hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্য-পথের-কন্যারা

লেখকঃ Mrs. Carol. L. Anway M.S. Ed.

৩৬
আর JODI MOHAMMADZADEH'র বক্তব্য
REZA এবং আমার বিয়ের আগে আমাদের অনেক আলোচনার শীর্ষে ছিল ধর্ম । আমাদের দুজনের ধর্মদ্বয়ের অত্যন্ত ভিন্ন দুটি নাম ও চেহারা থাকা। সত্ত্বেও আমরা দেখলাম যে ঈশ্বরের প্রতি আমাদের অনুভব অনেকটাই এক রকম। আমি একজন মানুষ পেলাম, যার কাছে আমি আমার ধর্মীয় ধারণা ও অনুভূতি প্রকাশ করতে পারতাম এবং তার সাথে সে সব নিয়ে আলোচনা করতে পারতাম। যেভাবেই হোক আমার মাঝে সে যে সমস্ত প্রশ্ন জাগিয়ে তুলেছিল, তা আমাকে কেবলই তার নিকটবর্তী করেছে। বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে জন্ম নিয়েছিল আর আমরা দুজনই অনুধাবন করলাম যে, আমরা দুজনই দুজনকে সমর্থন করা ও একে অপরের অনুভূতি ভাগ করে নেয়াটা চালিয়ে যেতে চাই।

দুর্ভাগ্যবশতঃ যে সময়টায় আমি REZA-কে একটু একটু করে জানছিলাম, আমার সবচেয়ে ভালো দু'জন বন্ধু তার সম্বন্ধে খুব অল্পই জানতো। আমার মা ও বাবাকে আমি কি ভাবে বলতাম যে, আমি আমার জীবনের সাথীকে খুঁজে পেয়েছিলাম? এ ব্যাপারে তাদের অনুমোদন ও মেনে নেয়াটা আমার প্রয়োজন ছিল, যেমন বেশীরভাগ অন্য ব্যাপারেও তা প্রযোজ্য ছিল। আমি এই দুই প্রিয় ব্যক্তিকে তাদের প্রজ্ঞার জন্য সব সময় নির্ভরযোগ্য মনে করতাম এবং আমি চাইলাম তারা যেন সন্তুষ্ট থাকেন- যেমন আমি সব সময়ই চাইতাম- তারা যেন আমাকে নিয়ে খুশী থাকেন। কিন্তু তারা REZA-কে নামমাত্রই জানতো এবং তাদেরকে আমার মত নিশ্চিত করাতে সময় এবং চেষ্টা দু'টোরই প্রয়োজন হতো।

আমরা যখন বিয়ে করলাম তখন আমরা একমত হয়েছিলাম যে, আমরা একে অপরের ধর্ম সম্বন্ধে পড়াশোনা করবো, যাতে একে অপরের পটভূমি সম্বন্ধে অধিকতর ভালো ধারণা লাভ করতে পারি। আমরা আশা করেছিলাম যে, এসব আমাদের অনুভবকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসবে- আমাদের ধর্ম বিশ্বাসের নামের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও। আমরা আমাদের জ্ঞানার্জন চালিয়ে যেতে থাকলাম। REZA আমাদের পরিবারের সাথে কখনো চার্চে গিয়েছে এবং ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা নিয়ে তাদের সাথে আলাপ করেছে। আমি ইসলামের মৌলিক ধারণা সম্বন্ধে বিভিন্ন লেখা ও প্রাথমিক কিছু বই পড়েছি। আমাদের কেউই অপরকে ধর্মান্তরিত করার প্রয়োজন বোধ করিনি।

আমাদের ARKANSAS-এ চলে যাওয়াটা আমার পরিবারের সাথে। আমাদের দু'জনের দূরত্ব কিছুটা বৃদ্ধি করে। এই সময়ে আমি ইসলামের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ বোধ করি। REZA এবং আমি একত্রে প্রার্থনা করতে শুরু করি এবং আমাদের বিশ্বাস দৃঢ়তা লাভ করতে থাকে। আমার বিশ্বাস যে কেবল প্রসারিত হচ্ছিল তা নয় বরং একটা নির্দিষ্ট আকার ধারণ করছিল। ইসলামে আমার আগ্রহ এমন এক পূর্ণতা লাভ করে, যখন তা আমার একটা অংশে পরিণত হয়।

আমার বাবা-মা এ খবর কিভাবে নেবেন, সে সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা ছিল না। তাদের কিভাবে বলা যায় তা নিয়েও আমার কোন পরিকল্পনা ছিল না । আমি বুঝলাম এটা তাদের কষ্ট দেবে, কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে আমি আত্মবিশ্বাস ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করলাম। আমার তাদের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল- অথবা নিদেনপক্ষে তাদের মেনে নেয়াটা- এবং তাদের সুখী হওয়াটা, যেমন আমি সুখী ছিলাম। কিন্তু তারা সুখী হয়নি এবং অনুমোদনও করেনি।

আমি কেবল ইদানিংই বুঝতে শুরু করেছি যে, ঐ সপ্তাহান্তে আমার ঈমান আমাকে কতটুকু শক্তি যোগান দিয়েছিল। এমন একটা সময় ছিল, যখন আমি ঠিক নিশ্চিত ছিলাম না যে, আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে আমার সম্পর্ক কি সম্পূর্ণই ছিন্ন করে ফেলেছি না কি কেবল তাদের দারুণ ব্যথা দিয়েছি। মা মুখেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, আর আমি সেটা সামলাতে পেরেছি। গভীর চিন্তায় আচ্ছন্ন থেকে এবং অন্যমনস্ক অবস্থায় বাবা খুব সামান্যই কথা বলেছিলেন। আমি দেখলাম, প্রাথমিক ধাক্কা এবং রাগ কাটিয়ে উঠতে তাদের সময় লাগবে, কিন্তু আমি জানতাম না সেই সময়টা ঠিক কতখানি আর সেই সময় পেরিয়ে আমাদের সম্পর্কটাই বা কি দাঁড়াবে? আমি এটা বুঝেছিলাম যে, আমি আমার নতুন বিশ্বাস বা আমার বাবামাকে (কাউকেই) ত্যাগ করতে ইচ্ছুক নই।

ঐ THANKsGIVING-এর পরে REZA এবং আমি যখন ARKANSAS-এ ফিরে যাই, সপ্তাহান্তের ঘটনার ফলশ্রুতিতে আমি শূন্য এবং অনিশ্চিত বোধ করি। বাড়িতে ফোন করাটা যেন স্বাভাবিক ছিল না। আমার স্বপ্নে পিতামাতার প্রত্যাখ্যান ছিল প্রধান বিষয় এবং আমি প্রচন্ড কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ঘুম থেকে উঠতাম। আমার পিতামাতার মতই আমিও অনুভব করতাম যে, আমার কাছ থেকে কিছু ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। একটা ভাবনা আমাকে নিরাশ হওয়া থেকে বিরত রাখে। যে আল্লাহকে আমি এতো বিশ্বাস করতে ও ভালোবাসতে শিখেছি, আমার বাবা-মা সেই একই ঈশ্বরে বিশ্বাসী- একথাটা জেনে- আমি তাদের জন্য অপেক্ষা করবো- অপেক্ষা করবো, আল্লাহ যেন তাদের সেরে উঠতে সাহায্য করেন।

যখন থেকে আমি আমার পরিবারকে আমার ইসলাম গ্রহণ সম্বন্ধে বলেছি, তখন থেকে আমাদের সম্পর্ক নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পার হয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই যে, তা আরও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে। আমি খুব সত্তাবে বলতে পারি যে, আমি আমার বাবা-মাকে এখনকার চেয়ে বেশীভাবে কখনোই ভালোবাসিনি। আমাদের এই নতুন সম্পর্কের সাথে আমি অন্য কোন ধরণের সম্পর্কের বিনিময় করবো না।

“মা ও বাবা, আমাকে বোেঝার জন্য তোমরা যেভাবে চেষ্টা করেছে, সে জন্য ধন্যবাদ। তোমাদের প্রজ্ঞা ও সমর্থনের জন্য আমি তোমাদের দিকে চেয়ে থাকা অব্যাহত রাখবে। বন্ধু হিসেবে আমি তোমাদেরও সমর্থন করার চেষ্টা করবো। আমার ভালোবাসা রইলো।”- JODI (REPRINTED BY PERMISSION, SAINTS HERALD, 132:17, Nov. 1985, PP. 18, 19, 24)

সম্পর্কের উন্নয়ন আমাদের উভয়েরই কাম্য ছিল। এর মানে এই ছিল না যে, আমি নিজে ইসলাম গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মেয়ে এবং তার বন্ধুদের যা হবার জন্য ইসলাম আহবান করেছিল, আমি তাকে সম্মান করতে শিখেছিলাম।

পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্ত বা পছন্দের কারণে আমাদের জীবনে অবধারিতভাবে যে পরিবর্তন নেমে আসে তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে এবং সম্পর্ক ছিন্ন হবার পর্যায়ে যেতে পারে। আমাদের সংশয় দেখা দিতে পারে যে, কিভাবে একে অন্যের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবো এবং আমরা বিমূঢ় এবং হতাশ হয়ে যেতে পারি। এই সবের মাঝে আমার ব্যাপার এটাই যে, এমনকি এই ভগ্ন অবস্থায়ও আমরা যখন আমাদের সম্পর্কের ভাঙ্গা টুকরোগুলো জোড়া দিতে যাই, তখন আমরা এক ধরণের সমঝোতায় পৌছি। নতুন সম্পর্কটা হয়তো একটা ভিন্ন। ধরণের যোগাযোগ বা গ্রহণযোগ্যতা প্রতিফলিত করতে পারে। সমঝোতা অবশ্য একটা দ্বি-পাক্ষিক ব্যাপার যা আমাদেরকে একে অপরের কাছে পৌছানোর সুযোগ করে দেয়। যাতে আমরা আমাদের কষ্ট ও ক্রোধের প্রশমন করতে পারি এবং একটা ভারসাম্য অর্জন করতে নতুন চিন্তাধারার সাথে খাপ খাওয়াতে পারি।

ঠিক যেভাবে মেয়েরা জীবনে তাদের নতুন ভূমিকা পালনের সময় আপ্রাণ চেষ্টা করে তাদের পিতা-মাতার সাথে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে- একইভাবে পিতা-মাতাও তাদের মেয়ের মুসলিম হবার সিদ্ধান্তের যাত্রাকে মেনে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। জরিপের কাজে যে সব মেয়েরা সাড়া দেয় তাদের পিতামাতার জন্যও তাদেরকে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছিল (পরিশিষ্ট ‘খ’), যা তারা চাইলে তাদের পিতা-মাতার সাথে ভাগ করে নিতে পারতো। সাতজনের মা-বাবা ঐ সব প্রশ্নপত্রে সাড়া দিয়ে নিজেদের সংগ্রামের এবং খাপ খাওয়ানোর গল্প বলেছেন। মেয়ের এবং মা-বাবার ভাষ্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বাবা-মায়ের জীবন ধারার চেয়ে ভিন্ন। জীবন ধারা বেছে নেয়ার (মেয়ের) সিদ্ধান্তই ব্যথার মূল কারণ।

বাবা-মায়ের জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, মেয়েদের ইসলাম গ্রহণ করায় তাদের কি ধরণের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য তাদের ১ থেকে ১০ পর্যন্ত একটা স্কেল নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল (১ হচ্ছে একদম ভেঙ্গে পড়া বা সব শেষ হয়ে গিয়েছে- এমন প্রতিক্রিয়া, আর ১০ হচ্ছে। সবকিছু ঠিকই আছে, কোন অসুবিধা নেই এমন একটা প্রতিক্রিয়া)- তারা প্রথম যখন শোনেন যে তাদের মেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তখন তাদের কেমন লেগেছিল। ঠিক একই স্কেলে এই প্রশ্নপত্রের উত্তর দেয়ার সময় (এখন), তাদের ব্যাপারটা কেমন লাগে তা জানাতে বলা হয়েছিল (এখানেও ১ মানে খুব খারাপ অনুভূতি, আর ১০ মানে সব স্বাভাবিক এমন একটা অনুভূতি)। মেয়েদের ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তর দেয়া পর্যন্ত ব্যক্তিভেদে ৩ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্কেলের সূচকের মান সময়ের সাথে বেড়েছে। যা সম্পর্কের উন্নয়নের ইঙ্গিত দেয়। প্রথমে যারা তাদের প্রতিক্রিয়াকে ১ থেকে ২-এর মাঝে বলেছেন, তাদের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ছিল ৫ থেকে ৬-এর মাঝে। শুরুতে যাদের প্রতিক্রিয়া ৫ থেকে ৬ ছিল, পরবর্তীতে তা হয়েছে ৮/৯ এর ঘরে। নীচে গল্পসমূহের মাঝ থেকে তিনটি তুলে দেয়া হলো। যেখানে আমরা দেখবো মাবাবার কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল এবং কিভাবে তারা অবস্থা সামাল দিয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন