hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিহাসের ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

মহামানবের পদার্পণ
এভাবে সারা পৃথিবীতে পাপের সমুদ্র যখন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছিল ঠিক ঐ সময় পৃথিবী এক পূর্ণাঙ্গ চরিত্র, আদর্শবান মহাপুরুষের আগমন প্রতীক্ষায় অধীর হয়ে উঠেছিল; এমন সময়ে ৫৭০ খৃস্টাব্দে বিশ্বত্রাতা মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) একেশ্বরবাদের মূলমন্ত্র নিয়ে আবির্ভূত হলেন পৃথিবীর নাভিকুণ্ড আরব ভূমিতে। তিনিই ঐ সময়ে সারা বিশ্বে মানবতার অবলুপ্ত প্রায় যৌবনকে ফিরিয়ে আনলেন। বিশ্ব যেন দিন দিন তাঁর শিষ্য পূর্ণ হয়ে উঠল। চারদিকে শত্রু-মিত্র বুঝতে পারলো সত্যিই এই মহান মানুষটি, জীবনে লেখা-পড়ার সুযোগ না পেলেও তার শক্তিকেন্দ্র ও ভক্তিকেন্দ্র ছিল আল্লাহর অশেষ অলৌকিক শিক্ষা-দীক্ষায় সমাচ্ছন্ন। তাই তিনি অবিলম্বেই সকলের কাছে ভক্তির পাত্র, শিক্ষা গুরু, দীক্ষা গুরু ও আদর্শরূপে মানবজাতির মানবতার সিংহাসনে উপবিষ্ট হলেন। যারা তাঁকে সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করেন; ইহকালের ও পরকালের সুদীর্ঘ পথের পাথেয় মনে করে গ্রহণ করলেন, তাঁরা হলেন মুসলমান। তাঁদের বল, বিদ্যা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, মানবতা, রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি, প্রত্যেক সুনীতিই পৃথিবীর মানুষের বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল। এক কথায় তাঁর আত্মপ্রকাশের পরে পৃথিবীর বুকে এমন একজনও নাম করা মানুষ জন্মাননি, যিনি পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) অথবা তার ভক্ত আরবদের প্রভাবে কিছুও প্রভাবিত নন। বরং প্রত্যেকেই পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষভাবে সেই অমর মহাপুরুষের মহান জীবনাদর্শের কাছে ঋণী। একথা অপরাপর ধর্মাবলম্বীরাও যুগ যুগ ধরে মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করে আসছেন। প্রমাণস্বরূপ কতকগুলো মনীষীর মন্তব্য উল্লেখ করা গেল।

মেজর আর্থার গ্লীন লিনওয়ার্ড লিখেছেনঃ “আরববাসীদের উচ্চ শিক্ষা, সভ্যতা ও মানসিক উৎকর্ষ এবং তাদের উচ্চ শিক্ষার প্রণালী প্রবর্তিত না হলে ইউরোপ অদ্যাপি অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমগ্ন থাকত। বিজেতার ওপর সদ্ব্যবহার ও উদারতা তাঁরা যে প্রকার প্রদর্শন করেছিলেন তা প্রকৃতই চিত্তাকর্ষক।”

ঐতিহাসিকগণের বিশ্ব ইতিহাসে অষ্টম খণ্ডে লেখা আছে- “মধ্য যুগে আরব রাষ্ট্র একমাত্র প্রতীক ছিল; উত্তরে অসভ্য জাতিসমূহের আক্রমণে বিপর্যস্ত ইউরোপকে তারাই বরবর্তার হস্ত হতে রক্ষা করেন।”

ঐতিহাসিক জি সি ওয়েলস বলেছেন, “আরবদের ভেতর দিয়েই বর্তমান জগৎ তার আলোক ও শক্তি সঞ্চয় করেছে।... ল্যাটিন জাতির ভেতর দিয়ে নহে।”

পাদরি আইজ্যাক টেলর বলেন, “জগতের বহু দেশব্যাপী ইসলাম ধর্ম খৃস্টান ধর্ম অপেক্ষা সাফল্য লাভ করেছে। সর্বক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের প্রচার ক্রমশ ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হয়েছে এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী জাতিকে খৃস্টধর্মে দীক্ষিত করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনকি যে স্থানসমূহে পূর্বে খৃস্টধর্ম প্রচারিত ছিল তাহাও ক্রমশ খৃস্টধর্মের প্রচারকগণের প্রভাব হতে মুক্ত হতে আরম্ভ হয়েছে। মরক্কো হতে জাভা এবং সম্প্রতি পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত স্বীয় প্রভাব বিস্তার করে ইসলাম ধর্ম সুদীর্ঘ পদবিক্ষেপে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা প্রভৃতি মহাদেশই অধিকার করতে অভিযান আরম্ভ করেছে।

ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্মের মূল পাশ্চাত্য সভ্যতার স্রোতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে দিচ্ছে। কোটি কোটি ভারতবাসীর এক-চতুর্থাংশ এবং সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও অধিক মুসলমান।”

সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট বলেন, “আমার আশা হয় অদূর ভবিষ্যতে সমস্ত দেশের শিক্ষিত ও প্রাজ্ঞমণ্ডলীকে সম্মিলিত করে কোরআনের মতবাদের ওপর ভিত্তি স্থাপন করে জগতে একতামূলক শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। কারণ একমাত্র কোরআনই সত্য এবং মানবকে সুখ ও শান্তির পথে পরিচালিত করতে সক্ষম।”

স্যার উইলিয়াম ম্যূর বলেন, “সম্রাট হিরাক্লিয়াসের অধীনে সিরিয়াবাসী খ্রিস্টানগণ যেভাবে বাস করেছিলেন; আরব মুসলমানদের অধীনে তার অপেক্ষা অধিক পরিমাণে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা উপভোগ করতেছিলেন। খ্রিস্টান নরপতি হিরাক্লিয়াসের অধীনে থাকা অপেক্ষা আরবদের অধীনে থাকা অধিকতর শান্তিপ্রদ হয়েছিল।”

ঐতিহাসিক নগেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “ইসলামের বিশ্বজনীনত্ত্বের অপার্থিব সৌন্দর্যে মুগ্ধ মানবগণ আজ ধরায় এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত তাহাদের ভাব ও ভাষায় আদান প্রদান করিতে এবং কর্মের যোগসূত্র স্থাপন করতে প্রয়াসী। ... প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের বক্ত ব্যাপিয়ে এই সৌভ্রাতৃত্ত্ব স্থাপন তাহাও ইসলামের উদার শিক্ষার প্রকৃষ্ট অবদান।

আজ যদি জগতের লোক সেই বিশ্ববন্ধু বিশ্বনবীর পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া সংসার পথে বিচরণ করিতে পারে, সেই পূর্ণ কীর্তির চরিত্র কথা যদি সর্বত্র প্রচারিত হয় তাহা হইলে আইন কানুনের শৃঙ্খলা রক্ষা করিবার জন্য হাজার হাজার প্রহরী নিযুক্ত করিবার কোন আবশ্যকতা থাকে না। তাহা হইলে হিংসা, দ্বেষ, কলঙ্ক, বিষাদ ধরাপৃষ্ট হইতে মুছিয়া যায়। যে ধর্ম যে উদাহরণ সেই মহামানব এই পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করিয়া গিয়াছেন, আমাদের দেশবাসী যদি সেই ধর্মের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হইয়া মানুষকে ভালবাসিতে পারে, যদি তাঁহার উদাহরণে আপনার চরিত্রকে গঠিত করিতে পারে, যদি সে ভাবোচ্ছাসে চালিত হয়, তাহারই সুশীতল ছায়ায় বসে শান্তির ধারা প্রবাহিত করিতে পারে, তাহা হইলে এই ভারতের স্বাধীনতার পথে কে অন্তরায় হতে পারে? তাহা হইলে কখনও অশান্তির উদয় হয় না।”

ভারতবর্ষের ব্রাহ্ম ধর্মের অন্যতম নেতা আচার্য কেশবচন্দ্র হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্বন্ধে বলেন, “তিনি তেজপূর্ণ সন্ধিবন্ধন বিমুখ একেশ্বর রাজের প্রতিপোষক এবং পৌত্তলিকতার স্থির প্রতিজ্ঞ চির শত্রু। তাঁহার মত পৌত্তলিকাভঙ্গকারী আর কেউ-ই ছিলেন না। দ্বিতীয় ব্যক্তিকে তিনি ঈশ্বরের সিংহাসন স্পর্শ করিতেও দেন নাই। তথাপিও তিনি প্রেরিত পুরুষদের সম্মান করিতেন। তিনি তাঁহাদর পূজা নিষেধ করিলেন। তাঁহাদের কোন মধ্যবর্তিতা বা অবতারত্ত্ব সহ্য করিলেন না। কিন্তু অপর নবী ও প্রেরিত পুরুষকে বিশ্বাস করিতে তিনিই প্রবর্তিত করিলেন। তিনি ঈশ্বরের বিরোধীগণের বিরুদ্ধে ঘোরতর প্রতিকূল ভাব প্রচলিত করে ছিলেন। তিনি ঈশ্বরের প্রতি ঈদৃশ অনুগত এবং বিশ্বাসী ছিলেন যে, কোন প্রকারের অবিশ্বাস বা কোন শ্রেণীর অবিশ্বাসীকে উৎসাহদানের ভাবও তিনি সহ্য করিতে পারিতেন না।

তিনি আরও বলেন, “যখন কোন অবিশ্বাসী স্বর্গের ঈশ্বরের সহিত সংগ্রাম করে তাঁহার অবমাননা করে, তাহার সিংহাসন বিপর্যস্ত এবং তাঁহার পৃথিবীস্থ রাজ্য ধ্বংস করিতে যত্ন করে, ঈশ্বরের প্রত্যেক যথার্থ সৈনিক, ঈশ্বরের পবিত্র জয় পতাকা হস্তে করিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হইবে এবং দয়া না করিয়া অবিশ্বাস উপহাস বিমর্দিত হইবে।”

.... “ভারতের ব্রহ্মবাদীগণ যেন নিরন্তর ঈশ্বরের এই প্রেরিত পুরুষের সম্মান করিতে পারেন এবং তিনি স্বর্গ হইতে বিশুদ্ধ একেশ্বরবাদের সংবাদ আনয়ন করিয়াছেন যেন তা গ্রহণ করিতে সমর্থ হন।” (মহাজন সমাচার, পৃঃ ১২৭-১২৯)

বিখ্যাত পরিব্রাজক চন্দ্রশেখর সেন (বার-এট-ল) লিখেছেন, “কেবলমাত্র ষোল বছরের বালক হযরত আলী (রা.)কে ও বিবি খাদিজা (রা.)কে সাথী করিয়া যিনি সংসারে সনাতন ধর্ম প্রচার করিতে সাহসী ও প্রবৃত্ত হন এবং সেই প্রচারের ফলে সহস্রাধিক বর্ষ পৃথিবীর অর্ধেক, স্থানব্যাপী এই ধর্ম চলিতেছে। তিনি ও তাঁহার সেই ধর্ম যে বিধাতার প্রেরিত তাহাতে তিলমাত্র সন্দেহ নেই।” (ভূপ্রদক্ষিণ ৫২৫ পৃঃ)

শ্রী মানবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, Lerning From The Muslim, Europe became the leader of Modern civilization. (Historical Role of Islam.)

অর্থাৎ- মুসলিম শিক্ষার প্রভাবেই ইউরোপ জগৎ আধুনিক সভ্যতার নেতা হতে পেরেছে।

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বলেন, “জগতের বুকে ইসলাম সর্বোৎকৃষ্ট গণতন্ত্রমূলক ধর্ম। প্রশান্ত মহাসাগর হইতে আরম্ভ করিয়া আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল পর্যন্ত মানবমণ্ডলীকে উদারনীতির এক সূত্রে আবদ্ধ করিয়া ইসলাম পার্থিব উন্নতির চরম উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে।”

ডক্টর তেজ বাহাদুর সাপ্রু বলেন- “হিন্দুদিগকে রক্ষা করিবার একমাত্র উপায় ইসলাম ধর্মের কতিপয় মূলনীতি- আল্লাহর একত্ববাদ ও মানবের বিশ্ব জনীনত্ব।”

শ্রী ভূদেবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন- “হিন্দুর স্বধর্ম বিদ্বেষরূপ পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্যই বিধাতা মুসলমানকে শাস্তারূপে এদেশে পাঠাইয়া ছিলেন।”

নানক বলেন- “বেদ ও পুরাণের যুগ চলে গেছে; এখন দুনিয়াকে পরিচালিত করার জন্য কোরআনই একমাত্র গ্রন্থ।... মানুষ যে অবিরত অস্থির এবং নরকে যায় তার একমাত্র কারণ এই যে, ইসলামের নবীর প্রতি তার কোন শ্রদ্ধা নেই।”

ভারতের পরলোকগত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নেহেরু বলেন- “হযরত মুহাম্মদ-এর প্রচারিত ধর্ম, এর সততা, সরলতা, ন্যায়, নিষ্ঠা এবং এর বৈপ্লবিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সমতা ও ন্যায়নীতি পার্শ্ববর্তী রাজ্যের লোকদের অনুপ্রাণিত করে। কারণ ঐ সমস্ত রাজ্যের জনসাধারণ দীর্ঘদিন যাবৎ এক দিকে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক নিপীড়িত, শোষিত ও নির্যাতিত হচ্ছিল; অপরদিকে ধর্মীয় ব্যাপারে নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হচ্ছিল পোপদের হাতে।”... তাদের কাছে এ (ইসলাম বা মুহাম্মদের নীতি) নতুন ব্যবস্থা ছিল মুক্তির দিশারী।”

শ্রী মহাত্মা গান্ধী বলেন- “প্রতীচ্য যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত, প্রাচ্যের আকাশে তখন উদিত হল এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং আর্ত পৃথিবীকে তা দিল আরও স্বস্তি। ইসলাম একটি মিথ্যা ধর্ম নয়। শ্রদ্ধার সঙ্গে হিন্দুরা তা অধ্যয়ন করুক। তাহলে আমার মতই তারা একে ভালবাসবে।”

হযরত মুহাম্মদ (সা.) দিনে এবং বিশেষ করে গভীর রাত্রে সালাত বা নামায, যেকের (আল্লাহর স্মরণ) প্রভৃতি গভীর উপাসনায় নিজের এবং তার ভক্তদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেত। রাত্রির সঞ্চিত এই শক্তি দিনের বেলায় প্রয়োগ করতেন আরবের হিংস্র একগুঁয়ে মানুষদের প্রতি। তার ফলে তীব্র বিরোধিতা ও লড়াই শুরু হতো। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাতে ভীত হতেন না; বরং কোরআনের আদর্শে ধৈর্যশীল হয়ে তাদের অত্যাচার সহ্য করতেন এবং সঙ্গীদের সহ্য করতে বাধ্য করতেন।

কিন্তু ফজর (প্রভাতিক), জোহর (দ্বিপ্রহরিক) এবং আসর (অপরাহ্নিক) এই ত্রিকালের উপাসনা জোটবদ্ধভাবে কোথাও প্রকাশ্যে কোথাও বা গোপনে চালিয়ে যেতে লাগলেন; তাছাড়া মাগরিব (সূর্যাস্তের পর) এবং এশা এই দ্বিকালের উপাসনাও জোট বেঁধে করতেন। আধ্যাত্মিক উন্নতির এটাই ছিল তাদের প্রাথমিক কোর্স। তারপর রাত্রির অন্ধকারে প্রত্যেকে যথাসাধ্য শক্তি সঞ্চয় করতেন ‘তাহাজ্জুদ’ (রাত্রি জাগরণ) সাধনা দ্বারা। তদুপরি তারা প্রত্যেকেই এমন মূর্তিতে থাকতেন যদ্বারা এক পলকেই চেনা যেত এরা মুসলমান বা হযরত (সা.)-এর দলের লোক; তাঁদের পরিধানে থাকতো ঢিলা জামা, লুঙ্গি-পাজামা, মাথায় থাকত টুপি, তার উপরে অনেকের শিরোপরি শোভা পেত শিরস্ত্রাণ; প্রাপ্ত বয়স্কদের দাড়ি ছিল বড় কিন্তু প্রত্যেকের গোঁফ ছিল কাটা বা ছাঁটা। এই হল মোটামুটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ভেতর ও বাহিরের চিত্র।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের তথা সারা বিশ্বের মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) জানতেন যে, অন্তরের সাথে সাথে বাহিরের পরিবর্তন সম্ভব না হলে আরবগণ মানবতার মর্যাদাদানকারীরূপে বিশ্বের ইতিহাসে চিরজীবন্ত, চিরবরেণ্য থাকতে পারে না। হযরতের (সা.) এই ধারণার বাস্তব প্রতিচ্ছবি দেখেছি তখনই, যখন আরবরা ছিল তাঁর মতাদর্শের অনুসারী ও অনুগামী। কিন্তু ক্রমে ক্রমে ধর্মের ওপর অবহেলা, শৈথিল্য, ভণ্ডামি ও ভেজালের অনুপ্রবেশ ঘটল। হৃদয় বিকৃত হল, চেহারাও পরিবর্তিত হল; শুরু হল পুনরায় ধরনীয় রঙ্গমঞ্চে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক পতনে জঘন্যতম দৃশ্যাবর্তন। তাই আজ আমরাও যদি এহেন সংকটময় মুহূর্তে সেই মহাপুরুষের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে পারি তবে অদূর ভবিষ্যতে হৃত মর্যাদাকে পুনরুদ্ধার করে বিশ্বের ইতিহাসে সম্মানের উচ্চাসনে উপবিষ্ট হতে আমাদের বেগ পেতে হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন