মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন জুমু‘আর দিন আসবে, তখন গোসল করবে, মাথা ধৌত করবে, তারপর সামর্থানুযায়ী সুগন্ধি ব্যবহার করবে। [বায়হাকী, হা/৬১৬৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৮০৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭০৫।]
২. উত্তম পোশাক পরিধান করা :
জুমু‘আর দিন হচ্ছে মুসলিমদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। সুতরাং এ দিনে উত্তম পোশাক পরিধান করাই উত্তম। রাসূলুল্লাহ ﷺ এই দিনে উত্তম পোশাক পরিধান করতেও উৎসাহ দিতেন। হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করবে, মিসওয়াক করবে, সুগন্ধি ব্যবহার করবে এবং উত্তম পোশাক পরিধান করবে। তারপর মসজিদে গমন করবে......। [বায়হাকী, হা/৬১৭০।]
ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাঃ) জুমু‘আর দিন মসজিদে গমন করার জন্য পোশাক পরিষ্কার করতেন। [জামেউল আহাদীস, হা/২৯০৬৮; কানযুল উম্মাল, হা/২৩৩৩৮।]
৩. জুমু‘আর দিনে পরিধানের জন্য কাপড় নির্দিষ্ট করে রাখা :
শুধুমাত্র জুমু‘আর দিনে পরিধান করার জন্য কোন কাপড় নির্দিষ্ট করে রাখাতে কোন দোষ নেই। হাদীসে এসেছে,
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ জুমু‘আর খুতবা প্রদান করতেন। একদিন তিনি লোকদের গায়ে ময়লা কাপড় দেখতে পেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ব্যবহৃত কাপড়ের বাইরে জুমু‘আর দিনে পরিধান করার জন্য দুটি কাপড় নির্দিষ্ট করে রাখে, তাহলে তার কোন দোষ নেই। [ইবনে মাজাহ, হা/১০৯৬; আবু দাউদ, হা/১০৮০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৭৭৭; মিশকাত, হা/১৩৮৯।]
৪. মিসওয়াক করা :
মিসওয়াক করাটা একটি উত্তম অভ্যাস। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অন্যতম মাধ্যম। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দিনে মিসওয়াক করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীসে এসেছে,
ইবনে সাববাক (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক জুমু‘আর খুতবায় নবী ﷺ বলেন, হে মুসলিম সম্প্রদায়! এটি হচ্ছে এমন একটি দিন, আল্লাহ তা‘আলা এ দিনটিকে মুসলিমদের জন্য ঈদ হিসেবে নির্বাচন করেছেন। অতএব এ দিনে তোমরা গোসল করো এবং সুগন্ধি ব্যবহার করো। আর তোমরা মিসওয়াক ব্যবহার করো। [বায়হাকী, হা/৫৭৫২; সহীহুল জামে, হা/২২৫৮।]
৫. নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা :
নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করাও হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি আলামত। সাহাবীগণ এ দিনে এ আমলটি করতেন। যেমন-
হে মুমিনগণ! জুমু‘আর দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম- যদি তোমরা জানতে। অতঃপর যখন সালাত শেষ হয় তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো। আর তোমরা আল্লাহকে অধিক হারে স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা জুমু‘আ- ৯, ১০)
৮. জুমু‘আর দিন হেঁটে মসজিদে উপস্থিত হওয়া :
জুমু‘আর দিন পায়ে হেঁটে মসজিদে উপস্থিত হওয়ার বিশেষ নেকী রয়েছে। হাদীসে এসেছে,
আওস ইবনে আওস আস-সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন উত্তমভাবে গোসল করল, তারপর তাড়াতাড়ি মসজিদে গমন করল এবং বাহন বাদ দিয়ে পায়ে হেঁটে গমন করল, ইমামের কাছাকাছি অবস্থান করল, তারপর খুতবা শুনল এবং অনর্থক কোন কথা বা কাজ করল না, তাহলে তার জন্য রয়েছে প্রত্যেক কদমের বিনিময়ে এক বছরের রোযা এবং রাত জাগরণের সওয়াব। [আবু দাউদ, হা/৩৪৫; ইবনে মাজাহ, হা/১০৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬২১৮; মিশকাত, হা/১৩৮৮।]
৯. জুমু‘আর দিন সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া :
জুমু‘আর দিন যতটুকু সম্ভব সকাল সকাল মসজিদে উপস্থিত হওয়া উত্তম। এতে অনেক সওয়াব রয়েছে। হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন ফরয গোসলের ন্যায় গোসল করল, অতঃপর মসজিদের দিকে রওয়ানা দিল এবং প্রথম পর্যায়ে মসজিদে প্রবেশ করল, সে যেন একটি উট কুরবানী করার সওয়াব পেল। এরপর যে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করল, সে যেন একটি গরু কুরবানী করার সওয়াব পেল। এরপর যে তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করল, সে যেন একটি ভেড়া কুরবানী করার সওয়াব পেল। অতঃপর যে চতুর্থ পর্যায়ে প্রবেশ করল, সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করার সওয়াব পেল। অতঃপর যে ব্যক্তি পঞ্চম পর্যায়ে প্রবেশ করল, সে যেন একটি ডিম দান করার সওয়াব পেল। অতঃপর যখন ইমাম (খুতবা দেয়ার উদ্দেশ্যে) বের হন, তখন ফেরেশতাগণ (লেখা বন্ধ করে) খুতবা শুনতে থাকেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২২৭; সহীহ বুখারী, হা/৮৮১; সহীহ মুসলিম, হা/২০০১; তিরমিযী, হা/৪৯৯।]
১০. খুতবার সময় তন্দ্রা আসলে স্থান পরিবর্তন করা :
অনেক সময় খুতবা শুনতে শুনতে তন্দ্রা এসে যায়। সুতরাং এ সময় স্থান পরিবর্তন করে বসা উচিত। হাদীসে এসেছে,
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, জুমু‘আর দিন তোমাদের মধ্যে কারো যদি তন্দ্রা আসে, তাহলে সে যেন তার জায়গা পরিবর্তন করে নেয়। [তিরমিযী, হা/৫২৬; বায়হাকী, হা/৬১৩৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৮১৯; মিশকাত, হা/১৩৯৪।]
১১. তাহিয়্যাতুল মসজিদের সালাত আদায় করা :
তাহিয়্যাতুল মসজিদ হচ্ছে মসজিদের হক। মসজিদে প্রবেশ করেই এই নামায আদায় করতে হয়। জুমু‘আর দিন মসজিদে উপস্থিত হয়ে প্রথমেই এ কাজটি সেরে নেয়া উচিত। হাদীসে এসেছে,
সালমান ফারসী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে লোক জুমু‘আর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব অধিক পরিমাণে পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর তেল মেখে (চুল-দাড়ি পরিপাটি করে) নেয় অথবা সুগন্ধি লাগায়। এরপর (মসজিদে) চলে যায়, সেখানে দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে তাদের মাঝখানে বসে পড়ে না এবং তার ভাগ্যে যে পরিমাণ (নফল নামায) নির্ধারিত হয়েছে সে পরিমাণ নামায পড়ে অতঃপর ইমাম যখন (খুতবার উদ্দেশ্যে নিজের ঘর হতে) বের হন তখন চুপ থাকে, তাহলে তার এ জুমু‘আ এবং পরবর্তী জুমু‘আর নামাযের মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। [সহীহ বুখারী, হা/৯১০; ইবনে মাজাহ, হা/১০৯৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৫৭৯; মিশকাত, হা/১৩৮১।]
১২. মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে না যাওয়া :
মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে যাওয়াটা হচ্ছে মুসল্লিদের কষ্টের কারণ। তাছাড়া এ কারণে খুতবা শ্রবণ করা হতে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং জুমু‘আর দিন মসজিদে উপস্থিত হয়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাউকে না ডিঙ্গিয়ে যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই বসে পড়া উত্তম। হাদীসে এসেছে,
মুয়ায ইবনে আনাস আল জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ খুতবা চলাকালে ইহতেবা অবস্থায় বসতে নিষেধ করেছেন। [আবু দাউদ, হা/১১১২; বায়হাকী, হা/৫৭০৪; তিরমিযী, হা/৫১৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১০৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৩০; মিশকাত, হা/১৩৯৩।]
১৫. জুমু‘আর দিন বেশি বেশি দু‘আ করা :
জুমু‘আর দিনটি হচ্ছে দু‘আ কবুলের দিন। এ দিনে একটি বিশেষ সময় রয়েছে, সে সময় দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা তা কবুল করেন। ইতিপূর্বে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং জুমু‘আর দিন বেশি বেশি দু‘আ করা উচিত।
১৬. জুমু‘আর রাতে সূরা কাহফ পাঠ করা :
জুমু‘আর রাতে সূরা কাহফ পাঠ করার অনেক ফযীলত রয়েছে। হাদীসে এসেছে,
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি জুমু‘আর রাতে সূরা কাহফ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার এবং কাবা ঘরের মধ্যে যে পরিমাণ দূরত্ব রয়েছে তত পরিমাণ নূর দান করবেন। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৩৩৯২; বায়হাকী, হা/৫৭৯২; জামেউস সগীর, হা/১১৪১৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৭৬; মিশকাত, হা/২১৭৫।]
১৭. জুমু‘আর দিন বেশি বেশি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপর দরূদ পাঠ করা এমনিতেই একটি বড় ধরনের সওয়াবের কাজ। তারপরও রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজের পক্ষ থেকে জুমু‘আর দিন তাঁর উপর দরূদ পাঠ করার ব্যাপারে তাকিদ দিয়েছেন। হাদীসে এসেছে,
আওস ইবনে আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমু‘আর দিনটি হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম। এ দিনে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এ দিনেই তার মৃত্যু হয়েছে। আর এ দিনেই শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, এ দিনেই বিকট আওয়াজ হবে। কাজেই তোমরা ঐ দিন আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কারণ আমার নিকট তোমাদের দরূদগুলো উপস্থাপন করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, সাহাবীরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নিকট আমাদের দরূদ কীভাবে উপস্থাপন করা হবে, আপনিতো তখন মাটির সাথে মিশে যাবেন? জবাবে তিনি বললেন, আল্লাহ নবীদের শরীরকে জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন অর্থাৎ মাটি কখনো নবীদের শরীর খেতে পারবে না। [আবু দাউদ, হা/১০৪৯, ১৫৩৩; নাসাঈ, হা/১৩৭৪; ইবনে মাজাহ, হা/১০৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬২০৭; জামেউস সগীর, হা/৩৯৭৫; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৫২৭; মিশকাত, হা/১৩৬১।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/614/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।