মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহর হারামকৃত জিনিস দেখা হতে বিরত থাকার মাধ্যমে মুমিনের চোখকে হেফাযত করতে হবে। হারাম কিছু চোখে পড়লে সে তার চক্ষুকে অবনত করে নেবে, অশ্লীল কিছু দেখা হতে দৃষ্টিকে ফিরিয়ে রাখবে। যেমন : নোংরা ফিল্ম, অশ্লীল টিভিসিরিজ, পরনারী ইত্যাদি দেখা হতে বিরত থাকবে। মহান আল্লাহ মুমিন পুরুষদেরকে সম্বোধন করে বলেন-
উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ও মায়মূনা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকটে ছিলাম। হঠাৎ অন্ধ সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) তথায় আগমন করলেন (এই ঘটনার সময়কাল ছিল পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর)। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের উভয়কে পর্দা করতে আদেশ করলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তো অন্ধ, সে তো আমাদেরকে দেখতে পাবে না এবং আমাদেরকে চিনেও না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা তো অন্ধ নও। তোমরা কি তাকে দেখছ না? [নাসাঈ, হা/৯২৪১; মিশকাত, হা/৩১১৬; তিরমিযী, হা/২৭৭৮। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]
কারো বাড়ির সামনে গিয়ে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে দরজার ঠিক সোজাসুজি দাঁড়ানো সমীচীন নয়। কেননা দরজা খোলার সাথে সাথেই ভেতরের এমন কোন বিষয় নজরে এসে যেতে পারে, যা উভয়ের জন্য খুবই বিব্রতকর। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শ ছিল দরজার ঠিক সোজাসুজি না দাঁড়িয়ে সামান্য ডানে কিংবা বামে সরে দাঁড়ানো। হাদীসে এসেছে,
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ যখন কারো বাড়ি বা ঘরের দরজায় এসে দাঁড়াতেন, তখন অবশ্যই দরজার দিকে মুখ করে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন না। বরং দরজার ডান কিংবা বাম পাশে সরে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, আসসালামু ‘আলাইকুম। এর কারণ তখন দরজায় কোন পর্দা ছিল না। [আবু দাউদ, হা/৫১৮৮; শু‘আবুল ঈমান, হা/৮৮২২; কানযুল উম্মাল, হা/১৮৪৯৫; মিশকাত, হা/৪৬৭৩।]
বাহির থেকে কারো ঘরের ভিতর উঁকি মারা জায়েয নেই :
বাহির থেকে কারো ঘরে উঁকি মারাটা হচ্ছে মারাত্মক অন্যায় কাজ। কেননা এর দ্বারা অপর মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয়তা বিনষ্ট হয়। যা নিতান্তই একটি হারাম কাজ। রাসূলুল্লাহ ﷺ কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। হাদীসে এসেছে,
সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হুজরার আড়াল থেকে মাথা উঁচু করে তাকাল। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাতে লোহার তৈরি চাকুর মতো একটি জিনিস ছিল। তখন তিনি বললেন, এ ব্যক্তি বাইরে থেকে উঁকি মেরে আমাকে দেখবে তা আগে জানতে পারলে আমি আমার হাতের এ জিনিসটি দ্বারা তার চোখ ফুটো করে দিতাম। চোখের দৃষ্টির অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই কি অনুমতি চাওয়ার বিধান দেয়া হয়নি? [বায়হাকী হা/১৮১০৭।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছেন যে, অনুমতি ছাড়া কেউ যদি তোমার ঘরে উঁকি মারে এবং তুমি পাথর নিক্ষেপ করে তার চোখ নষ্ট করে দাও, তাতে তোমার কোন অপরাধ হবে না। [সহীহ বুখারী, হা/৬৮৮৮।]
মহিলাদের কাছ থেকে কিছু চাইতে হলে আড়াল থেকে চাইতে হবে :
যেসব ঘরে কোন পুরুষ উপস্থিত নেই, সেসব ঘরে অবস্থানরত নারীদের কাছ থেকে যদি কোন জিনিস চাওয়ার প্রয়োজন হয়, কিংবা একান্তই জরুরি কোন কথা বা সংবাদ জানতে হয় বা জানাতে হয়, তাহলে পর্দার আড়াল থেকে দাঁড়িয়েই প্রয়োজন সেরে নিতে হবে। কেননা কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,
তোমরা যখন তাদের (নবীর স্ত্রীদের) কাছ থেকে কোনকিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। (সূরা আহযাব- ৫৩)
হঠাৎ হারাম জিনিসের উপর দৃষ্টি পড়ে গেলে ফিরিয়ে নিতে হবে :
অনলাইনে যেহেতু ভালো-মন্দ উভয়ই একাকার হয়ে আছে, সেহেতু ভালোর দিকেই নজর দিতে হবে। আর কোন অশ্লীল জিনিসের দিকে চোখ পড়লে তৎক্ষণাৎ তা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়বার কিংবা একদৃষ্টিতে ওদিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। রাসূল ﷺ আলী (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন,
জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে প্রশ্ন করলাম হঠাৎ যদি কোন পরনারীর উপর দৃষ্টি নিপতিত হয় তাহলে কী করতে হবে? তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন- আমি যেন আমার দৃষ্টি দ্রুত ফিরিয়ে নেই। [মুসলিম হা/৫৭৭০।]
দৃষ্টির হেফাযত করতে পারলে ইবাদাতের স্বাদ পাওয়া যায় :
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, বেগানা নারীর প্রতি প্রথমে দৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি তার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয় তবে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য এমন ইবাদাত সৃষ্টি করবেন যার স্বাদ সে অন্তরে অনুভব করতে থাকে। [আহমাদ হা/২২২৭৮।]
হাশরের ময়দানে পার্থিব জীবনের প্রতিফল লাভের জন্য সকল প্রাণী একত্রিত হবে। সেখানে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় স্থান না পেলে কঠিন দুর্দশায় পড়তে হবে। সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর রহমতের ছায়া লাভ করবে, তন্মধ্যে এক শ্রেণী হল এমন ব্যক্তি যে নোংরামী, অশ্লীলতা, ব্যভিচার ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকে।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর বিশেষ ছায়ায় স্থান পাবে। তন্মধ্যে এক শ্রেণী হল,
এমন ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দরী ও অভিজাত নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার জন্য আহবান জানায়; তখন সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। [বুখারী হাদিস/১৪২৩, মুসলিম হাদিস/ ১০১৩।]
অতএব যে ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির নেশায় আসক্ত না হয়ে আল্লাহর অনুগত হবে এবং ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবে, আল্লাহ তাকে আরশের ছায়ায় স্থান দিবেন।
চোখের হেফাযত করা খুবই জরুরি :
অবৈধ দৃষ্টি হৃদয়কে বিদীর্ণ করে দেয়, অন্তর-আত্মা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এবং ব্যক্তিকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে। অধিকাংশ পর্নোভক্তরা নারী-পুরুষের যৌন দৃশ্য অর্থাৎ ঢেকে রাখা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখায় মেতে ওঠেছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন,
কোন পুরুষ অন্য পুরুষের গুপ্তাঙ্গের দিকে যেন না তাকায়। কোন নারী অন্য নারীর গুপ্তাঙ্গের দিকে যেন না তাকায়। কোন পুরুষ অন্য পুরুষের সঙ্গে একই কাপড়ে (উলঙ্গ) যেন শয়ন না করে। [মুসলিম হাদিস/৩৩৮, আহমাদ হাদিস/১১২০৭।]
চোখ দিয়ে কী দেখবে :
মহান আল্লাহ চোখ দিয়েছেন দেখার জন্য। মহান আল্লাহ জাহান্নামবাসীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দ্বারা তারা দেখে না- (সূরা আরাফ ৭:১৭৯)। অর্থাৎ চোখ দিয়ে হেদায়াতের বাণী দেখার দরকার ছিল; কিন্তু তারা তা দেখে না। ফলে কিয়ামতের দিন এদেরকে আল্লাহ তা‘আলা অন্ধ করে পুনরুত্থান ঘটাবেন। তিনি বলেন,
যে ব্যক্তি ইহকালে অন্ধ ছিল সে ব্যক্তি পরকালেও হবে অন্ধ এবং অধিক পথভ্রষ্ট। (সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:৭২)
পরকালে যেন লাঞ্চিত, অপমানিত, অপদস্থ হয়ে জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত না হতে হয়, সেজন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত চোখ দিয়ে কল্যাণকর জিনিস দেখতে হবে এবং অশ্লীলতা ও নোংরামী দেখা বন্ধ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/212/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।