hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিহাসের ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

৪৩
পঞ্চদশ অধ্যায় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উ-দৌল্লার দুর্লভ ঐতিহাসিক তথ্য
দিল্লীর শেষ সম্রাট যেমন বাহাদুর শাহ তেমনি ভারতের প্রাণ কেন্দ্র বঙ্গদেশের শেষ নবাব ছিলেন সিরাজুদৌলাহ। ১৭৫৭ তে ইংরেজ ও তাঁদের দালালদের চক্রান্তে তাকে ধ্বংস করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর জীবনে মহাননেতা, বিচক্ষণতা, বীরত্ব ও মহত্বকে ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাসে বিকৃত করা হয়েছে। আর ভারতের মাটি রক্ষা করতে নিজের দেহের সমস্ত রক্তবিন্দু দিয়ে যিনি ভারতের মাটিকে রক্তরঞ্জিত করলেন তাঁর ঐতিহাসিক স্বাতন্ত্র রক্ষার জন্য সামান্যতম চেষ্টার পরিবর্তে অসামান্য অপচেষ্টা করা হয়েছে। কীভাবে কেন তা করা হয়েছে, তাই আলোচনার প্রয়োজন।

আগেই বলেছি বঙ্গদেশকে ভারতের মস্তিষ্ক বলা যেতে পারে। বাংলার সম্পদ সম্পত্তি ও অর্থ ইংরেজদের হাত শক্ত করেছিল তাই ইংরেজদের পক্ষে ফরাসীদের পরাজিত করা সহজসাধ্য হয়েছিল।

সম্রাটদের রাজ্যে বঙ্গদেশ একটা প্রদেশ বলে গণ্য ছিল। মুর্শিদ কুলী খাঁ ছিলেন বাংলার প্রথম নবাব। পরে ১৭২৭ খৃস্টাব্দে তার জামাতা সুজাউদ্দিন বাংলা ও বিহারের নবাব হন। তারপর ১৭৩৯ খৃস্টাব্দে তাঁর পুত্র সরফরাজ খাঁ সিংহাসনে বসেন। তিনি খুব উপযুক্ত ও শক্তিশালী ছিলেন। তাঁর অধীনস্থ গভর্নর আলিবর্দী খাঁ মারাঠা ও বর্গীদের লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। তাতে সরফরাজ খাঁ খুব একটা গুরুত্ব দেননি। ফলে বীর আলিবর্দীর বীরত্ব প্রকাশে বাধা সৃষ্টি হয় দেখে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং সরফরাজকে পরাজিত করে নিজে নবাব হন।

আলিবর্দী খাঁ উপযুক্ত শাসক ও বীর ছিলেন। মারাঠা, বর্গী প্রভৃতি জাতির লুণ্ঠন ও অত্যাচারকে তিনি কঠোর হস্তে দমন করেন। ইংরেজরা আলিবর্দীর হাভভাবে চরম নীতির পরিবর্তে নরমনীতি অবলম্বন করে এবং তাঁর দরবারে জানানো হয়, আমরা মহামতি আকবরের সময় হতে আজ পর্যন্ত আপনাদের অর্থাৎ মুসলমানদের অনুগ্রহে ব্যবসা করছি এবং ঘাঁটিও নির্মাণ করে থাকি। অতএব আশাকরি আপনি আমাদের ঐ দুটি সুযোগই পুনর্বহাল রাখবেন।

আলিবর্দী জানালেন, ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে কিন্তু দুর্গ নির্মাণের কোন সুযোগই নেই। যদি আপনারা পর্তুগীজদের আক্রমণের ভয় আছে বলে অজুহাত দর্শান তাহলে জেনে রাখবেন যে কোন বহিঃশত্রুর জন্য নবাব আলিবর্দীই যথেষ্ট।

আলিবর্দী খাঁয়ের কোন পুত্র সন্তান ছিল না। তাই তাঁর প্রাণপ্রিয় নাতি সিরাজুদৌল্লাই সিংহাসনে বসেছিলেন। সিরাজের পিতার নাম ছিল জয়নুদ্দিন আহমেদ। তিনি ছিলেন বিহারের গভর্নর। আর তাঁর মায়ের নাম ছিল আমিনা। এই সিরাজুদৌলার রাজত্বকাল ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মিথ্যা দুর্নামের আসরে তার ভূমিকা আধুনিক ইতিহাসে অতীব চিত্তাকর্ষক।

সিরাজের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আছে তার কিছুই যে সত্য নয় তা হয়তো এখানে বলার উদ্দেশ্য নয় কিন্তু এমন অনেক অভিযোগও ইতিহাসে আছে, যার কোন ভিত্তিই নেই।

যাইহোক, সিরাজের সিংহাসনে বসার পরেই নবাবকে অযোগ্য মনে করে ইংরেজরা দুঃসাহসের সঙ্গে কলকাতার ঘাঁটি ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ নির্মাণ করতে আরম্ভ করে। ইংরেজরা জানতো সারা ভারতের মস্তিষ্ক বাংলা, তাই কলকাতাতেই ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনাকে রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলতে লাগল। সিরাজ সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ পাঠালেন যে, দুর্গ তৈরি বন্ধ করা এবং তা ভেঙে ফেলা নবাবের আদেশ। ইংরেজরা নবাবের আদেশ অগ্রাহ্য করে দুর্গ তৈরির কাজ অব্যাহত রাখে। এক কথায় নবাবের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য তারা আগে হতেই তৈরি ছিল। সিরাজ পূর্ণ সাহসিকতার সঙ্গে বিদেশী ইংরেজকে আক্রমণ করেন এবং তাদের ভীষণভাবে পরাজিত করেন। এই যুদ্ধের সঙ্গেই সংযুক্ত ‘Black Hole’ বা অন্ধকূপের কাহিনী।

কলকাতা অধিকারের সংবাদ মাদ্রাজে পৌঁছালো। সঙ্গে সঙ্গে বৃটিশ সেনাপতি ক্লাইভ বিরাট সৈন্য সামন্ত নিয়ে কলকাতা পুনর্দখল করেন। সিরাজ বুঝতে পারলেন আর লড়াই করে পারা যাবে না। কারণ ইংরেজদের চক্রান্তে তাঁর বিশ্বাস ভাজন হিন্দু ও মুসলমান বন্ধু-বান্ধব ও ইংরেজকে জয়ী করার জন্য সর্বস্ব পণ করে লেগেছেন, ফলে বাধ্য হয়েই তাকে ১৭৫৭ খৃস্টাব্দে অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে সন্ধি করতে হয়। এই সন্ধির নাম হয় ‘আলী নগরীর সন্ধি’। সন্ধির শর্তানুযায়ী কলকাতা ইংরেজরা ফিরে পায় এবং শুধু মাত্র ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের মেরামত বা নির্মাণের অধিকারপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু কিছুকালের মধ্যে ইংরেজরাই বিশ্বাসঘাতকের ভূমিকায় হঠাৎ বঙ্গের চন্দননগর দখল করল এবং সিরাজুদ্দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হল।

এ ব্যাপারে ইংরেজরা একটা বড় অস্ত্র হাতে পেয়েছিল। বঙ্গের বিখ্যাত জগৎশেঠ এবং কলকাতার বড় বড় ব্যবসায়ী উমিচাঁদ এবং রাজবল্লভ প্রমুখ দেশের শত্রু ও শোষকবৃন্দ সিরাজের বিরুদ্ধে ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দেন। জগৎশেঠের বাড়িতে গোপন সভা হয়। সেই গোপন আলোচনায় স্ত্রী লোকের ছদ্মবেশে ইংরেজদের দূত মি. ওয়াটস সাহেবকে পালকীতে করে আনানো হয়। ঐ সভায় মি. ওয়াটস প্রচুর পরিমাণে লোভ লালসায় মুগ্ধ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করা হবে এবং তার ফলে বঙ্গ তথা সারা ভারতের মুসলমানদের উত্তেজিত হয়ে ওঠার রাস্তা বন্ধ করতে তাঁরই আত্মীয় মীরজাফরকে সিংহাসনে বসানো হবে। মি. ওয়াট্‌স আরও জানালেন, সিরাজের সাথে লড়তে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন এবং তার জন্য যে প্রচুর অর্থের আবশ্যক তা বর্তমানে আমাদের নেই। জগৎশেঠ কর্তব্য পালন করতে সদম্ভে আশ্বাস দিয়েছিলেন, “টাকা যা দিয়েছি আরও যত দরকার আমি আপনাদের দিয়ে যাব, কোনও চিন্তা নেই।”

এবার রাজা রাজবল্লভ সিরাজের বড় খালা (মাসী) ঘসেটি বেগমকে বোঝালেন-আমরা চেয়েছিলাম আপনি সিংহাসনে বসবেন। কিন্তু এখনও উপায় আছে যদি আপনি আমাদের অর্থাৎ ইংরেজদের শুধু একটু সমর্থন করেন মাত্র।

মীরজাফরকে একটু বোঝাতে বেগ পেতে হল। তিনি প্রথমে বলেছিলেন “আমি ‘নবাব আলিবর্দীর শ্যালক’ অতএব সিরাজুদ্দৌলা আমার আত্মীয়, কী করে তা সম্ভব?” তখন উমিচাঁদ বুঝিয়েছিলেন, আমরাতো আর সিরাজকে মেরে ফেলছি না অথবা আমরা নিজেরাও নবাব হচ্ছি না, শুধু তাঁকে সিংহাসনচ্যুত করে আপনাকে বসাতে চাইছি। কারণ আপনাকে শুধুমাত্র আমি নই; বরং ইংরেজরা এবং মুসলমানদের অনেকেই আর অমুসলমানদের প্রায় প্রত্যেকেই গভীর শ্রদ্ধার চোখে দেখে। সুতরাং মীরজাফর উমিচাঁদের বিষ পান করলেন। উমিচাঁদের জয় হলেও তিনিও পুরস্কৃত হবেন আর মীরজাফর হবেন বাংলার নবাব। এদিকে জগৎশেঠের শোষণের পথ নিষ্কণ্টক হবে আর ইংরেজদের লাভ হবে ভারত আসবে তাদের হাতের মুঠোয়। পক্ষান্তরে সিরাজুদ্দৌলার লাভ হলে তা হবে বাংলার তথা সমগ্র ভারতের লাভ।

যাইহোক, ষড়যন্ত্রের জাল বোনা যখন শেষ, ভারতে স্বাধীনতা সূর্যকে পরাধীনতার গ্লানিতে কবর দেওয়ার সমস্ত পরিকল্পনা যখন প্রস্তুত সেই সময় ১৭৫৭ খৃস্টাব্দে ১৩ জুন ক্লাইভ মাত্র তিন হাজার দুইশত সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ যাত্রা করেন। ১৯ জুন নবাবের অধীনস্থ কাটোয়া ক্লাইভের দখলে আসে। ২২ জুন গঙ্গা পার হয়ে ক্লাইভ মধ্য রাত্রিতে নদীয়া জেলার সীমান্তে পলাশীর প্রান্তরে পৌঁছান। নবাবের প্রচুর সুদক্ষ সেনা আগে হতেই তৈরি ছিল। ক্লাইভের তবুও ভয় নেই, কারণ তিনি জানেন এ যুদ্ধ যুদ্ধ নয় পুতুল খেলার শামিল। আগে হতেই পরিকল্পনা পাকাপাকি। উমিচাঁদ, রায়দুর্লভ, জগৎশেঠ প্রমুখের সাজানো সেনাপতি আজ ভেতরে ভেতরে ক্লাইভের পক্ষে।

ক্লাইভের সৈন্য যেখানে মাত্র তিন হাজার দুইশত সেখানে সিরাজের সৈন্য পঞ্চাশ হাজার। কিন্তু মীরজাফর, রায়দুর্লভ ও অন্যান্য সেনাপতি পুতুলের মত দাঁড়িয়ে রইলেন আর ইংরেজদের আক্রমণ ও গুলির আঘাতে নবাবের সৈন্য আত্মহত্যার মত মরতে শুরু করল। এ অবস্থায় সেনাপতির বিনা অনুমতিতেই সিরাজের জন্য তথা দেশ ও দশের জন্য মীর মর্দান ভয়াবহ বীর বিক্রমে যুদ্ধে ব্যপৃত হলেন আর পরক্ষণেই বিপক্ষের গুলিতে বীরের মত শহীদ হলেন। নবাব সিরাজ এই সংবাদে দিশেহারা হয়ে পড়লেন। ঐ সময় যুদ্ধের গতি নবাবের অনুকূলে যাচ্ছিল। কারণ মীর মর্দানের বীরত্বে মোহনলাল ও সিনফ্রে তখন ইংরেজদের কায়দা করে ফেলে ছিলেন। এমন শুভ মুহূর্তে নবাবের প্রধান সেনাপতি মীরজাফর যুদ্ধ বন্দ করতে আদেশ দেন। ওদিকে ক্লাইভ এই মুহূর্তটির অপেক্ষাতেই ছিলেন। নীরব মুসলমান ও হিন্দু সৈন্যদের ওপর গোলাবর্ষণ চলতে লাগলো। অবশেষে নিরুপায় নবাবের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করতে বাধ্য হন। নবাবও রাজমহলের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এবং তাঁকে বন্দি করা হলো। শেষে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

বাংলার বিশ্বাসঘাতক সন্তানেরা এটা বোঝেনি যে, এ পরাজয় শুধু সিরাজের নয়, শুধু বাংলার নয়-সমগ্র ভারতের। আর ঐ জয় ইংরেজ ও ইংল্যাণ্ডের।

কিন্তু সিরাজ পরাজিত ও নিহত কেন? এর উত্তরে বলা যেতে পারে পলাশীর যুদ্ধ কোন যুদ্ধই ছিল না। কারণ এটা ছিল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা মাত্র। আসলে যাদের তিনি বিশ্বাস করতেন উমিচাঁদ, সেনাপতি রায়দুর্লভ, প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ ধনী জগৎশেঠ এরাই ছিলেন সিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী। শত্রু প্রকাশ্যে হলে তার দ্বারা যত ক্ষতি হয়, বন্ধুশত্রু হলে ফল হয় আরও মারাত্মক। পলাশীর যুদ্ধে এ সত্যই দারুণভাবে প্রমাণিত। তাই দেশহিতৈষী নিরপেক্ষ বিখ্যাত লেখক শ্ৰী নিখিনাথ রায় লিখেছেন, ‘অষ্টাদশ শতাব্দীর যে ভয়াবহ বিপ্লবে প্লাবিত হয়ে হতভাগা সিরাজ সামান্য তৃণের ন্যায় ভেসে গিয়েছিল এবং মীরজাফর ও মীরকাশিম উর্ধ্বক্ষিপ্ত ও অধঃক্ষিপ্ত কেউ বা অনন্ত নিদ্রায় কেউ বা ফকিরী অবলম্বনে নিষ্কৃতি লাভ করেন। জগৎশেঠগণের ক্রোধ ঝটিকা সেই তুফানের সৃজনের মূল।

দুঃখের বিষয় সেই ভীষণ তুফানে অবশেষে তাদেরও অনন্ত গর্ভে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। যে বৃটিশ রাজ রাজেশ্বরীর শান্তি ধারায় আসমুদ্র হিমাচল স্নিগ্ধ হইয়েছে জগৎশেঠগণের সাহায্যই তার প্রতিষ্ঠাতা। একজন ইংরেজ লিখিয়েছেন যে, হিন্দু মহাজনের অর্থ আর ইংরেজ সেনাপতির তরবারী বাংলায় মুসলমান রাজত্বের বিপর্যয়। যে বৃটিশ রাজলক্ষ্মীর কিরিটি প্রভায় সমস্ত ভারতবর্ষ আলোকিত হইতেছে মহাপ্রাণ জগৎশেঠগণের অর্থ বৃষ্টিতে ও প্রাণপাতে তাহার অভিষেক ক্রিয়া সম্পাদিত হয়।” (ঐতিহাসিক চিত্র, ১ম বর্ষ ১ম সংখ্যায় দ্রষ্টব্য)।

শ্রীঘোষও তার ইতিহাসের ৫১৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, আজকের যে কোন বালকও বুঝতে পারে যে পলাশীর যুদ্ধ শুধু যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার মতো অভিনয় ছাড়া কিছু নহে।”

ইংরেজরা যখন ক্লাইভের বিচার করেছিল তখন ক্লাইভ শাস্তিপ্রাপ্ত চোরের মত কোর্টে দাড়িয়ে যা উত্তর দিয়েছিলেন তা গুরুত্বপূর্ণ।

“চল্লিশ লাখ পাউণ্ড স্টার্লিং কর এবং সেই পরিমাণ ব্যবসায়ে লাভ হতে পারে এমন একটা সাম্রাজ্য আপনাদের জন্যই আমি জয় করেছি আর তার পারিশ্রমিক হিসেবে আপনারা আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন, আমি যেন একজন ভেড়া চোর।”

তাহলে ভারতের মানুষের এতবড় সর্বনাশ সাধন করার উদ্দেশ্য কী? এর উত্তরে অনেকে অনেক কথা বলেন। তবে একদল বিচক্ষণ পণ্ডিতের মত সাম্প্রদায়িকতাই প্রধান কারণ। মুর্শিদাবাদের কথা বলতেই মনে পরে যায় মুসলমান মুর্শিদ কুলীর নাম। কিন্তু তিনি মুসলমান ছিলেন বলেই তার অপরাধ ছিল না; বরং তার বড় অপরাধ ছিল তিনি ব্রাহ্মণের সন্তান হয়েও ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। (এসিয়াটিক সোসাইটির সংরক্ষিত অক্ষয়কুমার মৈত্রের সম্পাদিত ‘ঐতিহাসিক চিত্র’ দ্রষ্টব্য)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন