মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বর্তমান ভারতে সরকার অনুমোদিত নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকের ইতিহাস হতে আর্য জাতি সম্বন্ধে যা বলা হয়েছে কিঞ্চিৎ তুলে ধরছি—
“পণ্ডিতদের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরিয়া আর্যদের আগমনকাল ও বসতিকেন্দ্র লইয়া তর্ক চলিতেছে। কেহ বলেন, পূর্ব ইউরোপ হইতে, কেহ বলেন দক্ষিণ রাশিয়া বা উত্তর মেরু হইতে আর্যরা আসিয়াছেন। বিগত ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি হইতে পণ্ডিত ম্যাক্সমূলার এবং তাঁহার মত আরও কয়েকজন ভাষাতত্ত্ববিদ প্রচার করিতে থাকেন যে, মধ্য এশিয়ার কোন স্থানে আর্যদের আদি বাসস্থান ছিল, সেখান হইতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বা অন্য কোন কারণে পশ্চিমে ও দক্ষিণে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েন। কয়েকটি দল যান ইউরোপে এবং সেখানে রুশ, গ্রীক, জার্মানী, ফ্রান্স, প্রভৃতি দেশে উপনিবিষ্ট হন। এইসব দেশে স্লাব, গ্রীক, ইতালীয়, টিউটন ও কেল্ট জাতীয় লোকেরা আর্যদের বংশধর। যাহারা দক্ষিণ দিকে আসেন তাঁহারা পারস্যে উপনিবিষ্ট হন এবং পরে পারস্য হইতে এক দল ভারতে আসেন। কেহ কেহ মধ্য এশিয়ার বদলে পূর্ব ইউরোপকে আর্যদের আদিবাসকেন্দ্র বলেন। তাঁহাদের মতে আর্যরা সেখান হইতে প্রথমে মেসোপটেমিয়া আসেন এবং পরে তাঁহাদের কয়েকটি দল পূর্ব দিকে পারস্যে ও ভারতবর্ষে আসিয়া বসতি স্থাপন করেন।”
“সম্প্রতি পণ্ডিতরা বলিতেছেন, খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ বছরের দিকে মধ্য বা পূর্ব ইউরোপের কোন অংশে অথবা রুশ দেশের উরাল পর্বতমালার সমতল ভূ-ভাগে ইন্দো-ইউরোপীয় বা আর্য জাতির উৎপত্তি হয়। অত্যধিক শীতের জন্য হোক বা অন্য জাতির আক্রমণের ফলে হোক এই আর্যরা পিতৃভূমি হইতে পূর্বে, দক্ষিণে, ও পশ্চিমে ছড়াইয়ে পড়িতে বাধ্য হন। বাস্তব সভ্যতায় ইহারা যে খুব উন্নত ছিলেন তাহা নহে।”
প্রসঙ্গত আর একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিকের উদ্ধৃতির লোভ সংবরণ করা গেল না। তিনি বলেন, “খ্রিস্টের জন্মের প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে অর্থাৎ আজ হতে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দুর্গম গিরিপথ পার হয়ে আর্য জাতির এক শাখা পশ্চিম পাঞ্জাবে উপনিবিষ্ট হয়। তাদের পূর্বে এদেশে কোল ভীল-সাঁওতাল প্রভৃতি অসভ্য জাতি এবং দ্রাবিড় নামক সুসভ্য জাতি বাস করত। (বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস; শ্রী অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, এম এ ডি ফিল অধ্যাপক, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)
এতদ্বিষয়ে উল্লেখযোগ্য যে, উক্ত উদ্ধৃতি কয়টিতে একটি বর্ণও যোগ বা বিয়োগ করার দুঃসাহসিকতা প্রদর্শন করা হয়নি। অতএব এখানে পরিষ্কার প্রমাণিত হচ্ছে যে, আর্য জাতি মানেই বিদেশী বিলেতি জাতি; এই ছোট্ট কথাটি মনে রাখল তখনই মুসলমান স্বদেশী কী বিদেশী পার্থক্য বুঝতে বিঘ্ন ঘটবে না। উপযুক্ত পারস্যকে ইরান বলা হয়, আর আরবেরা পারস্যকে ফারস বলে এবং পারস্যের ভাষাকে ফারসি বলে। ‘প’ কে ‘ফ’ বলার একটা কারণও হচ্ছে এই যে, আরবী বা আরব বর্ণমালায় ‘প’ বলে মোটেই কোন অক্ষর নেই; তৎপরিবর্তে আছে ‘ফে’ বা ‘ফ’। আর পারস্যের ভাব, ভাষা, চরিত্র ও রক্তের সঙ্গে আমাদের যথেষ্ট সম্পর্ক আছে। এতদ্ব্যতীত গবেষণান্তে এও প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, আরবী ভাষী; পারসী ভাষী ও আর্যগণ পরস্পর নিকটবর্তী একই অঞ্চলে বাস করেছিলেন এবং বহুকাল পর তাদের পরস্পরের ভাষা ও শব্দের সঙ্গে পারস্পরিক সংমিশ্রণ ঘটে।
তখনকার দিন হিন্দু আর্যগণ আরবী ও পারসী শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আগ্রহশীল ছিলেন, তার প্রমাণস্বরূপ শাস্ত্রের কিছু বাণীর উদ্ধৃতি দেওয়া হলো—
“জ্যৈষ্ঠা শ্লেষা মঘা মূলা রেবতী ভরণীদ্বয়ে।
বিশাখা শ্চোওরাষাঢ়া শতর্ভে পাপ বাসরো∫∫
লগ্নে স্থিরে সচক্সেচ পারসী মারাবীং পঠেত∫∫”
ইতি—
গণপতি মুহূর্ত চিন্তামণি
(শব্দ কল্পদ্রুম ও বিশ্বকোষ হতে উদ্ধৃত)
অর্থঃ-জ্যৈষ্ঠা, অশ্লেষা, মঘা, মূলা, রেবতী, ভরণী, বিশাখা উত্তরষঢ়া ও শতভিষা নক্ষত্রে, শনি, রবি ও মঙ্গলবারে সচন্দ্ৰস্থির লগ্নে আরবী ও পারসী পড়াশোনা করবে।
“আর্য ও পারসিকেরা বহুদিন হইতে যে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাহা এই উভয় জাতির ভাষা ও আচার ব্যবহার দ্বারা প্রমাণ করা যাইতে পারে।”
(বিশ্বকোষ কর্তা প্রাচ্য বিদ্যামহার্ণব মহাশয়ের লেখা হতে)
পারসীদের ন্যায় অতটা ঘনিষ্ঠ সংশ্রব না থাকলেও আরবদের সাথেও তাদের যে পারিবেশিক সংশ্রব ছিল তাও স্বতঃপ্রমাণিত হয়ে আছে। উপরিল্লিখিত সত্য দুইটির যথার্থতা প্রমাণে নিম্নে যথাক্রমে সংস্কৃত ও ফারসি শব্দের এবং সংস্কৃত ও আরবী শব্দের সমার্থবোধক তালিকা প্রদত্ত হল।
ক। সংস্কৃত ও ফারসি সমার্থবোধক তালিকা–
সংস্কৃত ফারসি
১। শত ছদ
২। সপ্তাহ হফতা
৩। শৃগাল শেগাল
৪। মাস মাহ
৫। সপ্তসিন্দু হপ্তসিন্দু
৬। উষ্ট্র শুতর
৭। মেষ মিশ
৮। গ্রীবা গ্রেবা
৯। দেব দেও
১০। আম্র আম
১১। শর্করা শাক্কর
১২। এক য়াক (ইত্যাদি)
খ। অনুরূপ সংস্কৃত ও আরবী শব্দের সমার্থক তালিকা—
সংস্কৃত আরবী
১। আপর্দ আফং
২। ছত্র ছতর
৩। মা উম্মা
৪। কপূর কাফুর
৫। হলাহল হলাহল
৬। গান গেনা
৭। আর্য আরিযা
৮। সর্দি ছার্দি
৯। দ্রাবির দ্রায়িদ
১০। চন্দন সন্দল
১১। শীত শিতা
১২ অল্ল আল্লাহ (ইত্যাদি)
অল্প মানে ‘পরমেশ্বর’ পরম দাতা’ (বাংলা অভিধান)
হিন্দু লেখকের ‘বিশ্বকোষ’ গ্রন্থে ১ম খণ্ডে ৫৮৫ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে “অল্প”, অল্লা (আল্ল, আল্লা) অর্থাৎ মুসলমানদের উপাস্য পরম দেবতা। আমাদের অর্থ বর্ণ সূত্রে ঐ পরম পুরুষের উপাসনার কথা উল্লিখিত আছে।
এখন ইরান ও পারস্য হতে কেমনভাবে আর্যগণ ভারত তথা নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ল সে সম্বন্ধে গবেষণান্তে যা পাওয়া গেছে তা মোটামুটিভাবে নিম্নরূপ–
ইরান দেশে জরদশত নামে এক মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেন ইনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটেনিকায় (Encyclopadia Britanica) 'Zoroaster' এবং বিশ্বকোষ এ “জরসুস্ত্রস্পিতম” নামে ডাকা হয়েছে। ইরানী ইতিহাসের প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক Sir percy Sykes-এর বক্তব্যের ছায়াবলম্বনে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, গাশতাশপ’নামক জনৈক রাজবংশীয় ক্ষমতা ও প্রতিপত্তিসম্পন্ন পুরুষ জরদাশতের শিষ্য হন। তখন সেখানে ভারতের মত পুরাতন ধর্ম অনুযায়ী পূজা পার্বণের খুব জোরালো নীতির প্রচলন ছিল। কতটা বাড়াবাড়ি ছিল তা বিখ্যাত এক পণ্ডিতের পুস্তকের একাংশ তুলে ধরলাম; এটুকুই বোঝার পক্ষে পর্যাপ্ত হবে বলে মনে করি।
“প্রকৃতির প্রত্যেক অবদান-এমনকি ভেক পর্যন্ত ছিল তাহাদের পূজার দেবতা। বিবাহ পদ্ধতিতেও নানা প্রকার অনাচারের প্রাদুর্ভাব ছিল। হিন্দুদের মতো তাহাদের মধ্যে নরমেধ যজ্ঞের প্রচলন ছিল। দাস প্রথা ইত্যাদির তো কথাই নেই।”
যাহোক, গাশতাশপের এবং তার সভাসদ তথা বেশির ভাগ লোকের নতুন ধর্ম গ্রহণের পর পুরাতন ও নতুন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। পুরাণের কাহিনী অবলম্বনে শেষ যুদ্ধটি সংঘটিত হয় সবজাওয়ার শহরের পশ্চিমাংশে। তুরানীদের আক্রমণে বৃদ্ধ গাশতাশপ নিহত হন; কিন্তু প্রচলিত মতানুসারে, তিনি উপাসনার মধ্যেই শিষ্যবৃন্দের সম্মুখে পরলোক গমন করেন। তিনি প্রচার করেছিলেন সৃষ্টিকর্তা এক; তিনি ছাড়া আর কারো উপাসনা নিষেধ। সোমলতার রস ও মদ্য পান নিষেধ। পরকাল ও ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে হবে।
মোটকথা উপযুক্ত যুদ্ধের স্বাভাবিক ফলাফল দাঁড়ালো এই যে, পরাজিত মূর্তিপূজক বা পুরাতন আইন পদ্ধতির অনুসরণকারী নানা দিকে দেশ ত্যাগ করে চলে এলেন। আমাদের ভারতে কাশ্মীরে ও এলাহাবাদে আর্য আগমন এইভাবেই হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/490/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।