মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কবর যিয়ারত করা শরীয়ত সমর্থিত একটা নেক আমল। তবে এর কোন নির্দিষ্ট দিন নেই। সুতরাং ঈদের দিন কবর যিয়ারতকে অভ্যাসে পরিণত করা বা একটা প্রথা বানিয়ে নেয়া শরীয়তসম্মত নয়। হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঘরসমূহকে কবরে পরিণত করো না এবং আমার কবরে ঈদ উদযাপন করো না। [আবু দাউদ, হা/২০৪৪; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১১৫৯; মিশকাত, হা/৯২৬।]
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্যতা রাখবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। [আবু দাউদ, হা/৪০৩৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৯৬৬; মু‘জামুল আওসাত, হা/৮৩২৭; জামেউস সগীর, হা/১১০৯৪; মুখতাসার ইরওয়ালুল গালীল, হা/২৩৮৪; মিশকাত, হা/৪৩৪৭।]
এ হাদীসের বাহ্যিক অর্থ হলো, যে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য রাখবে সে কাফির হয়ে যাবে।
৩. পুরুষ কর্তৃক মহিলার বেশ ধারণ করা ও মহিলা কর্তৃক পুরুষের বেশ ধারণ করা :
পোশাক-পরিচ্ছদ, চাল-চলন ও সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে পুরুষের মহিলার বেশ ধারণ ও মহিলার পুরুষের বেশ ধারণ করা হারাম। ঈদের দিন এ কাজটি অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। হাদীসে এসেছে,
ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ঐ সকল পুরুষকে অভিশম্পাত করেছেন, যারা মহিলার বেশ ধারণ করে এবং ঐ সকল মহিলাকেও অভিশম্পাত করেছেন, যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে। [সহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫; আবু দাউদ, হা/৪০৯৯; ইবনে মাজাহ, হা/১৯০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩১৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৬৮; মিশকাত, হা/৪৪২৯।]
৪. পর্দা লঙ্ঘন করা :
মহিলাদের খোলামেলা ও অশালীন পোশাকে রাসত্মাঘাটে বের হওয়া ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ। হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুললাহ ﷺ বলেছেন, অচিরেই এমন একদল মহিলার আগমন ঘটবে, যারা পোশাক পরিধান করেও যেন উলঙ্গ থাকবে। তারা অন্যদেরকে আকৃষ্ট করবে এবং তারাও অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথার চুলের অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের ন্যায়। এরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি তার ঘ্রাণও পাবে না। যদিও তার ঘ্রাণ এত এত দূর থেকে পাওয়া যাবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৭০৪; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৩৩৮৬; জামেউস সগীর, হা/৭২৪৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৩২৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৪৪; মিশকাত, হা/৩৫২৪।]
অনেককে দেখা যায় অন্যান্য দিনের চেয়ে ঈদের দিন গুনাহের কাজ বেশি করে। নিকটাত্মীয়দের মাঝে যাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা শরীয়ত অনুমোদিত নয়, তাদের সাথে অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ করে। হাদীসে এসেছে,
উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা মেয়েদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। আনসারী সাহাবীদের মধ্য থেকে এক লোক প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবর-ভাসুরের ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? তিনি উত্তরে বললেন, দেবর-ভাসুর তো মৃত্যুর সমতুল্য। [সহীহ বুখারী, হা/৫২৩২; সহীহ মুসলিম, হা/৫৮০৩; তিরমিযী, হা/১১৭১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩৮৫; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯১৭২; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩৯০১; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৩২৬১; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৪১৮১; শারহুস সুন্নাহ, হা/২২৫২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৮৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১৭৯৫৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৯০৮; মিশকাত, হা/৩১০২।]
এমনসব আত্মীয়, যারা স্বামীর সম্পর্কের দিক দিয়ে নিকটতম যেমন- স্বামীর আপন ভাই, চাচা, চাচাতো ভাই, মামা, মামাতো ভাই, খালু, খালাতো ভাই প্রমুখ তাদেরকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করার কারণ হলো, এসকল আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমেই বেপর্দাজনিত বিপদ বেশি ঘটে থাকে। অথচ এ বিষয়ে আমাদের সমাজ খুবই অসতর্ক।
৫. গান-বাজনা করা :
বর্তমান সময়ে মানুষের কাছে গান-বাজনা অতি সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এটি একটি বড় ধরনের গুনাহের কাজ। আর ঈদের দিন এ গুনাহের কাজটা আরো বেশি করে লক্ষ্য করা যায়। দেখে মনে হয় যেন এটি কোন মুসলিম সমাজের ঈদ নয়; বরং অন্য কোন ধর্মের অথবা জাতির আনন্দোৎসব। অথচ ইসলামী শরীয়তে গান ও বাদ্যযন্ত্রের নিষিদ্ধতার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
আমার উম্মতের মাঝে এমন একটা দলের আবির্ভাব ঘটবে, যারা ব্যভিচার, রেশমি পোশাক, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে। [সহীহ বুখারী, হা/৫৫৯০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৫৪; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৩১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৩৩৩৯; জামেউস সগীর, হা/৯৫৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৬৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৯১; মিশকাত, হা/৫৩৪৩।]
আল্লাহ তা‘আলা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা দান করে মুসলিম উম্মাহকে এর মাধ্যমে জাহেলী ঈদ-উৎসব থেকে মুক্ত করেছেন। মুসলিমদের ঈদ হলো ইবাদাত, যা বান্দাকে আল্লাহর নৈকট্য দান করে। আর কাফিরদের ঈদ হলো এর বিপরীত; কেননা সেখানে কুফর ও গোমরাহী প্রদর্শন করা হয় এবং বিভিন্ন শয়তানী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। তাই বছরের অন্যান্য দিনের মতো ঈদের দিনও শয়তানী কর্মকান্ড বর্জন করা মুসলিমদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/614/69
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।