hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিহাসের ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

৩৬
শাহ ইসমাইল গাজী (রহ.)
সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহের (৮৬৩-৮৭৮) রাজত্বকালে হযরত ইসমাইল গাজী (রহ) বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাঁর আদি বাসস্থান ছিল আরবের মক্কা নগরীতে। সেই সময়ে মক্কা নগরীতে হাসানুদ্দিন নামক জনৈক মাওলানার কাছে প্রায় শতাধিক সঙ্গীসহ তিনি ধর্মের আলোচনা করতেন। এক সময় কামালুদ্দিন নামে মাওলানা সাহেবের এক ভাই কোরআন পাঠ করছিলেন। তিনি পড়ছিলেন-“আল্লাহর জন্যে যাঁরা শহীদ হবেন, তাঁরা প্রভূত পুরস্কার পাবেন।” এই বাণী শোনার পর হতেই ইসমাইলের জীবনে এক বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল। শাহাদত বরণের লোভ সংবরণ করতে না পেরে তিনি ও তার তাবলীগ জামাতের সঙ্গীরা পারস্য সীমান্তে উপনীত হয়ে তথা হতে ভারত অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। অবশেষে উক্ত সুলতানের রাজধানী লখনৌতি নগরে এসে পৌঁছান।

এই সাধকের জীবনেও বহু অলৌকিক ঘটনার সংমিশ্রণ আছে। যে বাদশাহ রুকনুদ্দিনের রাজত্বে ছুটিয়া পাটিয়া নামক একটা নদীতে বর্ষাকালে প্রবল বন্যায় জনসাধারণের পারাপারে দুর্দশার সীমা থাকত না।

তিনি গভীর চিন্তা করে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন, কিন্তু নদীটি এত খরস্রোতা ছিল যে, সেখানে পিলার বা থাম বসানোর কোন উপায় ছিল না। শাহ ইসমাইল তখন দু রাকাত নামায শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন আর অমনি বেগবতী স্রোতস্বিনী আশ্চর্যজনকভাবে কমে গিয়ে শান্তরূপ ধারণ করল। সকলেই তাঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় অতিমাত্রায় অবাক হয়েছিল। যা হোক সেতু নির্মিতি হলে আবার পুনরায় উভয় পারের যোগাযোগ অব্যাহত থাকল এবং জনসাধারণের কষ্টের উপশম হল।

মান্দারণ বিজয় তার জীবনের এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। মাত্র তার ১২৫ জন সঙ্গীকে নিয়ে তিনি বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মান্দারণ দুর্গাধিপতি রাজদ্রোহী গজপতিকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। ফলে মুগ্ধ হয়ে সুলতান তাকে মান্দারণের শাসক নিযুক্ত করেন।

কামরূপ বিজয়ও তাঁর জীবনের আর এক স্মরণীয় অধ্যায়। তিনি নিজেকে আল্লাহর একজন সৈনিক মনে করতেন। কামরূপ অভিযানে তাঁর অত্যাশ্চর্য ঘটনা দেখে কামরূপ অধিপতি মহারাজ কামেশ্বর স্বেচ্ছায় মুসলমান হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিলেন। ইসমাইলের মর্যাদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগল।

আগেই উল্লেখ করেছি, ইসমাইল শাহ ছিলেন মান্দারণ দুর্গের শাসনকর্তা। ঘোড়াঘাট নামক স্থানে ভান্দাসী রায় নামক একজন সেনাপতি সুলতানের কাছে নানা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে শাহ ইসমাইলকে বিদ্রোহীরূপে চিত্রিত করেন। সুলতান ক্রুদ্ধ হয়ে একদল সৈন্য পাঠালেন ইসলমাইলকে হত্যা করতে। এই প্রেরিত সৈন্যদের দ্বারাই মনীষী হযরত শাহ ইসমাইল গাজী (র.) ১৪৭৪ খৃস্টাব্দে শাহাদতবরণ করেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এখানে ভান্দার্সী রায়ের দ্বারা মিথ্যা ষড়যন্ত্রে হযরত ইসমাইল গাজীকে নিহত করার ব্যবস্থাও যতখানি ঘৃণ্য ও দোষণীয়, সুতলান বারবক শাহের বিনা তদন্তে নিরপরাধ ইসমাইল গাজীকে হত্যা করার নির্দেশ দানও ঠিক ততখানি দোষণীয় ও নিন্দনীয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন