মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মিঃ হলওয়েলের লেখাতেও প্রমাণ হয় সিরাজের কলকাতা আক্রমণের পূর্বে কলকাতা দুর্গে ষাটজন মাত্র ইউরোপীয়ান ছিলেন। ঐ ষাটজনের মধ্যে গভর্নর ড্রেক, সেনাপতি, মিনচিন, চারলসডগলাস, ওয়েভার ব্যারণ, ক্যাস্টনহেনরী, লেঃ মেপল টফট, রেভারেণ্ড ক্যাস্টন, ফ্রাঙ্কল্যাণ্ড, মানিংহাম ও গ্রান্ট প্রমুখ দশজন বীরপুরুষ পালিয়ে গিয়েছিলেন।
তাহলে হলওয়েলের মতে ষাট থেকে দশ গেলে বাকি থাকে পঞ্চাশ অর্থাৎ সিরাজের হাতে মাত্র পঞ্চাশজনের প্রাণহানি হয়। কিন্তু ঐ হলয়েল সাহেব আবার কী করে শতাধিক লোকের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেছেন তা বড়ই আশ্চর্যের বিষয়। এই তথ্যগুলোর প্রমাণ মেলে “Halwell's Letter to the Honble the court of directors, dated Falta, 30th Nov. 1756, para 36" দ্রষ্টব্য।
পূর্বে বলা হয়েছে মিঃ ড্রেকের দুর্গ পরিত্যাগের পর ১৭০ জন দুর্গে জীবিত ছিল। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী মিঃ গ্রে বলেছেন, ১৯ জুন রাত্রে একজন ইংরেজ সৈন্য ৫৭ জন ডাচ সৈন্যসহ শত্রুপক্ষে যোগদান করে। প্রমাণস্বরূপ Gray's Letter, Hill Vol-I, p-108 দ্রষ্টব্য।
আবার মিঃ ওয়াটস বলেছেন, মিঃ ড্রেকের দুর্গ ত্যাগের পর এবং দুর্গের পতনের পূর্ব পর্যন্ত প্রাচীরের উপরেই নিহত হয় ৫০ জন সৈন্য। Hill: Vol-I, p-৪৪ -তে উক্ত তথ্যের প্রমাণ মেলে।
এদিকে হলওয়েল বলেছেন, গোলন্দাজ বাহিনীর ৩১ জন সৈন্য ২০ জুনের দুপুরের পূর্বেই নিহত হয়। প্রমাণঃ Hill: Vol-I, p-114 দ্রঃ।
মিঃ মিলস্ বলেন, দুর্গের পতনের সময় ১৮ জন সৈন্য পলায়ন করেন। প্রমাণঃ Vol-1, P-44
মিসেস ম্যাসির পত্রে পাওয়া যায়, তাঁর ভ্রাতা ও মিঃ পলক ঐ সময় পলায়ন করেন।
প্রমাণঃ Hill: Vol-1, P. 182 দ্রষ্টব্য। কিন্তু মিঃ পলকের নাম মিঃ মিলসের তালিকার মধ্যে পাওয়া যায় না।
তাহলে দেখা যাচ্ছে ১৭০ জন লোকের মধ্যে ১৫৭ জন দুর্গ পতনের পূর্বে নিহত হয় বা পলায়ন করে। সুতরাং মাত্র ১৩ জন দুর্গের মধ্যে থাকে বা ছিল।
অন্য অনেক কাগজ পত্রে বা রেকর্ডে দেখা যায় দুর্গ সংলগ্ন পরিখা বা খালে সাঁতার দিয়ে পালাবার সময় অনেকে ডুবে মারা যায়। প্রমাণঃ Hill: Vol-1, P-50, 208, 293, Vol-3, P-169 দ্রষ্টব্য।
ক্যাপটেন কলিনস এইভাবেই মারা গিয়েছিলেন। প্রমাণঃ Hill Vol-3, P-72, 105 দ্রষ্টব্য। এইসব ঐতিহাসিক হিসাব বা গবেষণার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মাত্র ৮ হতে ১০ জন ইংরেজ দুর্গে বর্তমান ছিল।
তাই ঐ হলওয়েলের কুকীর্তির স্বরূপ দেখে নিরপেক্ষ দৃষ্টিসম্পন্ন বাংলার বীর সন্তান শ্রী অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় বলেন, মুসলমানদের কথা ছাড়িয়ে দাও। তাঁরা না হয় স্বজাতির কলঙ্ক বিলুপ্ত করার জন্য স্বরচিত ইতিহাস হতে এই শোচনীয় কাহিনী সযত্নে দূরে রাখতে পারেন। কিন্তু যারা নিদারুণ যন্ত্রণায় মর্মপীড়িত হয়ে অন্ধকূপ কারাগারে জীবন বিসর্জন করলেন তাদের স্বদেশীয় স্বজাতির সমসাময়িক ইংরেজের কাগজপত্রে অন্ধকূপ হত্যার নাম পর্যন্তও দেখতে পাওয়া যায় না কেন?”
শ্রীমতি, হেমলতা দেবী লিখিত “ভারত বর্ষের ইতিহাস” পুস্তকের সমালোচনায় শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর লেখা ‘ইতিহাস’ পুস্তকের দ্বিতীয় মুদ্রণে ১৫৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “সিরাজুদৌলার রাজ্য শাসনকালে অন্ধকূপ হত্যার বিবরণ লেখিকা অসংশয়ে প্রকাশ করেছেন। যদি তিনি শ্রীযুক্ত বাবু অক্ষয়কুমার মৈত্রের ‘সিরাজুদৌলা’ পাঠ করতেন তবে এই ঘটনাকে ইতিহাসে স্থান দিতে নিশ্চয়ই কুণ্ঠিত হতেন।”
পলাতক ইংরেজ বীরপুরুষগণের পলায়নের বিবরণে বা সিরাজের প্রতি পিগটের পত্রে অথবা সিরাজকে লিখিত ওয়াটগণের ও ক্লাইভের বীরত্বপূর্ণ পত্রে অন্ধকূপের কোনও উল্লেখ নেই। এমনকি আলিনগরের সন্ধির কাগজেও তার উল্লেখ নেই।
ক্লাইভ কোর্ট অফ ডিরেক্টরকে যে পত্র লিখেছেন তাতে সিরাজকে কেন সিংহাসনচ্যুত করা হয়েছে তার বিবরণ আছে, কিন্তু অন্ধকূপ হত্যার কোন কথাই সেখানে নেই। অথচ সুধীর কুমার আর নবীন কুমারের নবীন কলম নবীশতায় তাকে জোরশোরে প্রতিপন্ন করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তাই তাদের এহেন ধৃষ্টতা বহু দৃঢ়চেতা সৎ মানুষ কথা অক্ষয় কুমার মৈত্র, বিহারীলাল সরকার, গিরিচন্দ্র ঘোষ, নিখিলরায়, কবি রবিন্দ্রনাথ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরনেতা নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুসহ অনেকের মনকে বেদনা দিয়েছিল।
শ্ৰীযুক্ত বাবু অক্ষয় কুমারের আন্দোলন এবং কলমের অগ্নিবর্ষণকে নেতাজী দারুণভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন। ফলে ১৯১৫ খৃস্টাব্দে ২৪ মার্চ কলকাতার হিষ্ট্ৰীক্যাল সোসাইটির মাধ্যমে এসিয়াটিক সোসাইটির ঘরে এক বিরাট সভায় উপস্থিত বঙ্গবীর অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়, জে, এইচ, লিটুল, এফ, জে, মানাহন প্রমুখের সম্মুখে ঐ অন্ধকূপ হত্যার ইতিহাস উপন্যাস, উপকথার মত নিক্ষিপ্ত হয় অর্থাৎ ঘটনাটি মিথ্যা বলে স্বীকৃতি পায়। তার কিছুদিন পরে জে, এইচ, লিটল Calcutta Historical Society-এর ম্যাগাজিন বা পত্রিকায় তা প্রকাশ করে দেন এবং অন্ধকূপের জন্য বলা হয় Gigantic hoax অর্থাৎ প্রকাণ্ড ধাপপাবাজি। উপরোক্ত তথ্যাদি।
Bengali past and present, vol-XI, Serial No-1, P,P,-75-10' হতে সংগৃহীত।
সিরাজ বিদ্বেষী ইংরেজদের কল্পিত অন্ধকূপে প্রায় দুশ জন লোকের বন্দির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই ঘরটির আয়তন হচ্ছে মাত্র ১৮×১৪। সুতরাং স্থান সংকুলান হয় না দেখে থেকে কমিয়ে ১৪৬ জন ধরা হয়েছে, কিন্তু শয়তানের দল যখন দেখল ঐ পরিমাণ স্থানে ১৪৬ জনেরও স্থান সংকুলান হতে পারে না তখন সঙ্গে সঙ্গে সুর পাল্টে ১৪৬ হতে মাত্র ৬০ সংখ্যায় এনে দাঁড় করানো হল। এরই নাম ইতিহাস।
ব্যবসাদার কবি ও সাহিত্যিকদের নীতি হচ্ছে, ‘মামার জয়’ বলার মত অর্থাৎ যখন যেদিকে বাতাস বইবে সেদিকেই লিখে যাওয়া, স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া। বীর তারাই যারা প্রয়োজনীয় বিষয় সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও সমাজের সামনে তুলে ধরতে সাহসী হন। তাই অক্ষয় কুমার, সুভাষ বোস প্রমুখ বীর সন্তানদের প্রতি ধন্যবাদ যে, যখন দেশ স্বাধীন হয়নি সেই সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে কথা বলা বা আন্দোলন করা খুবই বীরত্বের পরিচয় সন্দেহ নেই।
১৯৪০ খৃস্টাব্দে জুন মাসে সুভাষ বোস ঐ অন্ধকূপ হত্যার মনুমেন্টটি ভেঙে ফেলার দাবি করেন। ফরে বিরাট আন্দোলন হয়। শত্রু ইংরেজ এবং মুসলমান বিদ্বেষী অনেক অমুসলমানই সেদিন অবাক অথবা অসন্তুষ্ট হন কিন্তু সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী, তবে ধৈর্যের প্রয়োজন। ইংরেজ রাজত্বের রাজধানী কলকাতায় ঐ মনুমেন্ট ইংরেজকে ভেঙে ফেলতে বাধ্য হতে হয়।
এদিকে গিরিশ ঘোষ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নামে একটি সঠিক সুন্দর বই সাহসের সঙ্গে লিখলেন। তার উপর অক্ষয় বাবুর ‘সিরাজউদ্দৌলা ও মীরকাসিম’ অক্ষয় কীর্তি স্থাপন করে। পরে সত্য চরণ শাস্ত্রী একখানি বই লিখলেন তার নাম ‘জালিয়াত ক্লাইভ’। তারপর সখারাম গণেশ দেউর ‘দেশের কথা’ নাম দিয়ে এ সম্বন্ধেই আর একখানা বই লিখলেন। এটিই বেশ উপাদেয় বই। এর দু-একটি বাক্য এখানে তুলে ধরছি-“ইংরাজ ইতিহাস লেখকেরা হিন্দু ছাত্রদের হৃদয়ে মুসলমান বিদ্বেষ প্রজ্বলিত রাখবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করেছেন, পরিতাপের বিষয় কোন কোন অদূরদর্শী হিন্দু লেখক কাব্য নাটকাদিতে অনর্থক মুসলমান ভ্রাতাদিগের নিন্দাবাদ করে ইংরাজের উদ্দেশ্য সিদ্ধি বিষয়ে সহায়তা করতেছেন।”
উক্ত মন্তব্যটি গভীরভাবে পাঠক-পাঠিকাবৃন্দকে স্মরণ করে দিচ্ছে যে, সমাজের বর্তমান অবস্থা একেবারে সখারাম মহাশয়ের লেখার সঙ্গে সাংঘাতিকভাবে সঙ্গতি রক্ষা করে। যাইহোক, বিরাট ইতিহাস সমুদ্রের মাত্র এক পাত্র নোনা জলকে সিরাজকেন্দ্রিক কলমে পরিশ্রুত করা হয়েছে কিন্তু বাকি তথ্য আর কতদিন দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের সুভাষ আর অক্ষয়ের অপেক্ষায় প্রতীক্ষা করবে জানি না।
আবার এদিকে গিরীশচন্দ্র ঘোষ মহাশয় একটি নাটক লিখলেন যা সহজে বিষাক্ত ও চলতি নাটকের একেবারে উল্টো। সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক একটু নড়ে উঠল-তাহলে ইতিহাস যা শুনি তাতো ঠিক নয়। কবি নবীনচন্দ্র সেন ঐ বইটি পড়ে একটি পত্র লিখলেন গিরীশচন্দ্রের নামে তাও এখানে তুলে ধরা হলোঃ
ভাই গিরিশ,
বিশ বছর বয়সে আমি ‘পলাশীর যুদ্ধ’ লিখেছিলাম, আর তুমি ষাট বছর বয়সে ‘সিরাজুদ্দৌলা’ লিখেছ। আমি বিদেশী ইতিহাসে যেভাবে পাইয়াছি সেভাবে চিত্রিত করেছি কিন্তু তুমি সিরাজের নিখুঁত চিত্রটি অঙ্কিত করছ। অতএব তুমি আমার অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী, আমার অপেক্ষা অধিক ভাগ্যবান।”
অত্যন্ত দুঃখের কথা সিরাজের ইতিহাসে শুধু যেন মনে হয় মুসলমান মীর জাফরের কথা, যেন প্রমাণ হয় মুসলমান জাতি মানেই বিশ্বাসঘাতক জাতি। তাই আজ মুর্শিদাবাদ জেলা ও মুসলমান জাতি পর্যন্ত বাংলার বাতাসে যেন কলঙ্কিত। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস এই কথাই বলে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে স্বাধীনতার আকাশ ছোঁয়া অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়েছিল তা মুসলমানদের হাতেই। ‘সিপাহী বিদ্রোহ’ তার জ্বলন্ত প্রমাণ, আর এই “সিপাহী বিদ্রোহের” গোড়াপত্তনের দাবিতে যে জেলা গৌরবের অধিকারী, ইতিহাসমণ্ডিত উল্লেখযোগ্য স্থান মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুর। যাঁরা দিলেন খুন, যাঁরা দিলেন জীবন তাঁদের ভাগ্যে পুরস্কারের পরিবর্তে তিরস্কার। হায়! এই নাকি ইতিহাস!
সিরাজ কি সত্যই নিষ্ঠুর ছিলেন?-এই প্রশ্নে অনেকে বিচলিত হন। অথচ ইতিহাস প্রমাণ করে সিরাজ সত্যই নিষ্ঠুর ছিলেন না।
সিরাজ জানতেন মীর জাফরের হাবভাব। তাহলে এখানে একটা প্রশ্ন হবে এই যে, সিরাজ যদি জানতেন মীর জাফরের দ্বারা স্বাধীন ভাগ্যাকাশে দুর্যোগ উদয় হবে তবে কেন তাকে পূর্বাহ্নেই সরিয়ে দেননি? স্বাধীন ভারতের প্রতি সিরাজের এটা কি নিষ্ঠুরতা নয়? উত্তরে বলব-না। কারণ মীরজাফর সিরাজের সম্মুখে পবিত্র কুরআন ছুঁয়ে শপথ করে বলেছিলেন যে তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিংহাসন রক্ষা করতে চেষ্টা করবেন। তাই পবিত্র কুরআনের সম্মানার্থে বিশ্বাসঘাতকতার পূর্বেই তাঁকে শাস্তি দিতে পারেননি। এটা নিষ্ঠুরতা না উদারতা তা অনুমান সাপেক্ষ।
বীর সিরাজ ওয়াট সাহেবকে সপরিবারে বন্দি করে কাশিমবাজার হতে মুর্শিদাবাদে নিয়ে এসেছিলেন। সিরাজ জননী আমিনার কোমলতায় সিরাজের করুণাবতী স্ত্রী লুৎফুন্নেসা তাঁদের মুক্তি দিয়েছিলেন। যখন সিরাজ ঘটনাটা শুনলেন তখন গর্ভধারিণী মা বা সহধর্মিনী স্ত্রী কাউকেই তিরস্কার অথবা কৈফিয়ত চাওয়ার কোন ভূমিকাই তিনি নিতে পারেননি। এটাও সিরাজের সহনশীলতা, সহিষ্ণুতা ও উদারতা না নিষ্ঠুরতা তাও বিবেচনার ভার পাঠক-পাঠিকাদের ওপর থাকল।
রাজা রাজবল্লভ অলিবর্দীর আমলে প্রজাদের সর্বনাশ সাধন করে যে বিরাট অঙ্কের ধন সঞ্চয় করেছিলেন এবং তাঁর পুত্র কৃষ্ণরায় মারফত সেই প্রচুর অর্থ যখন ইংরেজদের ঘাঁটিতে পাচার হয়েছিল তখন সিরাজ রাজবল্লভ ও তাঁর পুত্র কৃষ্ণরায়ের ওপর স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্টই হয়েছিলেন। ঠিক তার পরেই তিনি কলকাতার দুর্গ নির্মাণের অপরাধে কলকাতা আক্রমণ করেছিলেন এবং বিশ্বাসঘাতক হলওয়েল সাহেব, কৃষ্ণদাস ও উমিচাঁদকে ইংরেজদের কাছ হতে বন্দি করে নবাবের সম্মুখে আনা হল। বলাবাহুল্য, এই কৃষ্ণদাসের পাচার করা প্রচুর অর্থই কলকাতা দুর্গ নির্মাণে ইংরেজদের হাত শক্ত করেছিল। তাই কৃষ্ণদেবের কাণ্ডকে কেন্দ্র করেই সিরাজের কলকাতা অভিযান। সিরাজ যখন তাঁদের হাতের মুঠোয় পেলেন তখন তাঁরা জানতেন প্রাণদণ্ডই হয়ত আমাদের যোগ্য শাস্তি। কিন্তু তিনজনেই ক্ষমা প্রার্থনা করলেন আর সিরাজ প্রত্যেককে ক্ষমা করে বা মুক্তি দিয়ে ক্ষমাধর্মের অতুলনীয় মাহাত্ম্যকে অক্ষুন্ন রাখলেন। এরই নাম বোধ হয় নিষ্ঠুরতা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/490/47
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।