মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অন্য পথে ছেলেমেয়ে বড় করা
আমেরিকান সমাজে মুসলিম ছেলেমেয়ে
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/633/46
বার্ষিক পারিবারিক চার্চ ক্যাম্পে, ছেলেমেয়েদের বেড়ে ওঠার বছরগুলোতে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে চার্চের ক্যাম্প মাঠে হাজির হতাম।JODI-ও এইসব ক্যাম্প মাঠে গিয়েছে, তরুণ ক্যাম্পে যোগ দেয়ার জন্য। শৈশবে এবং তারুণ্যে এই সমস্ত মাঠেই তার অনেক ভালোভালো আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা হয়েছে। ক্যাম্পের অগ্নিস্তুপের পাশে বসে প্রার্থনা সভায়, ক্লাসসমূহে, কিতাব সম্বন্ধে পড়াশোনায় এবং অন্য খৃষ্টান বন্ধুদের সৎসঙ্গে তার জীবনে, ঈশ্বরকে উপাসনা ও অনুসরণ করার সংকল্প এসেছে।
সে যখন ১৫ বছর বয়স্কা, তখন এমনি একটা ক্যাম্পে সে একটা কবিতা লেখে, যা তার কাছে এক অনুপ্রেরণা স্বরূপ এসেছিল বলে সে অনুভব করে। এই কবিতা, তার জীবনকে একটা অত্যন্ত বিশেষ উপায়ে আহবান জানায়।
THE INSPIRATION
Wherever I'm at, it is my home;
The people I'm with, my family.
There'll be different things
Wherever I roam,
Wherever I go, I'll go happily.
Don't worry about me,
I don't walk alone
For God is walking beside me,
And as we walk along
We speak in soft tones;
Together we keep each other company.
I'll go where he wants, wherever I'm led
Though the roads may be long and dreary.
I'll not remember the harsh words that are said,
But the people I've sought to help
Who are weary.
The times I'll remember will be happy ones,
No matter what others will say.
The bad that there is
Will not overcome
For God's with me all the way.
Jodi C. Anway
June, 1978
সপ্তাহান্তের জন্য, আমরা ঐ একই ক্যাম্প-মাঠে যাচ্ছি আবার, কিন্তু এবার সেটা ভিন্ন ছিল- একদল ভিন্ন মানুষের সাথে যাত্রা। JODI ও REZA তাদের ইসলামিক দলের জন্য ঐ ক্যাম্প-মাঠ বেছে নিয়েছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, আর রান্না-বান্নায় একটু সহায়তা করা, মানুষজনকে একটু ঘুরিয়ে দেখানো সবকিছু আর মেয়েকে বাচ্চা সামলাতে সাহায্য করা- সবই বেশ মজার। আমরাই ছিলাম একমাত্র উপস্থিত অমুসলিম এবং আমার যে মাথা ঢাকা ছিল না। কেউ তার তোয়াক্কা করছে বলে মনে হলো না।
মুসলিম মানুষজনের সাথে সপ্তাহান্ত ছিল খুবই স্বস্তিকর। এরা বেশীরভাগই ছিল তরুণ বয়স্ক তাদের বাচ্চা-কাচ্চাসহ। সব মেয়েরই হিজাব দ্বারা মাথা ঢাকা ছিল, পুরুষরা মার্জিত পোশাকে ছিল, আর বাচ্চারা বাইরে ছুটাছুটিতে ব্যস্ত ছিল। সুইমিংপুলটা একটা প্রধান আকর্ষণ ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহান্তে সেখানকার নিয়ম কানুন ছিল বিশেষ ধরণের। চারপাশের বেড়ায় কম্বল ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল, যাতে মেয়েরা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সাঁতার কাটতে পারে। পুরুষরা এবং একটু বড় বালকরা, ভিন্ন সময়ে সেখানে সাঁতার কাটতে যায়।
খাবারের সময়গুলোতে আমরা সবাই এক সঙ্গে খাবার জন্য নির্ধারিত হল ঘরে খাওয়া-দাওয়া করি- আলাপচারিতা চালিয়ে যেতে যেতে। পুরুষরা ও মেয়েরা যখন রান্না ঘরে কাজ করছিলো বাচ্চাদের যত্ন নিচ্ছিল, লেকে মাছ ধরছিলো অথবা হেঁটে বেড়াচ্ছিলো- সব ক্ষেত্রেই একটা বন্ধুত্বের এবং সহযোগিতার পরিবেশ অনুভব করা যাচ্ছিল। সাধারণভাবে সবাই সবার উপস্থিতিটা উপভোগ করছিল। মুসলিম আচরণবিধি পালন করতে গিয়ে পুরুষরা এবং নারীরা উভয়ই একে অপরের প্রতি ব্যবহারে যত্ন ও সম্মান প্রদর্শন করছিল। মুসলিম আচরণ বিধি কিভাবে পালিত হচ্ছে আমি সে ব্যাপারে এমনকি সচেতনও ছিলাম না। কেবল পুরুষরা ও নারীরা দুটি দলে জড়ো হয়ে থাকছে- এটুকুই চোখে পড়ে।
খাবার ঘরে নামাজের সময় আমি তাদের দেখলাম কয়েকবার তারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালো- পুরুষরা বড় ছেলেদের নিয়ে একটা দল, মেয়েরা এক সাথে সবাই একটা দল; আর ছোটরা খুশী মনে নিজেদের মতো চলছিল- যদিও তারা কারো প্রার্থনায় অসুবিধার সৃষ্টি করছিল না। এই একই খাবার ঘরে আমি আগেও এসেছিলাম, মহিলাদের অবসর বিনোদন সমাবেশে, এখানে আমি জ্ঞান অর্জন করেছি, প্রার্থনা করেছি এবং অন্যদের সৎসঙ্গ লাভ করেছি। ওরা (মুসলিমরা) ঈশ্বরের লোকজন, ওরা এই সমস্ত মাঠে এসেছে- যা আমার কাছে পবিত্র ছিল এবং তারাও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছে, তাদের সংকল্প ব্যক্ত করছে, একটা ভালো জীবন যাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করছে- ঠিক যেভাবে অতীতের বছরগুলোতে আমিও বহুবার করেছি।
এটা আমাকে আশ্বস্ত করলো যে, আমার নাতি-নাতনীরা এমন একটা পরিবারে বড় হচ্ছে, যেখানে ঈশ্বর এবং পরিবারের প্রতি মানুষ নিজেকে উৎসর্গ করে। একদিন আমার মেয়ের বাসায় আমি আমার শিশু নাতনী ফাতেমার কাছে বিছানায় বসেছিলাম। JODI ঐ একই কামরায় আরবীতে তার মধ্যাহ্নকালীন প্রার্থনা করছিল। তার প্রার্থনার বেশ তাড়া ছিল এবং সে এক বিশেষ প্রার্থনার কম্বলের (জায়নামাজ) উপর বসে প্রার্থনা করছিল। আমার নাতি, EMAUN তখন প্রায় চার বছর বয়স হবে, আমার কাছে এসে দাঁড়ালো। সে তার এই কয়েক বছরের জীবনে প্রতিদিন বাবা ও মাকে কয়েকবার করে আরবীতে প্রার্থনা করতে শুনেছে। EMAUN আমাকে বললো, “নানী, তুমি নামাজ পড়?”
(আমি বললাম) “নামাজ কি? ঐ প্রার্থনাগুলো?”
“হ্যা”। সে উত্তর দিল।
“বেশ, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তবে ভিন্নভাবে।”
“তুমি তখন কি বলো, নানী?”
আমি বললাম যে, আমি তখন আমার নিজের প্রার্থনা রচনা করি। এখন EMAUN বুঝতে পারলো যে, আমি শুধু ইংরেজী ভাষাই জানি- তার বাবার ফার্সিও জানি না বা প্রার্থনার ভাষা আরবীও জানি না। তাই প্রার্থনা সম্বন্ধে আমার উত্তর অর্থাৎ আমি নিজের প্রার্থনা রচনা করি। শুনে EMAUN বললো, “কিন্তু নানী, ঈশ্বর তো ইংরেজী জানেন না। পরে JODI তার সাথে কথা বলে তাকে বুঝালো যে, ঈশ্বর সব ভাষাই জানেন।
একটা নবজাত শিশুর জীবনের প্রথম মুহুর্তগুলোতেই জীবনে ইসলামের সূচনা ঘটে, যখন শিশুর বাবা বা অন্য প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সক্ষম কেউ তার কানে ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ..... আমি সাক্ষ্য দিই আল্লাহ ছাড়া কোন ঈশ্বর নেই..... নামাজের জন্য এসো..... কল্যাণের জন্য এসসা ...... আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ”- এই কথাগুলো শোনায়। একটা শিশুর জন্মের পরের দিনগুলোতে বা প্রথম মাসগুলোতে, কোন এক সময় একটা ভেড়া জবাই করা হয় এবং তার মাংস অভাবগ্রস্তদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়। একটা ভালো নাম পছন্দ করা গুরুত্বপূর্ণ, যেন সেই নাম বাচ্চাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ছেলেদের খতনা করার উপদেশ দেয়া হয়। নয় বছর বয়সের আগেই বাচ্চাদের নামাজ এবং ঠিকভাবে অজু করতে শেখানোটা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। শিশু পালনে সঠিক উপায় অবলম্বন করলে সেজন্য ঈশ্বর মা-বাবাকে অনেক আশীর্বাদ এবং পাপ ক্ষমা করে পুরস্কৃত করবেন বলে মুসলিমরা বিশ্বাস করে।
আমাদের আলোচ্য কন্যাদের, যাদের বাচ্চা রয়েছে, তাদের মতামত থেকে বোঝা যায় যে, তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও করণীয়র মাঝে অন্যতম প্রধান হচ্ছে, একজন দায়িত্বশীল মা হওয়া। ব্যবহার থেকে শুরু করে তাদের একাগ্রতা এবং দৈনন্দিন প্রশিক্ষণ- সবকিছুতেই তারা তাদের বাচ্চাদের এমনভাবে বড় করতে চায়, যেন তারা মুসলিম থাকার ঐতিহ্য বজায় রাখে এবং একাগ্রতার সাথে ঐ সমস্ত বিশ্বাসের অনুশীলন করে। আমাদের নাতির বেলায় ঐ দৈনন্দিন প্রশিক্ষণ এবং আদর্শ স্থাপন, আমি স্পষ্টতঃই দেখতে পাই।
মেয়েরা এই ইঙ্গিতও দিয়েছে যে, স্ত্রী এবং মা হিসেবে তাদের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং শান্তিময় একটা গৃহ পরিবেশ এর ব্যবস্থা করা যেখানে স্বামী ও বাচ্চাদের সুস্থ জীবন বিকাশ লাভ করবে। সে যদি বাইরে কাজ করে, তবে তা যেন তার স্ত্রী ও মা হিসেবে দায়িত্বসমূহের জন্য অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়। তার ভরণপোষণের অধিকার (অর্থাৎ পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব যে এককভাবে স্বামীর) মূলতঃ এ জন্যই প্রাপ্য যে, সে যেন শিশু জন্মদানে, শিশুকে বুকের দুধ দেয়াতে এবং বাচ্চা বড় করতে তার ভূমিকা পালনে মুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
বাচ্চা বড় করার ব্যাপারে আমিই হচ্ছি প্রাথমিক তত্ত্বাবধায়ক, যে তাদের সঙ্গে দিনে ২৪ ঘন্টাই থাকে। আমি মূলতঃ শিক্ষা এবং শৃঙ্খলার ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত, যদিও তাদের বাবাও বাচ্চাদের যত্ন ও শিক্ষার ব্যাপারে খুবই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে।
কোরআনের শিক্ষা হচ্ছে ছেলেমেয়েকে অবশ্যই পিতা-মাতার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে এবং তাদের মেনে চলতে হবে, যতক্ষণ না তারা এমন কোন কিছু করতে বলেন, যা কোরআনের (শিক্ষার) পরিপন্থী। ইসলামিক স্কুলে তাদের শিক্ষা দেয়া হয়, তাদের মায়ের প্রতি অনুগত হতে এবং তাকে সম্মান করতে। এমন একটা সময় আসবে যখন আমি বৃদ্ধা হবে এবং তখন তাদের পালা আসবে আমার যত্ন নেয়ার। তাদের মায়ের হাতে চুমু খেতে বলা হয়; কেননা আমিই হচ্ছি তাদের বেহেস্তে প্রবেশ নিশ্চিত করার ব্যক্তি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/633/46
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।