hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৪৯
কিছু বিষয় যা মুসলিম ব্যক্তির উপর জানা ওয়াজিবঃ
প্রথমতঃআল্ ইসলামঃ আর তাহল আল্লাহর জন্য নিজেকে সমর্পণ করা, তার তাওহীদ, আনুগত্যের মাধ্যমে তার অনুগত হওয়া,এবং নিজেকে খাঁটি ও মুক্ত করে রাখা শিরক ও শিরক পন্থীদের থেকে।

ইসলামের দুটি অর্থ রয়েছেঃ

আম বা ব্যাপক অর্থঃ এই অর্থে ইসলাম সমস্ত রাসূলদের ধর্মকে শামিল করে। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ (১৩২)[ البقرة ].

‘এই মর্মে ইবরাহীম নিজ সন্তানদেরকে ওছিয়ত করেছেন এবং ইয়াকূবও করেছেনঃ হে আমার সন্তানগণ! নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের জন্য এই ধর্মকে মনোনীত করেছেন। অতএব মুসলিম না হয়ে তোমরা মৃত্যু বরণ কর না।’ (সূরা আল্ বাক্বারাহঃ১২২)

অবশ্য ইহা নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবিভার্বের পূর্বের ধর্মের সাথে খাছ। নবীর নবী হিসাবে আত্ম প্রকাশের পর এই ব্যাপক অর্থের ইসলাম রহিত হয়ে গেছে এখন অবশিষ্ট রয়েছে শুধু খাছ ইসলাম।

খাছ ইসলামঃ আর ইহা হল সেই ইসলাম যা মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে এসেছেন এবং যা ব্যতীত -নবীর আবির্ভাবের পর- কারো থেকে অন্য কিছু গ্রহণ করা হবে না। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْأِسْلامِ دِيناً فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ (৮৫)[ آل عمران ]

‘আর যে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন কিছুকে ধর্ম হিসাবে তালাশ করবে, তা তার থেকে কখনো গৃহীত হবে না। আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হবে।’ (সূরা আলে ইমরানঃ ৮৫)

এই আয়াত তাদের প্রতিবাদ করে যারা আসমানী সমস্ত ধর্মকে এক গণ্য করার এবং ইবরাহীমী দ্বীনের দিকে দাওয়াত দেওয়ার পক্ষপাতি। [এই দর্শনের ঐতিহাসিক তথ্যঃ মহান আল্লাহ্ তাঁর অকাট্য গ্রন্থ -আল কুরআনে স্পষ্টভাবে এই মর্মে বলে দিয়েছেন যে, ইহুদী এবং খৃষ্টানগণ মুসলিমদেরকে তাদের ইসলাম থেকে পথভ্রষ্ট করে কুফরীর দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং তাদেরকে ইহুদী ও খৃষ্ট ধর্মের দিকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সাধ্য-সাধনায় লিপ্ত। وَقَالُوا لَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ كَانَ هُوداً أَوْ نَصَارَى تِلْكَ أَمَانِيُّهُمْ قُلْ هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ (111)[ البقرة ]‘তারা বলে, ইহুদী ও খৃষ্টান ব্যতীত অন্য কেউ কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আপনি বলুন! তোমরা তোমাদের-একথার-দলীল দাও, যদি সত্যবাদী হয়ে থাক।’ (সূরা আল্ বাক্বারাহ্ঃ১১১)মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ وَقَالُوا كُونُوا هُوداً أَوْ نَصَارَى تَهْتَدُوا قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفاً وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ (135)[ البقرة ]আর তারা বলেঃ তোমরা ইহুদী অথবা খৃষ্টান হও তাহলেই সঠিক পথ প্রাপ্ত হবে। আপনি বলুনঃ (কখনো নয়) বরং আমরা ইবরাহীমের ধর্মে আছি, যাতে বক্রতা নেই, আর তিনি মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন না। (সূরা আল্ বাক্বারাহঃ১৩৫) -চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম অর্ধে এই মতবাদের পথে দাওয়াত দেওয়ার স্তরঃ এই দর্শনের দাওয়াত সুদীর্ঘ কাল পর্যন্ত বন্ধ থাকে, এবং কেবল তা এসব মতবাদ বহনকারীদের অন্তরেই সীমাবদ্ধ থাকে। এভাবে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এটিকে ‘মাসুনিয়াহ্’ নামক ইহুদী সংগঠন গ্রহণ করে। এই সংগঠন এই পথে আহবান করে থাকে বিশ্বে তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য। এবং তারা চায় সারা বিশ্বে নাস্তিক্যতা ও যেনা-ব্যভিচারের প্রসার। এরপরও তাদের পাতানো ফাঁদে পড়ে যায় মুসলিমদের কিছু আলেম এবং বুদ্ধিজীবি এবং একটি সংগঠন কায়েম করে নাম দেন ‘জমঈয়াতুত্ তালীফি ওয়াত্ তাক্বরীব’ অর্থাৎঃ তিনটি ধর্মকে পরষ্পর জমায়েত ও নিকটবর্তী করণ।’*আধুনিক যুগে এদিকে আহবান করার স্তরঃ এই স্তরে আন্তর্জাতিক আধুনিক বিধানের ছত্র ছায়ায় ইহুদী ও নাছারাগণ তাদের ও মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন নামে ধর্মীয় ঐক্যের পথে প্রকাশ্যভাবে দাওয়াত দিতে শুরূ করেছে। যেমনঃ‘দ্বীন সমুহকে পরষ্পর নিকটবর্তী করণের দাওয়াত’ ‘বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে নৈকটত্ব,‘ধর্মীয় গোঁড়ামী বর্জন,‘সমগ্র ধমর্কে একক ও অভিন্ন করণ’ ইবরাহীমী ধম’র্,‘ধর্ম সমূহের একত্রিত হওয়ার স্থান’ ‘দ্বীন সমূহকে কেন্দ্র করে আধুনিক বিতর্ক অনুষ্ঠান’ ইত্যাদি।ইসলাম ও মুসলিমদের উপর ইহার কুপ্রভাবঃ -বাধা অতিক্রম করা এবং একদিক থেকে মুসলিম সম্পর্কে তাদের ভয়ের অন্তরায়কে ভেঙ্গে ফেলা। এবং অপর দিক থেকে কাফিরদের ক্ষেত্রে মুসলিমদের ঘৃণাবোধ ভেঙ্গে ফেলা।-খৃষ্টীয় পোপ বিশ্বের বুকে নিজেকে এইভাবে পেশ করেছেন যে, তিনিই হলেন সমস্ত ধর্মের আধ্যাত্নিক পরিচালক।-এই মতবাদের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ মতবাদটি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। এই মতবাদকে কেন্দ্র করে বড় বড় ইসলামী কন্ফারেন্স হয়েছে এবং সমিতি গঠিত হয়েছে।-কিছু কিছু (অপরিণাম দর্শী) আলেম এসব বাহ্যিক চাকচিক্য দেখে প্রভাবিত হয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই মিশরে ১৪১৬ হিজরীতে শারামুশ্ শাইখ মুতামার’ নামক কন্ফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয় এমন এমন গুণাবলীর উপর যা তাদের কথিত ইবরাহীমী কন্ফারেনস এ যোগদানকারীদের যৌথ গুণ। কোন কোন ফিৎনা গ্রস্ত ব্যক্তি এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও দেয় যে তারা একটি কিতাব ছেপে বের করবে যার মধ্যে সন্নিবেশিত থাকবে কুরআন কারীম, তাওরাত ও ইঞ্জীল। এদ্বারা তারা ইহুদী ও খৃষ্টানী মতবাদকে মুসলিমদের মাঝে ছড়াতে চেয়েছেন। এবং তাদের সাথে তাদের আনন্দ-ঈদ-উৎসবে শরীক হওয়ার জন্য, তাদের পদাংক অনুসরণ ও তাদের সাথে সম্পর্ক মজবূত করার জন্যই তারা অমনটি করেছেন। এই মতবাদের শরঈ বিধানঃ ঈমানের রুকন ও আক্বীদাহর মৌলিক বিষয়ের অন্যতম বিষয় হলঃ ঐসমস্ত কিতাবাদির উপর ঈমান স্থাপন করা যা (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তাঁর নবী ও রাসূলগণের উপর নাযিল করা হয়েছে। এবং আরো বিশ্বাস করা যে, আল্লাহর কিতাব‘আল্ কুরআনুল কারীম’ সর্বশেষ নাযিলকৃত আল্লাহর কিতাব, এবং এটিই সর্বশেষে আল্লাহ্ রাববুল আলামীনের নিকট থেকে প্রেরিত মহাগ্রন্থ। আরও বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ইহুদীরা হল আল্লাহর অভিশপ্ত জাতি, এবং খৃষ্টানগণ হল পথভ্রস্ট জাতি। এরা সকলেই আল্লাহ্র সাথে কুফরী করেছে। কারণ তারা কুরআনের উপর এবং কুরআন তার পূর্বে যা রহিত করেছে তার উপর ঈমান আনেনি। এতদ্সত্ত্বেও তারা তাদের নিকট তাওরাত ও ইঞ্জীলের যা অবশিষ্ট রয়েছে তাদের হাতে এগুলিকে তারা আল্লাহর দিকে সম্পর্কিত করে থাকে অথচ সেগুলির সাথে যুক্ত করা হয়েছে অর্থ ও শব্দের বিকৃতি, পরিবর্তন, বানোয়াট ব্যাখ্যা, বরং তাতে রয়েছে আল্লাহর নবীদের উপর এমন এমন মিথ্যারোপকৃত কথা যা কারো নিকট গোপন নেই। ফলাফল হলঃ১-মুসলিমদের উপর ওয়াজিব হল এই দর্শনের সাথে কুফরী করা। অর্থাৎ‘প্রত্যেক বিকৃত ও রহিত দ্বীনকে দ্বীনে ইসলামের সাথে একাকার করা যে দ্বীন ইসলাম চির সত্য, অকাট্য এবং বিকৃতি ও পরিবর্তন থেকে চির সংরক্ষিত এবং যা পূর্বের সকল আসমানী কিতাবকে রহিতকারী’(এই সর্বনাশা মতবাদের সাথে কুফরী করা)। এটি তো সকলেরই জানাশুনা আক্বীদাহ্ - বিশ্বাস এবং ইসলামের সর্ব স্বীকৃত বিষয়।২-এই দর্শনের দিকে দাওয়াত-আহবান করা হল মুনাফেক্বী, শরী‘আতের বিরোধিতা এবং ফাটল সৃষ্টি করা। এবং মুসলিমদেরকে ইসলাম থেকে বহিষ্কারকারী আমল। অতএব যে এই তথা কথিত ইবরাহীমী ধর্মে পরিচালিত হল, সে ইসলাম ভিন্ন অন্য ধর্ম তালাশ করল (বলে গণ্য যা তার থেকে কখনই গৃহীত হবে না)৩-দুটি সত্বা (জিন ও ইনসান) এর উপর ওয়াজিব হল এই মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করা যে, সমস্ত ও নবী ও রাসূলদের দাওয়াতের ক্ষেত্রে মিল্লাত ও ধর্ম এক ও অভিন্ন ছিল তাওহীদ, নবুওত, পুনরুত্থান প্রভৃতি বিষয়ে। তবে এই আক্বীদাহ্গত মৌলিক বিষয়টি পরবর্তীতে একমাত্র মুসলিমগণ ব্যতীত অন্য কারো মধ্যে নিখুঁতভাবে পাওয়া যায়নি।৪- জিন ও ইনসান এর উপর ওয়াজিব হল এই মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করা যে,শরী‘আত বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন প্রকৃতির। এবং ইসলামের শরী‘আত সর্বশেষ শরী‘আত যা পূর্বের সকল শরী‘আতকে রহিতকারী। অতএব সৃষ্টিকূলের কোন ব্যক্তির জন্যই ইসলামের শরী‘আত ভিন্ন অন্য কোন শরী‘আত দ্বারা আল্লাহর ইবাদত করা জায়েয নয়।৫-মানব ও জিন এর কিতাবধারী, কিতাববিহীন সকল প্রকার ব্যক্তির উপর দুটি শাহাদতবাণী উচ্চারণ করার মাধ্যমে ইসলামে প্রবেশ করা ওয়াজিব। এবং ইসলাম ধর্মে যা কিছু এসেছে তার উপর সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিতভাবে ঈমান স্থাপন করা ও তদানুযায়ী আমল করা, তার অনুসরণ করা, তা ব্যতীত সকল বিকৃত শরী‘আত বর্জন করা ওয়াজিব।৬-প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হল এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে ইহুদ,খৃষ্টান ও অন্যান্য সকল ব্যক্তি থেকে যে ব্যক্তিই এই ইসলামে প্রবেশ করবে না সে কাফের। তাকে কাফের বলা ওয়াজিব, আরও বিশ্বাস করা ওয়াজিব যে এরূপ ব্যক্তি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে যদি সে তার এই (বাতিল) আক্বীদাহর উপর মৃত্যু বরণ করে। উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা চির সত্য ইসলামের অন্যান্য বিকৃত, রহিত ধর্মের সাথে সংমিশ্রণ ঘটানোর দর্শন-মতবাদ বাতিল প্রমাণিত হল। আরো ইহা প্রমাণিত হয়ে গেল যে, একমাত্র ইসলাম ছাড়া আর কিছু বাকী নেই, একমাত্র কুরআন ব্যতীত অন্য কিছু বাকী নেই, এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পর আর কোন নবী নেই। এবং তাঁর আনিত শরী‘আত পূর্বের সমস্ত শরী‘আতকে রহিত-বাতিলকারী। তিনি ব্যতীত অন্য কারও (নিঃশর্ত) আনুগত্যও জায়েয নেই।]। কারণ আয়াতটি এই মর্মে সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট যে, আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রাহ্য ধর্ম হল ইসলাম যা নিয়ে এসেছেন মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইহা ব্যতীত অন্য সকল ধর্ম প্রত্যাখ্যাত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন