hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩১
হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতের ঘটনা
নিঃসন্দেহে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাত বরণের বিষয়টি ছিল খুবই মর্মান্তিক। হুসাইন (রাঃ) ছিলেন ফাতেমা (রাঃ) এর গর্ভজাত সন্তান এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর খুবই আদরের নাতী। যার কারণে সাহাবীগণও তাকে খুবই ভালোবাসতেন এবং তাকে মান্য করতেন। সুতরাং মুয়াবিয়া (রাঃ) এর পর তিনিই ছিলেন খিলাফাতের প্রধান হকদার।

কিন্তু যখন মুয়াবিয়া (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন, তখন তার পুত্র ইয়াযীদ ক্ষমতায় আরোহণ করেন এবং লোকদের কাছ থেকে বাই‘আত গ্রহণ করতে থাকেন। এদিকে লোকেরা দলে দলে তার হাতে বাই‘আত প্রদান করতে থাকে, এমনকি ইসলামী বিশ্বের সকল কেন্দ্রীয় নেতাসহ সে সময়ে জীবিত প্রায় সাহাবীই তার হাতে বাইআত প্রদান করেন। বাকি রইলেন কেবল ৪ জন বিশিষ্ট সাহাবী। তারা হলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের ও হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ)। কিন্তু মুসলিমদের বৃহত্তম স্বার্থের কথা চিমত্মা করে কিছু দিন পর আবদুল্লাহ ইবনে উমর এবং আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ)-ও ইয়াযীদের হাতে বাইআত প্রদান করলেন। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বাইআত প্রদান থেকে বিরত থাকা অবশিষ্ট দু’জন সাহাবীকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, ‘‘আপনারা আল্লাহকে ভয় করুন! মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করবেন না’’। কিন্তু এরপরও তারা নিজেদের সিদ্ধান্তের উপর অটল রইলেন এবং উভয়ে মদিনা থেকে মক্কায় চলে গেলেন।

এদিকে কূফাবাসীরাও ইয়াযীদকে খলীফা হিসেবে মেনে নিতে পারছিল না। কেননা তারা ইতিপূর্বে ইয়াযীদের পিতা মুয়াবিয়া (রাঃ) এর প্রতি সমত্মুষ্ট ছিল না। ফলে তারাও বাইআত প্রদান করা থেকে বিরত ছিল। অতঃপর কূফাবাসীরা যখন জানতে পারল যে, হুসাইন (রাঃ) এখনও বাইআত প্রদান করা হতে বিরত আছেন, তখন তারা তাঁর হাতে বাইআত প্রদান করতে আগ্রহী হয়ে উঠল। ফলে তারা হুসাইন (রাঃ)-কে ইরাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বার বার চিঠি প্রেরণ করতে থাকল। অবশেষে দেখা গেল যে, তাদের প্রেরিত চিঠির সংখ্যা হয়েছিল ৫০০ এরও অধিক।

কূফাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার চিঠি পাওয়া সত্ত্বেও হুসাইন (রাঃ) কিছুতেই সেখানে গমন করতে রাজি হচ্ছিলেন না। কেননা ইতিপূর্বে তার পিতা আলী (রাঃ) এর সাথে তারা যেসব আচরণ করেছিল সেগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি তাদের উপর আশ্বসত্ম হতে পারছিলেন না। তাছাড়া তাঁর সকল হিতাকাঙ্ক্ষীও তাকে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। অবশেষে তিনি কূফাবাসীর প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য চাচাতো ভাই মুসলিম ইবনে আকীল (রাঃ)-কে কূফায় প্রেরণ করেন।

অতঃপর মুসলিম ইবনে আকীল (রাঃ) যখন কূফায় গমন করেন, তখন কূফাবাসীরা হুসাইন (রাঃ) এর হাতে বাইআত প্রদান করতে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করে। এমনকি তারা গোপনে হুসাইন (রাঃ) এর পক্ষ থেকে মুসলিম (রাঃ) এর হাতেই বাইআত প্রদান করে ফেলে। আর তাদের সংখ্যা হয়েছিল ১২ থেকে ১৮ হাজার।

কূফাবাসীদের থেকে এত বেশি ইতিবাচক সাড়া পেয়ে মুসলিম (রাঃ) হুসাইন (রাঃ)-কে কূফায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি পত্র প্রেরণ করেন। সে সময় কূফার গভর্নর ছিলেন নুমান ইবনে বাশীর (রাঃ)। তিনি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জনগণকে ডেকে বিশৃঙ্খলা না করার জন্য নির্দেশ দেন। এদিকে কেন্দ্রীয় শাসক ইয়াযীদ যখন বিষয়গুলো জানতে পারলেন, তখন তিনি সুষ্ঠভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষে নুমান ইবনে বাশীর (রাঃ)-কে পদচ্যুত করে বসরার গভর্নর উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। আর তাকে শুধুমাত্র এ নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন কূফাবাসীকে তার বিরুদ্ধে হুসাইন (রাঃ) এর সাথে বিদ্রোহ করতে নিষেধ করেন।

অতঃপর উবাইদুল্লাহ দ্রুত কূফায় পৌঁছে বিষয়টি ভালোভাবে তদমত্ম করেন। এমনকি তিনি নিশ্চিত হলেন যে, হানী বিন উরওয়ার ঘরে হুসাইন (রাঃ) এর পক্ষে মুসলিম বিন আকীল (রাঃ) এর হাতে বাইয়াত প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে মুসলিম (রাঃ) পরিস্থিতি আন্দাজ করতে পেরে চার হাজার সমর্থক নিয়ে উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের প্রাসাদ ঘেরাও করেন। ফলে উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদ প্রাসাদ থেকে বের হয়ে এসে একটি ভাষণ প্রদান করলেন। এতে তিনি কূফাবাসীদেরকে ইয়াযীদের সেনাবাহিনীর ব্যাপারে অনেক ভীতি প্রদর্শন করলেন। ফলে লোকেরা খুবই প্রভাবান্বিত হলো এবং ধীরে ধীরে সবাই পলায়ন করতে লাগল। এমনকি দিন শেষে মুসলিম (রাঃ) এর সাথে কেবল তিন জন লোক অবশিষ্ট রইল।

এ সুযোগে উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদ মুসলিম বিন আকীল (রাঃ)-কে বন্দী করে ফেলেন এবং তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। মুসলিম (রাঃ) যখন কূফাবাসীদের এহেন নির্মম বিশ্বাসঘাতকতা নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করলেন এবং নিজের মৃত্যুদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হলেন, তখন তিনি উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের কাছে আবেদন করলেন যে, তাকে যেন হুসাইন (রাঃ) এর নিকট একটি চিঠি পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। ফলে উবাইদুল্লাহ তাকে অনুমতি প্রদান করলেন। হুসাইন (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে মুসলিম (রাঃ) কর্তৃক প্রেরিত চিঠির বক্তব্য ছিল এরূপ যে, ‘‘হুসাইন! পরিবার-পরিজন নিয়ে ফেরত যাও। কূফাবাসীদের ধোঁকায় পড়ো না। কেননা তারা তোমার সাথে মিথ্যা বলেছে। আমার সাথেও তারা সত্য বলেনি। আমার দেয়া এই তথ্য মিথ্যা নয়।’’ অতঃপর জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে আরাফা দিবসে মুসলিম বিন আকীল (রাঃ) এর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

এদিকে হুসাইন (রাঃ) জিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখে কূফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। এ সময় অনেক সাহাবীই তাকে বাধা প্রদান করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। এসব সাহাবীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস, আবদুল্লাহ ইবনে উমর, আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর, আবদুল্লাহ ইবনে আমর এবং মুহাম্মাদ ইবনে হানাফীয়্যাহ (রাঃ) প্রমুখ।

যাত্রাকালে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হুসাইন (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, হুসাইন! আমি তোমাকে একটি হাদীস শোনাব। একদা জিবরাঈল (আঃ) আগমন করে নবী ﷺ-কে দুনিয়া এবং আখিরাত- এ দুটি থেকে যেকোন একটি গ্রহণ করার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। ফলে তিনি দুনিয়া বাদ দিয়ে আখিরাতকে বেছে নিয়েছিলেন। আর তুমি তাঁর অংশ। আল্লাহর শপথ! তোমাদের কেউ কখনই দুনিয়ার সম্পদ লাভে সক্ষম হবে না। তোমাদের ভালোর জন্যই আল্লাহ তোমাদেরকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস থেকে ফিরিয়ে রেখেছেন। কিন্তু হুসাইন (রাঃ) তাঁর প্রসত্মাব প্রত্যাখ্যান পূর্বক যাত্রা বিরতি করতে অস্বীকার করেন। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হুসাইন (রাঃ) এর সাথে আলিঙ্গন করে বিদায় দিলেন এবং তিনি বিচ্ছেদ বেদনায় কেঁদে দিলেন।

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হুসাইন (রাঃ)-কে বলেছিলেন, মানুষের দোষারোপের ভয় না থাকলে আমি তোমার ঘাড় ধরে যাত্রা করা থেকে বিরত রাখতাম।

কিন্তু হুসাইন (রাঃ) সকলের বাধা উপেক্ষা করে নিজ পরিবার-পরিজন নিয়ে কূফার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ) হুসাইন (রাঃ)-কে বলেছিলেন, হুসাইন! কোথায় যাও? এমন লোকদের কাছে, যারা তোমার পিতাকে হত্যা করেছে এবং তোমার ভাইকে আঘাত করেছে?

তারপর হুসাইন (রাঃ) যখন কূফার একেবারেই কাছাকাছি চলে আসেন, তখন মুসলিম (রাঃ) এর উক্ত চিঠিটি তাঁর হাতে পৌঁছে। তখন তিনি সাথে সাথেই কূফার পথ ত্যাগ করে ইয়াযীদের কাছে যাওয়ার জন্য সিরিয়ার পথে অগ্রসর হন।

এদিকে খবর পেয়ে উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের সেনারা আমর বিন সাদ, সীমার বিন যুল জাওশান এবং হুসাইন বিন তামীমের নেতৃত্বে কারবালার প্রামত্মরে হুসাইন (রাঃ) এর গতিরোধ করে। অতঃপর হুসাইন (রাঃ) তাদেরকে আল্লাহর শপথ করে এবং ইসলামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনটি প্রসত্মাব পেশ করেন। সেগুলো হলো-

১। আমাকে ইয়াযীদের হাতে হাত রেখে বাই‘আত প্রদানের সুযোগ দেয়া হোক।

২। মদিনায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক।

৩। আমাকে সীমান্তের কোন এক স্থানে চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক।

কিন্তু উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদ তাঁর সকল প্রসত্মাবই প্রত্যাখ্যান করেন এবং হুসাইন (রাঃ)-কে যুদ্ধে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। সে সময় হুসাইন (রাঃ) এর সৈন্যসংখ্যা ছিল উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের বাহিনী থেকে খুবই কম। সুতরাং যুদ্ধটি ছিল একেবারেই অসম।

হুসাইন (রাঃ) যখন শত্রুপক্ষের মনোভাব বুঝতে পারলেন, তখন তিনি যুদ্ধ করার সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করলেন। তারপর তিনি সর্বশক্তি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। হুসাইন (রাঃ) এর সাথিগণ বেশ বীরত্বের সাথেই যুদ্ধ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সৈন্য সংখ্যার বিশাল ব্যবধানে তাদের আর টিকে থাকা সম্ভব হলো না। ফলে হুসাইন (রাঃ) এর সাথিদের মধ্যে একে একে সকলেই শাহাদাত বরণ করতে থাকল। অবশেষে কেবলমাত্র তিনিই অবশিষ্ট রইলেন। শত্রুপক্ষের প্রতিটি সৈন্যই কামনা করছিল যে, সে ছাড়া অন্য কেউ হুসাইন (রাঃ)-কে হত্যা করুক, যাতে তার হাত রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দৌহিত্রের রক্তে রঙ্গীন না হয়। অবশেষে সীমার বিন যুল জাওশান নামক এক নিকৃষ্ট ব্যক্তি হুসাইন (রাঃ)-কে হত্যা করতে উদ্যত হয় এবং বর্শা দিয়ে আঘাত করে ধরাশায়ী করে ফেলে। বলা হয়ে থাকে যে, এই সীমারই হুসাইন (রাঃ) এর মাথা দেহ থেকে আলাদা করেছে। আবার কেউ কেউ বলেন, সিনান বিন আনাস আন-নাখঈ নামক এক ব্যক্তি তাঁর মাথা দেহ থেকে আলাদা করেছে।

মৃত্যুকালে হুসাইন (রাঃ) এর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। আর সেটি ছিল ৬১ হিজরীর মুহাররম মাসের ১০ তারিখ।

পর্যালোচনা :

হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতবরণের ঘটনাটি ছিল নিতান্তই রাজনৈতিক মতবিরোধের একটি দুঃখজনক পরিণতি। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য মূলত দায়ী ছিল বিশ্বাসঘাতক কূফাবাসীরা ও নিষ্ঠুর গভর্নর উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদ। কেননা ইয়াযীদ কেবলমাত্র হুসাইন (রাঃ) এর আনুগত্য চেয়েছিলেন, তার খুন চাননি। হুসাইন (রাঃ) সে আনুগত্য দিতেও প্রসত্মুত ছিলেন। ইয়াযীদ স্বীয় পিতার অসিয়ত অনুযায়ী হুসাইন (রাঃ)-কে সর্বদা সম্মান করেছেন এবং তখনও করতেন। ইতিপূর্বে হুসাইন (রাঃ) ও আবদুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ) অন্যান্য সাহাবীগণের সাথে ইয়াযীদের সেনাপতিত্বে ৪৯ মতান্তরে ৫১ হিজরীতে রোমকদের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের অভিযানেও অংশগ্রহণ করেছেন, যা ছিল মুসলিমদের প্রথম সমুদ্র অভিযান। যে যুদ্ধের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আমার উম্মতের নৌযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রথম সেনাদলের জন্য বেহেশত ওয়াজিব হয়ে গেছে। [সহীহ বুখারী, হা/১৯২৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৮৬৬৮।]

যখন হুসাইন (রাঃ) এর ছিন্নমস্তক ইয়াযীদের সামনে রাখা হয়, তখন তিনি কেঁদে উঠে বলেছিলেন, উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের উপর আল্লাহ তা‘আলা লানত বর্ষণ করুন। আল্লাহর কসম! যদি হুসাইনের সাথে তার রক্তের সম্পর্ক থাকত, তাহলে সে কিছুতেই তাকে হত্যা করত না। তিনি আরো বলেন যে, হুসাইনের খুন ছাড়াও আমি ইরাকীদেরকে আমার আনুগত্যে রাজি করাতে পারতাম। [ইবনু তাইমিয়াহ, মুখতাছার মিনহাজুস সুন্নাহ (রিয়াদঃ মাকতাবতুল কাওছার ১ম সংস্করণ ১৪১১/১৯৯১) ১ম খন্ড পৃঃ ৩৫০; একই মর্মে বর্ণনা এসেছে, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮ম খন্ড ১৭৩ পৃঃ।]

অতঃপর হুসাইন (রাঃ) এর পরিবারের স্ত্রী-কন্যা ও শিশুগণ ইয়াযীদের প্রাসাদে প্রবেশ করলে প্রাসাদে কান্নার রোল পড়ে যায়। ইয়াযীদ তাদেরকে প্রচুর সম্মান করেন ও মূল্যবান উপঢৌকনাদি দিয়ে সসম্মানে মদিনায় প্রেরণ করেন। [মুখতাছার মিনহাজুস সুন্নাহ ১ম খন্ড পৃঃ ৩৫০।]

উল্লেখ্য যে, হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতবরণকে কেন্দ্র করে বর্তমান সমাজে অনেক বানোয়াট ও উদ্ভট কথার প্রচলন রয়েছে। আমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন