HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
চোখের গুনাহ
লেখকঃ মফিজুল ইসলাম
চোখের গুনাহ
অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও অনলাইনের নোংরা দৃশ্য কেড়ে নিচ্ছে
মানুষের ঈমান; সাবধান হও হে মুমিন নর-নারী!
সংকলনে
মফিজুল ইসলাম
দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
সম্পাদনায়
শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী
মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল
ইমাম পাবলিকেশন্স লিঃ, ঢাকা
অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও অনলাইনের নোংরা দৃশ্য কেড়ে নিচ্ছে
মানুষের ঈমান; সাবধান হও হে মুমিন নর-নারী!
সংকলনে
মফিজুল ইসলাম
দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
সম্পাদনায়
শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী
মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল
ইমাম পাবলিকেশন্স লিঃ, ঢাকা
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِه مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِه وَصَحْبِه اَجْمَعِيْنَ
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, যিনি আমাকে চোখের হেফাযত বিষয়ের উপর কলম ধরার তাওফীক দান করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর, তার পরিবারবর্গের উপর, সাহাবীদের উপর এবং সকল মুমিনের উপর।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। টিভি, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি এখন মানুষ অবাধে ব্যবহার করছে। এগুলো সম্পর্কে পূর্বের মানুষ কিছুই জানত না। প্রযুক্তির এসব মাধ্যম আল্লাহ মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করলেও আজ বিশেষভাবে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এগুলোর অপব্যবহার করে ধ্বংসের অতল তলে হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নীতি-নৈতিকতায় ধস নেমেছে; ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া-লেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে, পরিবারের কাজে সময় না দিয়ে এগুলোতে মেতে থাকছে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছে।
ইসলামের চিরশত্রুরা নারী জাতিকে ভোগের বস্ত্ত বানিয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছে গোটা বিশ্বে। আর নারীর ফিতনা হলো পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ফিতনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاءِ﴾
মানুষের কাছে সুশোভিত করা হয়েছে নারীদের প্রতি ভালোবাসাকে।
(সূরা আল-ইমরান ৩:১৪)
তাই আজ ইসলাম ও মুসলিমদের চিরশত্রুরা এদেরই মাধ্যমে ধ্বংস করছে যুবচরিত্র, ধ্বংস করছে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ইসলামে এসব অশ্লীলতা স্পষ্ট হারাম ও পাপের কাজ। কিন্তু অনেক মুসলিম কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এগুলোকে পাপের কাজ মনে করছে না। কেউ আবার নগণ্য পাপ মনে করছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, إِيَّاكُمْ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ তোমরা ছোট ছোট পাপ থেকে বেঁচে থাকো (আহমাদ হা/২২৮০৮)। অপর হাদীসে এসেছে, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আয়েশা (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, يَا عَائِشَةُ إِيَّاكِ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ فَإِنَّ لَهَا مِنَ اللّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ طَالِبًا হে আয়েশা! তুমি ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পাপ হতেও সাবধান থাকো। কেননা আল্লাহর পক্ষ থেকে সেগুলো (লেখার জন্য ফেরেশতা) নিযুক্ত রয়েছে। (আহমাদ হা/২৪৪১৫)
বর্তমান যুগের পর্নোগ্রাফি ভক্তরা ছোট ছোট পাপকে ভয় না করলেও সাহাবীগণ অত্যন্ত ভয় করতেন। যেমন আনাস (রাঃ) বলেন,
إِنَّكُمْ لَتَعْمَلُونَ أعْمَالًا هِيَ أدَقُّ فِي أَعْيُنِكُمْ مِنَ الشَّعْرِ كُنَّا نَعُدُّهَا عَلٰى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ - مِنَ المُوبِقاتِ
তোমরা এমন কতগুলো কাজ করছ, যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের চেয়েও নগণ্য। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যুগে ঐ কাজগুলোকেই আমরা সর্বনাশী কার্যসমূহের শ্রেণীভুক্ত মনে করতাম। বুখারী হা/ ৬৪৯২
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! মূলত আমি এ বিষয়ে কলম ধরতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম আমেরিকার বিশিষ্ট দা’ঈ এবং পবিত্র কুরআনুল কারীমের গবেষক নোমান আলী খানের ১২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের পর্নোগ্রাফির উপর লেকচার শুনে এবং বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে অশ্লীলতা, নোংরামী থেকে বিরত থাকার দাওয়াত দিতে গিয়ে। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আজ আমরা এমন একটা যুগে পৌঁছেছি, যে যুগে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ক্রমাগত হারে বেড়েই চলেছে। অশ্লীলতার অন্যতম জগত হলো মিডিয়ার জগত। যার স্রোতে ভাসছে লক্ষ-কোটি যুবক-যুবতী। ইসলামের শত্রুরা এ নীরব যুদ্ধের মাধ্যমে ধ্বংস করছে পরিবার, রাষ্ট্র ও গোটা বিশ্ব। এরই মাধ্যমে খুলছে হাজারও পাপের রাস্তা, যে রাস্তা ধরে শত শত যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী চলছে জাহান্নামের পথে। তাই এখন সময়ের দাবী হচ্ছে, প্রত্যেকে নিজেদের চোখকে হেফাযত করা এবং চোখের যিনা হতে বেঁচে থাকা।
আশা করি, এ বইটি বর্তমান মুসলিম যুবসমাজকে অশ্লীলতার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করতে সামান্য হলেও অবদান রাখবে- ইনশাআল্লাহ। বইটি সংকলনে যারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং যাদের লেখনির সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের জন্য মহান মনিবের দরবারে সর্বোত্তম প্রতিদান কামনা করছি। আমীন!
বিনীত
মফিজুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, যিনি আমাকে চোখের হেফাযত বিষয়ের উপর কলম ধরার তাওফীক দান করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর, তার পরিবারবর্গের উপর, সাহাবীদের উপর এবং সকল মুমিনের উপর।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। টিভি, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি এখন মানুষ অবাধে ব্যবহার করছে। এগুলো সম্পর্কে পূর্বের মানুষ কিছুই জানত না। প্রযুক্তির এসব মাধ্যম আল্লাহ মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করলেও আজ বিশেষভাবে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এগুলোর অপব্যবহার করে ধ্বংসের অতল তলে হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নীতি-নৈতিকতায় ধস নেমেছে; ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া-লেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে, পরিবারের কাজে সময় না দিয়ে এগুলোতে মেতে থাকছে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছে।
ইসলামের চিরশত্রুরা নারী জাতিকে ভোগের বস্ত্ত বানিয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছে গোটা বিশ্বে। আর নারীর ফিতনা হলো পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ফিতনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاءِ﴾
মানুষের কাছে সুশোভিত করা হয়েছে নারীদের প্রতি ভালোবাসাকে।
(সূরা আল-ইমরান ৩:১৪)
তাই আজ ইসলাম ও মুসলিমদের চিরশত্রুরা এদেরই মাধ্যমে ধ্বংস করছে যুবচরিত্র, ধ্বংস করছে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ইসলামে এসব অশ্লীলতা স্পষ্ট হারাম ও পাপের কাজ। কিন্তু অনেক মুসলিম কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এগুলোকে পাপের কাজ মনে করছে না। কেউ আবার নগণ্য পাপ মনে করছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, إِيَّاكُمْ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ তোমরা ছোট ছোট পাপ থেকে বেঁচে থাকো (আহমাদ হা/২২৮০৮)। অপর হাদীসে এসেছে, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আয়েশা (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, يَا عَائِشَةُ إِيَّاكِ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ فَإِنَّ لَهَا مِنَ اللّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ طَالِبًا হে আয়েশা! তুমি ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পাপ হতেও সাবধান থাকো। কেননা আল্লাহর পক্ষ থেকে সেগুলো (লেখার জন্য ফেরেশতা) নিযুক্ত রয়েছে। (আহমাদ হা/২৪৪১৫)
বর্তমান যুগের পর্নোগ্রাফি ভক্তরা ছোট ছোট পাপকে ভয় না করলেও সাহাবীগণ অত্যন্ত ভয় করতেন। যেমন আনাস (রাঃ) বলেন,
إِنَّكُمْ لَتَعْمَلُونَ أعْمَالًا هِيَ أدَقُّ فِي أَعْيُنِكُمْ مِنَ الشَّعْرِ كُنَّا نَعُدُّهَا عَلٰى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ - مِنَ المُوبِقاتِ
তোমরা এমন কতগুলো কাজ করছ, যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের চেয়েও নগণ্য। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যুগে ঐ কাজগুলোকেই আমরা সর্বনাশী কার্যসমূহের শ্রেণীভুক্ত মনে করতাম। বুখারী হা/ ৬৪৯২
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! মূলত আমি এ বিষয়ে কলম ধরতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম আমেরিকার বিশিষ্ট দা’ঈ এবং পবিত্র কুরআনুল কারীমের গবেষক নোমান আলী খানের ১২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের পর্নোগ্রাফির উপর লেকচার শুনে এবং বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে অশ্লীলতা, নোংরামী থেকে বিরত থাকার দাওয়াত দিতে গিয়ে। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আজ আমরা এমন একটা যুগে পৌঁছেছি, যে যুগে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ক্রমাগত হারে বেড়েই চলেছে। অশ্লীলতার অন্যতম জগত হলো মিডিয়ার জগত। যার স্রোতে ভাসছে লক্ষ-কোটি যুবক-যুবতী। ইসলামের শত্রুরা এ নীরব যুদ্ধের মাধ্যমে ধ্বংস করছে পরিবার, রাষ্ট্র ও গোটা বিশ্ব। এরই মাধ্যমে খুলছে হাজারও পাপের রাস্তা, যে রাস্তা ধরে শত শত যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী চলছে জাহান্নামের পথে। তাই এখন সময়ের দাবী হচ্ছে, প্রত্যেকে নিজেদের চোখকে হেফাযত করা এবং চোখের যিনা হতে বেঁচে থাকা।
আশা করি, এ বইটি বর্তমান মুসলিম যুবসমাজকে অশ্লীলতার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করতে সামান্য হলেও অবদান রাখবে- ইনশাআল্লাহ। বইটি সংকলনে যারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং যাদের লেখনির সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের জন্য মহান মনিবের দরবারে সর্বোত্তম প্রতিদান কামনা করছি। আমীন!
বিনীত
মফিজুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
আল্লাহর হারামকৃত জিনিস দেখা হতে বিরত থাকার মাধ্যমে মুমিনের চোখকে হেফাযত করতে হবে। হারাম কিছু চোখে পড়লে সে তার চক্ষুকে অবনত করে নেবে, অশ্লীল কিছু দেখা হতে দৃষ্টিকে ফিরিয়ে রাখবে। যেমন : নোংরা ফিল্ম, অশ্লীল টিভিসিরিজ, পরনারী ইত্যাদি দেখা হতে বিরত থাকবে। মহান আল্লাহ মুমিন পুরুষদেরকে সম্বোধন করে বলেন-
﴿قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ﴾
মুমিন পুরুষদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজ যৌনাঙ্গের হেফাযত করে; এটিই তাদের জন্য উত্তম। (সূরা নূর ২৪:৩০)
মুমিন নারীদেরকেও সম্বোধন করে আল্লাহ বলেন-
﴿وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ﴾
মুমিন নারীদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিম্নগামী করে এবং নিজ যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। (সূরা নূর ২৪:৩১)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
﴿يَعْلَمُ خَآئِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُوْرُ﴾
আল্লাহ চক্ষুর গোপন চাহনি সম্পর্কে অবগত আর অন্তর যা গোপন করে সে সম্পর্কেও। (সূরা মুমিন ৪০:১৯)
হাদীসে এসেছে,
عَنْ أمِّ سَلَمَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ مَعَ مَيْمُوْنَةَ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ إِذْ أَقْبَلَ ابْنُ أمِّ مَكْتُوْمٍ فَقَالَ النَّبِيُّ اِحْتَجِبَا مِنْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَيْسَ هُوَ أَعْمٰى لَا يُبْصِرُنَا قَالَ أفَعُمْيَاوَانَ أَنْتُمَا أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِه
উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ও মায়মূনা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকটে ছিলাম। হঠাৎ অন্ধ সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) তথায় আগমন করলেন (এই ঘটনার সময়কাল ছিল পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর)। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের উভয়কে পর্দা করতে আদেশ করলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তো অন্ধ, সে তো আমাদেরকে দেখতে পাবে না এবং আমাদেরকে চিনেও না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা তো অন্ধ নও। তোমরা কি তাকে দেখছ না? [নাসাঈ, হা/৯২৪১; মিশকাত, হা/৩১১৬; তিরমিযী, হা/২৭৭৮। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]
কারো বাড়ির সামনে গিয়ে দরজা বরাবর দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে :
কারো বাড়ির সামনে গিয়ে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে দরজার ঠিক সোজাসুজি দাঁড়ানো সমীচীন নয়। কেননা দরজা খোলার সাথে সাথেই ভেতরের এমন কোন বিষয় নজরে এসে যেতে পারে, যা উভয়ের জন্য খুবই বিব্রতকর। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শ ছিল দরজার ঠিক সোজাসুজি না দাঁড়িয়ে সামান্য ডানে কিংবা বামে সরে দাঁড়ানো। হাদীসে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ إِذَا أَتٰى بَابَ قَوْمٍ لَمْ يَسْتَقْبِلِ الْبَابَ مِنْ تِلْقَاءِ وَجْهِه وَلٰكِنْ مِنْ رُكْنِهِ الْأَيْمَنِ أَوِ الْأَيْسَرِ وَيَقُوْلُ اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمُ وَذٰلِكَ أَنَّ الدُّوْرَ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا يَوْمَئِذٍ سُتُوْرٌ
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ যখন কারো বাড়ি বা ঘরের দরজায় এসে দাঁড়াতেন, তখন অবশ্যই দরজার দিকে মুখ করে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন না। বরং দরজার ডান কিংবা বাম পাশে সরে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, আসসালামু ‘আলাইকুম। এর কারণ তখন দরজায় কোন পর্দা ছিল না। [আবু দাউদ, হা/৫১৮৮; শু‘আবুল ঈমান, হা/৮৮২২; কানযুল উম্মাল, হা/১৮৪৯৫; মিশকাত, হা/৪৬৭৩।]
বাহির থেকে কারো ঘরের ভিতর উঁকি মারা জায়েয নেই :
বাহির থেকে কারো ঘরে উঁকি মারাটা হচ্ছে মারাত্মক অন্যায় কাজ। কেননা এর দ্বারা অপর মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয়তা বিনষ্ট হয়। যা নিতান্তই একটি হারাম কাজ। রাসূলুল্লাহ ﷺ কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। হাদীসে এসেছে,
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَجُلًا اِطَّلَعَ عَلَى النَّبِيِّ مِنْ سِتْرِ حُجْرَتِه وَفِيْ يَدِ النَّبِيِّ مِدْرًى فَقَالَ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا يَنْظُرُنِيْ حَتّٰى اٰتِيَهٗ لَطَعَنْتُ بِالْمِدْرٰى فِيْ عَيْنِه وَهَلْ جُعِلَ الْاِسْتِئْذَانُ إِلَّا مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ
সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হুজরার আড়াল থেকে মাথা উঁচু করে তাকাল। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাতে লোহার তৈরি চাকুর মতো একটি জিনিস ছিল। তখন তিনি বললেন, এ ব্যক্তি বাইরে থেকে উঁকি মেরে আমাকে দেখবে তা আগে জানতে পারলে আমি আমার হাতের এ জিনিসটি দ্বারা তার চোখ ফুটো করে দিতাম। চোখের দৃষ্টির অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই কি অনুমতি চাওয়ার বিধান দেয়া হয়নি? [বায়হাকী হা/১৮১০৭।]
অপর হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ إِنَّهٗ سَمِعَ رَسُوْلَ اللّٰهِ - يَقُوْلُ لَوِ اطَّلَعَ فِيْ بَيْتِكَ أَحَدٌ وَلَمْ تَأْذَنْ لَهٗ فَخَذَفْتَهٗ بِحَصَاةٍ فَفَقَأْتَ عَيْنَهٗ مَا كَانَ عَلَيْكَ مِنْ جُنَاحٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছেন যে, অনুমতি ছাড়া কেউ যদি তোমার ঘরে উঁকি মারে এবং তুমি পাথর নিক্ষেপ করে তার চোখ নষ্ট করে দাও, তাতে তোমার কোন অপরাধ হবে না। [সহীহ বুখারী, হা/৬৮৮৮।]
মহিলাদের কাছ থেকে কিছু চাইতে হলে আড়াল থেকে চাইতে হবে :
যেসব ঘরে কোন পুরুষ উপস্থিত নেই, সেসব ঘরে অবস্থানরত নারীদের কাছ থেকে যদি কোন জিনিস চাওয়ার প্রয়োজন হয়, কিংবা একান্তই জরুরি কোন কথা বা সংবাদ জানতে হয় বা জানাতে হয়, তাহলে পর্দার আড়াল থেকে দাঁড়িয়েই প্রয়োজন সেরে নিতে হবে। কেননা কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,
﴿وَاِذَا سَاَلْتُمُوْهُنَّ مَتَاعًا فَاسْاَلُوْهُنَّ مِنْ وَّرَآءِ حِجَابٍ﴾
তোমরা যখন তাদের (নবীর স্ত্রীদের) কাছ থেকে কোনকিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। (সূরা আহযাব- ৫৩)
হঠাৎ হারাম জিনিসের উপর দৃষ্টি পড়ে গেলে ফিরিয়ে নিতে হবে :
অনলাইনে যেহেতু ভালো-মন্দ উভয়ই একাকার হয়ে আছে, সেহেতু ভালোর দিকেই নজর দিতে হবে। আর কোন অশ্লীল জিনিসের দিকে চোখ পড়লে তৎক্ষণাৎ তা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়বার কিংবা একদৃষ্টিতে ওদিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। রাসূল ﷺ আলী (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন,
يَا عَلِىُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ لَكَ الْأُولٰى وَلَيْسَتْ لَكَ الْاٰخِرَةُ
হে আলী! বারবার দৃষ্টি ক্ষেপণ করো না। কারণ প্রথম দৃষ্টিটি তোমার জন্য বৈধ; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ নয়। [তিরমিযি হা/২৭৭৭, আবুদাউদ হা/২১৪৯]
عَنْ جَرِيْرِ بْنِ عَبْدِ الله قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ عَنْ نَظَرِ الْفُجَاءَةِ فَأَمَرَنِيْ أَنْ أَصْرِفَ بَصَرِىْ
জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে প্রশ্ন করলাম হঠাৎ যদি কোন পরনারীর উপর দৃষ্টি নিপতিত হয় তাহলে কী করতে হবে? তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন- আমি যেন আমার দৃষ্টি দ্রুত ফিরিয়ে নেই। [মুসলিম হা/৫৭৭০।]
দৃষ্টির হেফাযত করতে পারলে ইবাদাতের স্বাদ পাওয়া যায় :
عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلٰى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَوَّلَ مَرَّةٍ ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهٗ إِلَّا أَحْدَثَ اللهُ لَهٗ عِبَادَةً يَجِدُ حَلَاوَتَهَا
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, বেগানা নারীর প্রতি প্রথমে দৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি তার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয় তবে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য এমন ইবাদাত সৃষ্টি করবেন যার স্বাদ সে অন্তরে অনুভব করতে থাকে। [আহমাদ হা/২২২৭৮।]
হাশরের ময়দানে পার্থিব জীবনের প্রতিফল লাভের জন্য সকল প্রাণী একত্রিত হবে। সেখানে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় স্থান না পেলে কঠিন দুর্দশায় পড়তে হবে। সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর রহমতের ছায়া লাভ করবে, তন্মধ্যে এক শ্রেণী হল এমন ব্যক্তি যে নোংরামী, অশ্লীলতা, ব্যভিচার ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকে।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর বিশেষ ছায়ায় স্থান পাবে। তন্মধ্যে এক শ্রেণী হল,
وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ إِلٰى نَفْسِهَا قَالَ إِنِّي أَخَافُ اللّٰهَ
এমন ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দরী ও অভিজাত নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার জন্য আহবান জানায়; তখন সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। [বুখারী হাদিস/১৪২৩, মুসলিম হাদিস/ ১০১৩।]
অতএব যে ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির নেশায় আসক্ত না হয়ে আল্লাহর অনুগত হবে এবং ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবে, আল্লাহ তাকে আরশের ছায়ায় স্থান দিবেন।
চোখের হেফাযত করা খুবই জরুরি :
অবৈধ দৃষ্টি হৃদয়কে বিদীর্ণ করে দেয়, অন্তর-আত্মা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এবং ব্যক্তিকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে। অধিকাংশ পর্নোভক্তরা নারী-পুরুষের যৌন দৃশ্য অর্থাৎ ঢেকে রাখা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখায় মেতে ওঠেছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন,
لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إلٰى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلَا تَنْظُرُ الْمَرْأَةُ إِلٰى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلَا يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ
কোন পুরুষ অন্য পুরুষের গুপ্তাঙ্গের দিকে যেন না তাকায়। কোন নারী অন্য নারীর গুপ্তাঙ্গের দিকে যেন না তাকায়। কোন পুরুষ অন্য পুরুষের সঙ্গে একই কাপড়ে (উলঙ্গ) যেন শয়ন না করে। [মুসলিম হাদিস/৩৩৮, আহমাদ হাদিস/১১২০৭।]
চোখ দিয়ে কী দেখবে :
মহান আল্লাহ চোখ দিয়েছেন দেখার জন্য। মহান আল্লাহ জাহান্নামবাসীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দ্বারা তারা দেখে না- (সূরা আরাফ ৭:১৭৯)। অর্থাৎ চোখ দিয়ে হেদায়াতের বাণী দেখার দরকার ছিল; কিন্তু তারা তা দেখে না। ফলে কিয়ামতের দিন এদেরকে আল্লাহ তা‘আলা অন্ধ করে পুনরুত্থান ঘটাবেন। তিনি বলেন,
﴿وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِيْ فَإِنَّ لَهٗ مَعِيْشَةً ضَنْكًا وَّنَحْشُرُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمٰى﴾
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণময়; আর তাকে কিয়ামতের দিন উপস্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।
(সূরা ত্বহা ২০:১২৪)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ كَانَ فِيْ هٰذِهٖۤ أَعْمٰى فَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ أَعْمٰى وَأَضَلُّ سَبِيْلًا﴾
যে ব্যক্তি ইহকালে অন্ধ ছিল সে ব্যক্তি পরকালেও হবে অন্ধ এবং অধিক পথভ্রষ্ট। (সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:৭২)
পরকালে যেন লাঞ্চিত, অপমানিত, অপদস্থ হয়ে জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত না হতে হয়, সেজন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত চোখ দিয়ে কল্যাণকর জিনিস দেখতে হবে এবং অশ্লীলতা ও নোংরামী দেখা বন্ধ করতে হবে।
﴿قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ﴾
মুমিন পুরুষদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজ যৌনাঙ্গের হেফাযত করে; এটিই তাদের জন্য উত্তম। (সূরা নূর ২৪:৩০)
মুমিন নারীদেরকেও সম্বোধন করে আল্লাহ বলেন-
﴿وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ﴾
মুমিন নারীদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিম্নগামী করে এবং নিজ যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। (সূরা নূর ২৪:৩১)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
﴿يَعْلَمُ خَآئِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُوْرُ﴾
আল্লাহ চক্ষুর গোপন চাহনি সম্পর্কে অবগত আর অন্তর যা গোপন করে সে সম্পর্কেও। (সূরা মুমিন ৪০:১৯)
হাদীসে এসেছে,
عَنْ أمِّ سَلَمَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ مَعَ مَيْمُوْنَةَ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ إِذْ أَقْبَلَ ابْنُ أمِّ مَكْتُوْمٍ فَقَالَ النَّبِيُّ اِحْتَجِبَا مِنْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَيْسَ هُوَ أَعْمٰى لَا يُبْصِرُنَا قَالَ أفَعُمْيَاوَانَ أَنْتُمَا أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِه
উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ও মায়মূনা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকটে ছিলাম। হঠাৎ অন্ধ সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) তথায় আগমন করলেন (এই ঘটনার সময়কাল ছিল পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর)। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের উভয়কে পর্দা করতে আদেশ করলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তো অন্ধ, সে তো আমাদেরকে দেখতে পাবে না এবং আমাদেরকে চিনেও না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা তো অন্ধ নও। তোমরা কি তাকে দেখছ না? [নাসাঈ, হা/৯২৪১; মিশকাত, হা/৩১১৬; তিরমিযী, হা/২৭৭৮। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]
কারো বাড়ির সামনে গিয়ে দরজা বরাবর দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে :
কারো বাড়ির সামনে গিয়ে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে দরজার ঠিক সোজাসুজি দাঁড়ানো সমীচীন নয়। কেননা দরজা খোলার সাথে সাথেই ভেতরের এমন কোন বিষয় নজরে এসে যেতে পারে, যা উভয়ের জন্য খুবই বিব্রতকর। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শ ছিল দরজার ঠিক সোজাসুজি না দাঁড়িয়ে সামান্য ডানে কিংবা বামে সরে দাঁড়ানো। হাদীসে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ إِذَا أَتٰى بَابَ قَوْمٍ لَمْ يَسْتَقْبِلِ الْبَابَ مِنْ تِلْقَاءِ وَجْهِه وَلٰكِنْ مِنْ رُكْنِهِ الْأَيْمَنِ أَوِ الْأَيْسَرِ وَيَقُوْلُ اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمُ وَذٰلِكَ أَنَّ الدُّوْرَ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا يَوْمَئِذٍ سُتُوْرٌ
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ যখন কারো বাড়ি বা ঘরের দরজায় এসে দাঁড়াতেন, তখন অবশ্যই দরজার দিকে মুখ করে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন না। বরং দরজার ডান কিংবা বাম পাশে সরে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, আসসালামু ‘আলাইকুম। এর কারণ তখন দরজায় কোন পর্দা ছিল না। [আবু দাউদ, হা/৫১৮৮; শু‘আবুল ঈমান, হা/৮৮২২; কানযুল উম্মাল, হা/১৮৪৯৫; মিশকাত, হা/৪৬৭৩।]
বাহির থেকে কারো ঘরের ভিতর উঁকি মারা জায়েয নেই :
বাহির থেকে কারো ঘরে উঁকি মারাটা হচ্ছে মারাত্মক অন্যায় কাজ। কেননা এর দ্বারা অপর মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয়তা বিনষ্ট হয়। যা নিতান্তই একটি হারাম কাজ। রাসূলুল্লাহ ﷺ কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। হাদীসে এসেছে,
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَجُلًا اِطَّلَعَ عَلَى النَّبِيِّ مِنْ سِتْرِ حُجْرَتِه وَفِيْ يَدِ النَّبِيِّ مِدْرًى فَقَالَ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا يَنْظُرُنِيْ حَتّٰى اٰتِيَهٗ لَطَعَنْتُ بِالْمِدْرٰى فِيْ عَيْنِه وَهَلْ جُعِلَ الْاِسْتِئْذَانُ إِلَّا مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ
সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হুজরার আড়াল থেকে মাথা উঁচু করে তাকাল। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাতে লোহার তৈরি চাকুর মতো একটি জিনিস ছিল। তখন তিনি বললেন, এ ব্যক্তি বাইরে থেকে উঁকি মেরে আমাকে দেখবে তা আগে জানতে পারলে আমি আমার হাতের এ জিনিসটি দ্বারা তার চোখ ফুটো করে দিতাম। চোখের দৃষ্টির অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই কি অনুমতি চাওয়ার বিধান দেয়া হয়নি? [বায়হাকী হা/১৮১০৭।]
অপর হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ إِنَّهٗ سَمِعَ رَسُوْلَ اللّٰهِ - يَقُوْلُ لَوِ اطَّلَعَ فِيْ بَيْتِكَ أَحَدٌ وَلَمْ تَأْذَنْ لَهٗ فَخَذَفْتَهٗ بِحَصَاةٍ فَفَقَأْتَ عَيْنَهٗ مَا كَانَ عَلَيْكَ مِنْ جُنَاحٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছেন যে, অনুমতি ছাড়া কেউ যদি তোমার ঘরে উঁকি মারে এবং তুমি পাথর নিক্ষেপ করে তার চোখ নষ্ট করে দাও, তাতে তোমার কোন অপরাধ হবে না। [সহীহ বুখারী, হা/৬৮৮৮।]
মহিলাদের কাছ থেকে কিছু চাইতে হলে আড়াল থেকে চাইতে হবে :
যেসব ঘরে কোন পুরুষ উপস্থিত নেই, সেসব ঘরে অবস্থানরত নারীদের কাছ থেকে যদি কোন জিনিস চাওয়ার প্রয়োজন হয়, কিংবা একান্তই জরুরি কোন কথা বা সংবাদ জানতে হয় বা জানাতে হয়, তাহলে পর্দার আড়াল থেকে দাঁড়িয়েই প্রয়োজন সেরে নিতে হবে। কেননা কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,
﴿وَاِذَا سَاَلْتُمُوْهُنَّ مَتَاعًا فَاسْاَلُوْهُنَّ مِنْ وَّرَآءِ حِجَابٍ﴾
তোমরা যখন তাদের (নবীর স্ত্রীদের) কাছ থেকে কোনকিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। (সূরা আহযাব- ৫৩)
হঠাৎ হারাম জিনিসের উপর দৃষ্টি পড়ে গেলে ফিরিয়ে নিতে হবে :
অনলাইনে যেহেতু ভালো-মন্দ উভয়ই একাকার হয়ে আছে, সেহেতু ভালোর দিকেই নজর দিতে হবে। আর কোন অশ্লীল জিনিসের দিকে চোখ পড়লে তৎক্ষণাৎ তা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়বার কিংবা একদৃষ্টিতে ওদিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। রাসূল ﷺ আলী (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন,
يَا عَلِىُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ لَكَ الْأُولٰى وَلَيْسَتْ لَكَ الْاٰخِرَةُ
হে আলী! বারবার দৃষ্টি ক্ষেপণ করো না। কারণ প্রথম দৃষ্টিটি তোমার জন্য বৈধ; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ নয়। [তিরমিযি হা/২৭৭৭, আবুদাউদ হা/২১৪৯]
عَنْ جَرِيْرِ بْنِ عَبْدِ الله قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ عَنْ نَظَرِ الْفُجَاءَةِ فَأَمَرَنِيْ أَنْ أَصْرِفَ بَصَرِىْ
জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে প্রশ্ন করলাম হঠাৎ যদি কোন পরনারীর উপর দৃষ্টি নিপতিত হয় তাহলে কী করতে হবে? তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন- আমি যেন আমার দৃষ্টি দ্রুত ফিরিয়ে নেই। [মুসলিম হা/৫৭৭০।]
দৃষ্টির হেফাযত করতে পারলে ইবাদাতের স্বাদ পাওয়া যায় :
عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلٰى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَوَّلَ مَرَّةٍ ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهٗ إِلَّا أَحْدَثَ اللهُ لَهٗ عِبَادَةً يَجِدُ حَلَاوَتَهَا
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, বেগানা নারীর প্রতি প্রথমে দৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি তার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয় তবে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য এমন ইবাদাত সৃষ্টি করবেন যার স্বাদ সে অন্তরে অনুভব করতে থাকে। [আহমাদ হা/২২২৭৮।]
হাশরের ময়দানে পার্থিব জীবনের প্রতিফল লাভের জন্য সকল প্রাণী একত্রিত হবে। সেখানে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় স্থান না পেলে কঠিন দুর্দশায় পড়তে হবে। সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর রহমতের ছায়া লাভ করবে, তন্মধ্যে এক শ্রেণী হল এমন ব্যক্তি যে নোংরামী, অশ্লীলতা, ব্যভিচার ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকে।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর বিশেষ ছায়ায় স্থান পাবে। তন্মধ্যে এক শ্রেণী হল,
وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ إِلٰى نَفْسِهَا قَالَ إِنِّي أَخَافُ اللّٰهَ
এমন ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দরী ও অভিজাত নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার জন্য আহবান জানায়; তখন সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। [বুখারী হাদিস/১৪২৩, মুসলিম হাদিস/ ১০১৩।]
অতএব যে ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির নেশায় আসক্ত না হয়ে আল্লাহর অনুগত হবে এবং ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবে, আল্লাহ তাকে আরশের ছায়ায় স্থান দিবেন।
চোখের হেফাযত করা খুবই জরুরি :
অবৈধ দৃষ্টি হৃদয়কে বিদীর্ণ করে দেয়, অন্তর-আত্মা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এবং ব্যক্তিকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে। অধিকাংশ পর্নোভক্তরা নারী-পুরুষের যৌন দৃশ্য অর্থাৎ ঢেকে রাখা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখায় মেতে ওঠেছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন,
لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إلٰى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلَا تَنْظُرُ الْمَرْأَةُ إِلٰى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلَا يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ
কোন পুরুষ অন্য পুরুষের গুপ্তাঙ্গের দিকে যেন না তাকায়। কোন নারী অন্য নারীর গুপ্তাঙ্গের দিকে যেন না তাকায়। কোন পুরুষ অন্য পুরুষের সঙ্গে একই কাপড়ে (উলঙ্গ) যেন শয়ন না করে। [মুসলিম হাদিস/৩৩৮, আহমাদ হাদিস/১১২০৭।]
চোখ দিয়ে কী দেখবে :
মহান আল্লাহ চোখ দিয়েছেন দেখার জন্য। মহান আল্লাহ জাহান্নামবাসীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দ্বারা তারা দেখে না- (সূরা আরাফ ৭:১৭৯)। অর্থাৎ চোখ দিয়ে হেদায়াতের বাণী দেখার দরকার ছিল; কিন্তু তারা তা দেখে না। ফলে কিয়ামতের দিন এদেরকে আল্লাহ তা‘আলা অন্ধ করে পুনরুত্থান ঘটাবেন। তিনি বলেন,
﴿وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِيْ فَإِنَّ لَهٗ مَعِيْشَةً ضَنْكًا وَّنَحْشُرُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمٰى﴾
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণময়; আর তাকে কিয়ামতের দিন উপস্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।
(সূরা ত্বহা ২০:১২৪)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ كَانَ فِيْ هٰذِهٖۤ أَعْمٰى فَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ أَعْمٰى وَأَضَلُّ سَبِيْلًا﴾
যে ব্যক্তি ইহকালে অন্ধ ছিল সে ব্যক্তি পরকালেও হবে অন্ধ এবং অধিক পথভ্রষ্ট। (সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:৭২)
পরকালে যেন লাঞ্চিত, অপমানিত, অপদস্থ হয়ে জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত না হতে হয়, সেজন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত চোখ দিয়ে কল্যাণকর জিনিস দেখতে হবে এবং অশ্লীলতা ও নোংরামী দেখা বন্ধ করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ হারাম দৃষ্টিকে চোখের যিনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। অতএব সরাসরি, টিভিতে, ইন্টারনেটে, ফেসবুকে ও ইউটিউবে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন নগ্ন-অর্ধনগ্ন, যৌন উত্তেজনাকর দৃশ্য দেখা যিনার মতো ভয়াবহ পাপের কাজ। লাখো যুবক-যুবতী এরই মাধ্যমে চোখের যিনা করছে। এজন্য পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন থেকে বাঁচার প্রধান মাধ্যম হলো দৃষ্টিশক্তির হেফাযত করা।
বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্টারনেটে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে জাতির সামনে খুলে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী। অনলাইনে ছড়িয়ে থাকা পর্নো মানুষের জমি-জায়গা দখল না করলেও অশ্লীলতা দেখার মন-মানসিকতা দখল করতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল, কম্পিউটার ও রিমোটের একটা বাটন চাপ দেয়ার সাথে সাথেই আসছে শত শত নগ্ন ছবি, সেগুলো আরো হাজারটা দেখতে উদ্বুদ্ধ করছে। যার ফলে এ দেশে নগ্নতা, নির্লজ্জতা ব্যাপক হারে বেড়ে চলছে।
চোখ হলো ব্যভিচারের প্রাণকেন্দ্র। সমস্ত যৌন দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় দৃষ্টি থেকে।
হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ قَالَ كُتِبَ عَلَى ابْنِ اٰدَمَ نَصِيبُهٗ مِنَ الزِّنٰى مُدْرِكٌ ذٰلِكَ لَا مَحَالَةَ فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلاَمُ وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذٰلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ ত’আলা আদম সন্তানের জন্য ব্যভিচারের অংশ লিখে দিয়েছেন, যা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চক্ষুদ্বয়ের ব্যভিচার হলো দর্শন। কর্ণদ্বয়ের ব্যভিচার শ্রবণ করা, জিহবার ব্যভিচার কথা বলা, হাতের ব্যভিচার ধরা, পায়ের ব্যভিচার গমন করা। আর হৃদয় কামনা-বাসনা করে এবং জননেন্দ্রিয় তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে। [বুখারী হাদিস/ ৬২৪৩, মুসলিম হাদিস/২৬৫৭, আবু দাউদ হাদিস/৭৬৬২।]
ব্যভিচার একটি জঘন্য, ভয়াবহ ও মারাত্মক পাপ। যা চোখ দিয়ে দেখাদেখির মাধ্যমে শুরু। বিবাহিত ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর শাস্তি হলো রজম এবং অবিবাহিত ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর শাস্তি হলো একশত বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য এলাকা থেকে বহিষ্কার করা। ব্যভিচারীর লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধে জাহান্নামবাসী অতিষ্ঠ হবে। আল্লাহর রাসূল ﷺ-কে জিজ্ঞেস করা হলো কোন্ জিনিস সাধারণতঃ মানুষকে বেশিরভাগ জাহান্নামের সম্মুখীন করে? তখন তিনি বললেন, اَلْفَمُ وَالْفَرْجُ মুখ এবং লজ্জাস্থান। [তিরমিযি হাদিস/ ২০০৪, ইবনু মাজাহ হাদিস/ ৪৩২২, আহমাদ হাদিস/২৯১,৩৯২,৪৪২।]
পর্নোগ্রাফির নেশায় আসক্ত হয়ে লজ্জাস্থানের অপব্যবহার করলে জাহান্নাম সুনিশ্চিত।
বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্টারনেটে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে জাতির সামনে খুলে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী। অনলাইনে ছড়িয়ে থাকা পর্নো মানুষের জমি-জায়গা দখল না করলেও অশ্লীলতা দেখার মন-মানসিকতা দখল করতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল, কম্পিউটার ও রিমোটের একটা বাটন চাপ দেয়ার সাথে সাথেই আসছে শত শত নগ্ন ছবি, সেগুলো আরো হাজারটা দেখতে উদ্বুদ্ধ করছে। যার ফলে এ দেশে নগ্নতা, নির্লজ্জতা ব্যাপক হারে বেড়ে চলছে।
চোখ হলো ব্যভিচারের প্রাণকেন্দ্র। সমস্ত যৌন দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় দৃষ্টি থেকে।
হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ قَالَ كُتِبَ عَلَى ابْنِ اٰدَمَ نَصِيبُهٗ مِنَ الزِّنٰى مُدْرِكٌ ذٰلِكَ لَا مَحَالَةَ فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلاَمُ وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذٰلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ ত’আলা আদম সন্তানের জন্য ব্যভিচারের অংশ লিখে দিয়েছেন, যা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চক্ষুদ্বয়ের ব্যভিচার হলো দর্শন। কর্ণদ্বয়ের ব্যভিচার শ্রবণ করা, জিহবার ব্যভিচার কথা বলা, হাতের ব্যভিচার ধরা, পায়ের ব্যভিচার গমন করা। আর হৃদয় কামনা-বাসনা করে এবং জননেন্দ্রিয় তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে। [বুখারী হাদিস/ ৬২৪৩, মুসলিম হাদিস/২৬৫৭, আবু দাউদ হাদিস/৭৬৬২।]
ব্যভিচার একটি জঘন্য, ভয়াবহ ও মারাত্মক পাপ। যা চোখ দিয়ে দেখাদেখির মাধ্যমে শুরু। বিবাহিত ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর শাস্তি হলো রজম এবং অবিবাহিত ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর শাস্তি হলো একশত বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য এলাকা থেকে বহিষ্কার করা। ব্যভিচারীর লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধে জাহান্নামবাসী অতিষ্ঠ হবে। আল্লাহর রাসূল ﷺ-কে জিজ্ঞেস করা হলো কোন্ জিনিস সাধারণতঃ মানুষকে বেশিরভাগ জাহান্নামের সম্মুখীন করে? তখন তিনি বললেন, اَلْفَمُ وَالْفَرْجُ মুখ এবং লজ্জাস্থান। [তিরমিযি হাদিস/ ২০০৪, ইবনু মাজাহ হাদিস/ ৪৩২২, আহমাদ হাদিস/২৯১,৩৯২,৪৪২।]
পর্নোগ্রাফির নেশায় আসক্ত হয়ে লজ্জাস্থানের অপব্যবহার করলে জাহান্নাম সুনিশ্চিত।
ড. সুলাইমান কুদরী বলেন, অশ্লীলতা যুবক-যুবতীর মানসিক ও স্বাস্থ্যগত মারাত্মক ক্ষতি করছে। এরই প্রভাবে যৌন অপরাধ দেদারছে বেড়ে চলছে।
এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটে আড্ডা জমানো শতকরা ৮০% অথবা ৭০% যুবক-যুবতী নিষিদ্ধ পল্লিতে যাতায়াত করে। ৫৫% তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেয় না। ধর্ষণ, অপহরণ, খুন, গুম, হত্যাসহ ব্যাপক হারে বেড়ে চলছে। [দৈনিক ইত্তেফাক ১৯ এপ্রিল, ২০১৪. পৃ.৮।] অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য এটাকে মারাত্মক ধ্বংসাত্মক মনে করছেন। [দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ৮ ফেব্রম্নয়ারী, ২০১৪।]
Oxford University এর অধ্যাপক সুসান গ্রিন বলেন, আমার ভয় হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব সাইটগুলো আমাদেরকে মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক পর্যায় থেকে ছোট শিশুদের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ছোট শিশু যেমন কোন শব্দ ও উজ্জ্বল কিছু দেখে আকৃষ্ট হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইন নেটওয়ার্কিং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আর অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঝুঁকি। মানুষ যতই ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে, ততই তারা পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এরই ফলে মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা ও একাকিত্ব বাড়ছে। তাই বলা যায় বর্তমান যুগের প্রযুক্তি মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফি তরুণ প্রজন্মকে যৌন সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে। নতুন এই মিডিয়া তরুণ গোষ্ঠিকে এতই আকৃষ্ট ও প্রভাবিত করছে যে, তারা এখানে যা দেখছে তা বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ফলে পৃথিবীতে অহরহ ঘটছে ব্যভিচারের মতো জঘন্য অপরাধ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নামী গবেষণা ‘জার্নাল সাইকোলোজি টুডে’তে উল্লেখ করা হয়েছে, অতি মাত্রায় পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে মাত্র ২০ বছরের তরতাজা যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক (বৈধ) যৌনচারণ করতে পারছে না।
ড. ভূন বলেন, নিষ্পাপতার দিন শেষ। মানুষ এখন ইন্টারনেটে অনেক কিছুই জানতে পারে। এটা হচ্ছে ঘরে হিরোইন রেখে বাচ্চাকে ছেড়ে দেয়ার ন্যায়।
’লাইফস্টাইল ডেস্ক’, ‘এবিসি নিউজ বিডি ঢাকা’ তথ্য দিয়েছে: যারা অশ্লীল ভিডিও দেখতে অতি মাত্রায় আসক্ত তাদের মেধা কমে যায়।
’ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ফ্যামিলি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন’ এর গবেষকরা এ সিন্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, অশ্লীল বিষয়গুলোর সংস্পর্শে আসা দর্শকদের মধ্যে যৌন বিষয়ে নীতিভ্রষ্ট প্রবণতা গড়ে তোলার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
কিছু গবেষক বলেন, অশ্লীল চিত্র একজন বাচ্চার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যহত করতে পারে। অশ্লীল ভিডিও নারী ও বাচ্চাদের শোষণ করছে।
এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটে আড্ডা জমানো শতকরা ৮০% অথবা ৭০% যুবক-যুবতী নিষিদ্ধ পল্লিতে যাতায়াত করে। ৫৫% তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেয় না। ধর্ষণ, অপহরণ, খুন, গুম, হত্যাসহ ব্যাপক হারে বেড়ে চলছে। [দৈনিক ইত্তেফাক ১৯ এপ্রিল, ২০১৪. পৃ.৮।] অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য এটাকে মারাত্মক ধ্বংসাত্মক মনে করছেন। [দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ৮ ফেব্রম্নয়ারী, ২০১৪।]
Oxford University এর অধ্যাপক সুসান গ্রিন বলেন, আমার ভয় হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব সাইটগুলো আমাদেরকে মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক পর্যায় থেকে ছোট শিশুদের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ছোট শিশু যেমন কোন শব্দ ও উজ্জ্বল কিছু দেখে আকৃষ্ট হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইন নেটওয়ার্কিং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আর অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঝুঁকি। মানুষ যতই ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে, ততই তারা পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এরই ফলে মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা ও একাকিত্ব বাড়ছে। তাই বলা যায় বর্তমান যুগের প্রযুক্তি মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফি তরুণ প্রজন্মকে যৌন সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে। নতুন এই মিডিয়া তরুণ গোষ্ঠিকে এতই আকৃষ্ট ও প্রভাবিত করছে যে, তারা এখানে যা দেখছে তা বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ফলে পৃথিবীতে অহরহ ঘটছে ব্যভিচারের মতো জঘন্য অপরাধ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নামী গবেষণা ‘জার্নাল সাইকোলোজি টুডে’তে উল্লেখ করা হয়েছে, অতি মাত্রায় পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে মাত্র ২০ বছরের তরতাজা যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক (বৈধ) যৌনচারণ করতে পারছে না।
ড. ভূন বলেন, নিষ্পাপতার দিন শেষ। মানুষ এখন ইন্টারনেটে অনেক কিছুই জানতে পারে। এটা হচ্ছে ঘরে হিরোইন রেখে বাচ্চাকে ছেড়ে দেয়ার ন্যায়।
’লাইফস্টাইল ডেস্ক’, ‘এবিসি নিউজ বিডি ঢাকা’ তথ্য দিয়েছে: যারা অশ্লীল ভিডিও দেখতে অতি মাত্রায় আসক্ত তাদের মেধা কমে যায়।
’ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ফ্যামিলি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন’ এর গবেষকরা এ সিন্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, অশ্লীল বিষয়গুলোর সংস্পর্শে আসা দর্শকদের মধ্যে যৌন বিষয়ে নীতিভ্রষ্ট প্রবণতা গড়ে তোলার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
কিছু গবেষক বলেন, অশ্লীল চিত্র একজন বাচ্চার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যহত করতে পারে। অশ্লীল ভিডিও নারী ও বাচ্চাদের শোষণ করছে।
Pornography শব্দটি ইংরেজি। এর অর্থ হলো- রচনা, ছবি ইত্যাদিতে অশ্লীল বিষয়ের অবতারণা ও পরিচর্যা, অশ্লীল চিত্র, অশ্লীলবৃত্তি, অশ্লীলসামগ্রী। [. Bangla Academay English-Bengali Dictionary, Reprint, January, 2004, Page: 593.] এটা সংক্ষেপে ‘‘পর্নো’’ হিসেবে ব্যবহার হয়।
পর্নোগ্রাফি বলতে বুঝায়, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস- যার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই। [. বাংলাদেশের আইন কানুন প্রতিবেদন, ৬ জুন, ২০১৫।]
পর্নোগ্রাফি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন বই, সাময়িকী, পোস্টকার্ড, আলোকচিত্র, অঙ্কন, পেইন্টিং, চলচ্চিত্র, স্থিরচিত্র, ভিডিও, ভিসিআর, টিভি, কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট প্রভৃতি।
Definition of Pornography : The representation in books, magazines, photographs, films and other media of scenes sexual behavior that are erotic or lewd and are designed to arouse sexual interest.
Printed or visual material containing the explicit description or display of sexual or activity, intended to stimulate sexual excitement. [. Oxford Dictionary.]
চোখ বা দৃষ্টি শক্তিই হলো সকল অঘটনের মূল। পর্নোগ্রাফির কারণে যত পাপ সংঘটিত হয় তা মূলত চোখে ঐ সমস্ত নোংরামী দেখার জন্যই ঘটে থাকে। কারণ সর্বপ্রথম চোখই অনলাইনে বা মিডিয়ায় ছড়িয়ে থাকা জঞ্জাল অবলোকন করে অন্তরে কামন-বাসনা সৃষ্টি করে, তারপর তা শরীরের বাকী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে দেয় এবং সেগুলোকেও যেনা-ব্যভিচারে অংশগ্রহণ করায়।
পর্নোগ্রাফির জগতে চক্ষু কথা বলে। পর্নোগ্রাফিভক্তরা স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তা-ঘাট, মেলায়-খেলায় যেখানেই নারী দেখুক না কেন, তাদের দিকে ফেল-ফেল করে তাকিয়ে থাকে। আর অন্তরের চোখ দিয়ে নানা কল্পনা-জল্পনা করে। অথচ আল্লাহ বলেছেন, قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ অর্থাৎ মুমিন (পুরুষদেরকে) বলো, তার যেন তাদের চক্ষু অবনত করে রাখে- (সূরা নূর ২৪/৩০)। চক্ষু অবনমিত রাখা অন্তর পরিষ্কার রাখার সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
পর্নোগ্রাফি বলতে বুঝায়, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস- যার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই। [. বাংলাদেশের আইন কানুন প্রতিবেদন, ৬ জুন, ২০১৫।]
পর্নোগ্রাফি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন বই, সাময়িকী, পোস্টকার্ড, আলোকচিত্র, অঙ্কন, পেইন্টিং, চলচ্চিত্র, স্থিরচিত্র, ভিডিও, ভিসিআর, টিভি, কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট প্রভৃতি।
Definition of Pornography : The representation in books, magazines, photographs, films and other media of scenes sexual behavior that are erotic or lewd and are designed to arouse sexual interest.
Printed or visual material containing the explicit description or display of sexual or activity, intended to stimulate sexual excitement. [. Oxford Dictionary.]
চোখ বা দৃষ্টি শক্তিই হলো সকল অঘটনের মূল। পর্নোগ্রাফির কারণে যত পাপ সংঘটিত হয় তা মূলত চোখে ঐ সমস্ত নোংরামী দেখার জন্যই ঘটে থাকে। কারণ সর্বপ্রথম চোখই অনলাইনে বা মিডিয়ায় ছড়িয়ে থাকা জঞ্জাল অবলোকন করে অন্তরে কামন-বাসনা সৃষ্টি করে, তারপর তা শরীরের বাকী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে দেয় এবং সেগুলোকেও যেনা-ব্যভিচারে অংশগ্রহণ করায়।
পর্নোগ্রাফির জগতে চক্ষু কথা বলে। পর্নোগ্রাফিভক্তরা স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তা-ঘাট, মেলায়-খেলায় যেখানেই নারী দেখুক না কেন, তাদের দিকে ফেল-ফেল করে তাকিয়ে থাকে। আর অন্তরের চোখ দিয়ে নানা কল্পনা-জল্পনা করে। অথচ আল্লাহ বলেছেন, قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ অর্থাৎ মুমিন (পুরুষদেরকে) বলো, তার যেন তাদের চক্ষু অবনত করে রাখে- (সূরা নূর ২৪/৩০)। চক্ষু অবনমিত রাখা অন্তর পরিষ্কার রাখার সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
বিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৬৯ সালে। বাংলাদেশে চালু হয় ১৯৯৩ সালে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় ১৯৯৬ সালে। পর্নোগ্রাফি তৈরিতে এক নম্বরে রয়েছে আমেরিকা, আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি। ইন্টারনেটে টোটাল পর্নো আছে ৪.৬ মিলিয়ন এবং পর্নো পেইজ রয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন। [. তথ্য সূত্রে ইন্টারনেট।] দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্নোগ্রাফি ব্যবহারে বাংলাদেশের জনগণ পিছিয়ে নেই। স্মার্টফোন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট আর স্পিড ডাটা সার্ভিস পর্নো ভিডিও আদান-প্রদানের বিষয়টিকে সহজ করেছে। ফলে প্রতি ৩২ সেকেন্ডে একটি নতুন পর্নো ওপেন হচ্ছে। অনায়াসে তা স্কুলছাত্র থেকে সিনিয়র কর্পোরেট অফিসার ইত্যাদি সবার কাছে ভিডিও পৌঁছে যাচ্ছে। নোংরা, অশ্লীল-পর্নোগ্রাফি এমনই একটি মাল্টি ট্রেড ইন্ডাস্ট্রি, যার উদ্দেশ্যই হলো সকল শ্রেণির মানুষ অর্থাৎ নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীর সামনে যেনা-ব্যভিচারের দৃশ্যগুলো বিভিন্ন নামে ও বিভিন্ন ঢং-এ উন্মোচিত করা। আজ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় সকল শ্রেণির মানুষই নোংরা, অশ্লীল-পর্নোগ্রাফির নেশায় আসক্ত। তাদের উদ্দেশ্য যেন এমন যে,
‘দ্বীন ধর্ম নিপাত যাক, যৌনতা প্রচার পাক।
সচ্চরিত্র ধ্বংস হোক, অশ্লীলতার তুফান বহোক।’
তারা তাদের আর্থিক অবস্থা তুঙ্গে রাখার জন্যও এই পতিতার ব্যবসা চালু করেছে।
‘দ্বীন ধর্ম নিপাত যাক, যৌনতা প্রচার পাক।
সচ্চরিত্র ধ্বংস হোক, অশ্লীলতার তুফান বহোক।’
তারা তাদের আর্থিক অবস্থা তুঙ্গে রাখার জন্যও এই পতিতার ব্যবসা চালু করেছে।
মহান আল্লাহ মানুষের ব্যাপারে বলেন,
﴿لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِيْۤ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ﴾
নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি অতি উত্তম অবয়বে। (সূরা তীন ৯৫:৪)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْۤ اٰدَمَ﴾
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদামন্ডিত করেছি। (সূরা ইসরা ১৭:৭০)
মূলত আল্লাহ সকল সৃষ্টির উপর মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন দু’টি কারণে-
১. কামনা-বাসনা ও বুদ্ধি-চেতনার দিক দিয়ে।
২. ঈমান ও সৎকর্মশীলতার দিক দিয়ে। [মুহাম্মাদ আসাদুলস্নাহ আল-গালিব, ‘তাফসীরুল কুরআন ৩০ তম পারা’ পৃ. ৩৬৮।]
কিন্তু আজ অধিকাংশ মানুষ নোংরামী, অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফির আগ্রাসনের শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত ঈমান হারা হচ্ছে, সৎকর্মের কথা ভুলে যাচ্ছে এবং পশুর মতো আচরণ করছে। পশু যেমন একটা অন্যটাকে ধরে খায়, প্রকাশ্যে যৌনাচারে লিপ্ত হয়, যা ইচ্ছা তাই করে। শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষও দিন দিন অনুরূপ হয়ে উঠছে। এমন বৈশিষ্ট্যের মানুষই আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম।
﴿لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِيْۤ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ﴾
নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি অতি উত্তম অবয়বে। (সূরা তীন ৯৫:৪)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْۤ اٰدَمَ﴾
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদামন্ডিত করেছি। (সূরা ইসরা ১৭:৭০)
মূলত আল্লাহ সকল সৃষ্টির উপর মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন দু’টি কারণে-
১. কামনা-বাসনা ও বুদ্ধি-চেতনার দিক দিয়ে।
২. ঈমান ও সৎকর্মশীলতার দিক দিয়ে। [মুহাম্মাদ আসাদুলস্নাহ আল-গালিব, ‘তাফসীরুল কুরআন ৩০ তম পারা’ পৃ. ৩৬৮।]
কিন্তু আজ অধিকাংশ মানুষ নোংরামী, অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফির আগ্রাসনের শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত ঈমান হারা হচ্ছে, সৎকর্মের কথা ভুলে যাচ্ছে এবং পশুর মতো আচরণ করছে। পশু যেমন একটা অন্যটাকে ধরে খায়, প্রকাশ্যে যৌনাচারে লিপ্ত হয়, যা ইচ্ছা তাই করে। শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষও দিন দিন অনুরূপ হয়ে উঠছে। এমন বৈশিষ্ট্যের মানুষই আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম।
যে মানুষের আত্মা অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে যত বেশি পবিত্র, সে তত বেশি সুখী মানুষ। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ
দেহের মধ্যে এমন একটি টুকরা আছে, যা ভালো হলে সারা দেহ ভাল হয়। আর যদি ঐ টুকরা খারাপ হয় তাহলে সারা দেহ খারাপ হয়। জেনে রাখো! তা হল হৃৎপিন্ড বা আত্মা। [.বুখারী হা/৫২, মুসলিম হা/৪১৭৮।]
অশ্লীল পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন আজ অসংখ্য যুবক-যুবতীর দেহের ঐ টুকরাটিকে অর্থাৎ আত্মাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। যার অন্তরে ন্যূনতম ঈমান আছে তার অন্তর অন্যায়ে লিপ্ত হলে কেঁপে ওঠে। আর অন্যায়, পাপ মানুষের অন্তর তথা আত্মায় মরীচিকা ধরিয়ে দেয়। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
﴿كَلَّا بَلْ رَانَ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ مَّا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ﴾
কখনো না, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মরীচিকা ধরিয়ে দিয়েছে।
(সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৪)
দিন দিন অশ্লীল-পর্নো ভোক্তাদের অন্তর-আত্মায় পাপের মরীচিকা অধিক মাত্রায় বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে বহু সংখ্যক পর্নোভোক্তা এটাকে আর পাপ মনে করছে না। এজন্যই অশ্লীলতা তাদের অন্তর-আত্মাকে অশান্তি, অস্থিরতা, উদাসীনতার সাগরে চুবিয়ে চুবিয়ে নিঃশেষ করছে। এর একমাত্র প্রতিষেধক টীকা হলো প্রকৃত ঈমান ও আল্লাহর স্মরণ। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوْبُهُمْ بِذِكْرِ اللّٰهِ أَلَا بِذِكْرِ اللّٰهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوْبُ﴾
যারাই ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। জেনে রেখো! আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই অন্তর-আত্মায় সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করা যায়। (সূরা রাদ ১৩:২৮)
وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ
দেহের মধ্যে এমন একটি টুকরা আছে, যা ভালো হলে সারা দেহ ভাল হয়। আর যদি ঐ টুকরা খারাপ হয় তাহলে সারা দেহ খারাপ হয়। জেনে রাখো! তা হল হৃৎপিন্ড বা আত্মা। [.বুখারী হা/৫২, মুসলিম হা/৪১৭৮।]
অশ্লীল পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন আজ অসংখ্য যুবক-যুবতীর দেহের ঐ টুকরাটিকে অর্থাৎ আত্মাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। যার অন্তরে ন্যূনতম ঈমান আছে তার অন্তর অন্যায়ে লিপ্ত হলে কেঁপে ওঠে। আর অন্যায়, পাপ মানুষের অন্তর তথা আত্মায় মরীচিকা ধরিয়ে দেয়। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
﴿كَلَّا بَلْ رَانَ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ مَّا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ﴾
কখনো না, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মরীচিকা ধরিয়ে দিয়েছে।
(সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৪)
দিন দিন অশ্লীল-পর্নো ভোক্তাদের অন্তর-আত্মায় পাপের মরীচিকা অধিক মাত্রায় বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে বহু সংখ্যক পর্নোভোক্তা এটাকে আর পাপ মনে করছে না। এজন্যই অশ্লীলতা তাদের অন্তর-আত্মাকে অশান্তি, অস্থিরতা, উদাসীনতার সাগরে চুবিয়ে চুবিয়ে নিঃশেষ করছে। এর একমাত্র প্রতিষেধক টীকা হলো প্রকৃত ঈমান ও আল্লাহর স্মরণ। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوْبُهُمْ بِذِكْرِ اللّٰهِ أَلَا بِذِكْرِ اللّٰهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوْبُ﴾
যারাই ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। জেনে রেখো! আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই অন্তর-আত্মায় সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করা যায়। (সূরা রাদ ১৩:২৮)
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে আছে লাখ লাখ, কোটি কোটি যৌন দৃশ্য যা ইন্টারনেট খুললেই চোখে পড়ে। এসব দেখে প্রতিনিয়ত যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী মারাত্মকভাবে যৌন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। যৌনতা চরিতার্থ করার জন্য তারা বেছে নিচ্ছে অবৈধ পাপের পথ। বিবাহের পূর্বে অবৈধ প্রণয়ে ফেঁসে গিয়ে তারা চোখ, হাত, জিহবা ও যৌনাঙ্গের ব্যভিচারে লিপ্ত হচ্ছে। আবার অনেকে বিবাহের মাধ্যমে যৌন বিকারত্বের অবসান ঘটানোর পরেও অশ্লীলতায় মদের মতো আসক্ত হয়ে পড়েছে। যা তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে উভয় জগতে।
পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার একটি নিদর্শন হলো ব্যভিচার বেড়ে যাওয়া। ব্যভিচার এমনি মারাতমক অপরাধ, যা ব্যক্তির মানসম্মান ইজ্জত-আব্রুকে ধ্বংস করে এবং সমাজকে কলুষিত করে ফেলে। একে অন্যের মা, বোন, স্ত্রী কন্যাকে সম্পূর্ণ রূপে বিনষ্ট করে। মহান আল্লাহ এ অপরাধের দ্বার চিরতরে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বলেন,
﴿وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَاۤ إِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةً وَّسَآءَ سَبِيْلًا﴾
তোমরা যেনা অর্থাৎ ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। কারণ তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (সূরা ইসরা ১৭:৩২)
মহা পাপের মধ্যে অন্যতম পাপ হল ব্যভিচার। [বুখারী হা/৪৪৭৭, ৪৭৬১, মুসলিম হা/৮৬।] আল্লাহ ঐ পাপ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন, কিন্তু অশ্লীল-পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন আজ উক্ত পাপে আরো বেশি উৎসাহিত বা প্ররোচিত করছে। ফলে মুক্তমনা অসংখ্য যুবক-যুবতী আল্লাহর জমিনে, তারই চোখের সামনে হোটেল-রেস্টুরেন্টে, উদ্যান-পার্কে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে ও সমুদ্র সৈকতে ব্যভিচারের মতো জঘন্য পাপে লিপ্ত হচ্ছে। দুনিয়াতে এসকল তরুণ-তরুণীর, যুবক-যুবতীর জীবনে নেমে আসছে এইডস এর মতো সংক্রামক ব্যাধি ও অশান্তি এবং পরকালে এরাই জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে।
পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার একটি নিদর্শন হলো ব্যভিচার বেড়ে যাওয়া। ব্যভিচার এমনি মারাতমক অপরাধ, যা ব্যক্তির মানসম্মান ইজ্জত-আব্রুকে ধ্বংস করে এবং সমাজকে কলুষিত করে ফেলে। একে অন্যের মা, বোন, স্ত্রী কন্যাকে সম্পূর্ণ রূপে বিনষ্ট করে। মহান আল্লাহ এ অপরাধের দ্বার চিরতরে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বলেন,
﴿وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَاۤ إِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةً وَّسَآءَ سَبِيْلًا﴾
তোমরা যেনা অর্থাৎ ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। কারণ তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (সূরা ইসরা ১৭:৩২)
মহা পাপের মধ্যে অন্যতম পাপ হল ব্যভিচার। [বুখারী হা/৪৪৭৭, ৪৭৬১, মুসলিম হা/৮৬।] আল্লাহ ঐ পাপ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন, কিন্তু অশ্লীল-পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন আজ উক্ত পাপে আরো বেশি উৎসাহিত বা প্ররোচিত করছে। ফলে মুক্তমনা অসংখ্য যুবক-যুবতী আল্লাহর জমিনে, তারই চোখের সামনে হোটেল-রেস্টুরেন্টে, উদ্যান-পার্কে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে ও সমুদ্র সৈকতে ব্যভিচারের মতো জঘন্য পাপে লিপ্ত হচ্ছে। দুনিয়াতে এসকল তরুণ-তরুণীর, যুবক-যুবতীর জীবনে নেমে আসছে এইডস এর মতো সংক্রামক ব্যাধি ও অশান্তি এবং পরকালে এরাই জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে।
টিভি, ইন্টারনেট, ইউটিউব ইত্যাদিতে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল-পর্নো ও অমুসলিম নারীদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন এ দেশের শত শত মুসলিম নারীদেরকে নগ্ন-অর্ধনগ্ন ও নির্লজ্জ হতে উদ্বুদ্ধ করছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
দুশ্রেণির মানুষ জাহান্নামী- যাদেরকে আমি দেখিনি। তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে এমন লোক, যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের মতো লম্বা চাবুক, যা দিয়ে তারা মানুষকে অযথা প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন মহিলা, যারা হবে কাপড় পরিহিতা, অথচ উলঙ্গ। অন্যকে আকর্ষণকারিণী এবং নিজেও হবে অন্যের প্রতি আকৃষ্টা। তাদের মাথা হবে খুরাসানী উটের ঝুলে পড়া কুঁজের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধ অনেক অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে। [মুসলিম হা/২১২৮।]
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
দুশ্রেণির মানুষ জাহান্নামী- যাদেরকে আমি দেখিনি। তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে এমন লোক, যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের মতো লম্বা চাবুক, যা দিয়ে তারা মানুষকে অযথা প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন মহিলা, যারা হবে কাপড় পরিহিতা, অথচ উলঙ্গ। অন্যকে আকর্ষণকারিণী এবং নিজেও হবে অন্যের প্রতি আকৃষ্টা। তাদের মাথা হবে খুরাসানী উটের ঝুলে পড়া কুঁজের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধ অনেক অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে। [মুসলিম হা/২১২৮।]
ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব ও বিভিন্ন সিনেমা ও নাটকে বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড গ্রহণের দৃশ্য দেখে আজ হাজার হাজার যুবক এক বা একাধিক গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ করছে। অনুরূপভাবে যুবতীরাও এক বা একাধিক বয়ফ্রেন্ড গ্রহণ করছে। স্ত্রী থাকার পরেও নাকি গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ করা যুগের ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধিক! শত ধিক! উক্ত ফ্যাশানকে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি মারাত্মক পাপের কাজ। আর এরই মাধ্যমে সৃষ্টি হয় বড় বড় আরো মারাত্মক অপরাধ। ধ্বংস হয় যুবচরিত্র। সূরা ইউসুফের ২২, ২৩ ও ২৪ নং আয়াত থেকে শিক্ষা লাভ করা যায় যে, যৌবনে উপনীত হয়ে অশ্লীল পর্নোগ্রাফি দেখে বা এমনিতেই বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ করতে হবে এবং যৌবন অবৈধ পন্থায় চরিতার্থ করতে হবে- তা নয়; বরং এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে, যেমনিভাবে বিরত ছিলেন ইউসুফ (আঃ)।
রাসূল ﷺ বলেন,
مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلا شَانَهُ ، وَلا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلا زَانَهُ
কোন বিষয়ের মধ্যে অশ্লীলতা বা নোংরামী থাকলে সে বিষয় তাকে সৌন্দর্যহীন বা নোংরা করে তোলে। আর কোন বিষয়ের মধ্যে লজ্জা থাকলে সে বিষয় তাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তোলে। [আহমাদ হা/১২৬৮৯, সহীহ আত-তিরমিযী হা/১৬০৭, ইবনে মাজহ হা/৪১৮৫৮, সহীহুল জামে হা/৫৬৫৫।]
আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে মুঠোফোন, কম্পিউটার যুবক-যুবতীদের মগজকে ক্রমে ক্রমে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
রাসূল ﷺ বলেন,
مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلا شَانَهُ ، وَلا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلا زَانَهُ
কোন বিষয়ের মধ্যে অশ্লীলতা বা নোংরামী থাকলে সে বিষয় তাকে সৌন্দর্যহীন বা নোংরা করে তোলে। আর কোন বিষয়ের মধ্যে লজ্জা থাকলে সে বিষয় তাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তোলে। [আহমাদ হা/১২৬৮৯, সহীহ আত-তিরমিযী হা/১৬০৭, ইবনে মাজহ হা/৪১৮৫৮, সহীহুল জামে হা/৫৬৫৫।]
আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে মুঠোফোন, কম্পিউটার যুবক-যুবতীদের মগজকে ক্রমে ক্রমে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
পর্নোভোক্তাদের মধ্যে ভোগ-সুখ নিয়ে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে অলীক কামনা-বাসনা। কিন্তু বিবাহের পর যখন তারা তাদের কামনা-বাসনা অনুযায়ী তা পাচ্ছে না, তখন শয্যা সঙ্গিনীর উপর বাড়ছে নির্যাতন। ফলে দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠছে দুর্বিসহ, শান্তিহীন, সুখহীন ও বিপর্যয়গ্রস্ত। পর্নোভোক্তা অনেক যুবক-যুবতীকেই দেখা গেছে যে, তারা বিবাহের কয়েক মাস পর সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হচ্ছে।
আজ আমরা উন্নত টেকনোলোজির যুগে বসবাস করছি, যে যুগে ক্যাবলের মাধ্যমে শহরে-গ্রামে সর্বত্র পৌঁছে দেয়া হচ্ছে অশ্লীল-পর্নোগ্রাফির ফিতনা। এরই কারণে আজ শহরে-গ্রামে প্রত্যেকটি বাড়িতে, চায়ের স্টলে, মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফির ফিতনা চরম আকার ধারণ করেছে। মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়ে শিশুরা ইসলামী শিষ্টাচার থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। বর্তমানে অনেক শিশু- বিশেষ করে মেয়ে শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন,
فَإِنَّهٗ لَا يَأْتِي عَلَيْكُمْ زَمَانٌ إِلَّا الَّذِي بَعْدَهٗ شَرٌّ مِنْهُ حَتّٰى تَلْقَوْا رَبَّكُمْ
সামনে যত দিন আসবে তা পূর্বের চেয়েও আরো (বেশি) খারাপ হবে যতক্ষণ না তোমরা নিজ প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ করবে। [বুখারী হা/৭০৬।]
আবু মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন,
إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ
কিয়ামতের পূর্বে ফিতনার পর আঁধার রাতের টুকরোসমূহের ন্যায় ফিতনা দেখা দিবে। [আহমাদ ৪/৪০৮, ইবনু মাজাহ ২/১৩১০।]
অত্র হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, অন্ধকার যেমন সব কিছুকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, ঠিক তেমনিভাবে দুনিয়া নিঃশেষ হওয়ার পূর্বে ফিতনাও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এবং সকলকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন,
فَإِنَّهٗ لَا يَأْتِي عَلَيْكُمْ زَمَانٌ إِلَّا الَّذِي بَعْدَهٗ شَرٌّ مِنْهُ حَتّٰى تَلْقَوْا رَبَّكُمْ
সামনে যত দিন আসবে তা পূর্বের চেয়েও আরো (বেশি) খারাপ হবে যতক্ষণ না তোমরা নিজ প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ করবে। [বুখারী হা/৭০৬।]
আবু মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন,
إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ
কিয়ামতের পূর্বে ফিতনার পর আঁধার রাতের টুকরোসমূহের ন্যায় ফিতনা দেখা দিবে। [আহমাদ ৪/৪০৮, ইবনু মাজাহ ২/১৩১০।]
অত্র হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, অন্ধকার যেমন সব কিছুকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, ঠিক তেমনিভাবে দুনিয়া নিঃশেষ হওয়ার পূর্বে ফিতনাও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এবং সকলকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে।
আজ পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন প্রতিনিয়ত এ দেশের লাখো যুবক-যুবতীকে ব্যভিচারের মতো মারাত্মক ভয়াবহ পাপ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। আর উক্ত কর্মের মাধ্যমে মানুষ ঈমান হারা হয়ে যাচ্ছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَنْ زَنٰى أَوْ شَرِبَ الخَمْرَ نَزَعَ الله مِنْهُ الْإِيمَانَ كَمَا يَخْلَعُ الْإِنْسَانُ الْقَمِيصَ مِنْ رَأْسِهٖ
যে ব্যক্তি ব্যভিচার অথবা মদ পান করে, আল্লাহ তার ঈমান ছিনিয়ে নেন, যেমনিভাবে কোন মানুষ তার জামা নিজ মাথার উপর থেকে খুলে নেয়। [হাকিম ১/১২, কানযুল উম্মাল হা/১২,৯৯৩।]
মহানবী ﷺ অন্যত্র বলেছেন,
لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَشْرَبُ الخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَالتَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ بَعْدُ
ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। মদ পানকারী যখন মদ পান করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। তবে এরপরও তাদেরকে তাওবা করার সুযোগ দেয়া হয়। [আবু দাউদ হা/৪৬৮৯, ইবনু মাজাহ হা/৪০০৭।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ আরো বলেছেন,
إِذَا زَنَى الرَّجُلُ خَرَجَ مِنْهُ الْإِيمَانُ كَانَ عَلَيْهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذَا انْقَطَعَ رَجَعَ إِلَيْهِ الْإِيمَانُ
যখন কোন পুরুষ ব্যভিচার করে তখন তার ঈমান তার অন্তর থেকে বের হয়ে মেঘের ন্যায় তার উপর অবস্থান করে। অতঃপর যখন সে ব্যভিচারকর্ম সম্পাদন করে ফেলে, তখন তার ঈমান আবার তার নিকট ফেরত আসে। [আবু দাউদ হা/৪৬৯০।] অতএব ঈমান বাঁচানোর স্বার্থে, পূত ও পবিত্র থাকতে ব্যভিচারের সকল রাস্তা বন্ধ করা আবশ্যক।
مَنْ زَنٰى أَوْ شَرِبَ الخَمْرَ نَزَعَ الله مِنْهُ الْإِيمَانَ كَمَا يَخْلَعُ الْإِنْسَانُ الْقَمِيصَ مِنْ رَأْسِهٖ
যে ব্যক্তি ব্যভিচার অথবা মদ পান করে, আল্লাহ তার ঈমান ছিনিয়ে নেন, যেমনিভাবে কোন মানুষ তার জামা নিজ মাথার উপর থেকে খুলে নেয়। [হাকিম ১/১২, কানযুল উম্মাল হা/১২,৯৯৩।]
মহানবী ﷺ অন্যত্র বলেছেন,
لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَشْرَبُ الخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَالتَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ بَعْدُ
ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। মদ পানকারী যখন মদ পান করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। তবে এরপরও তাদেরকে তাওবা করার সুযোগ দেয়া হয়। [আবু দাউদ হা/৪৬৮৯, ইবনু মাজাহ হা/৪০০৭।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ আরো বলেছেন,
إِذَا زَنَى الرَّجُلُ خَرَجَ مِنْهُ الْإِيمَانُ كَانَ عَلَيْهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذَا انْقَطَعَ رَجَعَ إِلَيْهِ الْإِيمَانُ
যখন কোন পুরুষ ব্যভিচার করে তখন তার ঈমান তার অন্তর থেকে বের হয়ে মেঘের ন্যায় তার উপর অবস্থান করে। অতঃপর যখন সে ব্যভিচারকর্ম সম্পাদন করে ফেলে, তখন তার ঈমান আবার তার নিকট ফেরত আসে। [আবু দাউদ হা/৪৬৯০।] অতএব ঈমান বাঁচানোর স্বার্থে, পূত ও পবিত্র থাকতে ব্যভিচারের সকল রাস্তা বন্ধ করা আবশ্যক।
মানব জাতির সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল উত্তম চরিত্র। যার গুণে একজন মুসলিম রাত্রে নফল সলাত আদায়কারী এবং দিনে সিয়াম পালনকারীর সওয়াব পায়। [আবু দাউদ হা/৭৪৯৮, মিশকাত হা/৫০৮২।] কিন্তু আফসোসের বিষয় হল পর্নোগ্রাফির আগ্রাসনে আজ অধিকাংশ মানুষের চরিত্র কলুষিত হচ্ছে। মুসলিমদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো উত্তম চরিত্র, যা বোমা মেরে অথবা যুদ্ধ করেও ধ্বংস করা যায় না। ফলে মুসলিম বিদ্বেষীরা তা নাশ করার জন্য মিডিয়ার নোংরা পথকে বেছে নিয়েছে। তারা প্রতিদিন ২৬৬টি নতুন পর্নো তৈরি করছে। যার ফাঁদে আটকা পড়ে চরিত্র কলুষিত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর।
শয়তানের বাসনা হলো, মুসলিম পরিবার ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাক; সমগ্র বিশ্বে অন্যায়-অত্যাচার ও অশ্লীলতা প্রকাশ পাক। আর শয়তানের এই মনোবাসনা পূরণের জন্য পর্নোগ্রাফি জোরালো ভূমিকা পালন করছে। শয়তান যে এগুলো মানুষের কাছ থেকে কামনা করে তার বাস্তব দৃষ্টান্ত হলো মহান আল্লাহর এই বাণী-
﴿اَلشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَآءِ﴾
শয়তান তোমাদেরকে গরীব হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় এবং অশ্লীল, নোংরামী ও নির্লজ্জ বিষয়ের নির্দেশ দেয়। (সূরা বাক্বারা ২:২৬৮)
শয়তান অশ্লীলতার এ নির্দেশ শুধু আজ থেকে দিচ্ছে তা নয়; বরং মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই সে এ অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطَانُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وُوْرِيَ عَنْهُمَا مِنْ سَوْاٰتِهِمَا﴾
অতঃপর শয়তান তাদেরকে (আদম ও হাওয়াকে) কুমন্ত্রণা দিল উভয়ের লজ্জাস্থান প্রকাশ করার জন্য, যা তাদের পরস্পরের নিকট গোপন রাখা হয়েছিল। (সূরা আরাফ ৭:২০)
অপর আয়াতে তিনি বলেন,
﴿يَنْزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْاٰتِهِمَا﴾
সে তাদের পরস্পরকে লজ্জাস্থান দেখানোর জন্য তাদের দেহ হতে পোশাক খুলে ফেলেছিল। (সূরা আরাফ ৭:২৭)
আজ সেই শয়তানই অশ্লীল মিডিয়া ও পর্নোগ্রাফিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে লাখো মা-বোনকে নগ্ন-অর্ধনগ্ন করে ঢেকে রাখা অঙ্গগুলো প্রকাশ করে চলেছে। নগ্ন-অর্ধনগ্ন হয়ে হাজারও নারী শয়তানের দলভুক্ত হচ্ছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللّٰهِ أُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ أَلَاۤ إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ﴾
শয়তান তাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে বসেছে, আর তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। জেনে রেখো! শয়তানের দল বড় ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুজাদালাহ ৫৮:১৯)
যে কেউ আল্লাহর বিধানের অবাধ্যচারী হয়ে পর্নোগ্রাফি বা অন্য কোন পাপাচারে লিপ্ত হলে শয়তান তার উপর আধিপত্য বিস্তার করে। কাজেই হে মানুষ! এ সবের নোংরামী থেকে সাবধান হোন।
﴿اَلشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَآءِ﴾
শয়তান তোমাদেরকে গরীব হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় এবং অশ্লীল, নোংরামী ও নির্লজ্জ বিষয়ের নির্দেশ দেয়। (সূরা বাক্বারা ২:২৬৮)
শয়তান অশ্লীলতার এ নির্দেশ শুধু আজ থেকে দিচ্ছে তা নয়; বরং মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই সে এ অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطَانُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وُوْرِيَ عَنْهُمَا مِنْ سَوْاٰتِهِمَا﴾
অতঃপর শয়তান তাদেরকে (আদম ও হাওয়াকে) কুমন্ত্রণা দিল উভয়ের লজ্জাস্থান প্রকাশ করার জন্য, যা তাদের পরস্পরের নিকট গোপন রাখা হয়েছিল। (সূরা আরাফ ৭:২০)
অপর আয়াতে তিনি বলেন,
﴿يَنْزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْاٰتِهِمَا﴾
সে তাদের পরস্পরকে লজ্জাস্থান দেখানোর জন্য তাদের দেহ হতে পোশাক খুলে ফেলেছিল। (সূরা আরাফ ৭:২৭)
আজ সেই শয়তানই অশ্লীল মিডিয়া ও পর্নোগ্রাফিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে লাখো মা-বোনকে নগ্ন-অর্ধনগ্ন করে ঢেকে রাখা অঙ্গগুলো প্রকাশ করে চলেছে। নগ্ন-অর্ধনগ্ন হয়ে হাজারও নারী শয়তানের দলভুক্ত হচ্ছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللّٰهِ أُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ أَلَاۤ إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ﴾
শয়তান তাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে বসেছে, আর তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। জেনে রেখো! শয়তানের দল বড় ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুজাদালাহ ৫৮:১৯)
যে কেউ আল্লাহর বিধানের অবাধ্যচারী হয়ে পর্নোগ্রাফি বা অন্য কোন পাপাচারে লিপ্ত হলে শয়তান তার উপর আধিপত্য বিস্তার করে। কাজেই হে মানুষ! এ সবের নোংরামী থেকে সাবধান হোন।
মানুষের জীবন হলো সময়ের সমষ্টি, তাই সময় বড়ই মূল্যবান। আল্লাহ তা‘আলা মানুষের সামনে সময়ের মূল্যায়ন তুলে ধরার জন্যই সূরা আসর নামে একটি সূরা নাযিল করেছেন। কিন্তু বনী আদম আজ ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব ও টিভির সামনে পর্নোগ্রাফি, ছায়াছবি, নাটক উপভোগের মাধ্যমে মিনিটের পর মিনিট, ঘন্টার পর ঘন্টা অপচয় করছে। এমনকি বনী আদম ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতেও ইবাদত না করে এগুলোর সাথে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কিয়ামতের মাঠে যে তাকে সারাজীবনের প্রতিটি সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে, তা সে ভুলে গেছে। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল ﷺ বলেন,
لَا تَزُوْلُ قَدَمُ عَبْدٍ يَوْمَ القِيَامَةِ حَتّٰى يُسْألَ عَنْ أرْبَعٍ : عَنْ عُمُرِهٖ فيْمَا أفْنَاهُ؟ وعَنْ شَبَابِهٖ فِيْمَا أَبْلَاهُ، وعَنْ عَمَلِهٖ مَا عَمِلَ بِهٖ؟ وعَنْ مَالِهٖ مِنْ أيْنَ اكْتَسَبَهٗ، وَفِيْمَا أَنْفَقَهٗ؟
কিয়ামতের দিন আদম সন্তান চারটি প্রশ্নের উত্তর না দেয়া পর্যন্ত তার প্রভুর নিকট থেকে এক পা বাড়াতে পারবে না-
১. তার গোটা জীবনের সময় সম্পর্কে- কিসে তা শেষ করেছিল,
২. তার যৌবন সম্পর্কে- কোন পথে তা ব্যয় করেছিল,
৩. তার ইলম সম্পর্কে- সে তদনুযায়ী আমল করেছিল কি না,
৪. তার মাল সম্পর্কে- কোন পথে তা আয় করেছিল এবং কোন পথে তা ব্যয় করেছিল। [.তিরমিযি হা/২৪১৬, মিশকাত হা/৫১৯৭, রিক্বাক্ব অধ্যায়, ছহীহা হা/৯৪৬।]
আপনার যৌবনের অধিকাংশ সময় যদি ফেসবুক, ইউটিউবের পর্নোগ্রাফি দেখে কেটে যায়, তাহলে সেদিন আল্লাহর কাছে কী উত্তর দিবেন? অতএব অশ্লীলতা দেখে সময় অযথা নষ্ট করা থেকে সাবধান থাকুন এবং ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর এ কথা স্মরণ রাখুন- ‘‘সময় তলোয়ারের ন্যায়। তুমি তাকে ভালো কাজে নিঃশেষ করবে; নতুবা সে তোমাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করবে।’’
বর্তমান যুগে ছাত্র-ছাত্রী, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা প্রায় সকল শ্রেণির মানুষ তাদের ফ্রি টাইম অতিবাহিত করছে টিভির পর্দায়, কম্পিউটারে, স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের নোংরামী দেখা নিয়ে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ
দু’টি নেআমত রয়েছে, যে দু‘টিতে বহু মানুষ ধোঁকায় পতিত হয়েছে ১. শারীরিক সুস্থতা এবং ২. অবসরতা বা ফ্রি টাইম এর ব্যাপারে। [বুখারী হা/ ৬৮১২, মিশকাত হা/ ৫১৫৫।] অবসর বা ফ্রি টাইম যারা পর্নোগ্রাফি দেখে, চা স্টলে বসে গল্পগুজব করে কাটাচ্ছে নিঃসন্দেহে তারা ধোঁকায় পড়ে আছে। আল্লাহর রাসূল ﷺ জনৈক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন,
اِغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ : حَيَاتَكَ قَبْلَ مَوْتِكَ وَفَرَاغَك قَبْلَ شَغْلِكَ وَغِنَاك قَبْلَ فَقْرِكَ وَشَبَابَك قَبْلَ هَرَمِكَ وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِك
তুমি পাঁচটি বস্ত্তর পূর্বে পাঁচটিকে গনিমত মনে করো, ১. মৃত্যুর পূর্বে তোমার জীবনকে, ২. ব্যস্ততার পূর্বে অবসর সময়কে, ৩. দারিদ্রতার পূর্বে স্বচ্ছলতাকে, ৪. বার্ধক্য আসার পূর্বে যৌবনকে এবং ৫. পীড়িত হওয়ার পূর্বে সুস্থতাকে। [হাকিম হা/৭৮৪৬, ছহীহুল জামে হা/১০৭৭, সিলসিলা ছহীহ হা/১১৫৭, মিশকাত হা/৫১৭৪।]
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে আমাদের রাত্রি যাপন ও সালফে-সালেহীনের রাত্রি যাপনের মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। তারা রাত জেগে জেগে কুরআন পড়তেন, তাহাজ্জুদ পড়তেন, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করতেন। জান্নাত লাভের আশায় এবং জাহান্নামের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে অশ্রম্ন ফেলতেন। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّطَمَعًا وَّمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ﴾
তারা তাদের (দেহের) পার্শ্বগুলো বিছানা থেকে আলাদা করে (জাহান্নামের) ভীতি ও (জান্নাতের) আশা নিয়ে তাদের প্রতিপালককে ডাকে, আর আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে। (সূরা সাজদাহ ৩২:১৬)
সালফে সালেহীনের অনেকেই স্ত্রী ঘুমিয়ে গেলে বিছানা থেকে উঠে সলাতে দাঁড়াতেন। তারা রাত্রিকে ভাগ করে নিতেন নিজের আত্মার জন্য এবং পরিবারের জন্য। আর আমরা রাত্রি জাগরণ করছি টিভি, কম্পিউটার ও মোবাইলের পর্দায় পর্নো মুভি দেখে।
لَا تَزُوْلُ قَدَمُ عَبْدٍ يَوْمَ القِيَامَةِ حَتّٰى يُسْألَ عَنْ أرْبَعٍ : عَنْ عُمُرِهٖ فيْمَا أفْنَاهُ؟ وعَنْ شَبَابِهٖ فِيْمَا أَبْلَاهُ، وعَنْ عَمَلِهٖ مَا عَمِلَ بِهٖ؟ وعَنْ مَالِهٖ مِنْ أيْنَ اكْتَسَبَهٗ، وَفِيْمَا أَنْفَقَهٗ؟
কিয়ামতের দিন আদম সন্তান চারটি প্রশ্নের উত্তর না দেয়া পর্যন্ত তার প্রভুর নিকট থেকে এক পা বাড়াতে পারবে না-
১. তার গোটা জীবনের সময় সম্পর্কে- কিসে তা শেষ করেছিল,
২. তার যৌবন সম্পর্কে- কোন পথে তা ব্যয় করেছিল,
৩. তার ইলম সম্পর্কে- সে তদনুযায়ী আমল করেছিল কি না,
৪. তার মাল সম্পর্কে- কোন পথে তা আয় করেছিল এবং কোন পথে তা ব্যয় করেছিল। [.তিরমিযি হা/২৪১৬, মিশকাত হা/৫১৯৭, রিক্বাক্ব অধ্যায়, ছহীহা হা/৯৪৬।]
আপনার যৌবনের অধিকাংশ সময় যদি ফেসবুক, ইউটিউবের পর্নোগ্রাফি দেখে কেটে যায়, তাহলে সেদিন আল্লাহর কাছে কী উত্তর দিবেন? অতএব অশ্লীলতা দেখে সময় অযথা নষ্ট করা থেকে সাবধান থাকুন এবং ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর এ কথা স্মরণ রাখুন- ‘‘সময় তলোয়ারের ন্যায়। তুমি তাকে ভালো কাজে নিঃশেষ করবে; নতুবা সে তোমাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করবে।’’
বর্তমান যুগে ছাত্র-ছাত্রী, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা প্রায় সকল শ্রেণির মানুষ তাদের ফ্রি টাইম অতিবাহিত করছে টিভির পর্দায়, কম্পিউটারে, স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের নোংরামী দেখা নিয়ে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ
দু’টি নেআমত রয়েছে, যে দু‘টিতে বহু মানুষ ধোঁকায় পতিত হয়েছে ১. শারীরিক সুস্থতা এবং ২. অবসরতা বা ফ্রি টাইম এর ব্যাপারে। [বুখারী হা/ ৬৮১২, মিশকাত হা/ ৫১৫৫।] অবসর বা ফ্রি টাইম যারা পর্নোগ্রাফি দেখে, চা স্টলে বসে গল্পগুজব করে কাটাচ্ছে নিঃসন্দেহে তারা ধোঁকায় পড়ে আছে। আল্লাহর রাসূল ﷺ জনৈক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন,
اِغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ : حَيَاتَكَ قَبْلَ مَوْتِكَ وَفَرَاغَك قَبْلَ شَغْلِكَ وَغِنَاك قَبْلَ فَقْرِكَ وَشَبَابَك قَبْلَ هَرَمِكَ وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِك
তুমি পাঁচটি বস্ত্তর পূর্বে পাঁচটিকে গনিমত মনে করো, ১. মৃত্যুর পূর্বে তোমার জীবনকে, ২. ব্যস্ততার পূর্বে অবসর সময়কে, ৩. দারিদ্রতার পূর্বে স্বচ্ছলতাকে, ৪. বার্ধক্য আসার পূর্বে যৌবনকে এবং ৫. পীড়িত হওয়ার পূর্বে সুস্থতাকে। [হাকিম হা/৭৮৪৬, ছহীহুল জামে হা/১০৭৭, সিলসিলা ছহীহ হা/১১৫৭, মিশকাত হা/৫১৭৪।]
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে আমাদের রাত্রি যাপন ও সালফে-সালেহীনের রাত্রি যাপনের মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। তারা রাত জেগে জেগে কুরআন পড়তেন, তাহাজ্জুদ পড়তেন, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করতেন। জান্নাত লাভের আশায় এবং জাহান্নামের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে অশ্রম্ন ফেলতেন। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّطَمَعًا وَّمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ﴾
তারা তাদের (দেহের) পার্শ্বগুলো বিছানা থেকে আলাদা করে (জাহান্নামের) ভীতি ও (জান্নাতের) আশা নিয়ে তাদের প্রতিপালককে ডাকে, আর আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে। (সূরা সাজদাহ ৩২:১৬)
সালফে সালেহীনের অনেকেই স্ত্রী ঘুমিয়ে গেলে বিছানা থেকে উঠে সলাতে দাঁড়াতেন। তারা রাত্রিকে ভাগ করে নিতেন নিজের আত্মার জন্য এবং পরিবারের জন্য। আর আমরা রাত্রি জাগরণ করছি টিভি, কম্পিউটার ও মোবাইলের পর্দায় পর্নো মুভি দেখে।
বর্তমানে নাটক-সিনেমায় বা অনলাইনে সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। আর এগুলোতে প্রভাবিত হচ্ছে বর্তমানের অনেক মানুষ। এমনকি তরুণরা গুম, হত্যা, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসবাদের মতো জঘন্য পথ বেছে নিচ্ছে।
অথচ এসব শরীয়তে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَاۤؤُهٗ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيْهَا وَغَضِبَ اللهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهٗ وَأَعَدَّ لَهٗ عَذَابًا عَظِيْمًا﴾
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার শাস্তি হল জাহান্নাম; সে তাতে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্ত্তত করে রেখেছেন। (সূরা নিসা ৪:৯৩)
অথচ এসব শরীয়তে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَاۤؤُهٗ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيْهَا وَغَضِبَ اللهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهٗ وَأَعَدَّ لَهٗ عَذَابًا عَظِيْمًا﴾
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার শাস্তি হল জাহান্নাম; সে তাতে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্ত্তত করে রেখেছেন। (সূরা নিসা ৪:৯৩)
আমরা প্রতিনিয়ত যে চলচ্চিত্র সিরিজ দেখছি, আসলে তা আমাদের চিরশত্রুদের তৈরি। ফলে আমাদের জান-মালের চিরশত্রু শুধু আমাদের ঘরেই নয়, বরং আমাদের অন্তর-আত্মায় ঢুকে বন্ধুর মতো অবস্থান করছে এবং আমাদেরকে তাদের অপসংস্কৃতির নোংরামীর মাধ্যমে ধ্বংসের অতল তলে ডুবিয়ে দিচ্ছে। অথচ মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارٰۤى أَوْلِيَآءَ﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না।
(সূরা মায়েদাহ ৫:৫১)
আজ মুসলিমদেরকে ধ্বংস করার জন্য সকল বাতিল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আর মুসলিমরা তাদের তৈরিকৃত ছবি, নাটক, পর্নোগ্রাফি দেখে নিজেদের বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা, অর্থ-সম্পদ ধ্বংস করছে; বিলাসিতায় মেতে উঠছে। হিংসা-বিদ্বেষ নিজেদের মধ্যে প্রজ্জ্বলিত করছে। ফলে মুসলিম ঐক্যশক্তি ভেঙ্গে খান খান হচ্ছে। এসব কারণে মুসলিমরা আজ কাফিরদেরকে ভয় করতে শুরু করছে; অথচ তারাই হলো বীরের জাতি।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, অদূর ভবিষ্যতে চতুর্দিকের সকল জাতি পরস্পরকে আহবান করে তোমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে, যেভাবে ভোজনকারীরা ভোজনপাত্রের উপর একত্রিত হয়ে এক সাথে মিলে ভোজন করে। কোন এক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, তখন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকব হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, না- কিন্তু তোমরা হবে স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মতো। তোমাদের শত্রুদের হৃদয় থেকে তোমাদের প্রতি ভীতি তুলে নেয়া হবে এবং তোমাদের হৃদয়ে দুর্বলতা প্রক্ষিপ্ত হবে। আর সে দুর্বলতা হল, দুনিয়াকে ভালোবাসা এবং মরণকে অপছন্দ করা। [. সহীহুল জামে হা/৮১৮৩]
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿لَا تَجِدُ قَوْمًا يُّؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ يُوَآدُّوْنَ مَنْ حَآدَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ﴾
তুমি আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী- এমন কোন দলকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরোধিতাকারীদেরকে ভালোবাসে। (সূরা মুজাদালা ৫৮:২২)
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارٰۤى أَوْلِيَآءَ﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না।
(সূরা মায়েদাহ ৫:৫১)
আজ মুসলিমদেরকে ধ্বংস করার জন্য সকল বাতিল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আর মুসলিমরা তাদের তৈরিকৃত ছবি, নাটক, পর্নোগ্রাফি দেখে নিজেদের বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা, অর্থ-সম্পদ ধ্বংস করছে; বিলাসিতায় মেতে উঠছে। হিংসা-বিদ্বেষ নিজেদের মধ্যে প্রজ্জ্বলিত করছে। ফলে মুসলিম ঐক্যশক্তি ভেঙ্গে খান খান হচ্ছে। এসব কারণে মুসলিমরা আজ কাফিরদেরকে ভয় করতে শুরু করছে; অথচ তারাই হলো বীরের জাতি।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, অদূর ভবিষ্যতে চতুর্দিকের সকল জাতি পরস্পরকে আহবান করে তোমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে, যেভাবে ভোজনকারীরা ভোজনপাত্রের উপর একত্রিত হয়ে এক সাথে মিলে ভোজন করে। কোন এক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, তখন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকব হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, না- কিন্তু তোমরা হবে স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মতো। তোমাদের শত্রুদের হৃদয় থেকে তোমাদের প্রতি ভীতি তুলে নেয়া হবে এবং তোমাদের হৃদয়ে দুর্বলতা প্রক্ষিপ্ত হবে। আর সে দুর্বলতা হল, দুনিয়াকে ভালোবাসা এবং মরণকে অপছন্দ করা। [. সহীহুল জামে হা/৮১৮৩]
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿لَا تَجِدُ قَوْمًا يُّؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ يُوَآدُّوْنَ مَنْ حَآدَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ﴾
তুমি আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী- এমন কোন দলকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরোধিতাকারীদেরকে ভালোবাসে। (সূরা মুজাদালা ৫৮:২২)
মুসলিমরা দুনিয়া অর্জন করতে গিয়ে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে নিজেদেরকে ও নিজেদের ছেলে-মেয়েদেরকে দূরে রাখছে। তারা বিনোদনের জন্য বা অলস সময় ব্যয় করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি তথা টিভি, ডিস এ্যান্টেনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। যা প্রতিনিয়ত মুসলিম জাতিকে অশ্লীল সিনেমা, নাটক,পর্নোগ্রাফি দেখার দিকে ধাবিত করছে। ফলে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهٖ اٰخَرِينَ
মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন) দ্বারা কোন জাতিকে উন্নত করেন এবং এরই দ্বারা অন্য জাতিকে ধ্বংস করেন। [. মুসলিম হা/৮১৭]
কিন্তু দুনিয়ার লোভ-লালসা ও পর্নোগ্রাফির নেশা সে আদর্শ অর্থাৎ কুরআন শিখতে এবং তা অনুসরণ করতে মারাত্মকভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ফলে দিন দিন মুসলিমদের ছেলে-মেয়েদের থেকে, পরিবার, রাষ্ট্র থেকে ইসলামী আদর্শ ম্লান হতে শুরু করেছে। আর সে স্থান দখল করছে শয়তানী আদর্শ। এরই কারণে সর্বত্র সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রভৃতি। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمٰنِ نُقَيِّضْ لَهٗ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهٗ قَرِيْنٌ﴾
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য একটি শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সেই হয় তার সঙ্গী।
(সূরা যুখরুফ ৪৩:৩৬)
অত্র আয়াতে প্রমাণ রয়েছে যে, ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্র থেকে ইসলামী আদর্শ বিদায় নিলে শয়তানী আদর্শ সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবেই।
إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهٖ اٰخَرِينَ
মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন) দ্বারা কোন জাতিকে উন্নত করেন এবং এরই দ্বারা অন্য জাতিকে ধ্বংস করেন। [. মুসলিম হা/৮১৭]
কিন্তু দুনিয়ার লোভ-লালসা ও পর্নোগ্রাফির নেশা সে আদর্শ অর্থাৎ কুরআন শিখতে এবং তা অনুসরণ করতে মারাত্মকভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ফলে দিন দিন মুসলিমদের ছেলে-মেয়েদের থেকে, পরিবার, রাষ্ট্র থেকে ইসলামী আদর্শ ম্লান হতে শুরু করেছে। আর সে স্থান দখল করছে শয়তানী আদর্শ। এরই কারণে সর্বত্র সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রভৃতি। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمٰنِ نُقَيِّضْ لَهٗ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهٗ قَرِيْنٌ﴾
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য একটি শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সেই হয় তার সঙ্গী।
(সূরা যুখরুফ ৪৩:৩৬)
অত্র আয়াতে প্রমাণ রয়েছে যে, ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্র থেকে ইসলামী আদর্শ বিদায় নিলে শয়তানী আদর্শ সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবেই।
শারীরিক রোগের চেয়ে বহুগুণ জটিল হলো অন্তরের রোগ। গবেষকরা বলেন, পর্নোগ্রাফি এমন এক রোগের নাম, যা ঘুম নষ্ট করে, ক্ষুধা হ্রাস করে, দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি করে এবং চোখ-কান Wi-Fi, MB কার্ড এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের কানেকশনের সাথে সংশ্লিষ্ট করে। অনলাইন, বিলবোর্ড ও পত্র-পত্রিকার অসংখ্য পর্নোগ্রাফি যুবক-যুবতীর অন্তরকে যৌনরোগ দ্বারা আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। আর তাদের অন্তরে ভোগ ও সুখের অলীক ধারণা সৃষ্টি করছে। মনে রাখা ভালো হবে, আত্মার খুরাক হলো আল্লাহর ইবাদাত করা।
যেসব দেশ হতে পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে থাকে, সে দেশের মেয়েরা ১৪ বছর বয়সে উপনীত হতে না হতেই সকলে কুমারিত্ব হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশের মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের ২০১৫ সালের এক জরিপে জানা যায়, ঢাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণির মোট ৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জনের মোবাইলে পর্নোগ্রাফি পাওয়া যায়, যা তারা ক্লাসে বসে বসেই দেখে থাকে। সাম্প্রতিক এক সংবাদের মাধ্যমে জানা গেছে যে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলেছেন। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে যে, ক্লাসে তাদের মনোযোগ নেই; মোবাইলে পর্নো দেখায় তারা ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মোবাইলে পর্নোগ্রাফি পাওয়া যাবে, যা তারা নিত্যদিন উপভোগ করছে। ইন্টারনেট ও ইউটিউবের পর্নো প্রতিনিয়ত তরুণীর মধ্যে যৌনতার সুড়সুড়ি জাগ্রত করছে। ফলে বিবাহের পূর্বেই অনেকেই কুমারিত্ব হারিয়ে ফেলছে, যা ভয়ংকর শাস্তির কারণ। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اَلزَّانِيَةُ وَالزَّانِيْ فَاجْلِدُوْا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ﴾
ব্যভিচারী নারী ব্যভিচারী পুরুষ- তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত করো। (সূরা নূর ২৪:২)
উবাদা বিন সামিত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,
اَلْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْيُ سَنَةٍ وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ
অবিবাহিত যুবক-যুবতীর (ব্যভিচারের) শাস্তি হলো, একশত বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ ও মহিলার শাস্তি হলো, একশত বেত্রাঘাত ও রজম তথা পাথর মেরে হত্যা। [. মুসলিম হা/১৬৯০, আবু দাউদ হা/৪৪১৫, তিরমিযী হা/১৪৩৪, ইবনু মাজাহ হা/২৫৯৮।]
﴿اَلزَّانِيَةُ وَالزَّانِيْ فَاجْلِدُوْا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ﴾
ব্যভিচারী নারী ব্যভিচারী পুরুষ- তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত করো। (সূরা নূর ২৪:২)
উবাদা বিন সামিত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,
اَلْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْيُ سَنَةٍ وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ
অবিবাহিত যুবক-যুবতীর (ব্যভিচারের) শাস্তি হলো, একশত বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ ও মহিলার শাস্তি হলো, একশত বেত্রাঘাত ও রজম তথা পাথর মেরে হত্যা। [. মুসলিম হা/১৬৯০, আবু দাউদ হা/৪৪১৫, তিরমিযী হা/১৪৩৪, ইবনু মাজাহ হা/২৫৯৮।]
আজ রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বিলর্বোডে, দেয়ালে সাঁটানো প্রেমদৃশ্য সম্বলিত পোস্টার, টিভিতে চলমান সিরিয়াল, প্রেম-ভালোবাসার নাটক, ইন্টারনেট, ফেসবুক ইত্যাদি অসংখ্য যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর মধ্যে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার টান তীব্র করে তুলছে। বর্তমানে এটি একটি সংক্রামক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। যেই সংক্রামক ব্যাধিতে শিক্ষিত-অশিক্ষিত, বিবাহিত-অবিবাহিত প্রায় সকলেই জড়িয়ে পড়ছে। ফলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, যার কোন ইয়ত্তা নেই। উপচে পড়া অবৈধ প্রেম-ভালোবাসায় মগ্ন কিছু নারী-পুরুষ দিন-দুপুরে জনতার সামনে নোংরামীতে লিপ্ত হচ্ছে, যা চতুষ্পদ জন্তুকেও হার মানায়। অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা যে কত পরিবার ও ছাত্র-ছাত্রীর পড়া-লেখা ধ্বংস করছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
বর্তমানে পর্নোগ্রাফির অশ্লীলতা দেখতে অভ্যস্ত ভ্যানচালক, রিকশাচালক, ছাত্র-শিক্ষক, জ্ঞানী-মূর্খসহ প্রায় সকল শ্রেণির মানুষ। এজন্য তারা ইন্টারনেটের কানেকশন ও এমবি কার্ড কিনতে ব্যয় করছে শত শত টাকা। ২০১১ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, সারা বিশ্বে পর্নো দেখায় ব্যয় হচ্ছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। এরই মাধ্যমে আমাদের জান ও মালের শত্রুরা আমাদেরকে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে লাভবান হচ্ছে।
পর্নোগ্রাফির কারণে আজ যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী মাঠে নেমেছে অবৈধ সঙ্গীর তালাশে। এরই মাধ্যমে যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীর মধ্যে অশ্লীল কামনা-বাসনা জাগ্রত হচ্ছে, যার প্রতিফল স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে, উদ্যান-পার্কে দৃশ্যমান। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ। এ উম্মত ধ্বংস হবে না- যতক্ষণ না জনৈক ব্যক্তি কোন মহিলার সাথে রাস্তায় সঙ্গম করবে। আর তখন সর্বোত্তম লোকটি হবে ঐ ব্যক্তি, যে সাহস করে বলবে যে, যদি মহিলাটাকে একটু দেয়ালের পেছনে নিয়ে যেতে (তাহলে ভালো হতো)। [. আবু ইয়ালা: ১১/৪৩।]
আবদুল্লাহ বিন আমর বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত আসবে না, যতদিন পর্যন্ত না গাধার ন্যায় রাস্তায় সঙ্গম বা যৌনমিলন সংঘটিত হয়। আমি বললাম, সেটা কি অবশ্যই হবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ! তা অবশ্যই ঘটবে। [. ইবনু হিববান/মাওয়ারিদ হা/১৮৮৯।]
আর এসব নোংরামী হলো টেলিভিশনের বিভিন্ন সিনেমা, নাটক, সিরিয়াল ও পর্নোগ্রাফি নিয়ে মত্ত থাকার বাস্তব ফল।
বিবাহ বাড়ি, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকুরির ফিল্ড, বিভিন্ন মেলায়-খেলায়, বাজারে-মার্কেটে, উদ্যান-পার্কে চলছে নারী-পুরুষের মিলন মেলা। আর আল্লাহ বলেন,
﴿قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ﴾
(হে নবী!) তুমি বলে দাও, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন- প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব ধরনের অশ্লীলতা ও পাপকর্ম। (সূরা আরাফ ৭:৩৩)
ইসলামী শরীয়তে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে এত কঠোর সতর্কবাণী থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ রয়েছে, যারা তাদের স্ত্রীদেরকে মাথা, গলা, বুক, পেট, পিঠ খোলা রেখে বিভিন্ন রংয়ে ও বিভিন্ন ঢংয়ে সাজিয়ে তাদেরকে সাথে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে, বিভিন্ন পার্টিতে ও উদ্যান-পার্কে ঘুরে বেড়ায়। এরাই হলো অশ্লীলতার প্রশ্রয়দানকারী দাইয়ূছ। রাসূল ﷺ বলেন,
ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ اَلعَاقُّ لِوَالَدَيْهِ والْمُدْمِنُ الْخَمْرُ والدَّيُّوْثُ
তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না- (১) মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, (নিয়মিত) মদে আসক্ত ব্যক্তি এবং দাইয়ূছ অর্থাৎ এমন বেহায়া ব্যক্তি, যে তার পরিবারে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দান করে। [. আহমদ হা/৫৩৭২, ৬১১৩, মিশকাত হা/৩৬৫৫, ছহীহুল জামে হা/৩০৫২।]
আবদুল্লাহ বিন আমর বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত আসবে না, যতদিন পর্যন্ত না গাধার ন্যায় রাস্তায় সঙ্গম বা যৌনমিলন সংঘটিত হয়। আমি বললাম, সেটা কি অবশ্যই হবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ! তা অবশ্যই ঘটবে। [. ইবনু হিববান/মাওয়ারিদ হা/১৮৮৯।]
আর এসব নোংরামী হলো টেলিভিশনের বিভিন্ন সিনেমা, নাটক, সিরিয়াল ও পর্নোগ্রাফি নিয়ে মত্ত থাকার বাস্তব ফল।
বিবাহ বাড়ি, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকুরির ফিল্ড, বিভিন্ন মেলায়-খেলায়, বাজারে-মার্কেটে, উদ্যান-পার্কে চলছে নারী-পুরুষের মিলন মেলা। আর আল্লাহ বলেন,
﴿قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ﴾
(হে নবী!) তুমি বলে দাও, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন- প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব ধরনের অশ্লীলতা ও পাপকর্ম। (সূরা আরাফ ৭:৩৩)
ইসলামী শরীয়তে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে এত কঠোর সতর্কবাণী থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ রয়েছে, যারা তাদের স্ত্রীদেরকে মাথা, গলা, বুক, পেট, পিঠ খোলা রেখে বিভিন্ন রংয়ে ও বিভিন্ন ঢংয়ে সাজিয়ে তাদেরকে সাথে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে, বিভিন্ন পার্টিতে ও উদ্যান-পার্কে ঘুরে বেড়ায়। এরাই হলো অশ্লীলতার প্রশ্রয়দানকারী দাইয়ূছ। রাসূল ﷺ বলেন,
ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ اَلعَاقُّ لِوَالَدَيْهِ والْمُدْمِنُ الْخَمْرُ والدَّيُّوْثُ
তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না- (১) মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, (নিয়মিত) মদে আসক্ত ব্যক্তি এবং দাইয়ূছ অর্থাৎ এমন বেহায়া ব্যক্তি, যে তার পরিবারে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দান করে। [. আহমদ হা/৫৩৭২, ৬১১৩, মিশকাত হা/৩৬৫৫, ছহীহুল জামে হা/৩০৫২।]
আমরা এমন দেশে বাস করি, যে দেশে বেশ্যাবৃত্তির মতো নোংরা ও জঘন্য পাপকে আইনি বৈধতা দেয়া হয়েছে। অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ বেশ্যাবৃত্তির উপার্জনকে হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। [. ছহীহুল জামে হা/৩০৭৬।] অপর হাদীসে তিনি এগুলোকে ‘খাবিছ’ বা অপবিত্র বলেছেন। [. ছহীহুল জামে হা/৩০৭৭।] অনেক ছাত্রী রয়েছে যারা পর্নোগ্রাফি দেখে তাদের যৌন বাসনা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন হোটেলে বেশ্যাবৃত্তির মতো নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ছে, তারা অবশ্যই ইহকাল ও পরকাল বরবাদ করছে। আর এই নোংরামীর বড় ইন্ধনদাতা হলো পর্নোগ্রাফি।
ডক্টর Victor B.cline বলেছেন, অশ্লীল ছবি বা পর্নোগ্রাফি দর্শকের চরিত্র বিরল প্রকৃতির হয়ে ওঠে। সুতরাং অসৎ কাজ, ইভটিজিং, শিশু অপহরণ ইত্যাদির মতো অপরাধ তার স্বাভাবিক আচরণ হয়ে যায়। ধর্ষণ, হত্যা, গুম- এগুলো দেশের এখন নিত্যদিনের কর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার মূলে রয়েছে নগ্ন-অর্ধনগ্ন পোশাক পরে বেপরোয়া চলাফেরা। তাদেরকে নগ্ন-অর্ধনগ্ন হতে শিখিয়েছে মিডিয়ার পর্নোগ্রাফি। নারীদের নির্লজ্জ চলাফেরা শত শত যুবকের অন্তরে যৌন কামনা-বাসনা জাগ্রত করছে। ফলে তারা বেছে নিচ্ছে ধর্ষণের মতো নোংরা পথ। অথচ ধর্ষণ ঠেকানোর মহৌষধ হিসেবে কুরআন মাজীদে বর্ণনা করেন যে,
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ الْمُؤْمِنِيْنَ يُدْنِيْنَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيْبِهِنَّ ذٰلِكَ أَدْنٰۤى أَنْ يُّعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا﴾
হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, তোমার কন্যাদেরকে ও মুসলিম নারীদেরকে বলে দাও যে, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয় (যখন তারা বাড়ির বাইরে যায়), এতে তাদের চেনা সহজতর হবে এবং তাদেরকে উত্যক্ত (ইভটিজিং) করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব ৩৩:৫৯)
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ الْمُؤْمِنِيْنَ يُدْنِيْنَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيْبِهِنَّ ذٰلِكَ أَدْنٰۤى أَنْ يُّعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا﴾
হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, তোমার কন্যাদেরকে ও মুসলিম নারীদেরকে বলে দাও যে, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয় (যখন তারা বাড়ির বাইরে যায়), এতে তাদের চেনা সহজতর হবে এবং তাদেরকে উত্যক্ত (ইভটিজিং) করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব ৩৩:৫৯)
পর্দা ইসলামী শরীয়তের একটি আবশ্যকীয় বিষয়। যার অভাবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কলুষিত হচ্ছে। ইন্টারনেটে যত নারীর ছবি ছড়িয়ে আছে, তার মধ্যে প্রায় সবই নগ্ন-অর্ধনগ্ন ও পর্দাহীন। এছাড়াও বিভিন্ন সিরিয়াল, সিনেমার অভিনেত্রীরা সকলেই বেপর্দা। ফলে তাদের অনুকরণে মুসলিম নারীদের কাছ থেকে পর্দা চিরতরে বিদায় নিচ্ছে।
বংশ টিকিয়ে রাখার একমাত্র মাধ্যম হলো ইসলামী পন্থায় বিবাহ করা। কিন্তু আজ পশ্চিমা বিশ্বের মতো অবৈধ পন্থায় যৌনতা চরিতার্থ করণের ফলে বংশগত ধারা মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। মহান আল্লাহ বলেছেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّأُنْثٰى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْا﴾
হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী হতে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও বংশে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। (সূরা হুজুরাত ৪৯:১৩)
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّأُنْثٰى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْا﴾
হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী হতে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও বংশে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। (সূরা হুজুরাত ৪৯:১৩)
দিন দিন আল্লাহর ইবাদাত ও শুকর গুজারকারী বান্দার সংখ্যা কমে আসছে। যারা ইবাদত-বন্দেগী করছেন তাদের অধিকাংশের আমলের মধ্যে ইখলাস, একাগ্রতা, একনিষ্ঠতার অভাবে ইবাদাত হচ্ছে সারশূন্য। আর এর অন্যতম কারণ হলো পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন-অশ্লীলতা দর্শন। আজ প্রায় প্রতিটি মুসলিম ব্যবহার করছে স্মার্টফোন, টিভি, কম্পিউটার। প্রতিনিয়ত তাতে চর্চা হচ্ছে ছায়াছবি, বিভিন্ন নোংরা সিরিয়াল, নোংরা ফিল্ম ও পর্নোগ্রাফির। অশ্লীলতার দর্শক নারী-পুরুষ মুসল্লি সলাতের মধ্যেও ঐ সমস্ত নোংরামীর ধ্বংসাত্মক ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। সলাতের মধ্যে ঐসব নোংরামী চিন্তা তাদেরকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে। ফলে সলাতের পরিপূর্ণ ছওয়াব থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। রাসূল ﷺ বলেন,
يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ أَخْلِصُوْا أَعْمَالَكُمَ لِلّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْأَعْمَالِ إِلَّا مَا خَلَّصَ لَهٗ
হে মানবজাতি! তোমরা একনিষ্ঠভাবে আমল করো; নিশ্চয় আল্লাহ একনিষ্ঠ আমল ছাড়া কোন আমল কবুল করেন না। [.আত-তারগীব ১/৫৫, নাসাঈ হা/৩১৪০, হাসান ছহীহ।]
يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ أَخْلِصُوْا أَعْمَالَكُمَ لِلّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْأَعْمَالِ إِلَّا مَا خَلَّصَ لَهٗ
হে মানবজাতি! তোমরা একনিষ্ঠভাবে আমল করো; নিশ্চয় আল্লাহ একনিষ্ঠ আমল ছাড়া কোন আমল কবুল করেন না। [.আত-তারগীব ১/৫৫, নাসাঈ হা/৩১৪০, হাসান ছহীহ।]
আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে মুসলিমদের মধ্যে রম-রমাভাবে বাতিল আক্বীদা-বিশ্বাস বিস্তৃতি লাভ করছে। আজ প্রিন্ট মিডিয়া ও বাজারে এমন কোন পণ্যদ্রব্য নেই যাতে নগ্ন-অর্ধনগ্ন নারীর ছবি নেই। যা দেখে এ দেশের হাজারও নারী তাদের মতো নগ্ন-অর্ধনগ্ন হওয়ার মানসিকতা নিজেদের মধ্যে লালন করছে। কেউ বা আবার তাদের মডেলিং ধারণ করে মার্কেটে পার্কে ঘুরছে। এটা নাকি আধুনিক ফ্যাশান। কত নোংরা আক্বীদা তাদের মধ্যে বিরাজ করছে। এমন কিছু পণ্য রয়েছে, যাতে রয়েছে বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীর ছবি। এছাড়াও ছবি, নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনুকরণে হাজারও নামধারী মুসলিম নর-নারী বিপদে-আপদে, সন্তান লাভের জন্য মাজারে, দরগায় গিয়ে শিরকের মতো ভয়াবহ পাপে লিপ্ত হচ্ছে। যার পরিণাম হলো জাহান্নাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّهٗ مَنْ يُّشْرِكْ بِاللّٰهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّٰهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ﴾
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। (সূরা মায়েদা ৫:৭২)
﴿إِنَّهٗ مَنْ يُّشْرِكْ بِاللّٰهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّٰهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ﴾
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। (সূরা মায়েদা ৫:৭২)
নোংরামী, অশ্লীলতা-পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস মাদকদ্রব্য সেবন করার মতোই একটি জঘন্য ক্ষতিকর অভ্যাস। যার ফলে মস্তিষ্কের সম্মুখভাগ Fronta Loob নষ্ট হয়ে যায়। Cambridge University এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, Pornography দর্শনের ফলে দর্শকের মস্তিষ্ক মাদকদ্রব্য সেবনকারীর মস্তিষ্কের মতো হয়ে যায়। গবেষক Gordon’s Bruin বলেন, ‘আমরা ২০ বছর বয়সী নোংরা ফিল্ম দর্শনের অভ্যাসীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে লক্ষ্য করছি। যৌন মিলনের পর্নো বা ফিল্ম দেখার অভ্যাস মাদকদ্রব্য সেবনের মতো একটি ধ্বংসাত্মক ব্যাধি। মাদক সেবন না করে যেমন মাদক সেবনকারীদের শান্তি বা স্বস্তি আসে না, ঠিক তেমনই অবস্থা ঘটে পর্নো দর্শনে অভ্যাসীদের। আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে যত্র-তত্রভাবে তৈরি হচ্ছে নোংরা, অশ্লীল ছবি। স্যাটেলাইট, ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সকলের কাছে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, এরই মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ২৮,০০০ মানুষ নোংরা সাইটে প্রবেশ করছে এবং পশুবৎ, যৌনমিলন দর্শন করছে। ২০০৬ ও ২০১১ সালের এক জরিপে বলা হয়েছে, প্রতি সেকেন্ডে পর্নো দেখছে ২৮২৫৮ - ৩৫০০০ মানুষ। [. তথ্য সূত্রে ইন্টারনেট ।] এখন তো এর সংখ্যা আরো বহুগুণ বেড়ে গেছে। দুঃখের বিষয় হলো এদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ মহিলা। এর ফলে এত বিশাল সংখ্যক মানুষের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নোংরা, অকেজো ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী দৃশ্য দেখার সাথে সাথে Dopamine, Oxytocin, Testosterone পদার্থ ক্ষরণ হতে থাকে এবং এমন তুফান সৃষ্টি করে, যা মস্তিষ্ককে তছনছ করে ফেলে। ব্রেনের সিস্টেমকেই অস্বাভাবিক করে তোলে এবং পড়াশোনার সর্বনাশ ঘটিয়ে ছাড়ে। তাতে ব্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কোষ নষ্ট হতেও পারে। নোংরা, অশ্লীল, যৌনমিলনের ভিডিও দেখার সময় Dopamine পদার্থ খুব বেশি আকারে বের হতে থাকে। আর তার ফলে মস্তিষ্কের সম্মুখ অংশ দুর্বল হতে থাকে। পরিশেষে সর্বনাশই তাদের ভাগ্যে জোটে। [.তথ্য সূত্রে ইন্টারনেট ও আব্দুল হামিদ ফাইযী প্রণীত ‘পাপ, তার শাস্তি ও মুক্তির উপায়’ পৃ.৬৪-৬৯।]
আধুনিক যুগে প্রযুক্তির ব্যবহারে শিশুরাও পিছিয়ে নেই। ফলে আধুনিক মিডিয়ার সুবাদে অধিকাংশ শিশু-কিশোর ইউটিউবের পর্নো এবং টিভির সিনেমা, নাটক, কার্টুন দেখে। পিতা-মাতার জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতেই তারা ঐ সমস্ত নোংরামী দেখছে ও অনেক কিছু জল্পনা-কল্পনা করছে। যেসকল শিশুর বয়স ১৪ বছরের নিচে, অশ্লীল চিত্রাবলী দর্শন তাদের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। তাদের মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যা-বুদ্ধি ধ্বংস হচ্ছে। ফলে তারা হয়ে যাচ্ছে অপদার্থ একটা মানুষে। এসব অশ্লীল দৃশ্যাবলী তাদেরকে অপরাধ জগতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। [. সূত্রে ইন্টারনেট।] এভাবে একটা ফুট-ফুটে শিশুর উজ্জ্ব ভবিষ্যৎ জীবন বরবাদ করছে মিডিয়ার পর্নো, সিনেমা প্রভৃতি। আগে একটা শিশু সময় কাটাত বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলা করে। কিন্তু আজ সে সময় কাটাচ্ছে মোবাইল, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট আর ফেসবুক নিয়ে। ফলে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা এবং কত মায়ের সন্তান হারিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের অতল গহবরে।
সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, অশ্লীল যৌনমিলনের ছবি দেখার ফলে মানুষের নানা রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন হরমোন সমস্যা, হৃদরোগ, Atherosclerosis ইত্যাদি। পর্নোগ্রাফি যেহেতু ব্যভিচারের পথ উস্কে দেয়, সেহেতু এতেও সৃষ্টি হয় নানারকম মরণব্যধি। যেমন-
ব্যভিচারের সাথে যুক্ত মানুষের লিঙ্গের কোষগুলো একেবারেই ঢিলে হয়ে যায়। যার ফলশ্রম্নতিতে প্রস্রাব ও বীর্যপাতের উপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণই থাকে না।
এরই ফলে সিফিলিস রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। লিঙ্গ, হৃৎপিন্ড, পাকস্থলী, ফুসফুস ও অন্ডকোষের ঘা এর মাধ্যমেই এ রোগের শুরু হয়। এমনকি পরিশেষে তা অঙ্গ বিকৃতি, অঙ্গহানীর বিশেষ কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
কখনো কখনো এ শ্রেণির মানুষ গনোরিয়ায়ও আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত অধিকাংশই যুবক শ্রেণির। এ জাতীয় রোগে প্রথমত লিঙ্গে এক ধরনের জ্বলন সৃষ্টি হয়। এরই পাশাপাশি তাতে বিশ্রী ধরনের এক প্রকার পুঁজও জন্ম নেয়। [. বিস্তারিত জানতে দেখুন মোস্তাফিজুর রহমান প্রণীত ‘‘ব্যভিচার ও সমকাম’’ বই।]
ব্যভিচারের সাথে যুক্ত মানুষের লিঙ্গের কোষগুলো একেবারেই ঢিলে হয়ে যায়। যার ফলশ্রম্নতিতে প্রস্রাব ও বীর্যপাতের উপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণই থাকে না।
এরই ফলে সিফিলিস রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। লিঙ্গ, হৃৎপিন্ড, পাকস্থলী, ফুসফুস ও অন্ডকোষের ঘা এর মাধ্যমেই এ রোগের শুরু হয়। এমনকি পরিশেষে তা অঙ্গ বিকৃতি, অঙ্গহানীর বিশেষ কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
কখনো কখনো এ শ্রেণির মানুষ গনোরিয়ায়ও আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত অধিকাংশই যুবক শ্রেণির। এ জাতীয় রোগে প্রথমত লিঙ্গে এক ধরনের জ্বলন সৃষ্টি হয়। এরই পাশাপাশি তাতে বিশ্রী ধরনের এক প্রকার পুঁজও জন্ম নেয়। [. বিস্তারিত জানতে দেখুন মোস্তাফিজুর রহমান প্রণীত ‘‘ব্যভিচার ও সমকাম’’ বই।]
অশ্লীলতা ভোগকারী দেশি-বিদেশি অসংখ্য নারী-পুরুষ যৌনতা চরিতার্থ করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে সমকামিতার মতো জঘন্য ও অভিশপ্ত পাপে। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন,
إِنَّ أخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلٰى أُمّتِي عَمَلَ قَوْمِ لُوْطٍ
আমার উম্মতের উপর লূত (আঃ) এর সম্প্রদায়ের কুকর্ম অর্থাৎ সমকামিতা ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক ভয় করছি। [. তিরমিযী হা/১৪৫৭, ইবনু মাজাহ হা/২৬১১ সনদ হাসান।]
সমকামিদের শাস্তির কথা উল্লেখ করে আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ
কাউকে সমকাম করতে দেখলে তোমরা উভয় সমকামিকে হত্যা করবে। [আবুদাউদ হা/৪৪৬২, তিরমিযী হা/১৪৫৬, ইবনু মাজাহ হা/২৬০৯।]
إِنَّ أخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلٰى أُمّتِي عَمَلَ قَوْمِ لُوْطٍ
আমার উম্মতের উপর লূত (আঃ) এর সম্প্রদায়ের কুকর্ম অর্থাৎ সমকামিতা ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক ভয় করছি। [. তিরমিযী হা/১৪৫৭, ইবনু মাজাহ হা/২৬১১ সনদ হাসান।]
সমকামিদের শাস্তির কথা উল্লেখ করে আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ
কাউকে সমকাম করতে দেখলে তোমরা উভয় সমকামিকে হত্যা করবে। [আবুদাউদ হা/৪৪৬২, তিরমিযী হা/১৪৫৬, ইবনু মাজাহ হা/২৬০৯।]
মহান আল্লাহ তা’আলা জ্ঞান-বুদ্ধির জন্য ও তার আনুগত্যের কারণে বহু সৃষ্টির উপর মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। জ্ঞান-বুদ্ধি বিলুপ্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো পাপাচার-আল্লাহর অবাধ্যাচরণ। আজ পর্নোর প্রবল স্রোতে ভাসছে বিশ্ব, ভাসছে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী। যা প্রতিনিয়ত প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে তাড়িত করছে নোংরামীর দিকে। যারই ফলশ্রম্নতিতে যৌন জীবন সংক্রান্ত পাপে গুপ্তভাবে জড়িয়ে থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের মেধাশক্তিকে দুর্বল করছে। পর্নোগ্রাফি একটি ধ্বংসাত্মক পাপের বস্ত্ত। যার কামড়ে কত ছাত্র-ছাত্রী, আলেম, হাফেজ, ক্বারী ইলম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন, ‘‘পাপাচারের নিকৃষ্ট ও নিন্দিত প্রভাব আছে, যা অন্তর ও দেহের পক্ষে ইহ ও পরকালে এতই অপকারী যে, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তন্মধ্যে ইলম থেকে বঞ্চিত হওয়া অন্যতম।’’ ইমাম শাফেয়ীর উস্তাদ আকীব (রহঃ) বলেন, ‘‘ইলম হলো আল্লাহর তরফ থেকে আসা নূর। আর এ নূর কোন পাপীর হৃদয়ে প্রক্ষিপ্ত হয় না।’’ তাই ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিভিতে নোংরা ছবি দেখলে ও অন্যান্য পাপে জড়িয়ে পড়লে নষ্ট হবে অমূল্য সম্পদ মেধাশক্তি। কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি নগ্ন-অর্ধনগ্ন দৃশ্য বা পর্নোগ্রাফি, সেক্স ছবি দেখে বা বই, পত্র-পত্রিকা পড়ে এবং অবৈধ গান-বাজনা শুনতে অভ্যস্ত হয়, তাহলে সে কী ইলমের নূর নিয়ে আলোকিত হতে পারবে? শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ) বলেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ পাপের শাস্তিস্বরূপ ইলম ছিনিয়ে নেন।’’ [মাজমূউল ফাতাওয়া ১৪/১৫২।]
যৌন উত্তেজনামূলক দৃশ্য অতিরিক্ত মাত্রায় বীর্য স্খলন বা স্বপ্নদোষ ঘটিয়ে থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে অচিরেই নোংরামী দেখা ও এ সংক্রান্ত পত্র-পত্রিকা পাঠ বন্ধ করতে হবে। স্বপ্নদোষ বন্ধের জন্য বা শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য শয়নের পূর্বে নিম্নের আমলগুলো করা যেতে পারে ১. ঘুমানোর পূর্বে ওযু করা, ২. ডানকাতে শোয়া, ৩. আয়াতুল কুরসী পাঠ করা, ৪. সূরা নাস, ফালাক, ইখলাস তিনবার পাঠ করে হাতে ফুঁক দিয়ে মাথার সম্মুখভাগ থেকে নিয়ে শরীরে বুলিয়ে দেয়া।
পর্নোগ্রাফির নেশায় আসক্ত হয়ে আজ অসংখ্য মানুষ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলতে শুরু করেছে। ফলে তারা শ্লোগান তুলেছে ‘দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাও দাও ফূর্তি করো। আগামীকাল বাঁচবে কি না বলতে পার।’ দুনিয়ার ভোগে-বিলাসিতায় মত্ত হয়ে তারা আল্লাহর হালাল-হারামের বিধানকে উপেক্ষা করে কুফরিতে নিমজ্জিত হচ্ছে।
টিভিতে, কম্পিউটারে ও স্মার্ট ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখা হারাম। কিন্তু যারা একে হারাম মনে করে না, বরং নগণ্য পাপ মনে করে সুযোগ পেলেই তাতে লিপ্ত হন, জেনে রাখুন! সুযোগ পেলেই যারা হারামে লিপ্ত হয়; তাদের আমল বরবাদ হবে যদিও তারা তাহাজ্জুদ গুজারী হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
لَأَعْلَمَنَّ أَقْوَامًا مِنْ أُمَّتِى يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِحَسَنَاتٍ أَمَثَالِ جَبَالِ تِهَامَةَ بَيْضَاءَ فَيَجْعَلَهَا اللهُ هَبَاءًا مَنْثُورًا أَمَا إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ وَمِنْ جِلْدَتِكُمْ وَيَأْخُذُونَ مِنَ اللَّيْلِ كَمَا تَأْخُذُونَ وِلٰكِنَّهُمْ قَوْمٌ إِذَا أَخَلَوْا بِمَحَارِمِ اللهِ إِنْتَهَكُوهَا
আমি আমার উম্মতের কিছু সম্প্রদায়ের কথা জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার পাহাড় পরিমাণ নেকী নিয়ে হাজির হবে। আল্লাহ এগুলিকে ধুলিকণার মতো উড়িয়ে দেবেন। তারা তোমাদেরই বংশধর, তোমাদের মতই রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়বে কিন্তু সুযোগ পেলেই পাপাচারে বা হারাম কাজ করে বসবে। [. ইবনু মাজাহ হা/৪২৪৫, সনদ ছাহীহ, সহীহুল জামে হা/৫০২৮।]
لَأَعْلَمَنَّ أَقْوَامًا مِنْ أُمَّتِى يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِحَسَنَاتٍ أَمَثَالِ جَبَالِ تِهَامَةَ بَيْضَاءَ فَيَجْعَلَهَا اللهُ هَبَاءًا مَنْثُورًا أَمَا إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ وَمِنْ جِلْدَتِكُمْ وَيَأْخُذُونَ مِنَ اللَّيْلِ كَمَا تَأْخُذُونَ وِلٰكِنَّهُمْ قَوْمٌ إِذَا أَخَلَوْا بِمَحَارِمِ اللهِ إِنْتَهَكُوهَا
আমি আমার উম্মতের কিছু সম্প্রদায়ের কথা জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার পাহাড় পরিমাণ নেকী নিয়ে হাজির হবে। আল্লাহ এগুলিকে ধুলিকণার মতো উড়িয়ে দেবেন। তারা তোমাদেরই বংশধর, তোমাদের মতই রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়বে কিন্তু সুযোগ পেলেই পাপাচারে বা হারাম কাজ করে বসবে। [. ইবনু মাজাহ হা/৪২৪৫, সনদ ছাহীহ, সহীহুল জামে হা/৫০২৮।]
আজ অসংখ্য নারী লজ্জাহীনতার বানে ভাসিয়ে দিয়েছে তাদের দেহ-মন। ফলে তারা হচ্ছে ধর্ষিতা, নির্যাতিতা, সতীত্বহীন, প্রকাশ্যে অশ্লীলতা প্রদর্শনকারিণী, ব্যভিচারিণী প্রভৃতি। যার বাস্তব নমুনা রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, উদ্যান-পার্কে বিদ্যমান। মানুষের নিকট থেকে লজ্জাশীলতা বিলুপ্ত হলে মানুষ এমন নোংরা ও পশুর মতো আচরণ করতে পারে। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
إِذَا لَمْ تَسْتَح فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ
তোমার লজ্জা না থাকলে যা মন চায় তা করতে পার। [. বুখারী হা/ ৩৪৮৪, আবুদাউদ হা/ ৪৭৯৯।]
অন্যত্র রাসূল ﷺ বলেন,
اَلْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ
লজ্জাশীলতা ঈমানের অঙ্গ বা শাখা। [. মিশকাত হা/ ৫০৯৪।]
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ধর্মে সচ্চরিত্রতা আছে, ইসলামের সচ্চরিত্রতা হল লজ্জাশীলতা। [.ইবনু মাজাহ হা/৪১৮১-’৮২।] অতএব হে নারী সমাজ! স্মার্ট সাজতে গিয়ে পর্নো নেশায় আসক্ত হয়ে নিজেকে নোংরামীর দিকে ঠেলে দিয়ো না। লজ্জাশীলতা অবলম্বন করে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করো ও নিজেকে সৌন্দর্যমন্ডিত করো। কেননা আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلَّا شَانَهٗ وَلا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلَّا زَانَهٗ
অশ্লীলতা (নির্লজ্জতা) যে বিষয়েই থাকে, সে বিষয়কে তা সৌন্দর্যহীন করে ফেলে। আর লজ্জাশীলতা যে বিষয়েই থাকে, সে বিষয়কে তা সৌন্দর্যময় করে তুলে। [. তিরমিযী হা/ ১৬০৭, ইবনু মাজাহ হা/ ৪১৮৫৮, সহীহুল জামে হা/ ৫৬৫৫।]
إِذَا لَمْ تَسْتَح فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ
তোমার লজ্জা না থাকলে যা মন চায় তা করতে পার। [. বুখারী হা/ ৩৪৮৪, আবুদাউদ হা/ ৪৭৯৯।]
অন্যত্র রাসূল ﷺ বলেন,
اَلْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ
লজ্জাশীলতা ঈমানের অঙ্গ বা শাখা। [. মিশকাত হা/ ৫০৯৪।]
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ধর্মে সচ্চরিত্রতা আছে, ইসলামের সচ্চরিত্রতা হল লজ্জাশীলতা। [.ইবনু মাজাহ হা/৪১৮১-’৮২।] অতএব হে নারী সমাজ! স্মার্ট সাজতে গিয়ে পর্নো নেশায় আসক্ত হয়ে নিজেকে নোংরামীর দিকে ঠেলে দিয়ো না। লজ্জাশীলতা অবলম্বন করে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করো ও নিজেকে সৌন্দর্যমন্ডিত করো। কেননা আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلَّا شَانَهٗ وَلا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلَّا زَانَهٗ
অশ্লীলতা (নির্লজ্জতা) যে বিষয়েই থাকে, সে বিষয়কে তা সৌন্দর্যহীন করে ফেলে। আর লজ্জাশীলতা যে বিষয়েই থাকে, সে বিষয়কে তা সৌন্দর্যময় করে তুলে। [. তিরমিযী হা/ ১৬০৭, ইবনু মাজাহ হা/ ৪১৮৫৮, সহীহুল জামে হা/ ৫৬৫৫।]
বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ মুসলিম আজ কোনো না কোনভাবে কাফির-মুশরিকদের অনুসারী। অর্থাৎ ইয়াহুদী, খ্রিস্টান ও অগ্নিপূজকদের হুবহু অনুসারী। তাদের চাল-চলন, লিবাস-পোশাক ও আচার-ব্যবহার সবই প্রায় কাফির-মুশরিকদের ন্যায়। তাদের হুবহু অনুসরণের অন্যতম কারণ হল মিডিয়া। মিডিয়া বা টিভিতে, ইন্টারনেটে তাদেরকে যা করতে দেখছে মুসলিমরাও আজ তাই করছে। অমুসলিম নারীরা নগ্ন-অর্ধনগ্ন পোশাক পরছে। মুসলিম নারীরাও আজ অনুরূপ পোশাক পরছে। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন সুদভিত্তিক, মুসলিমদের ব্যবসা-বাণিজ্যও তেমনি সুদভিত্তিক। যেন ব্যভিচার যেমন তাদের কাছে পাপের জিনিস নয়। তেমনি মুসলিমদের নিকটও তা অনুরূপ হয়ে উঠছে। বিজাতির অনুকরণের ফলে রাসূল ﷺ এর আদর্শ ভুলে মুসলিম জাতি যেমন পৃথিবীতে লাঞ্ছিত, অপমানিত অপদস্থ, মূল্যহীন তেমনি পরকালেও তাদেরকে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। এক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূল ﷺ যা ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন, তাই ঘটছে। তিনি বলেন,
لَتَتَّبِعُنَّ سُنَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ وَبَاعًا فَبَاعًا حَتّٰى لَوْ دَخَلُوا جُحْرَ ضَبٍّ لَدَخَلْتُمُوهُ قَالُوا وَمَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللّٰهِ أَهْلُ الْكِتَابِ قَالَ فَمَنْ
অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসারী হবে। হাতে-হাতে, বিঘাতে-বিঘাতে তথা হুবহু অবিকল। এমনকি তারা যদি কোন গুই সাপের গর্তে ঢুকে পড়ে তাহলে তোমরাও তাতে ঢুকে পড়বে। আমরা বললাম হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তারা কি ইহুদি ও খ্রিস্টান? তিনি বললেন তারা ব্যতীত আর কারা? [. বুখারী হা/৩৪৫৬, মুসলিম হা/ ২৬৬৯।]
রাসূল ﷺ বলেন,
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সেই ব্যক্তি সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত। [. আবুদাউদ হা/ ৪০৩১, সহীহু জামে হা/ ৬১৪৯, মিশকাত হা/৪৩৪৭।]
অন্যত্র আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودَ وَلَا النَّصَارٰى
সেই ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদেরকে ছেড়ে অন্য কারো সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের অনুসরণ করো না। [. তিরমিযী হা/২৬৯৫, সিলিলাহ সাহীহা হা/২১৯৪।]
لَتَتَّبِعُنَّ سُنَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ وَبَاعًا فَبَاعًا حَتّٰى لَوْ دَخَلُوا جُحْرَ ضَبٍّ لَدَخَلْتُمُوهُ قَالُوا وَمَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللّٰهِ أَهْلُ الْكِتَابِ قَالَ فَمَنْ
অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসারী হবে। হাতে-হাতে, বিঘাতে-বিঘাতে তথা হুবহু অবিকল। এমনকি তারা যদি কোন গুই সাপের গর্তে ঢুকে পড়ে তাহলে তোমরাও তাতে ঢুকে পড়বে। আমরা বললাম হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তারা কি ইহুদি ও খ্রিস্টান? তিনি বললেন তারা ব্যতীত আর কারা? [. বুখারী হা/৩৪৫৬, মুসলিম হা/ ২৬৬৯।]
রাসূল ﷺ বলেন,
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সেই ব্যক্তি সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত। [. আবুদাউদ হা/ ৪০৩১, সহীহু জামে হা/ ৬১৪৯, মিশকাত হা/৪৩৪৭।]
অন্যত্র আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودَ وَلَا النَّصَارٰى
সেই ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদেরকে ছেড়ে অন্য কারো সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের অনুসরণ করো না। [. তিরমিযী হা/২৬৯৫, সিলিলাহ সাহীহা হা/২১৯৪।]
বর্তমান বিশ্বে নোংরামী, অশ্লীলতা প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতা চলছে। কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ মানুষকে জান্নাত লাভের প্রতিযোগিতা করতে বলেছেন। তিনি বলেন,
﴿خِتَامُهٗ مِسْكٌ وََّفِيْ ذٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُوْنَ﴾
তার সীল হবে মিশকের, প্রতিযোগীরা যেন এটা অর্থাৎ জান্নাত লাভের প্রতিযোগিতা করে। (সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৬)
কিন্তু মুসলিমরা আজ প্রতিযোগিতা করছে- কে কত তাড়াতাড়ি নতুন পর্নো অর্থাৎ নতুন ছবি, নাটক, বিভিন্ন সিরিয়াল এবং নোংরা-অশ্লীল দৃশ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং তা দেখে শেষ করতে পারে- এসব বিষয় নিয়ে। আর তারা শুধু দেখা এবং সংগ্রহ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বরং অন্যের কাছেও তা পৌঁছে দিচ্ছে। আর এটা যে কত বড় মারাত্মক পাপ তা কি তারা উপলব্ধি করবে? আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلَّا الْمُجَاهِرِينَ আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করা হবে, তবে পাপ প্রকাশকারীকে ব্যতীত। [. বুখারী হা/৬০৬৯, মুসলিম হা/২৯৯০, রিয়াযুস-স্বালেহীন হা/ ২৪৬।]
অতএব যারা ইন্টারনেটে নোংরামী দেখে এবং ছড়িয়ে দেয়, আবার যারা ব্লুটুথ বা শেয়ারইট এর মাধ্যমে অন্য বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে ছবি, নাটক, অশ্লীলতা পৌঁছে দেয় তারা কি ক্ষমার অযোগ্য পাপী নয়? কারণ তারা তো পাপ প্রকাশকারী-প্রচারকারী। এক্ষেত্রে আর একটি স্মরণযোগ্য বিষয় হলো, যে ব্যক্তি বন্ধু-বান্ধবীর কাছে ঐ সমস্ত নোংরামী ছড়িয়ে দিচ্ছে আর বন্ধু-বান্ধুবী তা দেখে ও প্রচার করে যত পাপ করছে তার পাপের একটা অংশ তার উপর বর্তাবে। [মুসলিম হা/২৬৭৪, তিরমিযী হা/২৬৭৪, আবুদাউদ হা/৪৬১৯, আহমাদ হা/৮৯১৫, দারেম হা/৫১৩।] কাজেই অশ্লীলতায় লিপ্ত প্রিয় বন্ধু! এ সমস্ত সংক্রামক ব্যাধি থেকে বেঁচে থাকুন। জাহান্নামের পথের দিকে না ছুটে জান্নাতের পথের দিকে ছুটে আসুন। ঐ শুনুন আল্লাহ বলছেন,
﴿وَسَارِعُوْۤا إِلٰى مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِيْنَ﴾
তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার ও জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। (সূরা আলে-ইমরান ৩:১৩৩)
﴿خِتَامُهٗ مِسْكٌ وََّفِيْ ذٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُوْنَ﴾
তার সীল হবে মিশকের, প্রতিযোগীরা যেন এটা অর্থাৎ জান্নাত লাভের প্রতিযোগিতা করে। (সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৬)
কিন্তু মুসলিমরা আজ প্রতিযোগিতা করছে- কে কত তাড়াতাড়ি নতুন পর্নো অর্থাৎ নতুন ছবি, নাটক, বিভিন্ন সিরিয়াল এবং নোংরা-অশ্লীল দৃশ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং তা দেখে শেষ করতে পারে- এসব বিষয় নিয়ে। আর তারা শুধু দেখা এবং সংগ্রহ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বরং অন্যের কাছেও তা পৌঁছে দিচ্ছে। আর এটা যে কত বড় মারাত্মক পাপ তা কি তারা উপলব্ধি করবে? আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلَّا الْمُجَاهِرِينَ আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করা হবে, তবে পাপ প্রকাশকারীকে ব্যতীত। [. বুখারী হা/৬০৬৯, মুসলিম হা/২৯৯০, রিয়াযুস-স্বালেহীন হা/ ২৪৬।]
অতএব যারা ইন্টারনেটে নোংরামী দেখে এবং ছড়িয়ে দেয়, আবার যারা ব্লুটুথ বা শেয়ারইট এর মাধ্যমে অন্য বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে ছবি, নাটক, অশ্লীলতা পৌঁছে দেয় তারা কি ক্ষমার অযোগ্য পাপী নয়? কারণ তারা তো পাপ প্রকাশকারী-প্রচারকারী। এক্ষেত্রে আর একটি স্মরণযোগ্য বিষয় হলো, যে ব্যক্তি বন্ধু-বান্ধবীর কাছে ঐ সমস্ত নোংরামী ছড়িয়ে দিচ্ছে আর বন্ধু-বান্ধুবী তা দেখে ও প্রচার করে যত পাপ করছে তার পাপের একটা অংশ তার উপর বর্তাবে। [মুসলিম হা/২৬৭৪, তিরমিযী হা/২৬৭৪, আবুদাউদ হা/৪৬১৯, আহমাদ হা/৮৯১৫, দারেম হা/৫১৩।] কাজেই অশ্লীলতায় লিপ্ত প্রিয় বন্ধু! এ সমস্ত সংক্রামক ব্যাধি থেকে বেঁচে থাকুন। জাহান্নামের পথের দিকে না ছুটে জান্নাতের পথের দিকে ছুটে আসুন। ঐ শুনুন আল্লাহ বলছেন,
﴿وَسَارِعُوْۤا إِلٰى مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِيْنَ﴾
তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার ও জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। (সূরা আলে-ইমরান ৩:১৩৩)
অপসংস্কৃতির প্রবল স্রোতে ভাসছে দেশ, নাচছে নারী, উপভোগ করছে দর্শক। আল্লাহর পক্ষ থেকে নেমে আসছে সুনামি, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন আযাব। সাম্প্রতিক কালে বিদেশীদের অপসংস্কৃতি থার্টি-ফার্স্ট নাইট, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, থিয়েটার ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে রাত্রি বেলায় চলছে মনোমুগ্ধকর ঝমকালো রঙ্গমঞ্চে নগ্ন-অর্ধনগ্ন নারীর চোখ ধাঁধানো নৃত্য। উপভোগ করছে পর্নোগ্রাফিভোক্তারা, সাধারণ মানুষ। তাদের একাংশ এ সমস্ত রাতে নেচে গেয়ে ফূর্তি করে এমন পর্যায়ে চলে যায়, যা মনুষ্যত্বের সীমানা পেরিয়ে জন্তু-জানোয়ারকেও হার মানায়।
নারীরা বর্ষবরণে দিন দিন নির্লজ্জ হয়ে উঠছে। ফলে বর্ষবরণে অশ্লীলতার চিত্র প্রকট আকার ধারণ করছে। বর্তমানে ইংরেজি ও বাংলা নববর্ষের চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রায় সর্বস্তরের মানুষ এ দিনগুলো পালনে উন্মত্ত হয়ে পড়ছে। মেয়েরা অর্ধনগ্ন, অশালীন, অমার্জিত, পোশাক পরে এ দিনগুলোতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। অথচ আল্লাহ বলেন,
﴿وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُوْلٰى﴾
তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান করো, জাহেলি যুগের মতো চোখ ঝলসানো প্রদর্শনী করে বেড়িয়ো না। (সূরা আহযাব ৩৩:৩৩)
আল্লাহর এ নির্দেশ থাকার পরেও আল্লাহর এক শ্রেণির নারীরা তথাকথিত পহেলা বৈশাখের ফিনফিনে হলুদ ও সাদা শাড়ি পরে পেট, পিঠ, গলা, বুক বের করে, শরীরের উঁচু-নিচু অংশ প্রকাশ করে, উটের কুঁজের মতো মাথায় খোপা বেঁধে, বিউটি পার্লারে গিয়ে রং-বেরংয়ে সেজে ও আতর-সেন্ট মেখে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, স্পট, উদ্যান-পার্কে ঘুরে সুবাস বিলি করে বেড়াচ্ছে এবং হাজারও পুরুষকে তারা আকৃষ্ট করছে। ফলে তারা যৌন হয়রানী, লাঞ্ছিত, অপমানিত ও সম্ভ্রমহানীর শিকার হচ্ছে। মুক্তমনা বৈশাখী প্রেমিরা লাগামহীনভাবে চলা-ফেরার কারণে পৃথিবীতে যেমন লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে পরকালেও তারা কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। আল্লাহর রাসূল ﷺ ঐ শ্রেণির নারীদেরকে ব্যভিচারিণী ও জাহান্নামী বলেছেন। যেমন হাদিসে এসেছে-
قَالَ رَسُولُ اللهِ : أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ ، فَمَرَّتْ بِقَوْمٍ لِيَجِدُوا رِيحَهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, কোন রমণী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে যায়, তাহলে সে হলো ব্যভিচারিণী। [. তিরমিযী হা/২৭৮৩, মুসনাদে আহমাদ হা/১৯৯৪৮, ছহীহ ইবনু খুজাইমা হা/১৬৮১।]
তিনি আরো বলেন,
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
দু’শ্রেণির মানুষ জাহান্নামী। যাদেরকে আমি দেখিনি। তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে এমন লোক যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের মতো লম্বা চাবুক। যা দিয়ে তারা মানুষকে অযথা প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন মহিলা যারা হবে কাপড় পরিহিতা, অথচ উলঙ্গ। অন্যকে (পুরুষকে) আকর্ষণকারিণী এবং নিজেও হবে অন্যের প্রতি আকৃষ্টা। তাদের মাথা হবে খুরাসানী উটের ঝুলে পড়া কুঁজের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধ অনেক অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে। [. মুসলিম হা/২১২৮।]
﴿وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُوْلٰى﴾
তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান করো, জাহেলি যুগের মতো চোখ ঝলসানো প্রদর্শনী করে বেড়িয়ো না। (সূরা আহযাব ৩৩:৩৩)
আল্লাহর এ নির্দেশ থাকার পরেও আল্লাহর এক শ্রেণির নারীরা তথাকথিত পহেলা বৈশাখের ফিনফিনে হলুদ ও সাদা শাড়ি পরে পেট, পিঠ, গলা, বুক বের করে, শরীরের উঁচু-নিচু অংশ প্রকাশ করে, উটের কুঁজের মতো মাথায় খোপা বেঁধে, বিউটি পার্লারে গিয়ে রং-বেরংয়ে সেজে ও আতর-সেন্ট মেখে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, স্পট, উদ্যান-পার্কে ঘুরে সুবাস বিলি করে বেড়াচ্ছে এবং হাজারও পুরুষকে তারা আকৃষ্ট করছে। ফলে তারা যৌন হয়রানী, লাঞ্ছিত, অপমানিত ও সম্ভ্রমহানীর শিকার হচ্ছে। মুক্তমনা বৈশাখী প্রেমিরা লাগামহীনভাবে চলা-ফেরার কারণে পৃথিবীতে যেমন লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে পরকালেও তারা কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। আল্লাহর রাসূল ﷺ ঐ শ্রেণির নারীদেরকে ব্যভিচারিণী ও জাহান্নামী বলেছেন। যেমন হাদিসে এসেছে-
قَالَ رَسُولُ اللهِ : أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ ، فَمَرَّتْ بِقَوْمٍ لِيَجِدُوا رِيحَهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, কোন রমণী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে যায়, তাহলে সে হলো ব্যভিচারিণী। [. তিরমিযী হা/২৭৮৩, মুসনাদে আহমাদ হা/১৯৯৪৮, ছহীহ ইবনু খুজাইমা হা/১৬৮১।]
তিনি আরো বলেন,
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
দু’শ্রেণির মানুষ জাহান্নামী। যাদেরকে আমি দেখিনি। তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে এমন লোক যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের মতো লম্বা চাবুক। যা দিয়ে তারা মানুষকে অযথা প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন মহিলা যারা হবে কাপড় পরিহিতা, অথচ উলঙ্গ। অন্যকে (পুরুষকে) আকর্ষণকারিণী এবং নিজেও হবে অন্যের প্রতি আকৃষ্টা। তাদের মাথা হবে খুরাসানী উটের ঝুলে পড়া কুঁজের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধ অনেক অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে। [. মুসলিম হা/২১২৮।]
পর্নোর নেশায় আসক্ত হয়ে অধিকাংশ নারী-পুরুষ প্রকৃত জ্ঞান, বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে গোমরাহীর শিকার হচ্ছে। যার ফলে আজীবন হীন মানুষের অন্তর্ভুক্ত থেকে যাচ্ছে তারা। এখানে শয়তানের কথা বড় মনে পড়ে যায়। শয়তান বলেছিল,
﴿قَالَ فَبِمَاۤ أَغْوَيْتَنِيْ لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيْمَ ‐ ثُمَّ لَاٰتِيَنَّهُم مِّنْ ۢبَيْنِ أَيْدِيْهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَآئِلِهِمْ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِيْن﴾
যাদের কারণে তুমি আমাকে ভ্রষ্ট করলে, আমিও তাদের জন্য তোমার সরল পথে (গোমরাহ করার জন্য) নিশ্চয় ওঁৎ পেতে থাকব, অতঃপর আমি তাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, ডান ও বাম দিক হতে তাদের নিকট আসব এবং তুমি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞশীল পাবে না। (সূরা আরাফ ৭:১৬-১৭)
শয়তান আজ আদমের সন্তানদেরকে নোংরামী, অশ্লীলতার চার দেয়ালে আবদ্ধ করে ফেলেছে। যার ফলে বনী আদম ডানে-বামে, পশ্চাতে-সামনে যে দিকেই লক্ষ্য করুক না কেন, শয়তানের জালে ফেঁসে যাচ্ছে। আল্লাহ জাহান্নামী মানুষের কথা তুলে ধরে বলেন,
﴿بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُولٰٓئِكَ هُمُ الْغَافِلُوْنَ﴾
বরং তারা পথভ্রষ্ট, তারাই হলো উদাসীন। (সূরা আরাফ ৭:১৭৯)
প্রত্যেক গোমরাহী-পথভ্রষ্টতা হলো শয়তানের পথ, জাহান্নামের পথ। তাই মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ﴾
তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাক্বারাহ ২:১৬৮, ২০৮, আন’আম ৬:১৪২)
মহান আল্লাহ শয়তানের পথ অর্থাৎ গোমরাহী-ভ্রষ্টপথে চলতে নিষেধ করেছেন এবং তার দেয়া সরল পথে চলতে বলেছেন। তিনি বলেন,
﴿وَأَنَّ هٰذَا صِرَاطِيْ مُسْتَقِيْمًا فَاتَّبِعُوْهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيْلِهٖ ذٰلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهٖ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ﴾
নিশ্চয় এটিই আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরণ করো ও ভিন্ন পথের অনুসরণ করো না। করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দান করেছেন যেন তোমরা সাবধান হও। (সূরা আন’আম ৬:১৫৩)
এত স্পষ্ট বর্ণনা থাকার পরও যদি মানুষ শয়তানের অনুসারী হয় তাহলে মানুষ কি আপন কল্যাণ বুঝবে না? মহান আল্লাহ বলেন,
﴿أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِيْۤ اٰدَمَ أَنْ لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ ‐ وَأَنِ اعْبُدُوْنِيْ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ ‐ وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيْرًا أَفَلَمْ تَكُوْنُوْا تَعْقِلُوْنَ﴾
হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, শয়তানের ইবাদত করো না। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু এবং আমারই ইবাদত করো। এটাই সরল পথ। শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না? (সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬০-৬২)
﴿قَالَ فَبِمَاۤ أَغْوَيْتَنِيْ لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيْمَ ‐ ثُمَّ لَاٰتِيَنَّهُم مِّنْ ۢبَيْنِ أَيْدِيْهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَآئِلِهِمْ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِيْن﴾
যাদের কারণে তুমি আমাকে ভ্রষ্ট করলে, আমিও তাদের জন্য তোমার সরল পথে (গোমরাহ করার জন্য) নিশ্চয় ওঁৎ পেতে থাকব, অতঃপর আমি তাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, ডান ও বাম দিক হতে তাদের নিকট আসব এবং তুমি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞশীল পাবে না। (সূরা আরাফ ৭:১৬-১৭)
শয়তান আজ আদমের সন্তানদেরকে নোংরামী, অশ্লীলতার চার দেয়ালে আবদ্ধ করে ফেলেছে। যার ফলে বনী আদম ডানে-বামে, পশ্চাতে-সামনে যে দিকেই লক্ষ্য করুক না কেন, শয়তানের জালে ফেঁসে যাচ্ছে। আল্লাহ জাহান্নামী মানুষের কথা তুলে ধরে বলেন,
﴿بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُولٰٓئِكَ هُمُ الْغَافِلُوْنَ﴾
বরং তারা পথভ্রষ্ট, তারাই হলো উদাসীন। (সূরা আরাফ ৭:১৭৯)
প্রত্যেক গোমরাহী-পথভ্রষ্টতা হলো শয়তানের পথ, জাহান্নামের পথ। তাই মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ﴾
তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাক্বারাহ ২:১৬৮, ২০৮, আন’আম ৬:১৪২)
মহান আল্লাহ শয়তানের পথ অর্থাৎ গোমরাহী-ভ্রষ্টপথে চলতে নিষেধ করেছেন এবং তার দেয়া সরল পথে চলতে বলেছেন। তিনি বলেন,
﴿وَأَنَّ هٰذَا صِرَاطِيْ مُسْتَقِيْمًا فَاتَّبِعُوْهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيْلِهٖ ذٰلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهٖ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ﴾
নিশ্চয় এটিই আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরণ করো ও ভিন্ন পথের অনুসরণ করো না। করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দান করেছেন যেন তোমরা সাবধান হও। (সূরা আন’আম ৬:১৫৩)
এত স্পষ্ট বর্ণনা থাকার পরও যদি মানুষ শয়তানের অনুসারী হয় তাহলে মানুষ কি আপন কল্যাণ বুঝবে না? মহান আল্লাহ বলেন,
﴿أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِيْۤ اٰدَمَ أَنْ لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ ‐ وَأَنِ اعْبُدُوْنِيْ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ ‐ وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيْرًا أَفَلَمْ تَكُوْنُوْا تَعْقِلُوْنَ﴾
হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, শয়তানের ইবাদত করো না। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু এবং আমারই ইবাদত করো। এটাই সরল পথ। শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না? (সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬০-৬২)
আল্লাহর অবাধ্যচারীদের সঙ্গী হয় শয়তান এবং তাদের মাধ্যমেই শয়তান আধিপত্য বিস্তার করে। শয়তান আদম সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿لَعَنَهُ اللّٰهُ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيْبًا مَّفْرُوْضًا ‐ وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُم﴾
যার প্রতি আল্লাহ অভিসস্পাত করেছেন সে শয়তান বলল, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রহণ করব। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, আশ্বাস দেব। (সূরা নিসা ৪:১১৮-১১৯)
বনী আদমের চিরশত্রু শয়তান। সে চায় না বনী আদম জান্নাতে যাক। তাই সে সেদিন বলেছিল,
﴿قَالَ أَرَأَيْتَكَ هٰذَا الَّذِيْ كَرَّمْتَ عَلَيَّ لَئِنْ أَخَّرْتَنِ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَأَحْتَنِكَنَّ ذُرِّيَّتَهٗۤ إِلَّا قَلِيْلًا﴾
আপনি কি ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন যে, আপনি এ ব্যক্তিকে (আদমকে) আমার উপর সম্মান দিচ্ছেন? আপনি যদি আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত সময় দেন, তাহলে আমি অল্প কিছু বাদে তার বংশধরকে অবশ্যই অবশ্যই আমার কর্তৃত্বাধীনে এনে ফেলব। (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৬২)
তাইতো মহান আল্লাহ আমাদেরকে বলেন,
﴿إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوْهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُوْ حِزْبَهٗ لِيَكُوْنُوْا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيْرِ﴾
নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু, কাজেই তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো। সে কেবল তার দলবলকে ডাকে, যাতে তারা জ্বলন্ত অগ্নির সঙ্গী হয়। (সূরা ফাতির ৩৫:৬)
শয়তান সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষকে বিভিন্ন উপায়-উপকরণের মাধ্যমে জাহান্নামে নেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে সে উপায়-উপকরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সিনেমা, নাটক ও ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফিকে।
﴿لَعَنَهُ اللّٰهُ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيْبًا مَّفْرُوْضًا ‐ وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُم﴾
যার প্রতি আল্লাহ অভিসস্পাত করেছেন সে শয়তান বলল, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রহণ করব। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, আশ্বাস দেব। (সূরা নিসা ৪:১১৮-১১৯)
বনী আদমের চিরশত্রু শয়তান। সে চায় না বনী আদম জান্নাতে যাক। তাই সে সেদিন বলেছিল,
﴿قَالَ أَرَأَيْتَكَ هٰذَا الَّذِيْ كَرَّمْتَ عَلَيَّ لَئِنْ أَخَّرْتَنِ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَأَحْتَنِكَنَّ ذُرِّيَّتَهٗۤ إِلَّا قَلِيْلًا﴾
আপনি কি ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন যে, আপনি এ ব্যক্তিকে (আদমকে) আমার উপর সম্মান দিচ্ছেন? আপনি যদি আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত সময় দেন, তাহলে আমি অল্প কিছু বাদে তার বংশধরকে অবশ্যই অবশ্যই আমার কর্তৃত্বাধীনে এনে ফেলব। (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৬২)
তাইতো মহান আল্লাহ আমাদেরকে বলেন,
﴿إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوْهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُوْ حِزْبَهٗ لِيَكُوْنُوْا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيْرِ﴾
নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু, কাজেই তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো। সে কেবল তার দলবলকে ডাকে, যাতে তারা জ্বলন্ত অগ্নির সঙ্গী হয়। (সূরা ফাতির ৩৫:৬)
শয়তান সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষকে বিভিন্ন উপায়-উপকরণের মাধ্যমে জাহান্নামে নেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে সে উপায়-উপকরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সিনেমা, নাটক ও ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফিকে।
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মুসলিম নর-নারী পর্নোগ্রাফির প্রতারণার স্বীকার। জ্ঞাতব্য যে, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিভিন্ন নোংরা ও অশ্লীল অভিনয় করে ভোক্তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং ভোক্তারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তা দেখে তাদের জীবন-যৌবন ও সময় নষ্ট করছে। ভোক্তাদের বুঝা উচিত তাদেরকে ভয়ঙ্কর বিপদজনক ভোগের সাগরে ডুবিয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা দুনিয়াতে সুখে-স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করছে। হে মুসলিম জাতি! তোমার বুঝা উচিত। তুমি তাদের প্রতারণার স্বীকার হয়েছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا اَلْمَكْرُ وَالْخَدِيْعَةُ فِي النَّارِ
যে ব্যক্তি আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। ধোঁকাবাজ, প্রতারক ও চালবাজ জাহান্নামে যাবে। [তাবরানী কাবীর হা/১০০৮৬, ইবনে হিববান হা/৫৬৭, সহীহুল জামে হা/৬৪০৮।]
مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا اَلْمَكْرُ وَالْخَدِيْعَةُ فِي النَّارِ
যে ব্যক্তি আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। ধোঁকাবাজ, প্রতারক ও চালবাজ জাহান্নামে যাবে। [তাবরানী কাবীর হা/১০০৮৬, ইবনে হিববান হা/৫৬৭, সহীহুল জামে হা/৬৪০৮।]
নারী জাতিকে আজ ভোগ্যপণ্য মনে করা হচ্ছে। যার বাস্তব প্রমাণ দেশের পরতে পরতে বিদ্যমান। আজ পতিতালয়ে, হোটেলে, রেস্টুরেন্টে, সমুদ্র সৈকতে, উদ্যান-পার্কে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে তাদেরকে ভোগ্যপণ্যের মতো ব্যবহার করার দৃশ্য প্রস্ফুটিত। কিন্তু ইসলাম নারী জাতিকে মা, বোন, স্ত্রী হিসেবে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। মানুষ যেন নারী জাতিকে ভোগ্যপণ্য মনে না করে, সেজন্য ইসলাম সকল নোংরামী, অশ্লীলতা পর্নোগ্রাফি দেখা হারাম করেছে। আল্লাহ বলেন,
﴿قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ﴾
(হে নবী!) তুমি বলো, নিশ্চয় আমার প্রভু প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অশ্লীলতা, পাপকর্ম হারাম করে দিয়েছেন। (সূরা আরাফ ৭:৩৩)
﴿قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ﴾
(হে নবী!) তুমি বলো, নিশ্চয় আমার প্রভু প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অশ্লীলতা, পাপকর্ম হারাম করে দিয়েছেন। (সূরা আরাফ ৭:৩৩)
আজকে যেসকল নারী তার স্বামীর জন্য না সেজে বিবাহের অনুষ্ঠানে, উদ্যান-পার্কে ঘুরতে, মার্কেটে যাওয়ার জন্য সজ্জিত হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে জঘন্য পাপ। যে পাপ যেনা-ব্যভিচারের মতো ভয়ঙ্কর পাপের জন্ম দেয়। অবৈধ রূপচর্চার জন্য যত্র-তত্রভাবে শহরে গ্রামে গড়ে উঠেছে বিউটি পার্লার। যেখানে চলছে অবৈধ সাজ-সজ্জার রম রমা ব্যবসা। আমরা মুসলিম নারীদেরকে সতর্ক করে বলতে চাই, সেখানে গিয়ে শরীরে উলকি অঙ্কন করা, নকল চুল লাগানো ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দাঁত ঘষে ফাঁকা বা সরু করা, ভ্রম্ন প্লাক করা অভিশপ্ত মানুষের কাজ। আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
لَعَنَ اللّٰهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ
আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর যারা উলকি অঙ্কন করে এবং যারা অঙ্কন করায় এবং সেসব নারীদের উপর যারা ভ্রম্ন চেঁছে সরু (প্লাক) করে। যারা সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের ফাঁকা সৃষ্টি করে। যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। [বুখারী হাদিস/৪৮৮৬, ৫৯৪৮, মুসলিম হাদিস/২১২৫, তিরমিযি হাদিস/২৭৮২।]
لَعَنَ اللّٰهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ
আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর যারা উলকি অঙ্কন করে এবং যারা অঙ্কন করায় এবং সেসব নারীদের উপর যারা ভ্রম্ন চেঁছে সরু (প্লাক) করে। যারা সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের ফাঁকা সৃষ্টি করে। যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। [বুখারী হাদিস/৪৮৮৬, ৫৯৪৮, মুসলিম হাদিস/২১২৫, তিরমিযি হাদিস/২৭৮২।]
মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফি মানুষের কুপ্রবৃত্তি প্রবণতাকে তীব্রভাবে উস্কে দিচ্ছে। ফলে একটা পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখার পর আরো হাজারটা দেখার প্রবণতা অন্তরে উদয় হচ্ছে। এ ধরনের প্রবণতা মানুষকে ভালো কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং বিবেক-বুদ্ধি, চরিত্র নাশ করে। এ কারণেই মহান আল্লাহ প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَآءَهُمْ ‘‘তুমি তাদের প্রবৃত্তির ( খেয়াল- খুশির) অনুসরণ করবে না- (সূরা শুরা-৪২:১৫)। সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন, হে মন! তুমি তওবা করো; কেননা মরণ তো অতি নিকটে আর প্রবৃত্তির বাধ্য হবে না, কেননা প্রবৃত্তি তো সব সময় ফিতনা সৃষ্টিকারী। নোংরামী, অশ্লীলতা দেখার প্রবণতা মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই যে কোন শত্রুর তুলনায় কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে কঠিনভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া প্রতিটি মানুষের উপর আবশ্যক।
প্রবৃত্তির তাড়নায় যারা ইন্টারনেটের অশ্লীলতায় ডুবে যায়, টিভির নোংরামীতে হাবু-ডুবু খায় তাদের জন্য রয়েছে ভয়ঙ্কর শাস্তি। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوٰى ‐ فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوٰى﴾
আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে (হাশরের ময়দানে) দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং (সেই ভয়ে নিজের) মনকে প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা থেকে বিরত রাখে, অবশ্যই জান্নাত হবে তার আবাসস্থল। (সূরা নাযিআত ৮০:৪০-৪১)
প্রবৃত্তির তাড়নায় যারা ইন্টারনেটের অশ্লীলতায় ডুবে যায়, টিভির নোংরামীতে হাবু-ডুবু খায় তাদের জন্য রয়েছে ভয়ঙ্কর শাস্তি। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوٰى ‐ فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوٰى﴾
আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে (হাশরের ময়দানে) দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং (সেই ভয়ে নিজের) মনকে প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা থেকে বিরত রাখে, অবশ্যই জান্নাত হবে তার আবাসস্থল। (সূরা নাযিআত ৮০:৪০-৪১)
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ﴾
যারা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসার ঘটুক তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাতে। (সূরা আম্বিয়া ২৪:১৯)
অতএব যে এমপি, মন্ত্রী, ডিসি, এসপি, চেয়ারম্যান, মেম্বর মুসলিমদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রশ্রয় দিবে তার জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি। আবার যেসব ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রধান শিক্ষক তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অশ্লীলতার মঞ্চ তৈরি করছেন, তারা যে আল্লাহর শাস্তি থেকে বেঁচে যাবেন তা নয়। অশ্লীলতা প্রসারকারী সকলকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। রাসূল ﷺ বলেন,
إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللّٰهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُونَ
নিশ্চয় আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক শাস্তিপ্রাপ্ত লোক হলো ছবি প্রস্ত্তত কারীগণ। [. বুখারী হা/৫৯৫০, মুসলিম হা/২১০৯।]
অন্যত্র তিনি বলেন, كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ ‘প্রত্যেক ছবি প্রস্ত্ততকারী জাহান্নামী। [. বুখারী হা/২২২৫, মুসলিম হা/২১১০।] যারা মুসলিম বিশ্বে নোংরামী ছড়াচ্ছে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি পাবে। তাছাড়া যত মানুষ তাদের নোংরামীর ভোক্তা, তাদের পাপের ভাগীদারও তারা হবে। যেমন আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি কাউকে ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করবে, তার ওপর তার সমস্ত অনুসারীদের গোনাহ চাপবে। [. মুসলিম হা/২৬৭৪।]
আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَّكُنْ لَّهٗ كِفْلٌ مِّنْهَا﴾
যে পাপ কাজের সুপারিশ করবে তাতে তার অংশ আছে। (সূরা আন-নিসা ৪:৮৫)
﴿إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ﴾
যারা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসার ঘটুক তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাতে। (সূরা আম্বিয়া ২৪:১৯)
অতএব যে এমপি, মন্ত্রী, ডিসি, এসপি, চেয়ারম্যান, মেম্বর মুসলিমদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রশ্রয় দিবে তার জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি। আবার যেসব ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রধান শিক্ষক তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অশ্লীলতার মঞ্চ তৈরি করছেন, তারা যে আল্লাহর শাস্তি থেকে বেঁচে যাবেন তা নয়। অশ্লীলতা প্রসারকারী সকলকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। রাসূল ﷺ বলেন,
إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللّٰهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُونَ
নিশ্চয় আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক শাস্তিপ্রাপ্ত লোক হলো ছবি প্রস্ত্তত কারীগণ। [. বুখারী হা/৫৯৫০, মুসলিম হা/২১০৯।]
অন্যত্র তিনি বলেন, كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ ‘প্রত্যেক ছবি প্রস্ত্ততকারী জাহান্নামী। [. বুখারী হা/২২২৫, মুসলিম হা/২১১০।] যারা মুসলিম বিশ্বে নোংরামী ছড়াচ্ছে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি পাবে। তাছাড়া যত মানুষ তাদের নোংরামীর ভোক্তা, তাদের পাপের ভাগীদারও তারা হবে। যেমন আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি কাউকে ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করবে, তার ওপর তার সমস্ত অনুসারীদের গোনাহ চাপবে। [. মুসলিম হা/২৬৭৪।]
আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَّكُنْ لَّهٗ كِفْلٌ مِّنْهَا﴾
যে পাপ কাজের সুপারিশ করবে তাতে তার অংশ আছে। (সূরা আন-নিসা ৪:৮৫)
পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে কিয়ামত অবধি মানুষের দ্বারা এই ধরাদামে যত অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার সংঘটিত হবে বা হচ্ছে, তার মূলে রয়েছে মানুষের মধ্যে আল্লাহভীতির অভাব। আল্লাহভীতির অভাবে মানুষ আজ একে অপরকে পশুর মতো জবাই করছে, পাখির মতো গুলি করছে, সাপ পেটানোর মতো পিটিয়ে নির্দ্বিধায় হত্যা করছে। আল্লাহভীতির অভাবে মানুষ আজ তাঁরই নেয়ামত খেয়ে-পরে তাঁরই ইবাদত বন্দেগী, বিধি-বিধান মানার ক্ষেত্রে বেপরোয়া থাকে। আল্লাহভীতির অভাবে মানুষ তাঁরই জমিনে থেকে, তার চোখের সামনে সিনেমা, নাটক ও মোবাইল, কম্পিউটারের সাথে সংশ্লিষ্ট ইন্টারনেটের নোংরা, অশ্লীল পর্নোগ্রাফি নিয়ে মগ্ন থাকে। অথচ মহান আল্লাহ এমন একক সত্ত্বা যিনি নিমিষেই সুনামি, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতির মাধ্যমে ধ্বংস করতে পারেন গোটা পৃথিবী। কাজেই সর্বক্ষেত্রে মহান আল্লাহকে ভয় করা জরুরি। যেমন তিনি বলেন,
﴿وَاتَّقُوا اللّٰهَ وَاعْلَمُوْاۤ أَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ﴾
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আর জেনে রাখো! আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে থাকেন। (সূরা বাকারাহ ২:১৯৪)
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَكُوْنُوْا مَعَ الصَّادِقِيْنَ﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো।
(সূরা তাওবা ৯:১১৯)
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا﴾
হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। (সূরা আহযাব ৩৩:৭০)।
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَةٍ﴾
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে একটি মাত্র ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা নিসা ৪:১)
আল্লাহর এ সমস্ত নির্দেশ মোতাবেক সকল পাপাচার থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহর নির্দেশের অনুগত হওয়ার মাঝে রয়েছে বিরাট উপকারিতা। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّتَّقِ اللّٰهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا﴾
যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার জন্য মুক্তির পথ বের করে দেন।
(সূরা ত্বালাক ৬৫:২)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿وَمَنْ يَّتَّقِ اللّٰهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ أَمْرِهٖ يُسْرًا﴾
যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।
(সূরা ত্বালাক ৬৫:৪)
﴿وَاتَّقُوا اللّٰهَ وَاعْلَمُوْاۤ أَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ﴾
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আর জেনে রাখো! আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে থাকেন। (সূরা বাকারাহ ২:১৯৪)
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَكُوْنُوْا مَعَ الصَّادِقِيْنَ﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো।
(সূরা তাওবা ৯:১১৯)
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا﴾
হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। (সূরা আহযাব ৩৩:৭০)।
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَةٍ﴾
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে একটি মাত্র ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা নিসা ৪:১)
আল্লাহর এ সমস্ত নির্দেশ মোতাবেক সকল পাপাচার থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহর নির্দেশের অনুগত হওয়ার মাঝে রয়েছে বিরাট উপকারিতা। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَنْ يَّتَّقِ اللّٰهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا﴾
যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার জন্য মুক্তির পথ বের করে দেন।
(সূরা ত্বালাক ৬৫:২)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿وَمَنْ يَّتَّقِ اللّٰهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ أَمْرِهٖ يُسْرًا﴾
যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।
(সূরা ত্বালাক ৬৫:৪)
টিভিতে, কম্পিউটারে, মোবাইল ফোনে, সিনেমা ও পর্নোগ্রাফি না দেখে আমলে সালেহ করার মধ্যে মনোনিবেশ করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهٗ حَيَاةً طَيِّبَةً وَّلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যে কেউ সৎ কাজ করবে মুমিন অবস্থায়, তাকে আমি অবশ্যই অবশ্যই উত্তম জীবন দান করব। আর তাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই তাদের উত্তম কাজ অনুপাতে প্রতিফল দান করব। (সূরা নাহল ১৬:৯৭)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّأَجْرٌ عَظِيْمٌ﴾
যারা ঈমান আনে ও আমলে সালেহ করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের। (সূরা মায়েদা ৫:৯; সূরা ফাতহ ৪৮:২৯)
অন্যত্র তিনি বলেন
﴿وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّأَجْرٌ كَبِيْرٌ﴾
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সূরা ফাতির ৩৫:৭)।
﴿مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهٗ حَيَاةً طَيِّبَةً وَّلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যে কেউ সৎ কাজ করবে মুমিন অবস্থায়, তাকে আমি অবশ্যই অবশ্যই উত্তম জীবন দান করব। আর তাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই তাদের উত্তম কাজ অনুপাতে প্রতিফল দান করব। (সূরা নাহল ১৬:৯৭)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّأَجْرٌ عَظِيْمٌ﴾
যারা ঈমান আনে ও আমলে সালেহ করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের। (সূরা মায়েদা ৫:৯; সূরা ফাতহ ৪৮:২৯)
অন্যত্র তিনি বলেন
﴿وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّأَجْرٌ كَبِيْرٌ﴾
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সূরা ফাতির ৩৫:৭)।
বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ শিক্ষা ব্যবস্থা-ই হল নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অহির অভ্রান্ত সত্যের আলো না থাকায় মানুষ হচ্ছে গোমরাহ-পথভ্রষ্ট। যার ফলে তারা যে কোন অন্যায়-পাপাচার করে চলেছে। অথচ একমাত্র ইসলামী শিক্ষাই পারে মানুষের হাত, পা, চোখ, কান, মন ও মস্তিষ্ককে আল্লাহর অনুগত করতে। তাই বলা যায়, ইন্টারনেটের নোংরামীসহ যাবতীয় পাপাচার থেকে বাঁচতে ইসলামী শিক্ষার জুড়ি নেই।
চোখ দিয়ে ন্যায় কিছু দেখতে হবে, অন্যায় হারাম কিছু দেখা যাবে না। রাসূল ﷺ বলেছেন, জাহান্নামের অধিবাসী হবে অধিকাংশই নারী। [বুখারী হা/৩০৪।]
কাজেই চোখ দিয়ে তাদের নগ্ন-অর্ধনগ্ন চেহারা ও ছবি দেখে তাদের মতো জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া আদৌ কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا﴾
আমি বহু সংখ্যক জীন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না। তাদের চোখ আছে, কিন্তু তা দিয়ে দেখে না। তাদের কান আছে, কিন্তু তা দিয়ে শুনে না। (সূরা আরাফ ৭:১৭৯)
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যে অন্তকরণ দান করেছেন তা দিয়ে সত্য বুঝতে হবে, বিশুদ্ধ আমল করতে হবে। নতুবা জাহান্নামের ভয়াবহ অগ্নিতে দগ্ধ হতে হবে।
আল্লাহ আমাদের চোখ দিয়েছেন অবলোকন করার জন্য। তাই আমাদের উচিত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহভিত্তিক লেখনি অবলোকন করা এবং শাইখদের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহভিত্তিক যত লেকচার আছে তা সংগ্রহ পূর্বক শ্রবণ করা। এভাবে অন্তকরণ, চোখ ও শ্রবণশক্তির সদ্ব্যবহার করা। তুমি ঐ সমস্ত যুবক-যুবতীর মতো হয়ো না যারা টিভিতে, ইন্টারনেটে নোংরামী ও অশ্লীলতা দেখে ব্যভিচারে লিপ্ত রয়েছে।
কাজেই চোখ দিয়ে তাদের নগ্ন-অর্ধনগ্ন চেহারা ও ছবি দেখে তাদের মতো জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া আদৌ কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا﴾
আমি বহু সংখ্যক জীন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না। তাদের চোখ আছে, কিন্তু তা দিয়ে দেখে না। তাদের কান আছে, কিন্তু তা দিয়ে শুনে না। (সূরা আরাফ ৭:১৭৯)
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যে অন্তকরণ দান করেছেন তা দিয়ে সত্য বুঝতে হবে, বিশুদ্ধ আমল করতে হবে। নতুবা জাহান্নামের ভয়াবহ অগ্নিতে দগ্ধ হতে হবে।
আল্লাহ আমাদের চোখ দিয়েছেন অবলোকন করার জন্য। তাই আমাদের উচিত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহভিত্তিক লেখনি অবলোকন করা এবং শাইখদের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহভিত্তিক যত লেকচার আছে তা সংগ্রহ পূর্বক শ্রবণ করা। এভাবে অন্তকরণ, চোখ ও শ্রবণশক্তির সদ্ব্যবহার করা। তুমি ঐ সমস্ত যুবক-যুবতীর মতো হয়ো না যারা টিভিতে, ইন্টারনেটে নোংরামী ও অশ্লীলতা দেখে ব্যভিচারে লিপ্ত রয়েছে।
হে মুসলিম মা ও বোনেরা! বন্ধ করুন ভারতের ঐ নোংরা, হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক সিরিয়াল দর্শন। এ সমস্ত সিরিয়াল আপনাদের মতো লাখো মা-বোনের সম্মান-ইজ্জত মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে, সৃষ্টি করছে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দব-সংঘাত এবং ধ্বংস করছে সোনার সংসার। তবুও কি আপনাদের বোধোদয় হবে না? হে যুবক! যৌন উত্তেজনাকর পর্নোগ্রাফি, নাটক, ছবি ও সিরিয়াল দেখা অনতিবিলম্বে বন্ধ করো। তোমার বিবেককে বলছি, অবশ্যই এ সমস্ত অশ্লীলতা থেকে বেঁচে থাকো। ঐ শোন আল্লাহর বাণী,
﴿وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْتَرِيْ لَهْوَ الْحَدِيْثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَّيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ﴾
মানুষের মধ্যে কতক মানুষ আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অজ্ঞতাবশত ‘লাহওয়াল হাদীস’ তথা গান-বাজনা ইত্যাদি ক্রয় করে আর আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদের জন্যই আছে অপমানজনক শাস্তি। (সূরা লোকমান ৩১:৬)
﴿إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ﴾
আল্লাহ আরো বলেন, যারা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার বিস্তৃতি ঘটুক তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাতে। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না। (সূরা নূর ২৪:১৯)
কাজেই হে মুসলিম নর-নারী! পরকালের শাস্তিকে ভয় করুন এবং পরিবার ও স্ব-স্ব মোবাইল, কম্পিউটার থেকে ঐ সমস্ত অশ্লীল দৃশ্য, গান-বাজনা নির্বাসনে পাঠান।
﴿وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْتَرِيْ لَهْوَ الْحَدِيْثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَّيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ﴾
মানুষের মধ্যে কতক মানুষ আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অজ্ঞতাবশত ‘লাহওয়াল হাদীস’ তথা গান-বাজনা ইত্যাদি ক্রয় করে আর আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদের জন্যই আছে অপমানজনক শাস্তি। (সূরা লোকমান ৩১:৬)
﴿إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ﴾
আল্লাহ আরো বলেন, যারা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার বিস্তৃতি ঘটুক তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাতে। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না। (সূরা নূর ২৪:১৯)
কাজেই হে মুসলিম নর-নারী! পরকালের শাস্তিকে ভয় করুন এবং পরিবার ও স্ব-স্ব মোবাইল, কম্পিউটার থেকে ঐ সমস্ত অশ্লীল দৃশ্য, গান-বাজনা নির্বাসনে পাঠান।
প্রিয় বন্ধু! আজ যে যৌবনের তাড়নায় অশ্লীল পর্নোগ্রাফি নিয়ে কালাতিপাত করছ, অচিরেই এ যৌবন শেষ হয়ে যাবে। বার্ধক্যের ঝুন্নতায় যখন শরীরের চামড়া গুছিয়ে-নুয়ে পড়বে, দুর্বলতার সকল দিক যখন নিজেকে আচ্ছন্ন করবে; যৌবনের সেই তাড়না আর কাজ করবে না। এই মর্মান্তিক চির বাস্তবতার কথা কখনো ভেবেছ কি? ঐ শোন আল্লাহর বাণী,
﴿وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ﴾
আর জড়িয়ে যাবে এক পায়ের নলা আরেক পায়ের নলার সাথে।
(সূরা ক্বিয়ামাহ ৭৫:২৯)
এমন দিনে উপনীত হওয়া কথা ভেবে সকল নোংরামী অশ্লীলতা পর্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করো।
﴿وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ﴾
আর জড়িয়ে যাবে এক পায়ের নলা আরেক পায়ের নলার সাথে।
(সূরা ক্বিয়ামাহ ৭৫:২৯)
এমন দিনে উপনীত হওয়া কথা ভেবে সকল নোংরামী অশ্লীলতা পর্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করো।
কুপ্রবৃত্তির অনুসরণের দরুন মানুষকে জাহান্নামের অপমানজনক মহাশাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তাই একে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। যে যুবক তার যৌবনের চাহিদার উপর আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীকে প্রাধান্য দেয় এবং কুপ্রবৃত্তির কামনা-বাসনা থেকে নিজেকে দমিয়ে রাখে, সেই হল মর্যাদাপূর্ণ মানুষ।
নবী করিম ﷺ বলেন,
إِنَّ مِمَّا أَخْشٰى عَلَيْكُمْ شَهَوَاتِ الْغَيِّ فِي بُطُونِكُمْ وَفُرُوجِكُمْ وَمُضِلَّاتِ الْفِتَنِ
আমি তোমাদের জন্য তোমাদের পেট তথা খাওয়া-দাওয়া ও যৌন সংক্রান্ত অবৈধ সম্ভোগ এবং শরীয়তের বিরুদ্ধে কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার ভয় করি। [আহমাদ হা/১৯৭৮৮, ছহীহ তারগীব হা /৫২।]
অতএব শত কষ্টের পরও কুপ্রবৃত্তির গলায় লাগাম পরিয়ে অশ্লীলতা, নোংরামী, পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। আর মহান আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে,
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكِرَاتِ الْأَخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ وَالْأَهْوَاءِ
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি মন্দ স্বভাব, আমল ও কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে। [তিরমিযী হা/৩৫৯৯,মিশকাত হা/ ২৪৭১।]
নবী করিম ﷺ বলেন,
إِنَّ مِمَّا أَخْشٰى عَلَيْكُمْ شَهَوَاتِ الْغَيِّ فِي بُطُونِكُمْ وَفُرُوجِكُمْ وَمُضِلَّاتِ الْفِتَنِ
আমি তোমাদের জন্য তোমাদের পেট তথা খাওয়া-দাওয়া ও যৌন সংক্রান্ত অবৈধ সম্ভোগ এবং শরীয়তের বিরুদ্ধে কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার ভয় করি। [আহমাদ হা/১৯৭৮৮, ছহীহ তারগীব হা /৫২।]
অতএব শত কষ্টের পরও কুপ্রবৃত্তির গলায় লাগাম পরিয়ে অশ্লীলতা, নোংরামী, পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। আর মহান আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে,
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكِرَاتِ الْأَخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ وَالْأَهْوَاءِ
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি মন্দ স্বভাব, আমল ও কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে। [তিরমিযী হা/৩৫৯৯,মিশকাত হা/ ২৪৭১।]
আমি জানি অনেক মুসলিম ভাই ও বোন আছেন যারা প্রতিনিয়ত পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন থেকে বাঁচার জন্য প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পেরে উঠছেন না। আমি বলব, আপনি নোংরামী, অশ্লীলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখুন। যে নিজের মনকে প্রবৃত্তির তাড়না থেকে হেফাযত করতে পারবে, সে দুনিয়ার বালা মুছীবত থেকে স্বাচ্ছন্দে থাকবে। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, সত্যিকারের মুহাজির সে ব্যক্তি যে আল্লাহ তা’আলার নিষেধকৃত বস্ত্তগুলো পরিত্যাগ করতে পেরেছে। [বুখারী হাদিস/১০।]
অত্র হাদীস প্রমাণ করে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা বস্ত্ত থেকে বেঁচে থেকে সফল মানুষ হওয়া যায়।
অত্র হাদীস প্রমাণ করে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা বস্ত্ত থেকে বেঁচে থেকে সফল মানুষ হওয়া যায়।
পর্নোগ্রাফিভোক্তাদের সাথে উঠা-বসা এবং তাদের সঙ্গী বনে যাওয়া ঠিক নয়। আল্লাহ রাসূল ﷺ বলেন, لَا تُصَاحِبْ إِلَّا مُؤْمِنًا একজন খাঁটি মুমিন ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু বানাবে না। [আবুদাউদ হা/৪৮৩২, তিরমিযী হা/২৩৯৫।]
কেননা বন্ধুর প্রভাব বন্ধুর উপর সুদূর প্রসারী; বন্ধুর প্রভাবেই মানুষ ভালো হয়, আবার বন্ধুর প্রভাবেই মানুষ নষ্ট হয়। নোংরা, অশ্লীল পর্নোগ্রাফিভোক্তারা প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষকে নোংরামীর মাধ্যমে ধ্বংস করছে। তাই তাদের সংস্পর্শে থাকা ও তাদের কাছ থেকে ব্লুটুথ বা শেয়ারইট এর মাধ্যমে কোন নোংরা, অশ্লীল পর্নোগ্রাফি গ্রহণ করা সমীচীন নয়। পর্নোগ্রাফিভোক্তারা মূলত পার্থিব খেল-তামাশায় মত্ত। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَذَرِ الَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا دِيْنَهُمْ لَعِبًا وَّلَهْوًا وَّغَرَّتْهُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا﴾
যারা তাদের দ্বীনকে খেল-তামাশা বানিয়ে নিয়েছে আর পার্থিব জীবন যাদেরকে প্রতারিত করছে তুমি তাদের (সঙ্গ) বর্জন করো। (সূরা আনআম ৬:৭০)
﴿وَلَا تَرْكَنُوْاۤ إِلَى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا فَتَمَسَّكُمُ النَّارُ﴾
তোমরা যালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না। তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে। (সূরা হুদ ১১:১১৩)
পর্নোভোক্তারা মূলত এক প্রকার যালেম। তাই জাহান্নামের শাস্তির ভয়ে তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা জরুরী। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ একদা হিজরবাসীদের সম্পর্কে বলেন,
لَا تَدْخُلُوْا عَلٰى هٰؤُلَاءِ الْقَوْمِ الْمُعَذَّبِيْنَ
তোমরা এ শাস্তি প্রাপ্ত সম্প্রদায়ের এলাকায় যেয়ো না। [বুখারী হা/ ৩৩৮১, মুসলিম হা/২৯৮০।]
একাকী থাকা ভাল; তবুও নোংরা, অশ্লীলতা চর্চাকারী, প্রকাশকারীদের সাথে থাকা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে নিচের হাদীস স্মরণযোগ্য,
يُوشِكُ أَنْ يَكُونَ خَيْرَ مَالِ الْمُسْلِمِ غَنَمٌ يَتْبَعُ بِهَا شَعَفَ الْجِبَالِ وَمَوَاقِعَ الْقَطْرِ يَفِرُّ بِدِينِهٖ مِنَ الْفِتَنِ
অচিরেই একজন মুসলিমের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হবে ছাগল। যা নিয়ে সে এক পাহাড়ের চূড়ায় উঠবে ও পানির জায়গায় যাবে ফিতনা থেকে রক্ষার মানসে। [বুখারী হাদীস/১৯।]
কেননা বন্ধুর প্রভাব বন্ধুর উপর সুদূর প্রসারী; বন্ধুর প্রভাবেই মানুষ ভালো হয়, আবার বন্ধুর প্রভাবেই মানুষ নষ্ট হয়। নোংরা, অশ্লীল পর্নোগ্রাফিভোক্তারা প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষকে নোংরামীর মাধ্যমে ধ্বংস করছে। তাই তাদের সংস্পর্শে থাকা ও তাদের কাছ থেকে ব্লুটুথ বা শেয়ারইট এর মাধ্যমে কোন নোংরা, অশ্লীল পর্নোগ্রাফি গ্রহণ করা সমীচীন নয়। পর্নোগ্রাফিভোক্তারা মূলত পার্থিব খেল-তামাশায় মত্ত। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَذَرِ الَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا دِيْنَهُمْ لَعِبًا وَّلَهْوًا وَّغَرَّتْهُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا﴾
যারা তাদের দ্বীনকে খেল-তামাশা বানিয়ে নিয়েছে আর পার্থিব জীবন যাদেরকে প্রতারিত করছে তুমি তাদের (সঙ্গ) বর্জন করো। (সূরা আনআম ৬:৭০)
﴿وَلَا تَرْكَنُوْاۤ إِلَى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا فَتَمَسَّكُمُ النَّارُ﴾
তোমরা যালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না। তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে। (সূরা হুদ ১১:১১৩)
পর্নোভোক্তারা মূলত এক প্রকার যালেম। তাই জাহান্নামের শাস্তির ভয়ে তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা জরুরী। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ একদা হিজরবাসীদের সম্পর্কে বলেন,
لَا تَدْخُلُوْا عَلٰى هٰؤُلَاءِ الْقَوْمِ الْمُعَذَّبِيْنَ
তোমরা এ শাস্তি প্রাপ্ত সম্প্রদায়ের এলাকায় যেয়ো না। [বুখারী হা/ ৩৩৮১, মুসলিম হা/২৯৮০।]
একাকী থাকা ভাল; তবুও নোংরা, অশ্লীলতা চর্চাকারী, প্রকাশকারীদের সাথে থাকা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে নিচের হাদীস স্মরণযোগ্য,
يُوشِكُ أَنْ يَكُونَ خَيْرَ مَالِ الْمُسْلِمِ غَنَمٌ يَتْبَعُ بِهَا شَعَفَ الْجِبَالِ وَمَوَاقِعَ الْقَطْرِ يَفِرُّ بِدِينِهٖ مِنَ الْفِتَنِ
অচিরেই একজন মুসলিমের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হবে ছাগল। যা নিয়ে সে এক পাহাড়ের চূড়ায় উঠবে ও পানির জায়গায় যাবে ফিতনা থেকে রক্ষার মানসে। [বুখারী হাদীস/১৯।]
প্রবাদ আছে ‘‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’’। যদি মানুষ দুনিয়াতে পথভ্রষ্ট মানুষকে সঙ্গী-সাথী বানায়, তাহলে তাকে কিয়ামতে আফসোস করতে হবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰى يَدَيْهِ يَقُوْلُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِيْلًا ‐ يَا وَيْلَتٰى لَيْتَنِيْ لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيْلًا﴾
যালিম ও অপরাধী সে দিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি সেদিন রাসূলের পথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দুর্ভোগ! আমি যদি অমুককে সেদিন সাথী ও বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।
(সূরা ফুরকান ২৫:২৭-২৮)
অতএব প্রিয় বন্ধু! পরহেযগার মুত্তাকী সাথী গ্রহণ না করে যদি পথভ্রষ্ট সাথীর দ্বারা প্রভাবিত হন, তাহলে চতুর্মুখি বিপদ সেদিন আপনাকে গ্রাস করবে।
﴿وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰى يَدَيْهِ يَقُوْلُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِيْلًا ‐ يَا وَيْلَتٰى لَيْتَنِيْ لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيْلًا﴾
যালিম ও অপরাধী সে দিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি সেদিন রাসূলের পথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দুর্ভোগ! আমি যদি অমুককে সেদিন সাথী ও বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।
(সূরা ফুরকান ২৫:২৭-২৮)
অতএব প্রিয় বন্ধু! পরহেযগার মুত্তাকী সাথী গ্রহণ না করে যদি পথভ্রষ্ট সাথীর দ্বারা প্রভাবিত হন, তাহলে চতুর্মুখি বিপদ সেদিন আপনাকে গ্রাস করবে।
নিজের মূল্যবান জীবনটাকে নোংরা ও অশ্লীল পর্নোগ্রাফির মাঝে জিইয়ে রেখো না। কেননা তা এক সময় তোমার আত্মাকে মেরে ফেলবে। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে অন্তর-আত্মা সজীব রাখা সম্ভব। আর এতেই রয়েছে বিরাট সফলতা। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا ‐ وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا﴾
সেই সফলকাম হয়েছে, যে নিজ আত্মাকে কলুষতা থেকে মুক্ত করতে পেরেছে। (সূরা শামস ৯১:৯-১০)
﴿قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا ‐ وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا﴾
সেই সফলকাম হয়েছে, যে নিজ আত্মাকে কলুষতা থেকে মুক্ত করতে পেরেছে। (সূরা শামস ৯১:৯-১০)
পর্নোগ্রাফির পাপসহ যে কোন পাপকে তুচ্ছজ্ঞান করা ঠিক নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, নবী করীম ﷺ বলেছেন,
إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَرٰى ذُنُوبَهٗ كَأَنَّهٗ قَاعِدٌ تَحْتَ جَبَلٍ يَخَافُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِ وَإِنَّ الْفَاجِرَ يَرٰى ذُنُوبَهٗ كَذُبَابٍ مَرَّ عَلٰى أَنْفِهٖ فَقَالَ بِهٖ هٰكَذَا
একজন মুমিন তার পাপকে এতটাই ভয়াবহ মনে করে, যেন সে একটা পাহাড়ের নিচে বসে আছে, আর সে পাহাড়টা তার উপর ধসে পড়ার ভয় করছে। কিন্তু পাপাচারী ব্যক্তি তার পাপকে তার নাকের উপর বসা মাছির মতো মনে করে (যাকে সে হাত দিয়ে তাড়িয়ে দেয়)। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার নাকের উপর হাত নিয়ে ইশারায় তা বুঝিয়ে দিলেন। [বুখারী হা/৬৩০৮।]
إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَرٰى ذُنُوبَهٗ كَأَنَّهٗ قَاعِدٌ تَحْتَ جَبَلٍ يَخَافُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِ وَإِنَّ الْفَاجِرَ يَرٰى ذُنُوبَهٗ كَذُبَابٍ مَرَّ عَلٰى أَنْفِهٖ فَقَالَ بِهٖ هٰكَذَا
একজন মুমিন তার পাপকে এতটাই ভয়াবহ মনে করে, যেন সে একটা পাহাড়ের নিচে বসে আছে, আর সে পাহাড়টা তার উপর ধসে পড়ার ভয় করছে। কিন্তু পাপাচারী ব্যক্তি তার পাপকে তার নাকের উপর বসা মাছির মতো মনে করে (যাকে সে হাত দিয়ে তাড়িয়ে দেয়)। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার নাকের উপর হাত নিয়ে ইশারায় তা বুঝিয়ে দিলেন। [বুখারী হা/৬৩০৮।]
ধ্বংসশীল অপদার্থ মানুষের বৈশিষ্ট্য হলো ছলাত ছেড়ে দেওয়া এবং অবৈধ লালসায় মত্ত হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَخَلَفَ مِنْ ۢبَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا﴾
অতঃপর তাদের পর এল অপদার্থ পরবর্তীরা তারা সালাত হারালো, আর লালসার বশবর্তী হল। তারা শীঘ্রই ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। (সূরা মারইয়াম ১৯:৫৯)
প্রিয় পাঠক! ছলাত ছেড়ে দেয়া, অবৈধ লালসায় মত্ত হওয়া অর্থাৎ অশ্লীলতা নিয়ে নিমগ্ন থাকা ধ্বংস হওয়ার কারণ।
﴿فَخَلَفَ مِنْ ۢبَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا﴾
অতঃপর তাদের পর এল অপদার্থ পরবর্তীরা তারা সালাত হারালো, আর লালসার বশবর্তী হল। তারা শীঘ্রই ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। (সূরা মারইয়াম ১৯:৫৯)
প্রিয় পাঠক! ছলাত ছেড়ে দেয়া, অবৈধ লালসায় মত্ত হওয়া অর্থাৎ অশ্লীলতা নিয়ে নিমগ্ন থাকা ধ্বংস হওয়ার কারণ।
যে কোন পাপ থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক।
দয়াময় প্রভু আমাদেরকে আলো, বাতাস, খাদ্য-পানীয় দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ মানুষই সেই প্রভুকে মূল্যায়ন করতে পারি না। তাইতো তিনি বলেন,
﴿وَمَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدْرِهٖ وَالْأَرْضُ جَمِيْعًا قَبْضَتُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَاوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ ۢبِيَمِيْنِهٖ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ﴾
আসলে এই লোকগুলো আল্লাহ তাআলাকে সেভাবে মূল্যায়ন করেনি যেভাবে তাঁর মূল্যায়ন করা উচিত ছিল। কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আসমানগুলো ভাঁজ করা অবস্থায় তার ডান হাতে থাকবে। পবিত্র ও মহান তিনি, ওরা তাঁর সাথে যা কিছু শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে। (সূরা যুমার ৩৯:৬৭)
দয়াময় প্রভু আমাদেরকে আলো, বাতাস, খাদ্য-পানীয় দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ মানুষই সেই প্রভুকে মূল্যায়ন করতে পারি না। তাইতো তিনি বলেন,
﴿وَمَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدْرِهٖ وَالْأَرْضُ جَمِيْعًا قَبْضَتُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَاوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ ۢبِيَمِيْنِهٖ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ﴾
আসলে এই লোকগুলো আল্লাহ তাআলাকে সেভাবে মূল্যায়ন করেনি যেভাবে তাঁর মূল্যায়ন করা উচিত ছিল। কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আসমানগুলো ভাঁজ করা অবস্থায় তার ডান হাতে থাকবে। পবিত্র ও মহান তিনি, ওরা তাঁর সাথে যা কিছু শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে। (সূরা যুমার ৩৯:৬৭)
প্রতিটি মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কিয়ামতের দিন জিজ্ঞেসিত হবে এবং তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করবে। মহান আল্লাহ এ মর্মে বলেন,
﴿وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا﴾
আর যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও অন্তকরণ এদের প্রত্যেকটি জিজ্ঞেসিত হবে। (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৩৬)
প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে যখন আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, তখন তাদের দ্বারা সংঘটিত সকল কর্মের কথা তারা বলে দিবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيْهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
সেদিন তাদের জিহবাগুলো, তাদের হাতগুলো ও তাদের পা-গুলো তারা যা করত সে ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। (সূরা আন-নূর ২৪:২৪)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿اَلْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَاۤ أَيْدِيْهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ﴾
আজ আমি তাদের মুখে মোহর মেরে দিব এবং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে ও তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দিবে। (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৬৫)
মহান আল্লাহ আরো বলেন,
﴿شَهِدَ عَلَيْهِمْ سَمْعُهُمْ وَأَبْصَارُهُمْ وَجُلُوْدُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের শরীরের চামড়া তাদের বিরুদ্ধে তাদের কৃতকর্মের যাবতীয় আমল সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করবে। (সূরা হা-মীম-সাজদাহ ৪১:২০)
হে মুসলিম যুবক-যুবতী! যে পা দিয়ে আপনি চোখ ধাঁধানো রঙ্গ মঞ্চের নৃত্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, যে হাত দিয়ে আপনি স্মার্ট মোবাইল, কম্পিউটার ও টিভির রিমোটের বাটন চেপে নগ্নতা, যৌনতা, অশ্লীলতার দৃশ্য আনয়ন করে চোখ দিয়ে দেখে ও কান দিয়ে শুনে মজা লুটছেন, এই সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই আপনার বিপক্ষে কিয়ামতের দিন সাক্ষ্য দিবে। কোটি কোটি মানুষ ও ফেরেশতার সামনে আপনাকে লাঞ্ছিত, অপমানিত-অপদস্থ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا﴾
সেদিন পৃথিবী তার (নিজের উপর সংঘটিত) সকল বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে।
(সূরা যিলযাল ৯৯:৪)
তাহলে জেনে রাখুন! কোন্ গাছ তলায়, কোন্ চত্বরে, কোন্ আঙ্গিনায়, কোন্ বাড়িতে, কোন্ ছাদে, কোন্ ফ্লোরে দাঁড়িয়ে বা বসে আপত্তিকর দৃশ্য উপভোগ করছেন ঐ স্থানই কিয়ামতের দিন আপনার বিপক্ষে কথা বলবে। তাই নিজেকে বাঁচাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অপব্যবহার বন্ধ করুন। চোখ, কান, হাত, পা আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কাজে ব্যবহার করুন।
দুনিয়ার জীবনে যা কিছু করা হচ্ছে সবই লিখা হচ্ছে। সম্মানিত ফেরেশতাদেরকে মহান আল্লাহ মানুষের দুনিয়াবী সকল কর্মকান্ড লেখার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِيْنَ ‐ كِرَامًا كَاتِبِيْنَ ‐ يَعْلَمُوْنَ مَا تَفْعَلُوْنَ﴾
আর নিশ্চয় তোমাদের উপর সংরক্ষকগণ রয়েছেন। সম্মানিত লেখকবৃন্দ। তারা জানে, তোমরা যা কর। (সূরা ইনফিত্বার ৮২:১০-১২)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا﴾
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করছি। (সূরা আবাসা ৭৮:২৯)
তিনি আরো বলেন,
﴿إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْدٌ ‐ مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ﴾
যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে (মানুষের) আমল লিখছে। সে যে কথা-ই উচ্চারণ করে তাই গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্ত্তত প্রহরী রয়েছে। (সূরা ক্বাফ ৫০:১৭-১৮)
মানুষ কোথায় কী করছে, কোন সময় করছে, কী পরিমাণ করেছে মহান আল্লাহর সম্মানিত লেখকবৃন্দ যখন তা পেশ করবেন, তখন অপরাধীরা চিৎকার দিয়ে বলবে এ কেমন কিতাব যাতে কোন কিছুই বাদ পড়েনি। কুরআনুল কারীমে এর বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে,
﴿وَوُضِعَ الْكِتَابُ فَتَرَى الْمُجْرِمِيْنَ مُشْفِقِيْنَ مِمَّا فِيْهِ وَيَقُوْلُوْنَ يَا وَيْلَتَنَا مَالِ هٰذَا الْكِتَابِ لَا يُغَادِرُ صَغِيْرَةً وَّلَا كَبِيْرَةً إِلَّاۤ أَحْصَاهَا وَوَجَدُوْا مَا عَمِلُوْا حَاضِرًا وَّلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا﴾
আমলনামা পেশ করা হবে। তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখতে পাবে তারা ভীত-সন্ত্রস্ত তাতে (খাতায়) যা রয়েছে তার কারণে। তখন তারা বলবে, হায় ধ্বংস আমাদের! কী হলো এ কিতাবের যাতে আমাদের ছোট বড় কোন কিছুই বাদ পড়েনি। সবই লিপিবদ্ধ এ কিতাবে। তারা যে যা করেছিল তা সবই নিজের সামনে উপস্থিত পাবে। আর তোমার রব কারো প্রতি যুলুম করেন না। (সূরা কাহফ ১৮:৪৯)
প্রিয় বন্ধু! আমাদের সকল কথা ও কর্ম লিখা হচ্ছে। কাজেই আমাদেরকে মোবাইল ফোনে, টিভিতে অশ্লীল সিনেমা, নাটক ও ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফিসহ সকল অন্যায় দেখা বন্ধ করতে হবে। কারণ দুনিয়ার এই হলঘরে আল্লাহ আমাদেরকে পরীক্ষা নিচ্ছেন যে কে উত্তম আমল করে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اَلَّذِيْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَّهُوَ الْعَزِيْزُ الْغَفُوْرُ﴾
যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন আমলের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। (সূরা মুলক ৬৭:২)
অতএব স্থায়ী জীবনে সফলতার জন্য সর্বোত্তম কর্মে লিপ্ত হয়ে আমলনামা সুন্দর করতে হবে।
হাশরের ময়দানে যাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে তারাই হবে সৌভাগ্যবান। আর যাদের আমলনামা বাম হাতে দেয়া হবে তারাই হবে দুর্ভাগ্যবান। আল্লাহ বলেন,
﴿فَأَمَّا مَنْ أُوْتِيَ كِتَابَهٗ بِيَمِيْنِهٖ ‐ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَّسِيْرًا ‐ وَيَنْقَلِبُ إِلٰۤى أَهْلِهٖ مَسْرُوْرًا ‐ وَأَمَّا مَنْ أُوْتِيَ كِتَابَهٗ وَرَآءَ ظَهْرِهٖ ‐ فَسَوْفَ يَدْعُوْ ثُبُوْرًا ‐ وَيَصْلٰى سَعِيْرًا﴾
অতঃপর যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, তার হিসাব সহজভাবেই নেয়া হবে। সে তার স্বজনদের কাছে আনন্দ চিত্তে ফিরে যাবে। আর যাকে তার আমলনামা তার পিছন দিক থেকে দেয়া হবে, সে মৃত্যু কামনা করবে এবং জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। (সূরা ইনশিক্বাক ৮৪:৭-১২)
ডান হাতে আমলনামা পেয়ে চিরসুখের স্থান জান্নাত লাভে ধন্য হওয়ার জন্য এবং জাহান্নামের প্রজ্বলিত আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার নিমিত্তে কল্যাণকর কাজে নিমগ্ন হওয়া জরুরী।
﴿وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا﴾
আর যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও অন্তকরণ এদের প্রত্যেকটি জিজ্ঞেসিত হবে। (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৩৬)
প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে যখন আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, তখন তাদের দ্বারা সংঘটিত সকল কর্মের কথা তারা বলে দিবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيْهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
সেদিন তাদের জিহবাগুলো, তাদের হাতগুলো ও তাদের পা-গুলো তারা যা করত সে ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। (সূরা আন-নূর ২৪:২৪)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿اَلْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَاۤ أَيْدِيْهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ﴾
আজ আমি তাদের মুখে মোহর মেরে দিব এবং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে ও তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দিবে। (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৬৫)
মহান আল্লাহ আরো বলেন,
﴿شَهِدَ عَلَيْهِمْ سَمْعُهُمْ وَأَبْصَارُهُمْ وَجُلُوْدُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের শরীরের চামড়া তাদের বিরুদ্ধে তাদের কৃতকর্মের যাবতীয় আমল সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করবে। (সূরা হা-মীম-সাজদাহ ৪১:২০)
হে মুসলিম যুবক-যুবতী! যে পা দিয়ে আপনি চোখ ধাঁধানো রঙ্গ মঞ্চের নৃত্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, যে হাত দিয়ে আপনি স্মার্ট মোবাইল, কম্পিউটার ও টিভির রিমোটের বাটন চেপে নগ্নতা, যৌনতা, অশ্লীলতার দৃশ্য আনয়ন করে চোখ দিয়ে দেখে ও কান দিয়ে শুনে মজা লুটছেন, এই সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই আপনার বিপক্ষে কিয়ামতের দিন সাক্ষ্য দিবে। কোটি কোটি মানুষ ও ফেরেশতার সামনে আপনাকে লাঞ্ছিত, অপমানিত-অপদস্থ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا﴾
সেদিন পৃথিবী তার (নিজের উপর সংঘটিত) সকল বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে।
(সূরা যিলযাল ৯৯:৪)
তাহলে জেনে রাখুন! কোন্ গাছ তলায়, কোন্ চত্বরে, কোন্ আঙ্গিনায়, কোন্ বাড়িতে, কোন্ ছাদে, কোন্ ফ্লোরে দাঁড়িয়ে বা বসে আপত্তিকর দৃশ্য উপভোগ করছেন ঐ স্থানই কিয়ামতের দিন আপনার বিপক্ষে কথা বলবে। তাই নিজেকে বাঁচাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অপব্যবহার বন্ধ করুন। চোখ, কান, হাত, পা আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কাজে ব্যবহার করুন।
দুনিয়ার জীবনে যা কিছু করা হচ্ছে সবই লিখা হচ্ছে। সম্মানিত ফেরেশতাদেরকে মহান আল্লাহ মানুষের দুনিয়াবী সকল কর্মকান্ড লেখার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِيْنَ ‐ كِرَامًا كَاتِبِيْنَ ‐ يَعْلَمُوْنَ مَا تَفْعَلُوْنَ﴾
আর নিশ্চয় তোমাদের উপর সংরক্ষকগণ রয়েছেন। সম্মানিত লেখকবৃন্দ। তারা জানে, তোমরা যা কর। (সূরা ইনফিত্বার ৮২:১০-১২)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا﴾
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করছি। (সূরা আবাসা ৭৮:২৯)
তিনি আরো বলেন,
﴿إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْدٌ ‐ مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ﴾
যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে (মানুষের) আমল লিখছে। সে যে কথা-ই উচ্চারণ করে তাই গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্ত্তত প্রহরী রয়েছে। (সূরা ক্বাফ ৫০:১৭-১৮)
মানুষ কোথায় কী করছে, কোন সময় করছে, কী পরিমাণ করেছে মহান আল্লাহর সম্মানিত লেখকবৃন্দ যখন তা পেশ করবেন, তখন অপরাধীরা চিৎকার দিয়ে বলবে এ কেমন কিতাব যাতে কোন কিছুই বাদ পড়েনি। কুরআনুল কারীমে এর বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে,
﴿وَوُضِعَ الْكِتَابُ فَتَرَى الْمُجْرِمِيْنَ مُشْفِقِيْنَ مِمَّا فِيْهِ وَيَقُوْلُوْنَ يَا وَيْلَتَنَا مَالِ هٰذَا الْكِتَابِ لَا يُغَادِرُ صَغِيْرَةً وَّلَا كَبِيْرَةً إِلَّاۤ أَحْصَاهَا وَوَجَدُوْا مَا عَمِلُوْا حَاضِرًا وَّلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا﴾
আমলনামা পেশ করা হবে। তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখতে পাবে তারা ভীত-সন্ত্রস্ত তাতে (খাতায়) যা রয়েছে তার কারণে। তখন তারা বলবে, হায় ধ্বংস আমাদের! কী হলো এ কিতাবের যাতে আমাদের ছোট বড় কোন কিছুই বাদ পড়েনি। সবই লিপিবদ্ধ এ কিতাবে। তারা যে যা করেছিল তা সবই নিজের সামনে উপস্থিত পাবে। আর তোমার রব কারো প্রতি যুলুম করেন না। (সূরা কাহফ ১৮:৪৯)
প্রিয় বন্ধু! আমাদের সকল কথা ও কর্ম লিখা হচ্ছে। কাজেই আমাদেরকে মোবাইল ফোনে, টিভিতে অশ্লীল সিনেমা, নাটক ও ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফিসহ সকল অন্যায় দেখা বন্ধ করতে হবে। কারণ দুনিয়ার এই হলঘরে আল্লাহ আমাদেরকে পরীক্ষা নিচ্ছেন যে কে উত্তম আমল করে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اَلَّذِيْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَّهُوَ الْعَزِيْزُ الْغَفُوْرُ﴾
যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন আমলের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। (সূরা মুলক ৬৭:২)
অতএব স্থায়ী জীবনে সফলতার জন্য সর্বোত্তম কর্মে লিপ্ত হয়ে আমলনামা সুন্দর করতে হবে।
হাশরের ময়দানে যাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে তারাই হবে সৌভাগ্যবান। আর যাদের আমলনামা বাম হাতে দেয়া হবে তারাই হবে দুর্ভাগ্যবান। আল্লাহ বলেন,
﴿فَأَمَّا مَنْ أُوْتِيَ كِتَابَهٗ بِيَمِيْنِهٖ ‐ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَّسِيْرًا ‐ وَيَنْقَلِبُ إِلٰۤى أَهْلِهٖ مَسْرُوْرًا ‐ وَأَمَّا مَنْ أُوْتِيَ كِتَابَهٗ وَرَآءَ ظَهْرِهٖ ‐ فَسَوْفَ يَدْعُوْ ثُبُوْرًا ‐ وَيَصْلٰى سَعِيْرًا﴾
অতঃপর যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, তার হিসাব সহজভাবেই নেয়া হবে। সে তার স্বজনদের কাছে আনন্দ চিত্তে ফিরে যাবে। আর যাকে তার আমলনামা তার পিছন দিক থেকে দেয়া হবে, সে মৃত্যু কামনা করবে এবং জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। (সূরা ইনশিক্বাক ৮৪:৭-১২)
ডান হাতে আমলনামা পেয়ে চিরসুখের স্থান জান্নাত লাভে ধন্য হওয়ার জন্য এবং জাহান্নামের প্রজ্বলিত আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার নিমিত্তে কল্যাণকর কাজে নিমগ্ন হওয়া জরুরী।
হে যুবক-যুবতী! যে ব্যক্তি বিবেকহীনভাবে দুনিয়ায় রং তামাশা, নোংরা, অশ্লীল পর্নোগ্রাফি, গান-বাজনা নিয়ে মত্ত আছে তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। কারণ যে দুনিয়াকে ভালোবাসে, তার প্রতি ঝুঁকে পড়ে এবং পরকালকে ভুলে যায় নিশ্চিত সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইহকাল ও পরকালে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَأَمَّا مَنْ طَغٰى ‐ وَاٰثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا ‐ فَإِنَّ الْجَحِيْمَ هِيَ الْمَأْوٰى﴾
অতঃপর (দুনিয়ায়) যে লোক সীমালঙ্ঘন করেছিল, আর দুনিয়ার জীবনকে (পরকালের উপর) প্রাধান্য দিয়েছিল জাহান্নামই হবে তার আবাসস্থল।
(সূরা নাযিয়াত ৭৯:৩৭-৩৯)
দুনিয়ার ব্যাপারে নিমেণর বাণীগুলো স্মরণযোগ্য। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اِعْلَمُوْاۤ أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَّلَهْوٌ وَّزِيْنَةٌ وَّتَفَاخُرٌ ۢبَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَعْجَبَ الْكُفَّارَ نَبَاتُهٗ ثُمَّ يَهِيْجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَكُوْنُ حُطَامًا وَّفِي الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ شَدِيْدٌ وَّمَغْفِرَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرِضْوَانٌ وَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَاۤ إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ﴾
তোমরা জেনে রেখো যে, দুনিয়ার জীবন তো ক্রিয়া কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। (দুনিয়ার উপমা) বৃষ্টি, যার দ্বারা উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে আনন্দিত করে, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়; ফলে তুমি তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। অবশেষে তা টুকরা টুকরা (খড়কুটায়) পরিণত হয় এবং পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (সূরা হাদীদ ৫৭:২০)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَمَا هٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَاۤ إِلَّا لَهْوٌ وَّلَعِبٌ وَّإِنَّ الدَّارَ الْاٰخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ﴾
এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পরকালীন জীবনই হলো আসল জীবন, যদি তোমরা জানতে। (সূরা আনকাবূত ২৯:৬৪)
মুস্তাওরিদ ইবনে শাদ্দাদ (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَا الدُّنْيَا فِي الْاٰخِرَةِ إِلَّا مِثْلُ مَا يَجْعَلُ أَحَدُكُمْ إِصْبَعَهٗ فِي الْيَمِّ فَلْيَنْظُرْ بِمَ تَرْجِعُ إِلَيْهِ
আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত ঐরূপ, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রে আঙ্গুল ডুবায় এবং (তা বের করে) দেখে যে, আঙ্গুলটি সমুদ্রের কতটুকু পানি নিয়ে ফিরছে। [মুসলিম হা/২৮৫৮, তিরমিযি হা/২৩২৩, ইবনু মাজাহ হাদিস/৪১০৮।]
অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায় আঙ্গুলটিতে জড়িয়ে থাকা সামান্য পানি হল দুনিয়া। আর বিশাল সমুদ্রের পানি হল পরকাল।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللّٰهِ أَنَّ رَسُولَ اللّٰهِ مَرَّ بِالسُّوقِ دَاخِلًا مِنْ ۢبَعْضِ الْعَالِيَةِ وَالنَّاسُ كَنَفَتَهٗ فَمَرَّ بِجَدْىٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ فَتَنَاوَلَهٗ فَأَخَذَ بِأُذُنِهٖ ثُمَّ قَالَ أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هٰذَا لَهٗ بِدِرْهَم فَقَالُوا مَا نُحِبُّ أَنَّهٗ لَنَا بِشَىْءٍ وَمَا نَصْنَعُ بِهٖ قَالَ أَتُحِبُّونَ أَنَّهٗ لَكُمْ قَالُوا وَاللّٰهِ لَوْ كَانَ حَيًّا كَانَ عَيْبًا فِيهِ لِأَنَّهٗ أَسَكُّ فَكَيْفَ وَهُوَ مَيِّتٌ فَقَالَ فَوَاللّٰهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللّٰهِ مِنْ هٰذَا عَلَيْكُمْ
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন) একদা রাসূল ﷺ বাজারের পাশ দিয়ে গেলেন। এমতাবস্থায় তাঁর দুই পাশে লোকজন ছিল। অতঃপর তিনি ছোট কানবিশিষ্ট একটি মৃত ছাগলছানার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি তার কান ধরে বললেন, তোমাদের কেউ কি এক দিরহামের বিনিময়ে এটাকে নেয়া পছন্দ কর? তারা বলল, আমরা কোন জিনিসের বিনিময়ে এটা নেয়া পছন্দ করব না এবং আমরা এটা নিয়ে করবই বা কী? তিনি বললেন, তোমরা কি পছন্দ কর (বিনামূল্যে) এটা তোমাদের হোক? তারা বলল, আল্লাহর কসম! যদি এটা জীবিত থাকত তবুও সে ছোট কানের কারণে দোষযুক্ত ছিল। এখন সে তো মৃত (সেহেতু একে কে নেবে)? তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের নিকট এই মৃত ছাগলছানাটা যতটা নিকৃষ্ট, দুনিয়া আল্লাহর কাছে এর চেয়ে বেশি নিকৃষ্ট। [মুসলিম হা /২৯৫৭,আবু দাউদ হা/১৮৬,আহমাদ হা/১৪৫১৩।]
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ اَلدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা এবং কাফেরের জন্য জান্নাত। [মুসলিম হা/২৯৫৬, তিরমিযি হা/২৩২৪, ইবনু মাজাহ হা/৪১১৩, আহমাদ হা/৮০৯০।]
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : أَخَذَ رَسُولُ اللهِ بِمَنْكِبِي فَقَالَ كُنَّ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيْبٌ أَوْ عَابِرُ سَبِيْلٍ
ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার দুই কাঁধ ধরে বললেন, তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মতো থাকো। [বুখারি হা/৬৪১৬, তিরমিযি হা/২৩৩৩, ইবনু মাজাহ হা/৪১১৪।]
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدِ السَّاعِدِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ : لَوْ كَانَتِ الدُّنْيَا تَعْدِلُ عِنْدَ اللهِ جُنَاحَ بَعُوضَةٍ مَا سَقٰى كَافِرًا مِنْهَا شَرْبَةَ مَاءٍ
সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, যদি আল্লাহর নিকট মাছির ডানার সমান দুনিয়ার (মূল্য বা ওজন) থাকত, তিনি কোন কাফেরকে তার (দুনিয়ার) এক ঢোক পানিও পান করাতে দিতেন না। [তিরমিযি হা/২৩২০, হাসান ছহীহ, ইবনু মাজাহ হা/ ৪১১০।]
ইয়াহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু-অমুসলিম, নাস্তিক ও দুনিয়া আল্লাহর কাছে কতই না নিকৃষ্ট তা উপরের হাদীসগুলো থেকে সহজে অনুমান করা যায়।
অপর হাদীসে এসেছে,
حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ وَهُوَ يَقُولُ : اَلدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا ، إِلاَّ ذِكْرَ اللهِ وَمَا وَالَاهُ ، أَوْ عَالِمًا ، أَوْ مُتَعَلِّمًا .
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, নিঃসন্দেহে দুনিয়া অভিশপ্ত। অভিশপ্ত তার মধ্যে যা কিছু আছে সবই। তবে আল্লাহর যিকির এবং তার সাথে সম্পৃক্ত জিনিস আলেম ও তালেবে-ইলম নয়। [তিরমিযি হা/২৩২২, ইবনু মাজাহ হা/৪১১২।]
عَنْ أَبِي سَعِيدِ الْخُدْرِيَّ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ فَإِنَّ الدُّنْيَا خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ وَإِنَّ اللهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ كَيْفَ تَعْمَلُونَ ، أَلَا فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ
আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ বলেন, দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ শ্যামল এবং আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অতঃপর তিনি দেখবেন যে, তোমরা কিভাবে কাজ কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। [মুসলিম হা/২৭৪২,তিরমিযি হা/২১৯১,ইবনু মাজাহ হা/৪০০০,আহমাদ হা/১০৭৫৯।]
কাজেই দুনিয়ার মোহে পড়ে পরকালের রেজাল্ট যেন খারাপ না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন।
﴿فَأَمَّا مَنْ طَغٰى ‐ وَاٰثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا ‐ فَإِنَّ الْجَحِيْمَ هِيَ الْمَأْوٰى﴾
অতঃপর (দুনিয়ায়) যে লোক সীমালঙ্ঘন করেছিল, আর দুনিয়ার জীবনকে (পরকালের উপর) প্রাধান্য দিয়েছিল জাহান্নামই হবে তার আবাসস্থল।
(সূরা নাযিয়াত ৭৯:৩৭-৩৯)
দুনিয়ার ব্যাপারে নিমেণর বাণীগুলো স্মরণযোগ্য। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿اِعْلَمُوْاۤ أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَّلَهْوٌ وَّزِيْنَةٌ وَّتَفَاخُرٌ ۢبَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَعْجَبَ الْكُفَّارَ نَبَاتُهٗ ثُمَّ يَهِيْجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَكُوْنُ حُطَامًا وَّفِي الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ شَدِيْدٌ وَّمَغْفِرَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرِضْوَانٌ وَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَاۤ إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ﴾
তোমরা জেনে রেখো যে, দুনিয়ার জীবন তো ক্রিয়া কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। (দুনিয়ার উপমা) বৃষ্টি, যার দ্বারা উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে আনন্দিত করে, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়; ফলে তুমি তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। অবশেষে তা টুকরা টুকরা (খড়কুটায়) পরিণত হয় এবং পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (সূরা হাদীদ ৫৭:২০)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَمَا هٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَاۤ إِلَّا لَهْوٌ وَّلَعِبٌ وَّإِنَّ الدَّارَ الْاٰخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ﴾
এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পরকালীন জীবনই হলো আসল জীবন, যদি তোমরা জানতে। (সূরা আনকাবূত ২৯:৬৪)
মুস্তাওরিদ ইবনে শাদ্দাদ (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَا الدُّنْيَا فِي الْاٰخِرَةِ إِلَّا مِثْلُ مَا يَجْعَلُ أَحَدُكُمْ إِصْبَعَهٗ فِي الْيَمِّ فَلْيَنْظُرْ بِمَ تَرْجِعُ إِلَيْهِ
আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত ঐরূপ, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রে আঙ্গুল ডুবায় এবং (তা বের করে) দেখে যে, আঙ্গুলটি সমুদ্রের কতটুকু পানি নিয়ে ফিরছে। [মুসলিম হা/২৮৫৮, তিরমিযি হা/২৩২৩, ইবনু মাজাহ হাদিস/৪১০৮।]
অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায় আঙ্গুলটিতে জড়িয়ে থাকা সামান্য পানি হল দুনিয়া। আর বিশাল সমুদ্রের পানি হল পরকাল।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللّٰهِ أَنَّ رَسُولَ اللّٰهِ مَرَّ بِالسُّوقِ دَاخِلًا مِنْ ۢبَعْضِ الْعَالِيَةِ وَالنَّاسُ كَنَفَتَهٗ فَمَرَّ بِجَدْىٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ فَتَنَاوَلَهٗ فَأَخَذَ بِأُذُنِهٖ ثُمَّ قَالَ أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هٰذَا لَهٗ بِدِرْهَم فَقَالُوا مَا نُحِبُّ أَنَّهٗ لَنَا بِشَىْءٍ وَمَا نَصْنَعُ بِهٖ قَالَ أَتُحِبُّونَ أَنَّهٗ لَكُمْ قَالُوا وَاللّٰهِ لَوْ كَانَ حَيًّا كَانَ عَيْبًا فِيهِ لِأَنَّهٗ أَسَكُّ فَكَيْفَ وَهُوَ مَيِّتٌ فَقَالَ فَوَاللّٰهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللّٰهِ مِنْ هٰذَا عَلَيْكُمْ
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন) একদা রাসূল ﷺ বাজারের পাশ দিয়ে গেলেন। এমতাবস্থায় তাঁর দুই পাশে লোকজন ছিল। অতঃপর তিনি ছোট কানবিশিষ্ট একটি মৃত ছাগলছানার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি তার কান ধরে বললেন, তোমাদের কেউ কি এক দিরহামের বিনিময়ে এটাকে নেয়া পছন্দ কর? তারা বলল, আমরা কোন জিনিসের বিনিময়ে এটা নেয়া পছন্দ করব না এবং আমরা এটা নিয়ে করবই বা কী? তিনি বললেন, তোমরা কি পছন্দ কর (বিনামূল্যে) এটা তোমাদের হোক? তারা বলল, আল্লাহর কসম! যদি এটা জীবিত থাকত তবুও সে ছোট কানের কারণে দোষযুক্ত ছিল। এখন সে তো মৃত (সেহেতু একে কে নেবে)? তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের নিকট এই মৃত ছাগলছানাটা যতটা নিকৃষ্ট, দুনিয়া আল্লাহর কাছে এর চেয়ে বেশি নিকৃষ্ট। [মুসলিম হা /২৯৫৭,আবু দাউদ হা/১৮৬,আহমাদ হা/১৪৫১৩।]
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ اَلدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা এবং কাফেরের জন্য জান্নাত। [মুসলিম হা/২৯৫৬, তিরমিযি হা/২৩২৪, ইবনু মাজাহ হা/৪১১৩, আহমাদ হা/৮০৯০।]
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : أَخَذَ رَسُولُ اللهِ بِمَنْكِبِي فَقَالَ كُنَّ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيْبٌ أَوْ عَابِرُ سَبِيْلٍ
ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার দুই কাঁধ ধরে বললেন, তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মতো থাকো। [বুখারি হা/৬৪১৬, তিরমিযি হা/২৩৩৩, ইবনু মাজাহ হা/৪১১৪।]
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدِ السَّاعِدِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ : لَوْ كَانَتِ الدُّنْيَا تَعْدِلُ عِنْدَ اللهِ جُنَاحَ بَعُوضَةٍ مَا سَقٰى كَافِرًا مِنْهَا شَرْبَةَ مَاءٍ
সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, যদি আল্লাহর নিকট মাছির ডানার সমান দুনিয়ার (মূল্য বা ওজন) থাকত, তিনি কোন কাফেরকে তার (দুনিয়ার) এক ঢোক পানিও পান করাতে দিতেন না। [তিরমিযি হা/২৩২০, হাসান ছহীহ, ইবনু মাজাহ হা/ ৪১১০।]
ইয়াহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু-অমুসলিম, নাস্তিক ও দুনিয়া আল্লাহর কাছে কতই না নিকৃষ্ট তা উপরের হাদীসগুলো থেকে সহজে অনুমান করা যায়।
অপর হাদীসে এসেছে,
حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ وَهُوَ يَقُولُ : اَلدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا ، إِلاَّ ذِكْرَ اللهِ وَمَا وَالَاهُ ، أَوْ عَالِمًا ، أَوْ مُتَعَلِّمًا .
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, নিঃসন্দেহে দুনিয়া অভিশপ্ত। অভিশপ্ত তার মধ্যে যা কিছু আছে সবই। তবে আল্লাহর যিকির এবং তার সাথে সম্পৃক্ত জিনিস আলেম ও তালেবে-ইলম নয়। [তিরমিযি হা/২৩২২, ইবনু মাজাহ হা/৪১১২।]
عَنْ أَبِي سَعِيدِ الْخُدْرِيَّ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ فَإِنَّ الدُّنْيَا خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ وَإِنَّ اللهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ كَيْفَ تَعْمَلُونَ ، أَلَا فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ
আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ বলেন, দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ শ্যামল এবং আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অতঃপর তিনি দেখবেন যে, তোমরা কিভাবে কাজ কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। [মুসলিম হা/২৭৪২,তিরমিযি হা/২১৯১,ইবনু মাজাহ হা/৪০০০,আহমাদ হা/১০৭৫৯।]
কাজেই দুনিয়ার মোহে পড়ে পরকালের রেজাল্ট যেন খারাপ না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন।
দুনিয়াবি ভোগ-বিলাসিতায় আত্মহারা হওয়া মুসলিম জাতির অপমানিত, লাঞ্ছিত এবং দুর্বল হওয়ার মূল কারণ। তাই আল্লাহর রাসূল ﷺ এটাকে ভয় করেছেন। কাব ইবনে ইয়ায (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল ﷺ-কে বলতে শুনেছি,
إِنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ فِتْنَةٌ وَإِنَّ فِتْنَةُ أُمَّتِي الْمَالُ
প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফিতনা রয়েছে এবং আমার উম্মতের ফিতনা হচ্ছে ধন-সম্পদ। [তিরমিযি হাদিস/ ২৩৩৬ হাসান ছহীহ, আহমাদ হা/১৭০১৭।]
কাব ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلَا فِي غَنَمٍ بِأَفْسَدَ لَهَا مِنْ حِرْصِ الْمَرْءِ عَلَى الْمَالِ وَالشَّرَفِ لِدِينِهِ
ছাগলের পালে দু’টি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে ছেড়ে দিলে ছাগলের যতটা ক্ষতি করে, তার চেয়ে মানুষের সম্পদ ও সম্মানের প্রতি লোভ-লালসা তার দ্বীনের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। [তিরমিযী হাদিস/ ২৩৭৬, আহমাদ হাদিস/১৫৩৫৭, দারেমী হাদিস/২৭৩০।]
তাই তো মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ بِاللّٰهِ الْغَرُوْرُ﴾
হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রম্নতি সত্য, সুতরাং দুনিয়ার জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে। (সূরা ফাত্বির ৩৫:৫)
আল্লাহ বলেন,
﴿وَالْاٰخِرَةُ خَيْرٌ وَّأَبْقٰى﴾
আখিরাত হল উত্তম ও চিরস্থায়ী। (সূরা আলা ৮৭:১৭)
অর্থাৎ আখিরাতে আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিদান দুনিয়ার চেয়ে উত্তম ও চিরস্থায়ী।
আল্লাহ বলেন,
﴿لَا يَمَسُّهُمْ فِيْهَا نَصَبٌ وَّمَا هُمْ مِّنْهَا بِمُخْرَجِيْنَ﴾
সেখানে তাদেরকে কোনরূপ বিষণ্ণতা স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না। (সূরা হিজর ১৫:৪৮)
যে ব্যক্তি দুনিয়ার ভোগ বিলাস অন্বেষণে লিপ্ত থাকে, আখিরাতকে সে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর যে আখিরাতের পাথেয় অন্বেষণে লিপ্ত থাকে, সে দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতএব তোমরা চিরস্থায়ী আখিরাতের জন্য ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করো। [আহমাদ, মিশকাত হা/৫১৭৯, সিলসিলা ছহীহাহ হা/ ৩২৮৭।]
আখিরাতের সুখ সম্ভার দুনিয়ার চেয়ে কত উত্তম সে বিষয়ে আল্লাহ বলেন,
﴿فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّاۤ أُخْفِيَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَآءً ۢبِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
কেউ জানে না তার কর্মের প্রতিদান হিসেবে কী কী চক্ষু শীতলকারী বস্ত্ত তার জন্য লুকিয়ে আছে। (সূরা সাজদাহ ৩২:১৭)
রাসূল ﷺ বলেছেন, আল্লাহ বলেন,
أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلَا خَطَرَ عَلٰى قَلْبِ بَشَرٍ
আমি আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন সুখ সম্ভার প্রস্ত্তত করে রেখেছি, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং মানুষের অন্তর কখনো কল্পনা করেনি। [বুখারী হা/৭৪৯৮, মুসলিম হা/২৮২৪, মিশকাত হা/৬৫১২।]
আখিরাতের সুখ-সম্ভোগই হলো প্রকৃত সুখ-সম্ভোগ। কাজেই তা পেতে দুনিয়ার নোংরা, অশ্লীল গান-বাজনা, সিনেমা, নাটক, পর্নোগ্রাফির সম্ভোগ ত্যাগ করা জরুরী।
إِنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ فِتْنَةٌ وَإِنَّ فِتْنَةُ أُمَّتِي الْمَالُ
প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফিতনা রয়েছে এবং আমার উম্মতের ফিতনা হচ্ছে ধন-সম্পদ। [তিরমিযি হাদিস/ ২৩৩৬ হাসান ছহীহ, আহমাদ হা/১৭০১৭।]
কাব ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلَا فِي غَنَمٍ بِأَفْسَدَ لَهَا مِنْ حِرْصِ الْمَرْءِ عَلَى الْمَالِ وَالشَّرَفِ لِدِينِهِ
ছাগলের পালে দু’টি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে ছেড়ে দিলে ছাগলের যতটা ক্ষতি করে, তার চেয়ে মানুষের সম্পদ ও সম্মানের প্রতি লোভ-লালসা তার দ্বীনের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। [তিরমিযী হাদিস/ ২৩৭৬, আহমাদ হাদিস/১৫৩৫৭, দারেমী হাদিস/২৭৩০।]
তাই তো মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ بِاللّٰهِ الْغَرُوْرُ﴾
হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রম্নতি সত্য, সুতরাং দুনিয়ার জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে। (সূরা ফাত্বির ৩৫:৫)
আল্লাহ বলেন,
﴿وَالْاٰخِرَةُ خَيْرٌ وَّأَبْقٰى﴾
আখিরাত হল উত্তম ও চিরস্থায়ী। (সূরা আলা ৮৭:১৭)
অর্থাৎ আখিরাতে আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিদান দুনিয়ার চেয়ে উত্তম ও চিরস্থায়ী।
আল্লাহ বলেন,
﴿لَا يَمَسُّهُمْ فِيْهَا نَصَبٌ وَّمَا هُمْ مِّنْهَا بِمُخْرَجِيْنَ﴾
সেখানে তাদেরকে কোনরূপ বিষণ্ণতা স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না। (সূরা হিজর ১৫:৪৮)
যে ব্যক্তি দুনিয়ার ভোগ বিলাস অন্বেষণে লিপ্ত থাকে, আখিরাতকে সে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর যে আখিরাতের পাথেয় অন্বেষণে লিপ্ত থাকে, সে দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতএব তোমরা চিরস্থায়ী আখিরাতের জন্য ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করো। [আহমাদ, মিশকাত হা/৫১৭৯, সিলসিলা ছহীহাহ হা/ ৩২৮৭।]
আখিরাতের সুখ সম্ভার দুনিয়ার চেয়ে কত উত্তম সে বিষয়ে আল্লাহ বলেন,
﴿فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّاۤ أُخْفِيَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَآءً ۢبِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ﴾
কেউ জানে না তার কর্মের প্রতিদান হিসেবে কী কী চক্ষু শীতলকারী বস্ত্ত তার জন্য লুকিয়ে আছে। (সূরা সাজদাহ ৩২:১৭)
রাসূল ﷺ বলেছেন, আল্লাহ বলেন,
أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلَا خَطَرَ عَلٰى قَلْبِ بَشَرٍ
আমি আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন সুখ সম্ভার প্রস্ত্তত করে রেখেছি, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং মানুষের অন্তর কখনো কল্পনা করেনি। [বুখারী হা/৭৪৯৮, মুসলিম হা/২৮২৪, মিশকাত হা/৬৫১২।]
আখিরাতের সুখ-সম্ভোগই হলো প্রকৃত সুখ-সম্ভোগ। কাজেই তা পেতে দুনিয়ার নোংরা, অশ্লীল গান-বাজনা, সিনেমা, নাটক, পর্নোগ্রাফির সম্ভোগ ত্যাগ করা জরুরী।
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ﴾
তোমরা কল্যাণকর বিষয়াদিতে প্রতিযোগিত করো। (সূরা মায়েদা ৫:৪৮)
আর তা হল জান্নাতের নেয়ামত। আল্লাহ অন্যত্র বলেন,
﴿وَفِيْ ذٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُوْنَ﴾
প্রতিযোগীরা এটা লাভের প্রতিযোগিতা করুক। (সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৬)
আল্লাহ বলেন,
﴿كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُوْرَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَاۤ إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ﴾
প্রতিটি জীবন মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে পূর্ণমাত্রায় বিনিময় দেয়া হবে। যে ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হল এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হল, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হল। (সূরা আল ইমরান ৩:১৮৫)
তাইতো মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَلْيَعْمَلِ الْعَامِلُوْنَ﴾
এমন সাফল্যের জন্যই পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত। (সূরা ছাফফাত ৩৭:৬১)
আল্লাহ বলেন,
﴿فَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَّرَهٗ ‐ وَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَّرَهٗ﴾
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলেও তা দেখতে পাবে। (সূরা যিলযাল ৯৯:৭-৮)
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন,
﴿يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ مِنْ خَيْرٍ مُّحْضَرًا وَّمَا عَمِلَتْ مِنْ سُوْٓءٍ تَوَدُّ لَوْ أَنَّ بَيْنَهَا وَبَيْنَهٗۤ أَمَدًا ۢبَعِيْدًا﴾
যেদিন প্রত্যেকে চোখের সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে যেসব ভাল কাজ সে করেছে এবং যা কিছু মন্দ কাজ সে করেছে। সেদিন সে কামনা করবে, যদি এসব কর্মের ও তার মধ্যকার ব্যবধান অনেক দূরের হতো (তাহলে কতই না ভাল হতো)। (সূরা আল ইমরান ৩:৩০)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿وَلَوْ تَرٰۤى إِذِ الْمُجْرِمُوْنَ نَاكِسُوْ رُءُوْسِهِمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ رَبَّنَاۤ أَبْصَرْنَا وَسَمِعْنَا فَارْجِعْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا إِنَّا مُوْقِنُوْنَ﴾
তুমি যদি দেখতে যখন অপরাধীরা তাদের প্রতিপালকের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে (আর বলবে), হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শোনলাম। কাজেই আমাদেরকে (দুনিয়াতে) আবার পাঠিয়ে দাও, আমরা কল্যাণমূলক কাজ করব, আমরা এখন দৃঢ় বিশ্বাসী।
(সূরা সাজদাহ ৩২:১২)
অতএব সেদিন শত কোটিবার কল্যাণকর কাজ করব বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেও কোন লাভ হবে না। আজই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে; হায়াত থাকতে নোংরামী বন্ধ করে কল্যাণকর কাজের দিকে ধাবিত হতে হবে। এ মর্মে আল্লাহর আরও একটি বাণী স্মরণযোগ্য,
﴿وَهُمْ يَصْطَرِخُوْنَ فِيْهَا رَبَّنَاۤ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِيْ كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَّا يَتَذَكَّرُ فِيْهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيْرُ فَذُوْقُوْا فَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ نَّصِيْرٍ﴾
সেখানে তারা চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে বের করুন, আমরা কল্যাণকর কাজ করব, আমরা যে কাজ করতাম তা করব না। (তখন আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা সময় দেইনি যে, তখন কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে চাইলে উপদেশ গ্রহণ করতে পারত? আর তোমাদের কাছে সতর্কবাণীও এসেছিল। কাজেই তোমরা শাস্তি ভোগ করো; যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা ফাতির ৩৫:৩৭)
﴿فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ﴾
তোমরা কল্যাণকর বিষয়াদিতে প্রতিযোগিত করো। (সূরা মায়েদা ৫:৪৮)
আর তা হল জান্নাতের নেয়ামত। আল্লাহ অন্যত্র বলেন,
﴿وَفِيْ ذٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُوْنَ﴾
প্রতিযোগীরা এটা লাভের প্রতিযোগিতা করুক। (সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৬)
আল্লাহ বলেন,
﴿كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُوْرَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَاۤ إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ﴾
প্রতিটি জীবন মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে পূর্ণমাত্রায় বিনিময় দেয়া হবে। যে ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হল এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হল, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হল। (সূরা আল ইমরান ৩:১৮৫)
তাইতো মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَلْيَعْمَلِ الْعَامِلُوْنَ﴾
এমন সাফল্যের জন্যই পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত। (সূরা ছাফফাত ৩৭:৬১)
আল্লাহ বলেন,
﴿فَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَّرَهٗ ‐ وَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَّرَهٗ﴾
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলেও তা দেখতে পাবে। (সূরা যিলযাল ৯৯:৭-৮)
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন,
﴿يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ مِنْ خَيْرٍ مُّحْضَرًا وَّمَا عَمِلَتْ مِنْ سُوْٓءٍ تَوَدُّ لَوْ أَنَّ بَيْنَهَا وَبَيْنَهٗۤ أَمَدًا ۢبَعِيْدًا﴾
যেদিন প্রত্যেকে চোখের সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে যেসব ভাল কাজ সে করেছে এবং যা কিছু মন্দ কাজ সে করেছে। সেদিন সে কামনা করবে, যদি এসব কর্মের ও তার মধ্যকার ব্যবধান অনেক দূরের হতো (তাহলে কতই না ভাল হতো)। (সূরা আল ইমরান ৩:৩০)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿وَلَوْ تَرٰۤى إِذِ الْمُجْرِمُوْنَ نَاكِسُوْ رُءُوْسِهِمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ رَبَّنَاۤ أَبْصَرْنَا وَسَمِعْنَا فَارْجِعْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا إِنَّا مُوْقِنُوْنَ﴾
তুমি যদি দেখতে যখন অপরাধীরা তাদের প্রতিপালকের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে (আর বলবে), হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শোনলাম। কাজেই আমাদেরকে (দুনিয়াতে) আবার পাঠিয়ে দাও, আমরা কল্যাণমূলক কাজ করব, আমরা এখন দৃঢ় বিশ্বাসী।
(সূরা সাজদাহ ৩২:১২)
অতএব সেদিন শত কোটিবার কল্যাণকর কাজ করব বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেও কোন লাভ হবে না। আজই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে; হায়াত থাকতে নোংরামী বন্ধ করে কল্যাণকর কাজের দিকে ধাবিত হতে হবে। এ মর্মে আল্লাহর আরও একটি বাণী স্মরণযোগ্য,
﴿وَهُمْ يَصْطَرِخُوْنَ فِيْهَا رَبَّنَاۤ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِيْ كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَّا يَتَذَكَّرُ فِيْهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيْرُ فَذُوْقُوْا فَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ نَّصِيْرٍ﴾
সেখানে তারা চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে বের করুন, আমরা কল্যাণকর কাজ করব, আমরা যে কাজ করতাম তা করব না। (তখন আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা সময় দেইনি যে, তখন কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে চাইলে উপদেশ গ্রহণ করতে পারত? আর তোমাদের কাছে সতর্কবাণীও এসেছিল। কাজেই তোমরা শাস্তি ভোগ করো; যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা ফাতির ৩৫:৩৭)
পৃথিবীতে যাবতীয় অন্যায়, পাপাচার, অশ্লীলতা, নোংরামী ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে মরণকে স্মরণ রাখা। কারণ যার মধ্যে মরণের চিন্তা কাজ করে, তার দ্বারা পাপাচারে লিপ্ত হওয়া সম্ভব নয়। কত যুবক-যুবতী মরণকে ভুলে সকাল-সন্ধ্যায় ইন্টারনেটের অশ্লীলতায় নিমগ্ন। অথচ তাদের অলক্ষেই মরণের কাফন প্রস্ত্তত হচ্ছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ﴾
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। সুতরাং যখন তাদের সময় আসবে তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব বা ত্বরান্বিত করতে পারবে না।
(সূরা আরাফ ৭:৩৪)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿وَلَنْ يُّؤَخِّرَ اللّٰهُ نَفْسًا إِذَا جَآءَ أَجَلُهَا وَاللّٰهُ خَبِيْرٌ ۢبِمَا تَعْمَلُوْنَ﴾
আল্লাহ কাউকে কখনো অবকাশ দেন না, যখন তার নির্ধারিত সময় এসে যায়। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩:১১)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ ثُمَّ إِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ﴾
প্রতিটি জীবনই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, অতঃপর তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সূরা আনুকাবুত ২৯:৫৭)
সুতরাং মৃত্যু থেকে পালানোর কোন সুযোগ নেই। সহসাই তা এসে যাবে যেখানে যে অবস্থায় থাকেন না কেন। আল্লাহর বাণী,
﴿قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِيْ تَفِرُّوْنَ مِنْهُ فَإِنَّهٗ مُلَاقِيْكُمْ ثُمَّ تُرَدُّوْنَ إِلٰى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ﴾
বলো! তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাচ্ছ তা অবশ্যই তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেই। অতঃপর তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে যা তোমরা করতে।
(সূরা জুমুআহ ৬২:৮)
কার মৃত্যু কখন কোথায় ঘটবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَا تَدْرِيْ نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَّمَا تَدْرِيْ نَفْسٌ ۢبِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوْتُ﴾
কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে তার মৃত্যু ঘটবে। (সূরা লুকমান ৩১:৩৪)
عَنْ أَنَسٍ قَالَ خَطَّ النَّبِيُّ خُطُوطًا فَقَالَ هٰذَا الْأَمَلُ وَهٰذَا أَجَلُهٗ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذٰلِكَ إِذْ جَاءَهُ الْخَطُّ الْأَقْرَبُ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী ﷺ কয়েকটি রেখা আঁকলেন এবং বললেন, এটা হল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং এটা হল তার জীবনের নির্দিষ্ট মেয়াদ (মৃত্যু)। সে এ অবস্থার মধ্যেই থাকে এবং হঠাৎ নিকটবর্তী রেখা (মৃত্যু) এসে পড়ে। [বুখারী হাদিস/৬৪১৮, তিরমিযি হাদিস/২৩৩৪, ইবনু মাজাহ ৪২৩২ আহমাদ হাদিস/১১৮২৯।]
প্রিয় পাঠক! হঠাৎ মৃত্যু এসে যাবে, জীবন প্রদীপ চিরদিনের জন্য নিভে যাবে।
মরণকে স্মরণ করে দুনিয়াতে নোংরা, অশ্লীল গান-বাজনা পর্নোগ্রাফির সাথে জড়িত- এমন লোকদের সাথী হয়ো না। নতুবা আফসোস করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿حَتّٰۤى إِذَا جَآءَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ رَبِّ ارْجِعُوْنِ ‐ لَعَلِّيْۤ أَعْمَلُ صَالِحًا فِيْمَا تَرَكْتُ﴾
এমনকি যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু এসে হাজির হয় তখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার (দুনিয়াতে) পাঠিয়ে দাও যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি করিনি। (সূরা মুমিনুন ২৩:৯৯-১০০)
﴿وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ﴾
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। সুতরাং যখন তাদের সময় আসবে তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব বা ত্বরান্বিত করতে পারবে না।
(সূরা আরাফ ৭:৩৪)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿وَلَنْ يُّؤَخِّرَ اللّٰهُ نَفْسًا إِذَا جَآءَ أَجَلُهَا وَاللّٰهُ خَبِيْرٌ ۢبِمَا تَعْمَلُوْنَ﴾
আল্লাহ কাউকে কখনো অবকাশ দেন না, যখন তার নির্ধারিত সময় এসে যায়। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩:১১)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ ثُمَّ إِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ﴾
প্রতিটি জীবনই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, অতঃপর তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সূরা আনুকাবুত ২৯:৫৭)
সুতরাং মৃত্যু থেকে পালানোর কোন সুযোগ নেই। সহসাই তা এসে যাবে যেখানে যে অবস্থায় থাকেন না কেন। আল্লাহর বাণী,
﴿قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِيْ تَفِرُّوْنَ مِنْهُ فَإِنَّهٗ مُلَاقِيْكُمْ ثُمَّ تُرَدُّوْنَ إِلٰى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ﴾
বলো! তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাচ্ছ তা অবশ্যই তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেই। অতঃপর তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে যা তোমরা করতে।
(সূরা জুমুআহ ৬২:৮)
কার মৃত্যু কখন কোথায় ঘটবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَا تَدْرِيْ نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَّمَا تَدْرِيْ نَفْسٌ ۢبِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوْتُ﴾
কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে তার মৃত্যু ঘটবে। (সূরা লুকমান ৩১:৩৪)
عَنْ أَنَسٍ قَالَ خَطَّ النَّبِيُّ خُطُوطًا فَقَالَ هٰذَا الْأَمَلُ وَهٰذَا أَجَلُهٗ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذٰلِكَ إِذْ جَاءَهُ الْخَطُّ الْأَقْرَبُ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী ﷺ কয়েকটি রেখা আঁকলেন এবং বললেন, এটা হল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং এটা হল তার জীবনের নির্দিষ্ট মেয়াদ (মৃত্যু)। সে এ অবস্থার মধ্যেই থাকে এবং হঠাৎ নিকটবর্তী রেখা (মৃত্যু) এসে পড়ে। [বুখারী হাদিস/৬৪১৮, তিরমিযি হাদিস/২৩৩৪, ইবনু মাজাহ ৪২৩২ আহমাদ হাদিস/১১৮২৯।]
প্রিয় পাঠক! হঠাৎ মৃত্যু এসে যাবে, জীবন প্রদীপ চিরদিনের জন্য নিভে যাবে।
মরণকে স্মরণ করে দুনিয়াতে নোংরা, অশ্লীল গান-বাজনা পর্নোগ্রাফির সাথে জড়িত- এমন লোকদের সাথী হয়ো না। নতুবা আফসোস করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿حَتّٰۤى إِذَا جَآءَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ رَبِّ ارْجِعُوْنِ ‐ لَعَلِّيْۤ أَعْمَلُ صَالِحًا فِيْمَا تَرَكْتُ﴾
এমনকি যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু এসে হাজির হয় তখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার (দুনিয়াতে) পাঠিয়ে দাও যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি করিনি। (সূরা মুমিনুন ২৩:৯৯-১০০)
অধিকাংশ পর্নোভোক্তা হল মানসিক রুগী। আর মানসিক রুগীর মহা ঔষধ হল পবিত্র কুরআন পাঠ করা ও আমল করা। অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ وَلَا يَزِيْدُ الظَّالِمِيْنَ إِلَّا خَسَارًا﴾
আর আমি কুরআন নাযিল করেছি, যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমতস্বরূপ। কিন্তু পাপীদের জন্য তো কেবল ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (সূরা আল ইমরান ১৭:৮২)
কাজেই টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে এবং বিলবোর্ডের পর্নোগ্রাফি দেখা রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র মাধ্যম হলো কুরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿وَيَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ﴾
(আল্লাহ নির্দেশ দেন) তোমাদেরকে (যাবতীয়) অশ্লীল ও অসঙ্গত অপকর্ম থেকে বেঁচে থাকার। (সূরা নাহল ১৬:৯০)
অন্যত্র কুরআন উপদেশ দিচ্ছে-
﴿قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ﴾
(হে নবী!) তুমি বলে দাও, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন- প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব ধরনের অশ্লীলতা ও পাপকর্ম, অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ।
(সূরা আরাফ ৭:৩৩)
আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, (আল্লাহ তা‘আলা) حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ হারাম করেছেন প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সকল ধরনের অশ্লীলতাকে। [বুখারী হাদিস/৬৮৪৬, মুসলিম হাদিস/১৪৯৯।]
﴿وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ وَلَا يَزِيْدُ الظَّالِمِيْنَ إِلَّا خَسَارًا﴾
আর আমি কুরআন নাযিল করেছি, যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমতস্বরূপ। কিন্তু পাপীদের জন্য তো কেবল ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (সূরা আল ইমরান ১৭:৮২)
কাজেই টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে এবং বিলবোর্ডের পর্নোগ্রাফি দেখা রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র মাধ্যম হলো কুরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿وَيَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ﴾
(আল্লাহ নির্দেশ দেন) তোমাদেরকে (যাবতীয়) অশ্লীল ও অসঙ্গত অপকর্ম থেকে বেঁচে থাকার। (সূরা নাহল ১৬:৯০)
অন্যত্র কুরআন উপদেশ দিচ্ছে-
﴿قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ﴾
(হে নবী!) তুমি বলে দাও, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন- প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব ধরনের অশ্লীলতা ও পাপকর্ম, অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ।
(সূরা আরাফ ৭:৩৩)
আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, (আল্লাহ তা‘আলা) حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ হারাম করেছেন প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সকল ধরনের অশ্লীলতাকে। [বুখারী হাদিস/৬৮৪৬, মুসলিম হাদিস/১৪৯৯।]
জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বহু বৈধ-অবৈধ বিষয় মানুষ জানতে পারে ইসলামের বিধি-বিধান জানার মাধ্যমে। ইসলামই মানবতার একমাত্র সমাধান। তাই আল্লাহ বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَّلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।
(সূরা বাক্বারা ২:২০৮)
ধর্মীয় ও বৈষয়িক উভয় জীবনে ইসলামের অনুসরণ করতে হবে।
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَّلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।
(সূরা বাক্বারা ২:২০৮)
ধর্মীয় ও বৈষয়িক উভয় জীবনে ইসলামের অনুসরণ করতে হবে।
সালাত এমন এক ইবাদত যা আদায় করা ব্যতীত মানুষ মুসলিম থাকে না। সালাতই পারে মানুষকে প্রকৃত মুসলিম বানাতে, শান্তি ও সকল প্রকার পর্নোগ্রাফির অশ্লীলতা ও নোংরামী থেকে হেফাযত করতে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ﴾
নিশ্চয় সালাত সকল অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবূত ২৯:৪৫)
জুন্দুব ইবনে সুফইয়ান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِى ذِمَّةِ اللّٰهِ
যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করল, সে আল্লাহর জামানত লাভ করল। [মুসলিম হা/ ৬৩৪, নাসাঈ হাদিস/৪৭১, আবু দাউদ হা/৪২৭, আহমাদ ১৬৭৯।]
অনুরূপভাবে একনিষ্ঠভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার মাধ্যমে মানুষ শয়তানের যাবতীয় নোংরামী ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাবে। তাই সালাত আদায়ে ব্রত হওয়া জরুরী।
﴿إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ﴾
নিশ্চয় সালাত সকল অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবূত ২৯:৪৫)
জুন্দুব ইবনে সুফইয়ান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন,
مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِى ذِمَّةِ اللّٰهِ
যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করল, সে আল্লাহর জামানত লাভ করল। [মুসলিম হা/ ৬৩৪, নাসাঈ হাদিস/৪৭১, আবু দাউদ হা/৪২৭, আহমাদ ১৬৭৯।]
অনুরূপভাবে একনিষ্ঠভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার মাধ্যমে মানুষ শয়তানের যাবতীয় নোংরামী ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাবে। তাই সালাত আদায়ে ব্রত হওয়া জরুরী।
মহানবী ﷺ বলেন,
اَلصَّبْرُ ضِيَاءٌ
ধৈর্য হল আলো। [বুখারী হাদিস/২২৩, মুসলিম হাদিস/৩৫১৭, ইবনু মাজাহ হাদিস/২৮০, আহমাদ হাদিস/২২৩৯৫।]
সেই ধৈর্যের আলো জ্বেলে হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ ও অন্তর-আত্মাকে পাপ থেকে পবিত্র রাখতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا﴾
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ করো এবং ধৈর্যধারণের প্রতিযোগিতা করো। (সূরা আল ইমরান ৩:২০০)
আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
﴿وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوٰى ‐ فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوٰى﴾
যে স্বীয় প্রতিপালকের সামানে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং খেয়াল-খুশি হতে মনকে বিরত রাখে, অবশ্যই জান্নাত হবে তার আবাসস্থল। (সূরা নাযিআত ৭৯:৪০-৪১)
اَلصَّبْرُ ضِيَاءٌ
ধৈর্য হল আলো। [বুখারী হাদিস/২২৩, মুসলিম হাদিস/৩৫১৭, ইবনু মাজাহ হাদিস/২৮০, আহমাদ হাদিস/২২৩৯৫।]
সেই ধৈর্যের আলো জ্বেলে হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ ও অন্তর-আত্মাকে পাপ থেকে পবিত্র রাখতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا﴾
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ করো এবং ধৈর্যধারণের প্রতিযোগিতা করো। (সূরা আল ইমরান ৩:২০০)
আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,
﴿وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوٰى ‐ فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوٰى﴾
যে স্বীয় প্রতিপালকের সামানে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং খেয়াল-খুশি হতে মনকে বিরত রাখে, অবশ্যই জান্নাত হবে তার আবাসস্থল। (সূরা নাযিআত ৭৯:৪০-৪১)
আল্লাহকে স্মরণ রাখুন। তিনি আপনার সকল কর্ম সম্পর্কে অবগত,
﴿وَمَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ﴾
তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে বেখেয়াল নন। (সূরা বাক্বারা ২:৭৪)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿إِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرًا﴾
তোমরা যা কিছু কর, সে বিষয়ে আল্লাহ বিশেষভাবে অবহিত। (সূরা নিসা ৪:৯৪)
জেনে রাখুন! আল্লাহ আপনার সকল কর্ম দেখেন ও শুনেন। আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّ اللّٰهَ كَانَ سَمِيْعًا ۢبَصِيْرًا﴾
নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন। (সূরা নিসা ৪:৫৮)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿يَعْلَمُ خَآئِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُوْرُ﴾
আল্লাহ চক্ষুর গোপন চাহনি সম্পর্কে অবগত আর অন্তর যা গোপন করে সে সম্পর্কেও। (সূরা মুমিন ৪০:১৯)
প্রিয় বন্ধু! স্মরণ রেখো, মূলত শয়তানই মানুষের উপর প্রভাব খাটিয়ে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত রাখছে। এ ক্ষেত্রে সে আধুনিক প্রযুক্তি তথা মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি ও ইন্টারনেট এবং মদ, জুয়া ইত্যাদিকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ﴾
নিশ্চয় শয়তান মদ আর জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মাঝে শত্রুতা বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে, আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায়; কাজেই তোমরা কি এগুলো থেকে বিরত হবে না? (সূরা মায়েদা ৫:৯১)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللّٰهِ أُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ أَلَاۤ إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ﴾
শয়তান তাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে বসেছে আর তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। জেনে রেখো! শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুজাদালাহ ৫৮:১৯)
প্রিয় বন্ধু! আশা করি আপনি আল্লাহর স্মরণ ভুলে গুমরাহী ও শয়তানের দলভুক্ত হয়ে চিরজাহান্নামী হবেন না। আপনি ওদের অন্তর্ভুক্ত হোন যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
﴿رِجَالٌ لَّا تُلْهِيْهِمْ تِجَارَةٌ وَّلَا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيْتَآءِ الزَّكَاةِ يَخَافُوْنَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْأَبْصَارُ﴾
এমন লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, সালাত কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে। (সূরা নূর ২৪:৩৭)
আসুন আমরা আল্লাহর স্মরণের জন্য অশ্লীলতা দেখা থেকে বিরত থাকি এবং আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হই।
﴿وَمَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ﴾
তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে বেখেয়াল নন। (সূরা বাক্বারা ২:৭৪)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿إِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرًا﴾
তোমরা যা কিছু কর, সে বিষয়ে আল্লাহ বিশেষভাবে অবহিত। (সূরা নিসা ৪:৯৪)
জেনে রাখুন! আল্লাহ আপনার সকল কর্ম দেখেন ও শুনেন। আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّ اللّٰهَ كَانَ سَمِيْعًا ۢبَصِيْرًا﴾
নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন। (সূরা নিসা ৪:৫৮)
আল্লাহ আরো বলেন,
﴿يَعْلَمُ خَآئِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُوْرُ﴾
আল্লাহ চক্ষুর গোপন চাহনি সম্পর্কে অবগত আর অন্তর যা গোপন করে সে সম্পর্কেও। (সূরা মুমিন ৪০:১৯)
প্রিয় বন্ধু! স্মরণ রেখো, মূলত শয়তানই মানুষের উপর প্রভাব খাটিয়ে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত রাখছে। এ ক্ষেত্রে সে আধুনিক প্রযুক্তি তথা মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি ও ইন্টারনেট এবং মদ, জুয়া ইত্যাদিকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ﴾
নিশ্চয় শয়তান মদ আর জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মাঝে শত্রুতা বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে, আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায়; কাজেই তোমরা কি এগুলো থেকে বিরত হবে না? (সূরা মায়েদা ৫:৯১)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللّٰهِ أُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ أَلَاۤ إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ﴾
শয়তান তাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে বসেছে আর তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। জেনে রেখো! শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুজাদালাহ ৫৮:১৯)
প্রিয় বন্ধু! আশা করি আপনি আল্লাহর স্মরণ ভুলে গুমরাহী ও শয়তানের দলভুক্ত হয়ে চিরজাহান্নামী হবেন না। আপনি ওদের অন্তর্ভুক্ত হোন যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
﴿رِجَالٌ لَّا تُلْهِيْهِمْ تِجَارَةٌ وَّلَا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيْتَآءِ الزَّكَاةِ يَخَافُوْنَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْأَبْصَارُ﴾
এমন লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, সালাত কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে। (সূরা নূর ২৪:৩৭)
আসুন আমরা আল্লাহর স্মরণের জন্য অশ্লীলতা দেখা থেকে বিরত থাকি এবং আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হই।
মুসলিমদের কোন অবসর সময় নেই, যে সময়ে সে পর্নোগ্রাফি দেখবে। পার্থিব কাজ না থাকলে সে পরকালীন কাজে ব্যস্ত থাকবে। আল্লাহ বলেন,
﴿ فَإِذَا فَرَغْتَ فَانْصَبْ ‐ وَإِلٰى رَبِّكَ فَارْغَبْ﴾
অতঃপর যখনই তুমি অবসর পাবে, ইবাদতের কঠোর শ্রমে লেগে যাবে এবং তোমার রবের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগ দিবে। (সূরা নাশরাহ ৯৪:৭-৮)
﴿ فَإِذَا فَرَغْتَ فَانْصَبْ ‐ وَإِلٰى رَبِّكَ فَارْغَبْ﴾
অতঃপর যখনই তুমি অবসর পাবে, ইবাদতের কঠোর শ্রমে লেগে যাবে এবং তোমার রবের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগ দিবে। (সূরা নাশরাহ ৯৪:৭-৮)
শয়তানই মূলত মানুষকে নির্লজ্জতার দিকে আহবান করে। শয়তানের অনুসারী নির্লজ্জ মানুষগুলো আজ টিভিতে, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফির নোংরামী অবলোকন করছে। মনে হচ্ছে যেন মুসলিমরা তাদের লজ্জা শয়তানের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছে। আল্লার রাসূল ﷺ বলেন,
إِذَا لَمْ تَسْتَحْيِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ
যখন তোমার লজ্জা থাকে না তখন যা ইচ্ছা তাই করতে পার। [বুখারী হা/৩৪৮৪, আবু দাউদ হা/৪৭৯৯।]
বলা বাহুল্য নিশ্চয় লজ্জাহীনতার পাপ, মান-সম্মান ও ইজ্জত নষ্টের কারণ। তাই ইসলাম স্ব-ইজ্জত ও অপরের ইজ্জত নষ্ট করতে নিষেধ করেছে। আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুবক গোলাম এসে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ব্যভিচার করার অনুমতি দিন। তার কথা শুনে লোকেরা চিৎকার দিয়ে উঠল। কিন্তু নবী ﷺ বললেন, তোমরা চুপ করো এবং তাকে জায়গা দাও। তারপর তিনি তাকে বললেন, কাছে এসো। সে কাছে আসতে আসতে একেবারে রাসূল ﷺ এর সামনে গিয়ে বসল। রাসূল ﷺ তাকে বললেন, তুমি কি তোমার মায়ের জন্য যেনা করা ভাল মনে কর? সে বলল, না। তিনি বললেন, অনুরূপভাবে সকল লোকই তাদের মায়ের জন্য এ কাজ ভালো মনে করে না। তোমার মেয়ের জন্য কি তা ভালোবাস? সে বলল, না। তিনি বললেন, এমনিভাবে সকলেই তার মেয়ের জন্য এ কাজ ভালোবাসে না। তোমার বোনের জন্য, তোমার ফুফুর জন্য এ কাজ ভালোবাস? সে বলল, না। তিনি বললেন, একইভাবে সকল লোকই তার বোনের সাথে, ফুফুর সাথে তা অপছন্দ করে। অতঃপর রাসূল্লাহ ﷺ তাঁর হাত তার বুকের উপর রেখে বললেন, হে আল্লাহ! তার পাপ মোচন করে দাও, তার কলব পবিত্র করে দাও এবং তার লজ্জাস্থানের হেফাযত করো। [সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৭০।]
إِذَا لَمْ تَسْتَحْيِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ
যখন তোমার লজ্জা থাকে না তখন যা ইচ্ছা তাই করতে পার। [বুখারী হা/৩৪৮৪, আবু দাউদ হা/৪৭৯৯।]
বলা বাহুল্য নিশ্চয় লজ্জাহীনতার পাপ, মান-সম্মান ও ইজ্জত নষ্টের কারণ। তাই ইসলাম স্ব-ইজ্জত ও অপরের ইজ্জত নষ্ট করতে নিষেধ করেছে। আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুবক গোলাম এসে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ব্যভিচার করার অনুমতি দিন। তার কথা শুনে লোকেরা চিৎকার দিয়ে উঠল। কিন্তু নবী ﷺ বললেন, তোমরা চুপ করো এবং তাকে জায়গা দাও। তারপর তিনি তাকে বললেন, কাছে এসো। সে কাছে আসতে আসতে একেবারে রাসূল ﷺ এর সামনে গিয়ে বসল। রাসূল ﷺ তাকে বললেন, তুমি কি তোমার মায়ের জন্য যেনা করা ভাল মনে কর? সে বলল, না। তিনি বললেন, অনুরূপভাবে সকল লোকই তাদের মায়ের জন্য এ কাজ ভালো মনে করে না। তোমার মেয়ের জন্য কি তা ভালোবাস? সে বলল, না। তিনি বললেন, এমনিভাবে সকলেই তার মেয়ের জন্য এ কাজ ভালোবাসে না। তোমার বোনের জন্য, তোমার ফুফুর জন্য এ কাজ ভালোবাস? সে বলল, না। তিনি বললেন, একইভাবে সকল লোকই তার বোনের সাথে, ফুফুর সাথে তা অপছন্দ করে। অতঃপর রাসূল্লাহ ﷺ তাঁর হাত তার বুকের উপর রেখে বললেন, হে আল্লাহ! তার পাপ মোচন করে দাও, তার কলব পবিত্র করে দাও এবং তার লজ্জাস্থানের হেফাযত করো। [সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৭০।]
অনেক মুসলিম ভাই-বোনের নোংরা পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস আছে। প্রিয় ভাই ও বোন! এই নোংরা অবস্থা থেকে আপনাকে ফিরে আসতে হবে। আর এজন্য আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে। আল্লাহ বলছেন,
﴿إِنَّ اللّٰهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتّٰى يُغَيِّرُوْا مَا بِأَنْفُسِهِمْ﴾
নিশ্চয় আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরাই নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। (সূরা রাদ ১৩:১১)
﴿إِنَّ اللّٰهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتّٰى يُغَيِّرُوْا مَا بِأَنْفُسِهِمْ﴾
নিশ্চয় আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরাই নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। (সূরা রাদ ১৩:১১)
মুসলিমদের জান-মালের শত্রু হচ্ছে ইয়াহুদী-খ্রিস্টান। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارٰۤى أَوْلِيَآءَ﴾
হে মুমিগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।
(সূরা মায়েদা ৫:৫১)
ইহুদি ও খ্রিস্টানরা চিরদিনই ইসলাম ও মুসলিমদেরকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করার অপতৎপরতায় মেতে আছে। মরণাস্ত্রের প্রয়োগ ও তার হুমকি দিয়ে মুসলিমদেরকে দমিয়ে রেখেছে। বর্তমানে মুসলিমদেরকে ধ্বংস করার জন্য অত্যাধুনিক মরণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নামে বেনামে মাদকদ্রব্য ও অশ্লীল পর্নোগ্রাফি। সুন্দরী নারীর নগ্ন-অর্ধনগ্ন ও সেক্সুয়াল দৃশ্য তৈরি করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মুর্হূতের মধ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে মুসলিম বিশ্বে। ভাসমান পতিতায় পরিণত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। [(ক্রুসেড ৪র্থ খন্ড, পৃ. ৪, প্রীতি প্রকাশনী, সপ্তম মুদ্রণ)]
মুসলিম তুমি মনে রেখো! তোমার রব শিখিয়েছেন,
﴿غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ﴾
তাদের পথে পরিচালিত করো না, যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট। (সূরা ফাতিহা ১:৭)
অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্টতার পরিচয় তুলে ধরে রাসূল ﷺ বলেন,
هُمُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارٰى
তারা হল ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান। [তিরমিযি হা/২৯৫৪, সহীহুল জামে হা/৮২০২।]
প্রতি রাকাত সালাতে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। সালাত শেষে আবার তাদের তৈরিকৃত নোংরামীতে নিমগ্ন হচ্ছি। ছিঃ ছিঃ কত অসচেতন মুসলিম জাতি!
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارٰۤى أَوْلِيَآءَ﴾
হে মুমিগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।
(সূরা মায়েদা ৫:৫১)
ইহুদি ও খ্রিস্টানরা চিরদিনই ইসলাম ও মুসলিমদেরকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করার অপতৎপরতায় মেতে আছে। মরণাস্ত্রের প্রয়োগ ও তার হুমকি দিয়ে মুসলিমদেরকে দমিয়ে রেখেছে। বর্তমানে মুসলিমদেরকে ধ্বংস করার জন্য অত্যাধুনিক মরণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নামে বেনামে মাদকদ্রব্য ও অশ্লীল পর্নোগ্রাফি। সুন্দরী নারীর নগ্ন-অর্ধনগ্ন ও সেক্সুয়াল দৃশ্য তৈরি করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মুর্হূতের মধ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে মুসলিম বিশ্বে। ভাসমান পতিতায় পরিণত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। [(ক্রুসেড ৪র্থ খন্ড, পৃ. ৪, প্রীতি প্রকাশনী, সপ্তম মুদ্রণ)]
মুসলিম তুমি মনে রেখো! তোমার রব শিখিয়েছেন,
﴿غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ﴾
তাদের পথে পরিচালিত করো না, যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট। (সূরা ফাতিহা ১:৭)
অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্টতার পরিচয় তুলে ধরে রাসূল ﷺ বলেন,
هُمُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارٰى
তারা হল ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান। [তিরমিযি হা/২৯৫৪, সহীহুল জামে হা/৮২০২।]
প্রতি রাকাত সালাতে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। সালাত শেষে আবার তাদের তৈরিকৃত নোংরামীতে নিমগ্ন হচ্ছি। ছিঃ ছিঃ কত অসচেতন মুসলিম জাতি!
শয়তানই মানুষকে অশ্লীলতার নির্দেশ দেয়। আল্লাহ বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ وَمَنْ يَّتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهٗ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে সে তাকে নির্লজ্জতা ও অপকর্মের নির্দেশ দেয়। (সূরা নূর ২৪:২১)
তাই শয়তানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য নিমেণর আমলগুলো করা জরুরী।
১. বাসায় প্রবেশ সময় সালাম দিয়ে প্রবেশ করবে।
২. বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বলবে:
بِسْمِ اللّٰهِ تَوَكّلْتُ عَلَى اللّٰهِ ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوّةَ إلَّا بِاللّٰهِ
দু’আটি পাঠ করা। এছাড়া বাড়িতে সূরা বাক্বারা পাঠ করা; বিশেষভাবে ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা; আর পর্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করা। [মুসলিম হাদিস/২০১৮, তিরমিযী হাদিস/ ৩৪২২, ৩৪২৬, বুখারী হাদিস/২৩১১, দারেমী হাদিস/ ৩৪২৪।]
৩. সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস ও বিশেষভাবে তিন বার পাঠ করবে :
৪. নিমেণর দু‘আটি তিন বার পাঠ করবে। উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করে, তাহলে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।
بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْءٌ فِي الْاَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ
ঐ আল্লাহর নামে আমি শুরু করছি, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোন বস্তু ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৬২; আবু দাঊদ, হা/৫০৮৮; তিরমিযী, হা/৩৩৮৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৯। মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১৮৯৫।]
৫. নিমেণর দু‘আটি তিন বার পাঠ করবে।
اَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ
আমি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি তাঁর সম্মানিত চেহারার মাধ্যমে এবং তাঁর চিরন্তন প্রতাপের মাধ্যমে বিতাড়িত শয়তান থেকে। [আবু দাউদ, হা/৪৬৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬০৬; মিশকাত, হা/৭৪৯।]
দু‘আগুলো পাঠ করা যা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষাকবচ হবে إنشاء الله -
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ وَمَنْ يَّتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهٗ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে সে তাকে নির্লজ্জতা ও অপকর্মের নির্দেশ দেয়। (সূরা নূর ২৪:২১)
তাই শয়তানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য নিমেণর আমলগুলো করা জরুরী।
১. বাসায় প্রবেশ সময় সালাম দিয়ে প্রবেশ করবে।
২. বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বলবে:
بِسْمِ اللّٰهِ تَوَكّلْتُ عَلَى اللّٰهِ ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوّةَ إلَّا بِاللّٰهِ
দু’আটি পাঠ করা। এছাড়া বাড়িতে সূরা বাক্বারা পাঠ করা; বিশেষভাবে ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা; আর পর্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করা। [মুসলিম হাদিস/২০১৮, তিরমিযী হাদিস/ ৩৪২২, ৩৪২৬, বুখারী হাদিস/২৩১১, দারেমী হাদিস/ ৩৪২৪।]
৩. সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস ও বিশেষভাবে তিন বার পাঠ করবে :
৪. নিমেণর দু‘আটি তিন বার পাঠ করবে। উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করে, তাহলে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।
بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْءٌ فِي الْاَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ
ঐ আল্লাহর নামে আমি শুরু করছি, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোন বস্তু ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৬২; আবু দাঊদ, হা/৫০৮৮; তিরমিযী, হা/৩৩৮৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৯। মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১৮৯৫।]
৫. নিমেণর দু‘আটি তিন বার পাঠ করবে।
اَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ
আমি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি তাঁর সম্মানিত চেহারার মাধ্যমে এবং তাঁর চিরন্তন প্রতাপের মাধ্যমে বিতাড়িত শয়তান থেকে। [আবু দাউদ, হা/৪৬৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬০৬; মিশকাত, হা/৭৪৯।]
দু‘আগুলো পাঠ করা যা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষাকবচ হবে إنشاء الله -
যেসব নারীদের দিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি করা হচ্ছে তার চেয়ে জান্নাতী নারী কত সুন্দরী, কত নরম, কত শান্তি-তৃপ্তিদানকারী। তারা হবে চিরকুমারি, অনন্ত যৌবনা, সুনয়না, পদ্মরাগ-সদৃশ, অফুরন্ত রূপসী। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَعِنْدَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِيْنٌ ‐ كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُوْنٌ﴾
তাদের (জান্নাতীদের) সঙ্গে থাকবে সংযত নয়না, সতীসাধ্বী, ডাগর ডাগর সুন্দর চক্ষু বিশিষ্ট সুন্দরীরা, তারা যেন সযত্নে ঢেকে রাখা ডিম।
(সূরা আস-সফফাত ৩৭:৪৮-৪৯)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمْ زَوْجَتَانِ مِنَ الْحُوْرِ الْعَيْنِ يُرٰى مُخُّ سُوْقِهِنَّ مِنْ وَّرَاءِ الْعَظْمِ وَاللَّحْمِ مِنَ الْحُسْنِ
তাদের প্রত্যেকের জন্য বিশেষ হুরদের মধ্য থেকে দু’জন দু’জন করে স্ত্রী থাকবে। বেশি সুন্দরী হওয়ার কারণে তাদের হাড় ও গোশতের উপর দিয়ে নলার ভেতরের মজ্জা দেখা যাবে। [বুখারী হা/ ৩৩২৭, কিতাবুল আম্বিয়া, মুসলিম হা/ ২৮৩৪, মিশকাত হা/ ৫৬১৯।]
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ ﷺ ঐ সকল স্ত্রীদের সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করে বলেন,
وَلَوْ أَنَّ امْرَأَةً مِّنْ نِّسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ اطَّلَعَتْ إِلَى الْأَرْضِ لَأَضَاءَتْ مَا بَيْنَهُمَا
যদি জান্নাতী কোন নারী দুনিয়াবাসীর দিকে তাকাত, তাহলে দুনিয়াতে যা আছে সব আলোকিত হয়ে যেত। [বুখারী হা/ ৬৫৬৮,৬১৯৯; কিতাবুল জিহাদ; হুরদের গুণাবলী, অনুচ্ছেদ, তিরমিযী হা/ ১৬৫১।]
হে যুবক! এমন স্ত্রী গ্রহণের প্রস্তুতি নাও, যে কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবে না এবং সর্বদা তোমাকে সন্তুষ্ট রাখবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَهُمْ فِيْهَاۤ أَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ وَّهُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ﴾
সেখানে থাকবে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী, তারা সেখানে (তাদের সাথে) চিরস্থায়ী থাকবে। (সূরা বাকারা ২:২৫)
চিরস্থায়ী এসব স্ত্রীগণ গানের সুরে বলবে, ‘‘আমরা সেই চিরস্থায়ী রমণী, যারা কখনই মারা যাব না; আমরা সেই নিরাপদ রমণী, যারা কখনো ভয় পাব না; আমরা সেই স্থায়ী বসবাসকারিণী, যারা কখনই চলে যাব না।’’
তারা আরো বলবে, ‘‘আমরা চিরদিন থাকব, কখনও ধ্বংস হব না; আমরা সর্বদা সুখে-স্বাচ্ছন্দে বসবাস করব, কখনও দুঃখ-দুশ্চিন্তায় পতিত হব না। অতএব চির ধন্য তিনি, যার জন্য আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি।’’
﴿وَعِنْدَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِيْنٌ ‐ كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُوْنٌ﴾
তাদের (জান্নাতীদের) সঙ্গে থাকবে সংযত নয়না, সতীসাধ্বী, ডাগর ডাগর সুন্দর চক্ষু বিশিষ্ট সুন্দরীরা, তারা যেন সযত্নে ঢেকে রাখা ডিম।
(সূরা আস-সফফাত ৩৭:৪৮-৪৯)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمْ زَوْجَتَانِ مِنَ الْحُوْرِ الْعَيْنِ يُرٰى مُخُّ سُوْقِهِنَّ مِنْ وَّرَاءِ الْعَظْمِ وَاللَّحْمِ مِنَ الْحُسْنِ
তাদের প্রত্যেকের জন্য বিশেষ হুরদের মধ্য থেকে দু’জন দু’জন করে স্ত্রী থাকবে। বেশি সুন্দরী হওয়ার কারণে তাদের হাড় ও গোশতের উপর দিয়ে নলার ভেতরের মজ্জা দেখা যাবে। [বুখারী হা/ ৩৩২৭, কিতাবুল আম্বিয়া, মুসলিম হা/ ২৮৩৪, মিশকাত হা/ ৫৬১৯।]
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ ﷺ ঐ সকল স্ত্রীদের সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করে বলেন,
وَلَوْ أَنَّ امْرَأَةً مِّنْ نِّسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ اطَّلَعَتْ إِلَى الْأَرْضِ لَأَضَاءَتْ مَا بَيْنَهُمَا
যদি জান্নাতী কোন নারী দুনিয়াবাসীর দিকে তাকাত, তাহলে দুনিয়াতে যা আছে সব আলোকিত হয়ে যেত। [বুখারী হা/ ৬৫৬৮,৬১৯৯; কিতাবুল জিহাদ; হুরদের গুণাবলী, অনুচ্ছেদ, তিরমিযী হা/ ১৬৫১।]
হে যুবক! এমন স্ত্রী গ্রহণের প্রস্তুতি নাও, যে কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবে না এবং সর্বদা তোমাকে সন্তুষ্ট রাখবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَهُمْ فِيْهَاۤ أَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ وَّهُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ﴾
সেখানে থাকবে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী, তারা সেখানে (তাদের সাথে) চিরস্থায়ী থাকবে। (সূরা বাকারা ২:২৫)
চিরস্থায়ী এসব স্ত্রীগণ গানের সুরে বলবে, ‘‘আমরা সেই চিরস্থায়ী রমণী, যারা কখনই মারা যাব না; আমরা সেই নিরাপদ রমণী, যারা কখনো ভয় পাব না; আমরা সেই স্থায়ী বসবাসকারিণী, যারা কখনই চলে যাব না।’’
তারা আরো বলবে, ‘‘আমরা চিরদিন থাকব, কখনও ধ্বংস হব না; আমরা সর্বদা সুখে-স্বাচ্ছন্দে বসবাস করব, কখনও দুঃখ-দুশ্চিন্তায় পতিত হব না। অতএব চির ধন্য তিনি, যার জন্য আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি।’’
চোখ ও লজ্জাস্থানের হেফাযত করার অন্যতম পন্থা হলো শরীয়াহ সম্মত পদ্ধতিতে বিবাহ করা। কেননা রাসূল ﷺ বলেছেন, বিবাহ হলো যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। [বুখারী হা/৫০৬৫।]
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمِنْ اٰيَاتِهٖۤ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْاۤ إِلَيْهَا﴾
আর তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জন্য স্ত্রীগণ সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে তোমরা তাদের কাছ থেকে শান্তি-তৃপ্তি লাভ কর। (সূরা রূম ৩০:২১)
একজন স্ত্রী পারে তার স্বামীকে নোংরামীর ছোঁবল থেকে বাঁচাতে। যেমন রাসূল ﷺ বলেছেন, মহিলা যখন সামনে আসে, তখন শয়তানের আকৃতিতে আসে। তোমাদের কাউকে যখন কোন মহিলা মুগ্ধ করবে, তখন সে নিজ স্ত্রীর কাছে ফিরে গিয়ে মিলন করবে। কারণ তার কাছে যা আছে তার স্ত্রীর কাছেও তাই আছে। [তিরমিযি হা/১১৫৮।]
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَمِنْ اٰيَاتِهٖۤ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْاۤ إِلَيْهَا﴾
আর তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জন্য স্ত্রীগণ সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে তোমরা তাদের কাছ থেকে শান্তি-তৃপ্তি লাভ কর। (সূরা রূম ৩০:২১)
একজন স্ত্রী পারে তার স্বামীকে নোংরামীর ছোঁবল থেকে বাঁচাতে। যেমন রাসূল ﷺ বলেছেন, মহিলা যখন সামনে আসে, তখন শয়তানের আকৃতিতে আসে। তোমাদের কাউকে যখন কোন মহিলা মুগ্ধ করবে, তখন সে নিজ স্ত্রীর কাছে ফিরে গিয়ে মিলন করবে। কারণ তার কাছে যা আছে তার স্ত্রীর কাছেও তাই আছে। [তিরমিযি হা/১১৫৮।]
হে বন্ধু! নোংরামী দেখা থেকে তাওবা করুন। কেননা আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন। আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ﴾
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা বাক্বারা ২:২২২)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَالَّذِيْنَ إِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوْاۤ أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللّٰهَ فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْ وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا اللّٰهُ وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلٰى مَا فَعَلُوْا وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ﴾
যারা কোন পাপ কাজ করে ফেললে কিংবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ব্যতীত গুনাহ সমূহের ক্ষমাকারী কেই বা আছে এবং তারা জেনে-শুনে নিজেদের (পাপ) কাজের পুনরাবৃত্তি করে না। (সূরা আল ইমরান ৩:১৩৫)
﴿وَهُوَ الَّذِي يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهٖ وَيَعْفُو عَنِ السَّيِّئَاتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُوْنَ﴾
তিনিই তাঁর দাসদের তওবা কবুল করেন এবং পাপ মোচন করেন। আর তোমরা যা কর, তিনি তা জানেন। (সূরা শূরা ৪২:২৫)
মহানবী ﷺ বলেছেন,
قَالَ اللّٰهُ يَا ابْنَ اٰدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِى وَرَجَوْتَنِى غَفَرْتُ لَكَ عَلٰى مَا كَانَ فِيكَ وَلَا أُبَالِى يَا ابْنَ اٰدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِى غَفَرْتُ لَكَ وَلَا أُبَالِى يَا ابْنَ اٰدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِى بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِى لَا تُشْرِكُ بِى شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً
আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে আদম সন্তান! যতক্ষণ তুমি আমাকে ডাকবে এবং ক্ষমার আশা রাখবে, ততক্ষণ আমি তোমাকে ক্ষমা করব। তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন, আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমাদের গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে থাকে অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান, তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে উপস্থিত হও এবং আমার সাথে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার নিকটে উপস্থিত হব। [তিরমিযি হা/২৮০৫।]
রাসূল ﷺ বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা নিজ হাত রাতে প্রসারিত করেন, যেন দিনে পাপকারী (রাতে) তওবা করে এবং দিনে তাঁর হাত প্রসারিত করেন, যেন রাতে পাপাচারী (দিনে) তওবা করে। [মুসলিম হাদিস/৭১৬২৫।]
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘‘গোনাহ থেকে তওবাকারী সেই ব্যক্তির মতো যার কোন গোনাহ নেই।’’ [সহীহ তারগীব হা/৩১৪৫, ইবনে মাজাহ হা/ ৪২৫০।]
إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا أَخْطَأَ خَطِيئَةً نُكِتَتْ فِى قَلْبِهٖ نُكْتَةٌ سَوْدَاءُ فَإِذَا هُوَ نَزَعَ وَاسْتَغْفَرَ وَتَابَ سُقِلَ قَلْبُهٗ
বান্দা যখন কোন পাপ করে তখন তার অন্তরে একটা কালো দাগ পড়ে যায়। অতঃপর যখন সে পাপ থেকে নিজেকে ছিনিয়ে নেয় ও আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ও তওবা করে তখন অন্তরের মরিচা ছাফ হয়ে যায়। [তিরমিযি হা/ ৩৩৩৪, নাসাঈ হা/১১৬৫৮।]
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ﴾
তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের প্রার্থনা কবুল করব।
(সূরা গাফের ৪০:৬০)
﴿إِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ﴾
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা বাক্বারা ২:২২২)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَالَّذِيْنَ إِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوْاۤ أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللّٰهَ فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْ وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا اللّٰهُ وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلٰى مَا فَعَلُوْا وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ﴾
যারা কোন পাপ কাজ করে ফেললে কিংবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ব্যতীত গুনাহ সমূহের ক্ষমাকারী কেই বা আছে এবং তারা জেনে-শুনে নিজেদের (পাপ) কাজের পুনরাবৃত্তি করে না। (সূরা আল ইমরান ৩:১৩৫)
﴿وَهُوَ الَّذِي يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهٖ وَيَعْفُو عَنِ السَّيِّئَاتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُوْنَ﴾
তিনিই তাঁর দাসদের তওবা কবুল করেন এবং পাপ মোচন করেন। আর তোমরা যা কর, তিনি তা জানেন। (সূরা শূরা ৪২:২৫)
মহানবী ﷺ বলেছেন,
قَالَ اللّٰهُ يَا ابْنَ اٰدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِى وَرَجَوْتَنِى غَفَرْتُ لَكَ عَلٰى مَا كَانَ فِيكَ وَلَا أُبَالِى يَا ابْنَ اٰدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِى غَفَرْتُ لَكَ وَلَا أُبَالِى يَا ابْنَ اٰدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِى بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِى لَا تُشْرِكُ بِى شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً
আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে আদম সন্তান! যতক্ষণ তুমি আমাকে ডাকবে এবং ক্ষমার আশা রাখবে, ততক্ষণ আমি তোমাকে ক্ষমা করব। তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন, আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমাদের গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে থাকে অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান, তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে উপস্থিত হও এবং আমার সাথে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার নিকটে উপস্থিত হব। [তিরমিযি হা/২৮০৫।]
রাসূল ﷺ বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা নিজ হাত রাতে প্রসারিত করেন, যেন দিনে পাপকারী (রাতে) তওবা করে এবং দিনে তাঁর হাত প্রসারিত করেন, যেন রাতে পাপাচারী (দিনে) তওবা করে। [মুসলিম হাদিস/৭১৬২৫।]
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘‘গোনাহ থেকে তওবাকারী সেই ব্যক্তির মতো যার কোন গোনাহ নেই।’’ [সহীহ তারগীব হা/৩১৪৫, ইবনে মাজাহ হা/ ৪২৫০।]
إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا أَخْطَأَ خَطِيئَةً نُكِتَتْ فِى قَلْبِهٖ نُكْتَةٌ سَوْدَاءُ فَإِذَا هُوَ نَزَعَ وَاسْتَغْفَرَ وَتَابَ سُقِلَ قَلْبُهٗ
বান্দা যখন কোন পাপ করে তখন তার অন্তরে একটা কালো দাগ পড়ে যায়। অতঃপর যখন সে পাপ থেকে নিজেকে ছিনিয়ে নেয় ও আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ও তওবা করে তখন অন্তরের মরিচা ছাফ হয়ে যায়। [তিরমিযি হা/ ৩৩৩৪, নাসাঈ হা/১১৬৫৮।]
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ﴾
তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের প্রার্থনা কবুল করব।
(সূরা গাফের ৪০:৬০)
আজ প্রায় প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবারে চলছে নোংরামীর অনুশীলন। অসচেতন পিতা-মাতা আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রগুলো ছেলে-মেয়েদের হাতে তুলে দিয়ে, অশ্লীলতা চর্চার সুযোগ দিয়ে তাদের বুদ্ধি-বিবেক, শ্রদ্ধাবোধ ও মর্যাদা নাশ করছে। কিছু গবেষক বলেন, অশ্লীল চিত্র একজন বাচ্চার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যহত করে। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অশ্লীল দৃশ্য নারী ও বাচ্চাদের শোষণ করে, তাদেরকে ছোট করে এবং তাদের মর্যাদা বিনাশ করে। যারা অশ্লীল ভিডিওতে অতি মাত্রায় আসক্ত, তাদের মেধা কমে যায়- এমন তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। তাই সচেতন অভিভাবকদের বলছি, পরিবারে নোংরামীর চর্চা চিরতরে বন্ধের কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আল্লাহ বলেন,
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قُوْاۤ أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ نَارًا﴾
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। (সূরা তাহরীম ৬৬:৬)
স্মরণ রাখা ভালো যে, আপনার কারণে যদি পরিবার বিপথে চলে যায়, অশ্লীলতায় নিমগ্ন থাকে তাহলে এটাই আপনার জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হবে। রাসূল ﷺ বলেন,
ثَلَاثَةٌ قَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِمُ الْجَنَّةَ : مُدْمِنُ الْخَمْرِ ، وَالْعَاقُّ ، وَالدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخُبُثَ
তিন শ্রেণির মানুষের জন্য আল্লাহ তা’আলা জান্নাতকে হারাম করেছেন। সর্বদা মদপানকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান ও দাইয়ূস (যে তার স্ত্রী, কন্যা ও বোনকে অশ্লীলতা ও নোংরামী চর্চার সুযোগ দিয়েছে)। [আহমাদ হা/৬১৮০, মিশকাত হা/৩৬৫৫, নাসাঈ হা/২৫৬২, সহীহুল জামে হা/৩০৭১।]
সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ! রাসূল ﷺ আপনার ব্যাপারে বলেন,
وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلٰى أَهْلِ بَيْتِهٖ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهٖ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلٰى أَهْلِ بَيْتِ زَوْجِهَا وَوَلَدِهٖ وَهِىَ مَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا
পুরুষ (বা স্বামী) তার পরিবারের দায়িত্বশীল, সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামী ও সন্তানের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে। [বুখারী হা/২৪০৯, ২৫৫৪, মুসলিম হা/১৮২৯, তিরমিযি হা/১৭০৫, আবু দাউদ ২৯২৮, আহমাদ হা/৪৪৮১।]
﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قُوْاۤ أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ نَارًا﴾
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। (সূরা তাহরীম ৬৬:৬)
স্মরণ রাখা ভালো যে, আপনার কারণে যদি পরিবার বিপথে চলে যায়, অশ্লীলতায় নিমগ্ন থাকে তাহলে এটাই আপনার জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হবে। রাসূল ﷺ বলেন,
ثَلَاثَةٌ قَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِمُ الْجَنَّةَ : مُدْمِنُ الْخَمْرِ ، وَالْعَاقُّ ، وَالدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخُبُثَ
তিন শ্রেণির মানুষের জন্য আল্লাহ তা’আলা জান্নাতকে হারাম করেছেন। সর্বদা মদপানকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান ও দাইয়ূস (যে তার স্ত্রী, কন্যা ও বোনকে অশ্লীলতা ও নোংরামী চর্চার সুযোগ দিয়েছে)। [আহমাদ হা/৬১৮০, মিশকাত হা/৩৬৫৫, নাসাঈ হা/২৫৬২, সহীহুল জামে হা/৩০৭১।]
সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ! রাসূল ﷺ আপনার ব্যাপারে বলেন,
وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلٰى أَهْلِ بَيْتِهٖ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهٖ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلٰى أَهْلِ بَيْتِ زَوْجِهَا وَوَلَدِهٖ وَهِىَ مَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا
পুরুষ (বা স্বামী) তার পরিবারের দায়িত্বশীল, সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামী ও সন্তানের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে। [বুখারী হা/২৪০৯, ২৫৫৪, মুসলিম হা/১৮২৯, তিরমিযি হা/১৭০৫, আবু দাউদ ২৯২৮, আহমাদ হা/৪৪৮১।]
আল্লাহ রাসূল ﷺ বলেন,
وَالْأَمِيْرُ رَاعٍ وَ هُوَ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهٖ
দেশের শাসক জনগণের দায়িত্বশীল, সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে। [বুখারী হা/৮৯৩,২৪০৯, মুসলিম হা/১৮২৯।]
সুতরাং দেশের সরকার যদি জনগণকে নোংরা সংস্কৃতি ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের অনুমোদন ও নিরাপত্তা বিধান করে নগ্নতা, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার সুযোগ দেন এবং ভাসমান পতিতা থেকে দেশকে ও দেশের মানুষকে রক্ষা না করেন, তাহলে কিয়ামতের মাঠে তাকে মহান মনিবের দরবারে জিজ্ঞেসিত হতে হবে। পরকালে ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সরকারের জরুরী কর্তব্য হলো সকল নোংরা ওয়েব সাইট বন্ধ করে দেয়া। দক্ষ-অভিজ্ঞ, সুস্থ মস্তিষ্ক ও নৈতিকতাসম্পন্ন যুবসমাজ গড়তে সরকারকে বিশাল ভূমিকা রাখতে হবে।
وَالْأَمِيْرُ رَاعٍ وَ هُوَ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهٖ
দেশের শাসক জনগণের দায়িত্বশীল, সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে। [বুখারী হা/৮৯৩,২৪০৯, মুসলিম হা/১৮২৯।]
সুতরাং দেশের সরকার যদি জনগণকে নোংরা সংস্কৃতি ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের অনুমোদন ও নিরাপত্তা বিধান করে নগ্নতা, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার সুযোগ দেন এবং ভাসমান পতিতা থেকে দেশকে ও দেশের মানুষকে রক্ষা না করেন, তাহলে কিয়ামতের মাঠে তাকে মহান মনিবের দরবারে জিজ্ঞেসিত হতে হবে। পরকালে ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সরকারের জরুরী কর্তব্য হলো সকল নোংরা ওয়েব সাইট বন্ধ করে দেয়া। দক্ষ-অভিজ্ঞ, সুস্থ মস্তিষ্ক ও নৈতিকতাসম্পন্ন যুবসমাজ গড়তে সরকারকে বিশাল ভূমিকা রাখতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّ اللّٰهَ يُدْخِلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَتَمَتَّعُوْنَ وَيَأْكُلُوْنَ كَمَا تَأْكُلُ الْأَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ﴾
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। আর যারা কুফরি করে তারা ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে আর আহার করে যেভাবে আহার করে জন্তু জানোয়ার। জাহান্নাম হবে তাদের বাসস্থান। (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:১২)
টিভি, কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন ও আধুনিক প্রযুক্তির অন্য কোন জিনিস নিয়ে পর্নোগ্রাফি, অশ্লীলতা, ভোগ-বিলাসিতায় নিমগ্ন থাকা জান্নাত পিয়াসী কোন মানুষের কাজ নয়। এগুলো হলো মুক্তমনা, নাস্তিক, মুরতাদ, দুনিয়াপূজারী বেঈমানদের কাজ।
দুনিয়াবিলাসী বন্ধু! আরও একটি হাদীস লক্ষ্য করুন :
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলূল্লাহ ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্য হতে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে একবার জাহান্নামে চুবানো হবে। অতঃপর বলা হবে, হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনো আরাম-আয়েশ দেখেছ? তোমার কি কখনো সুখ অর্জিত হয়েছিল? সে বলবে- না, আল্লাহর কসম! হে আমার রব!
অতঃপর জান্নাতবাসীদের মধ্য হতে এমন এক ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে, যে দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করেছিল। তখন তাকে মুহূর্তের জন্য জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে, হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনো দুঃখ-কষ্ট দেখেছ এবং তুমি কি কখনো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছ? সে বলবে- না, আল্লাহর কসম! হে আমার রব! আমি কখনো দুঃখ-কষ্টে পতিত হইনি এবং কখনো কোন কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হইনি। (সহীহ মুসলিম, হা/৭২৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৬৮৫)
কাজেই মুসলিমদের কাজ হলো আসল ঠিকানা জান্নাত লাভের প্রত্যাশায় গান-বাজনা, ভোগ-বিলাসিতা ত্যাগ করা, চোখ, কান ও যৌনাঙ্গ হেফাযত করা। হে আল্লাহ! এগুলো সংরক্ষণে আমাদের সহায় হোন। আমীন!
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِي بِنِعْمَتِه تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ ‐
وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْنَ
﴿إِنَّ اللّٰهَ يُدْخِلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَتَمَتَّعُوْنَ وَيَأْكُلُوْنَ كَمَا تَأْكُلُ الْأَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ﴾
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। আর যারা কুফরি করে তারা ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে আর আহার করে যেভাবে আহার করে জন্তু জানোয়ার। জাহান্নাম হবে তাদের বাসস্থান। (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:১২)
টিভি, কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন ও আধুনিক প্রযুক্তির অন্য কোন জিনিস নিয়ে পর্নোগ্রাফি, অশ্লীলতা, ভোগ-বিলাসিতায় নিমগ্ন থাকা জান্নাত পিয়াসী কোন মানুষের কাজ নয়। এগুলো হলো মুক্তমনা, নাস্তিক, মুরতাদ, দুনিয়াপূজারী বেঈমানদের কাজ।
দুনিয়াবিলাসী বন্ধু! আরও একটি হাদীস লক্ষ্য করুন :
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলূল্লাহ ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্য হতে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে একবার জাহান্নামে চুবানো হবে। অতঃপর বলা হবে, হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনো আরাম-আয়েশ দেখেছ? তোমার কি কখনো সুখ অর্জিত হয়েছিল? সে বলবে- না, আল্লাহর কসম! হে আমার রব!
অতঃপর জান্নাতবাসীদের মধ্য হতে এমন এক ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে, যে দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করেছিল। তখন তাকে মুহূর্তের জন্য জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে, হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনো দুঃখ-কষ্ট দেখেছ এবং তুমি কি কখনো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছ? সে বলবে- না, আল্লাহর কসম! হে আমার রব! আমি কখনো দুঃখ-কষ্টে পতিত হইনি এবং কখনো কোন কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হইনি। (সহীহ মুসলিম, হা/৭২৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৬৮৫)
কাজেই মুসলিমদের কাজ হলো আসল ঠিকানা জান্নাত লাভের প্রত্যাশায় গান-বাজনা, ভোগ-বিলাসিতা ত্যাগ করা, চোখ, কান ও যৌনাঙ্গ হেফাযত করা। হে আল্লাহ! এগুলো সংরক্ষণে আমাদের সহায় হোন। আমীন!
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِي بِنِعْمَتِه تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ ‐
وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْنَ
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন