hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৩
সূরা দুখানের ৩ নং আয়াতের পর্যালোচনা
শবে বরাতের ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে সূরা দুখানের ৩ নং আয়াতটি কেউ কেউ আলোচনায় নিয়ে আসেন। যেমন- আল্লাহ তা‘আলার বাণী,

﴿حٰمٓ وَالْكِتَابِ الْمُبِيْنِ اِنَّاۤ اَنْزَلْنَاهُ فِيْ لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ اِنَّا كُنَّا مُنْذِرِيْنَ فِيْهَا يُفْرَقُ كُلُّ اَمْرٍ حَكِيْمٍ اَمْرًا مِّنْ عِنْدِنَاؕ اِنَّا كُنَّا مُرْسِلِيْنَ﴾

হা-মীম, শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের; আমি এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রজনীতে। আর আমিই হলাম সতর্ককারী। এ রাতে আমার আদেশক্রমে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় ফায়সালা হয়। নিশ্চয় আমিই রাসূল প্রেরণ করে থাকি। (সূরা দুখান, ১-৪)

কতক আলেমের দাবি হচ্ছে, এখানে বরকতময় রাত বলতে শবে বরাতকে বুঝানো হয়েছে।

পর্যালোচনা :

এ আয়াত দ্বারা কোনভাবেই শবে বরাত সাব্যসত্ম হয় না। কেননা এখানে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা একটি বরকতময় রাত্রিতে কুরআন নাযিল করেছেন। অপর আয়াতে তিনি বলেন,

﴿اِنَّاۤ اَنْزَلْنَاهُ فِيْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ - وَمَاۤ اَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ -– لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ اَلْفِ شَهْرٍ﴾

আমি একে (কুরআনকে) নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আর তুমি কি জানো, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হলো, হাজার মাসের চেয়েও উত্তম (একটি রজনী)। (সূরা কদর, ১-৩)

আর এ কথা স্পষ্ট যে, লাইলাতুল কদর হচ্ছে রমাযান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাত্রিগুলোতে। তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে এ কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, রমাযান মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيْۤ اُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْاٰنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدٰى وَالْفُرْقَانِ﴾

রমাযান তো সেই মাস যে মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক, হেদায়াতের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ফুরকান (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী)। (সূরা বাকারা- ১৮৫)

কুরআনের সবচেয়ে বিশুদ্ধ তাফসীর হচ্ছে কুরআন দ্বারা কুরআনের তাফসীর করা। আর এখানে কুরআন দ্বারাই প্রমাণিত হলো যে, লাইলাতুল কদরে কুরআন নাযিল হয়েছে। আর লাইলাতুল কদর রয়েছে রমাযান মাসে। সুতরাং সূরা দুখানের ‘লাইলাতুন মুবারাকাতুন’ দ্বারা রমাযানের লাইলাতুল কদরকে বাদ দিয়ে অন্য কোন রাত্রিকে বুঝানোর চেষ্টা করা কুরআন বিকৃতির নামামত্মর। এ ধরনের বিকৃত অর্থ করা থেকে আল্লাহ তা‘আলা আলেমদেরকে হেফাযত করুন। আল্লাহ তা‘আলা এ ধরনের কাজের ব্যাপারে মানবজাতিকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন,

﴿اِنَّ الَّذِيْنَ يُلْحِدُوْنَ فِيْۤ اٰيَاتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَاؕ اَفَمَنْ يُّلْقٰى فِى النَّارِ خَيْرٌ اَمْ مَّنْ يَّاْتِيْۤ اٰمِنًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِؕ اِعْمَلُوْا مَا شِئْتُمْ اِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ﴾

যারা আমার আয়াতসমূহকে বিকৃত করে তারা আমার অগোচরে নয়। শ্রেষ্ঠ কে, যে ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সে, নাকি যে কিয়ামতের দিন নিরাপদে থাকবে সে? সুতরাং তোমরা যা ইচ্ছা তা আমল করে যাও। (জেনে রেখো) তোমরা যা কর, তিনি তার দ্রষ্টা। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৪০)

আয়াতে উল্লেখিত يُلْحِدُوْنَ শব্দটি اِلْحَادٌ (ইলহাদ) থেকে নির্গত। যার অর্থ ফিরে যাওয়া, সোজা পথ ছেড়ে বাঁকা পথের দিকে যাওয়া, বক্রতা অবলম্বন করা ইত্যাদি। সুতরাং কুরআনের ক্ষেত্রে ইলহাদ করার অর্থ হবে, আল্লাহর আয়াতসমূহের সঠিক অর্থ গ্রহণ না করে ভুল অর্থ গ্রহণ করা। মক্কার কাফিররা কুরআন মাজীদের আয়াতসমূহ ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য যে চক্রান্ত করেছিল তার মধ্যে ছিল, তারা কুরআনের আয়াত শুনে কোন আয়াতকে পূর্বাপর প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অথবা কোন আয়াতের শাব্দিক বিকৃতি ঘটিয়ে ভুল অর্থ গ্রহণ করে নানা রকমের প্রশ্ন উত্থাপন করত।

কোন ব্যক্তি যদি কোন আয়াতের ভুল অর্থ গ্রহণ করে থাকেন, তবে তা সকলের জন্য দলীল হয়ে দাঁড়াবে- এমন কোন কথা শরীয়তে নেই। চাই তিনি যত বড় বুযুর্গ বা যত বড় আলেমই হোন না কেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন