মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শ্রী অরবিন্দও বঙ্কিমের মত ঋষি উপাধি পেয়েছেন। ১৮৭২ সালে জন্ম আর ১৯৫০ খৃষ্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন গোঁড়া মুসলমান বিদ্বেষী নেতা। শক্তির বোধনকল্পে কালী, দুর্গা, বগলা, ভবানী প্রভৃতি দেবীর পূজা করতেন আর ভক্তিবাদ, লীলাবাদ প্রভৃতিকে বিশ্বাস করতেন আর শিবাজীকে তিনি তার দলের আদর্শ করেছিলেন। এক কথায় বলা যায়, বঙ্কিম যখন মারা যান তখন তার প্রথম শ্রেণীর যুবক শিষ্যদের মধ্যে অরবিন্দ অন্যতম। অরবিন্দ শুধু মুসলমান জাতির শত্রু ছিলেন না; বরং যেকোন অহিন্দু তার বা তাদের শত্রু ছিল তাতে ইংরেজরাও পড়ে। প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়, পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপতরায় মুসলমান ও অহিন্দু ধর্মবিরোধী আর্য সমাজে দীক্ষিত।........জনশক্তির বোধন ও শনিধন কল্পে বরদায় অরবিন্দ বগলা মূর্তি গড়িয়ে পূজা করেন (১৯০৩) গুপ্ত সমিতিতে নবাগত কর্মীদের তিনি একহাতে গীতা এবং অপর হাতে তলোয়ার দিয়ে বিপ্লবীদের শপথ গ্রহণ করাতেন। লাল, বাল, পাল অভিহিত এই তিনজন আর অরবিন্দঘোষ ছিলেন চরমপন্থী দলের চার স্তম্ভ। এঁদের মধ্যে অরবিন্দ ছাড়া কেউ হিংসাত্মক বিপ্লবে বিশ্বাস করতেন না।” (বাঙ্গালী রাষ্ট্রচিন্তা, পৃঃ ২৬০) ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘অনুশীলন দল’ প্রায় পাঁচশত শাখা নিয়ে গুপ্ত সমিতি চালু হয়েছিল। যেখানে শরীরচর্চা ও অস্ত্রচর্চা অনুশীলন হতো আর তার সভ্যরা বেশির ভাগই ডাকাতি, লুট ও হত্যার সঙ্গে জড়িত হলেন। কিছু নেতা তা সমর্থন করতেন না। “প্রমথমিত্র, সরলা দেবী প্রথম নেতৃস্থানীয় অনেকেই গুপ্ত হত্যা, ডাকাতি ইত্যাদি সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ সমর্থন করতেন না।” (দ্রঃ ঐ পৃঃ ২৬২)। অতএব প্রমাণিত হচ্ছে বাকি অরবিন্দের দলের প্রায় সকলেই ঐ কাজে লিপ্ত ছিলেন। সমিতির বিভিন্ন শাখা ১৯০৯ সালের মধ্যে একের পর এক বেআইনি ঘোষিত হয়।... পরের দিকে নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনের সময় এই দু’টি বিপ্লধী দলের অনেক কর্মী ও নেতা কংগ্রেসের সদস্য পদ ও কর্মপন্থা অবলম্বন করেন। (দ্রঃ ঐ পুস্তক পৃঃ ২৬২) কংগ্রেস এতদিন ছিল ইংরেজের পোষ্য অনুগত, এখন হতে নুতন মানুষদের আগমনের ‘অনুশীলন ও যুগান্তর’ দলের যুগ যোগে মুসলমান বিদ্বেষ যুক্ত হয়। আজও তার জের চলে আসছে। ফলে ভারতের ইতিহাসে যেন তিনিই তত বড় হীরো, যিনি যতবেশি মুসলমান বিদ্বেষী।
ঋষি অরবিন্দের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের চিন্তাই ছিল তাঁর প্রেরণার উৎস। “আনন্দমঠের আদর্শে অরবিন্দ ভবানী মন্দির প্রতিষ্ঠা উদ্যোগী হয়ে ছিলেন” (দ্রঃ ঐ পুস্তক ২৬৩) অরবিন্দ বিলেতে আই, সি, এস পরীক্ষায় ফেল করেন। অনেকে বলেন ইচ্ছা করে ফেল করেছিলেন। যদি তাই হয় তাহলে গোটা কোর্স পড়ার দরকার কি ছিল তা তিনিই জানতেন। সেখানেও তিনি সন্ত্রাসবাদী দল গঠন করেন দাদাভাই নৌরজির নেতৃত্বে। “ঐ সময় সেখানে Lotus and Daggre নামে গঠিত প্রবাসী ভারতীয় ছাত্রদের এক গুপ্ত বিপ্লবী সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হন” (দ্রঃ ঐ পুস্তক, পৃঃ ২৬৪) “অভ্যন্তরীণ বিবাদ বিসংবাদের ফলে অরবিন্দের গুপ্ত সমিতি গঠন ও বৈপ্লবিক তৎপরতায় প্রথম প্রয়াস (১৯০২-৪) ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।” (দ্রঃ ঐ) ঋষির শিষ্য ঋষি অরবিন্দ কলকাতায় একটি পত্রিকার সম্পাদনা করেছিলেন। পত্রিকাটির নাম “বন্দেমাতরম” (দ্রঃ ঐ)
হত্যা ডাকাতি তা তাঁর নীতিতে রাজনৈতিক কারণে ইংরেজবিরোধী নেতার ১৮০৮ খৃষ্টাব্দে জেল হয়। প্রায় এক বছর জেলে হাতুড়ি পেটাই হয়ে তার মনের গতি বদলে গিয়ে মুখের সুরও বদলে যায়। তাছাড়া আরও কারণ জেল হতে বেরিয়ে তিনি দেখলেন তার যেন কোন সমাদরই নেই। আসলে তাকে লোকে শ্রদ্ধা করতো বলে যে ধারণা তাঁর ছিল সত্যিকার কথায় তা শ্রদ্ধা ছিল না; বরং ছিল বিপদের ভয়ে ভক্তি যা মূল দৃষ্টিতে ভক্তির মতই মনে হয়। (দ্রঃ Sri Aurobindo, Speeches, 1952, P-52)
জেল হতে বেরিয়ে অরবিন্দ কর্তৃপক্ষের অত্যাচার ও উৎপীড়ন সম্পর্কে বলেন যে, “দমননীতি যেন ইশ্বরের হাতুড়ি-যা দিয়ে পিটিয়ে তিনি আমাদের একটি শক্তিশালী নেশনে পরিণত করতে চায় এবং আমাদের যন্ত্রস্বরূপ ব্যবহার করে বিশ্বকে পরিচালনা করাই তার ইচ্ছা। (দ্রঃ ঐ) পুলিশের ভয়ে ঋষি অনেক দিন আত্মগোপণ করে শেষে রাজনীতি ছেড়ে পালিয়ে যান এবং যোগ সাধনা জপতপ প্রভৃতি করে ঋষি নাম অক্ষুন্ন রাখেন।
“অরবিন্দের সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়াকে অনেকে পলায়নী মনোবৃত্তি বলে মনে করেন।” (দ্রঃ বাঙালীর রাষ্ট্রচিন্তা) জেলখানা হতে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন ঠাকুর বাসুদেব তাঁকে জানিয়েছেন স্বাধীনতার চেষ্টা করা ভুল, ভগবানে আত্মসমর্পণ করাই ভাল পথ। আর রাজনৈতিক স্বাধীনতা কাজের জিনিস নয়; বরং বাজে বস্তু। “এখন সকলের কর্তব্য যোগস্থ হয়ে কাজ করা-ভগবানে আত্মসমপর্ণ করাই হল যোগ সাধনার প্রথম পদক্ষেপ। কারাগারে তিনি বাসুদেবের এই মর্মেই আদেশ পেয়েছিলেন। তাছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতাকেও তিনি খুব বড় করে দেখেননি”। (দ্রঃ ঐ ২৭০)
“বিবেকানন্দ ও তিলকের মতো শ্রী অরবিন্দ গীতার মর্মবাণী সর্বভূত হিতে বিশ্বাসী ছিলেন..............তবে হিতবাদীদের পন্থায় সংখ্যালঘুরা উপেক্ষিত হয়েছে। পক্ষান্তরে গীতার মর্মানুসারী ভারতীয় দার্শনিকরা মনে করতেন যে পরম দিব্য যেখানে সর্বব্যাপী সেখানে সকল মানুষের প্রতি সমান দৃকপাত তথা সর্বাত্মক মঙ্গল সাধনই চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত।” (দ্রঃ ঐ পৃঃ ২৮৪) এই উদ্ধৃতিতে প্রমাণিত হয় যে, কাগজে-কলমে বক্তব্য বলনে ঋষি মহাশয় গীতা ভক্ত হলেও আসলে তিনি বঙ্কিম ভক্ত ছিলেন তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মঙ্গল কামনা করা তার নীতিবিরুদ্ধ ছিল। তবে গুরু বঙ্কিমের সঙ্গে তার একটা বিশেষ পার্থক্য এই, তিনি ইংরেজদের ভাল নজরে দেখতেন না; বরং বিরোধিতা করতেন। তাঁর মতে কমুনিষ্টদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পরিমাণ মুষ্ঠিমেয় ক্ষমতাসীনের আধিপত্য।” (দ্রঃ ঐ) আবার কংগ্রেস দলকেও তিনি ভাল চোখে দেখতেন না প্রকাশ্যভাবে ঘৃণা করতেন, তিনি লিখেছেন
"A body like the Congress, which represents not the mass of the population, but a single and very limited class could not honestly be called national," অতএব তার নীতি বলিষ্ঠ ও উদারতা হতে বহু দূরে ছিল। তিনি নিজেই টিকে থাকতে পারেননি তাঁর মতবাদের ওপর। কাটতে মারতে পছন্দ করতেন কিন্তু নিজের ওপর আঘাত বরদাস্ত করার ধৈর্য তার ছিল না তাই তিনি তাঁর মতের পথে চলতে চলতে প্রাণ না দিয়ে রাজনীতি হতে সরে দাঁড়ালেন। প্রকৃত ঋষিদের চরিত্রে দেখা যায়, তাঁরা প্রস্ফুটিত সুগন্ধি ফুলের মত, তার সুঘ্রান সকলের জন্য সমানভাবে পরিবেশিত কিন্তু ঋষি বঙ্কিমকে দেখেছি শুধু ইংরেজকেই সুগন্ধ দান করেছেন আর সামান্য দিয়েছেন ভদ্র হিন্দুদের এবং ইংরেজ ভক্ত জমিদারদের। আর ঋষি অরবিন্দকে দেখলাম তাঁর সুগন্ধ শুধু গীতাওয়ালাদের জন্যই নির্ধারিত। মুসলমান, কমিউনিস্ট, তখনকার কংগ্রেস সব তার কাছে উপেক্ষিত। আমাদের দেশের বর্তমান ছেলেরা ঋষি দেখেনি যদি এই দুই ঋমিকেই তারা ঋষি মনে করে তাহলে আসল ঋষিদের প্রতি অবিচার করা হয় না কি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/490/62
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।