hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৪৬
কুরআন কারীম তাফসীর করার পদ্ধতিঃ
(ক)কুরআন দ্বারা কুরআনের তাফসীর করাঃ

এই প্রকারটি হল তাফসীর করার সর্বোত্তম ও সর্বাধিক নিরাপদ পদ্ধতি। কারণ সংক্ষিপ্ত আয়াত অন্যান্য স্থানে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সহকারে আসে। যেমন নবী কাহিনী প্রভৃতি। আবার কোন কোন সময় আয়াতের তাফসীর একই সূরাহতে এসে থাকে যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ

وَالسَّمَاءِ وَالطَّارِقِ (১) وَمَا أَدْرَاكَ مَا الطَّارِقُ (২) النَّجْمُ الثَّاقِبُ (৩)[ الطارق ]

‘আসমান ও ত্বারেক এর কসম! আপনি কি জানেন ত্বারেক কি? সেটি হল‘অধিক উজ্জল তারকা।’

এখানে আল্লাহ্ স্পষ্টভাবে বলেই দিয়েছেন যে ত্বারেক দ্বারা উদ্দেশ্য হল ‘আন্ নাজমুছ্ ছাক্বিব’-অধিক উজ্জল তারকা।

খ-তাফসীরুল কুরআন বিস্ সুন্নাহ্ তথা আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীছ দ্বারা তাফসীর করাঃ

অতএব একজন মুসলিমের উচিত আয়াতের তাফসীরে সর্ব প্রথম আল্লাহর কিতাবের দিকে প্রত্যাবর্তন করা, মানে অন্য আয়াতে খোজ করা। যদি না পায় তাহলে তার তাফসীর তালাশ করবে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীছে। এরই অন্যতম উদাহরণ হল, ‘ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার’ তথা হজের বড় দিনের তাফসীর করা ‘ইয়াওমুন্ নাহ্র-কুরবানীর দিন’ দ্বারা। (বুখারী,হা/৪৪০৬,মুসলিম,হা/১৬৭৯)।

এবং কুরআনের সূরা আনফালের ৬০ নং আয়াতে উল্লেখিত ‘শক্তির’ তাফসীর করা তীর নিক্ষেপ দ্বারা। (মুসলিম,হা/১৯১৭)।

গ) যদি সে তাফসীর আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতে না পায় তবে অবশ্যই সে উক্ত আয়াতের তাফসীর ছাহাবীদের বাণীতে অবশ্যই পাবে।

কারণ তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এমনও আছেন যার জন্য রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের তাফসীর বিষয়ে (জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য) দু‘আ করেছেন। শাইখুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ্ (রহ.) তাঁর ভূমিকাতে বলেনঃ

‘যদি আপনি (কোন আয়াতের) তাফসীর কুরআন ও সুন্নাহ্তে না পান তবে সেক্ষেত্রে ছাহাবীদের বাণীর দিকে প্রত্যাবর্তন করবেন। কারণ এই তাফসীর বিষয়ে তাঁরাই সর্বাধিক অবগত। কারণ তাঁরাই বিভিন্ন আলামত ও অবস্থা যা তাদের সাথেই নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন। অনুরূপভাবে তাঁদের রয়েছে পুর্ণাঙ্গ বুঝ এবং ছহীহ ইলম বিশেষ করে তাঁদের আলেম ও বড়দের মধ্যে তো এসব আছেই। (‘মুক্বাদ্দিমাতুত্ তাফসীর’ শাইখ ইবনু উছায়মীন রহ. এর ব্যাখ্যাসহ, পৃঃ১২৯-১৩০)

যারকাশী রহিমাহুল্লাহ্ বলেনঃ

‘ছাহাবীদের তাফসীর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মারফূ হাদীছের মর্যাদায় উন্নীত। অতএব যদি তাঁরা ভাষাগত দিক থেকে তাফসীর করেন সেক্ষেত্রে সন্দেহাতীত ভাবে তাঁদের প্রতি নির্ভর করতে হবে। আর যদি তাঁরা তাফসীর করেন প্রেক্ষাপট ও আলামত প্রভৃতি দ্বারা যা তাঁরা নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন তাতেও কোন সন্দেহ করা যাবে না।’

খ্যাতনামা তাফসীরকারক ওলামায়ে দ্বীনঃ

ছাহাবীদের মধ্য হতেঃ তাঁরা হলেনঃ আলী ইবনু আবী ত্বালিব, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ, আব্দুল্লাহ্ ইবনু আববাস, উবায় ইবনু কা’ব (রাযিয়াল্লাহু আনহুম)

এবং তাবেঈদের মধ্য হতেঃ

মুজাহিদ বিন জাব্র, সাঈদ ইবনু জুবাইর, আত্বা, ক্বাতাদাহ, আবুল আলিয়াহ্, আমের আশ্ শা’বী। ইনাদের পরেই আসবেন শুবাহ্ ইবনুল হাজ্জাজ, আব্দুব্নু হুমায়দ প্রমুখ (রহিমাহুমুল্লাহ্)।

বর্ণনা ভিত্তিক তাফসীরের গুরুত্বপূর্ণ কিতাব সমূহঃ

১-মুহাম্মাদ বিন জারীর আত-তাবারী (মৃত্যুঃ ৩১০ হি.) প্রণীত ‘জামেঊল বায়ান ফী তাফসীরিল কুরআন।’

২-আবু মুহাম্মাদ বিন হুসাইন আল বাগাভী (মুত্যুঃ৭৭৪ হিঃ) প্রণীত ‘মা‘আলিমুত্ তানযীল’।

৩-ইবনু কাছীর (মৃত্যুঃ ৭৭৪ হি.) প্রণীত ‘তাফসীরুল কুরআনিল আযীম’।

তাফসীর সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ঃ

১-ইলম অন্বেষণকারীর কর্তব্য হল সালাফে ছালেহীন ও তাদের (ন্যায় নিষ্ঠভাবে) অনুসরণকারীদের তাফসীরেরর প্রতি বেশী আগ্রহ থাকেত হবে।

২-ঐসমস্ত তাফসীর থেকে দূরে সরে থাকবে যেগুলি বক্র ও বিকৃত আক্বীদায় লেখক হিসাবে সুপ্রসিদ্ধ ও সুপরিচত। যেমন, যামাখ্শারী প্রণীত ‘তাফসীরুল কাশ্শাফ’ যাতে তিনি নিজ ইতিযালী মাযহাব ( বিদ‘আতী মুতাযিলা মাযহাব) এবং উলট-পালট তাফসীর প্রকাশ করেছেন যা প্রাথমিক পর্যায়ের তালেবে ইলমকে কঠিন পেরেশানিতে লিপ্ত করতে সক্ষম। এরই অনুরূপ হল ছূফী রাফেযী ও ইবাযী (প্রমুখ বিদআতী সম্প্রদায়ের) তাফসীরসমূহ। এরই অনুরূপ হল ঐসমস্ত তাফসীরের কিতাব যেগুলি- আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে তাবীল, বিকৃত ব্যাখ্যা এবং ইলহাদ তথা বিকৃত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপব্যাখ্যা পরিবেশনকারী হিসাবে সুপরিচতি। এজাতীয় বিষয় অধিকহারে সুপ্রসিদ্ধ তাফসীরেও পাওয়া যায়। এসব তাফসীরের কোন কোন তাফসীরকারক অগাধ ইলম ও সৎ নিয়্যতেরও অধিকারী হতে পারেন। কিন্তু তিনি তাঁর নিজ পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ফলে আল্লাহর কিছু কিছু গুণাবলীর ক্ষেত্রে তার উপর আশ‘আরী মাযহাব প্রাধান্য লাভ করেছে। এমন আচরণ তাঁর সমগ্র তাফসীরকে বতিল করবে না। তবে তা থেকে উপকারী বিষয়টি নিতে হবে আর যা ছহীহ আক্বীদাহ বিরোধী হবে তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যেমন তাফসীরুল কুরতুবী প্রভৃতি। অবশ্য এই অবকাশ একমাত্র তার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যিনি হক-বাতিল পার্থক্য করার শক্তি-যোগ্যতা রাখে। পক্ষান্তরে যে ইহার ক্ষমতা রাখে না যেমন প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্র এবং যে তাফসীর বিশেষজ্ঞ নয়, সে এর থেকে দুরে থাকবে। এসব লোকদের ক্ষেত্রে সালাফদের তাফসীরেই যথেষ্ট ও তাকে অভাবমুক্ত করতে পারে। আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা নিবেদিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন