hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিহাসের ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

বিশ্ব মুসলিমের ভারত প্রেমের কারণ
ভারতবর্ষ ইসলামের ইতিহাসে এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্থানাধিকারী দেশ। কারণ সারা বিশ্বের আদি মানব ও আদি নবী হযরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছিল যে মৃত্তিকা খণ্ডের দ্বারা তা ছিল ‘উজ্জয়িনী’ নামক স্থানের মৃত্তিকা। আর সেই উজ্জয়িনী পৃথিবীর অন্য কোথাও নয় তা আমাদের ভারতের সর্বজনবিদিত স্থান ‘উজ্জয়িনী’। আবার আদি পিতা আদম (আ.) কৃত ভুলের শাস্তিস্বরূপ মহান স্রষ্টা কর্তৃক স্বরূপ মহান স্রষ্টা কর্তৃক স্বর্গধাম হতে মর্তধামে যেখানে নির্বাসিত হলেন তাও ছিল এশিয়া মহাদেশ সংলগ্ন এই ভারতেরই সরণদ্বীপ বা লঙ্কা, বর্তমানে সিংহল। (যেটা ছিল ঐ সময়ে ভারতেরই অংশ)।

এ ছাড়া বিশ্বনিয়ন্তা স্রষ্টার সৃষ্টি আর এক শ্রেণীর উপাসক আছেন, যাদের আরবীতে মালায়েকা, ফারসিতে ফেরেশতা, বাংলায় দেবদূত, ইংরেজিতে Angel বলে। সমস্ত দেবদূতের সর্দার মহান নেতার নাম জিব্রাঈল (আ.)। তিনি বিশ্বনিয়ন্তা হতে বিশ্ববক্ষে তাঁর বাণী বাহক ছিলেন। প্রত্যেক নবী বা পথপ্রদর্শকের কাছেই তাঁকে আসতে হত প্রভুর অমৃত আদেশ আর উপদেশের বার্তা নিয়ে। বিশ্ব স্রষ্টার এই মহান দায়িত্ব পালনার্থে হযরত জিব্রাঈল (আ.) পৃথিবীর যে স্থানে প্রথম পদার্পণ করেন সেও এই আমাদের সাধের ভারতবর্ষে, যেহেতু প্রথম নবী হযরত আদম (আ.) এই ভারতেই অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং ‘তফসীরে জালালাইন’ আরবী গ্রন্থে পাওয়া যায়; আদম (আ.) ভারত হতেই পৃথিবীর কেন্দ্রভূমি পবিত্র মক্কায় রওনা হয়েছিলেন।

ভারতবর্ষ সম্বন্ধে হযরত মুহম্মদের (স.) বাণী ছিহাছিত্তা হাদীসে খুব একটা পরিলক্ষিত না হলেও একথা প্রমাণের অভাব নেই যে, বহু হাদীস ছিহাছিত্তা হাদীসের বাইরেও বিদ্যমান। তবে এ বিষয়ে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, হযরতের এমন কোন কথা বা কর্ম থাকতে পারে না, যা কুরআন বা ছিহাছিত্তা হাদীসের নীতি বহির্ভূত অথবা এই দুই প্রমাণিক মাধ্যমকে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন প্রতিপন্ন করতে পারে।

বহু পণ্ডিত তাঁদের গবেষণা ও পাণ্ডিত্যের সাক্ষীস্বরূপ রেখে গেছেন পরিশ্রমলব্ধ অনেক জ্ঞানগর্ভ সংগ্রহলিপি। তাই ভারতের কলকাতা, দিল্লি, আলিগড় প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং তৎসংলগ্ন বহু লাইব্রেরি মন্থন করে কিছু নবোদ্ভুত তথ্য পরিবেশিত হয়েছে, যার দ্বারা প্রমাণ হয় ভারতে ইসলাম ধর্মের সম্পৰ্কশীলতা অবিচ্ছেদ্য। Dr. Syed Mhmud সাহেবের লেখনীতে প্রকাশ, হযরত আলী (রা.) তথা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জামাতা এবং মুসলিম বিশ্বের খলীফা (প্রতিনিধি) ও পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ছিলেন যিনি মুহাম্মদ (সা.)কে সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠতম নবী বলে স্বীকার করেছিলেন; তিনি বলেছেন ভারতের কথা। যার বঙ্গানুবাদ হল এই যে, “ভারতভূমি যেখানে হযরত আদম (আ) স্বর্গ হতে নেমে এসেছিলেন এবং মক্কার ভূমি যা হযরত ইব্রাহীমের (আ.) দ্বারা সম্বন্ধ যুক্ত, বিশ্ব ভূমণ্ডলের এই দুই স্থানই উত্তম ভূখণ্ড।” (তবে মক্কা, মদীনা ও জেরুজালেমের পরেই ভারতের স্থান)

“ভারতে অযোধ্যায় এক বিরাট ও বিখ্যাত মন্দিরের পাশে এক দীর্ঘকায় কবর আছে, যার সম্বন্ধে অতীতকাল থেকে ঘোষিত জনশ্রুতি- ঐ সমাধি হযরত শীস আলাইহিস সালামের। হযরত শীস (আ.) হযরত আদমের (আ.) অন্যতম পুত্র, যিনি হযরত আদমের পর নবীত্ব গৌরবপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ হযরত আদমের পরে দ্বিতীয় পরগম্বর হযরত শীসের বসতি স্থানও এই ভারতেই স্থাপিত হয়েছিল। এ কারণেই সারা দুনিয়ার মুসলমান ভারতকে পয়গম্বরের দেশ বলে।”

হযরত আলীকে (রা.) একবার সিরিয়ার একজন জ্ঞানানুসন্ধিৎসু প্রশ্ন করেছিলেন, “বিশ্বভূমণ্ডলে সব থেকে গুরুত্বব্যঞ্জক দেশ কোনটি?” উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “সেই দেশ যাকে ‘সন্দীপ’ (স্বর্ণদ্বীপ, লঙ্কা বা সিংহল) বলা হয়। যেখানে আদম (আ.) স্বর্গচ্যুত হয়ে নেমে এসেছিলেন।”

একজন ডক্টরেটপ্রাপ্ত পণ্ডিত লিখেছেন, “বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেও ভারতকে ভালবাসতেন। তিনি একবার বলেছিলেন, ভারত থেকে আমার প্রতি স্নিগ্ধ শীতল মৃদু হাওয়ার হিল্লোল ভেসে আসে।”

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর বর্ণনায় প্রমাণিত হয় যে, বিশ্ব স্রষ্টা মহান আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠানোর পূর্বে মানবজাতির সমগ্র আত্মাকে একত্রিত করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি কী তোমাদের প্রভু নই?” তখন সকলে সমস্বরে উত্তর দিয়েছিল, “নিশ্চয়ই আপনি আমাদের প্রভু।” বলাবাহুল্য, আত্মা সমাজের এই একত্রিকরণ ও প্রশ্নোত্তর যে পবিত্র ভূমির ওপর হয়েছিল সেও আমাদের এই ভারতবর্ষ।

হযরত আদম (আ.) সুগন্ধময় স্বর্গধাম থেকে সর্বপ্রথম ভারতে অবতরণ করেছিলেন বলেই ভারতে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সুগন্ধি দ্রব্য পাওয়া যায়। যথা- মৃগনাভী, কর্পূর, সুগন্ধি চন্দন কাঠ, জাফরান, কেওড়া, গোলাপ প্রভৃতি।

এছাড়া হযরত আদম (আ.) স্বর্গ থেকে আসার সময় এক হাতে এনেছিলেন ‘হাজারোল আসোয়াদ’ নামক প্রস্তর খণ্ডটি যা অদ্যাবধি কাবা গৃহে সুসংরক্ষিত রয়েছে। অপর হাতে এনেছিলেন নানা স্বর্গীয় বৃক্ষ, তরুলতার কিছু নিদর্শন যার প্রভাবে ভারতের মাটিতে আম-কাঁঠালের মত বৃহৎ ও সুস্বাদু ফলের দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বকে চমক লাগিয়ে দেয়।

হযরত আবু হোরাইরা (রা.) হযরত (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যখন হযরত আদম (আ.)-এর অবস্থানের জন্য হযরত জিব্রাঈল (আ.)কে ধরায় পাঠানো হয়েছিল তখন হযরত জিব্রাঈল (আ.) পৃথিবীতে শুভাগমন করে আযানের ন্যায় চারবার আল্লাহু আকবার এবং দুবার করে ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ইত্যাদি বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছিলেন। তখন হযরত আদম (আ.) মুহাম্মদের (সা.) নাম জিজ্ঞাস করেছিলেন যে, ‘এই ব্যক্তিটি কে?’ উত্তর দেওয়া হয়েছিল, ‘ইনি আপনার সন্তানদের মধ্যে সর্বশেষ নবী।’ (তবরানী গ্রন্থ দ্রষ্টব্য)

এই বর্ণনা থেকে এ কথাই সুস্পষ্ট প্রতিপন্ন হয় যে, মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার প্রথম বাণী ও ইসলামের মূল মন্ত্রের প্রথম প্রতিধ্বনিত হয়েছিল এই ভারতেরই হৃদয় মাঝে এবং পূর্বোক্ত আলোচনা হতে এ কথাও পাওয়া গেল যে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা সমগ্র আত্মাকে একত্রিত করেছিলেন সেহেতু তার মধ্যে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আত্মাও বিদ্যমান ছিল। অতএব সারা বিশ্বের তথা মুসলমানদের চরম ও পরমতম নবী শ্রেষ্ঠ হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আত্মিক অবতরণ এও সর্বপ্রথম এই ভারতবর্ষেই হয়েছিল।

এরূপ আরও অনেক দৃষ্টান্ত উত্থাপন করা যায় কিন্তু পুস্তকের কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় ত্যাগ করতে বাধ্য হলাম। অবশ্য উপযুক্ত দৃষ্টান্তসমূহের দ্বারা এ কথা সহজেই অনুমেয় যে, ভারতের সাথে মুসলিম বিশ্বের এক নিগূঢ় আত্মিক সম্পর্ক নিহিত ছিল। যার অনিবার্য কারণেই মুসলমানদের বারবার ভারতের বুকে আগমন করতে হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন