hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস চতুর্থ খণ্ড

লেখকঃ ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

৭২
নামাজের চাবি হলো: পবিত্রতার্জন করা
68 - عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُوْرُ، وَتَحْرِيْمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيْمُ ".

( سنن أبي داود , رقم الحديث 61, وجامع الترمذي , رقم الحديث 3, وسنن ابن ماجه , رقم الحديث 275, قَالَ الإمام الترمذي : هذا حديث بأنه : أصح شيءٍ في هذا الباب وأحسن , وحسنه الألباني وصححه ).

68 - অর্থ: আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “নামাজের চাবি হলো: পবিত্রতার্জন করা, নামাজে প্রবেশ করার বাণী হলো:

আল্লাহু আকবার ( اَللَّهُ أَكْبَرُ ) বলা।

এবং নামাজ থেকে বের হওয়ার বাণী হলো:

( اَلسَّلاُمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ )

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বলা বা পাঠ করা”।

[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 61, জামে তিরমিযী, হাদীস নং 3 এবং সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং 275, ইমাম তিরমিযী এই হাদীসটিকে এই অধ্যায়ের অত্যাধিক বিশুদ্ধ বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী এই হাদীসটিকে হাসান সহীহ ( সুন্দর সঠিক) বলেছেন]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:

আবুল হাসান আলী বিন আবু তালেব বিন আব্দুল মুত্তালিব আল্‌ হাশিমী আল্‌ কুরাশী [রাদিয়াল্লাহু আনহু]। তিনি হিজরী সালের 23 বছর পূর্বে রজব মাসের 13 (এবং 17/3/599 খ্রিস্টাব্দ) তারিখে জন্ম গ্রহণ করেন। এবং তিনি আল্লাহর রাসূলের চাচাতো ভাই এবং জামাতা বা জামাই হলেন। বালকদের মধ্যে সর্বপ্রথমে তিনিই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

মহান আল্লাহ যখন আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]কে হিজরত করে মাদীনা যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছিলেন, তখন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] নিজের জীবন ও আত্মাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর জন্য উৎসর্গ করে দিয়ে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বিছানায় শয়ন করেছিলেন। তাই কুরাইশ বংশের লোকজন ভেবেছিলেন যে, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] নিজের বিছানায় শুয়ে আছেন। তাই পরবর্তী সময়ে তাঁরা যখন জানতে পারলেন যে, তাঁদেরকে ধোঁকার মধ্যে পড়তে হয়েছে এবং আল্লাহ রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর পরিবর্তে তাঁর বিছানায় আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] শুয়ে আছেন, তখন তাঁরা আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহু]কে অন্যায়ভাবে কষ্ট দিতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] তাঁদেরকে কোনো পরোয়া করেন নি। এবং যে সমস্ত লোকের আমানত আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর নিকটে ছিলো, সেই সমস্ত লোকের আমানত আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর উপদেশ অনুসারে তাঁদেরকে ফেরত দেওয়ার কাজে রত হয়ে গিয়েছিলেন।

আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর চেহারা দেখতে অতি সুন্দর ছিলো, এমন মনে হতো যে, তিনি যেন পূর্ণিমা রাতের একটি সুন্দর চাঁদ। তিনি ইসলামী রীতিনীতি অনুসারে বাদী-বিবাদীর মধ্যে সঠিক ফায়সালা, ফতোয়া প্রদান, পবিত্র কুরআনের সঠিক জ্ঞান, ব্যাখ্যা ও ভাবার্থ প্রদানে বিখ্যাত ছিলেন। যেমনকি তিনি বীরত্ব, শক্তি, পরোপকার, প্রখর বুদ্ধি, বক্তৃতা এবং অলঙ্কারপূর্ণ ভাষাজ্ঞানের বিষয়গুলিতেও ছিলেন বিখ্যাত। তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা হলো 536 টি।

তিনি নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে সমস্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর উপদেশ অনুযায়ী তিনি শুধুমাত্র তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। কেননা আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সেই সময় নিজের পরিবার-পরিজনের সংরক্ষণের দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত করেছিলেন।

যে দশজন সাহাবী জান্নাতবাসী হওয়ার সুসংবাদ এই দুনিয়াতেই পেয়ে গেছেন, সেই দশজন সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত তিনি একজন। তিনি হলেন আমীরুল মুমিনীন এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের চতুর্থ খলিফা। তিনি ওসমান বিন আফ্‌ফান [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর শাহাদাত বরণ করার পর সন 35 হিজরীতে মুসলিম জাহানের খলিফা নিযুক্ত হওয়ার জন্য মাদীনাতে বায়াআত বা আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর কূফা শহরকে তিনি মুসলিম জাহানের রাজধানী নির্ধারণ করেন। তাঁর খেলাফত পাঁচ বছর তিন মাস ছিলো। তাঁর আমলে সারা মুসলিম জাহানে রাজনৈতিক অস্থিরতার অবস্থাটিই ছিলো বিরাজমান। একজন বিদ্রোহীর হাতে তিনি ফজরের নামাজে সন 40 হিজরীতে (661 খ্রিস্টাব্দে) রমাজান মাসে শাহাদতবরণ করেন [রাদিয়াল্লাহু আনহু] ।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পবিত্রতার্জন না করে যে কোনো নামাজ পড়া হারাম বা অবৈধ। এই বিষয়ে কোনো ফরজ নামাজ বা কোনো নফল নামাজের মধ্যে কিছুই তফাত নেই। অনুরূপভাবে পবিত্র কুরআন পাঠের সিজদা, আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সিজদা এবং জানাজার নামাজের মধ্যেও কোনো পার্থক্য নেই। তবে কতকগুলি ওলামায়ে ইসলাম বলেছেন যে, পবিত্র কুরআন পাঠের সিজদা এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সিজদার জন্য পবিত্রতার্জন করা শর্ত নয় বা অপরিহার্য নয়।

2। এই হাদীসটির মধ্যে নামাজের তাকবীরে তাহরীমা এবং নামাজ থেকে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানোর বিষয়টি নামাজের সাথে জড়িত রয়েছে। কেননা তাকবীরে তাহরীমার দ্বারা নামাজের পূর্বে যা কিছু হালাল ছিল তা সব হারাম হয়ে যায়। এবং তাসলীম বা নামাজ থেকে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানোর দ্বারা নামাজের কারণে যাকিছু হারাম হয়ে ছিল তা সবই হালাল হয়ে যায়।

3। এই হাদীসটিতে নামাজে প্রবেশ করাকে তাহরীম বলা হয়েছে। কেননা এর দ্বারা পানাহার সহ অন্যান্য আরো দুনিয়ার সব কিছুই মুসল্লির জন্য হারাম হয়ে যায়। তাই তাকবীর বা আল্লাহু আকবার ( اَللَّهُ أَكْبَرُ ) বলা ছাড়া নামাজে প্রবেশ করা যায় না। তাই নামাজে প্রবেশ করার সময় নিয়ত সহকারে আল্লাহু আকবার পাঠ করে নামাজে প্রবেশ করতে হবে।

4। সালামের মাধ্যমে মুসল্লি নামাজ থেকে বের হয়। এবং নামাজের মধ্যে দুনিয়ার যা কিছু মুসল্লির জন্য হারাম হয়ে ছিলো, এর দ্বারা তা সবই হালাল হয়ে যায়।

তাই আততাসলীম বলতে ডান দিকে একবার এবং বাম দিকে একবার:

( اَلسَّلاُمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ )

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ” পাঠ করা বুঝানো হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন