hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৮
লাইলাতুল কদরে করণীয়
১. বেশি বেশি ইবাদাত করা :

কদরের রাতে বেশি করে নফল ইবাদাত করা জরুরি। নবী ﷺ রমাযানের শেষ দশক আসলে ইবাদাতের দিকে অত্যধিক মনোনিবেশ করতেন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهٗ وَأَحْيَا لَيْلَهٗ وَأَيْقَظَ أَهْلَهٗ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রমাযানের শেষ দশকের রাতগুলোতে কোমর কষে বাঁধতেন। তিনি নিজে জাগতেন এবং পরিবারের লোকদেরকেও জাগাতেন। [সহীহ বুখারী, হা/২০২৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৪২২; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৮২৯; মিশকাত, হা/২০৯০।]

২. লাইলাতুল কদরের বিশেষ দু‘আ পড়া :

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি নবী ﷺ-কে জিজ্ঞেস করলেন যে, আমি যদি লাইলাতুল কদর পাই তবে কী পড়ব? তিনি বলেন- এ দু‘আ পড়বে,

اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউউন তুহিববুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি বড়ই ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে তুমি ভালোবাস। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও। [তিরমিযী, হা/৩৫১৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৫০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৪২৩; মিশকাত, হা/২০৯১।]

যেসকল আমল কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে সেসকল আমল যার যতটুকু সামর্থ হয় পালন করে যাবে। যেমন-

 কুরআন তিলাওয়াত করা।

 তাসবীহ পাঠ করা।

 নবী ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করা।

 দ্বীনী ইলম চর্চা করা।

 নফল সালাত আদায় করা।

নফলজাতীয় ইবাদাতের মধ্যে নফল নামাযের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ নামায এমন এক ইবাদাত, যার মধ্যে অনেক ইবাদাতের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। যেমন- নামাযের মধ্যে তিলাওয়াত আছে, তাসবীহ আছে, দরূদ আছে, দু‘আ আছে এবং রুকূ, সিজদা ও কিয়াম আছে।

হাদীসেও নবী ﷺ বেশি বেশি নফল সালাত আদায়ের ব্যাপারে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ رَبِيْعَةَ بْنِ كَعْبٍ اَلْأَسْلَمِىِّ يَقُوْلُ كُنْتُ أَبِيْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ - فَأَتَيْتُه بِوُضُوْئِه وَبِحَاجَتِه فَقَالَ سَلْنِىْ فَقُلْتُ مُرَافَقَتَكَ فِى الْجَنَّةِ قَالَ أَوَغَيْرَ ذٰلِكَ قُلْتُ هُوَ ذَاكَ قَالَ فَأَعِنِّىْ عَلٰى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُوْدِ

রাবি‘আ ইবনে কাব আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে রাত কাটালাম। তখন আমি তাঁর জন্য অযু ও অন্যান্য প্রয়োজনে পানি নিয়ে আসলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি আমার কাছে (যা খুশি) চাও। তখন আমি বললাম, আমি আপনার সাথে জান্নাতে থাকতে চাই। তারপর নবী ﷺ বললেন, (এটা ছাড়া) তোমার অন্য কিছু চাওয়ার আছে কি? আমি বললাম, না- বরং এটাই চাই। তখন তিনি বললেন, তাহলে তুমি তোমার ব্যাপারে বেশি বেশি সিজদা দ্বারা আমাকে সহযোগিতা করো। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৮৯; আবু দাউদ, হা/১৩২২; বায়হাকী, হা/৪৩৪৪; নাসাঈ, হা/১১৩৭; মিশকাত, হা/৮৯৬।]

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - قَالَ أَقْرَبُ مَا يَكُوْنُ الْعَبْدُ مِنْ رَّبِّه وَهُوَ سَاجِدٌ فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয়, যখন সে সিজদায় থাকে। অতএব তোমরা অধিক পরিমাণে দু‘আ করো। [সহীহ মুসলিম, হা/১১১১; আবু দাউদ, হা/৮৭৫; নাসাঈ, হা/১১৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৪৪২; মিশকাত, হা/৮৯৪।]

এসব হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, নফল নামাযের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আমাদের উচিত সর্বদা নফল নামাযের প্রতি গুরুত্ব দেয়া। বিশেষ করে যে নামাযগুলো হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে, তার দিকে খেয়াল রাখা। যেমন-

১. তাহাজ্জুদ,

২. সালাতুয যুহা ,

৩. সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা ইত্যাদি।

এছাড়াও অনির্দিষ্টভাবে যেকোন সময় সামর্থানুযায়ী নফল সালাত আদায় করা যায়। বিশেষ করে লাইলাতুল কদরে বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করা যাবে। স্বাভাবিক নামাযের ন্যায় দু’রাকআত দু’রাকআত করে যেকোন সূরা দিয়ে যত রাকআত সামর্থ হবে পড়তে থাকবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন