hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শরয়ী ইলম সংক্রান্ত কিছু জরূরী জ্ঞাতব্য বিষয়

লেখকঃ আবু আব্দিল ইলাহ্ ছালেহ্ বিন মুক্ববিল আল্ উছায়মী আত্ তামীমী

৬৭
আমরা এই মাসআলায় আমাদের বিরোধিতাকারী তথা রাফেযী ও তাদের দোসরদের বলবঃ
(ক) নিশ্চয় এই ইসলাম আমরা কুরআন ও সুন্নাহের মাধ্যমেই চিনেছি যা আমাদের নিকট ছাহাবীদের মাধ্যমেই উদ্ধৃত হয়েছে। আর এ দুটি ধ্বংস প্রাপ্ত হওয়ার অর্থই হল ইসলামকেই ধ্বংস করা। এবং তাকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়া। অতএব যে ব্যক্তি এ দুটি কে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে তার উচিত হল ইসলাম বাদ দিয়ে অন্য কোন ধর্ম অনুসন্ধান করা। কারণ, সে তো ইসলামের প্রতি আস্থাশীল নয়।

(খ) আমরা ইসলাম ধর্ম নিয়েই পরিতুষ্ট যা আমাদের নিকট উদ্ধৃত হয়েছে ছাহাবায়ে কেরামের সূত্রে। কারণ আমরা তাদের উপর পরিতুষ্ট। আর তাঁরা যা আমাদের জন্য সংকলন করেছেন তাতে তোমরা পরিতুষ্ট নও। তাহলে কিভাবে তোমরা কিভাবে ভাবতে পার তোমাদের ও আমাদের ধর্ম একটাই? আর কেনইবা তোমরা আমাদের উপর রাগ কর যখন আমরা তোমাদের বন্ধুত্ব প্রত্যাখ্যান করি? কারণ, আমাদের এই মর্মে সুনিশ্চিত ইলম আছে যে, আমাদের পথ তোমাদের পথ থেকে ভিন্ন, আমাদের শরী‘আত উৎস তোমাদের উৎস থেকে ভিন্ন। আমাদের মৌলনীতিসমূহ ও তোমাদের মৌলনীতি থেকে ভিন্ন।

(গ) আমরা -আলহাদুলিল্লাহ- এই মর্মে সন্তুষ্ট যে, যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষের নিকট সুপরিচিত, যার উৎস হল কুরআন ও সুন্নাহ-এটিই আমাদের ধর্ম, এর বিকল্প আমরা চাইনা। এ থেকে আঙ্গুলের কর পরিমাণও আমরা সরে যেতে চাই না। অতএব, যারা আমাদের শরী‘আতের উৎসের বিরোধিতা করে তাদের কর্তব্য হল, তারা তাদের জন্য এই ইসলাম ধর্ম বাদ দিয়ে অন্য কোন ধর্ম সন্ধান করবে। অন্যান্য বিভিন্ন ধর্ম থেকে একটি বেছে নিতে পারে। ইসলাম একমাত্র বিশুদ্ধ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত তথা মুক্তিপ্রাপ্ত দলের জন্য প্রযোজ্য।

(ঘ) কেন তোমরা আমাদের নিকটবর্তী হওয়ার আপ্রান প্রচেষ্টা চালাচ্ছ অথচ তোমাদের ভালভাবেই জানা আছে যে, তোমাদের সাথে আমাদের মৌলিক ও শাখাগত সকল মাসআলায় পার্থক্য আছে। অল্প-সামান্য কিছু বিষয় ছাড়া তোমাদের সাথে আমাদের কোন মিল নেই। তা হলে আমাদের নিকবর্তী হওয়ার কেন এই অদ্ভুত আকাংখা? কেনইবা এতো আগ্রহ আহলে সুন্নাতের নিকটবর্তী হওয়ার? তোমরা কি তোমাদের ধর্মের ব্যাপারে আস্থাশীল নও? তোমরা কি নিজ আক্বীদাহ্ বিশ্বাস নিয়ে পৃথক ও স্বতন্ত্র হয়ে যেতে পার না? যেমনটি ইহুদী, খৃষ্টান, অগ্নি উপাসকগণ নিজ নিজ আক্বীদাহ্ নিয়ে স্বতন্ত্র ও পৃথক হয়ে রয়েছে? বল কেন তোমরা ইসলাম ধর্মের নামে আমাদের সাথে ভীড় করছো?

(ঙ) নিশ্চয় তোমাদের পক্ষ থেকে ছাহাবীদের সমালোচনা করা-ইহা প্রকৃত অর্থে নবীরই সমালোচনার নামান্তর। অথচ তোমরা তার সাথে ঈমান এনেছ যেমনটি তোমরা দাবী কর ও প্রকাশ করে থাক। কারণ তিনিই তো তাদেরকে তার সান্নিধ্যের জন্য চয়ন করেছেন এবং নিজ হাতে তাদেরকে লালন-পালন করেছেন এবং নিজ ঝর্ণা হতে তাদেরকে পান করিয়েছেন। তাঁদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন তাদের প্রতিপালকের কিতাব এবং তাঁদের নবীর সুন্নাত। বিশেষ করে তাঁদের মধ্য হতে উমার ও আবু বকর রা. এর ব্যাপারে তোমরা আমাদের সাথে দ্বিমত নও যে, তিনি নবীর হিজরতকালীন সঙ্গী ছিলেন। তিনি তাঁদের উভয়কে তাঁর অন্যান্য ছাহাবীদের উপর বিশেষভাবে মর্যাদা দান করেছেন। এতদসত্ত্বেও এরা দুজনেই হলেন কুফর ও গুমরাহীর ইমাম বরং তোমাদের নিকট তারা ইহুদী ও খৃষ্টানদের চেয়েও বড় কাফের। নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে যে আক্বল-জ্ঞান সম্পন্ন -যদি তোমাদের মধ্যে আক্বল-জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি থেকে থাকে-তার উচিত নিজেকে প্রশ্ন করা যে, এটা কি বিবেক সম্মত কথা যে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাঁর নিকট আসমান থেকে অহি করা হয় তিনি দুই জন ব্যক্তিকে মর্যাদা দিচ্ছেন। তাদের প্রশংসা করছেন। আর তোমরা বলছ তাঁরা কুফরী গোপন করে ঈমান প্রকাশ করেছেন। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পবিত্র সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজনের শত্রুতা প্রকাশ করেছেন। এরপরও নবী সা. এর কোন খবর হয়নি। কি আশ্চর্য তোমাদের বিবেক-বুদ্ধি! কত ভয়াবহ তোমাদের চিন্তা-ভাবনা!

মহান আল্লাহ বলেনঃ

كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ إِنْ يَقُولُونَ إِلَّا كَذِباً (৫)[ الكهف ]

‘কত কঠিন তাদের মুখের কথা, তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা। (আল্ কাহ্ফঃ৫)

(চ) আর কিভাবেই বা নবীর শানে প্রযোজ্য হবে যে তিনি দুজন কাফের মহিলাকে বিয়ে করবেন অথচ কুরআন এমনটি না করারই তাকে নির্দেশ দিচ্ছে যেমনটি তোমরাও তা পাঠ করে থাক? মহান আল্লাহ বলেনঃ

وَلا تُمْسِكُوا بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ [ الممتحنة :১০]

তোমরা কাফের নারীদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখোনা। (আল্ মুমতাহিনাহ্ঃ১০)

তোমরা নবীর দুজন সম্মানিতা স্ত্রী আয়েশা ও হাফছা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-কে কাফের বলেছ। এ ক্ষেত্রে না তোমরা আল্লাহর ভয় করেছ, আর না মানুষ থেকে লজ্জা করেছ?

যদি তোমরা বল,‘নূহ্ ও লূত্ব আলাইহিমাস্ সালাম- ও তো দুজন কাফের মহিলা বিয়ে করে ছিলেন’ তদুত্তরে আমরা বলবঃনিশ্চয় তোমরা আমাদের সাথে ঐকমত্য যে নূহ্ ও লূত্ব আলাইহিমাস্ সালাম তাঁদের স্ত্রীদের কুফরী সম্পর্কে জানতেন। আর মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের নিকট এতো বড় গাফেল-নির্বোধ যে তিনি তাঁর নিজ দুই স্ত্রীর কুফরী সম্পর্কে জানতেন না, আমরণ তাদের সাথে ঘর-সংসার কেরেছেন? তিনি তাদের কুফরী সম্পর্কে টের না পেয়েই তাদের প্রশংসা করেছেন। আর যদি তিনি তাদের কুফরীর কথা জানতেন, তাহলে তো তিনি কুরআন ও রহমানের বিরুদ্ধাচারণকারী বলে গণ্য হবেন। কারণ, তিনি কাফের মহিলাদেরকে বিয়ে করেছেন। তাই বলি, তোমরা যে কত বড় বাতিল মতবাদ পোষন করছ, কত নিকৃষ্ট আদর্শে প্রতিষ্ঠিত আর কেমন স্ববিরোধিতায় লিপ্ত- এই একটি বিষয়ই তার বর্ণনা দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

(ছ) তোমরা ইহুদীদেরকে কাফের বলছ। কারণ তাদের মৌলিক বিষয়গুলি তোমাদের মৌলিক বিষয়গুলি থেকে ভিন্ন, তাদের শরী‘আত গ্রহণ উৎস তোমাদের উৎস থেকে ভিন্ন। খৃষ্টানদেরকেও একই কারণে কাফের বলেছ। তাহলে আমাদেরকের-কে তাদের মত কেন কাফের বলছ না? অথচ এটা জানা কথা যে তোমরা আমাদের আলেমদেরকে কাফের বলেছ, আমাদের আইম্মায়ে কেরাম তথা মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছাহাবীদেরকে কাফের বলেছ?! আর সাধারণ ব্যক্তিরা ঐ বিধানে আলেমদেরই অনুগামী হবেন। যদি তোমরা বল যে, তোমরা হলে জাহেল শ্রেণী, তোমাদেরকে ধোঁকায় ফেলা হয়েছে’-তাহলে তো তোমাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় যে, ইহুদ ও খৃষ্টানদের সাধারণ ব্যক্তিদেরকে তোমরা কাফের বলবে না। কারণ তারাও আমাদের মতই জাহেল ও প্রতারিত। তাহলে বল, তাদের সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত তোমরা নিয়েছ সে রকম সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যাপারে কেন গ্রহণ কর না? আর কেনইবা তোমরা আদাজল খেয়ে লেগেছ আমাদেরকে তোমাদের ধর্মীয় ভাই বানানোর জন্য? যেহেতু তোমরা খৃষ্টানদেরকে ও মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছাহাবীদেরকে কাফের বলেছ, কাজেই আমাদের ব্যাপারেও ইনছাফ কর এবং আমাদেরকেও কাফের বল যেমন করে আমাদের ইমামদের কাফের বলেছ। ন্যায় ও ইনসাফের দাবী তো এটাই হওয়া উচিত। আমি আশচর্য বোধ করি এই মর্মে যে, সদা সর্বদা অবিরতভাবে তোমরা তোমাদের সমূদয় মাহফিলে আমাদের জন্য তোমাদের ভাতৃত্ব প্রকাশ করে থাক এবং আমাদের বিভিন্ন সমস্যায় আমাদের সাহায্য এবং আমাদের সাথে থাকা প্রকাশই করে থাক । অথচ তোমরা ভাল করেই জান যে, আমাদের ও তোমাদের মধ্যেকার পার্থক্য ঐরূপ যেমনটি আমাদের ও অন্যান্য কাফের দল যেমন ইহুদী ও খৃষ্টানদের মধ্যে রয়েছে। [এটা সাধারণত প্রতিপক্ষকে লা-জওয়াব করার জন্য বলা; অন্যথায় তারা (শী‘আহ সম্প্রদায়) আহ্লে সুন্নাতকে কাফের বলে এবং মনে করে যে তারা গুমরাহীতে লিপ্ত রয়েছে। আর যারা শাইখাইন তথা আবু বাকর ও উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)কে কাফের বলে তারা কখনই তাদের চেয়ে নিম্নমানের আহলে সুন্নাতের লোককে কাফের বলতে শিথিলতা করবে না এরূপ ধারা এযাবৎ অব্যাহত রয়েছে (মাহমূদ)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন