hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্য-পথের-কন্যারা

লেখকঃ Mrs. Carol. L. Anway M.S. Ed.

২৩
পূর্ববর্তী পথ পরিত্যাগ করা আত্মীয়দের প্রতিক্রিয়া
THANKSGIVING DAY'র ঐ বিকালে JODI আর আমি আমাদের পারিবারিক কামরায় বসেছিলাম, শুধু আমরা দু'জন। শেষ পর্যন্ত আমি বুঝলাম আমাকে শুনতেই হবে। আমি নিশ্চিত হতে চাইছিলাম, সে আমাকে বলবে, তা যেন আমি পরে আবার আগাগোড়া ভেবে দেখতে পারি- ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি জানতাম, যুক্তিবাদী হবার জন্য আমি তখন ঠিক তৈরি ছিলাম না- আবেগে এলোমেলো হয়ে ছিলাম, তাই আমি একটা টেপরেকর্ডার চালু করে রাখিআমাদের কথাবার্তা রেকর্ড করতে। নীচের উদ্ধৃতিগুলো JODI’র ও আমার মাঝের সেই কথাবার্তার ধারণকৃত টেপ থেকে।

- সে শুরু করলো ঃ “গত জুলাই মাসে আমি ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেই, প্রথমে তেমন প্রবলভাবে না, তবে গত মাসে আমি মাথা ঢেকে চলার (হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নেই। তাই আমি প্রতিদিনই এটা পরি, আর এটা আমার নিজস্ব পছন্দ। REZA এ ব্যাপারে খুশি হয়েছে, কিন্তু সে আমাকে এটা করতে বলেনি। আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম এবং তোমাকে, তোমার কোন প্রশ্ন থাকলে তাও করতে দিতে চেয়েছিলাম। আমি আমার জন্য এটা বেছে নিয়েছি। আমি তোমাকে সামলে উঠতে সাহায্য করবো, অবশ্য তুমি যদি আদৌ সামলে উঠতে চাও। তোমাকে আমি এটুকুই দিতে পারি। তোমার সমস্ত ঘৃণা মিশ্রিত মতামত আমি নিতে রাজী আছি। কোন কিছুর ভুল দিকে (তোমার মতে) থাকাটা আমার জন্য সহজ হবে না.... যদিও আমি মনে করি না যে আমাদের কেউই (তুমি বা আমি) ভুল দিকে রয়েছি- আমরা শুধু ভিন্ন কিছু পছন্দ করেছি। আমার তোমাকে বলার আরো কিছু আছে, কিন্তু আমি তোমার অভিব্যক্তি শুনতে চাই।”

- আমি সাড়া দিলাম। আমি ব্যাপারটাতে খুব কষ্ট পেয়েছি। এমন অনেক কিছুই রয়েছে যা আমি তোমাকে করতে বলেছি বা তুমি যেন কর তা চেয়েছি চেয়েছি খৃষ্টধর্ম সম্বন্ধে একটা পরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে জানো এবং শোন, এমন কারো কাছ থেকে যে সত্যিই জানে। আমি মনে করি তুমি তার কোন চেষ্টাই করো নি। তুমি যে আমার কথার কোন আমলই দাওনি, সে জন্য আমি সত্যিই হতাশ। আমার খুব রাগ হচ্ছে এবং বৃহুদিন যাবতই আমার ভিতরে এই রাগের অনুভূতি রয়েছে। গত ক'মাস ধরে আমার মনে হয়েছে তুমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যেন আমরা সারাক্ষণই বিলাপ করে চলেছি।”

- “মা, এটা আমার নিজের সিদ্ধান্ত। এটা তোমাকে প্রত্যাখ্যান করা নয়। আমি তোমাকে ব্যাথা দিতে চাই না, আমি মনে করি এর মাঝে দিয়ে (ইসলামিক আচার-আচরণ) আমার নিজেকে প্রকাশ করা হয়। আমি যা ছিলাম তা থেকে আমি অনেকটা পথ পার হয়ে এসেছি।”

- “মা-বাবা হিসেবে আমাদের কাছ থেকে তুমি কি আশা কর?”

- “আমি যে কিছু চাই, তা মনে করি না। এমনও হতে পারে যে, আমি যে তোমাদের কাছে পিঠে থাকবো না, সেজন্যই এমন মনে হয়। আমি এমনকি, কতদিন বাঁচবো তাও জানি না। এমনও হতে পারে যে এটা একটা স্বপ্ন মাত্র। কিন্তু আমার মনে হতে থাকে যে, ইসলামে আমার নির্দিষ্ট কিছু করণীয় আছে। আমি অন্যদের জিজ্ঞেস করেছি, তাদের এমন লাগে কিনা- তারা বলেছে- না। তাদের আশা এবং স্বপ্ন আছে, কিন্তু আমার যা আছে, তা হচ্ছে একটা অনুভূতি ও যে আমাকে একটা নির্দিষ্ট পথ পার হতে হবে। আমার জীবন কঠিন হতে পারে এবং আমাকে শক্ত হতে হবে, কিন্তু আমি যথেষ্ট শক্ত এবং আমি শেষ পর্যন্ত যেতে পারবো।”

- “তাহলে আমাদের স্থান তোমার জীবনে কোথায়, JODI?” আমি জিজ্ঞেস করি।

- “আমার তোমাদের অনেক দূরে মনে হয়, আর আমি তোমাদের আমাকে বানানোর বিল্ডিং ব্লক বা ইট স্বরূপ দেখি।

- “আমার মনে হচ্ছে তুমি বলতে চাও, তুমি যা পেয়েছে। আমরা তোমাকে যা দিয়েছি- তা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালো ছিল না, আর তুমি সে সমস্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিতে চাও এবং আমাদের সবকিছুই পরিত্যাগ করতে চাও। তুমি এমনভাবে সব বন্ধন ছিন্ন করে চলেছো যে, তুমি অতীতের কিছুকেই আর ভোয়াক্কা কর না।”

- “মা, আমি প্রথম ওরকম বোধ করেছি, যখন কিশোরী হিসেবে আমাদের চার্চের যুব ক্যাম্পে ছিলাম। তারা বলছিল, কিভাবে শিষ্যরা সবকিছু ত্যাগ করে JESUS-কে অনুসরণ করেছিল, কোন বস্তু তাদের কাছে বড় হয়ে দেখা দেয়নি। তারা এমনকি তাদের পরিবারও ত্যাগ করেছিল। আমি ভাবলাম- এমন কত জিনিস রয়েছে যা আমি ত্যাগ করতে পারবো না। আমি আমার রেকর্ডগুলো ত্যাগ করতে পারতাম না। আমার ওগুলো বাজাতে ভালো লাগে। ঐ সময়ে আমি আত্ম-সন্ধানে ছিলাম। না, আমি অনেক কিছুই ত্যাগ করতে পারতাম না। সবকিছু ত্যাগ করে ঐভাবে JESUS-কে অনুসরণ করতে, নিশ্চয়ই শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন। না, আমি তা করতে পারবো না এবং সে জন্য আমার বিষন্ন লেগেছিল। কিন্তু তারপর এমন একটা সময় আসলো, যখন আমি অনুধাবন করলাম যে, জীবনে একবারের জন্য হলেও আমি কোন বস্তু বা জিনিসের তোয়াক্কা করি না। অন্যকিছু আমার কাছে অপেক্ষাকৃত মূল্যবান- আধ্যাত্মিক জীবন এবং সম্পর্ক।”

আমরা কথা বলতে থাকলাম। হিজাব পরার মতো আমূল পরিবর্তন নিয়ে আমি তাকে বেশ শক্ত ভাষায় একটা বক্তৃতা দিলাম। আমি তার ঢিলাঢালা কাপড়চোপড় ও ওড়না নিয়ে বেশ অপমানজনক মন্তব্য করলাম। আমি আমাদের প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাকে উপর্যুপরি দোষী সাব্যস্ত করলাম।

সে আমাকে বার বার আশ্বস্ত করতে চাইলো- “আমি তোমাদের প্রত্যাখ্যান করছি না। আমি শুধু একটা ভিন্ন উপায়ে কাজ করতে চাইছি- তুমি আর বাবা হলে আমার আদর্শ। তোমরা যেভাবে মানুষকে সাহায্য কর এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ, দাও, তা আমি খুবই পছন্দ করি। আমি শুধু একটা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছি। আমি শুধু তোমরা যেন এটাকে মেনে নিতে পারো, সে জন্য চেষ্টা করতে পারি।”

শেষ পর্যন্ত আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললাম এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। “আমি ভেঙ্গে পড়েছি। আমি কখনো ভাবিনি আমার এরকম প্রতিক্রিয়া হবে। আমি বিশদ ভেবেছি এ নিয়ে যে কিভাবে এ সবকিছুকে মেনে নেয়া যায়। আর এখন দেখছি আমি তা পারছি না মোটেই। গত কটা দিন আমার অনেক ভোগান্তি গেছে। আমি একদম বুঝতে পারছি না, আমি কি করবো। আমি ভাবতে থাকি আমাদের ভুলটা কোথায় ছিল, যদিও তোমার কাজকর্মের কিছু কিছু দারুণ সুন্দর। আমি তোমাকে হারাতে চাই না, অথচ আমি তোমাকে আমার চেয়ে যত দূরে সম্ভব ঠেলে সরাতে চাই। তোমার প্রতি আমার মমতা এতো বেশী যদি না হতো, তাহলে আমি তোমাকে আর কখনোই দেখতে চাইতাম না। আমি এই অবস্থাটাকে ঘৃণা করি। কিন্তু আমি চেষ্টা করবো একটা উপায় বের করতে।”

আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে থাকলাম এবং অনেকক্ষণ ধরে কাঁদলাম। তারপর JODI যোগ করলো, “REZA সত্যিই তোমাকে এবং বাবাকে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। আমরা একটু ভিন্ন একটা পথ বেছে নিয়েছি, যেটা আমরা ঠিক মনে করি, কিন্তু আমরা তোমাদেরও ভালো এবং দৃঢ় চরিত্রের মনে করি। আমরা আশা করি, আমাদের বিয়েটা যেন তোমাদের মতো ভালো হয় আর আমরাও যেন তোমাদের মতোই মানুষকে সাহায্য করতে পারি। আমরা আসলে অতি সাধারণ এবং আমাদের স্বাস্থ্য, পড়াশোনা ও কাজের কথা বিবেচনা করলে আমাদের সত্যিই বেশ সগ্রাম করতে হবে- সবকিছুকে এক সঙ্গে ধরে রাখতে চাইলে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যেতে চাই।”

শেষ পর্যন্ত আমাদের আর কথা বলার কিছু ছিল না। আমি আমার ঘরে চলে গেলাম এবং রাতের বেশীরভাগই দীর্ঘশ্বাস ফেলে কাটলো। সময়ের এ পরিসরের মতো জীবনে আর কখনো এতো দুঃখ হয়নি আমার। আমার এতো ব্যথার অনুভূতি হচ্ছিল, যে মনে হচ্ছিল আমার শরীরের একটা অংশ বুঝি খোয়া গেছে। পরের দিন দুপুরের দিকে আমি আমার শশাবার ঘরের জানালার সামনে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করলামঃ খৃষ্টান, মুসলিম এবং মহাবিশ্বের ঈশ্বর, আমি এখন কি করবো? আমিএটা কিভাবে সহ্য করবো?” তারপর আমি যখন সাহায্যের প্রত্যাশায় বসেছিলাম, তখন পাশের ঘর থেকে আমার ছেলেদের বাজানো একটা গানের শব্দ ভেসে আসছিল- Beatles-রা গাইছিল “YESTERDAY, ALL MY TROUBLES SEEMED SO FAR AWAY./ LOVE WAS SUCH A EASY GAME TO PLAY. OH, HOW I LONG FOR YESTERDAY!" Wit প্রার্থনা করলাম, “ঈশ্বর আমার ঠিক ঐ অনুভূতিই হচ্ছে। আমি গতকাল’ কামনা করছি, যখন JODI’র সাথে সবকিছুই খুব সহজ ছিল আমার।

তারপর BEATLES-দের আরেকটা গান হচ্ছিল ? HEY JUDE, DON'T BE SAD; TAKE A SAD SONG AND MAKE IT BETTER." ওটা আমাকে নাড়া দিল, কারণ আমি এই দুঃখের গানকে নিয়ে একটা খুশীর গানে পরিবর্তিত করতে চাইছিলাম। একটা ইতিবাচক অনুভব এলো আমার মাঝে। সেরে ওঠার পদ্ধতির যেন সূচনা ঘটছিল। যখন JODI ও REZA, ARKANSASএ যাবার জন্য রওনা হচ্ছিল, আমি তাদের বাহুতে নিয়ে বলতে পারলাম ঃ “আমি ব্যাপারটা সামলে উঠতে চাই। অনুগ্রহ করে আমাকে সাহায্য কর। আমি তোমাদের খুব ভালোবাসি। আমি, আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই, আর তোমরা যা বেছে নিয়েছে, আমি তা মেনে নিতে শিখবো।” আমি আমার মেয়ে এবং জামাইকে হারানোর ঝুঁকি নিতে পারলাম না। সম্পর্কের ক্ষত সারিয়ে তুলতে, যা কিছু প্রয়োজন হয় আমি করবো।

পারিবারিক জীবনের তীব্র মানসিক যন্ত্রণার কারণের অন্যতম হচ্ছে ধর্মীয় সিদ্ধান্ত। আবেগের আতিশয্য থাকে, আর ঐ সব সিদ্ধান্তের প্রতি প্রতিক্রিয়া এমন সব পরিবর্তন আনে, যা থেকে পরিবারের ভাঙ্গন ধরে। মেনে নেয়ার পথে যাত্রা, যদি তা আদৌ ঘটে, বেশ দুর্গম এবং সময় সাপেক্ষ হতে পারে।

মা-বাবার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার ব্যক্তিগত কাহিনী, যে সব মেয়েরা বলেছে, তাদের ভিতর সব শ্রেণীর প্রতিক্রিয়াই আছে ও গ্রহণ থেকে নিয়ে সম্পূর্ণ ছাড়াছাড়ি এবং প্রত্যাখ্যান সবকিছুই। ৪৬% তাদের বাবা-মার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াকে নেতিবাচক ও ক্লান্তিকর বলেছে, ২৩% বলেছে তাদের এক রকম মেনে নেয়া হয়েছে বিশেষ রফা বা বাক-বিতন্ডা ছাড়াই। ১৪% বলেছে তাদের বাবা-মায়েরা খুবই স্বাভাবিকভাবেই সব গ্রহণ করেছে এবং তাদের সমর্থন করেছে। কিছু বলেছে যে এটা বাবা-মায়ের গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার কোন ব্যাপার ছিল না; তাদের ছেলেমেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে কি করবে, তা তাদের অধিকারভুক্ত কোন ব্যাপার নয়।

সময়ের সাথে, যেখানে প্রয়োজন, বেশীরভাগ পরিবারেই একটা আপোষের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধিকাংশ মেয়েরাই পরিবারের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে এবং পরিবারের মেনে নেয়ার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য এবং বিরাট উন্নতি দেখতে পেরেছে, যদিও কয়েকজনের বেলায় কোন সম্পর্কই আর থাকেনি- বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কখনো কায়িক দূরত্বটা বরং সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, কারণ তাদের দৈনন্দিন ওঠা-বসার ক্ষেত্রে সর্বক্ষণ মানিয়ে চলতে হয়নি। অন্যকিছু ক্ষেত্রে অবশ্য দুরন্তু, সম্পর্ককে মান-সম্মানের একটা প্রশ্নে হিমায়িত করে রেখেছে- সমাধানের দিকে কোন গতি ছাড়াই।

মেয়েদের মুসলিম হবার সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়ে, বিভিন্ন পরিবার, বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ও ধাপের মাঝ দিয়ে অতিক্রান্ত হবার কথা এই সব মেয়েরা বলেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন