মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমরা শুধুমাত্র ভারতের ইতিহাসেই দেখলাম, যেখানে মুসলমানদের গভীর ধার্মিকতা; দাড়ি, টুপি, পোশাক পরিচ্ছদে ভাল মুসলমান, তাঁদের করা হয়েছে বিকৃত আর যারা ইসলাম ধর্মকে অবজ্ঞা আর অনাদর করেছেন মুসলমান হয়েও অমুসলমানদের মত নিজেকে যত বেশি হারিয়েছেন তারাই ইতিহাসে সম্মানের আসনে গৃহীত। মুসলমান জাতি এবং কমিউনিস্টদের বিপ্লবাত্মক ইতিহাসের বিকৃতি ঘটনো হয়েছে। আরও দেখলাম মুসলমান ছাত্ররা ভারতের বাইরে স্বাধীনতার জন্য গিয়ে তারা বেশির ভাগ আর মুসলমান হয়ে ফিরে এলেন না, এলেন কমিউনিস্ট হয়ে।
তার কারণ হচ্ছে এই, শুধু ডিগ্রি, জ্ঞান বুদ্ধি আর ধর্মীয় যশই সব নয়, পবিত্র কুরআন আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আদর্শ সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং তাতে রুচিশীল না হওয়া পর্যন্ত কাঁচা অবস্থায় শিক্ষা সংগ্রাম বা রাজনীতি সংগ্রামের গভীর জঙ্গলে কাউকে ছেড়ে দিলে তাকে ফিরে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভারতে ধর্মের ভণ্ডামির রাজত্বে ভারতীয় মুসলমানদের মেরুদণ্ড সোজা করে যারা দাঁড় করাতে চান তাদের কারো ধারণা জাতীর উচ্চ ইংরেজি শিক্ষা করা, রাজনীতি শিক্ষায় সচেতন হওয়া, ইতিহাসে সচেতন হওয়া, মাদরাসা মক্তব করে মওলুবী হাফেজ সৃষ্টি করা, পত্রিকার মারফত জনমত গঠন করা, অর্থনৈতিক উন্নতি করা সমিতি ও সংস্থা সৃষ্টি করা, ধর্মীয় ফাণ্ড তৈরি করা প্রভৃতি এক একটি অঙ্গ সতেজ করতেই তাঁরা বদ্ধ পরিকর। যদিও প্রত্যেকটির প্রয়োজন কিন্তু আমাদের মতে সবগুলোর দরকার স্বীকার করলেও সর্ব প্রথমে প্রয়োজন সর্ব প্রকার সর্ব শ্রেণীর মুসলমান সম্পূর্ণ জনসাধারণকে যেমন করে হোক ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান দান আর কুরআন ও হাদীসের আদেশের অনুকূলে জীবন গঠন করার ব্যবস্থা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। সেই কাজ শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে এক সাথে প্রায় প্রত্যেকটি রাষ্ট্রে যারা কাজ করেছেন তারা হচ্ছেন তবলীগ জামাতের মুবাল্লিগগণ। তার ফলে একদিন আদর্শ রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, এমএল এ ব্যারিস্টার, ডাক্তার, অধ্যাপক, কেরানী শ্রমিক, ধনী ও দরিদ্র প্রত্যেকে নিখুঁত হয়ে উঠছে বা উঠবে বিন্দু বিন্দু মানুষ শুদ্ধ হয়ে একদিন মহা সিন্ধু ও সমুদ্রে পরিণত হবে, সেদিন সুদূরে নয় অদূরেই।
বিদায়বেলায় বলি। মানুষ প্রায় মিথ্যাবাদী, মিথ্যাবাদী ঐতিহাসিকদের ইতিহাসও মিথ্যাবাদী হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই সত্যবাদিতাই হচ্ছে ইতিহাস। সৃষ্টির প্রাণ। ঐতিহাসিকগণ যা লিখে যান পরে তার পরিবর্তন ঘটায়। প্রকৃত সত্য ইতিহাস সত্যবাদীদের কাছ হতেই পাওয়া যায়। তাই পবিত্র কুরআনকেন্দ্রিক বই পুস্তকে আলোচনা করা হয়েছে। তা আল্লাহর বাণী, তার কথাই স্বতন্ত্র। যে কোন যুগের যে কোন জাতির জন্য যে সমস্ত স্রষ্টাবাণী গ্রন্থ হিসেবে হয়েছে সেগুলো সবই নির্ভেজাল। মানুষের সৃষ্টি করা বাণী সংকলনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বাণী “হাদীস যেভাবে সত্য ও নির্ভেজাল রাখা হয়েছে। তা অত্যাশ্চর্যেরও ওপর”।
হযরত ওসমান গনির (রাঃ) সময় কিছু শয়তান শ্রেণীর মানুষ হাদীসে ভেজাল প্রদান করতে চেষ্টা করে। সর্বপ্রথমে ঐ কর্মের কুখ্যাত কর্মী ছিল আবদুল্লাহ বিন সাবা। হযরত আলী (রাঃ) তার প্রাণদণ্ড দেন। তারপর মনছুর আব্বাসী তাঁর খেলাফতকালে মুহাম্মদ নামে হাদীস ভেজাল দেওয়ার কারণে তাকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। তার বাবার নাম ছিল সাঈদ মাছলুম। এমনিভাবে গভর্নর খালেদ জুবাইকের কুপুত্র বয়ানকে হাদীসে মিথ্যা মেশানোর অপরাধে প্রাণদণ্ড দেন।
এমনিভাবে মুহাম্মদ বিন সুলাইমান আওয়াজের কুপুত্র আঃ করিমকে হাদিসে ভেজাল দেওয়ার অপচেষ্টার প্রমাণিত অপরাধে প্রাণদণ্ড দেন। যার মধ্যে পূর্ণভাবে ‘জবত’ হাদীসাদি পূর্ণভাবে স্মরণ রাখার ক্ষমতা থাকে এবং পূর্ণভাবে সমীক্ষা শক্তি ন্যায়নীতি থাকে তাঁকে ‘সেকাহ’ বলে। যাতে ভবিষ্যতে হাদিসে কেউ ভেজাল দিতে না পারে, এ আর ভেজাল দেওয়া হাদীস চুম্বুকের মত ধরা যায় তার জন্য কিতাবুস সেকাত নামে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য চারটি গ্রন্থ আছে, লেখক যথাক্রমে আজালী হাফেজ, আহমাদ বিন আব্দুল্লাহ ২৬১ আরবী সনে।
আবু হাতেম বুস্তি, মোহাম্মদ বিন হিব্বান ৩৫৪ আরবী সনে। ইবনে শাহীন, আবু হাফস ওমর ইবনে শাহনী ৩৮৫ আরবী সনে। জয়নুদ্দিন কাসেম বিন কোতলুবাগা ৮৭৯ আরবী সনে।
তাছাড়া ঐ রকম ধরনের গ্রন্থ “তাবাকাতুল হোফফাজ” একই নামে সাতখানি গ্রন্থ সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। ৫৪৬ হিজরী সনে লিখেছেন ইবনে দাব্বাগ। ৬১৬ তে লিখেছেন ইবনে মোফাজ্জাল মাকদেসী। ৮৫২ তে লিখেছেন হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি। ৯১১ তে লিখেছেন জালালুদ্দিন সুয়তী তারপর আরও দুজন লেখক ঐ লিখেছেন প্রথমে তকীউদ্দিন ইবনে ফাহাদ ও দ্বিতীয় লেখক মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মদ হাশেমী। ৭৪৮ আরবী সনে লিখেছেন ইমাম জাহবী শামশুদ্দিন। অবশ্য এর গ্রন্থটি একই বিষয়ের ওপর হলেও নামটি হচ্ছে “তাজকেরাতুল হোফফাজ”।
এবার যারা হাদীস বর্ণনা করেছেন অথচ তাঁদের বর্ণনা দুর্বল তাকে আরবীতে ‘জয়ীফ’ বলা হয়। ঐ জয়ীফ সম্বন্ধে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে দশটি যেমন-কিতাবুল জুআফা, লেখক ইমাম বুখারী। এই একই নামে আরও নয়টি গ্রন্থ নয়জন লেখক লিখেছেন যথাক্রমে ইমাম নাছায়ী, ওয়াকাইলী মোহাম্মদ বিন আমর, ইবনে হিব্বান বুস্তী, আবু আহমাদ, ইমাম দারা কুতনী, হাকেম আবু আবদুল্লাহ, ইমাম ইবনুল জাওজী, ইমাম হাসান সাগানী, আর ঐ রকম আর একটি গ্রন্থ মিজানুল এ তেদাল লিখেছেন ইমাম জাহাবী (রাঃ) প্রমুখ প্রখ্যাত হাদীসবিদগণ।
হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) প্রাণপ্রিয় সঙ্গীদের সাহাবা বলা হয়। প্রত্যেক সাহাবীর এই বৈশিষ্ট্য ছিল। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্বন্ধে কোনদিন কোন প্রকারে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ মিথ্যা বলেননি। হাদীস সম্বন্ধে এত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে যে, একটি বর্ণ পর্যন্ত কেউ পরিবর্তন করার কল্পনা করেননি। কারণ হাদীসের মধ্যে আছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে, যে ইচ্ছা করে আমার নামে মিথ্যা হাদীস রচনা করেছে সে যেন তার স্থান নরকেই তৈরি করেছে। (ইসবাহ ৪/২০৬ পৃঃ)
মুসলমান সেজে মুসলমানের নাম নিয়ে যারা হাদীসে ভেজাল দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে তার কারণ হাদীসবিদদের অব্যর্থ তিক্ষু সংরক্ষণশীলতা।
যত নকল হাদীস প্রচলিত হতে গিয়েছিল তারও তালিকা তৈরি হয়ে বহু পুস্তক পুস্তিকাও তৈরি করা হয়েছে। যথা আল মওজয়াত অর্থাৎ বাতিল বর্ণনামালা, আদদুররুল মুলতাকাত, অর্থাৎ (নির্বাচিত মতি)। কিতাবুল আবাতীল অর্থাৎ (বর্ণনা বর্জন পুস্তক) আলমাওজুয়াত (লেখক ইবনে আবদুল বার) অর্থাৎ বাতিল বর্ণনামালা। আলমুগনী অর্থাৎ (যথেষ্ট পুস্তক) আল-লায়ালিউল মাছনুআহ অর্থাৎ (নকল মতি) আদদুররুল মুনতাশেরাহ অর্থাৎ (ছড়ানো মতি) আলমাওজুয়াত (লেখক ইবনুল কিরানী) অর্থাৎ বাতিল বর্ণনামালা, আলমাকাসিদুল হাসানাহ অর্থাৎ (শুভ কামনা) আলমাওজুয়াত (লেখক মোল্লা আলী কারী) অর্থাৎ বাতিল বর্ণনা মালা, তামজীদুত তইয়েব অর্থাৎ (পবিত্র প্রকাশ), আলফাওয়ায়েদুল মাজমুআহ অর্থাৎ (কল্যাণ ভাণ্ডার) আল আসারুল মারফুআহ অর্থাৎ (প্রমাণিত হাদীসসমূহ) আল কালামুল মারফুয় অর্থাৎ (প্রমাণিত বাণী) ইত্যাদি। এমনিভাবে পৃথিবীর আর কোন ইতিহাস গ্রন্থ এভাবে সংরক্ষিত হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।সব শেষে বলা যায় যে, কোন ইতিহাস মিথ্যা হতে পারে এই ইতিহাসের ইতিহাসও মিথ্যা হতে পারে কিন্তু হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) সহি হাদীসের একটি বর্ণও নকল নয়। অতএব প্রকৃত ইতিহাসের ইতিহাস ওটাই।
যেদিন ভারতে রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে বিবেচিত হবে সেদিন চরম কর্তব্য পরায়ণতার নিদর্শনের বিকাশ প্রমাণ করবে মুসলমান জাতির প্রকৃত মর্যাদা। যেদিন ভারত হতে মিথ্যার কাসুন্দি তৈরির নামান্তর ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখা আইন করে বন্ধ হবে, যেদিন শহরে গঞ্জে গ্রামে ঐতিহাসিক উপন্যাসের বিভেদ ও বিদ্বেষের বীজ ব্যাপক যাত্রা থিয়েটার বন্ধ হবে, সেদিন ভারতের চরম সীমায় উন্নতির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হবে। যে মুসলমান জাতি জ্ঞান-বিজ্ঞান, স্থাপত্যে ভাস্কর্য বীরত্বে, রসায়নে ভূগোলে, চিকিৎসায়, সাহিত্য আবিষ্কার ও সৃষ্টিতে সারাবিশ্ব তথা ভারতকে পথ দেখিয়েছে তাদের সর্বমোট পরিচিতি শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে আছে তার বিস্তার ও প্রমাণিত প্রকাশ।
ভারতের মুসলমান যদি কোন প্রকারে ধ্বংসই হয়ে যায় তবুও বহু রাষ্ট্রই রয়েছে যেগুলো মুসলিম রাষ্ট্র, যেখানে বেঁচে আছে কোটি কোটি মুসলমান যথা-ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, কুয়েত, সউদি আরব, ইয়ামেন, বাহরাইন, দক্ষিণ ইয়ামেন, কাতার, আবুধাবি, আজমান, দুবাই, ফুজাইয়য়া, বাস আলখিমা, সারজা, উমমাল কুইউন, মিসর, সুদান, লিবিয়া, তিউনেশিয়া, আল-জিরিয়া, মরক্কো, মৌরী তানিয়া, সেনেগাল, মালি, গিনি, নাইজার, নাইজিরিয়া, চাদ, সোমালিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরিকোস্ট, ডাহোমি, সিয়েরালিওন, গামিয়া, উগাণ্ডা, আল-বানিয়া, পূর্ব তুর্কীস্থান, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া প্রভৃতি প্রচুর মুসলমান রাষ্ট্র বিদ্যমান। তাছাড়া যে রাষ্ট্র মুসলমান রাষ্ট্র নয়, সেখানে মুসলমান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান যেমন মরিসাস, ভারতবর্ষ, সাইপ্রাস, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রেও অজস্র মুসলমান ছড়িয়ে আছে। তাছাড়াও ফিলিপাইন, বার্মা, রাশিয়া, থাইল্যাণ্ড, ইন্দোচীন, ও সিংহল রাষ্ট্রেও মুসলমান কোথাও প্রচুর কোথাও অপ্রচুরভাবে বিদ্যমান। এই কথা মনে রেখে সমস্যার সমাধান প্রত্যেকে স্ব স্ব স্বাতন্ত্র্য সংস্কৃতি বজায় রেখে শান্তিতে বাস করতে হয়েছে নতুবা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। তাই সব শেষে ভারত বিখ্যাত একজন নেতার উদ্ধৃতি দিয়েই তা প্রমাণ করা যায়।
(ক) “খিলাফত উপলক্ষে মুসলমান নিজের মসজিদে এবং অন্যত্র হিন্দুকে যত কাছে টেনেছে, হিন্দুরা মুসলমানকে তত কাছে টানতে পারেনি। আচার হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধের সেতু, সেইখানেই পদে পদে হিন্দু নিজেদের বেড়া তুলে দিয়েছে।”
(খ) “...আমরা যে মুসলমানদের অথবা আমাদের দেশের জনসাধারণের যথার্থ হিতৈষী তাহার কোন প্রমাণ দিতে পারি নাই। তাহারা আমাদের হিতৈষীতায় সন্দেহবোধ করিলে তাহাদিগকে দোষী করা যায় না।... আমরা যে দেশের সাধারণ লোকের ভাই তাহা দেশের সাধারণ লোকে জানে না। এবং আমাদের মনের মধ্যে যে তাহাদের প্রতি ভ্রাতভাব অত্যন্ত জাগরুক, আমাদের ব্যবহারে এখনও তাহার কোন প্রমাণ নেই। আমরাই দেশের সাধারণ লোককে দূরে রাখিয়াছি, অথচ প্রয়োজনের সময় তাহারা দূরে থাকে বলিয়া রাগ করি।”
(গ) হিন্দু-মুসলমানের পার্থক্যটাকে আমাদের সমাজে আমরা এতই কুশ্রীভাবে বেআব্রু করিয়া রাখিয়াছি যে, কিছুকাল পূর্বে স্বদেশী অভিযানের দিনে একজন স্বদেশী প্রচারক একগ্লাস পানি খাইবেন বলিয়া তাঁহার মুসলমান সহযোগীকে দাওয়া হইতে নামিয়া যাইতে বলিতে কিছুমাত্র সঙ্কোচবোধ করেন নাই। বাংলার মুসলমান যে এই বেদনায় আমাদের সঙ্গে এক হয় নাই তাহার কারণ তাহাদের সঙ্গে আমরা কোনদিন হৃদয়কে এক হতে দিই নাই।"
বাং ১৩১৫ সালের শ্রাবণ মাসে রবীন্দ্রনাথ লিখিত ‘সদুপায়’ প্রবন্ধ হতে ‘ক’ ইং ১৯১৪ সালে ‘সবুজ পত্র’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘লোকহিত’ প্রবন্ধ হতে ‘খ’ উদ্ধৃতি নেওয়া হয়েছে।
ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সমাধান কী? জানতে চেয়ে ডাঃ কালিদাস নাগ যে পত্র লিখেছেন তারই উত্তর হতে ‘গ’ উদ্ধৃতি, শ্রী সত্যের সেনের পনেরই আগস্ট পুস্তকের ১১২ পৃষ্ঠা ও ১২৩ পৃষ্ঠা হতে নেওয়া হয়েছে।
ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মিলন মৈত্রীর সেতু রচনায় স্বাধীন সত্য ইতিহাস প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে আর একটি ব্যাপক বস্তু প্রয়োজনীয়, যা মানুষের মেজাজ ও মানবতা গঠনে এবং প্রয়োজনীয় সত্য তথ্যের পরিবেশনায় আর অবান্তর অসত্য বা অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে অপরিহার্য, তা দৈনিক পত্রিকা। অবশ্য তা বাংলা ভাষায় একাধিক থাকলেও মুসলমানদের বড় তো দূরের কথা মাঝারি ধরনেরও নিরপেক্ষ নির্ভিক পত্রিকা নেই। অথচ আজকের দিনে শ্রমিক হতে মন্ত্রী পর্যন্ত প্রত্যেকের মগজ পরিচালিত হয় কাগজের নির্দেশ। তাই চাই পারস্পরিক সহযোগিতা, নিজে বেঁচেও অপরকে বাঁচতে দেওয়ার নীতিই হচ্ছে স্বচ্ছ ও সুন্দরতর পদ্ধতি।
সমাপ্ত
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কাসেমী
গ্রাম-গোলাবাড়ি, চাঁদপুর
পোঃ- গৌরীভোজ, ভায়া-গোপালপুর থানা-বসিরহাট, জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
বর্তমান বিশ্বের বিখ্যাত মনীষী মহাজেরে মদীনা হযরত মাওলানা জাকারিয়া সাহেবের পঃ বঙ্গীয় প্রতিনিধি (কোটি কোটি মানুষের নেতা) হযরত মাওলানা হাফেজ ক্বারী মুহাম্মদ মুসলিম সাহেব বলেন—
“ইতিহাসের ইতিহাস বিখ্যাত বইটি শুধু আধুনিক শিক্ষিত সমাজে এবং আলেম সমাজের শুভেচ্ছা ও আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে আমিও শুভেচ্ছাসহ শুভাশিস দিই যে, গ্রন্থকার ও গ্রন্থকে আল্লাহু সুবহানাহু কবুল করুন। এই বই বহুল প্রচারিত হোক, মানুষ পড়ে উপকৃত হোক।
ইতি
মুহাম্মদ মুসলিম
কাটাদীঘি, বাঁকুড়া।
বর্তমান বঙ্গের বৃহত্তম ও শ্রেষ্ঠতম আদর্শ মাদরাসা মেমারী জামেয়া ইসলামিয়া মদীনাতুল উলুমের সিনিয়র অধ্যাপক এবং ফতওয়া বিভাগের প্রধান মুফতি মাওলানা মুঃ আনসার সাহেব বলেনঃ
“ইতিহাসের ইতিহাস” বইটি বহু প্রতীক্ষিত তথ্যসম্ভার। এটি পঃ বঙ্গে প্রত্যেক মানুষকে আকর্ষণ করবে বলে আশা করা যায়। অসতর্কতা হেতু অনেক অক্ষর বা শব্দ একের পরিবর্তে অন্য হয়ে গেছে। আগামী মুদ্রণে এটাকে আরও সুন্দরতর করে প্রকাশ করতে গ্রন্থকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আমিও সদিচ্ছা পোষণ করি।
ইতি
মুহাম্মদ আনসার, হাওড়া।
মাদরাসা জামেয়া ইসলামিয়া মদীনাতুল উলুমের সাবেক অভিজ্ঞ ইংরেজি শিক্ষক জনাব মুহঃ আনোয়ার হোসেন সাহেব বলেনঃ
ইতিহাস জাতীয় জীবনের প্রতিচ্ছবি। অতীতে ফেলে আসা জাতির বিশেষ বিশেষ ঘটনা সংস্কৃতি ও সভ্যতা, মনীষীদের মনীষা শত শতাব্দীর বেড়া পেরিয়ে ভাবীদের প্রেরণা যোগায় নতুন জীবন গড়তে। যে জাতি নিজের আসল ইতিহাস সম্বন্ধে উদাসীন সে জাতি আত্মবিস্মৃত, সে জাতি মৃত।
শত রাজনৈতিক উত্থান-পতনে, কালাধারে, লালফিতার বাঁধনে গাঢ় রহস্যের অবগুণ্ঠনে আবৃত আছে আসল ঐতিহাসিকগণের ঐতিহাসিক তত্ত্ব। শুধু সাল-তারিখ দিয়ে সাজানো ঘটনা ইতিহাস নয়। জাতির মান মূল্যায়নে উত্তরসূরিদের সামনে এমন ইতিহাসের প্রয়োজন, যেখানে বিক্ষিপ্ত সভ্যতার কাহিনী পুতপ্রদীপ্ত শিখার মত জ্বলবে আর সেই দীপ শিখার আলোকে আলোকিত হবে সেই সব গাজী শহীদ অজ্ঞাত পরিচয় স্বাধীনতা প্রেমিকদের সাধনা, মরেও যারা বেঁচে রইলেন এদেশের ধূলিকণায়। মানুষের ইতিহাস নতুন অনুসন্ধিৎসু চিন্তাধারায় লেখা হচ্ছে। তাই আজ চাই সত্যের তথ্যের ও তত্ত্বের ইতিহাস, চাই “ইতিহাসের ইতিহাস।”
লেখক ও সুবক্তা হিসেবে বক্তা জগতে গোলাম মোর্তজা সাহেবের আবির্ভাব ধুমকেতুর মত। তার অনেক জনসমুদ্রের মত জনসভায় আমিও একজন জনবিন্দু হয়ে মর্মস্পর্শী ভাষণ শুনেছি। অভিনব যুক্তি দিয়ে নির্ভীকভাবে সত্য তথ্য প্রকাশের শিল্প চাতুর্যের জন্য তিনি জনসমাজের কাছে “বক্তা সম্রাট” ‘শেরে বাংলা’ নামে পরিচিত। মোর্তজা সাহেবের অতি নবীন বয়সের লেখা চাঞ্চল্যকর কবিতা “ইতিহাস কথা কও” নেদায়-ই-ইসলামে প্রকাশিত হয়েছিল। অনেকের বদ্ধমূল ধারণা ছিল, পরিণত বয়সে তিনি এমন ইতিহাস লিখবেন, যা হবে জাতির পথপ্রদর্শক, হলও তাই। গোলাম মোর্তজা সাহেবের “ইতিহাসের ইতিহাস” গ্রন্থখানি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। এই গ্রন্থটির মূলধারা প্রবাহিত হয়েছে সেইদিকে, যে দিকে একশ্রেণীর মানুষ শোষিত, অবহেলিত, উপেক্ষিত। লেখক দালালীপনায় অভ্যস্ত ঐতিহাসিকদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছেন বাস্তবভিত্তিক ইতিহাস রচনা না করলে কালচক্রে তা কাল হয়ে দাঁড়াবে। আমি বিশ্বাস করি, গোলাম মোর্তজা সাহেবের “ইতিহাসের ইতিহাস” এর প্রাণ মানে সত্য, তথ্য ও তত্ত্বের প্রকাশ। আর জাল, মেকী ইতিহাসের আসল ফাঁস। আমি এও আশা করি ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাব্রতীগণ ও বক্তাগণ নতুনভাবে সার্থক ইতিহাস শিক্ষার, গবেষণার খোরাক পাবেন। তাতে বিন্দুমাত্র সরে অবকাশ নেই।
ইতি
আনোয়ার হোসেন
জাঙ্গালিয়া, ২৪ পরগনা।
প্রবীণ নেতা ও লেখক জনাব ডাঃ এম. এ. তোরাব (Medical College Calcutta) সাহেব বলেন—
স্নেহাস্পদ গোলাম আহমদ মোর্তজা প্রণীত ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ বুদ্ধিজীবীদের জন্য এক পরিপূর্ণ পুরস্কার। সত্য কথা বললে ও লিখলে অনেক বাধা আছে। তাই পরাধীন ভারতে সকলে সহসা সাহস করতো না সত্য কথা লিখতে। আনন্দের বিষয়, এখন দেশ স্বাধীন, সমাজ অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত; সুতরাং এই বইটি সমাদৃত হবে সকলের কাছে এই আশা করি। লেখকের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ইতি
আশীর্বাদক, আবু তোরাব, মঙ্গলকোট।
মৌলভী কাজী আবদুল আজীজ সাহেব বলেন—
আমার পুত্র মোর্তজার লেখা সব বই-ই আমার পড়তে ভাল লাগে। তা পিতা হিসেবেই এই দুর্বলতা। তবে ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ আমার মত বৃদ্ধ মানুষকে পুরনো দিনের কৈশোর ও যৌবনের অনেক কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তাপ আমাকেও অর্ধসিদ্ধ করেছিল। আমি তখন কলকাতার আরবী কলেজ বা আলিয়ায় পড়তাম। তখন আমাদের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন ইংরেজ। ক্লাসের সেরা ছাত্র হিসেবে আমাকে স্কলারশিপ এবং নানাবৃত্তি দেওয়া হয়ে আসছিল। যখন আমিও আন্দোলনে যোগ দেই ইংরেজ আমার সমস্ত সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়। সেই সময় আর্থিক স্বাচ্ছল্যও ছিল না। তাই পাঠ্যজীবনে বড় বাধা পেয়ে অনেক অত্যাচার সইতে হয়েছে। যখন মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মহাত্মা গান্ধীজি প্রমুখ নেতা ভাষণ দিতেন, সভায় বিলেতি কাপড় পোড়াতেন তখন তরুণ দেহ-মনে বিপ্লবের আগুন জ্বলতো। আজ বার্ধকের সঙ্গে লড়াই করে দুর্বল হয়ে পড়েছি। কিন্তু ইতিহাসের ইতিহাস পড়ে মনে পড়ে যায় সেই পুরনো কথা আর যুবকসুলভ উন্মাদনা উঁকি মারে মনের কোণে। আমি দোয়া করি আল্লাহ মঙ্গল করুন এদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে।
ইতি
আবদুল আজীজ
মিরেরডাঙ্গা, পোঃ ভিটা স্কুল, বর্ধমান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/490/74
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।