hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭৬
বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান খাতনা উৎসব
خَتَنٌ - এর আভিধানিক অর্থ হলো, কর্তন করা। পরিভাষায় পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ আবৃতকারী চামড়া ও নারীর যৌনাঙ্গের পর্দা কেটে ফেলাকে খাতনা বলে।

খাতনা করা মুসলিমদের নিদর্শন। এটা মুসলিমদেরকে ইয়াহুদি-খ্রিস্টান থেকে পৃথককারী স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। তাছাড়া খাতনা হচ্ছে মানুষের দশটি ফিতরাতের মধ্যে একটি, যা ইবরাহীম (আঃ) এর সুন্নাত হিসেবে পরিচিত। যেমন- হাদীসে এসেছে,

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, দশটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। আর তা হলো, ১) গোঁফ খাটো করা, ২) দাড়ি লম্বা করা, ৩) মিসওয়াক করা, ৪) পানি দিয়ে নাক ঝাড়া, ৫) নখ কাটা, ৬) আঙ্গুলের গিরাসমূহ ধোয়া, ৭) বগলের পশম উপড়ে ফেলা, ৮) নাভির নিচের পশম মুন্ডন করা, ৯) এবং পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করা।

যাকারিয়া বলেন, হাদীসের বর্ণনাকারী মুস‘আব বলেছেন, দশমটির কথা আমি ভুলে গিয়েছি। সম্ভবত সেটি হবে কুলি করা। কুতায়বা আরো বাড়িয়ে বলেন, ওয়াকী বলেছেন, (দশমটি হচ্ছে) اِنْتِقَاصُ الْمَاءِ অর্থাৎ ইস্তেঞ্জা করা। [সহীহ মুসলিম, হা/৬২৭; আবু দাউদ, হা/৫৩; তিরমিযী, হা/২৭৫৭; ইবনে মাজাহ, হা/২৯৩।]

ইবনে কুদামা বলেন, খাতনা করা পুরুষের জন্য ওয়াজিব, আর মহিলাদের জন্য সম্মানজনক। এটা তাদের জন্য ওয়াজিব নয়। [মুগনি (১/৮৫)]

একদা এক ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন,

أَلْقِ عَنْكَ شَعْرَ الْكُفْرِ وَاخْتَتِنْ

অর্থাৎ তুমি তোমার দেহ থেকে কুফরীর চিহ্ন দূর করো এবং খাতনা করো। [আবু দাউদ, হা/৩৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৪৭০; বায়হাকী, হা/৭৮১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৯৭৭।]

অতএব খাতনার কাজটি যেকোন বয়সেই করা যায়, তবে যথাসম্ভব নাবালক থাকা অবস্থাতেই সেরে ফেলা উত্তম। কেননা এ সময় খাতনা করলে কষ্ট কম হয় এবং নৈতিক দিকটিও সুরুচিপূর্ণ থাকে।

আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকে এটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে যে, খাতনা মানুষকে অনেক প্রকার যৌনরোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে সাহায্য করে এবং নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবনকে পরিতৃপ্ত করে।

ইসলামে খাতনার ব্যাপারে কেবল এতটুকু অথবা এর অনুরূপ বিধানই দেয়া হয়েছে। সুতরাং এর সীমালঙ্ঘন করা কোনভাবেই বৈধ নয়। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কোন প্রমাণ নেই। তারপরও অনেক মুসলিম সমাজেই এরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার রীতি এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে কেবল দাওয়াতই নয়, বরং অনেক প্রকার অনৈসলামিক কর্মকান্ডও সংঘটিত হয়। যেমন- নাচ-গান করা, রং মাখামাখি করা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা করা, রাসত্মায় র‌্যালি বের করা ইত্যাদি। অথচ ইসলামে এসব কর্মকান্ড হারাম হিসেবে বিবেচিত।

সুতরাং যেকোন মুসলিম সমাজে এরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং তাতে অংশগ্রহণ করা কুসংস্কার ও গুনাহের কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যদি এর মধ্যে কোনরূপ পুণ্যের আশা করা হয়, তাহলে সেটা স্পষ্ট বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন