hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস চতুর্থ খণ্ড

লেখকঃ ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

৭৫
সুন্নাত বা নফল নামাজ বাড়িতে পড়াই বেশি উত্তম
71 - عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : " صَلاةُ الْمَرْءِ فِيْ بَيْتِهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاتِهِ فِيْ مَسْجِدِيْ هَذَا إِلاَّ الْمَكْتُوبَةَ ".

( سنن أبي داود , رقم الحديث 1044, وصحيح البخاري , جزء من رقم الحديث 731, واللفظ لأبي داود , وصححه الألباني ).

71 - অর্থ: জ্যায়দ বিন সাবেত [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নিশ্চয় নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “আমার মাসজিদে কোনো ব্যক্তির ফরজ নামাজ পড়া ব্যতীত অন্যান্য সুন্নাত বা নফল নামাজ তার বাড়িতে পড়াই বেশি উত্তম”।

[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 1044 এবং সহীহ বুখারী, হাদীস নং 731 এর অংশবিশেষ। তবে হাদীসের শব্দগুলি সুনান আবু দাউদ থেকে নেওয়া হয়েছে। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী এই হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:

জ্যায়দ বিন সাবেত ইবনুদ্ দাহহাক আল্ আনসারী একজন মহা বিখ্যাত ও মহা সম্মানিত সাহাবী, যিনি আল্লাহর রাসূলের ওহী বা ঐশী বাণীর লিপিকার ছিলেন [রাদিয়াল্লাহু আনহু]।

আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন মাদীনায় আগমন করেন, তখন তিনি একটি এতিম বা অনাথ কিশোর ছিলেন। এবং তখন তার বয়স 11 বছরের বেশি ছিল না। সেই সময় তার পরিবারের লোকজন যখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তখন তিনিও তাদের সাথে সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন তার মধ্যে দেখতে পেলেন জ্ঞানার্জন, শিক্ষাদীক্ষা, শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন ও লেখাপড়ার আগ্রহ, জ্ঞান সংরক্ষণের যোগ্যতা ও সঠিক বোধশক্তি এবং বিদ্যার্জনের কামনা, তখন তিনি তাকে ওই সমস্ত ওহী বা ঐশী বাণীর লিপিবদ্ধ করার জন্য নিয়োগ করলেন, যে সমস্ত ওহী বা ঐশী বাণী তাঁর প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হতো। এবং জ্যায়দ বিন সাবেত [রাদিয়াল্লাহু আনহু]এই মহাদায়িত্ব এবং মহাকার্য সঠিক পদ্ধতিতে পালন করেন।

আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]আবার যখন পৃথিবীর বিভিন্ন রাজা ও নেতাদেরকে ইসলাম গ্রহণের জন্য লিখিত দাওয়াত দানের ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তিনি জ্যায়দ বিন সাবেত [রাদিয়াল্লাহু আনহু]কে সেই সমস্ত রাজা ও নেতাদের কতকগুলি ভাষা শিক্ষা ও ভাষার জ্ঞান লাভ করার আদেশ প্রদান করেন। তাই তিনি অল্প সময়ের মধ্যে কতকগুলি ভাষার শিক্ষা ও ভাষার জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অতএব তিনি আরবি ভাষার সাথে সাথে যে সমস্ত ভাষার শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ করেছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে: পারস্যের ফার্সি ভাষা এবং সুরিয়ানী ভাষা অর্থাৎ প্রাচীন সিরিয় ভাষা (Syriac language) ইত্যাদি।

জ্যায়দ বিন সাবেত [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর মহা গুণাবলি ছিলো: তাঁর জ্ঞান এবং সাহিত্যের দ্বারা তিনি মাদীনা শহরের মধ্যে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন। এবং সকল মুসলিমগণের মধ্যেও তিনি সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। কেননা সাধারণ ভাবে ছিলেন তিনি মহা জ্ঞানি, মহা বুদ্ধিমান এবং পবিত্র কুরআনের রক্ষক ও হাফেজ। তিনি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর কাছ থেকে হাদীস বর্ণনাও করেছেন এবং তাঁর কাছ থেকে পবিত্র কুরআনেরও জ্ঞান লাভ করেছেন।

ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] তাঁর খেলাফতের আমলে যখন হজ্জ পালনের যাত্রা করতেন, তখন তিনি জ্যায়দ বিন সাবেত [রাদিয়াল্লাহু আনহু]কে মাদীনার শাসক হিসেবে খেলাফতের দায়িত্ব প্রদান করতেন। এবং তাঁকে তিনি বিচারপতি হিসেবেও নিয়োগ করেছিলেন এবং তাঁর এই কাজের জন্য তাঁর পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।

আবু বাকর ও ওসমান [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা]এর খেলাফতের আমলে জ্যায়দ বিন সাবেত [রাদিয়াল্লাহু আনহু] তাঁর সাথি ও সহচরদের সঙ্গে পবিত্র কুরআন একত্রিত করণের মহা দায়িত্ব পালন করেছেন। হাদীস গ্রন্থে তাঁর কাছে থেকে বর্ণিত 92 টি হাদীস পাওয়া যায়।

জ্যায়দ বিন সাবেত [রাদিয়াল্লাহু আনহু] সন 45 হিজরীতে 56 বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। এই বিষয়ে অন্য উক্তিও রয়েছে।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বাড়িতে নফল বা সুন্নাত নামাজ পড়া বেশি উত্তম। কেননা বাড়িতে নফল বা সুন্নাত নামাজ পড়ার মাধ্যমে একনিষ্ঠতা ও একাগ্রতা এবং বিনয়নম্রতা উত্তম পন্থায় বজায় রাখা যায় এবং লৌকিকতা থেকে বেশি দূরে থাকা যায়। কিন্তু যে সমস্ত নফল বা সুন্নাত নামাজ জামাতের সাথে পড়তে হয় যেমন, চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের নামাজ এবং এস্তেস্কা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ ইত্যাদি, সেই সমস্ত নামাজ মুসলিম ব্যক্তির জন্য জামাতের সাথে মাসজিদে পড়াই উত্তম।

2। মুসলিম ব্যক্তির জন্য আল্লাহর নাবীর মাসজিদে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়া প্রকৃত ইসলামের বিধানসম্মত একটি সৎকর্ম। তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন আল্লাহর নাবীর মাসজিদে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়ে। অনুরূপভাবে যে সমস্ত নামাজ প্রকৃত ইসলামের বিধানসম্মত জামায়াতের সাথে পড়া প্রযোজ্য যেমন, ঈদের নামাজ, এস্তেস্কা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ, চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের নামাজ এবং তারাবীর নামাজ। এই সমস্ত নামাজ মুসলিম ব্যক্তির জন্য জামাতের সাথে মাসজিদে পড়াই উচিত। তবে নফল এবং সুন্নাত নামাজগুলি বাড়িতে পড়াই বেশি উত্তম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন