মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমার ইসলাম গ্রহণ করার প্রক্রিয়া ছিল দীর্ঘ এবং পর্যায়ক্রমিক। আমি একটা খুষ্টান সংস্কৃতির পরিবেশপূর্ণ বাড়ীতে বড় হয়েছিলাম, যেখানে প্রধান উৎসবগুলো উদ্যাপন করা হতো কিন্তু গভীরতর অর্থের সন্ধান করা হতো না। এটা আমার বাবা-মা ইচ্ছা করেই করতেন, কারণ তারা মনে করতেন যে, সুসংগঠিত ধর্মের নামে পৃথিবীর প্রতি অনেক ঘৃণা ও হিংসা দেখানো হয়েছে। দাদা-দাদীদের জেদের কারণে আমাদের BAPTIZE করা হয়েছিল এবং রবিবাসরীয় স্কুলে কিছু প্রাথমিক প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছিল। আমার মা-বাবা আমাদের বলেছিলেন যে, আমরা বড় হয়ে চাইলে আমাদের নিজ ধর্ম বেছে নিতে পারি।
আমি যেটুকু ধর্মীয় প্রশিক্ষণ পেয়েছিলাম, সেটুকু আমার ভিতরে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করে (তা না হলে কেউ আর কিভাবে, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের মাঝের অদ্ভুত সব যোগ-সংযোগ এবং নিপুণ সব হিসাব-নিকাশের ব্যাখ্যা করবে?), কিন্তু কোন ধর্মীয় ব্যবস্থাতে কোন বিশ্বাস আমার ছিল না। আমি নিজেকে একজন খৃষ্টানই মনে করতাম, তবে ব্যাপক অর্থে ঃ ঈশ্বরে বিশ্বাস, নবী হিসেবে JESUS-এ বিশ্বাস, চারিত্রিক এবং নৈতিক শিক্ষাসমূহে বিশ্বাস ইত্যাদি আমার ছিল। যাহোক, আমি যেভাবে বড় হয়েছিলাম তাতে, আমার ভিতর সন্দেহ প্রবণতা এবং সবকিছুর মাঝে দোষ ধরার একটা প্রবণতা প্রবলভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল, আর সেই সুবাদে আমি গীর্জার মতবাদের সব কটি দিক নিয়েই প্রশ্ন তুললাম। শেষ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্তে পৌছলাম যে, আমি সংগঠিত ধর্মে বিশ্বাস করি না কারণ, তা অযৌক্তিক, অত্যন্তরীণভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, আর শঠতাপূর্ণ (যা ঈশ্বরের নামে অনেক নীতিবিবর্জিত এবং নৈতিকতা বিরোধী কাজ অনুমোদন করে)।
আমার একটা ভাসা ভাসা ও অস্পষ্ট ধারণা ছিল যে, ধর্ম ছাড়া যেন জীবনে অত্যাবশ্যকীয় কিছু একটার অভাব থেকেই যাচ্ছে। কোন বৃহত্তর উদ্দেশ্য ছাড়া বেঁচে থাকাটা যেন সর্বদা পরিবর্তনশীল বাসনার পিছনে ছুটে চলার এক অন্তঃসারশূন্য তাড়না। তাই আমি বলা যায় এ রকম অর্ধমগ্ন হৃদয়ে এবং এলোমেলোভাবে আমার আধ্যাত্মিক' ‘নিজকে খুঁজতে শুরু করি।
বিভিন্ন ধর্মে আমি যে আধ্যাত্মিকতার খোজে ছিলাম, তার ঝলক দেখতে পেলাম, তবে সেগুলোর সবকটিতেই যেন কিছু অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের অভাব রয়েছে- এমন মনে হলো আমার। একটা ধর্মে হয়তো শান্তি এবং সহিষ্ণুতার একটা সুন্দর ভাব রয়েছে, কিন্তু এরই মাঝে তা হয়তো তার নৈতিক এবং নীতিগত দিকটা হারিয়ে বসেছে। আবার আরেকটাতে হয়তো অন্যের প্রতি দায়িত্বের এবং আচরণের সুদৃঢ় নিয়ম রয়েছে। কিন্তু যুক্তিভিত্তিক কোন প্রশ্নকে চেপে যেতে বাধ্য করা হয়। আরো কোনটির হয়তো দৃঢ় ধর্মীয় বন্ধন রয়েছে। কিন্তু দ্বার হয়তো বহিরাগতদের জন্য রুদ্ধ। আবার এমনও ধর্ম হয়তো আছে যা ঈশ্বরকে ঘিরে থাকা রহস্য, সৌন্দর্য এবং শান্তি সম্বন্ধে অবগত। কিন্তু দৈনন্দিন বিষয়সমূহের ব্যাপারে অবাস্তব ধারণা পোষণ করে এবং আমাদের চারপাশে মানুষদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে উদাসীন। এরকম একটা সময়ে আমার সাথে সেই মানুষটির সাক্ষাৎ ঘটে, যে পরবর্তীতে আমার স্বামী হয়েছিল এবং তাকে ও তার সংস্কৃতিকে বুঝতে গিয়ে আমি ইসলামের সাথে পরিচিত হই। ইসলামের ধ্যান-ধারণা এবং শিক্ষাসমূহ তাৎক্ষণিকভাবেই আমাকে আকৃষ্ট করে। সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, সেগুলো যুক্তিপূর্ণ ছিল, সেগুলো মধ্যপন্থী ছিল এবং সেগুলো ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব ও সমষ্টিগত কর্মকান্ডের মাঝে ভারসাম্য রক্ষার পক্ষে ছিল। ইসলামের ধ্যান-ধারণা হচ্ছে সর্বজনীন অথচ সুদূরপ্রসারী। ঈশ্বর ছিলেন সর্বশক্তিমান অথচ ন্যায়বিচারক, ঈশ্বর ছিলেন দয়ালু অথচ সঠিক নির্ধারক। আমার স্বামী এবং আমি যেদিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই, সেদিন আমি শাহাদা গ্রহণ করি।
শুরুতে মনে হয়েছিল, ইসলাম গ্রহণ করাতে আমার জীবনে কোন রকম পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। আমার স্বামী বেশ ক'বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে থাকাতে আর আমার এখানেই বড় হওয়াতে, আমরা এখানকার আচার-আচরণই অনুসরণ করছিলাম এবং আমাদের ধর্মীয় জীবনকে আমাদের ধর্ম-নিরপেক্ষ জীবন থেকে আলাদা করে রাখছিলাম। প্রথম পরিবর্তনসমূহ (আমাদের চারপাশের মানুষজনের যা চোখে পড়ে) ঘটে যখন আমরা একটা পরিবার হিসেবে বেড়ে উঠছিলাম এবং এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম যেগুলো আমাদের বাচ্চার এবং আমাদের জীবনকে একই সাথে প্রভাবিত করছিলো। ঈশ্বরের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার যদি সুস্পষ্ট কোন মোড় থেকে থাকে আমাদের জীবনের পথে, তবে তা এসেছিল, আমাদের বড় সন্তানের বয়স যখন তিন বছর। আমার একজন ভালো বন্ধু ছিল, যে একজন অনুশীলনকারী মুসলিম ছিল এবং তার সাথে অনেকটা সময়ই আমি একত্রে কাটাতাম। আমার ছেলে বেশ মনোযোগী দর্শক ছিল এবং তার বয়স অনুপাতে যথেষ্ট স্পষ্টভাষী ছিল। CHRISTMAS-এর কাছাকাছি কোন একদিনে সে আমাকে প্রশ্ন করে বসলো যে, আমরা যদি মুসলিমরা যা যা করে থাকে, তার কোন কিছুই করি, তবে কেন আমাদের মুসলিম বলে থাকি? সে জানতে চাচ্ছিল, আমাদের ঘরে CHRISTMAS TREE কেন রয়েছে? সে জানতে চাচ্ছিল আমি কেন হিজাব পরি না?
তার প্রশ্নাবলীর খুব ভালো কোন উত্তর আমার জানা ছিল না, আর তাই তার প্রশ্নাবলী আমাদের জীবনে ধর্মের ভূমিকার একটা আগাগোড়া পুনর্মূল্যায়নের পরিবেশ সৃষ্টি করলো। একটা সুদৃঢ় ধর্মীয় পরিচিতি সহকারে অথবা তা ছাড়া ছেলেমেয়ে বড় করার সুফলাফল নিয়ে, আমার স্বামী এবং আমি বেশ তর্ক করলাম এবং পরীক্ষা করে দেখলাম যে, আমরা আমাদের জন্য ধর্মকে কতটুকু জরুরী মনে করি। শেষ পর্যন্ত আমরা অনুভব করলাম যে, আমাদের বাচ্চাদের)র জন্য একটা ধর্মীয় চেতনা আবশ্যক, আর তাই তা আমাদের জন্যও প্রয়োজনীয়।
পরবর্তী পাচ বছরের মতো সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের নিজেদের এবং আমাদের জীবন ধারাকে ইসলামিক মূল্যবোধের আওতাভুক্ত করার জন্য পরিবর্তিত করি। পর্যায়ক্রমে আমরা শুধু হালাল খাবার খেতে শুরু করি এবং ঐ সমস্ত সামাজিক অবস্থা এড়িয়ে চলতে শুরু করি যেখানে কেউ মদ্যপান করে। আমরা রোজা রাখতে শুরু করি, আমাদের সব নামাজ আদায় করতে শুরু করি, কোরআন শিক্ষা শুরু করি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে আরো বেশী মিশতে শুরু করি। সাধারণভাবে ইসলাম সম্বন্ধে বেশী সচেতন হবার অর্থ ছিল, নিজেদের এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের সার্বক্ষণিক পুনর্মূল্যায়ন। সার্বক্ষণিক এই মূল্যায়ন, কখনো কখনো একটা বাধা-বন্ধনের অনুভূতি জাগাতে এবং আমরা আমাদের অতীতের ঝামেলাহীন জীবনের আকাভা করতাম, যেখানে জীবন কোন চিন্তা-ভাবনা ছাড়া যাপন করা হয়। যাহোক, এমন সময়ের সংখ্যা খুব নগণ্যই ছিল, আর আমরা ইসলামে জীবন যাপন করে যা লাভ করেছি, তা ত্যাগ করার কথা কখনোই ভাবতে পারতাম না।
একজন অনুশীলনরত মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করাটা আমার জীবনে একটা উদ্দেশ্যের অনুভূতি দিয়েছে। জীবনের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে এটা জানার মাঝে, শান্তির একটা পূর্ণ অনুভূতি রয়েছে। আমি অনুভব করি যে, আমি আগের চেয়ে অনেক ভালো একটা মানুষ হয়ে গেছি বেশী দয়াপরায়ণ, বেশী মধ্যপন্থী, বেশী গভীর-চিন্তাশীল। আমার জীবনে একটা ঐশ্বৰ্য্য এবং স্থিতিশীলতার ভাব এসেছে, যা অনুশীলনরত মুসলিম হবার আগে ছিল না। এক কথায় বলতে গেলে, জীবন সুন্দর এবং কারুকার্যপূর্ণ এক পূর্ণতায় পরিণত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/633/73
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।