hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৩
রবিউল আওয়াল মাস ১২ই রবিউল আওয়াল/ঈদে মিলাদুন নবী
ঈদ শব্দের অর্থ হচ্ছে খুশি। আর মিলাদ শব্দের অর্থ হচ্ছে জন্মবৃত্তান্ত। সুতরাং ঈদে মিলাদুন নবীর অর্থ হচ্ছে জন্মদিনকে কেন্দ্র করে আনন্দ অনুষ্ঠান পালন করা। প্রচলিত অর্থে প্রতি বৎসর ১২ই রবিউল আওয়াল নবী ﷺ এর জন্মদিনকে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে পালন করাকে ঈদে মিলাদুন নবী বলা হয়। অনেকে এ দিবসকে ‘নবী দিবস’ হিসেবেও অভিহিত করে থাকে।

ঈদে মিলাদুন নবী মুসলিম সমাজের কিছু কিছু জায়গায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিদআতীরা এ দিনকে কেন্দ্র করে মারাত্মক ধরনের বিদআতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এমনকি তারা এমন অনেক কাজ করে, যেগুলো স্পষ্ট শিরকের মধ্যে পড়ে যায়।

মিলাদ অনুষ্ঠানে নবী ﷺ এর জন্মবৃত্তামত্ম আলোচনা করতে গিয়ে অনেক বাড়াবাড়ির আশ্রয় নেয়া হয়। সেখানে অনেক বিদআতী দরূদ পাঠ করা হয় এবং নবী ﷺ এর শানে এমন অনেক গজলও গাওয়া হয়, যার মধ্যে অনেক শিরকী কথা রয়েছে।

আবার এই মিলাদের মধ্যে কিয়াম করা হয়। অর্থাৎ দরূদ পাঠ করতে করতে নবী ﷺ এর সম্মানার্থে হঠাৎ সকলেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় তারা ধারণা করে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ উক্ত অনুষ্ঠানে হাযির হয়েছেন।

কিছু পেটপূজারী আলেম পয়সা কামানোর জন্য এসব অনুষ্ঠানের অনেক গুরুত্ব ও ফযীলত বর্ণনা করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে থাকে। অতএব মুসলিম সমাজকে এসব অনুষ্ঠান থেকে সাবধান থাকতে হবে।

তাছাড়া ইসলামে ঈদ হচ্ছে দুটি। একটি হলো, ঈদুল আযহা এবং অপরটি হলো, ঈদুল ফিতর। তৃতীয় কোন ঈদের অবস্থান কুরআন ও হাদীসে নেই; এমনকি সাহাবীদের আমল থেকেও এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।

নবী ﷺ এর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে যদি কোন বাৎসরিক অনুষ্ঠান ইসলামে থাকত, তাহলে এর সবচেয়ে বেশি হকদার ছিলেন সাহাবীরা। কারণ তারা নবী ﷺ-কে সরাসরি দেখেছেন, নবী ﷺ এর সাথে চলাফেরা করেছেন এবং তাঁর কথা শুনেছেন। তারা তাঁকে নিজেদের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। তারপরও তারা কোন দিন নবী ﷺ এর জন্মদিন পালন করেননি। সাহাবায়ে কেরামের পর উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন, তাবেঈগণ। তাদের যুগেও এসব অনুষ্ঠানের কোন অসিত্মত্ব পাওয়া যায় না।

খ্রিস্টানরা যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালন করে থাকে। মুসলিমরা তাদের থেকেই এই কালচার আমদানী করেছে। সুতরাং এসব অনুষ্ঠান হচ্ছে বিজাতীদের অনুসরণ। আর যে ব্যক্তি বিজাতীর রীতিনীতির অনুসরণ করবে, সে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উম্মত হিসেবে গণ্য হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন