hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫২
শাবান মাসের করণীয়
১. বেশি বেশি রোযা রাখা :

শাবান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত হচ্ছে বেশি বেশি সিয়াম পালন করা। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ রমাযান মাস ব্যতীত এ মাসেই সবচেয়ে বেশি নফল রোযা রাখতেন। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ أَخْبِرِيْنِىْ عَنْ صِيَامِ رَسُوْلِ اللهِ قَالَتْ كَانَ يَصُوْمُ حَتّٰى نَقُوْلَ قَدْ صَامَ وَيُفْطِرُ حَتّٰى نَقُوْلَ قَدْ أَفْطَرَ وَلَمْ يَكُنْ يَصُوْمُ شَهْراً أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ كَانَ يَصُوْمُ شَعْبَانَ إِلَّا قَلِيْلًا كَانَ يَصُوْمُ شَعْبَانَ كُلَّه

আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর রোযা সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন। তখন তিনি বললেন, তিনি কোন সময় এমনভাবে রোযা রাখা শুরু করতেন যে, আমরা বলতাম- তিনি রোযা রাখতেই থাকবেন। আবার কোন সময় তিনি এমনভাবে রোযা ছেড়ে দিতেন যে, আমরা বলতাম- তিনি আর রোযা রাখবেন না। আর তিনি শাবান মাসের চেয়ে অধিক সংখ্যক রোযা অন্য কোন মাসে রাখতেন না। তিনি শাবানের কিছুদিন বাদ দিয়ে বাকি দিনগুলো রোযা রাখতেন। [নাসাঈ, হা/২১৭৯; সহীহ বুখারী, হা/১৯৭০; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/২৪১৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০২৪।]

উল্লেখ্য যে, এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করা যাবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনো এরূপ করেননি। সুতরাং যদি এরূপ করা হয় তাহলে সেটা বিদআত হিসেবে পরিগণিত হবে।

২. শাবান মাসের শেষ তারিখে রোযা না রাখা :

শাবান মাসের পরের মাসই হচ্ছে রমাযান মাস। সুতরাং রমাযান মাসের প্রসত্মুতির মাস হচ্ছে শাবান মাস। অপরদিকে রমাযান মাসের রোযা রাখা হচ্ছে ফরয এবং শাবান মাসের রোযা রাখা নফল। সুতরাং ফরয ও নফল যেন মিলে না যায় এবং ফরযকে নফল থেকে পার্থক্য করা যায়- এ কারণে রাসূলুল্লাহ ﷺ রমাযান মাসের আগের দিন তথা শাবান মাসের শেষ দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ لَا يَتَقَدَّمَنَّ أَحَدُكُمْ رَمَضَانَ بِصَوْمِ يَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ إِلَّا أَنْ يَّكُوْنَ رَجُلٌ كَانَ يَصُوْمُ صَوْمَهُ فَلْيَصُمْ ذٰلِكَ الْيَوْمَ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন একটি বা দু’টি রোযা রেখে রমাযান মাসকে স্বাগত না জানায়। তবে তার কথা ভিন্ন, যে সেদিনে রোযা রাখায় অভ্যস্ত। [সহীহ বুখারী, হা/১৮১৫; সহীহ মুসলিম, হা/২৫৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯২৭২; মিশকাত, হা/১৯৭৩।]

যেমন- কেউ প্রতি সোমবার রোযা রাখে। সুতরাং রমাযানের আগের দিন সোমবার হলে সে রোযা রাখতে পারে।

৩. আইয়ামে বীযের রোযা রাখা :

যে ব্যক্তি নিয়মিত আইয়ামে বীযের রোযা রাখে তার জন্য শাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখা দোষণীয় নয়। বরং নিয়মিত আমল হিসেবে সে পরিপূর্ণ সওয়াব অর্জন করবে। কারণ আইয়ামে বীযের রোযার ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ ذَرٍّ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا صُمْتَ مِنَ الشَّهْرِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسَ عَشْرَةَ

আবু যর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, হে আবু যর! তুমি যখন প্রতি মাসে তিনদিন রোযা রাখবে তখন ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখবে। [তিরমিযী, হা/৭৬১; বায়হাকী, হা/৮২২৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০৩৮; মিশকাত, হা/২০৫৭।]

অপর হাদীসে এসেছে,

عَنِ ابْنِ مِلْحَانَ الْقَيْسِىِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ - - يَأْمُرُنَا أَنْ نَّصُوْمَ الْبِيْضَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسَ عَشْرَةَ

ইবনে মিলহান আল-কাইসী (রহ.) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে বীযের দিনগুলোতে অর্থাৎ প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখার নির্দেশ দিতেন। [আবু দাউদ, হা/২৪৫১; বায়হাকী, হা/৮৭০৩; নাসাঈ, হা/২৭৩৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০৩৯।]

অতএব যারা নির্দিষ্ট করে এ দিনগুলোতে রোযা রাখতে অভ্যসত্ম, তারা শাবান মাসের এ দিনগুলোতেও রোযা রাখতে পারবে। আর এ কারণে সে অনেক সওয়াবও অর্জন করতে পারবে।

৪. নিয়মিত আমলসমূহ পালন করা :

আল্লাহ তা‘আলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ঐ আমল, যা সর্বদা পালন করা হয়। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ سُئِلَ النَّبِيُّ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ قَالَ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّ وَقَالَ اكْلَفُوْا مِنَ الْأَعْمَالِ مَا تُطِيْقُوْنَ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেন, যে আমলটি সর্বদা পালন করা হয়- যদিও তা পরিমাণে কম হয়। তিনি আরো বলেছেন যে, তোমরা ঐ পরিমাণ আমল করতে থাকো, যা করতে তোমরা সক্ষম। [সহীহ বুখারী, হা/৬৪৬৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৩১৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৭৪; বায়হাকী, হা/৪৭৪৭; মিশকাত, হা/১২৪২।]

সুতরাং যে ব্যক্তি নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে সে ব্যক্তি শাবান মাসের মধ্য রাত্রিতেও তাহাজ্জুদের সালাতসহ অন্যান্য ইবাদাত করতে পারবে। আর নফল সালাতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সালাত হচ্ছে তাহাজ্জুদের সালাত। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ - -قَالَ سُئِلَ اَىُّ الصَّلَاةِ اَفْضَلُ بَعْدَ الْمَكْتُوْبَةِ وَاَىُّ الصِّيَامِ اَفْضَلُ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ فَقَالَ اَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ الْمَكْتُوْبَةِ الصَّلَاةُ فِى جَوْفِ اللَّيْلِ وَاَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ صِيَامُ شَهْرِ اللهِ الْمُحَرَّمِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, ফরয সালাতের পর সবচেয়ে উত্তম সালাত কোনটি এবং রমাযান মাসের সিয়ামের পর সবচেয়ে উত্তম সিয়াম কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন, ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো মধ্য রাতের সালাত। আর রমাযান মাসের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো মুহাররম মাসের সিয়াম। [সহীহ মুসলিম, হা/২৮১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০১৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৩৪।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন