hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিহাসের ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস
ভারতের প্রাচীন নিজস্ব ইতিহাস বলতে ‘বেদ’ নামে পরিচিতি চারখানি ধর্ম পুস্তকের বিশেষত ঋগ্বেদ। আবার রামায়ণ ও মহা-ভারত প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থগুলো অনেকের মতে মূল ইতিহাস বলে গ্রহণীয়। কিন্তু বাইরের ইতিহাসগুলো বাদ দিলে এগুলোতে যে তথ্য বা তত্ত্ব আছে তা প্রকৃত ইতিহাসের উপাদান হিসেবে নগণ্য। তবে মুসলিম ইতিহাস ও ইংরেজদের ইতিহাস পরিপক্ক জ্ঞান থাকলে ঐ সমস্ত গল্প কাহিনী হতে কিছু কিছু যোগ-বিয়োগের মাধ্যমে কোন কোন স্থানে খাপ খাওয়ানো যেতে পারে। জানা দরকার, পুরাতন পুস্তক মাত্রই ইতিহাস নয়। অনেক মুসলমান পুঁথি লেখকও লিখেছেন এই কায়দায়, যথা–

“লাখে লাখে মর্দ ছব ছহিদ হইল, লোহুতে লাল হয়ে দরিয়া বহিল” ইত্যাদি ইত্যাদি। এর নাম ইতিহাস নয়। তেমনি আবার অনেক বিজ্ঞজনের মতে রামায়ণ মহাভারতের মধ্যেও অনেক কিংবদন্তি ও অসার কল্প কাহিনী আছে, যা ইতিহাসরূপে মর্যাদার অধিকারী নয়। যেমন বিখ্যাত ঐতিহাসিক রমেশ মজুমদারের মতে আর্য জাতির জন্ম সম্বন্ধে পুরাণ ও মহাভারতে আছে–

“দীর্ঘতমা নামে এক বৃদ্ধ অন্ধ ঋষি যযাতির বংশজাত পূর্ব দেশের রাজা মহাধার্মিক পণ্ডিত প্রবর সংগ্রামে অজেয় বলিয়া আশ্রয় লাভ করে এবং তাহার অনুরোধে তাঁহার রানী সদেজ্ঞা গর্ভে, পাঁচটি পুত্র উৎপাদন করেন। ইহাদের নাম অঙ্গ, কলিঙ্গ, পুন্ড্র, সুক্ষ ও বঙ্গ। তাহাদের বংশধরেরা ও তাহাদের বাসস্থানও তাঁহাদেরই নামে পরিচিত। অঙ্গ বর্তমানে ভগলপুর এবং কলিঙ্গ, উড়িষ্যা ও তার দক্ষিণবর্তী ভূভাগ; পুণ্ড, সুক্ষ ও বঙ্গ যথাক্রমে বাংলার উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ ও পূর্ব ভাগ। সুতরাং এই পৌরাণিক কাহিনী মতে উল্লিখিত প্রদেশগুলোর অধিবাসীরা এক জাতীয় এবং আর্য ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়ের মিশ্রণে সমুদ্ভূত। এই কাহিনী ঐতিহাসিক বলিয়া গ্রহণ করা যায় না।”

ক্ষত্রিয় রমণীগণ স্বামীর আদেশক্রমে পরপুরুষ বা অপর ব্রাহ্মণের দ্বারা সন্তান উৎপাদন করলে সেই সন্তানকে বলা হয় ক্ষেত্রজ সন্তান। কিন্তু বর্তমান যুগে কেউ-ই সেটাকে ধর্ম বলবে না বরং বলবে ব্যভিচার। ধর্মগ্রন্থের শাস্ত্রকারগণ বাংলাদেশের অধিবাসীদিগকে রাক্ষস, পিশাচ, অসুর প্রভৃতি বলে উল্লেখ করেছেন, এমনকি স্বয়ং “ভগবান মনু” ব্যবস্থা দিয়েছেন যে, “তীর্থ যাত্রা ব্যতীত গমন করিলে তাহাকে পুনরায় সংস্কার গ্রহণ করিতে হইবে।”

ঋগ্বেদের ওপর অনেকেরই বিশ্বাস যে, তার নাকি একটি অক্ষরেরও পরিবর্তন হয়নি, অবিকলরূপে পূর্বাবস্থায় বর্তমান আছে। কিন্তু এ কথা যে সর্ববাদী সম্মত সত্য নয় তা নিচের আলোচনায় পরিষ্কার হয়ে উঠবে।

হিন্দু সমাজে জাতিভেদ প্রথা মারাত্মকভাবে প্রচলিত, কিন্তু বর্তমান যুগে বহু শিক্ষিত মানুষ ধর্মের ঐ অংশের ভুল অর্থ করতে দ্বিধা করছেন না। ঋগ্বেদের ১০ম মণ্ডলের ৯০ সুক্তটি “পুরুষ সুক্ত” বলে বিখ্যাত। এই সুক্তের শেষের দিকে জাতি বিচারের ব্যবস্থা দেওয়া আছে যথা- “সেই বিরাট পুরুষের মুখ হতে ব্রাহ্মণ, তাঁর বাহুদ্বয় হতে ক্ষত্রিয়, উরুদ্বয় হতে বৈশ্য পরে আরও বলা হয়েছে পদভ্যাং শূদ্র অজায়ত” অর্থাৎ পা হতে শুদ্র সৃষ্টি হয়েছে; কিন্তু বর্তমানে ঐটুকু ঢাকতে গিয়ে ভুল অর্থ করতে কুণ্ঠাবোধ করা হচ্ছে না। অনেকে বলেছেন, এর অর্থ হবে “শূদ্রই উহার পদদ্বয়”। আবার স্বনামখ্যাত অনুবাদক ও টীকাকার রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় ঐ সুক্ত সম্বন্ধে বলেছেন, “ঋগ্বেদে অন্য কোন অংশে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র এই চার জাতির উল্লেখ নেই। জাতি বিভাগ প্রথা ঋগ্বেদেব সময় প্রচলিত ছিল না। ঋগ্বেদে এই কু প্রথার একটি প্রমাণ সৃষ্টি করার জন্য এই অংশ প্রক্ষিপ্ত হয়েছে।”

সুতরাং প্রমাণ হচ্ছে ‘ঋগ্বেদে কোন প্রকার পরিবর্তন ঘটেনি’ এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

বলাবাহুল্য, এমন নানা তথ্যের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ভারতে সঠিক ইতিহাসের কোন অস্তিত্ব ছিল না।

এতদ্ব্যতীত মুসলমান সভ্যতা বা হযরত মুহাম্মদের (সা.) প্রতিভাময় প্রভাব প্রকাশ ও প্রচারের আগে সারা বিশ্বে অকথ্য কুসংস্কারের বন্যা চলছিল। ভারতে ছিল নরবলী, সতীদাহ, সাগর-সলিলে সন্তান বিসর্জন, অগ্নিপরীক্ষা, জড় পূজার আধিক্য, জাতিভেদ প্রথা, মারামারি, ঘৃণা, হিংসা, দ্বেষ, শোষণ, পীড়ন প্রভৃতি আরও কতশত অন্যায়, অবিচার। উল্লেখ করা যেতে পারে-উপযুক্ত কুসংস্কারগুলোর প্রত্যেকটিই এত সত্য যে, কোন ঐতিহাসিকেরই এ বিষয়ে মতবিরোধ নেই।

এই বিষয়ে রুশ ঐতিহাসিক মিঃ A. Z. Manfred যা লিখেছেন তা গভীর শ্রদ্ধার সাথে পাঠকদের সামনে উপস্থাপিত করা হল—

"The most privileged caste was that of the priests Brahmens who were freed from all types of taxation, conscription and carparal punishment. According to the laws of ancient India a nine years old member of the Brahmen cast was considered as father in relation to a ninty years old member of the Kshatriya. In peace time the Kshatriya cast led a relativity undisturbed existence and recived rich gifts and fevours from the kings, but in time of war the were the only section of the population required to fight. The vaisya cast had to pay taxes into the state treasury: commune peasants up to one sixth of there hervest and merchants up to fifth of their income. Most wretched of all was the position of the Sudra caste. Members of this caste had no rights whatever but merely obligations. Member of higher castes only had to pay a fine for the murder of a sudra, the same as for killing a dog. (A short history of the world, V.I.P-42, 43)

অতএব রুশ ঐতিহাসিক পরিবেশিত তথ্যের দ্বারা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে, সে যুগে ব্রাহ্মণদের কোন কর দিতে হত না; ক্ষত্রিয়, শূদ্র প্রভৃতি জাতিকে ছোট লোক শ্ৰেণী ধরা হতো। নব্বই বছরের বৃদ্ধ ক্ষত্রিয়কে নয় বছরের ব্রাহ্মণের পদসেবা করতে হতো; পিতৃজ্ঞান করার বাধ্যকতা ছিল। ব্রাহ্মণ ছাড়া অপর জাতির প্রতি ছয় ভাগের একভাগ বা পাঁচ ভাগের এক ভাগ কর আদায় করা হত; নরহত্যা করলে শিরচ্ছেদ হতো বটে কিন্তু কোন ব্রাহ্মণ যদি শূদ্রকে হত্যা করত তবে শুধুমাত্র সামান্য জরিমানা দিলেই চলতো। যেমন পোষা কুকুর মেরে ফেলার শাস্তিস্বরূপ কিছু জরিমানা হয়।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ঐতিহাসিক A.z. Manfrad যা লিখেছেন এটাকে নিরপেক্ষ তথ্য বলা যায় এই জন্য যে, ভারতের হিন্দু বা মুসলমান লেখকদের মত এঁরা ইউরোপের প্রভাবে প্রভাবিত নন বলে অনেকের ধারণা।

এসব ছাড়াও ব্যভিচার এত প্রবল ধারায় প্রবাহিত ছিল, যা ঐতিহাসিকগণ বর্ণনা করতেও লজ্জা করেছেন। বিখ্যাত বাঙালি ঐতিহাসিক রমেশ মজুমদার “বাংলাদেশের ইতিহাস” গ্রন্থে যে তথ্য পরিবেশন করেছেন তাতে পুরনো দিনের চরিত্র মনে পড়লে ঘৃণায় সঙ্কুচিত হতে হয়। ব্রাহ্মণ জাতি শুদ্রাকে বিয়ে করতে পারতেন না, ধর্মে নিষেধ, কিন্তু অবৈধ সহবাস বা ব্যভিচার নিষিদ্ধ ছিল না। ‘শূদ্রাকে বিবাহ করা অসঙ্গত, কিন্তু তার সহিত অবৈধ সহবাস তদৃশ নিন্দনীয় নয়।’ সে যুগের অবস্থার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ধর্মের নামে, দেবদেবীর নামে দেবালয়াভ্যন্তরে যে ধরনের চিত্র প্রদর্শিত হতো তারও কিছুটা নমুনা তিনি দেখিয়ে গেছেন, “রাজ প্রাসাদে প্রতি সন্ধ্যায় বেশ বিলাসিনীজনের মঞ্জীর মুস্বনে’ আকাশ প্রতিধ্বনিত হয়; সে যুগের কবি মন্দিরের একশত দেবদাসীর রূপ যৌবন বর্ণনায় উচ্ছসিত হইয়া লিখিয়াছেন যে, ইহারা কামিজনের কারাগার সঙ্গীত কেলীশ্রীর সঙ্গম-গৃহ এবং ইহাদের দৃষ্টি মাত্র ভস্মীভূত কাম পুনরুজ্জীবিত হয়। সে যুগে কবি বিষ্ণুমন্দিরে লীলাকমল হস্তে দেবদাসীগণকে লক্ষ্মীর সহিত তুলনা করতে দ্বিধা করেননি, সে যুগের নরনারীর যৌন সম্বন্ধে ধারণা ও আদর্শ বর্তমানকালের মাপকাঠিতে বিচার করলে খুব উচ্চ ও মহৎ ছিল, এরূপ বিশ্বাস করা কঠিন।”

মনীষী আলবিরুনী লিখেছেন, “কোন বৈশ্য এবং শুদ্র বেদ অধ্যয়ন করলে শাস্তি হিসেবে তাহার জিহ্বা কাটিয়া লওয়া হইত। আইনের ক্ষেত্রে সমজ্ঞানের অভাব পরিলক্ষিত হইত। উচ্চ জাতির লোক অপেক্ষা নিম্ন জাতির লোকদিগকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হইত। হিন্দু সমাজে শূদ্রগণ ছিল ভারবাহী, পশুর ন্যায়; বিভিন্ন জাতির মধ্যে আন্তর্বিবাহ কিংবা পঙক্তি ভোজন নিষিদ্ধ ছিল; এমনকি শুদ্রগণের স্পর্শও অপবিত্র বলিয়া গণ্য হইত। এইরূপে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া দুর্ভাগ্য শূদ্র নরনারী নিম্নস্তরের জীবনযাপন করিতে বাধ্য হইত। মনুর ‘অনুজ্ঞাতে তাদের জন্য নিতান্ত অপমানজনক কতকগুলো জীবনযাপন প্রণালীর শর্ত লিপিবদ্ধ হইয়াছিল। মনু বলেন, ব্রাহ্মণদের ভোজনের সময়ে কোন চান্দেলা (অনুন্নত জাতি) গ্রাম্য শূকর অথবা কুকুর দৃষ্টি দিতে পারিবে না। চান্দেলাদিগের আবাসভূমি হইবে গ্রামের বহিপ্রান্তে, অন্যলোকের দ্বারা ভগ্ন পাত্রে তাহাদের আহার্য দান করিতে হইবে এবং রাত্রিতে তাহারা শহরে পরিভ্রমণ করিতে পারিবে না। দিনের বেলায় কার্যোদ্দেশ্যে বহির্গত হইলেও তাহাদিগকে রাজ আদেশের চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করিতে হইবে।” (মনুস্মৃতি)

মনু ব্যক্তিটি কে? তাও জানা দরকার। মনু-ব্রহ্মার পুত্র, মনুষ্য জাতির আদি পুরুষ, ধর্মশাস্ত্র মনুসংহিতা গ্রন্থের প্রণেতা, মুনি বিশেষ। (বাংলা অভিঃ) ধর্মপ্রণেতা মনু বলেছেন, “পৃথিবীর যেখানে যা কিছু আছে তাহা ব্রাহ্মণদের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে।”

এবার আসুন প্রাচীন আরবের কথায়- হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের পূর্বে আরব পৃথিবীর সবচেয়ে পাপ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। নর হত্যা চলত কথায় কথায়; সামান্য উটকে জল খাওয়ানো নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়ে যেত এবং যুগ যুগ ধরে চলতে চলতে ক্রমে তা রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে রূপ নিত। সুদ, মদ, জুয়াখেলা, ব্যভিচার ইত্যাদি খুব ব্যাপকভাবে চলত এবং বিয়ে বলে যা ছিল তা ব্যভিচারেরই নামান্তর মাত্র। এমনকি স্ত্রীর গর্ভধারিণী মাও বিবাহের ইন্ধন হতো। নারী-পুরুষের ব্যভিচার ছাড়াও সেখানে পুং ব্যভিচার প্রভৃতি গর্হিত কাজ হতো এবং জড় পূজার দিক দিয়েও মাত্রা চরমে পৌঁছেছিল। ঠাকুর দেবতা ছাড়া এক পাও যেন অগ্রসর হওয়া যায় না; যদি সঙ্গে কোন দেবদেবী ভুলক্রমে না আনা হত তখন পথিমধ্যে মূর্তি তৈরি করেও পথ চলতে হত। সংক্ষেপে নোংরামি, নিষ্ঠুরতা ও অহঙ্কারই ছিল তদানীন্তন আরবের পরিচয়।

এমনিভাবে ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হওয়ার পূর্বে ইরানেও সব রকম অসভ্যতাই বর্তমান ছিল। জড় পূজা ও পশু পূজা প্রভৃতি করতেও তারা অভ্যস্ত ছিল। ইরান সম্বন্ধে পূর্বাহ্নে আলোচনা কিছু করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে জনৈক রাশিয়ান ঐতিহাসিক ঐ একই কথা বলেছেন-The ancient Iranian religion involved nature (For example) the mountans and animal worship-

Later worship of the Persion tribal god Ahura Mazda and the sun god Mithars became wides pread.

তেমনি চীনও চরম সভ্যতায় অনুন্নতার অভিশপ্ত শিকারে পরিণত হয়েছিল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন