মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে চিত্তরঞ্জন দাস জন্মগ্রহণ করে ১৯২৫ সালে তিনি পরলোকগমন করেন। তাঁকে অনেকেই দেশবন্ধু বলে থাকেন। অতি অবশ্যই তিনি দেশবন্ধু তো ছিলেনই; বরং সর্ব ভারতীয় হিন্দু নেতার শীর্ষস্থানীয় ছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যিকার চিন্তাশীল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সত্যবাদী নেতা। তিনিও একজন ব্যারিষ্টার ছিলেন। তিনি আইসিএস পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। তাতে তিনি ইচ্ছা করে ফেল করেছি বা ইচ্ছা করে ঘোড়ায় চড়ি নাই বলে কোন অজুহাত করতে পারতেন কিন্তু তিনি সহাস্যেই বলেছিলেন I came out first in the unsucessful list অর্থাৎ ফেল করার তালিকায় আমি প্রথম হয়েছি।
তিনি দাদাভাই নৌরজী, সুরেন্দ্রনাথ, আনন্দমোহন, অনুকূল ঠাকুর প্রমুখ ব্যক্তিদের আদর্শ কি তা বোঝার চেষ্টা করেন আর ব্রাহ্ম পরিবারে তো তাঁর জন্মই হয়েছিল। ফলে প্রত্যেক নেতা ও সাধু পুরুষদের অকৃতকার্যতার পরিণাম ও পরিমাণের পরিমাপ তো তিনি করেই ছিলেন। সেই সঙ্গে সমস্যার সমাধান কী তাও তিনি আবিষ্কার করেছিলেন। প্রথমে তিনি সাম্প্রদায়িক অনুশীলন দলের টানাটানিতে সেখানে যুক্ত হয়েছিলেন। আর তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রথমেই বুঝেছিলেন এই সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি খুব ক্ষীণ তবুও তাঁদের সংশোধনের চেষ্টা করলেন। যখন বুঝলেন তাঁর পক্ষে তা সম্ভব নয়, তখন তিনি নিজেই সরে এলেন অনুশীলনের আওতা থেকে। ক্রমে ক্রমে লোকে তার যোগ্যতায় মুগ্ধ হতে থাকে এবং আইন ব্যবসায়ে খুব নাম ছড়িয়ে পড়ে। টাকা উপার্জনও বহুল পরিমাণে হতে থাকে। কিন্তু দেশবন্ধু দু’হাতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে দান করতে থাকেন। লোকে তাঁকে দাতা দধীচি বলতো, মুসলমানরা তাঁকে দাতা হাতেম তাই বলতো। এইবার তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নেমে পড়লেন। জহরলাল ও গান্ধীজি বেচারাদের ভাগ্য মন্দ, ব্যারিস্টারী পাস করেও আইন ব্যবসা চলেনি। তাই রাজনীতিতে এসে বরং ভালই করেছিলেন তারা। কিন্তু দেশবন্ধুর অবস্থা তা নয়, উপার্জনের জোয়ার তখনই তিনি জাতির জন্য, দেশের জন্য দু’হাতে খরচা করতেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে যখন আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে তখন তিনি তার উপার্জনের রাস্তা ইচ্ছা করে বন্ধ করে দেন। কারণ তিনি বুঝেছিলেন যে, এই আন্দোলনে অনেকের চাকরি ও রোজগারে বাধা আসবে সেখানে। তার আগেই তিনি নিজের আদর্শ সামনে রেখে জনগণকে অবাক করেন। যখন জালিয়ানওয়ালাবাগে হত্যাকাণ্ড ঘটে তখন কংগ্রেসের এক তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে চিত্তরঞ্জনের চমকপ্রদ ভূমিকা ছিল। জহরলালের পিতা মতিলালের সভাপতিত্বে অমৃতসর কংগ্রেসে চিত্তরঞ্জনের "Total Obstruction" এর পন্থা সুপারিশ করেন এবং কংগ্রেস চিরকাল শোক সরকারের তোষাক হিসেবে এবারেও সভায় ভারত সচিবকে ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভারত বীর চিত্তরঞ্জন বীর সাহসী সৈনিকের মত তীব্র প্রতিবাদ করে জানান যে, ধন্যবাদ জানানো বন্ধ হোক। যেহেতু এই ধন্যবাদ প্রদান ভীরুতা ও তোষণ ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু তার এই যুক্তি কেউ গ্রহণ না করায় সে প্রস্তাবটি নিহত হয়। চিত্তরঞ্জনের পূর্বে জাতির জনক গান্ধীজির আর্বিভাবই হয়নি। গান্ধী ও চিত্তরঞ্জন একই সময়ে কাজ করেছেন। গান্ধীর বহু কাজের তিনি প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু গ্রহণ হোক আর নাই থোক তিনি তাঁর উদার ও সমতাবাদের বা ন্যায়নীতিকে বর্জন করে গান্ধীবাদে আত্মসমর্পণ করতে পারতেন না।
১৯২২ সালে ডিসেম্বর মাসে মতিলাল, লালালাজপৎ রায়সহ অনেকেই দেশবন্ধুর প্রভাব আঁচ করতে পেরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। ১৯২৩ সালে স্বরাজ দল পরিষদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন। কিন্তু মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করলেন না। চিত্তরঞ্জন বুঝেছিলেন স্বাধীনতার ইতিহাসে মাওলানা শাহ ওলিউল্লাহ আর সৈয়দ আহমাদ ব্রেলবী হতে মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা শওকত আলী প্রমুখ হাজার আলেম ও কোটি কোটি মুসলমানের অবদানকে চাপা দিয়ে এবং মুসলমানদের উপেক্ষা করে স্বাধীনতা ও সংহতি, সংগঠন, সংগ্রাম কিছুই সম্ভব নয়। তাই বাংলার হিন্দুও মুসলমানদের মিলনের জন্য একটি চুক্তিপত্র রচনা করেন। কারণ বাংলা হচ্ছে ভারতের মস্তিষ্ক। বাংলা ঠিক হওয়া মানে ভারত ঠিক হওয়া। বাংলার চুক্তি পত্রটি ছিল এই রকম—
১। “বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় হিন্দু-মুসলমান নির্বাচন লোকসংখ্যানুপাতে হইবে। কিছুকাল পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় নিজ নিজ প্রতিনিধি নির্বাচন করিবেন।
২। ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড, লোকাল বোর্ড ইত্যাদিতে ৬০ ও ৪০ অনুপাতে প্রতিনিধি নির্বাচিত হইবে, অর্থাৎ যেখানে মুসলমান সংখ্যা বেশি সেখানে শতকরা ৬০ জন মুসলমান এবং হিন্দুর সংখ্যা বেশি হইলে শতকরা ৬০ জন হিন্দু নির্বাচিত হইবেন।
৩। বাংলার মুসলমানগণ লোকসংখ্যানুপাতে চাকরি পাইবেন।
৪। আইনের দ্বারা ধর্ম সংক্রান্ত কোন বিষয় বন্ধ হইবে না। যে সম্প্রদায়ের ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে কোন কিছু নতুন নিয়ম প্রবর্তিত হইবে, সে সম্প্রদায়ের শতকরা অন্তত ৭৫ জন লোক অনুমোদন করিলে তবে উহা হইতে পারিবে।
৫। (ক) ধর্মের জন্য যদি গোহত্যার প্রয়োজন হয় তবে হিন্দুগণ উহাতে বাধা প্রদান করিতে পারিবে না। আর মুসলমানগণও হিন্দুর প্রাণে ব্যথা লাগে এমন স্থানে গোবধ করিবেন না।
(খ) নামাজ পড়িবার সময়ে মসজিদের সম্মুখে সঙ্গীত হইতে পারিবে না।” (দ্রঃ সুকুমার রঞ্জন দাসের ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন’ ১৯৩৬, পৃঃ ২০২-২০৩)
উপরোক্ত চুক্তিপত্রের জন্য শ্রী সৌরেন্দ্র বাবু বলেছেন, “তিনি মনে করতেন যে মুসলমান সম্প্রদায় সর্ব দিক দিয়ে হিন্দুদের মত সমান যোগ্যতা অর্জন করলে এ ব্যবস্থার প্রয়োজন স্বতঃই চলে যাবে।” চিত্তরঞ্জন একজন বিখ্যাত ব্যারিষ্টার অতীতকে স্মরণ করে, বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শন করে আর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে চমৎকার চূড়ান্ত সমাধান সৃষ্টি করলেন। যাঁরা সত্যিকারের শান্তিপ্রিয় ও ভারতপ্রেমিক হিন্দুরা তা মেনে নিলেন আর অন্য ধারে সমগ্র মুসলিম সমাজও তা মেনে নেয়। তাই ভারতবন্ধু চিত্তরঞ্জনের এই বিখ্যাত চুক্তিটি ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে অনুমোদিত হয়। কিন্তু হিন্দু মহাসভার সমর্থকরা এবং মুসলমান বিদ্বেষী কংগ্রেসের খোলস পরা নেতারা নানা গুঞ্জন, আলোচনা, সমালোচনা ও পর্যালোচনা করে একটি আইনের ফাঁক বের করে সেটি হচ্ছে এই যে, একটি উপসমিতি গঠন হোক এবং এই প্রস্তাবটি সারা ভারতে কতটা গ্রহণযোগ্য দেখা হোক। (দ্রঃ Subhas Chandra Bose, The Indian Struggle, 1920-42, 1964, p-92)
বিরাট ষড়যন্ত্র চলতে লাগলো। চিত্তরঞ্জনের কোমল হৃদয়ে বড় ব্যথা পেলেন, বুঝতে পারলেন নেতাদের কাছে দেশ আগে নয় সাম্প্রদায়িকতা আর নিজেদের জেদ বহালই বড়। তবু তিনি বীরত্বের সঙ্গে কাজ করতে লাগলেন। সুভাষের ওপর তার আস্থা ছিল খুব বেশি। আর গান্ধীজি সম্বন্ধে তাঁর যে ধারণাই থাক তবু তাঁকে তিনি অন্তত হিন্দু মুসলমান মিলনের ক্ষেত্রে পক্ষে পাবেন বলেই আশা রাখতেন। কলকাতায় পৌঁর সভার নির্বাচন আরম্ভ হয়। সেই নির্বাচনে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সর্ব প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন। আর তাঁর চিন্তা, কর্ম ও মনের সঙ্গী সুভাষ চন্দ্র হন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। তাঁদের দুজনেরই জনপ্রিয়তা আরও প্রমাণিত হয়। গুপ্ত বিরোধীরা হিংসার দাবানল লুকিয়ে রাখে কোন মুহূর্তের প্রতীক্ষায়। গান্ধী, সুভাষ ও চিত্তরঞ্জনকে অনেক বিষয়ে ভাল চোখে দেখতেন না। ফলে তারাও তাকে অনেক ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা সংযত অপমান করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। তবুও দেশের খাতিরে তাঁকেও এক পথ ও মতে মিলিতে ১৯২৪ খৃঃ বেলগাঁও কংগ্রেসে আপস হয়ে যায়। ফলে ভারতের ভাগ্যাকাশে পূর্ণিমার রাত্রি এগিয়ে আসে। ঐ সময় দেশে সুস্থ পরিবেশ গড়তে তাকে খুব পরিশ্রম করতে হয়। ১৯২৫ সালেই জুন মাসে হঠাৎ দেশবন্ধুর মৃত্যু হয়। দেশবন্ধুর মৃত্যুতে দেশ কাঁদতে থাকে কিন্তু দেশ শত্রুর দল গোপন আনন্দে নরকের নতুন পথ আবিষ্কার করে। সেই ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের হিন্দু-মুসলমান প্যাক্ট, যার জন্ম দিয়ে গিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন। ১৯২৬'র সমীক্ষায় প্রহসন করে সেই ঐতিহাসিক চুক্তিটি বাতিল করা হয়।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন হিসেবে করে নিয়েছিলেন। জ্ঞান-বুদ্ধি, বীরত্ব ও মহত্বে মুসলমানরা হিন্দুদের অপেক্ষা কোন দিকে পশ্চাৎপদ নয়, তবুও তারা ইংরেজি শিক্ষা বর্জন করেছেন স্বাধীনতার জন্যই। ফলে চাকরির রাস্তা নিজেরাই বন্ধ করেছেন। সেই সময় হিন্দু জাতি সহযোগিতা না করে বরং বেশির ভাগই তাঁদের বিরোধিতা করে এসেছেন। এখন মুখে শুধু মিলন মৈত্রীর লম্বা বুলি না বলে মিলন মৈত্রীর কিছু কাজের দরকার মনে করে তাই তিনি নির্দিষ্ট কালের জন্য মুসলমানদের শতকরা ৮০ আর হিন্দুদের বাকি শতকরা ২০টি হিসাবে চাকরি বণ্টনের কথা বলেছিলেন
"Once Mr Das announced as A.I.C.C. president that as the Muslims of Bengal are baekward in every sphere of life, therefore they will have the facilities to join in every government office by 80%. It's a matter of regreat that after he died some of his followers assailed his opposition and his declaration was repudiated. The result was that the Muslims of Bengal moved away from the Congress and the first seed of partition was sown" (দ্র: India wins freedom by Azad)
মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মতে চিত্তরঞ্জনের হঠাৎ মৃত্যু না হলে ভারতবর্ষ ভাগই হতো না। ভারতের ইতিহাস অন্য রকম হতো। “হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি ছিল তাঁর অহোরাত্রের চিন্তা। সাম্প্রদায়িক ঐক্যের জন্য তিনি প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন। ঐক্য ও সহযোগিতার তাগিদে রচিত ভার কর্মপন্থা। উট্র এমরবলফট নামে পরিচিত। ঐ কর্মপন্থার জন্য তাঁকে যথে অপ্রিয়ভাজন হতে হয়।” (বাঃ রাষ্ট্রচিন্তা, পৃঃ ৩১৮) ১৯২৫ সালে তার মৃত্যুর পরেই হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের নানা সংগঠন মাথা উচু করে দাঁড়ায়, যথা ‘শুদ্ধি সভা’, ‘হিন্দুসভা’, ‘হিন্দু মিশন’, ‘হিন্দু সংগঠন’। অনুরুপভাবে সৃষ্টি হয় মুসলমানদের মধ্যে ‘আঞ্জুমান’, ‘খিলাফত কমিটি’, ‘তানজীম কমিটি’, ‘জমিয়তে-ই-উলামা’ ইত্যাদি। হিন্দু মহাসভা ও আর্য সমাজ গুদ্ধি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রায় ৮৪টি মুসলমান গ্রামে আন্দোলনের হানা দিয়ে তাদের হিন্দু ধর্মের অন্তর্ভুক্ত করে।” (দ্রঃ ঐ) মদন মোহন মালবা, লাজপিতরায় প্রমুখ নেতার পরিশ্রমে সে বাজারে মুসলমানবিরুদ্ধ ষড়যন্ত্রকে কাজে পরিণত করতে দশ লাখ টাকা সংগ্রহেরও ব্যবস্থা করা হয় এবং ঐ ১৯২৬ সালেই ‘হিন্দু সংঘ’ নামে একটি মারাত্মক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তাছাড়া “অভয় আশ্রমে’ শিবাজী উৎসব পালন করার গোড়াপত্তন করে। হিন্দু মিশনের ভূমিকাও ছিল খুবই মারাত্মক এবং ধ্বংসাত্মক। (দ্রঃ A. E.porter, census of India, 1931, Vol, V.part 1, Report, P.394)
ইং ১৯২৭ সালে ফরিদপুর ও বরিশালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়। ছোট বড় নানা দাঙ্গা নানা স্থানে চলতে থাকে। ১৯৩০ সালে ঢাকায় জোর দাঙ্গা হয়। কিন্তু মুসলমানদের পক্ষ হতে যে দাঙ্গা গুলি হয়েছিল তার বেশির ভাগ ছিল শোষক মহাজন ও জমিদারদের ওপর আক্রমণ। আর জমিদাররা ঐ আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়েই দাঙ্গা ভীষণ রূপ নেয়। আসলে মিথ্যাভাবে কাগজে সাম্প্রদায়িক বলে উল্লেখ করলেও তা ছিল অর্থনৈতিক। প্রমাণ, দ্রঃ-বাঙালী বুদ্ধিজীবী ও বিচ্ছিন্নতাবাদ, পৃঃ ৩২০, অধ্যাপক অমলেন্দু দে।
১৯২৯ সালে আগাখার নেতৃত্বে অল ইণ্ডিয়া মুসলিম কনফারেন্স হয় এবং জিন্নাও তাঁর অল ইণ্ডিয়া মুসলিম লীগ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে সজাগ হয় এবং ঐ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য অগ্রসর হন। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর হতেই এইভাবে ভারতের সর্বনাশ সাধনের মহড়া চলতে থাকে। চিত্তরঞ্জন দাসের মত এতবড় বিরাট চিন্তাশীল নেতাকে ইতিহাসে যেভাবে স্থান দেওয়া হয়েছে তা বড়ই লজ্জাকর। তাঁর বড় অপরাধ তিনি সাম্প্রদায়িকতা হতে দূরে ছিলেন। সেই জন্যই কি তার খ্যাতি কম?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/490/67
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।