hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্য-পথের-কন্যারা

লেখকঃ Mrs. Carol. L. Anway M.S. Ed.

৫৩
দৈনিক প্রার্থনা (বা নামাজ)
স্কুলের আবেগময় প্রার্থনা সংক্রান্ত আলোচনাতে, প্রায়ই খৃষ্টান ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপারে কোন বিবেচনা করা হয় না। মুসলিম তরুণরা দৈনিক ৫ বেলা নামাজ পড়ার প্রশিক্ষণ পেয়ে বড় হয়, যার অন্ততঃ দু'বেলার সময় তাদের স্কুলের সময়ের অন্তর্ভুক্ত। তা সত্ত্বেও তাদের প্রার্থনার জন্য একটা স্থান বা সময় বরাদ্দের ব্যাপারটা সম্ভবতঃ স্কুলের প্রার্থনা সংক্রান্ত অধিকাংশ আলোচনাতেই এড়িয়ে যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারটা কার্যক্ষেত্রে অবস্থানরত মুসলিমদের বেলায়ও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যাদের স্থান এবং সময়ের একটা বরাদ্দের প্রয়োজন হয়, যাতে দিনে সম্ভবতঃ দু'বার একান্তে তারা কয়েক মিনিট সময় অবসর পেতে পারে এবং তাদের অবশ্যকরণীয় নামাজ আদায় করতে পারে। আমাদের কাছে বেড়াতে এলে JODI ও REZA তাদের নামাজের সময় নিঃসঙ্কোচে বাড়ির অন্য একটা খালি ঘর বেছে নেয়। অমুসলিম বাবা-মায়েরা যদি এই বিষয়টা নিয়ে অস্বস্তিবোধ করেন, তবে আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে একটা ঐকমত্যে পৌছাতে হবে।

আমার মা-বাবা আমাদের বিশ্বাসের ব্যাপারে খুবই সুবিবেচক। আমাদের তাদের ঘরে নামাজ পড়া নিয়ে, তাদের কোন সমস্যা নেই। আমাদের তারা কি খেতে দিচ্ছেন তা নিয়েও তারা খুবই সতর্ক এবং তারা চেষ্টা করেন, আমাদের খারাপ লাগাবার মত কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকতে।

JESUS CHRIST-এর নামে প্রার্থনা করা হলে মুসলিমরা খুবই অস্বস্তি বোধ করতে পারে, আর তাই তারা হয়তো ঐ সমস্ত উপলক্ষ এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করতে পারে।

JESUS-এর উদ্দেশ্যে কোন প্রার্থনা করা হলে আমরা যে অপমানিত বোধ করবো এ বিষয়টা আমার মা-বাবা বোঝেন এবং আমি সেজন্য কৃতজ্ঞ। তারা তাদের প্রার্থনার শেষে সতর্কতার সাথে আমাদের নিজ নিজ ঈশ্বরের নামে, আমিন” বলে থাকেন।

ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক আলোচনা আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি যে, মুসলিমরা যা বিশ্বাস করে সে সম্বন্ধে তারা খুবই নিশ্চিত বোধ করে। তারা বোধ করে, তাদের কাছে সত্য রয়েছে, আর তারা বুঝতে পারে না, কেন অ-মুসলিমরা তা দেখতে বা বুঝতে পারছে না। যেমন সব জনগোষ্ঠীতেই থাকে, তেমনি মুসলিমদের মাঝে ভিন্ন মতামত ও ব্যাখ্যা রয়েছে এবং রাজনৈতিক আলোচনার পরিণতি হিসেবে অবস্থা বেশ উত্তেজনাকর হয়ে উঠতে পারে- তা সে আলোচনা মুসলিমদের নিজেদের মাঝেও হতে পারে অথবা মুসলিম ও অ-মুসলিমের মাঝেও হতে পারে।

একদিন REZA ও JODI’র সাথে একটা রাজনৈতিক বা ধর্মীয় আলোচনার শেষে আমি কাঁদতে শুরু করেছিলাম। আমার জন্য, আমার সহ্য শক্তির জন্য ব্যাপারটা বোধ হয় একটু বেশীই হয়ে গিয়েছিল। আমি বললাম, “JODI, আমরা এ বিষয় নিয়ে আর কথা চালিয়ে যেতে পারি না। আমাকে এটা খুবই কষ্ট দিচ্ছে।”

JODI বললো, “ওহ মা, আমরা তা করতে পারি না, আমাদের কথা বলা উচিত।” তখন REZA আমাদেরকে জ্ঞানের কথা বললো, “কখননা, আমার নিজের পরিবারেও আমি দেখেছি, এমন কিছু বিষয় থাকে যা নিয়ে কথা বলা চলে না, কিন্তু তবুও আমাদের একত্রে থাকতে হবে, কারণ আমরা সবাই একে অপরকে ভালোবাসি।”

তার ঐ উপদেশ অনেক সময় আমাদের খুব কাজে লেগেছে। আমরা কথা বলতে চেষ্টা করি, আর JODI ও REZA এখন জেনে গেছে, আমার মন খারাপ করতে না চাইলে কতটুকু পর্যন্ত বলা যাবে। তার পর তারা থেমে যায়। তাদের বিশ্বাস তাদের কাছে এতো অর্থবহ যে, তারা তা অন্যের সাথে ভাগ করতে চায় এবং প্রায়ই তা পরিবার বা পরিচিতের জন্য একটা বিস্ফোরক অবস্থার জন্ম দেয়।

আমি আমার বাবা-মাকে খুবই ভালোবাসি এবং গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি। আমি শুধু আশা করি একটিবার যদি তারা আমাকে জিজ্ঞেস করতো যে, আমি কি বিশ্বাস করি অথবা কেবল খানিকটা কোরআন যদি পড়ে দেখতো। আমি, তাদের ইসলাম গ্রহণ করা, অবশ্যই দেখতে চাইবো, কিন্তু এই মুহূর্তে অথবা নিকট ভবিষ্যতেও তা সম্ভাব্য মনে হয় না।

আমার পরিবারের কাছ বেড়াতে গেলে আমার মনে হয়, আমি বুঝি মূর্তিসমূহ দ্বারা পরিবেষ্টিত, কিন্তু যেহেতু তারা আমার ইসলামকে মেনে নিয়েছে, আমিও তাদের বিশ্বাসকে বরদাস্ত করি।

সবকিছু যেভাবে চলছে আমি সেভাবেই চালিয়ে যেতে চাই এবং আমার বাবা-মার সাথে একটা যোগাযোগ রক্ষা করতে চাই, বিশেষতঃ এখন যখন আমাদের একটা বাচ্চা হয়েছে। তারা আমার বাবা-মা এবং আমার উচিত তাদের খোজ খবর নেয়া। আমার পরিবারের সাথে সবকিছুতেই কেন যেন একটা অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। আবহাওয়া, আমরা কোন গাড়ি কেনার কথা ভাবছি অথবা আগামী গ্রীষ্মের ছুটি কিভাবে কাটাবো- এ ধরনের বিষয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে কথা বলাটাও দুঃসাধ্য।

আমার দেয়া প্রশ্নপত্রে সাড়া দিয়ে মেয়েরা যা লিখে পাঠিয়েছে, তাতে বোঝা যায় যে, আদি পরিবারের সাথে একটা সমঝোতায় পৌছানোর বিভিন্ন ধরণের উপায় রয়েছে। এমন কিছু পরিবার রয়েছে, যারা অন্যদের মত খোলা মনের নয়। কেউ কতটুকু খোলা মনের হবে এবং কতটুকু পর্যন্ত ছাড় দিতে প্রস্তুত, তাতে ভিন্নতা রয়েছে। জরিপের প্রশ্নগুলো যদিও কর্মক্ষেত্রকে উদ্দেশ্য করে ছিল না, তবুও মুসলিমদের সাথে আমার নিজস্ব কথাবার্তায় আমি বুঝেছি যে, সামাজিক সম্পর্ক, উৎসব, ছুটির দিন, ভুল বোঝাবুঝির এবং তাদের প্রতি বৈষম্যের অনুভূতি নিয়ে তারা বেশ নিরাশায় ভোগে ।

মেয়েদের বর্ণনায় অনেক ক্ষেত্রেই মনে হয় যে, পরিবার বা পরিচিতরা মেয়েদের প্রতি যত বেশী সহযোগিতা ও সমর্থন দেখিয়েছে, মেয়েরা তত কম করে রক্ষণশীল হবার প্রয়োজন বোধ করেছে। একটা কট্টর মনোভাব হয়তো বা সমর্থনের ও আস্থার অভাববোধের কারণে আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন