hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭২
জিলহজ্জের প্রথম দশকে করণীয় আমলসমূহ
১. কুরবানী দাতার নখ, চুল, গোঁফ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা :

জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে ১০ দিন পর্যমত্ম কুরবানী দাতার জন্য নখ, চুল, গোঁফ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা উচিত। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ‏ إِذَا دَخَلَتِ الْعَشْرُ وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَمَسَّ مِنْ شَعَرِه وَبَشَرِه شَيْئًا

উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, যখন (জিলহজ্জ মাসের) প্রথম দশ দিন উপস্থিত হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল ও নখের কিছুই স্পর্শ না করে (কর্তন না করে)। [সহীহ মুসলিম, হা/৫২৩২; নাসাঈ, হা/৪৩৬৪; ইবনে মাজাহ, হা/৩১৪৯; মিশকাত, হা/১৪৫৯।]

২. বেশি বেশি নফল ইবাদাত করা :

নফল ইবাদাত আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি বিশেষ মাধ্যম। বান্দা যতবেশি নফল ইবাদাত করবে ততবেশি সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবে।

৩. বেশি বেশি যিকির করা :

জিলহজ্জের ১ম দিন থেকে ১৩ তারিখ পর্যমত্ম আল্লাহ তা‘আলা যিকির করার জন্য বিশেষ হুকুম প্রদান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَاذْكُرُوا اللهَ فِيْۤ أَيَّامٍ مَّعْدُوْدَاتٍ﴾

আর আল্লাহকে স্মরণ করো নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনে। (সূরা বাকারা- ২০৩)

৪. বেশি বেশি তওবা করা :

প্রত্যেক মানুষ কোন না কোনভাবে পাপ করে থাকে। এজন্য সকলের উচিত হলো ঐ সকল পাপ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহ তা‘আলা সবসময় বান্দার তওবা কবুল করে থাকেন। তিনি বলেন,

﴿وَمَنْ يَّعْمَلْ سُوْٓءًا اَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهٗ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللهَ يَجِدِ اللهَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا﴾

আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করে অথবা নিজের প্রতি যুলুম করে, তারপর সে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করে, তাহলে সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু হিসেবেই পাবে। (সূরা নিসা- ১১০)

৫. বেশি বেশি তাকবীর পাঠ করা :

জিলহজ্জের প্রথম দশকে বেশি বেশি তাকবীর পাঠ করা অনেক সওয়াবের কাজ। সাহাবীগণ এ আমলটিকে খুব গুরুত্বের সাথে পালন করতেন। ইমাম বুখারী (রহ.) তার সহীহ গ্রন্থে তা‘লীক সূত্রে বর্ণনা করেন, ইবনে উমর (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) জিলহজ্জের প্রথম দশকের দিকে বাজার অভিমুখে বের হতেন এবং তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করতেন। আর জনগণও তাদের তাকবীরের সাথে তাকবীর দিত।

৬. নফল নামায আদায় করা :

নফল নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এ দিনগুলোতে নফল নামায আদায় করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা উচিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দনীয় আমলের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তোমার উচিত আল্লাহর (সমত্মুষ্টির) উদ্দেশ্যে বেশি বেশি সিজদা করা। কেননা তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করবে, তখনই আল্লাহ তা‘আলা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১১২১; ইবনে মাজাহ, হা/২০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৪৩১; মিশকাত, হা/৮৯৭।]

৭. নফল রোযা রাখা :

রমাযান মাস ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে কিছু কিছু রোযা রাখার অভ্যাস থাকা খুবই ভালো এবং বিরাট সওয়াবের কাজ। কেননা নফল ইবাদাতগুলোর মধ্যে রোযাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ دُلَّنِيْ عَلٰى عَمَلٍ قَالَ عَلَيْكَ بِالصَّوْمِ فَإِنَّه لَا عِدْلَ لَه

আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ-কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কোন আমলের কথা বলে দিন। নবী ﷺ বললেন, তুমি অবশ্যই রোযা রাখবে, কেননা এর সমতুল্য অন্য কিছুই নেই। [মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৫৩৩; নাসাঈ, হা/২২২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৩৩০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৮৯৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯৮৬; জামেউস সগীর, হা/৭৪৯২।]

বছরের যেকোন সময়ই নফল রোযা রাখা যায়। তবে জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হওয়ায় এ দিনগুলোতে নফল রোযা রাখা অতি সওয়াবের কাজ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন