hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

১০
৪-দাওয়াত দানকৃত ব্যক্তির উপর দয়া-মায়া প্রদর্শনঃ
নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল্যাণের বিষয়ে ন্যায়ের আদেশ, অন্যায় থেকে নিষেধ, আল্লাহর পথে জিহাদ, তাঁর পথে দাওয়াত দেওয়া প্রভৃতি বিষয়ে অত্যন্ত লালায়িত ছিলেন। ইহা সত্ত্বেও তিনি তাঁর উম্মতের উপর সর্বাধিক দয়া-মায়া প্রদর্শন কারী ছিলেন। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

( لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَؤُوفٌ رَحِيمٌ )[ التوبة :১২৮]

নিশ্চয় তোমাদের নিকট তোমাদেরই মধ্য থেকেই এসেছেন একজন রাসূল। তোমাদের কষ্টদানকারীবস্ত্ত তাকেও কষ্ট দেয়। তিনি তোমাদের (কল্যাণ দান করার) জন্য লালায়িত, মুমিনদের জন্য করূণাকারী ও দয়ালু । (সূরা আত্ তাওবাহ:১২৮)

বরং তিনি তাঁর উম্মতের ক্ষেত্রে কিরূপ কল্যাণ পৌঁছানোর জন্য লালায়িত তা তিনি নিজেই চিত্রায়িত করে বলেনঃ

( إِنَّمَا مَثَلِى وَمَثَلُ أُمَّتِى كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَجَعَلَتِ الدَّوَابُّ وَالْفَرَاشُ يَقَعْنَ فِيهِ فَأَنَا آخِذٌ بِحُجَزِكُمْ وَأَنْتُمْ تَقَحَّمُونَ فِيهِ )[ رواه مسلم كتاب الفضائل، باب شفقته صلى الله عليه وسلم على أمته ... رقم الحديث ১৭].

আমার উদাহরণ ও আমার উম্মতের উদাহরণ হল ঐব্যক্তির ন্যায় যে আগুন প্রজ্জলিত করল, তা দেখে কীট-পতঙ্গ তাতে পড়তে শুরূ করে দিল। সুতরাং আমি তোমাদের কোমর ধারণকারী (যাতে আগুনে না পতিত হও) অথচ তোমরা তাতেই পতিত হচ্ছ। (সহীহ মুসলিম,ফাযায়েল অধ্যায়,হা/১৭)।

অতএব একজন দাঈর উচিত দাওয়াতের পিছনে প্রকৃত উদ্বুদ্ধকারী বিষয় যেন হয় পাপাচারীদের উপর মন্দ পরিণতির ভয় করা। এজন্যই তো নূহ্ আলাইহিস্ সালাম তাঁর দাওয়াতের অন্যতম কারণ হিসাবে প্রকাশ করেছেন নিজ কওমের উপর তার ভয়-ভীতি। মহান আল্লাহ্ তাঁর কথা উদ্ধৃত করে বলেনঃ

( إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ )[ الأعراف :৫৯]

‘নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর এক মহান দিনের আযাবের ভয় করছি।’ (সূরা আল্ আরাফ : ৫৯)

আর এই তো সেই ফিরআউন বংশের মুমিন ব্যক্তিটি যিনি তার কওমকে লক্ষ্য করে বলেনঃ

( يَا قَوْمِ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ مِثْلَ يَوْمِ الْأَحْزَابِ )[ غافر :৩০].

‘হে আমার জাতি! নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর পূর্ববতী সম্প্রদায়সমূহের মতই বিপদ সঙ্কুল দিনের আশংকা করছি।’ (সূরা আল গাফির-মুমিন : ৩০)।

তিনি আরও বলেনঃ

( وَيَا قَوْمِ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ يَوْمَ التَّنَادِ )[ غافر :৩২]

‘হে আমার জাতি! আমি তোমাদের জন্যে প্রচন্ড হাঁক-ডাকের দিনের তথা মহাপ্রলয় দিবসের আশংকা করছি।’ (সূরা আল গাফের-মুমিন : ৩২)।

দাঈর কর্তব্য হল তিনি মনে করবেন যে, তিনি রোগীদের সাথে লেন-দেন করছেন। আর রোগীরা এমন হৃদয়ের মুখাপেক্ষী যা হয় দয়ালু ও রহমকারী। সুতরাং তারা রূহানী রোগীদের সাথে ঐরূপ আচরণ করবেন যেরূপ আচরণ করে থাকেন ডাক্তারগণ বাহ্যিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাথে। অধিকাংশ পাপাচারীই উপলদ্ধি করতে পারে না ঐসব পাপের ভয়াবহতা যাতে তারা লিপ্ত। কাজেই দাওয়াত-কর্মীদের কর্তব্য হল ঐসব পাপাচারীদের ভুল সংশোধনকালীন নরমতা, হিকমত, ধির-স্থিরতা অবলম্বন করা। ইহাই হল মূলতঃ আল্লাহভীরু ওলামায়ে দ্বীনের আদর্শ পদ্ধতি। এজন্যই মহান আল্লাহ্ তাঁর নবী মূসা ও হারূনকে নির্দেশ করে ছিলেন সহজ ও নরম কথা ব্যবহার করার, তাও আবার এমন ব্যক্তির সাথে যে হল এই যমীনের উপর সর্বাধিক বড় ত্বাগুত। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

( فَقُولا لَهُ قَوْلاً لَيِّناً )[ طـه :৪৪]

‘তোমরা তাকে নরম কথা বল।’ ( সূরা ত্বা-হা : ৪৪)।

অতএব যদি ফিরাউন তার সীমালংঘন ঔদ্ধত্য, প্রভূ হওয়ার দাবী করা, এবং মানুষকে নিজের ইবাদত করার দিকে আহবান করা সত্ত্বেও যদি তার সাথে নরম ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়, তাহলে তো সে ব্যতীত অন্যান্য ফাসেক ও পাপাচারী এ বিষয়ে আরোও বেশী হকদার। অবশ্য এসব কথা থেকে যেন কোন ব্যধিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তাড়াহুড়া প্রিয় ব্যক্তি একথা বুঝে না নেয় যে, এরূপ আচরণ পাপাচারী-অপরাধকারীদের সাথে শিথিলতা করা বুঝায়। বরং ইহাই প্রকৃত হিকমত।

আর দ্বীনের ব্যাপারে শিথিলতা হল, পাপাচারী ব্যক্তিদের ভুল-ভ্রান্তি থেকে চোখ বন্ধ করে রাখা, তাদেরকে ওয়ায-উপদেশ, সঠিক পথের দিক নির্দেশনা দেওয়া থেকে বিরত থাকা, আর এর উদ্দেশ্য হবে ঐসব পাপাচারী ব্যক্তির থেকে দুনিয়াবী কোন সুবিধা অর্জন করা।

দাঈর উচিত হল যে সে রূঢ়তা, কঠোরতা থেকে দূরে থাকবে এবং তাদের ভুল সংশোধন করার সময় রেগে যাওয়া থেকে দূরে থাকবে। এই বিশ্বাসে তাদের উপর রেগে যাবে না যে আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যেই তার এই ক্রোধ। বস্ত্তত যারই এসব চিন্তা-ধারা হবে সেই সঠিক পথ থেকে বহু দূরে অবস্থান করবে। তাড়াতাড়ি ফল পেতে চেয়ে সে সুফল থেকে সে বঞ্চিত হবে। মহান আল্লাহ্ -তাঁর নবী মুহাম্মাদ-ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেনঃ

( وَلَوْ كُنْتَ فَظّاً غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ )[ آل عمران :১৫৯]

‘যদি আপনি কঠোর ও রূঢ় হৃদয়ের হতেন, তবে তারা আপনার চতুর্পাশ থেকে ভেগে যেত।’ (সূরা আলে ইমরান : ১৫৯)।

তবে আল্লাহর দিনের জন্য রাগ করা ও বদলা গ্রহণ করা অবশ্যই বৈধ। তবে এটি হবে দাওয়াত কৃত ব্যক্তির স্তরের উপর নির্ভরশীল। কাজেই একজন কাফের ও ফাসেকের সাথে যেরূপ আচরণ করা হয় তদ্রূপ আচরণ একজন মুসলিমের সাথে হবে না যে মুসলিম ব্যক্তিটি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত যার ক্ষেত্রে আমরা ভেগে যাওয়ার আশংকা করি না। এবং আমরা যার অন্তরে ঈমান কিরূপ প্রবেশ করেছে মর্মে জানি। এক কথায় প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে তার অবস্থাভেদে আচরণ করতে হবে।

অনুরূপভাবে দাঈর উচিত পাপাচারীদের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে ইশারাহ্ ইঙ্গিত ব্যবহার করা। অতএব তিনি তাদের বিষয়টি প্রকাশ করে দেবেন না, তাদেরকে জনসমুদ্রে অপমান করবেন না। বরং তাঁর উচিত এইভাবে বলাঃ ‘লোকদের কি হয়েছে তারা এরূপ এরূপ করছে? এই পদ্ধতির মাধ্যমেই তিনি উদ্দেশ্যকৃত খাছ ব্যক্তিদেরকে সতর্ক করে দিলেন, জাহেলদেরকে শিক্ষা দিলেন। এভাবে তার উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে গেল অথচ ভুলকারীর কোন অসুবিধা হল না। এটা মূলতঃ আল্লাহর নবী-রাসূল আলাইহিমুস্ সালামদের কর্ম- পদ্ধতি। অতএব (হে দাঈ!) আপনি এই পদ্ধতি থেকে আঙ্গুলের পৌর বরাবরও দূরে সরবেন না। আপনাকে যেন এমন ব্যক্তি ধোঁকায় না ফেলে দেয় যে এই নববী তরীকার বিরোধিতা করে বা তা থেকে পথচ্যূত হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন