hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলোচিত রাত-দিন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

জুমু‘আর দিনের গুরুত্ব ও বিশেষত্ব
আল্লাহ তা‘আলার কাছে সাপ্তাহিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হচ্ছে জুমু‘আর দিন। এ দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব রয়েছে, যা জেনে রাখা এবং এর উপর ভিত্তি করে আমল করে যাওয়া প্রত্যেক মুসলিমের উপর অত্যাবশ্যক। যেমন,

জুমু‘আর দিন সবচেয়ে উত্তম দিন :

সপ্তাহের সাতটি দিনের মধ্যে জুমু‘আর দিনটি হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম দিন। এ দিনে অনেক বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং হবে। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ - قَالَ : خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيْهِ خُلِقَ اٰدَمُ وَفِيْهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ وَفِيْهِ أُخْرِجَ مِنْهَا

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যেসব দিনে সূর্য উদিত হয় সেগুলোর মধ্যে জুমু‘আর দিনটি হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। এ দিনে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিনেই জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হা/৮৫৪; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪১; আবু দাউদ, হা/১০৪৮; বায়হাকী, হা/৫৭৯৮; তিরমিযী, হা/৪৮৮; নাসাঈ, হা/১৩৭২; শু‘আবুল ঈমান, হা/২৯৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯২০৭।]

সাপ্তাহিক উত্তম দিন হিসেবে জুমু‘আর দিনটি কেবল মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট :

জুমু‘আর দিনটিকে সাপ্তাহিক বিশেষ দিন হিসেবে প্রাপ্ত হওয়াটা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য খুবই সৌভাগ্যের বিষয়। হাদীসে এসেছে,

عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّه سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ يَقُوْلُ نَحْنُ الْاٰخِرُوْنَ السَّابِقُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بَيْدَ أَنَّهُمْ أُوْتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِنَا ثُمَّ هٰذَا يَوْمُهُمُ الَّذِيْ فُرِضَ عَلَيْهِمْ فَاخْتَلَفُوْا فِيْهِ فَهَدَانَا اللهُ فَالنَّاسُ لَنَا فِيْهِ تَبَعٌ الْيَهُوْدُ غَدًا وَالنَّصَارٰى بَعْدَ غَدٍ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছেন যে, দুনিয়াতে আমরা (অন্যসব জাতির) পরে এসেছি, কিন্তু হাশরের দিন আমরা হব সকলের অগ্রবর্তী, যদিও আমাদের আগে অন্যদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে। আর এই জুমু‘আর দিনটির সম্মান করা অন্যদের উপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল কিন্তু তারা তাতে মতভেদ করেছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিলেন। সুতরাং অন্যান্য সকল জাতিই এ ব্যাপারে আমাদের পেছনে রয়ে গেছে। যেমনিভাবে ইয়াহুদিরা শনিবারকে তাদের পবিত্র দিন মনে করে এবং খ্রিস্টানরা রবিবারকে তাদের পবিত্র দিন মনে করে। [সহীহ বুখারী, হা/৮৭৬; সহীহ মুসলিম, হা/২০১৮; নাসাঈ, হা/১৩৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৯৩; জামেউস সগীর, হা/১১৬৯৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৭৮৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭২০; মিশকাত, হা/১৩৫৪।] অর্থাৎ পবিত্র দিনের ব্যাপারে তাদের মধ্যেই ঐক্য নেই।

আল্লাহ তা‘আলা এ দিনেই কিয়ামত সংঘটিত করবেন :

এ দিনটিতে অনেক বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আর বিশ্ব পরিমন্ডলে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ ঘটনাটিও এই দিনে ঘটবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيْهِ خُلِقَ اٰدَمُ وَفِيْهِ أُهْبِطَ وَفِيْهِ تِيْبَ عَلَيْهِ وَفِيْهِ مَاتَ وَفِيْهِ تَقُوْمُ السَّاعَةُ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সূর্যোদয়ের মাধ্যমে যেসব দিনের সূচনা হয়, তার মধ্যে জুমু‘আর দিনই সর্বোত্তম। কারণ এ দিনেই আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিনেই তাকে পৃথিবীতে নামানো হয়েছে, এ দিনেই তার তওবা কবুল করা হয়েছে, এ দিনেই তার মৃত্যু হয়েছে এবং এ দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪১; তিরমিযী, হা/২০১৪; আবু দাউদ, হা/১০৪৮; তিরমিযী, হা/৪৮৮; নাসাঈ, হা/১৩৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩৯৯; মিশকাত, হা/১৩৫৬।]

এ দিনে কিয়ামতের ভয়ে প্রত্যেক জীবজমত্মু চিৎকার করে থাকে :

কিয়ামত জুমু‘আর দিনেই সংঘটিত হবে। যার কারণে সকল জীবজমত্মু শুক্রবারের দিন ফিরে আসলেই চিৎকার করে থাকে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - ..... وَفِيْهِ تَقُوْمُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا وَهِىَ مُسِيْخَةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِيْنَ تُصْبِحُ حَتّٰى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلَّا الْجِنَّ وَالْإِنْسَ وَفِيْهِ سَاعَةٌ لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّىْ يَسْأَلُ اللهَ حَاجَةً إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهَا

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,.......এ দিনেই (জুমু‘আর দিনে) কিয়ামত সংঘটিত হবে। জিন ও মানব ছাড়া প্রতিটি জীবই শুক্রবারের দিন সকালে কিয়ামতের ভয়ে চিৎকার করে থাকে। এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যদি বান্দা ঐ সময় সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা দান করবেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪১; তিরমিযী, হা/২০১৪; আবু দাউদ, হা/১০৪৮; তিরমিযী, হা/৪৮৮; নাসাঈ, হা/১৩৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩৯৯; মিশকাত, হা/১৩৫৬।]

এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে থাকেন :

আল্লাহ তা‘আলা এ দিনে অনেক মুমিন বান্দার বিশেষ করে যারা জুমু‘আর হক আদায় করে থাকে তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - قَالَ الصَّلَاةُ الْخَمْسُ وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ مَا لَمْ تُغْشَ الْكَبَائِرُ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায এবং এক জুমু‘আ থেকে আরেক জুমু‘আ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত গুনাহের কাফফারাস্বরূপ- যখন কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হয়। [সহীহ বুখারী, হা/৮৮৩; আবু দাউদ, হা/১১১৩; দারেমী, হা/১৫৪১।]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِىِّ - - قَالَ يَحْضُرُ الْجُمُعَةَ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ رَجُلٌ حَضَرَهَا يَلْغُوْ وَهُوَ حَظُّه مِنْهَا وَرَجُلٌ حَضَرَهَا يَدْعُوْ فَهُوَ رَجُلٌ دَعَا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنْ شَاءَ أَعْطَاهُ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَه وَرَجُلٌ حَضَرَهَا بِإِنْصَاتٍ وَسُكُوْتٍ وَلَمْ يَتَخَطَّ رَقَبَةَ مُسْلِمٍ وَلَمْ يُؤْذِ أَحَدًا فَهِىَ كَفَّارَةٌ إِلَى الْجُمُعَةِ الَّتِىْ تَلِيْهَا وَزِيَادَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ وَذٰلِكَ بِأَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُوْلُ مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَه عَشْرُ أَمْثَالِهَا

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, জুমু‘আর দিন তিন ধরনের লোক উপস্থিত হয়। একদল লোক জুমু‘আয় উপস্থিত হয়ে অনর্থক কাজ করে এবং সে অনুরূপ ফল পেয়ে থাকে। আরেকদল লোক জুমু‘আয় উপস্থিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে তাদেরকে তা দান করেন এবং ইচ্ছা করলে বঞ্চিত করেন। আর আরেকদল লোক জুমু‘আয় উপস্থিত হয়ে নীরবতা পালন করে এবং চুপ থাকে। আর তারা মুসলিমদেরকে ডিঙ্গিয়ে সামনে অগ্রসর হয় না এবং কাউকে কষ্টও দেয় না। ফলে এটা তার জন্য উক্ত জুমু‘আ থেকে পরের জুমু‘আ পর্যমত্ম এবং আরো অতিরিক্ত তিনদিনের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যে ব্যক্তি সৎ আমল নিয়ে উপস্থিত হবে, তার জন্য দশ গুণ সওয়াব রয়েছে। [আবু দাউদ, হা/১১১৫; বায়হাকী, হা/৫৬২২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৮১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭০০২; মিশকাত, হা/১৩৯৬।]

জুমু‘আর দিন দু‘আ কবুলের একটি বিশেষ সময় রয়েছে :

জুমু‘আর দিন দু‘আ কবুল হওয়ার দিন। এ দিন আল্লাহ তা‘আলা বান্দার দু‘আ কবুল করে থাকেন। কেননা এ দিনে দু‘আ কবুলের একটি বিশেষ সময় রয়েছে- যদি বান্দা ঐ সময় কোন দু‘আ করে, তাহলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে। এ মর্মে হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ذَكَرَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ فِيْهِ سَاعَةٌ لَا يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّيْ يَسْأَلُ اللهَ تَعَالٰى شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ وَأَشَارَ بِيَدِه يُقَلِّلُهَا

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু‘আর দিন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, এ দিনের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে, কোন মুসলিম বান্দা যদি সালাতরত অবস্থায় সে বিশেষ সময়টি পায় এবং আল্লাহর কাছে কোন কল্যাণ প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাকে তা দান করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ হাত দিয়ে ইশারা করে দেখান যে, মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। [সহীহ বুখারী, হা/৯৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/১১৮২; তিরমিযী, হা/৪৯১; নাসাঈ, হা/১৪৩৫।]

অত্র হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ কেবল দিনটির দিকে ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। কিন্তু সময়টির ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কোন কিছু বলেননি। তবে সালফে সালেহীনগণ এ ব্যাপারে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। যেমন-

১. একদল বলেন, জুমু‘আর দিনের সেই বিশেষ সময়টি হচ্ছে, ইমামের মিম্বরে বসার পর থেকে সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত।

২. আবার আরেকদল বলেন, উক্ত সময়টি হচ্ছে, আসরের সালাত আদায়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন