hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিহাসের ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

ভূমিকার ভূমিকা
ভূমিকা সাধারণত গ্রন্থকারকেই লিখতে হয়। যদি বলি রাতে স্বপ্ন দেখলাম একজন আমায় বলছেন-“আমি একটা নতুন ইতিহাস তোমায় বলছি তুমি লিখে নাও আমি তাই লিখে ফেললাম। কিছু প্রশ্নও করেছিলাম, যেমন আমাদের দেশের খ্যাতনামা ঐতিহাসিকগণ যে তথ্য দিয়েছেন আপনার সঙ্গে তার যে অনেক অমিল। শ্রী বিনয় ঘোষকে আমরা তো শ্রদ্ধাই করি তাঁর প্রতিভার জন্য। কিন্তু আপনি যা বলছেন তাতে তাঁর ওপর পাঠক-পাঠিকাদের মন অপ্রসন্ন হয়ে উঠবে কি? উত্তরে তিনি বললেন, বিনয় ঘোষ যে পণ্ডিত ও ইতিহাসজান্তা অধ্যাপক, ধর তা মেনেই নিলাম কিন্তু সরকারের তরফ হতে তাকে ঐ ইতিহাস লেখানো হয়েছে, তিনি স্বাধীনভাবে লিখতে পারেননি। প্রমাণস্বরূপ ঐ “ভারতজনের ইতিহাস”-এর ভূমিকায় সাত পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন, “ভারতজনের ইতিহাস” উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য বই। পাঠ্য বই মাত্রেরই কতকগুলো বাঁধা ধরা নিয়ম মেনে চলতে হয়, লেখক সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে লিখতে পারেননি। এই সব নিয়মের বন্ধন মেনে এবং নির্দিষ্ট পাঠ্যবস্তুর মধ্যে আবদ্ধ থেকে যতদূর সম্ভব এই ইতিহাস রচনা সুখপাঠ্য, সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠ্য বইয়ের বন্ধনের ইতিহাসের জন্য হয়তো সম্পূর্ণ সার্থক হয়নি, কিন্তু মনে হয় কিছুটা হয়েছে..।” তা হলে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর মাসের প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় তাঁর এই উক্তিই প্রমাণ করে যে, সরকারের আদেশ মত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তাঁকে লিখতে হয়েছে এই ইতিহাস। তাই তাঁর মতেও খাঁটি সত্য ও প্রকৃত তথ্যপূর্ণ নয়। দ্বিতীয় প্রশ্ন করলাম, আমরা যদি পরীক্ষার খাতায় আপনার দেওয়া তথ্য লিখে যাই তাহলে কি পাস করতে পারবো? উত্তরে তিনি বললেন- যদি সূর্যের মত আলোকময় ও সত্য সুন্দর প্রমাণসহ লেখা যায় আর তা যদি কোন দেশের পরীক্ষকগণ গ্রহণ না করেন তাহলে ইতিহাস নিয়ে প্রহসন কেন? অতএব তাদের সারা দেশ হতে ইতিহাসের উচ্ছেদ করাই উত্তম। আগামী মুদ্রণে ভালভাবে ভূমিকা লেখার ইচ্ছে রইলো, আজ তাড়াতাড়ি নাই বা লিখলাম?

গোলাম আহমাদ মোর্তজা

মেমারী, বর্ধমান

মহারানী কাশীশ্বরী বিদ্যায়তনের প্রখ্যাত শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত রাধাশ্যাম গড়াই (M.A.B.T. কোবিদ, কাব্যতীর্থ) মহাশয় বলেন–

সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে এবং নতুন আঙ্গিকে রচিত ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ পঠিত হল। গ্রন্থকারের বিশ্লেষণী প্রতিভা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর নবতম প্রয়াস ও সচেতন দৃষ্টিভঙ্গিকে অভিনন্দন জানাই। - “মিলিত হিন্দু-মুসলমানের মাতৃভূমি ভারতবর্ষ যুগে যুগে সকলকেই, সবকিছুকেই সাদরে বরণ করে নিয়েছে, পর বলে কাকেও দূরে সরিয়ে দেয় নাই।” এই উদার মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গিই ভারতীয় আত্মার বাণী। হৃদয় পাঠক ও সুধী সমাজ গ্রন্থখানির উৎকর্ষ বিচারেও তাই খুঁজে পান এক মহানআদর্শ এক নতুন চিন্তার দিগন্ত, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব মহাকালের রথচক্রে কখনও হবে না নিষ্পেষিত। পাণ্ডিত্য ও তথ্য পরিবেশন পটুতা এক অপূর্ব বাণীরূপ লাভ করেছে। গ্রন্থকারের সাবলীল বিশ্লেষণী গতিভঙ্গির সাথে সাথে কোথাও জড়তা বা ভাবাবেগের এতটুকু আতিশয্য নেই। মুসলিম শাসকগণ যত অত্যাচারীই হোন না কেন, তাঁদের অনেকে যে প্রজাহিতৈষী ছিলেন তা দেখানোর ব্যাপারে লেখকের লেখনীকে স্বাগত না জানিয়ে পারা যায় না। বলাবাহুল্য মুসলিম জাতি ও সমাজকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনপূর্বক উচ্চস্থান দেওয়ার ব্যাপারে লেখকের আন্তরিক প্রচেষ্টার কোনরূপ ক্রটি পরিলক্ষিত এই গ্রন্থ খানিতে হয়নি।

শ্রী রাধাশ্যাম গড়াই (এম,এ,বি,টি)

শিক্ষক যবগ্রাম মহারানী কাশীশ্বরী স্কুল

পোঃ যবগ্রাম, জেলা বর্ধমান

জনাব আবদুল্লা হিল কাফি সাহেব MA. (Triple) BT. (হেডমাস্টার, চাটরা বীরভূম) বলেন–

মোর্তজা সাহেবকে প্রথমে একজন তার্কিক তাথ্যিক বক্তারূপে আত্মপ্রকাশ করতে দেখি। পরের ভূমিকায় দেখলাম তাঁর লেখা বিখ্যাত ‘পুস্তক সম্রাটের’ গ্রন্থকাররূপে। তাঁর অন্যান্য পুস্তকের মলাট পেজে এবং অনেক সভায় তাঁর বক্তব্যের ভেতর ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ গ্রন্থের কথা জানতে পারি। দীর্ঘ কয়েক বছর পর এত দিনে তা প্রকাশ হচ্ছে। আমার মতে এই গ্রন্থের প্রত্যেক বাক্য মন দিয়ে পড়ার প্রয়োজন আছে কিন্তু অত্যন্ত কাজের চাপে আমার পক্ষে তা হয়ে না উঠলেও মোটামুটিভাবে শুধু চোখ কেন, মন বুলিয়ে বুঝেছি আমার মত অনেকেই এটা পড়ে আনন্দ পাবেন ও অবাক হবেন। আমি যখন ইতিহাসে এম এ দিই তখন থেকে মনে হত দক্ষ শিল্পীর হাতে একটি মাতৃভাষায় এমন রচনা প্রয়োজন যেটা সংমিশ্রিত সত্য ও মিথ্যা ইতিহাসের মধ্যে সত্যকে পৃথক করতে সক্ষম। লেখকের পরিশ্রমশীলতা ও শিল্প চাতুর্যকে সাদর সম্ভাষণ জানাই। লেখক অত্যন্ত কর্মব্যস্ত জেনেও বলছি তাঁর বইগুলোর যেমন সুন্দর নামকরণ, সুন্দরভাবে তথ্য প্রয়োগ পদ্ধতি এবং উদ্ধৃতি উদাহরণের অপূর্ব সমন্বয়, তেমনি কিন্তু আশাতিরিক্ত প্রিন্টিং মিসটেক। তাই আমাদের অনুরোধ ‘বক্তা সম্রাটের’ বইগুলো আগামী মুদ্রণে যেন তিনি নিজেই প্রত্যেক পাতার প্রুফ দেখতে শৈথিল্য না করেন।

ইতি-

এ কাফি

বীরভূম

গোলাম মওলা (M. Sc.) বলেন

‘বক্তা সম্রাট’ মোর্তজা সাহেবের প্রায় প্রত্যেকটি বই পুস্তকের পাতায় আমার নামটি যুক্ত থাকায় আমি সত্যই আনন্দবোধ করি। যদিও আমরা বিজ্ঞানের ছাত্র কিন্তু ইতিহাস এমন একটি বই, যা বাদ দিয়ে কোন মানুষ বড় হতে পারে না। তা জানতেই হবে, তাতে বই পড়েই হোক বা শুনেই হোক, আমাদের ভাল-মন্দ বাছাই করার ক্ষমতা না রাখলে উপায় নেই। কারণ যাকে আমাদের সামনে বড় বলে তুলে ধরা হয় তার ডাকসাইটেও তুলে ধরা উচিত কিন্তু ধামাচাপা দেওয়ার পদ্ধতি যেন আমাদের পুরাতন ব্যাধি, ফলে ভালো লোকদের মন্দ জেনে এসেছি যুগ যুগ ধরে, আর মন্দ লোকদের অনেককে এতবড় মনে করানো হয়েছে যে মানব ও দেবতায় একাকার। ক্যালেণ্ডারের ছবিতে দেখতে পাই ঠাকুর দেবতা ও নেতার দল এক হয়ে গেছেন। গ্রন্থকারের সাথে আমার অনেক কারণে যথেষ্ট যোগাযোগ আছে। আমাদের মত এমএসসি, এমকম, এমএ তাঁর গুণমুগ্ধ তা বলার দরকার নেই, যেহেতু তিনি পণ্ডিতবাগী হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া হতে আমন্ত্রণপ্রাপ্ত, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত, ভারত ও বহির্ভারতের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা পুষ্ট শিল্পী ও কবি এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম মাদরাসা মেমারী জামেয়া ইসলামিয়া মদীনাতুল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা, যেখানে কারিগরি শিক্ষার প্রচলন পঃ বঙ্গে প্রথম পদক্ষেপ। বারবার এমপি ও এমএলএ হয়ে বা প্রত্যক্ষ রাজনীতিবিদ হওয়ার আমন্ত্রণে তাঁকে যাঁরা বাধা দিয়েছেন আমি তাদেরই একজন। আমরা চাই তার কাছ হতে আরও গ্রন্থ, পুস্তক, পুস্তিকা আর তার চেয়েও বেশি চাই একটি সর্বাধুনিক আদর্শ পত্রিকা।

ইতি- গ্রন্থকারের গুণমুখ

গোলাম মওলা (বৰ্মন)

অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহিম সাহেব (খুজুটীপাড়া চণ্ডীদাস কলেজ, বীরভূম) বলেন–

মোর্তজা সাহেবের লেখা ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ জাতির জন্য একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যা কিছু ঠিক তাই সুন্দর। এই সুন্দরের আদর্শকে তাই মানতে হয় আমাদের। এক্ষেত্রে এই সুন্দর গ্রন্থটিকে সুন্দর বলে আমিও মানতে বাধ্য। আমার মত অনেক অধ্যাপক এবং আমার সত্য সুন্দর প্রিয় ভারতের চিন্তাশীল ছাত্রছাত্রী মণ্ডলী মুগ্ধ হবে। এক সুচিন্তার খোরাক সংগ্রহে সক্ষম হবে বলে ধারণা করি। এটা একাধিকবার অধ্যায়ন করে আগামীতে যে মন্তব্য লিখিত হবে সম্ভবত তা চরম চূড়ান্ত ও পরিপূর্ণ হবে।

ইতি

সাজ্জাদুর রহিম

লক্ষ্মীপুর বড় শ্যামবাজার, বর্ধমান

সৈয়দ মুহম্মদ মসউদ সাহেব (M. A LL. B): বলেন–

বন্ধুবর মোর্তজা সাহেবের ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ একটি অপূর্বগ্রন্থ। আমার মনে হচ্ছে আমাদের উকিল বা ব্যারিস্টার মহলেও বইটা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠবার অন্যতম কারণ এতে চাপা পড়া অনেক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং ইতিহাসের অনেক নায়ক মিথ্যা দুর্নাম হতে মুক্তি লাভ করেছেন। তাই এর মূল্য দেওয়া যায় না। আশা রাখি আগামীতে তিনি এই প্রকার আরও অপ্রতিদ্বন্দ্বী গ্রন্থ রচনা করে আমাদের বাসনা পূর্ণ করবেন। গ্রন্থকারের সাথে সব বিষয়ে সহযোগিতা করতে আমি বা আমরা গর্ববোধ করি।

ইতি-

সৈয়দ মুহম্মদ মসউদ

জর্জকোট, বর্ধমান।

ডাঃ হুসাইনুর রহমান (M.B.B.S (Cal)) সাহেব বলেন–

‘পুস্তক সম্রাটে’ লেখক জনাব গোলাম আহমাদ মোর্তজা সাহেব আমাদের বাংলার নির্ভীক ও সুবক্তা হিসেবে বিশেষ সুপরিচিত। এতদিন সারা দেশের প্রতিটি প্রাঙ্গণে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে তাকে নির্ভীক প্রয়াস চালাতে দেখেছি। “ইতিহাসের ইতিহাস” প্রণয়নে লেখনীর মাধ্যমে সত্য ইতিহাস প্রকাশনায় তাঁর বলিষ্ঠ প্রয়াসকে স্বাগত জানাই। বিদ্বেষ প্রসূত লেখা বা চাপের কাছে নতিস্বীকার করে সত্যকে বিকৃত করে লেখা একটা দেশ ও তার মহান জাতির ইতিহাস হতে পারে না, সেটা হয় ইতিহাসের পরিহাস। আজ পর্যন্ত এই পরিহাসই গোটা ভারতবাসীর মধ্যে পারস্পরিক বিদ্বেষ, সন্দেহ ও অবজ্ঞার বিষাক্ত আবহাওয়া সৃষ্টি করে চলেছে। “ইতিহাসের ইতিহাস” পাঠের পর বর্ধমান ইউনিভারসিটির বন্ধুবর আবদুস সামাদ Sc. (Lecturer B. U) ও আমি উভয়েই একমত যে, দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রকৃত ঘটনার প্রতি সম্মান জানিয়ে সত্য ইতিহাস রচিত হোক। প্রভূত পরশ্রমে নানা মূল্যবান উদ্ধৃতি সহযোগে মোর্তজা সাহেব যে ইতিহাসের অলিখিত সত্যকে বলিষ্ঠ প্রয়াসে তুলে ধরেছেন, তার জন্য মুক্তকণ্ঠে অভিনন্দন জানাই। আশা করছি, সত্য সন্ধানী সুধী সমাজ তথাকথিত বর্তমান ইতিহাসের নব মূল্যায়নে ব্রতী হবেন। আল্লাহপাক এই লেখকের সদুদ্দেশ্যকে কবুল করুন!!!

ইতি-

হুসাইনুর রহমান

প্রথম শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ার শেখ মতিউল ইসলাম (North Bengal University) বলেন–

শ্রদ্ধেয় মোর্তজা সাহেবের “ইতিহাসের ইতিহাস” গ্রন্থটি সম্পূর্ণ করতে আমি কিছু দুর্লভ পত্র-পত্রিকা যুগিয়ে সহযোগিতা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। লেখকের নিজস্ব অধ্যয়ন কক্ষের পাণ্ডুলিপি পড়ে অনেক কিছু অজানাকে জেনে অকল্পনীয় আনন্দিত হয়েছিলাম। আমি আশাকরি আমার মত অনেকেই “ইতিহাসের ইতিহাস” ও লেখকের ঐতিহাসিকতাকে শিক্ষিত সমাজ স্বাগতম জানাবে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ।

ইতি-শেখ মতিউল ইসলাম

চব্বিশ পরগনার কৃষ্ণচন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আদর্শ শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল হক সাহেব বলেন–

শ্রদ্ধেয় জনাব মোর্তজা সাহেবের বলিষ্ঠ লেখনীর “ইতিহাসের ইতিহাস” বইখানি ভূয়সী প্রশংসার যোগ্যতা রাখে। নিরপেক্ষ বিচার-বিবেচনা ও তত্ত্ববহুল মননশীলতা পাঠক সমাজে জাতীয় চেতনার নতুন দিগন্তের আশা ও ভাষার গতিপথ নির্দেশ করবে-এই আশা রাখি। বইখানি জাতীয় গণমানসকে নতুনভাবে রাঙিয়ে দিতে পারে সে বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

ইতি- সিরাজুল হক

বৈজ্ঞানিক শচীদানন্দ ত্রিবেদী (M.Sc p.HD.) স্বর্ণপদক ও পুরস্কারপ্রাপ্ত, দিল্লি ইউনিভারসিটি

আমি একজন বিজ্ঞানের বাঙালি ছাত্র। যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানের সমস্ত পুরাতন ও পুরাতন পদ্ধতি নতুন যুগে টিকিয়ে রাখা যায়নি। অবশ্য মত ও পথের পরিবর্তন পরিবর্জন তখনই সম্ভব হয়, যখন নতুন যুক্তি, পুরাতন যুক্তি অপেক্ষা অধিকতর সুদৃঢ়, সুচিন্তিত, নির্ভুল এবং বিশ্ব বিজ্ঞানের বা বিশ্ব কল্যাণের অনুকূল হয়। ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ পড়ে যদি অপেক্ষাকৃত, উন্নততর উদ্ধৃতি ও প্রকৃষ্ট প্রমাণাদি দ্বারা পুরাতন ধ্যান-ধারণার কিছু বদল করতে হয় তো ক্ষতি কি? আবার আগামীতে যদি এই মতামতগুলোকেই নিষ্প্রভ করে দেন কোন ঐতিহাসিক তাঁর আরও বেশি জোরালো প্রমাণাদি দিয়ে, তাতেই বা লেখকের কী আসে যায়? বিজ্ঞানের ছাত্ররা পুরাতনকে সবসময় সববিষয়ে আবার ধরে বসে থাকার বিরোধী। তাই বিখ্যাত লোকদের অখ্যাত আর অখ্যাতদের বিখ্যাত করার চক্রান্ত ব্যুহ ভেদ করে নতুনের সন্ধান দিয়ে ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ অগ্রসর হলে তা বড়ই গর্বময় ও তৃপ্তিকর পদক্ষেপ সন্দেহ নেই। গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের উন্নতি কামনা করি। লেখকের লেখায় দেশে প্রকৃত সমতা, সাম্যের বিজয় ডঙ্কা বেজে উঠুক।

ইতি-শচীদানন্দ ত্রিবেদী

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন