নিজেদের ব্যাপারে আশা করি যে, আমরা একে অপরকে মেনে নিতে এবং আরো সম্মান করতে শিখবো। আর এও আশা করি যে মেয়ে ও তার বাবার মাঝে একটা বোঝাপড়া ও সমঝোতা হবে।

এই পরিবারকে এমন একটা প্রথা সামলাতে হয়, যা মেয়ের স্বামীর সংস্কৃতির একটা ব্যতিক্রমী দিক- অর্থাৎ স্ত্রী (কন্যা) স্পষ্টতর একই ঘরে নিজের নিকটতম পরিবারবর্গ ছাড়া অন্য কোন পুরুষের সাথে সহ-অবস্থান করবে না, এমনকি হিজাব পরিহিত অবস্থায়ও। বাবা-মা জীবনের প্রতি মেয়ের অন্যান্য প্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বিগ্ন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন