মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
একদিন এশার নামাযের পর রাসূলুল্লাহ ﷺ চাচাতো বোন উম্মে হানীর ঘরে শয়ন করেছিলেন। এমন সময় জিবরাঈল (আঃ) সেখানে প্রবেশ করলেন। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) বুরাক নামক এক আশ্চর্য ধরনের বাহন নিয়ে আসেন। যা ছিল গাধা থেকে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট একটি সাদা রঙের জমত্মু। তার চলার গতি ছিল দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যমত্ম অর্থাৎ দৃষ্টি যতদূর পর্যমত্ম যেত সে এক পদক্ষেপে ততদূর পর্যমত্ম চলতে পারত।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে উক্ত বাহনের উপর আরোহণ করিয়ে বাইতুল মুকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে গিয়ে প্রথমে তিনি বাহনটি একটি খুঁটির সাথে বাঁধলেন, যে খুটির সাথে ইতিপূর্বে অন্যান্য নবীগণ তাদের বাহনগুলো বাঁধতেন। তারপর তারা উভয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন এবং দু’রাকআত সালাত আদায় করেন এবং বের হয়ে যান। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সামনে দুটি পাত্র পেশ করেন। একটির মধ্যে ছিল শরাব তথা মদ; আর অন্যটির মধ্যে ছিল দুধ। রাসূলুল্লাহ ﷺ উভয়টির মধ্যে দুধের পাত্রটিই গ্রহণ করলেন। তখন জিবরাঈল (আঃ) আমাকে বললেন, আপনি ফিতরাতকেই গ্রহণ করেছেন।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করলেন এবং প্রথম আসমানের দরজার সামনে পৌঁছলেন। সেখানে গিয়ে তিনি উক্ত আসমানের দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, আমি জিবরাঈল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথে কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য দরজা খুলে দেন। ফলে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা আদম (আঃ)-কে দেখতে পান। আর তারা এও দেখতে পান যে, আদম (আঃ) এর ডানে ও বামে দুটি দল রয়েছে। তিনি যখন ডান দিকে তাকাচ্ছিলেন তখন হাঁসছিলেন এবং যখন বাম দিকে তাকাচ্ছিলেন তখন কাঁদছিলেন। জিবরাঈল (আঃ)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তার ডান দিকের লোকগুলো হলো জান্নাতী, তাই তিনি হাঁসছেন এবং তার বাম দিকের লোকগুলো হলো জাহান্নামী, তাই তিনি কাঁদছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ আদম (আঃ)-কে সালাম দিলেন। তখন আদম (আঃ) সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, সৎ সমত্মান ও সৎ নবীর জন্য স্বাগতম।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে আরো ঊর্ধ্বলোকে গমন করলেন এবং দ্বিতীয় আসমানের দরজার সামনে পৌঁছলেন। সেখানে গিয়ে তিনি উক্ত আসমানের দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, আমি জিবরাঈল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথে কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তাঁকে আনতে কি আপনাকে পাঠানো হয়েছিল? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য দরজা খুলে দেন। ফলে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা ইয়াহইয়া ও ঈসা (আঃ)-কে দেখতে পান। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে সালাম দিলেন। তখন তারা সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, সৎ সমত্মান ও সৎ নবীর জন্য স্বাগতম।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে আরো ঊর্ধ্বলোকে গমন করলেন এবং তৃতীয় আসমানের দরজার সামনে পৌঁছলেন। সেখানে গিয়ে তিনি উক্ত আসমানের দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, আমি জিবরাঈল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথে কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য দরজা খুলে দেন। ফলে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা ইউসুফ (আঃ)-কে দেখতে পান। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে সালাম দিলেন। তখন তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, সৎ সমত্মান ও সৎ নবীর জন্য স্বাগতম।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে আরো ঊর্ধ্বলোকে গমন করলেন এবং চতুর্থ আসমানের দরজার সামনে পৌঁছলেন। সেখানে গিয়ে তিনি উক্ত আসমানের দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, আমি জিবরাঈল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথে কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য দরজা খুলে দেন। ফলে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা ইদরীস (আঃ)-কে দেখতে পান। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে সালাম দিলেন। তখন তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, সৎ সমত্মান ও সৎ নবীর জন্য স্বাগতম।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে আরো ঊর্ধ্বলোকে গমন করলেন এবং পঞ্চম আসমানের দরজার সামনে পৌঁছলেন। সেখানে গিয়ে তিনি উক্ত আসমানের দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, আমি জিবরাঈল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথে কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য দরজা খুলে দেন। ফলে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা হারূন (আঃ)-কে দেখতে পান। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে সালাম দিলেন। তখন তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, সৎ সমত্মান ও সৎ নবীর জন্য স্বাগতম।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে আরো ঊর্ধ্বলোকে গমন করলেন এবং ষষ্ঠ আসমানের দরজার সামনে পৌঁছলেন। সেখানে গিয়ে তিনি উক্ত আসমানের দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, আমি জিবরাঈল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথে কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য দরজা খুলে দেন। ফলে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা মূসা (আঃ)-কে দেখতে পান। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে সালাম দিলেন। তখন তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, সৎ সমত্মান ও সৎ নবীর জন্য স্বাগতম। এ সময় মূসা (আঃ) কেঁদে ফেললেন। তখন তাকে এর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, আমার পরে এমন এক আদম সন্তানকে নবী করে প্রেরণ করা হয়েছে, যার উম্মত আমার উম্মতদের থেকে অধিক হারে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে আরো ঊর্ধ্বলোকে গমন করলেন এবং সপ্তম আসমানের দরজার সামনে পৌঁছলেন। সেখানে গিয়ে তিনি উক্ত আসমানের দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, আমি জিবরাঈল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথে কে? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কি তাঁকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য দরজা খুলে দেন। ফলে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা ইবরাহীম (আঃ)-কে দেখতে পান এমতাবস্থায় যে, তিনি ‘‘বাইতুল মা‘মূর’’ এর সাথে পিঠ লাগিয়ে বসে রয়েছেন। আর বাইতুল মা‘মূর হচ্ছে ঐ মসজিদ যেখানে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশতা ইবাদাত করার সুযোগ পান। আর যারা সেখানে একবার ইবাদাত করার সুযোগ পান, তারা পুনরায় সেখানে ফিরে আসার সুযোগ পান না। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ ইবরাহীম (আঃ)-কে সালাম দিলেন। তখন তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, সৎ সমত্মান ও সৎ নবীর জন্য স্বাগতম।
তারপর জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন। সেখানে রয়েছে একটি বরই গাছ। সে গাছের পাতাগুলো হাতির কানের মতো এবং ফলগুলো বড় বড় মটকার মতো। আর এটাই হচ্ছে ফেরেশতাদের ঊর্ধ্ব গমনের শেষ সীমা। ফেরেশতাগণ এর উপরে গমন করতে পারেন না। এ সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ জিবরাঈল (আঃ)-কে তার মূল আকৃতিতে ৬০০ পাখাবিশিষ্ট অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন।
সিদরাতুল মুনতাহায় রাসূলুল্লাহ ﷺ চারটি নদীও দেখতে পেয়েছিলেন, যার মধ্যে দুটি হচ্ছে গোপন এবং অপর দুটি হচ্ছে প্রকাশ্য। গোপন দুটি নদী হচ্ছে জান্নাতের এবং প্রকাশ্য দুটি নদী হচ্ছে নীল নদ ও ফুরাত নদী।
তাছাড়া রাসূলুল্লাহ ﷺ সেখানে জান্নাত ও জাহান্নামও নিজ চোখে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ লাভ করেন। তিনি জান্নাতে প্রবেশ করে দেখেন যে, এর মাটিগুলো মিশকে আম্বরের ন্যায় সুবাসিত। তারপর সেখানে তিনি মাকামুম মাহমুদও দেখতে পান। আর এটিই হচ্ছে জান্নাতের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের বাসস্থান। এটি কেবল রাসূলুল্লাহ ﷺ-ই প্রাপ্ত হবেন। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সেখানে হাউজে কাওসার পর্যবেক্ষণ করেন, যা আল্লাহ তা‘আলা তাকে দান করেছেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ জাহান্নাম পর্যবেক্ষণ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন প্রকার অপরাধের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাসিত্মও দেখতে পান। তিনি দেখতে পান যে, একদল লোক নিজেদের নখ দ্বারা নিজেদের চেহারা ও বক্ষ হতে গোশত খামচিয়ে ছিড়ছে। আর তাদের নখগুলো ছিল তামার তৈরি এবং বিশাল আকৃতির ও খুব ধারালো। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিবরাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো ঐসব লোক, যারা অন্যের গোশত ভক্ষণ করত এবং তাদের মানহানি ঘটাত। অর্থাৎ তারা গীবত-পরনিন্দা ও পরের সমালোচনায় মগ্ন থাকত।
সেখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো দেখতে পান যে, আগুনের কেচি দিয়ে কিছু লোকের ঠোঁট কেটে নেয়া হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিবরাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? তাদের এ করুণ অবস্থা কেন? তিনি বললেন, এরা আপনার উম্মতের সেসব বক্তা ও আলোচক, যারা মানুষকে কল্যাণের আদেশ দিত, কিন্তু নিজেদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভুলে যেত। অর্থাৎ তারা মানুষকে উপদেশ দিত ঠিকই, কিন্তু নিজেরা আমল করত না।
তারপর সেখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো দেখতে পান যে, এক লোক সাগরে সাঁতার কাটছে। সে যখনই তীরে ভিড়ছে, তখনই একটি ফেরেশতা তার উপর পাথর নিক্ষেপ করছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিবরাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হচ্ছে সুদখোর।
আর সিদরাতুল মুনতাহা হলো এমন একটি জায়গা যেখানে জিবরাঈল (আঃ) এরও যাওয়ার অনুমতি নেই। ফলে রাসূলুল্লাহ ﷺ রফরফ নামক অন্য একটি বিশেষ বাহনের মাধ্যমে একাকীই আরো উর্ধ্বে একেবারে আল্লাহ তা‘আলার সন্নিকটে গমন করেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহ তা‘আলার এতই নিকটবর্তী হয়েছিলেন যে, উভয়ের মধ্যে মাত্র দুই ধনুক পরিমাণ বা তার চেয়ে কম জায়গার ব্যবধান ছিল। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহ তা‘আলার সাথে সরাসরি কথা-বার্তা বললেন এবং আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপর যা কিছু ওহী করার তা করলেন। এ সময় আল্লাহ তা‘আলা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে ৫০ ওয়াক্ত নামায উপহার দেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ উক্ত ৫০ ওয়াক্ত নামায নিয়ে নিচে অবতরণ করতে থাকেন। কিন্তু যখন তিনি মূসা (আঃ) পর্যমত্ম আসলেন, তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনার প্রতিপালক আপনার উপর কী নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তিনি বললেন, আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং একে আরো সহজ করার আবেদন করুন। কেননা আপনার উম্মত এ নির্দেশ পালনে সক্ষম হবে না। আমি বনী ইসরাঈলকে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের বিষয়ে আমি অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। ফলে তিনি পুনরায় আল্লাহ তা‘আলার কাছে ফিরে গেলেন এবং সহজ করার জন্য আবেদন জানালেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা আরো ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিলেন।
অতঃপর যখন তিনি মূসা (আঃ) পর্যমত্ম আসলেন, তখন তিনি আবারও এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ অনুরূপ উত্তর দিলেন এবং মূসা (আঃ)-ও পুনরায় আল্লাহর কাছে গমন করে সহজ করার পরামর্শ দেন। ফলে রাসূলুল্লাহ ﷺ আবারও আল্লাহর কাছে গমন করেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আরো ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দেন।
অতঃপর যখন তিনি মূসা (আঃ) পর্যমত্ম আসলেন, তখন তিনি আবারও এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ অনুরূপ উত্তর দিলেন এবং মূসা (আঃ)-ও পুনরায় আল্লাহর কাছে গমন করে সহজ করার পরামর্শ দেন। ফলে রাসূলুল্লাহ ﷺ আবারও আল্লাহর কাছে গমন করেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আরো ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দেন।
অতঃপর যখন তিনি মূসা (আঃ) পর্যমত্ম আসলেন, তখন তিনি আবারও এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ অনুরূপ উত্তর দিলেন এবং মূসা (আঃ)-ও পুনরায় আল্লাহর কাছে গমন করে সহজ করার পরামর্শ দেন। ফলে রাসূলুল্লাহ ﷺ আবারও আল্লাহর কাছে গমন করেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আরো ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দেন।
অতঃপর যখন তিনি মূসা (আঃ) পর্যমত্ম আসলেন, তখন তিনি আবারও এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ অনুরূপ উত্তর দিলেন এবং মূসা (আঃ)-ও পুনরায় আল্লাহর কাছে গমন করে সহজ করার পরামর্শ দেন। ফলে রাসূলুল্লাহ ﷺ আবারও আল্লাহর কাছে গমন করেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আরো ৫ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দেন এবং বলেন, হে মুহাম্মাদ! যাও দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নির্ধারণ করা হলো। প্রতি ওয়াক্ত সালাতে দশ ওয়াক্ত সালাতের সমান সওয়াব রয়েছে। এভাবে (পাঁচ ওয়াক্ত হলো) পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান। (আল্লাহ তা‘আলা আরো বললেন,) যে ব্যক্তি কোন নেক কাজের নিয়ত করল এবং তা কাজে পরিণত করতে পারল না, আমি তার জন্য একটি সওয়াব লিখব; আর তা কাজে পরিণত করলে তার জন্য দশটি সওয়াব লিখব। পক্ষান্তরে যে কোন মন্দ কাজের নিয়ত করল অথচ তা কাজে পরিণত করল না, তার জন্য কোন গুনাহ লিখা হয় না। আর তা কাজে পরিণত করলে তার উপর একটি মাত্র গুনাহ লিখা হয়।
অতঃপর যখন তিনি মূসা (আঃ) পর্যমত্ম আসলেন, তখন তিনি আবারও এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ অনুরূপ উত্তর দিলেন এবং মূসা (আঃ)-ও পুনরায় আল্লাহর কাছে গমন করে সহজ করার পরামর্শ দেন। এবার রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, এ বিষয়টি নিয়ে বার বার আমি আমার প্রতিপালকের নিকট আসা-যাওয়া করেছি, এখন আবার যেতে লজ্জা হচ্ছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন মূসা (আঃ)-কে অতিক্রম করে ফিরে আসছিলেন তখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন, আমি আমার ফরয পূর্ণ করেছি এবং আমার বান্দাদের উপর সংক্ষিপ্ত করেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ ফিরে আসেন এবং নিজেকে তিনি ঐ স্থানেই দেখতে পান, যেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনাটি ছিল একটি বড় পরীক্ষা। কারণ প্রকৃত ঈমানদার ব্যতীত এটা মেনে নেয়া কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে যে রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন সকালে তিনি যখন মানুষের কাছে বিসত্মারিত বর্ণনা করলেন, তখন কাফিররা তো বিশ্বাস করলই না; বরং অনেক মুসলিমও বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে বিব্রতবোধ করছিলেন। তবে একমাত্র আবু বকর (রাঃ) এসব কথা শোনামাত্রই সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে সিদ্দীক তথা সত্যবাদী উপাধীতে ভূষিত করেন। [বুখারী-মুসলিম মে‘রাজ অধ্যায়। মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৪৪০৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩০৬।]
তাছাড়া এ ঘটনার সত্যতা প্রমাণের জন্য মুশরিকরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নানা ধরনের প্রশ্ন করেছিল এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও মুশরিকরা কোনভাবেই বিশ্বাস স্থাপন করেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/614/40
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।