মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমেরিকানদের বোঝা দরকার, মুসলিমরা এমনভাবে জীবন যাপন করছে, যেভাবে তারা মনে করে যে, আল্লাহ্ (SWT) তাদের জীবন যাপন করাটা চান। আমরা, খুব ভুল বোঝা হয় এমন একটা ধর্ম। আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা ধর্মও। আগামী দশ বছরে ইনশাআল্লাহ্, আমরা যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হবো। আমেরিকানরা কেন খৃষ্টধর্ম থেকে ইসলামের দিকে ফিরছে? আমেরিকানদের উচিত ইসলামের যে গতানুগতিক ধারণা তাদের দেয়া হয়ে থাকে তা অতিক্রম করে সত্যিকার ইসলামের দিকে তাকিয়ে দেখা, বা শাস্তির ইসলামযে ইসলাম প্রতিদিন নতুন নতুন অনুসারী লাভ করছে। আমার কাছে একটা ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা মানেই চরমপন্থী বা যুদ্ধবাজ হয়ে যাওয়া নয়। এর অর্থ হচ্ছে এমন একটা সমাজ গঠন করা, যেখানে তার সদস্যরা, আল্লাহ আমাদের যে সব নৈতিক বাছ-বিচার দিয়েছেন, তা মেনে চলবে এবং একই সাথে ধর্মীয় দায়দায়িত্ব পালন করবে ও সামাজিক আইন-কানুন মেনে চলবে। ইসলাম আমাদের সমগ্র জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করে। এটা সব সময়ের জন্য এবং সব মানুষের জন্য। আমেরিকানরা যদি ইসলামকে খেয়াল করে দেখে এবং এই ব্যাপারটা উপলব্ধি করে, তবেই বোঝা যাবে তারা শেষ পর্যন্ত ইসলামকে জেনেছে।
আমেরিকার বহু বছরের প্রচলিত ধারণার মতো ইসলাম মেয়েদের জন্য কোন জেলখানা নয়! যে কোন সুন্দর সমাজের মতোই এর রয়েছে বিবেকসম্পন্ন দিক-নির্দেশনা এবং আইন-কানুন, কিন্তু ইসলাম নমনীয়, যেখানে অন্য কিছু রয়েছে যেগুলো ‘পাথরে লেখা এবং কিছুতেই বদলানো যায় না ।
আমি চাই আমেরিকান জনসাধারণ বুক যে, মুসলিম মেয়েরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক নয়। আমরা আমাদের স্বামীদের পেছনে হাঁটি না এবং আমাদের অলংঘনীয় অধিকারসমূহ রয়েছে। ইসলাম কোন চরমপন্থী ধর্ম নয়। ইসলাম চরমপন্থায় বিশ্বাস করে না। ইসলাম সব সময় মধ্য পন্থাকে সমর্থন করে। ইসলাম কোন আরব বা আফ্রিকান-আমেরিকান ব্যাপার নয়; এটা সব জাতির সব মানুষের জন্য একটা ধর্ম। ইসলাম একটা কালজয়ী বা কালোত্তীর্ণ ধর্ম যা সব কালের এবং সব স্থানের জন্যই উপযোগী। ইসলামের ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্যের কোন সীমারেখা নেই। সারমর্ম হচ্ছে, ইসলাম শান্তি ও সুখের ধর্ম।
আপনি যদি সত্যিই কখনো দেখতেন যে ইসলাম কি, তাহলে আপনি সাথে সাথে তাকে শ্রদ্ধা করতেন। এখন পর্যন্ত এটা কেবল আমাদের মনে লালন করা একটা আদর্শ!
বিবাহ সম্পর্ক ইসলামে সংরক্ষিত এবং যৌনতার বিকাশ ঘটে পর্দার আড়ালে! রাস্তাঘাট তখন নিরাপদ থাকবে। আপনার ছেলেমেয়ে যৌনতার বা মাদক দ্রব্যের আওতার বাইরে থাকবে। তারা মূল্যবোধের এবং বাস্তব দক্ষতার শিক্ষা লাভ করবে।
আপনার স্বামীর আয়ই পরিবারের ব্যয়ভার বহন করার জন্য যথেষ্ট হবে যা আপনাকে মুক্ত রাখবে কাজ করতে অথবা যত খুশী সন্তান ধারণ করতে অথবা পড়াশোনা করে অন্যভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করতে।
মানুষজন তখন বেকারত্বের ভয়ের ভিতর অথবা বন্ধকের ফলস্বরূপ বাজেয়াপ্ত হবার ভয়ের মাঝে জীবন যাপন করবে না। ছোট স্থানীয় ব্যবসায় এবং সুদ মুক্ত ব্যাংকিং হবে অর্থনীতির ভিত্তি। জীবন আবার বহনযোগ্য হয়ে উঠবে।
এসব কেবল শুরু। আপনি যদি কখনো একটা সুন্দর প্রশস্ত মসজিদে ঢোকেন এবং সর্বোচ্চ আল্লাহর কাছে সত্যিকার প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন, আপনি সত্যিকার অর্থে পরিতৃপ্ত ও সম্মানিত বোধ করবেন। আল্লাহ্র দয়ায়, কোনদিন, এসবই আমাদের হবে।
ইসলাম একটা জীবনযাত্রা। জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রের জন্য এতে উত্তর রয়েছে। আমি দৃঢ় বিশ্বাস থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছি- কারো জোরাজুরিতে নয় বা আমার স্বামীর জন্যও নয়। আমি আমার ইসলামকে ভালোবাসি এবং আমি অনুভব। করি আমার জন্মের সময় আমি একজন মুসলিম ছিলাম এবং আমাকে খৃষ্টান হিসেবে বড় করা হয়েছে। এখন আমি প্রত্যাবর্তিত হয়েছি- ধর্মান্তরিত হয়ে সত্যিকার এবং সোজা পথে। আমি সাফল্য লাভ করেছি। আমি ইসলামে ফিরে এসেছি! আল্লাহ যেন আমার হৃদয়কে সব সময় পবিত্র রাখেন এবং আমাকে সোজা পথের উপর রাখেন।
একজন মুসলিম নারী হিসেবে আমি বলতে চাই যে, ইসলাম আমাকে অনেকভাবে মুক্তি দিয়েছে। বেশীরভাগ আমেরিকানই মুসলিম নারীদের নির্যাতিত সমষ্টি হিসেবে দেখে, কিন্তু আমি তাদের জানাতে চাই যে, যদি মুসলিম মেয়েরা কখনো নির্যাতিত হয়, তাহলে তা এ জন্য যে তারা সত্যিকার ইসলামকে ভুলে গিয়ে তাদের দেশের আচার-আচরণ অনুসরণ করে থাকে। যে সমস্ত আবর্জনাসম নিয়ম-কানুন মেয়েদের দমিয়ে রাখে, ইসলাম সেগুলোকে ছুঁড়ে ফেলে তাদের আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাসের মর্যাদায় উন্নীত করে।
বেশীরভাগ আমেরিকান মেয়েরা মনে করে যে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে মুক্ত নারীগোষ্ঠি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তারা নিপীড়নের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত নয়। প্রত্যাখ্যাত হবার ভয়ে যার নিখুঁত শরীরের প্রয়োজন, তথাকথিত ‘মনোযোগ’ পাবার জন্য যার শরীরকে প্রস্ফুটিত করতে হয়, যে একই ধরণের কাজ করেও একজন পুরুষ কর্মীর চেয়ে কম উপার্জন করে- উপরোক্ত এই শ্রেণীসমূহের অন্তর্ভুক্ত যে কেউ এখনো নির্যাতিতা এবং এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে বন্দীদশার শৃঙ্খল ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের জীবনে আল্লাহ ও ইসলামকে গ্রহণ করা।
আমেরিকান মুসলিম মহিলারা নির্যাতিতা নয় আর পর্দা আমাদের কোন শাস্তি নয় বরং অধিকার। আমরা মনে করি পশ্চিমা জীবনধারা, আমাদের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়ে রয়েছে, এগিয়ে নেই। মধ্যপ্রাচ্যের মেয়েরা আমেরিকান পশ্চিমা জীবন ধারার মাঝে তথাকথিত সৌন্দর্য দেখে থাকতে পারে, কারণ তাদের দেশ প্রচলিত আচার-আচরণ অনুসরণ করে থাকে- ইসলাম নয়। আমার পূর্বাঞ্চলীয় বোনদের দেশে যদি সত্যি সত্যি ইসলামের অনুশীলন করা হতো, তাহলে পশ্চিমা মেয়েরা তা দেখে ইসলামিক অধিকার লাভের আন্দোলনে নামতো।
সবচেয়ে জরুরী যে বিষয়টি নিয়ে আমি শুধু মাত্র আমেরিকান জনগণ নয়, এমনকি অনেক মুসলিমের কাছেও বক্তব্য রাখতে চাই, তা হচ্ছে এই যে, ইসলামকে তার গুণাগুণ দিয়ে বিচার করা উচিত, কোন মুসলিম কিভাবে আচরণ করলো তা দিয়ে নয়। ইসলাম একটা পূর্ণ ব্যবস্থা, কারণ এটা আমাদের মতই, আল্লাহর সৃষ্টি। আমাদের অবশ্য পূর্ণ করে তৈরি করা হয়নি। আমাদের মুক্ত ইচ্ছা রয়েছে এবং আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিয়ে থাকি; কখনো সেগুলো সঠিক সিদ্ধান্ত হয়, আবার কখনো তা হয় না। তাছাড়া আমি এও আশা করি যে, অমুসলিমরা কোনদিন এ ব্যাপারটা বুঝবে যে, প্রতিটি মুসলিমই অর্থাৎ সত্যিকার মুসলিম যারা আল্লাহর আইন অনুযায়ী জীবন যাপন করে- একেকজন ‘মৌলবাদী এবং অমুসলিমরা এ শব্দটার আসল অর্থ বুঝবে। নবী মোহাম্মদের মাধ্যমে, আল্লাহ মানুষকে তার নির্দেশাবলী প্রদান করার ১৪০০ বছর অতিবাহিত হয়ে থাকলেও, ইসলামের কোন পরিবর্তন হয়নি। আসলে আল্লাহ আদমকে তৈরি করার পর থেকে আল্লাহর আইন কখনো বদলায়নি। আল্লাহ তো আর এখন আগের চেয়ে ভিন্ন মানুষ তৈরি করছেন না। আমরা সকলেই আল্লাহর তৈরি মানুষ। আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি, আমাদের সবারই তখন স্নেহ, ভালোবাসা, খাবার, নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় এবং সবারই নিজের থেকে শ্রেষ্ঠতর কারো উপাসনা করার প্রয়োজন হয়। আমরা যখন বড় হতে থাকি এবং আমাদের পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে গঠিত হতে থাকি, তখন এই প্রয়োজনগুলো বদলে যায়, তবুও সেগুলো মানবিক প্রয়োজনই থাকে। পরিবর্তন অবশ্য কখনোই দেশ বা নেতা কর্তৃক সূচিত হয় না। তার শুরু হয় বাড়িতে, বাচ্চাদের মাঝে, যেখানে মেয়েদের সার্বিক কর্তৃত্ব। যখনই মুসলিম নারীরা এটুকু অনুধাবন করতে পারবে, মঙ্গলের জন্য পরিবর্তনের সূচনা তখনই ঘটতে শুরু করবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/633/56
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।