hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস চতুর্থ খণ্ড

লেখকঃ ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

৬৯
ফজরের নামাজে পবিত্র কুরআন পাঠের নিয়ম
65 - عَنْ أَبِيْ بَرْزَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْغَدَاةِ مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ آيَةً .

( صحيح مسلم , رقم الحديث 172 - (461), وصحيح البخاري , رقم الحديث 541, واللفظ لمسلم ).

65 - অর্থ: আবু বারজা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের নামাজে ষাট হতে একশটি আয়াত পাঠ করতেন।

[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 172 -(461) এবং সহীহ বুখারী, হাদীস নং 541, তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ মুসলিম থেকে নেওয়া হয়েছে]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:

তিনি হলেন আবু বারজা নাজলা বিন ওবাইদ আল-আসলামী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] । সঠিক মত মোতাবেক তিনি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে মাক্কা বিজয়ের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি বাসরায় অবস্থান করেন। সেখান থেকে তিনি খোরাসানে আসেন। তারপর তিনি মার্ভ চলে যান। অবশেষে তিনি আবার বাসরা শহরে ফিরে আসেন। তার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা 40 টি। অতঃপর আবু বারজা নাজলা বিন ওবাইদ আল-আসলামী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] মোয়াবিয়া [রাদিয়াল্লাহু আনহু] মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই বাসরা শহরে সন 60 হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। আবার এই কথাও বলা হয়েছে যে, তিনি সন 64 হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। ফজরের নামাজকে সলাতুল গাদা বলা হয়। এই নামাজে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ষাট হতে একশটি আয়াত পাঠ করতেন।

2। জামাতে নামাজ পড়ার সুন্নাত নিয়ম মোতাবেক যেন উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে যে ব্যক্তি বেশি দুর্বল তার সাধ্যানুযায়ী নামাজ পড়ানো হয়। কেননা কোনো ইবাদত বা উপাসনার মাধ্যমে মহান আল্লাহর দুর্বল মুসল্লিদেরকে লম্বা লম্বা নামাজ ও দীর্ঘ উপাসনার জন্য বাধ্য করে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এবং তাদেরকে বিরক্ত করারও দরকার নেই। কেননা প্রকৃত ইসলাম ধর্মে অল্প কয়েকটি আয়াত পাঠ করে হালকা করে ফরজ নামাজ পড়া যেতে পারে। যেহেতু জামাআতের সাথে লম্বা করে নামাজ পড়ার চেয়ে হালকা করে নামাজ পড়ার বেশি মর্যাদা রয়েছে। যাতে একজন অথবা একাধিক দুর্বল মুসল্লিদেরকে বিরক্ত করা হতে বিরত থাকা সম্ভব হয়।

3। মাসজিদের ইমামের একটি উচিত কাজ হলো এই যে, তিনি যেন সকল মুসল্লিদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে তাদের হৃদয়কে ধীরে ধীরেসুন্নাতের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তাদেরকে কষ্ট দেওয়া অথবা তাদেরকে বিরক্ত করার চেয়ে এটাই হলো উত্তম পন্থা। তবে খেয়াল রাখা দরকার যে, বিভিন্ন মাসজিদের অবস্থা বিভিন্ন প্রকার। তাই হতে পারে কোনো এক মাসজিদে লম্বা নামাজ বা উপাসনা উপযোগী। আবার অন্য মাসজিদে লম্বা নামাজ বা উপাসনা উপযোগী নয়। দুই মাসজিদের অবস্থা আলাদা আলাদা হওয়ার কারণে এই তফাত প্রকাশ পায়। সুতরাং প্রত্যেক ইমাম আপন আপন মাসজিদের মুসল্লিগণের খেয়াল রাখবেন। তাই নামাজ অতি লম্বা কিংবা অতি হালকা করে পড়া উচিত নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন