hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিহাসের ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

৫০
সপ্তদশ অধ্যায় ভারতের প্রথম স্বাধীনতা বিপ্লবী হযরত শাহ ওলীউল্লাহদেহলবী (রহ.) ও পরবর্তী মুসলিম মুজাহিদগণ
অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে যেসব মহা মনীষী অনন্য সাধারণ প্রতিভা ও অবিস্মরণীয় ভূমিকায় চির ভাস্কর হয়ে আছেন, হযরত শাহ ওলীউল্লাহ (র.) তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ও অন্যতম। তিনি শুধুমাত্র ধর্মীয় গবেষণার ক্ষেত্রেই নয় বরং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী দূত হিসেবেও ইতিহাসের পাতায় চির অমর হয়ে রয়েছেন। প্রায় একশত বছর পরাধীনতার নাগপাশে বন্দিত্ব স্বীকার করার পর এই মহা বিপ্লবীর কণ্ঠেই প্রথম ধ্বনিত হয়েছিল স্বাধীনতার আওয়াজ। ইনিই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্মদাতা প্রথম মৃত্যুহীন প্রাণ।

এই মহা মনীষী হযরত আমলগীরের (র.) দেহাবসানের কয়েক বছর পূর্বে ১৭০৩ খৃস্টাব্দে এক পুণ্যময়ী রজনীতে দিল্লী নগরীর বিখ্যাত সাধক ও খোদাভক্ত শাহ আবদুর রহিমের (র.) সুযোগ্য সন্তানরূপে জন্মগ্রহণ করেন। আলমগীর (র.) তার জন্মের পূর্বে প্রায়ই একজন তাপস শ্রেষ্ঠ, দুরন্ত প্রতাপ মনীষীর আগমনের প্রত্যাশায় দোয়া করতেন। তাঁর এই দোয়া বিশ্বস্রষ্টার দরবারে গৃহীত হয়েছিল। তাই আসমুদ্র হিমাচল ভারতবাসীর দাসত্ব শৃঙ্খল উন্মোচন করতে, মানুষের সামাজিক, ধর্মনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন স্তরে এক অভাবনীয় পরিবর্তন সাধন করতে তথা দ্বিধাবিভক্ত মতবাদে জর্জরিত ও সংকীর্ণতার অক্টোপাশে আবদ্ধ মৃতপ্রায় মানুষকে নতুন আলোর সন্ধান দিতেই জন্ম নিয়েছিলেন শাহ ওলীউল্লাহ (র.)। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি আরবী সমস্ত পাঠ তথা দর্শন, ভূগোল, তর্ক ও ইলমে কালাম, তাসাউফ ও সুলফ, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও গণিত, সাহিত্য ও অলঙ্কার শাস্ত্র, হাদীস ও তফসীর প্রভৃতি নানা জাতীয় দুর্বোধ্য শাস্ত্রে অসাধারণ বুৎপত্তি লাভ করেন। হযরত শাহ ওলীউল্লাহ সাহেবই ভারতের মাটিতে প্রথম মনীষী, যিনি কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার সারে এগারশত বছর পর তদানীন্তন রাজকীয় ভাষা ফার্সীতে পবিত্র কোরআনের অনুবাদ করে অক্ষয় কীর্তি রেখে যান।

সারা ভারতে পবিত্র কোরআন পঠিত হতো বটে কিন্তু আরবী পারদর্শী পণ্ডিতবৃন্দ ছাড়া সকলেই মহাগ্রন্থের মধ্যে আল্লাহর আদেশ নিষেধ বা অর্থাদি হতে বঞ্চিত ছিল। কুরআনের অন্য ভাষায় অনুবাদ না করাও প্রতিবেশী, পরিবেশের অনুন্নত প্রভাবের ফল। শাহ ওলিউল্লাহ সর্ব ভাষায় মহা গ্রন্থের অনুবাদের রাস্তা নির্মাণ করলেন তাঁর ফারসী অনুবাদের মাধ্যমে। ভারতের শিক্ষিত মুসলমান প্রত্যেকেই ফারসী জানতেন। তাছাড়া তখন আইন আদালতে ফারসী সরকারি ভাষা ছিল, তাই শিক্ষিত মুসলমান সমাজে মহাগ্রন্থের মহানুবাদ বিদ্যুৎ ক্রিয়ার মত সঞ্জীবিত হয়ে উঠল।

হযরত ওলিউল্লাহ সাহেব নিজে একজন পীর বা আল্লাহ ভক্ত ফকির ছিলেন। তিনি তার প্রত্যেক ছেলেকে ইসলামী শিক্ষা ও দীক্ষা দিয়ে শিষ্যভুক্ত করেছিলেন। তারা যথাক্রমে শাহ মাওলানা আবদুল আজিজ, শাহ মাওলানা আবদুল কাদের, শাহ মাওলানা রফিউদ্দিন ও শাহ মাওলানা আবদুল গণি। আরও তার বাছাই করা ছাত্রদের মধ্যে শাহ মাওলানা ইসমাইল, যিনি তাঁর ভাইপো ছিলেন। আর একজন পরশ পাথরতুল্য বীর ও পণ্ডিত সৈয়দ আহমদ ব্রেলবী। তিনি তাঁর পুত্র আজিজ সাহেবের ছাত্র ছিলেন। শাহ মাওলানা আবদুল হাই যিনি শাহ আবদুল আজিজের আত্মীয় বা প্রিয় জামাতা ছিলেন। এছাড়া তাঁর আরও বাছাই করা ছাত্র যারা দিল্লী হতে মাওলানা মওলুবী বা মোল্লা মুফতি হয়ে এসেছিলেন তাঁদের নিয়ে তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মারাত্মক সংঘ তৈরি করলেন। যে প্রতিষ্ঠান বা মাদরাসা হতে এসব বিপ্লবী বাছাই করে নেওয়া হয়েছিল সেই মাদরাসা দিল্লীর শাহ ওলিউল্লাহ সাহেবের প্রতিষ্ঠা করা। পূর্বেই দেখানো হয়েছে মোল্লাহ মাওলানা মুফতি বা প্রকৃত ফকিরদের প্রধান কাজ সজাতি-বিজাতি যেই হোক তার সঙ্গে লড়াই করা, যারা ইসলাম ধর্মে ক্ষতি করে। এক্ষেত্রেও তাই হলো। ইংরেজদের বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ মুজাহিদ যোদ্ধা চারদিকে প্রচার কাজে লিপ্ত হলেন, জনমত গঠন করলেন। উদ্দেশ্য ছিল দুটি, প্রথমত, মুসলমান জাতিকে পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী সঠিক পথে পরিচালিত করে ইংরেজকে তাড়িয়ে দেওয়া। ইংরেজরা বড় চতুর, তারা তখনও যদিও সর্ব ভারতের সর্বময় কর্তা কিন্তু সরাসরি যেন লড়তে নারাজ। তাই ভারতের সরল শিখ জাতিকে মিথ্য প্রলোভনে বিশ্বাসঘাতক সাজিয়ে মুসলমানদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামিয়ে দেয় যা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। ফলস্বরূপ হাজারে হাজারে মুসলমানকে শহীদ হতে হলো। স্বাধীনতা সংগ্রামী হযরত মাওলনা আসাদ মাদানীর কথায়- “এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই লক্ষের অধিক মুসলিম শহীদ হয়, সাড়ে সাতান্ন হাজার আলিম মৌলবী শাহাদতবরণ করেন।” ঐ সাড়ে সাতান্ন হাজার মওলবীকে শিক্ষায় পণ্ডিত এবং দীক্ষায় যোদ্ধা করে যারা স্বাধীনতা বিপ্লবে প্রাণ দিতে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যুগিয়েছেন আজ তাঁদের নাম নিষ্ঠুর ইতিহাসে ‘ওহাবী'। আসলে আরব দেশে নজদের অধিবাসী আবদুল ওহাব আরবীয়দের অনৈস্লামিক কাজকর্ম ও চিন্তাধারা রোধ করার জন্য এবং মহাগ্রন্থ কোরআন ও হাদীসের নির্দেশিত পথে চালানোর জন্য একটা আন্দোলন গড়ে তোলেন। প্রাচীনপন্থীদের সঙ্গে ১৮০৩ খৃস্টাব্দে খুব হাঙ্গামা বা লড়াই হয়। আরবের প্রাণকেন্দ্র মক্কা ও মদীনা শরীফ দখল করেন। ঐ সময় মক্কা-মদীনায় কবর পাকা করার নিয়ম ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল এবং কবর পাকা করে বাঁধানো আভিজাত্যের পরিচয় বহন করত। আবদুল ওহাবের নির্দেশে বেশির ভাগ কবর ভেঙে মাটির কবরে পরিণত করা হয়। হযরত মুহাম্মদের (সা.) এবং তৎসংলগ্ন কবরগুলো সংরক্ষিত থাকে। তার যুক্তি ছিল মক্কা ও মদিনায় নির্দিষ্ট কবরস্থানগুলো মুসলিম জাতির এবং মক্কা ও মদীনাবাসীর নিকট খুব পবিত্র কিন্তু প্রত্যেকেই যদি কবর পাকা করা শুরু করেন তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে সীমিতস্থান পূর্ণ হয়ে যাবে ফলে মক্কা-মদীনাবাসী এবং মৃত হাজীর দল ঐ পবিত্র স্থানে সমাধিস্থ হওয়া হতে বঞ্চিত হবেন।

যাই হোক আমাদের ভারতীয় হাজীরা ফিরে এসে খোভ, দুঃখ ও অভিজ্ঞতা বর্ণনায় প্রকাশ করেন যে, রাসূলের বংশধরদের এবং সাহাবা ও তাবেয়ীনদের বংশধরদের কবর সব শেষ করে দিয়েছে আরবের নতুন রাজা। এই সংবাদে সাধারণত ভারতীয় মুসলমানদের বেশির ভাগ লোকই দুঃখিত হন। শাহ ওলিউল্লার প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দল প্রথমেই মুসলমানদের কোরআন-হাদীস অনুযায়ী চলতে উৎসাহিত করেন আর অতিভক্তি, বাড়াবাড়ি, শেরক ও বিদআত হতে লোককে নিষেধ করেন। শাহ সাহেবের শিষ্য আহমদ ব্রেলবী হজ হতে প্রত্যাবর্তন করলে ইংরেজরা খুব চতুরতার সঙ্গে প্রচার করলো, স্বাধীনতা আন্দোলনের নামে যারা আপনাদের ধর্মের বাণী শোনাচ্ছে আসলে তারা ইসলামের শত্রু এবং নবী ও সাহাবাদের অপমানকারী দল। এদের নাম ওহাবী, এরাই আপনাদের প্রিয় রসূলের বংশধরদের কবরগুলো ধ্বংস করে দুঃসাহসের পরিচয় দিয়েছে আর হিন্দুস্থানের রায়বেরেলীর মৌলানা সৈয়দ আহমদ হজ করতে গিয়ে মক্কা হতে সেই দলের এজেন্ট নিযুক্ত হয়েছে এবং এরা সব ওহাবী তাই এরাও আপনাদের শ্রদ্ধেয় পীর-বুজুর্গ ও পূর্ব পুরুষদের কবর ভাঙতে চায়। এই কথা ইংরেজদের টাকা খাওয়া কিছু দালাল শ্রেণীর লোক প্রচার করতে লাগলো। সাধারণ মানুষ বিশ্বাসও করলেন অনেকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আজও শিক্ষিত মুসলমান, হিন্দু এমনকি যারা লেখক বা ঐতিহসিক তাঁরা সকলেই ‘ওহাবী আন্দোলন’ কথাটা লিখতে বা বলতে দ্বিধা করেন না। অথচ নাজদের আবদুল ওহাব জন্মগ্রহণ করেন ১৭০৩ খৃস্টাব্দে আর তার মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯১ খৃস্টাব্দে। অর্থাৎ ১৮২৩ খৃস্টাব্দে সৈয়দ আহমদ ও শাহ হজ করতে যান তার অনেক আগেই ১৭৯১ খৃস্টাব্দে তিনি মারা যান। আর তার দলের প্রভাবও ঐ সময় অর্থাৎ ১৮২৩ সালে কম হয়ে যায়। অথচ শত শত নয় সহস্র দলিল পেশ করা যাবে যে ১৮২৩-এর আগেই সারা ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লব শুরু হয়ে যায়। তবে হজ হতে ফিরে এসে আরও নতুন উদ্যমে জিহাদ আরম্ভ নয় বরং পুনঃ আরম্ভ করেন।

প্রকৃত প্রতিভাধর অনেক ঐতিহাসিক লেখক এমন গবেষণামূলক বই লিখেছেন এবং লেখার ওপর ডক্টরেট পেয়েছেন তাঁরা মুসলমানদের এই আন্দোলনকে নানা নামে ভাগ করেছেন যেমন- ওহাবী, তাঐউনি, মুহম্মদী, ফারাজী, পাটনা স্কুল দল এবং আহলই-হাদিস প্রভৃতি এগুলো ঠিক আন্দোলনের নয় নাম। সারা বিশ্বে যেকোন ব্যক্তি যেদিন ইসলাম অনুযায়ী নিজে চলেন এবং অপরকে চালানোর ব্রত গ্রহণ করাবেন আর প্রত্যেক কাজকর্মকে কোরআন আর হাদীসের কষ্টি পাথরে যাচাই করবেন তাদের রূপ সারা বিশ্বে প্রায় একই রকম হবে, কিঞ্চিৎ যদি পার্থক্য পাওয়াই যায় তা উল্লেখযোগ্য নয়। সুতরাং নজদের ওহাব প্রতিষ্ঠিত কোন ওহাবী বলে দল নেই আর তাঁদের সঙ্গে ভারতের মুসলিম বিপ্লবের কাজেকর্মে মিল থাকতে পারে কিন্তু কোন যোগাযোগ ছিল না।

১৮২০ খৃস্টাব্দে কলকাতা আসার পথে আহমদ ব্রেলবী পাটনায় পৌঁছে বহু মুসলমানকে মুরীদ বা শিষ্য করেন এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন করে দেন এবং পাটনা কেন্দ্রের ভার বিপ্লবী মাওলানা বিলায়েৎ আলীকে ডেপুটি বা খলিফা নিযুক্ত করে একটি নতুন শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেন আর ভারতের মস্তক বঙ্গদেশের কলিকাতায় এসে পৌঁছান। কলকাতা কেন্দ্রকে মজবুত করে বিপ্লবের বহ্নিশিখা জ্বালাতে পারলেই সারা ভারতে ইংরেজ মার খাবে এই ছিল তাঁর ধারণা। কলকাতার বড় মসজিদের নাম তখন ছিল কিতাবুদ্দিনের মসজিদ, ওখানেই এসে উঠলেন এবং বড় বড় লোকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলেন। (দ্রঃ শহীদ তীতুমীর, আবদুল গফুর সিদ্দিকীর লেখা ২য় প্রকাশ পৃঃ ৪২)

এখানে পীর বা ফকির আহমাদ সাহেব একটানা তিন মাস থাকেন এবং বহু লোককে মুরীদ করেন তার ঐ শিষ্যগুলোই পরে আল্লাগত প্রাণ ধর্মযোদ্ধায় পরিণত হয়েছিলেন। সারা ভারতের শ্রেষ্ঠ শহর কলকাতা। ভারতের বিভিন্ন স্থানের লোক আসত আর ঐ মসজিদে এলেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে জেহাদের তালিম পেত, নিত বা শুনতো। অতএব বেশ ভালভাবে প্রমাণিত হচ্ছে, ১৮২০-এ পাটনায়, ১৮২১-এ কলকাতায় এবং ১৮২২ খৃঃ ভারতের মূল মূল স্থানে বিপ্লবের বুনিয়াদ দিয়ে ১৮২৩ সালে আরবে গিয়েছিলেন হজ করতে। হজ হতে ফিরে এসে আবার ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার আন্দোলনের মধ্যে তিনি শিখদের বিরুদ্ধে (আসলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে) জিহাদের ফতোয়া দেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন