hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস চতুর্থ খণ্ড

লেখকঃ ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

৬৮
ফজরের আভা প্রকাশ হওয়ার পূর্বে ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করা অপরিহার্য
64 - عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " مَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ؛ فَلاَ صِيَامَ لَهُ ".

( جامع الترمذي , رقم الحديث 730, وسنن أبي داود , رقم الحديث 2454, وسنن النسائي , رقم الحديث 2334 , واللفظ للترمذي , وصححه الألباني ).

64 - অর্থ: নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রিয়তমা হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিত। তিনি নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে বর্ণনা করেছেন। নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যে ব্যক্তি ঊষাকাল বা ফজরের আভা প্রকাশ হওয়ার পূর্বে বা রাত্রির অবসান ঘটার পূর্বে রোজা রাখার অভিপ্রায় বা ইচ্ছা করবে না, তার রোজা সঠিক বলে বিবেচিত হবে না”।

[জামে তিরমিযী, হাদীস নং 730, সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 2454 এবং সুনান নাসায়ী, হাদীস নং 2334, তবে হাদীসের শব্দগুলি জামে তিরমিযী থেকে নেওয়া হয়েছে। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারিণী সাহাবীয়ার পরিচয়:

উম্মুলমুমেনীন হাফসা বিনতে আমীরুলমুমেনীন ওমার ইবনুল খাত্তাব [রাদিয়াল্লাহু আনহু] । তিনি নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর নবুওয়াত প্রাপ্ত হওয়ার পাঁচ বছর পূর্বে জন্ম গ্রহণ করেন। এবং খুনাইস বিন হুজাফা আসসাহমী আলবাদরী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর তিনি স্ত্রী ছিলেন। তাই খুনাইস বিন হুজাফা আসসাহমী আলবাদরী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে সঙ্গে করে আবিসিনিয়া তথা ইথিওপিয়া দেশে হিজরত করেন, সেখান থেকে আবার মাদীনার প্রতি হিজরত করেন। এবং মাদীনায় আগমন করার পর তিনি বদর ও ওহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু ওহুদের যুদ্ধে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

এবং তিনি তার স্ত্রী হাফসা বিনতে ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] কে পতিহীনা বা বিধবা হিসেবে রেখে যান। সেই সময় হাফসা বিনতে ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহু]এর বয়স ছিল বিশ বছর। ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] যখন তাঁর তরুণী ওযুবতী কন্যা হাফসার অবস্থা দেখলেন যে, সে এখন পতিহীনা। এবং বৈধব্যের অবস্থা তার জীবনের সুখ, শান্তি এবং আনন্দকে গুপ্তভাবে হত্যা করছে, তখন তিনি অতিশয় ক্লেশপ্রাপ্ত, ক্লিষ্ট, জর্জরিত এবং ব্যথিত চিত্ত নিয়ে অস্থীর হয়ে পড়েন। এবং তিনি যখনই তাঁর যুবতী কন্যা হাফসাকে এই বৈধব্যের অবস্থায় দেখতে পেতেন, তখনই তিনি তাঁর মনের স্থিরতা হারিয়ে ফেলতেন ও ব্যাকুল হয়ে পড়তেন। কেননা তাঁর এই কন্যা তার স্বামীর জিবদ্দশায় তার স্বামীর সাথে অতি শান্তির সহিত মঙ্গলদায়ক দাম্পত্যের জীবনের সুখভোগ করতেন। তাই হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর যখন ইদ্দত শেষ হয়ে গেলো, তখন ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] তাঁর কন্যা হাফসার পুনর্বিবাহের বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। অতঃপর নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হাফসাকে বিবাহ করার পয়গাম বা প্রস্তাব দিলেন এবং ওমার তাঁর কন্যা হাফসার বিবাহ নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে দিয়ে দিলেন। এবং তিনি তৃতীয় হিজরীতে নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর শ্বশুর হওয়ার উচ্চ মর্যাদা লাভ করলেন।

হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা 60 টি।

হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর সব চেয়ে বড়ো মর্যাদা হলো এই যে, যখন পবিত্র কুরআনের হাফেজগণ মৃত্যুবরণ করেন, তখন আবু বাকর [রাদিয়াল্লাহু আনহু] তাঁর খেলাফতের আমলে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন অংশ সাহাবীগণের কাছ থেকে নিয়ে তিনি পবিত্র কুরআনকে একত্রিত করেছিলেন। সেই পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম ফর্মুলা ও সুত্রটি সযত্নে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। কেননা তিনি একজন শিক্ষিতা ভদ্রা মহিলা ছিলেন এবং ভালোভাবে লেখাপড়া জানতেন। তাই তিনিই পবিত্র কুরআনের ছিলেন রক্ষিণী। সুতরাং পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম ফর্মুলা ও সুত্রটি তাঁরই কাছে ছিলো সযত্নে, ওসমান [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর খেলাফতের আমল পর্যন্ত। অতঃপর ওসমান [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর কাছ থেকে পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম ফর্মুলা ও সুত্রটি নিয়ে তার অনেকগুলি অনুলিপি বা প্রতিলিপি করে প্রতিটি শহরে ও দেশে প্রেরণ করেন। যাতে সব দেশগুলিতে একই পদ্ধতিতে পবিত্র কুরআন পাঠ করা হয়। অতঃপর ওসমান [রাদিয়াল্লাহু আনহু] পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম ফর্মুলা ও সুত্রটি হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে প্রত্যর্পণ করেন। সুতরাং এই পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম ফর্মুলা ও সুত্রটি তার কাছেই থাকে এবং তার মৃত্যুবরণ করার সময় এটি তার ধর্মপরায়ণ ও কর্তব্যপরায়ণ ভাই আব্দুল্লাহকে প্রদান করেন।

উম্মুলমুমেনীন হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] ইবাদত, কুরআন পাঠ এবং আল্লাহর জিকিরের সহিত রাত্রি অতিবাহিত করতেন। তিনি সন 41 হিজরীতে অথবা 45 হিজরীতে মাদীনায় মৃত্যুবরণ করেন। এবং মাদীনার আমীর বা শাসক মারওয়ান তার জানাজার নামাজ পড়ান।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। রমাজান মাসের ফরজ রোজা রমাজান মাসেই হোক বা রমাজান মাসের কাজা রোজা যে কোনো সময়ে হোক, অথবা মানতের রোজা হোক কিংবা কোনো কাফফারার রোজা হোক, সমস্ত ক্ষেত্রে ঊষাকাল বা ফজরের আভা প্রকাশ হওয়ার পূর্বে বা রাত্রির অবসান ঘটার পূর্বে রোজা রাখার অভিপ্রায় বা ইচ্ছা ও নিয়ত করা ওয়াজেব বা অপরিহার্য। আর অভিপ্রায় বা ইচ্ছা ও নিয়তের স্থান হলো অন্তর তাই মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা বৈধ নয়।

2। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ফরজ রোজার অভিপ্রায় বা ইচ্ছা ও নিয়ত সারা দিনের সমস্ত অংশে স্থায়ীভাবে অব্যাহত থাকা অপরিহার্য। তাই কোনো ব্যক্তির নিয়ত দিনের কোনো একটি অংশে স্থায়ীভাবে অব্যাহত না থাকলে তার রোজা হবে না। কিন্তু নফল বা সুন্নাত রোজার জন্য এই নিয়মটি প্রযোজ্য নয়। তাই দিনের কোনো একটি অংশে নফল বা সুন্নাত রোজা রাখার অভিপ্রায় বা ইচ্ছা ও নিয়ত করলে তা প্রযোজ্য হবে বলেই বিবেচিত। তবে এর শর্ত হলো এই যে, দিনের কোনো একটি অংশে নফল বা সুন্নাত রোজা রাখার নিয়ত করার পূর্বে রোজা বিনষ্টকারী সমস্ত বস্তু তথা পানাহার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন